অব্যক্ত_প্রিয়তমা #ফাতেমা_তুজ #part_5

0
167

#অব্যক্ত_প্রিয়তমা
#ফাতেমা_তুজ
#part_5 [ সারপ্রাইজ পার্ট ]

তীব্র গরমের তীর্যক রশ্মি যেন চূর্নবিচূর্ন করে দিবে ভেতর টা । তাঁর ই মাঝে হেঁটে চলেছে অনিন্দিতা। বা হাতে কপালে বেয়ে পরা ঘাম টুকু মুছে নিচ্ছে। মুহূর্তেই ঠান্ডা পানির গ্লাসের গায়ের জমে থাকা জলীয় বাষ্পের মতো আবার ঘাম নেমে যাচ্ছে।
তপ্ত রোদ্দুরের রাসলীলা চলছে বেশি কয়েকদিন । সারা দিনের কর্ম ব্যস্ততা কাটিয়ে সূর্যের মুখ লুকানোর কথা থাকলে ও সূর্য তাঁর বিপরীত দিকে চলছে । ভ্যাপসা গরমে প্রান যেন বেরিয়ে আসবে। গনগনে সূর্য তার তেজস্বী ভাব দেখাতে ব্যস্ত।
ঠিক তখনি চোখ যায় পাশে থাকা আইসক্রিম পার্লারে।
মরুভূমি তে যেন এক ফোঁটা পানির আভাস মিলেছে। হুড়মুড়িয়ে ঢুকে যায় অনিন্দিতা।
এসির শীতল বাতাসে প্রান যেন সতেজ হয়ে উঠে। একটু করে হাসে মেয়েটা। আইসক্রিম ফ্রিজের দিকে চকচকে চোখে তাকিয়ে থাকে। কোনটা নিবে ভেবে পায় না সে।এটা তাঁর সহজাত অভ্যাস।
_ মিস মে আই হেল্প ইউ ?

অনিন্দিতা ভ্রু কুঁচকে তাকায় । ডেনিম জ্যাকেট পরিহিত ফর্সা ছেলেটাকে বেশ ভালোই লাগছে। যে কারো নজর কারার শক্তি রয়েছে তার। কিন্তু সে রূপে অনিন্দিতার মন গলে না। ছেলেটা তাঁর দিকে মোহ দৃষ্টি দিয়ে আছে। অনিন্দিতা কোনো কথাই বললো না।
ছেলেটা যেন লজ্জা পায়। ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম তুলে নিয়ে পাশে থাকা টেবিলেই বসে পরে।
অনিন্দিতা দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাটিয়ে কুলফি তুলে নেয়।
প্যাকেট খুলে এক বাইট দিবে কি দিবে তখনি চোখ যায় অদূরে বসে থাকা নির্ভীক এর দিকে।
চকচকে চোখে তাকায়। তবে পাশে থাকা মেয়েটা কে লক্ষ্য করে না সে। নির্ভীক এদিকেই এগিয়ে আসে। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে ভুলে যায় লুকানোর কথা। কারো ডাকে নির্ভীক পিছন ফিরে তাকায়। তখনি অনিন্দিতার মাথা চরাও করে আসে। দ্রুত পিলারের পেছনে লুকিয়ে পরে। নির্ভীকের বয়সী এক সুন্দর ভামিনী ( নারী ) দেখে কপালে ভাঁজ পরে যায়।
তার সাথেই হেসে হেসে কথা বলছে নির্ভীক। হাতের আইসক্রিম টা পরে যায় রোজের সাথে নির্ভীকের হালকা আলিঙ্গন ( জড়িয়ে ধরা )দেখে।
চোখ ছলছল করে উঠে। তখনি ডাক পরে ডেনিম জ্যাকেট পরা সেই ছেলেটির।
_ হে মিস। আইসক্রিম খেতে এসে আইসক্রিম গলিয়ে যাচ্ছো কেন ?

হতচকিয়ে উঠে মেয়েটা। ছেলেটার ভ্রু যুগল কেমন কুঁচকে আছে। ফাঁকা ঢোক গিলে নেয়। কেন যেন গলা থেকে বুলি ফুটছে না।

_ হে কোথায় হাড়িয়ে গেছো।

_ জিইই !

