প্রেমাসক্তি #ফাতেমা_তুজ #Part – 10

0
291

#প্রেমাসক্তি
#ফাতেমা_তুজ
#Part – 10

এই নীলু শুনেছিস কিছু ?
মিহির এমন কথাতে বিরক্তি নিয়ে তাকালো নীলিমা।
সকাল থেকে ই প্রচুর মাথা ব্যথা করছে নীলিমার তারউপর মিহির একটার পর একটা অহেতুক কথা।
নীলিমা কে বিরক্তি নিয়ে তাকাতে দেখে মিহি দমে গেল।
কিছুক্ষণ পর মিহি আবার বলা শুরু করলো
– এই নীলু শোন নাহহ,,, জানিস ই তো আমার পেটে কথা থাকলে আমি শান্তি তে থাকতে পারি নাহহহ।

নীলিমা মাথা চেপে ধরে বলল
– আচ্ছা বল শুনছি।

মিহির মুখে মুহূর্তেই হাসি ফুটে উঠলো।
মিহি হালকা কেশে গলা পরিষ্কার করে বলল
– আই এম ইন লাভ,,,,,,,,

মিহির কথা শুনে নীলিমার মুখ হা হয়ে গেছে।
যে মেয়ে দিনে আটত্রিশ বার একেকজনের উপর ক্রাশ খায় ,,,, আর তার পরের দিন ই বলে ভালো লাগে না।
সেই মেয়ের মুখে এমন কথা ,,,,,,,

নীলিমার মুখের ভঙ্গি দেখে মিহি খানিক টা চিন্তাগস্ত হয়ে পড়লো।

নীলিমা ভ্রু কুঁচকে বলল
– রাতে কি নেশা টেশা করেছিস নাকি ?

নীলিমার মুখে এমন কথা শুনে মিহির মুখ টা একুটখানি হয়ে গেল।
মিহি কাঁচুমাচু হয়ে বলল
– আম সিরিয়াস ইয়ার ,,,,,,,

নীলিমা শান্ত দৃষ্টি তে মিহি কে পরখ করে নিলো।
চোখ দুটোর নিচে কালি পড়ে গেছে,,,,,।
যে মেয়ে রাত আট টা বাজলে ঘুমে পড়ে যায় তার মুখের এই ছিড়ি দেখে বোঝাই যাচ্ছে কিছু তো হয়েছেই।

নীলিমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
– চোখের নিচে কালি হলো কি করে ?

মিহি লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে বলল
– আসলে রাত জেগে কথা বলি তো তাই ,,,,

মিহির কথা শুনে নীলিমার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম।
নীলিমা মিহির হাত ধরে বলল
– তার মানে সত্যি ই তুই প্রেম করছিস ?

মিহির মুখ টা লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে।
নীলিমা মাথায় হাত দিয়ে বলল
– ওহহহ মাই গড।
মিহু তোর হাজার হাজার ক্রাশ গুলোর কি হবে রে ?

মিহি কিছুক্ষণ ভ্যবলার মতো চেয়ে রইলো।
তারপর ইনোসেন্ট ফেস নিয়ে বলল
– নীলু আমার সাথে মজা করছিস?

মিহির ফেস দেখে নীলিমা আর হাসি আটকে রাখতে পারলো না।
নীলিমা হো হো করে হেসে উঠলো।
মিহি কে জড়িয়ে বলল
– কংগ্রেস মিহু,,,,

মিহি ও নীলিমা কে দু হাতে জড়িয়ে নিলো।
মিহি কে ছাড়িয়ে নীলিমা বলল
– তা মিস মানুষ টা কে রে ?
আর কতো দিন ধরে চলছে এসব ?

মিহি লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে বলল
– রিসব ,,,, এক মাস হলো।

নাম টা শুনে নীলিমা ভ্রু কুঁচকাতেই মিহি বলল
– এই কলনির পরের ভারসিটি তেই পরে অনার্স ফাইনাল ইয়ার।

নীলিমা মৃদু হেসে বলল
– ওকে একদিন পরিচয় করিয়ে দিস তো।

মিহি লজ্জা মাখা মুখ নিয়েই মাথা ঝাঁকালো ।

ক্লাস শেষ এ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে আসলো নীলিমা।
দু চোখ কাউকে খুঁজে চলেছে ,,, কিন্তু নেই সে।
নীলিমা মন খারাপ করে ভারসিটি থেকে বেরিয়ে আসলো।

