প্রেমাসক্তি #ফাতেমা_তুজ #part – 24

0
238

#প্রেমাসক্তি
#ফাতেমা_তুজ
#part – 24

নীলিমা চোখের পানি ফেলতে ব্যস্ত।
অঝোরে কেঁদেই যাচ্ছে সে , বোধহয় কান্নার প্রতিযোগিতা চলছে , আর তাকে যেভাবে ই হোক প্রথম হতেই হবে ।
পাশেই ফোন টা বেজে চলছে , একের পর এক রিং হয়েই যাচ্ছে কিন্তু নীলিমার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে হচ্ছে না ফোন রিসিপ করতে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে নীলিমা মলিন হাসলো।
আকাশেয রুপোলি রঙা চাঁদ টাকে বলতে ইচ্ছে করছে আজ ওহহ কেন আবার অসহায় হয়ে পরলো ?
কেন চাঁদের স্নিগ্ধ আলো টুকু ওকে ছুঁইয়ে যেতে পারছে নাহহ।
পরিস্থিতি কেন এতো টা করুন হয়ে গেল।
তবে সত্যি ই কি সুখ মরীচিকা?
নীলিমার চোখের সামনে স্পষ্ট ফুটে উঠছে,না তার আর আরিয়ানের পথ চলা যেন সম্ভব নয়।
অদৃশ্য দেয়ালের বেড়াজালে পরেছে তারা।
কিছুক্ষণ আগের ঘটনা আরিয়ান নীলিমা কে ফোন দিয়েছিলো।
নীলিমা আরিয়ানের থেকে যা শুনলো তাতে নীলিমার মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা।
আরিয়ানের সাথে এই সপ্তাহেই ইথিনার বিয়ে।
আরিয়ান সন্ধ্যা তে ঘটে যাওয়া সমস্ত টা খুলে বললেই নীলিমার হাত থেকে ফোন পরে যায়।
নীলিমা ব্যলকনির এক কোনে থম হয়ে বসে পরে।
ব্যলকনির রেলিং এ মাথা ঠেকিয়ে কাঁদতে লাগলো নীলিমা।
চার চার টে বছর মরন যন্ত্রণা সহ্য করেছে সে।
আজ যখন সমস্ত আঁধার পেরিয়ে এক চিলতে সুখ এসে ধরা দিলো তখন ই মনে হচ্ছে সব শেষ হয়ে যাবে।
কেন আবার সেই ভয়ানক পরিস্থিতির স্বীকার হতে হচ্ছে তাদের।
জীবন কেন তাদের সুখ দিচ্ছে নাহহ ?
নীলিমা কাঁদতে লাগলো, কি আশ্চর্য লোকজনের ভয়ে চিৎকার করে ও কাঁদা যায় নাহহহ।
নীলিমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে নানান রঙা রঙিন সব স্মৃতি।
চোখ থেকে অঝোরে পানি ঝরছে , যেন ঝর্নার ফোয়ারা।
নীলিমা হাঁটুতে মাথা গুঁজে দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
নেই আজ কেউ তার পাশে নেই ।
নিজে কে খুব অসহায় মনে হচ্ছে ওর , পাশে নেই প্রিয় জন কিংবা বন্ধুবান্ধব।
এই ভয়ঙ্কর দিন দেখার জন্য ই বুঝি সুখ নামক মরীচিকা দেখা দিয়েছিলো ?
নীলিমার থেকে এক হাত দূরে ফোন টা পরে আছে , একের পর এক রিং হয়েই যাচ্ছে কিন্তু নীলিমার কোনো মতিভ্রম হচ্ছে নাহহ।
আরিয়ানের অতীত টা যখন জানবে সবাই তখন কি হবে তাদের প্রতিক্রিয়া।
ইথিনা আরিয়ানের প্রান বাচিয়েছে , আরিয়ান কে ফিরিয়ে দিয়েছে তার বাবা মায়ের কাছে।
দীর্ঘ তেইশ পর আলাদা থাকার পর আবার তারা এক হয়েছে শুধুমাত্র ইথিনার জন্য।
ইথিনার প্রতি সবাই কৃতঙ্গ, আর তাই সবাই চায় আরিয়ান আর ইথিনার বিয়ে টা হোক ।
সব কিছু জানার পর আরিয়ানের বাবা মা ধর্ম সংকটে পরে গিয়ে যদি আরিয়ানকে বলে ইথিনা কে বিয়ে করতে।
অতীত কে আগলে না ধরতে , তাহলে কি হবে তখন ?
কিংবা আরিয়ান বিয়ে তে রাজি না হওয়ার কারনে যদি তারা বলে আরিয়ান কে তাদের থেকে আলাদা হয়ে যেতে।
তখন ই বাহ কি হবে ?
শুধুমাত্র তার জন্য আরিয়ান তার পরিবার কে হারাবে।
কি করে মেনে নিবে ওহহ ?
এভাবে কি সুখ হয় , সারা জীবন অপরাধবোধ নিয়ে কি করে বেঁচে থাকবে ওহহ ?
ভাবতে ই নীলিমার কান্না চলে আসছে , কি হবে কিছুই বুঝতে পারছে নাহহ ওহহহ।
পরিস্থিতি যেন দিন কে দিন আর ওর জটিল থেকে গভীর জটিলতর হচ্ছে।
নীলিমার ইচ্ছে হচ্ছে সব শেষ করে দিতে।
এ যন্ত্রণা নিতে পারছে নাহহহ সে।
সে যেন নিজের মধ্যেই নেই , বুক টা শুন্য হয়ে যাচ্ছে তার।
বোধহয় তাদের পথচলা আর হবে নাহ।