_ আইসক্রিম তো গলে পানি হয়ে গেছে। ফেলো ওটা।

অনিন্দিতার সম্মতির প্রয়োজন মনে করে না। হাত থেকে নিয়ে আইসক্রিম টা ফেলে দেয়। বক্স আইসক্রিম তুলে দেয় হাতে। অনিন্দিতার সে দিকে ধ্যান নেই। তাঁর চোখ দুটো নির্ভীক আর রোজের দিকে ছলছলে নয়নে তাকিয়ে আছে।
_ এই যে মিস।

হতচকিয়ে উঠে অনিন্দিতা। ছেলেটা হাত বাড়িয়ে বলে
_ আম আসিম মাহতাব ।

মাহতাব নাম শুনেই শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠে। নির্ভীকের দিকে এক পলক তাকায়। নির্ভীক নেই। তবে কি চোখের ব্যামো হয়েছে তার। হঠাৎ আইসক্রিম টা হাত থেকে পরে যায়। ছিটকে পরে আসিম এর শরীরে। ছেলেটা বোধহয় সামান্য বিব্রত হয়। কিছু মানুষ তাঁদের দিকেই তাকিয়ে আছে। আসিম গলা উঠিয়ে ডাকে
_ ওয়েটার ।

_ ইয়েস স্যার ।

_ কিছু টিসু দিয়ে যান। আর এটা কাউকে দিয়ে ক্লিন করুন।

মাথা ঝাঁকিয়ে ওয়েটার চলে যায়। টিসু দিতেই মুছে নেয় শার্ট। এতোক্ষন পর বিষয় টা খেয়াল হয় অনিন্দিতার। চক্ষু লজ্জায় পরে যায়। ভদ্রতার খাতিরে টিসু নিয়ে আসিমের এর শার্ট এর হাতা টুকু মুছে দেয়। ছেলেটা লম্বা হাসে। তাঁতে যেন আরো লজ্জা পায় সে।
_ ইটস ওকে। হাইপার হয়ো না , আম টোটালি ওকে।

_ স্যরি।

_ ইটস অলরাইট। বাট কি ভাবছিলে তুমি ?

_ না মানে

অনিন্দিতার অস্বস্তি দেখে প্রসঙ্গ পাল্টায় আসিম। দুটো আইসক্রিম নিয়ে বিল মিটিয়ে বেরিয়ে আসে। নিজেকে সামলে নেয় অনিন্দিতা । ভদ্রতার খাতিরে আইসক্রিম টা নেয়।
যথাসম্ভব বাসায় যেতে হবে তাঁকে । তবে আসিম তাঁর কথার ঝুঁলি নিয়ে বসেছে। কোনো কথাই অনিন্দিতার কর্নপাত হয় না। আসিম বুঝতে পারে মেয়েটা তাঁর কথা শুনছে না। দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে অনিন্দিতার বাহু টেনে ধাক্কা দেয় ।
_ জিই আমার বাসায় যেতে হবে।

_ আচ্ছা যাও। বাই দ্যা ওয়ে ভারসিটি নাকি কলেজ ?

_ কোনো টাই না।

_ মানে ?

_ এন এস ইউ তে চান্স পাই নি। তাই এক বছর গ্যাপ দিয়েছি।

_ ওহ মাই গড। এই সামান্য কারনে এক বছর পিছিয়ে নিলে ?

অনিন্দিতা উত্তর দেয় না। নির্ভীক মোটে ও কোনো সামান্য বিষয় না। আসিম ঘড়িতে সময় দেখে। সূর্য তাঁর তেজস্বী ভাব আকাশের বুকে লুকিয়ে নিয়েছে। একটু পরেই সন্ধ্যা হবে। মেয়েটার যাওয়া প্রয়োজন। কথা বাড়ায় না আসিম। একটু হেসে বলে
_ তোমার সাথে পরিচয় হয়ে ভালো লেগেছে। বাই দ্যা ওয়ে আমরা কিন্তু স্যাম ব্যাচ ই ছিলাম।

অনিন্দিতা একটু হাসে। আসিম পকেটে হাত গুঁজে দিয়ে বলে
_ যাও।

অনিন্দিতা যেন চাঁদ হাতে পেয়েছে। লম্বা লম্বা পা ফেলে এগিয়ে যায় সামনের দিকে। আসিম ও মৃদু হেসে পা বাড়ায়।

*

চশমা টা খুঁজে চলেছে নির্ভীক। চশমা পরা টা সবার কাছে ফ্যাশন হলে ও তাঁর কাছে মানবিকতা। একজন লেকচারার হিসেবে চশমা পরা যেন বিজ্ঞ করে তুলে। তাঁর এই ভাবনার কোনো সঠিক অভিধান আছে নাকি জানা নেই।
চশমা খুঁজে না পেয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে ।
আজমাল করিডোর দিয়ে ছাঁদের দিকে চলছিলেন। ছেলেকে দেখতে পেয়ে হাঁক ছেড়ে ডাকে।
_ নির্ভীক।

_ জি আব্বু।

_ আজ এতো সকাল সকাল কোথায় যাচ্ছো তুমি ?