👇
অতীত আর চার পার্ট অব্দি হবে। সবার গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি।
গল্পে রেসপন্স না পেলে লিখার আগ্রহ থাকে না। তাই সাইলেন্ট রিডার্স রা ও মন্তব্য করুন।

মিহির জোড়াজোড়িতে রেস্টুরেন্ট এ আসলো নীলিমা।
মিহি এক গাদা শপিং করলো ,,,, আর নীলিমা মুখ গোমড়া করে রোবট এর মতো দাড়িয়ে রইলো।
সব কিছুই অসহ্য লাগছে তার কাছে,,,,,,,

মিহি অনড়গল বক বক করে যাচ্ছে আর নীলিমা সামনের দিকে তাকিয়ে আরিয়ানের কথা ভাবছে।
হঠাৎ ই একটা ছেলে নীলিমার দোপাট্টা ধরে টান মারলো।
নীলিমা সামনে তাকিয়ে বলল
– হোয়াট ননসেন্স ,,,,,

ছেলেটা দাঁত কেলিয়ে হেসে বলল
– হুয়াই বেবি ?

নীলিমার ইচ্ছে হচ্ছে ছেলেটাকে দুটো ঠাস ঠাস চড় বসিয়ে দিতে।
নীলিমা ব্যগ্র হয়ে বলল
– দোপাট্টা ব্যাক দিন ?

ছেলেটা বিশ্রী হাসি দিলো।
মিহি রেগে গিয়ে বলল
– ঐ তুই ফেরত দিবি কিনা বল ?

ছেলেটা মিহি কে উপর থেকে নিচ অব্দি স্ক্যান করলো।
বাজে চাহনি নিক্ষেপ করে আছে।
নীলিমার মেজাজ চরে গেল,,,,, ছেলেটাকে ঠাস করে বেশ কষিয়ে ঠাপ্পর বসিয়ে দিলো।
আশে পাশের সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
প্লাবিক প্লেস এ এমন আচারন,, কি করে টলারেট হচ্ছে নীলিমা ভেবে পায় না।

ছেলেটা তেড়ে এসে নীলিমার হাত ধরে বলল
– ঠাপ্পর মারবে বেবি,,,, ইউ নো হু আই এম ?

নীলিমা হাত ছাড়ানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা করতে লাগলো।
নীলিমা রাগি চোখে তাকিয়ে বলল
– তোকে কি করতে পারি তার ধারনা ও নেই।
হাত টা ছাড়,,,,,,

ছেলেটা হাত ছাড়ার বদলে নীলিমার কাঁধের দিকে হাত বাড়ালো।
ওমনি এক জোড়া শক্ত হাত গিয়ে পড়লো ছেলেটার গালে।
ছেলেটা ছিটকে সড়ে যেতেই নীলিমা পেছন ঘুরে তাকালো।
আরিয়ান কে দেখে মৃদু হাসলো।

ছেলেটা তেড়ে এসে বলল
– ঐ তুই জানিস কে আমি ,,,,, ভিকি।
রোহিত চৌধুরীর ছেলে,,,,,

আরিয়ান তাৎছিল্যর হাসি দিয়ে বলল
– তোর বাপ ও তোকে ঠাপ্পর বসিয়ে দিবে।
যখন জানবেন তার গুনধর ছেলে এই ধরনের অসভ্যতামু করেছে।

ভিকি কাউ কে ফোন লাগাতে যেতেই আরিয়ান ফোন টা ছু মেরে নিয়ে নিলো।
নাম্বার ডায়াল করে ফোন লাগাতেই ভিকি বলল
– এই তুই কাকে ফোন দিচ্ছিস।

আরিয়ান ঠোঁটের উপর আঙ্গুল দিয়ে বলল
– চুপপপপ

ফোন রিসিপ হতেই আরিয়ান বলল
– হ্যাঁ আংঙ্কেল আরিয়ান বলছি।

-,,,,,,,,,,,

– এক্সচেলি আংঙ্কের আপনার ছেলে ভিকি শপিং মলে এসে একটা মেয়ের সাথে অসভ্যতামী করছে।
একটু পর বোধহয় আপনার কাছে নালিশ ও চলে আসবে।
তাই ভাবলাম আগেই সাবধান করে দেই,,,

– ,,,,,,,,

– জিহহহহহ ,,,, বুঝিয়ে দিয়েছি।
একটু দেখবেন ,,,, বখে গেছে পুরো ।
রাখছি ,,,,,,,

এই টুকু বলেই আরিয়ান ফোন কেঁটে দিলো।
ভিকি স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে,,,,,, নেতার ছেলে দেখে কারো সাহস হয় না তাকে কিছু বলার।