শুরুতেই আমি দুঃখিত, আমার এস এস সি পরীক্ষার অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
আর এই অ্যাসাইনমেন্ট মানে আমার বোর্ড এর পরীক্ষা।
কোনো ভাবেই দুই পার্ট করে গল্প দেওয়া সম্ভব নয়।
আর আমি হতাশ গল্পে রিয়েক্ট দেখে , আপনাদের বোধহয় গল্প ভালো লাগছে নাহ।
আপানাদের ভালো না লাগলে লিখে কি লাভ?
লিখার প্রতি আগ্রহ আসছে নাহ, সব কেমন খামখেয়ালি হয়ে গেছে।
*

আরিয়ানের নিজে কে পাগল পাগল মনে হচ্ছে।
মাথা টা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার, নীলিমা কে কখন থেকে ফোন দিয়েই যাচ্ছে কিন্তু নীলিমা ফোন ধরছেই নাহহ ।
আজকাল মেয়ে টা বড্ড বেশি বুঝে , পুরো কথা না শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।
আরিয়ানের ইচ্ছে হচ্ছে নীলিমা কে দু চারটে চর বসিয়ে দিতে ।
সব সময় কেন নিজেকে দূর্বল প্রমান করে ওহহ ?
আরিয়ান নিজের চুল মুষ্টিবদ্ধ করে ফোন দিতে লাগল।
নাহহহ এবার ও রিসিপ হলো নাহহ।
আরিয়ানের খুব রাগ হচ্ছে, এতো অবুঝ হলে চলবে কি করে?
কল লিস্টে অর্ধ শতাধিক কর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু নীলিমা রিসিপ করছেই নাহহ।
আচ্ছা মেয়েটা নিজের কোনো ক্ষতি করে দিবে না তো ?
এই টুকু মাথা তে আসতেই আরিয়ানের দম ফুরিয়ে আসছে। নাহহহহ,,, আর ভাবা যাচ্ছে নাহহ
কাঠ হয়ে যাওয়া ঠোঁট দুটো জ্বিভ দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে ভাবতে লাগলো তার নীলি এমনটা করবে নাহহ।
নীলি এমনটা করতেই পারে নাহহহ।
কিন্তু তার মন তো শান্ত হচ্ছে ই নাহহ বরং নতুন নতুন বাজে ভাবনা নিয়ে হাজির হচ্ছে।
বার বার বুক ধুকপুক করছে। এই সব সান্ত্বনার বানী গুলো বিন্দু মাত্র কাজ করছে নাহ।
আরিয়ানের পা গুলো অস্থির হয়ে গেছে।
যেন এখনি ছুটে চলে যাবে, নাহহহ সে আর পারছে নাহহহ।
নীলিমাকে না দেখা অব্দি শান্তি নেই ওর।
বিন্দু মাত্র শান্তি পাবে না সে , আরিয়ান ঠিক করলো নীলিমার কাছে যাবে।
আরিয়ান রুম থেকে বের হতেই দেখা হয়ে গেল মিসেস আবরার এর সাথে।
মাত্র ই সবাই ডিনার করার জন্য ড্রয়িং রুমে এসে বসলো।
মিসেস আবরার আরিয়ান কেই ডাকতে যাচ্ছিলেন।
আরিয়ান ট্রাউজার আর ট্রি শার্ট পরেই রওনা হয়ে গিয়ে ছিলো।
মিসেস আবরার মলিন হেসে ছেলের দু গালে হাত বুলিয়ে বললেন
– রাত তো অনেক হলো বাবা, বারো টা পেরিয়ে একটা বেজে গেছে।
এতো রাত হয়ে যাওয়ার পর ও কেউ মুখে একটা দানা ও কাটলো নাহহহ।
তুই সারাদিন এ কিচ্ছু খাস নি , তাড়াতাড়ি চল।
আরিয়ান দ্রুত গতিতে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে যেতে বলল
– আম্মু এখন সময় নেই। পরে এসে খাবো , তোমরা খেয়ে নাও।

