#প্রেমাসক্তি
#ফাতেমা_তুজ
#part – 17
তিন দিন ধরে নীলিমা একটা ফ্ল্যাট এ থাকছে। বাসায় ফিরে যাওয়ার মানসিকতা নই।
দুদিন আগে আজাদ চৌধুরী এসেছিলেন, নীলিমা সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে ও ফিরবে নাহহ।
আজাদ চৌধুরী চোখের পানি ফেলে চলে গেছেন। আজাদ চৌধুরী চলে যেতেই নীলিমা চিৎকার করে কেঁদে বলেছে কেন আব্বু আমার পৃথিবী টা কে কেন থমকে দিলে ?
আমার জীবন টা শেষ করে দিলে কেন কেন ?
পরক্ষণেই নীলিমা মৃদু হেসে ভাবলো যা শেষ হয়ে গেছে , তা শেষ ই বাকি যে স্মৃতি টুকু আছে যা ধরেই সে বাঁচবে।
আপাতত তার লক্ষ্য নিজের মৃত্যু কামনা।
নীলিমা চোখের পানি মুছে নিলো,,,,,
বন্ধু গুলো তার জন্য কতো কিছু করেছে ভাবতেই নীলিমার চোখ থেকে পানি পরে গেল।
কিন্তু কারো সাধ্য হয় নি শেষ রক্ষা করার।
নীলিমা যেখানে আছে এটা ঢাকার বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট।
ফ্ল্যাট টা অবশ্য রুমির, রুমির বিয়ে হয়েছে আজ দু বছর প্রায়।
তিন মাস আগে ফ্ল্যাট টার চাবি দিয়ে গিয়েছিলো নীলিমা কে।
কারন নীলিমা দিনের বেলাতে এখানে এসে পড়াশুনা করতো।
রুমি তার হাসবেন্ড এর সাথে রাজশাহী থাকছে।
নীলিমা মৃদু হেসে ব্যলকনিতে গিয়ে বাইরের আবহাওয়া উপভোগ করতে লাগলো।
দুদিন ধরে এলকোহল স্পর্শ করে না সে।
সেদিন রাতে নাকি তন্ময় বলে একজন নীলিমা কে হসপিটালে এডমিট করেছিলো।
নীলিমা কিছুতেই মিলাতে পারছে না বিষয়টা , হয়তো সেদিন হেলোসিনুয়েশন হয়েছিলো তার।
অস্বাভাবিক নয় এটা , সে প্রায় ই আরিয়ান কে দেখতো।
কিন্তু সেদিন মনে হয়েছিলো আরিয়ান একদম কাছে , নিঃশ্বাস নিতে সেদিন কষ্ট হচ্ছিলো নাহহ।
মনে হচ্ছিলো আরিয়ান ই আছে তার সামনে।
ভাবতেই নীলিমা মুচকি হাসলো, ছেলেটা কে এতো টাই ভালোবাসে যে যখন তখন সামনে ভাসে।
কিন্তু আরিয়ান কে একটু ছোঁয়া কি যেতো নাহহ ?
হঠাৎ ই মনে পরে আরিয়ানের সেই তীক্ষ্ম দৃষ্টি , আরিয়ান পাহাড় থেকে পরে যাচ্ছিলো তখনো ও দৃষ্টি ছিলো নীলিমার দিকে।
যেন চোখ দুটো নীলিমা কে দেখে তৃপ্তি পাচ্ছে নাহহ।
নীলিমা চিৎকার করে উঠলো।
আরিয়ান কেন নেই ওর কাছে?
নীলিমা ব্যলকনির রেলিং এ মাথা ঠেকিয়ে কাঁদতে লাগলো।
হঠাৎ ই কেমন বুক ফাটা কষ্ট হচ্ছে ।
আরিয়ানের স্মৃতি গুলো মনে হতেই যেন মাথা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
আরিয়ানের নীলি বলে ডাক টা যেন নীলিমার বুকে ক্ষত সৃষ্টি করছে।
বার বার নীলিমার ইচ্ছে হচ্ছে আরিয়ান এসে বলুক নীলি এভাবে পাগলামি কেন করছো।
ফোনের রিংটং পেয়ে নীলিমা চোখের পানি মুছে নিলো ।
ফোন রিসিপ করে বলল
– হুমম সুপারম্যান বলো।
– নীহু কোথায় তুই?