_ ভারসিটি তে।

_ সকাল সাত টা বাজে এখন!

_ দুদিন পর ফাস্ট ইয়ারের এডমিশন টেস্ট আছে। তাই সবাই কে একটু আর্লি যেতে হচ্ছে।

_ ওহহ আচ্ছা। অনি ওহ তো এবার এডমিশন টেস্ট দিবে।

নির্ভীক উত্তর দেয় না। অনিন্দিতার বিষয়ে যেন তাঁর কোনো আগ্রহ ই নেই। আজমল একটু থামে। নির্ভীক উল্টো পথে হাঁটা লাগায়। আজমাল পিছু ডাকে।যাতে নির্ভীক বিরক্ত হয়। পিছু ডাক তাঁর পছন্দ নয়। তবু ও ফিরে আসে বিনয়ের সাথে বলে
_ কিছু বলবে আব্বু ?

_ ভাবছিলাম অনির এডমিশন টেস্ট টা দিতে তুমি ও সাথে গেলে মন্দ হয় না।

_ আব্বু আমি !

_ সমস্যা কোথায় ? তোমার ই তো ভারসিটি। জানো ই তো এডমিশন টেস্টে ভারসিটির ভেতরে ফ্যামিলি নট এলাউ।

_ এতে আমি কি করে সাহায্য করবো আব্বু? পরীক্ষা তো আমি দিবো না। নিজে নিজেই দিতে হবে।

_ সেটা বলছি না। এতো মানুষের মাঝে মেয়েটা অস্বস্তি বোধ করবে। তুমি ওকে সিট খুঁজে দিতে সাহায্য করবে। আর এক্সাম শুরু হওয়া অব্দি সাহস দিবে।

_ আব্বু!

_ সমস্যা কোথায় এতে ? সাহস দিয়ে সাহায্য করতে বলেছি অনৈতিক কোনো কাজ নয় এটা।

নির্ভীক কথা বাড়ায় না। বিরক্তি ঠেলে সম্মতি জানায়। নিচে আসতেই চারুলতা খাবার হাতে ছুটে আসেন। নির্ভীক প্রথমে নাকোচ করে দেয়। যেই ভাবে নাস্তার টেবিলে বসবে ওমনি চোখ যায় ডাইনিং এ থাকা অনিন্দিতার দিকে।
এবার সে পন করে পৃথিবী উল্টে গেলে ও সে নাস্তা খাবে না। অনিন্দিতা তাঁর ই দিকে তাকিয়ে আছে। এদিকে চারুলতা নাছোড়বান্দা। অনিন্দিতা বুঝতে পারে নির্ভীক তাঁর জন্য ই এমন করছে। আলগোছে চলে যায় সে। যাওয়ার পূর্বে এক পলক তাকায়। চারুলতা ছুটে আসে অনিন্দিতার দিকে। অনিন্দিতা মাথা ব্যথার অজুহাত দেয়। নিহাল ভ্রু কুঁচকে বলে উঠে
_ এখনি তো হেসে খেলে কথা বলছিলে অনি। মাথা ব্যথা কখন হলো ?

_ মাথা ব্যথা কি সময় নিয়ে আসে নিহাল ভাই ?

_ সেটা ও ঠিক। আচ্ছা যাও তাহলে রেস্ট নাও।

চারুলতা অনিন্দিতার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। অনিন্দিতা একটু হাসে। চারুলতা কে জড়িয়ে ধরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। নিহাল দীর্ঘশ্বাস ফেলে নির্ভীকের উদ্দেশ্যে বলে
_ কোথাও যাচ্ছিস নির্ভীক ?

_ ভারসিটি তে কাজ পরেছে। তুই এতো সকালে নাস্তা করছিস যে ?

_ অফিসের কাজে সিলেট যেতে হচ্ছে।

নির্ভীক ভ্রু কুঁচকে তাকায়। ভেবেছিলো পারমিশন গ্রেন্টেট করে নিহালের সাথে অনিন্দিতা কে ধরিয়ে দিবে। কিন্তু এখন তো সেটা ও সম্ভব নয়।
তবু বলে
_ খুব বেশি দরকারি ?