মিসেস আবরার থম মেরে গেলেন।
ছেলে এতো রাতে কোথায় যাবে?
আরিয়ানের পিছু পিছু তিনি ও ছুটে চলে আসলেন নিচে।
ড্রয়িং রুমের সবাই কে পরোয়া না করেই আরিয়ান বের হতে চললো।
তরিকুল আবরার সহ সবাই বাঁধা দিতেই আরিয়ান থমকে বলল
– সময় নেই এসে সব বলবো।

কিন্তু নাহহহ কেউ আরিয়ান কে যেতে দিবে নাহহহ।
আরিয়ানের শরীর কাঁপছে, নীলিমার কিছু হয়ে গেলে সে বাঁচতে পারবে নাহহহ।

আরিয়ান দু হাত জোড় করে চিৎকার করে বলল
– প্লিজ এখন কেউ প্রশ্ন করো নাহহহ , আমার মাথা টা গরম হয়ে যাচ্ছে।
এসে সব বলছি ,,,,

আরিয়ানের এ রুপ দেখে সবাই অবাক।
এতো রাগ আরিয়ানের মুখে কখনোই ফুটে উঠে নিহহহ।

তরিকুল আবরার সহ উপস্থিত সবাই থম মেরে গেলেন।
রাত একটার দিকে বিডি তে আরিয়ানের কি কাজ ?

ইথিনার চোখ থেকে পানি পরছে , অনুভূতি শূন্য হয়ে যাচ্ছে সে।
মন টা বড্ড পুরছে , ঠিক বেঠিক সব বুঝতে পারলে ও মন নামক বেইমান টা কোনো কথাই শুনে নাহহহ।

রবিন কিছু টা আচ করতে পারলো , আরিয়ানের পিছু যেতে নিয়ে ও গেল নাহহ।

সবাই মেইন ডোরের দিকেই তাকিয়ে আছেন।
তন্ময়ের রাগ সবাই কেই স্তব্ধ হতে বাধ্য করে দিয়েছে।

*

পাঁচ ছয় বার পর পর কলিং বেল বাজিয়ে ফেলেছে আরিয়ান।
কিন্তু নীলিমা দরজা খুলছে নাহহহ , রাত দুটো প্রায়।
এতো রাতে কলিং বেল এর আওয়াজে আশে পাশের মানুষ না চলে আসে।
আরিয়ানের বেশ ভয় হচ্ছে, নীলিমা ঠিক আছে কি না সেটা মনে আসতেই আরিয়ানের বুক ধুকপুক করছে।
আরিয়ান উপায় অন্তর না পেয়ে নিচে চলে আসলো।
নীলিমা তৃতীয় তলার চার নম্বর ফ্ল্যাট এ থাকে।
খোলা ব্যলকনি হওয়া তে সহজেই উপরে আসা যাবে।
আরিয়ান দেয়ালের কোনাতে কোনাতে পা রেখে সাবধানে উপরে উঠে আসলো।
এর আগে ও কয়েক বার দেয়াল বেয়ে উঠেছে সে , তাই অতি সহজেই উঠতে পারলো।
ব্যলকনিতে উঠে ভ্রু কুঁচকালো আরিয়ান , কারন ব্যলকনির দরজা খোলা।
এখানে সিকিউরিটি অনেক কড়া, আর যাই হোক চোর ঢুকতে পারবে নাহহ।
তবে অন্যান্য ফ্ল্যাট এর কেউ তো আসতেই পারে।
নীলিমার কিছু হলো না তো ?

আরিয়ান মাথা চেপে ধরলো , কি ভয়ঙ্কর চিন্তা ভাবনা করছে ওহহহ।

আরিয়ান দ্রুত গতিতে ব্যালকনি দিয়ে রুমে চলে আসলো।
রুমে আসতেই দেখলো নীলিমা মেঝে তে পরে আছে।

আরিয়ান ছুটে গিয়ে নীলিমা কে ধরলো , নীলিমার চোখ টা আধৌ আধৌ খুলছে আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