আরিয়ান নীলিমার দিকে এক পলক তাকিয়ে চলে গেল।
নীলিমা স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছে,,,,,, নীলিমার ধ্যান ভাঙ্গলো দুটো মানুষ এর ডাকে।
নীলিমা পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখল দুটো গার্ড দাড়িয়ে আছে।
গার্ড দুটো হাঁফাতে হাঁফাতে বলল
– আর ইউ ওকে ম্যাম।

নীলিমা মাথা ঝাঁকালো,,,,,,,,,

বাসার মেইন ডোর দিয়ে যেতেই আজাদ চৌধুরী সোফা থেকে উঠে এসে ব্যস্ত কন্ঠে বললেন
– মামুনি ঐ রাসকেল টার কি অবস্থা করি তুমি দেখো।
ভাঙ্গিস আমার একজন স্টাফ ঐ শপিং মলে ছিলো।
না হলে তো আমি খবর ই পেতাম নাহহহহ।
গার্ড রা সঠিক সময়ে যেতে পেরেছিল তো ?

নীলিমা মাথা ঝাঁকিয়ে বাবা কে জড়িয়ে ধরলো।
আজাদ চৌধুরী হালকা হেসে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন

– যাও ফ্রেস হয়ে রেস্ট নাও। তোমার আম্মু কে এসব বলার দরকার নেই।
তাহলে দেখবে কান্না করে বাসা মাতিয়ে তুলেছে ।

নীলিমা মৃদু হেসে উপরে চলে আসলো।

ফ্রেস হয়ে এসে বেডে উপর,, ওপর হয়ে শুয়ে পড়লো ।
বার বার আরিয়ানের রাগী ফেস টা মনে পড়ছে।
কিন্তু আরিয়ান কে দেখে মনে হয় একদম শান্ত।
নীলিমা ভেবে পায় না আরিয়ান এমন ভাবে থাকে কেন ?
চোখ বন্ধ করতেই আরিয়ান কে দেখতে পায় নীলিমা।
কি স্নিগ্ধ সেই মানুষটা,,,,,, ইসসস যদি আরিয়ান তার হয়।
হঠাৎ ই নীলিমা লাফিয়ে উঠলো।
এসব কি ভাবছে সে ?
তবে কি প্রেমে পড়ে গেছে সে ?
আরিয়ানের কথা ভাবতেই নীলিমা লজ্জায় লাল নীল হয়ে যাচ্ছে।
নীলিমা দ্রুত বেড থেকে উঠে ফোন হাতে ব্যালকনিতে চলে আসলো।
বার কয়েক ফোন রিং হতেই রিসিপ হলো।
নীলিমা গলা পরিষ্কার করে বলল
– আমি নীলিমা।

– ওহহহহ বলুন।

– আসলে আজকের জন্য থ্যাংস ।

– ইটস ওকে। আমার দায়িত্ব ছিলো এটা ।

– আচ্ছা কাল দেখা করতে পারবেন ?

– সরি কাল অফিস আছে মিস।

নীলিমার মন খারাপ হয়ে গেল।
নীলিমা ছোট করে বলল
– ওহহহ

তারপর টুকটাক কথা বলে নীলিমা ফোন রেখে দিলো।

আরিয়ান ফোন পকেটে পুরে নিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলো।
ভালো লাগছে না তার,,,, বার বার নীলিমার স্থির দৃষ্টি চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
নীলিমা তার প্রেমে পড়ে গেছে,,,, কিন্তু এটা সম্ভব নয়।
আরিয়ান দীর্ঘশ্বাস টেনে ওয়াসরুমে চলে আসলো।
পানির ছিটে দিতে গিয়ে আয়নাতে নীলিমার ফেস ভেসে উঠলো।
ছুইয়ে দিতে গেলেই উধাও হয়ে গেল।
হেলোসিনেশন ছিলো এটা ,,,,, ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস টানলো আরিয়ান।
মেয়েটাকে কখনো কাঁদতে দেখে নি আরিয়ান,,,,,
সামনে হয়তো কাঁদতে দেখতে হবে ,,,,, এই সব ভাবতেই আরিয়ানের বুকের বাম পাশ টা মোচর দিয়ে উঠলো।
যে করেই হোক নীলিমা কে এই ভয়ঙ্কর আসক্তি তে পড়তে দেওয়া যাবে না।
অতি ঠান্ডা মেজাজের মানুষ রা যখন কষ্ট পায় , আসক্তি তে পড়ে যায় তখন তারা ভয়ঙ্কর হয়ে যায়।
নাহ নাহহহ নীলিমা কে এই আসক্তিতে আসতে দেওয়া যাবে না।কিছুতেই নাহহহহ
____________________