আম সরি তিন দিন একটু বেশি ই বিজি ছিলাম।
একটা পেশেন্ট এর অবস্থা খুব খারাপ ছিলো।
এক মূহুর্তের জন্য বের হতে পারে নি।
আজ সকালে হসপিটালে এসে জানতে পারলাম তুই চলে গেছিস।
সে যাই হোক এখন কোথায় আছিস বোন।
– আম ওকে ভাইয়া। আমি আমার বান্ধবীর ফ্ল্যাট এ আছি।
ওরা তো রাজশাহী , আমাকে যাওয়ার আগে একটা চাবি দিয়ে গিয়েছিলো।
– আচ্ছা, একা ফ্ল্যাট এ কেন আছিস নীহু।
একা একা থাকা টা সেইফ নয়।
নীলিমা মলিন হেসে বলল
– আমি চার বছর আগেই একা হয়ে গেছি ভাইয়া।
যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে , এ শূন্যতার কাছে জীবনের কোনো রিক্স ই কিছু নাহ।
– নীহু তুই ঠিক আছিস তো ?
গলা টা এমন শোনাচ্ছে কেন ?
আচ্ছা শোন একটু পর আমার সাথে দেখা করবি।
তোর সব কথা শুনব আমি,
তাছাড়া তুই তো জানিস তোর সুপারম্যান সব পারে।
নীলিমা মৃদু হেসে বলল
– আই নো ভাইয়া। আমার সুপারম্যান যখন এসে পরেছে তখন সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু আমার শূন্যতা পূরণ করার সামর্থ্য কারো নেই ভাইয়া।
নীলিমার কথা শুনে রবিন চুপ করে রইলো।
সেদিন তন্ময়ের খবর পেয়ে নীলিমার সাথে কথা বলা হয় নি আর।
নীলিমা কেন এলকোহল খায়, নীলিমার জীবনের শূন্যতা আর গত সাত বছরের সমস্ত কিছু জানতে হবে তাকে।
মেয়েটাকে কষ্ট পেতে দেখলে ওর মনটা ও যে বড্ড পুরে।
নীলিমা হালকা কেশে বলল
– সুপারম্যান কি ঘুমিয়ে পড়লো?
রবিন মুচকি হেসে বলল
– নাহহহহ , ঘুমোয় নি তবে ঘুমাতে ইচ্ছে করছে, তবে উপায় নেই।
নীলিমা মৃদু হেসে বলল
– ঘুমিয়ে নাও তাহলে।
– নাহহহ এখন ঘুম টুম আসবে নাহহ ।
শোন এগারোটায় হসপিটালে চলে যায়, একটা জায়গায় নিয়ে যাবো।
নীলিমা সম্মতি জানিয়ে ফোন রেখে দিলো।
*
রবিন, ইথিনা সবাই কে নিয়ে বোর্ড মিটিং এ বসেছে।
তন্ময়ের কন্ডিশন আপাতত ঠিক ঠাক আছে।
সেদিন ইনজেকশন পুশ করার পর আজ তিন দিন পর জ্ঞান ফিরেছে তন্ময়ের।
সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো আর ও দুটো দিন তন্ময় হসপিটালে এডমিট থাকবে।
মিটিং শেষে ইথিনা এপ্রোন খুলতে খুলতে বলল
– রবিন তুমি ছিলে তাই তন্ময় কে বাঁচাতে পারলাম।
সেদিন তো মনে হয়েছিলো আমি তন্ময় কে হাড়িয়েই ফেলেছি।
রবিন মৃদু হেসে বলল
– কি করে ভুলে যাও ইথি আমি তন্ময়ের বেস্ট ফ্রেন্ড।
হ্যাঁ তা ঠিক বহু বছর আমরা দূরে ছিলাম , কিন্তু বেস্ট ফ্রেন্ড তো ছিলাম।
ইথিনা হাসতে হাসতে বলল
– সেটা ও ঠিক।
আচ্ছা শোনো আজ সন্ধ্যায় পুরো টিম ইউ এস এ 3 আসছে।
ইথিনার কথায় রবিন ভ্রু কুঁচকে বলল
– হোয়াট।
ইথিনা হাসতে হাসতে বলল
– আরে আসলেই বুঝবা।
তন্ময় ঠিক ই বলে তুমি একটা মাথা মোটা।
রবিন ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল
– ইথি একে তো তুমি আমার তিন বছরের জুনিয়র, তার ওপর আমি তোমার সম্পর্কে ও বড়।
তাহলে আমাকে মাথা মোটা কি করে বলো ?
ইথি মেকি হাসি দিয়ে বলল
– এটা কেমন কথা রবু , তুমি না আমার একমাত্র ছোট ভাই ।
রবিন ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থেকে বলল
– এই ছোট ভাই কেন বলো ?
ছোট বোন বিয়ে দিবে নাকি ?