_ হ্যাঁ ।

_ ভারসিটি থেকে তোকে এক্সাম গার্ড হিসেবে লেটার দিয়েছিলো যে।

নিহাল পর পর দীর্ঘশ্বাস ফেলে। পরোটা ছিঁড়ে মুখে পুরে নেয়।
_ ক্যানসেল করে দিয়েছি। অফিসের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। জানিস ই তো নতুন বিজনেস শুরু করেছি।

নির্ভীক কিছু বলে না। নিহালের নতুন বিজনেস শুরু করাতে কেউ ই খুশি নয়। আজমাল তো বেশ চটে গেছেন ছেলের উপর। বয়স হয়েছে , একা হাতে বিজনেস সামলান কি করে ?
দুই ছেলের এক ছেলে ওহ তাঁর বিজনেস এর প্রতি আগ্রহী নয়।

*

অতি মনোযোগী হওয়া মোটে ও ভালো নয়। চারপাশে কি ঘটে যায় তাঁর কোনো খেয়াল ই থাকে না। যেমন টা একটু আগে ঘটে গেল। তুমুল ঝনঝন শব্দ তুলে কাঁচের গ্লাস গুলো ভেঙে গেল। যার সম্পূর্ন দায় ভার এসেছে হীরের উপর। বেচারি ফোনে মনোযোগী ছিলো। চেয়ার টেনে বসতে গিয়ে টেবিলে থাকা গ্লাসের সেট ভেঙে ফেলেছে।
শাহানা প্রচন্ড রেগে গেলেন। হাতের কাছে কিছু পেলে আজকে আর রক্ষা থাকতো না। হীর পালিয়ে আসলো অনিন্দিতার কাছে। ভেবে ছিলো গ্লাস ভাঙার অপরাধে অনিন্দিতা তাকে দুটো কথা শোনাবে। অথচ তাঁর কিছুই ঘটলো না। ভেঙে যাওয়া গ্লাসের শব্দ মেয়েটার কানে পৌছায় নি। সে ক্যলকুলেটার দিয়ে হিসেব নিকেশ করছে। হীর লম্বা করে বেডে শুইয়ে পরলো। প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে কাঠ গলায় অনিন্দিতা বলল
_ কোনো কাজ নেই ? পড়ার সময় ভেজাল করছিস কেন ?

_ আজব। আমি কি করেছি ? তোমার ইচ্ছে হয়েছে তুমি পড়ছো । আমার ইচ্ছে হয়েছে আমি শুয়েছি।

অনিন্দিতা কথা বাড়ালো না। গভীর মনোযোগে অঙ্ক কষতে লাগলো। তবে ব্যাঘাত ঘটলো কলিং বেলের শব্দে। তাঁর উপর শাহানা চেচাচ্ছেন। খাতায় মনোযোগ রেখেই অনিন্দিতা বলল
_ হীর তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিয়ে আয়।

_ আমি যাবো না।

_ কি ধরনের কথা এটা ? আমি পড়ছি দেখছিস না ?

_ আমি শুয়ে আছি দেখতে পাও নি ? অতি পড়া শোনা করে চোখ খেয়ে ফেললে নাকি ?

রাগে উঠে গেল মেয়েটা। হাতের স্কেল টা ধুম করে টেবিলে রাখলো। হীর ভয় পেয়ে গেলে ও নড়লো না। শাহানার কর্কশ কন্ঠে মাথা ধরে গেছে। মাথায় মালিশ করতে করতে দরজার কাছে এগিয়ে গেল। দরজা খুলতেই মুখ হা হয়ে গেল। অন্য দিকে ঘুরে নির্ভীক ফোন ঘাটছে। ছেলেটার পেছনের অবয়ব অনিন্দিতার বুকে এসে আটকে গেল। মানুষ টার প্রতি এতো আকর্ষন কেন ?
এ কেমন মরন ব্যাধি। মিনিট খানেক পর নির্ভীক তাকালো । অনিন্দিতা কে আশা করে নি সে। বিষাদে ভরে উঠলো তাঁর মুখ। অনিন্দিতার সে দিকে খেয়াল নেই। মেয়েটা নির্ভীকের দিকে পলকহীন তাকিয়ে। দরজায় এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে যে কেউ পাশ কাটাতে ও পারবে না। উপায় না পেয়ে বলল
_ সাইড হয়ে দাঁড়ান অনিন্দিতা।