আরিয়ান ব্যস্ত হয়ে পড়লো, মুখে পানির ছিটে দিয়ে ও কাজ হলো নাহহহ।
নীলিমার হাতের কাছে পরে আছে ঘুমের ঔষধ এর পাতা।
আরিয়ান গুনে দেখলো চার টে ঔষধ নেই।
তার মানে নীলিমা চার টেই খেয়ে নিয়েছে।
আরিয়ান পাওয়ার চেইক করে দেখলো চার টে ঔষধ এ নীলিমার কোনো ক্ষতি হবে নাহহহ ।
তবে মরার মতো ঘুমোবে , কিন্তু নীলিমা কে দেখে মনে হচ্ছে ও নেশা করেছে।

আরিয়ান নীলিমা কে উঠানোর চেষ্টা করলো , নীলিমা হালকা চোখ খুলে আবার বুজে নিলো।
চোখ বন্ধ রেখেই আধৌ আধৌ বুলিতে বলল
– আরিয়ান এসেছো তুমি?
ইউ নো আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো, তোমায় ছাড়া থাকবো কি করে ?
প্লিজ যেও না ছেড়ে , আই কান্ট লিভ উইদাউট ইউ।
ঘুম ও আসে নাহহহ তাই ঔষধ খেয়ে নিয়েছি।

আরিয়ান নীলিমার কথাতে স্তব্ধ হয়ে গেল।
মেয়েটা কতোটা ভালোবাসে ওকে, একে ছাড়া আদৌ কি বাঁচা সম্ভব।

নীলিমা আবার চোখ খুলে ফিক করে হেসে দিলো।
আরিয়ান ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।
নীলিমা আরিয়ানের গলা জড়িয়ে ধরে বলল
– তোমাকে চকলেট চকলেট লাগছে।
একদম খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।

নীলিমার কথা শুনে আরিয়ান তব্ধা খেয়ে গেল।
ঘুমের ঘোরে মেয়ে টা কি সব বলছে।

আরিয়ান নীলি বলে ডাকতেই নীলিমা ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলল
– উহুহু কোনো কথা নাহহহ ,now I wanna kiss you.

নীলিমার কথাতে আরিয়ান ফিক করে হেসে দিলো।
মেয়েটা পাগল ই হয়ে গেছে, আরিয়ান নীলিমার এলোমেলো চুল গুলো গুছিয়ে দিতে দিতে বলল
– আচ্ছা সব হবে , এখন চলো আমার সাথে।

নীলিমা ঘুমের ঘোরে ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদতে লাগলো।
আরিয়ান অপরাধীর স্বরে বলল
– কি হলো ?

নীলিমা আরিয়ান কে খামচে ধরে বলল
– আমরা একটা বেবি নিবো এখন , ছোট ছোট হাত পা দিয়ে খেলবে আমার সাথে।

আরিয়ান নীলিমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।
এই মেয়েটার মাথা টা পুরো পুরি গেছে।
কোন পরিস্থিতি তে এই সব বলছে।

আরিয়ান কে খামচাতে লাগলো নীলিমা, আরিয়ান মৃদু হেসে বলল
– ব্যথা পাই তো।

– বেবি লাগবে এখনি লাগবে , আমার বেবি লাগবে।

এই টুকু বলেই নীলিমা কাঁদতে লাগলো।

আরিয়ান মৃদু হেসে বলল
– আচ্ছা দিবো , তাহলে আমার সাথে চলো।

– নাহহহহ আগে আমাকে কিস করো।

আরিয়ান দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
– নীলি বাচ্চামি কেন করছো , বোকা মেয়ে আমার বুক ধুকপুক করছে।
কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছি, এখন এমন করে নাহহহ সোনা, আগে আমার বাসায় যাই তারপর সব।

নীলিমা এহহহ এহহহ করে কাঁদতে লাগলো।
আরিয়ান ছোট্ট করে বলল
– আবার কি হলো ?

– আমায় ভালোবাসো না তুমি, তুমি তো ঐ ইথিনা কে ভালোবাসো।
তার জন্য আমায় কিস করতে চাইছো নাহহহ।

আরিয়ান দীর্ঘশ্বাস টেনে নীলিমার ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।
দু সেকেন্ড এই যেন আরিয়ান নিজেকে সামলাতে পারছিলো নাহহহ।

আরিয়ান নীলিমা কে দ্রুত কোলে তুলে নিলো। কখন নাহহহ আরিয়ান নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
নীলিমা আরিয়ানের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরলো।

আরিয়ান মৃদু হেসে নীলিমার দিকে তাকালো।
এমন করুন পরিস্থিতি তে ও মেয়েটা ওকে হাসিয়ে দিলো।
এ এমন আসক্তি যার ফলে মৃত্যু চোখের সামনে ভাসলে ও অপর মানুষটি কে দেখে শান্তি অনুভব হবে ।

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here