– এহহহহ কেন দিবো ?
তুমি জানো নাহহ ওরা দুজন ই পেয়ার।
– ইসসস ভাগ্য টাই খারাপ।
ইথিনা হাসতে হাসতে বলল
– আচ্ছা যাওয়া যাক তাহলে।
রবিন টাইম দেখে বলল
– ইথি তুমি যাও আমার একটা জায়গাতে যেতে হবে।
– ওহহ ওকে।
ইথিনা খুশি মনে তন্ময়ের কেবিনে পা বাড়ালো।
ইথিনা রুমে যেতেই দেখলো তন্ময় উঠে পরেছে।
ইথিনা ছুটে গিয়ে তন্ময় কে জড়িয়ে ধরলো।
তন্ময় কে জড়িয়ে ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদতে লাগলো।
তন্ময় মৃদু হেসে বলল
– ইথিনা আম ওকে নাহহ?
এভাবে পাগলামি কেন করছো?
এই টুকু বলেই তন্ময় থেমে গেল ।
বুকটা কেমন ভারী হয়ে আছে। মনে হচ্ছে কেউ পাথর চাঁপা দিয়ে রেখেছে।
ইথিনা চোখ মুছে বলল
– তন্ময় কেন আমাকে ছেড়ে যেতে চাইছো ?
যদি তোমার কিছু হয়ে যায় আমার কি হবে ?
এক বার ও আমার কথা ভাববে নাহহহ ?
তন্ময় দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
– আম ওকে নাহহ ?
তুমি রেস্ট নাও ইথিনা
ইথিনা চোখের পানি মুছে বলল
– আমায় প্লিজ ইথি বলে ডাকো।
তুমি কখনোই ডাকতে চাও নাহ ।
তন্ময় মৃদু হেসে বলল
– আচ্ছা।
কিন্তু কি আশ্চর্য ইথিনা কে ইথি বলে ডাকতে পারছে না তন্ময়,যেন ইথি ডাক টা গলায় বিঁধে যাচ্ছে কেমন।
তন্ময় অপরাধীর স্বরে তাকাতেই ইথিনা বলল
– ইটস ওকে, তুমি যাই বলে ডাকো না কেন আমি তাতেই হ্যাপি।
তন্ময় কিছু বলল না , ইথিনা তন্ময় কে জড়িয়ে ধরলো।
তন্ময় লম্বা করে শ্বাস নিয়ে ইথিনার মাথাটা ধরে বলল
– ইথিনা একটু বসো প্লিজ আমার অস্বস্তি হয়।
ইথিনা গোমড়া মুখ করে বসে রইলো।
তন্ময় ইথিনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।
আপাতত তার মাথায় কিছু আসছে না।
দ্যা গ্রেইমার তন্ময় ভেবে পাচ্ছে না সে কি করবে।
জীবনের এক নতুন খেলা তার সামনে উপস্থিত।
আদৌ কি পথ টা হবে সহজ?
*
নীলিমা হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
শরীর টা ভালো লাগছে নাহহ , ড্রাগ নেওয়া টা ঠিক হয় নি ।
কেউ একজন সব সময় বলতো অন্যের উপর রাগ করে নিজেকে কষ্ট দেওয়া টা হলো সব থেকে বড় বোকামি ।
আর দুঃখজনক হলে ও সত্য পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এই কাজ টাই করে ।
এতে করে নিজের ক্ষতি হয়, বরং মনের সাথে শরীর ও ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়।
নীলিমা দীর্ঘশ্বাস টেনে হাঁটতে লাগলো, রাস্তা ঘাটে গাড়ি বলতে বাস, টটো , সি এন জি এই সব ই আছে , আর এই সব এ যাওয়ার অভ্যাস নেই আজ বহুদিন।
আজকাল লোক সমাগম একদম ই ভালো লাগে না নীলিমার।
অথচ এক সময় কতো সুন্দর সবার সাথে মিশে পালা জমিয়ে রাখতো সে।
নীলিমার চোখের কোন থেকে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো।
নীলিমার সামনে একটা BMW গাড়ি এসে থামলো।
নীলিমা ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই গাড়ি থেকে একটা মেয়ে বের হয়ে আসলো।
পড়নে জিন্স প্যান্ট, সাথে লং টি শার্ট চোখে সানগ্লাস।
মেয়েটার চুল গুলো স্ট্রেট করা , মুখে হালকা মেইক আপ।
লম্বায় নীলিমার থেকে এক দেড় ইঞ্চি বেশি হবে।
দেখে মনে হচ্ছে কোনো বিদেশিনী।
নীলিমা ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলো।
মেয়েটা ছুটে এসে হাত বাড়িয়ে বলল
– হাই
নীলিমা কোনো উত্তর দিলো না। মেয়েটা মৃদু হেসে বলল
– আই থিংক তুমি কথা বলতে ইতস্তত বোধ করছো।
সমস্যা নেই আমি ও বাঙালি।
কথা বলতেই পারো ,,,
নীলিমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
– ওহহ
মেয়েটা মুচকি হেসে বলল
– তুমি কোথাও যাচ্ছো ?