নির্ভীকের কন্ঠে চমকে যায় মেয়েটা। অপ্রস্তুত হেসে সাইড হয়ে দাঁড়ায়। নির্ভীক স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে এগোয়।

শাহানার সাথে কোনো এক বিষয়ে আলাপ করছে নির্ভীক। শাহানা প্রচন্ড খুশি। আরশাদ বাসায় নেই। বাসা থেকে কয়েক কিলোমিটারের পথ এন এস ইউ। জ্যামের কারনে ঘন্টা খানেক সময় লাগে। কিছু দিন যাবত ঠান্ডা লেগে যা তা কান্ড। নিশ্বাস নিতে ও অসুবিধা হয়। চারুলতা তাকে বলেছিলো বিষয় টা । তবু ও নির্ভীক কে পাঠিয়েছে আবার।
এক গাল হাসলেন শাহানা। নির্ভীকের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন
_ বাঁচালে আমায়। জানোই তো আমার শ্বাস কষ্ট রয়েছে। তাঁর উপর কয়েক দিন ধরে কড়া ঠান্ডা লেগেছে।

_ সমস্যা নেই আন্টি। আমি ই অনিন্দিতা কে নিয়ে যাবো। আপনি সাথে থাকলে ভালো হতো। তবে সমস্যা নেই।

কথা টা খুব সুন্দর করে বললে ও ভেতরে তিক্ত হয়ে আছে। কোনো ভাবেই সে অনিন্দিতা কে সাথে নিতে চাচ্ছিলো না। তাই ভেবেছিলো শাহানা কে কোনো কিছু বুঝিয়ে ম্যানেজ করবে। তবে পুরো টা ঘেটে ঘ হয়ে গেল। এখন তো শাহানা ও যেতে চাচ্ছে না।
কথায় আছে হাতি বিপদে পরলে পিঁপড়ে তে ওহ লাথি মারে। নির্ভীকের অবস্থা তদ্রূপ। প্রচন্ড তিক্ত মেজাজে বেরিয়ে আসলো। সমস্ত কথাই আড়াল থেকে শুনেছে অনিন্দিতা। মন যেন অতলে হারিয়েছে। সুখ যেন হাতের কাছে। কতো টা সময় নির্ভীককে দেখতে পাবে ওহ ?
ইসস জ্যাম টা যেন খুব বেশি ই হয়। সময় যত দীর্ঘ হবে। নির্ভীক কে ওহ ততো বেশি সময় দেখা যাবে।

[ গল্পের পল্ট আলোচনা : সবাই অনেক কমেন্ট করেছেন আমি দেখেছি ওহ। ফেসবুকে এক ধাঁচের গল্প ই তো পড়েন সবাই। আমি নিজে ও সেই একি রকম গল্প লেখি।এবার না হয় একটু অন্য ধাঁচের গল্প পড়লেন। আর কিছু মানুষ নির্ভীক কে সহ্য করতে পারছে না আবার কিছু মানুষ অনিন্দিতা কে সহ্য করতে পারছে না। এর মাঝে ভিন্ন ভিন্ন কারন আছে। প্রথমেই বলে রাখছি এটা ইসলামিক গল্প নয় তাই সে সম্পর্কিত কিছু ভাববেন না। আর একটা প্রশ্ন নায়ক আর নায়িকা কে ? এন্ডিং নিয়ে চিন্তা করবেন না। সুখ দুঃখ সব কিছুই দিবো ইনশাআল্লাহ । একটু ভিন্ন ভাবে সাজাতে চাচ্ছি আমি। যদি বিশ্বাস রাখেন তো শেষ অব্দি পড়তে পারেন। তবু ও অনেকের কাছে প্লট ভালো নাই লাগতে পারে। তাঁদের বলবো গল্প পড়বেন কি না এটা আপনার ইচ্ছা তবে বাজে মন্তব্য করবেন না প্লিজ। আমি আবারো বলছি অনিন্দিতার তথাকথিত ভালোবাসা নামক এই ছ্যছরামি শেষ অব্দি চলবে। আবার এমন ও তো হতে পারে নায়ক কিংবা নায়িকা দুটো চরিত্র এখনো গল্পে আসেই নি। ধৈর্য ধরুন , উত্তেজনা নিয়ে গল্প পড়ার মজাই আলাদা। ]

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন । গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। সংগত কারনে জনে জনে রিপ্লাই দেওয়া সম্ভব নয়। তাই প্লট আলোচনা তে সব রিপ্লাই পাবেন।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here