দুদিন ধরে আরিয়ান কে ভারসাটিতে পাওয়া যাচ্ছে না।
ফোন দিলে রিসিপ ও করে না ,,,, ফোন ধরলে ও বলে ব্যস্ত আছি।
নীলিমা বেশ চিন্তায় পড়ে গেল ,,,, আরিয়ান কি তাকে ইগনোর করছে ?
কিন্তু কেন ?
সে তো এমন কিছুই বলে নি যার জন্য ইগনোর করতে হবে।
ক্লাস শেষ করে ক্যাম্পাসে এসে চারদিকে চোখ বুলালো নীলিমা কিন্তু আরিয়ান নেই।
বুকের ভেতর কেমন ধুপ ধুপ করছে।
আদৌ কি সত্যি আরিয়ান তার প্রতি বিরক্ত হচ্ছে।
নীলিমার চোখের কোন বেয়ে দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।
নীলিমা চুপচাপ মাথা নিচু করে আছে,,,,,, কিচ্ছু ভালো লাগছে না তার।

মিহির কথা তে ফিরে তাকালো নীলিমা।
মৃদু হেসে বলল
– ভালো লাগছে না রে বাসায় ফিরে যাবো।
তোরা ক্যান্টিনে যাহহহ

নীলিমা দ্রুত গতিতে ক্যাম্পাস পেরিয়ে চলে আসলো।
ড্রাইভার কে ফোন দিয়ে বলল ভারসিটি তে আসতে।
বাসায় এসে কারো সাথে কোনো কথা না বলে রুমে চলে আসলো নীলিমা ।
দরজা লক করে বেডের উপর ব্যাগ রেখে মেঝে তে হাঁটু গেড়ে বসে মাথা গুঁজে দিলো।
চোখ থেকে নিরব অশ্রু কনা নেমে যাচ্ছে।
কেমন যেন অদ্ভুত কষ্ট হচ্ছে তার ,,,,,,

নীলিমা ফোন হাতে নিয়ে আরিয়ান কে কল লাগালো আরিয়ান রিসিপ করলো না।
নীলিমা ওয়াসরুমে ঢুকে মুখে পানির ছিটে দিয়ে নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক করে নিলো।
ব্যলকনিতে বসে এক দৃষ্টিতে বাইরের দিকে চেয়ে রইলো।
একটি মানুষ তার আসক্তি তে পরিনত হয়েছে।
এই আসক্তি অত্যন্ত ভয়াবহ ,,,, হলে ও নীলিমা এই আসক্তি কে জড়িয়ে বাঁচতে চায়।
প্রেমাসক্তি তেই বিলীন হতে চায় ,,,,,,,,,

মাঝে কেঁটে গেছে আর ও তিন টে যন্ত্রণাদায়ক দিন।
হাজার চেষ্টা করে ও নীলিমা নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না।
রাত প্রায় দশটা ,,,,, নীলিমা আরিয়ান কে ফোন লাগালো।
কিন্তু ফোন রিসিপ হলো না ,,,, আবার ফোন লাগাতেই রিসিপ হলো।
আরিয়ানের গলা ধরে আসছে ,,,, আরিয়ান গলা পরিষ্কার করে মৃদু হেসে বলল
– ব্যস্ত ছিলাম তাই ,,,,,

আরিয়ানের কন্ঠস্বর শুনে নীলিমার চোখ বেয়ে অঝোরে পানি গড়িয়ে পড়লো।
নীলিমা মুখ চেপে কান্না থামিয়ে বলল
– একবার দেখা করবেন প্লিজ?
খুব প্রয়োজন

আরিয়ানের কপালে কিঞ্চিত ভাঁজ পড়ে গেল।
নীলিমার এমন আবেদন কে কি করে উপেক্ষা করবে ও ?
আরিয়ান না বলতে গিয়ে বলতে পারলো না।
মুখ দিয়ে হ্যাঁ চলে আসলো ,,,,
নীলিমা ফোন কেঁটে দিয়ে ম্যাসেজ এ লোকেশন পাঠিয়ে দিলো।

আরিয়ান মাথায় হাত গুঁজে বসে রইলো।
হ্যাঁ তো বলে দিলো ,,,, কিন্তু নীলিমা কে বোঝাতে পারবে তো সে?

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

পরবর্তী পার্ট পেতে পেইজ এ ফলো দিয়ে রাখুন

https://www.facebook.com/Fatema-tuz-ফাতেমা-তুজ-110123584545542/

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here