নীলিমা ভদ্রতার খাতিরে বলল
– হুমম।
– বাট তোমাকে দেখে উইক মনে হচ্ছে ।
কোথায় যাচ্ছো?
– হসপিটালে ।
– ওহহহহ , চলো তোমাকে ড্রপ করে দেই।
নীলিমা বারন করলো, মেয়েটা শুনলো নাহহ ।এক প্রকার টেনে নিয়ে বলল
– আরে ভয় পাচ্ছো নাকি ?
আমি ও একজন ডক্টর তোমার শরীর খারাপ যেনে ও তোমাকে ফেলে রাখা টা অন্যায়।
নীলিমা কিছু বলল না , এই মূহুর্তে গাড়ির প্রয়োজন আছে তার।
নীলিমা গাড়িতে উঠে বলল
– থ্যাংকস ।
মেয়েটি ড্রাইভ করতে করতে বলল
– ইটস মাই প্লেজার।
নীলিমা মুচকি হেসে জানালা দিয়ে ব্যস্ত নগরী দেখতে লাগলো।
এই শহরের আনাচে কানাচে কতো স্মৃতি রয়েছে।
রাস্তার ধারের ঝাঁক ঝাঁক কৃষ্ণচূড়া দেখেই নীলিমার মনে পরে গেল আরিয়ান কৃষ্ণচূড়া ফুল কুরিয়ে বলত নীলি চোখ টা বন্ধ করো তো।
নীলিমা চোখ বন্ধ করলেই আরিয়ান উপর থেকে ফুল ছড়িয়ে বলত এবার চোখ মেলো।
ফুল গুলো যখন পরতো নীলিমা খিল খিল করে হাসতো।
আরিয়ান মুগ্ধ নয়নে চেয়ে থেকে বলতো এভাবে হেসো না গো খুন হয়ে যাবো।
নীলিমার চোখ দিয়ে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো।
এই সব স্মৃতি নিয়েই বেঁচে আছে ওহহ।
নীলিমা চোখের পানি আড়াল করতেই মেয়েটি বলল
– হেহহ তুমি কাঁদছো কেন?
– কই নাহহহ তো, এমনি তেই চোখ জ্বলছিল আর কি।
– আচ্ছা , তোমার নাম টাই তো জানা হলো নাহহ।
কি নাম তোমার ?
– নীলিমা , মিসেস আরিয়ান নীলিমা।
– কি মিষ্টি নাম , তুমি দেখতে যেমন মিষ্টি তোমার নাম টা ও তেমনি।
নীলিমা মলিন হাসলো মেয়েটি বলল
– আম ইথিনা , ইথিনা আফরোজ।
এনি ওয়ে তোমার হাসবেন্ড কি করেন?
– died.
– ohh. I am sorry. How ?
– গুলি লেগে পাহাড় থেকে পরে গিয়েছে।
এই কথা টুকু শুনেই ইথিনার বুক টা মোচর দিয়ে উঠলো।
চোখের সামনে ভেসে উঠলো নানান ভাবনা।
ইথিনার চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো।
বুকের ভেতর আগুনের সূত্রপাত ঘটে গিয়েছে।
এ আগুন নেভানোর শক্তি টুকু ও নেই বোধহয়।
ইথিনা ধরা গলায় বলল
– কবে ?
– চার বছর আগে ।
ইথিনা গাড়ি থামিয়ে দিলো, চোখ দুটো জ্বলছে খুব।
নীলিমা আশে পাশে তাকিয়ে দেখল হসপিটালে এসে গেছে।
নীলিমা গাড়ি থেকে নেমে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল।
ইথিনা ছলছল নয়নে নীলিমার দিকে তাকিয়ে রইলো।
নীলিমা চলে যেতেই ইথিনা মুখ চেপে কাঁদতে লাগলো।
চোখের সামনে ভেসে উঠছে সমস্ত স্মৃতি।
পরবর্তী পার্ট পেতে পেইজ এ ফলো দিয়ে রাখুন
https://www.facebook.com/Fatema-tuz-ফাতেমা-তুজ-110123584545542/
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে