অব্যক্ত_প্রিয়তমা #ফাতেমা_তুজ #part_9

0
155

#অব্যক্ত_প্রিয়তমা
#ফাতেমা_তুজ
#part_9

অনিন্দিতার ইচ্ছে পূরন হয় নি। সব ইচ্ছে যে সবার জন্য নয়। ঘরে ঘাপটি মেরে বসে আছে নির্ভীক। অনিন্দিতা কে অসহ্য লাগছে তাঁর। একটু সহজ হতে চাইলে ও মেয়েটার জন্য সহজ হতে পারে না। সারাক্ষণ চোখে মুখে তৃষ্ণা নিয়ে থাকে। যা দেখে বিতৃষ্ণায় জর্জরিত হয় নির্ভীকের মন। চারটে বছর ধরে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। যদি না এন এস ইউর সাথে তিন বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত না হতো তাহলে এখনি কানাডা চলে যেতো। এ দিকে রোজ নেই মানে স্বস্তি টুকু ও নেই। প্রচন্ড রকমের অসহ্য লাগছে। রাত প্রায় আট টা। এখনো চারুলতা এসে পৌছায় নি। নির্ভীকের হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। কেউ কিছু বলার সুযোগ পাবে না তবে যদি কেউ কিছু বলে ফেলে। যদি শব্দ টা বড্ড যন্ত্রণার।
এই একটা কথা ভেবেই নির্ভীক গুটিয়ে যাচ্ছে। বাইরে বের হলেই অনিন্দিতা চলে আসে। কিছুতেই বুঝে না তাঁকে সহ্য করতে পারে না নির্ভীক। ভবিষ্যত বিপর্যয় গ্রস্ত , না জানি কোন ঝড় তুলে মেয়েটা।
ভাবনার মাঝে ঘুমিয়ে পরে নির্ভীক। ঠিক তখনি ঘরে প্রবেশ করে অনিন্দিতা। বাইরেই ঘাপটি মেরে ছিলো। বেশ অনেকক্ষণ কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে উঁকি দেয়। তখনি পরিলক্ষিত হয় গভীর ঘুমে টলে আছে নির্ভীক। এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে মেয়েটার মুখে। পা টিপে রুমে প্রবেশ করে। নির্ভীকের পায়ের কাছে বসে পরে। পায়ের আঙুল গুলো হালকা হাতে ছুঁইয়ে দেয়। এই পায়ে ও ঠায় নেই মেয়েটার। ইসস যদি কেউ বলতো সারা জীবন নির্ভীকের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিতে পারবে কি না।
অনিন্দিতা নির্দ্বিধায় সম্মতি জানাতো। হঠাৎ কলিং বেশ বেজে উঠে। নির্ভীকের ঘুম খুব ই পাতলা। অনিন্দিতা চলে যাবে তাঁর পূর্বেই উঠে বসে। প্রচন্ড অবাক হয়ে বলে
_ আবার কেন এসেছেন ? আপনি আমাকে বদনাম করিয়ে ছাড়বেন।

_ আমি সে রকম কিছুর জন্য আসি নি।

_ আমাকে দেখতে এসেছেন তাই তো ?

ভদ্র মেয়ের মতো মাথা কাত করে অনিন্দিতা। নির্ভীক ভাষা হারিয়ে ফেলে। ঐ দিকে কলিং বেল বেজেই চলেছে। রাগে গজগজ করে উঠে। অনিন্দিতার দিকে তেঁতে আসে। মধ্য আঙুল উঁচিয়ে বলে
_ ফারদার এমন কিছু হলে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যাবে। আপনাকে ছাড় দিয়ে অন্যায় করেছি আমি।

_ আমি তো আপনাকে ডিস্টার্ব করি না নির্ভীক ভাইয়া। একটু কাছাকাছি থাকতে চাই শুধু।

যাওয়ার মাঝে থেমে যায় নির্ভীক। পেছন ঘুরে বলে
_ এটাই আমার সমস্যা। আমার কাছাকাছি থাকার অধিকার নেই আপনার। আপনি বয়সে আমার অনেক ছোট তবু ও কড়া কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি , মনে রাখবেন নির্ভীক মাহতাব নারী শরীরের নেশায় পরে না।

কথা টা বলেই চলে যায় নির্ভীক। মেঝে তে বসে পরে অনিন্দিতা। সন্ধ্যার সেই কথার জন্য এতো বড় কথা টা বলে গেলো নির্ভীক।

বৃষ্টি তে ভিজে একাকার চারুলতা। বাসার গাড়ি গুলো ছেলে আর স্বামী ই নিয়েই গেছে। নির্ভীকের গাড়ি ওয়াসের জন্য দেওয়া হয়েছে। তাই লোকাল গাড়িতেই গিয়েছিলেন। গলির মোর থেকে হেঁটে এসেছেন।

অনিন্দিতা টাওয়াল নিয়ে আসে। চারুলতা মাথা মুছে বলেন
_ এতো লেট কেন হলো দরজা খুলতে?

_ আমি ঘুমিয়ে ছিলাম আম্মু। আর অনিন্দিতার রুমে কলিং এর শব্দ পৌছায় না।

_ আরে এভাবে কেন বলছিস? আমি অন্য কিছু মিন তো করি নি । শুধু বলেছি , অনি মা যাহ তো আমার ঘর থেকে শাড়ি নিয়ে আয়। ভিজে শরীরে ঘরে যাবো না।।

অনিন্দিতা চলে যায়। চারুলতা নির্ভীকের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন
_ আমার সোনা ছেলে। তোর প্রতি আমার পূর্ন বিশ্বাস আছে। এমন কিছু করবি না যাতে আমরা অসম্মান হই।

_ আর এমন কাজ করবে না কখনো। পরিস্থিতি ঠিক নেই , কিছু না ঘটলে ও মানুষ ঘটিয়ে ছাড়বে।

.

সকাল সকাল বেরিয়েছে নির্ভীক। ঘুম থেকে উঠে অনিন্দিতা তাই বুঝতে পারলো। সে বুঝে গেছে নির্ভীক তাঁর থেকে পালিয়ে বেঁচেছে। চারুলতা কাল আসার সময় নীল রঙের শাড়ি নিয়ে এসেছেন । আজ সেটাই পরবে অনিন্দিতা। পার্পল শাড়ি টা থাকলে পার্পল শাড়ি টাই পরতো। তবে সে শাড়ি তাঁর গায়ে উঠে নি। ভালোই হয়েছে নির্ভীকের সাথে বসে যখন যাওয়া হবে না পার্পল শাড়ি পরে কি লাভ ? অনিন্দিতা সাজ গোঁজ পছন্দ করে। তবে বেশ অনেক দিন ধরে সাজে না। আজ সাজবে, নির্ভীকের মনের মতোই সাজবে। অবশ্য অনিন্দিতা হলো বিষাক্ত গ্যাসের মতো যা সহ্য করতে পারে না নির্ভীক। শাড়ি পরে চুল গুলো ছেড়ে দিলো, হালকা মেকআপে মিষ্টি দেখতেই লাগছে। রুম থেকে বের হতেই আজমালের সাথে দেখা। অনিন্দিতা শুধাল
_ আজ অফিসে যাবেন না আঙ্কেল ?

_ শরীর টা ভালো নেই। তোকে পৌছে দেওয়ার জন্য ই যাবো না ভেবেছিলাম। এখন দেখি শরীর টাই মেজ মেজ করছে।

_ সমস্যা নেই আঙ্কেল। আমি একাই যেতে পারবে।

_ ওকি কথা ? আজ প্রথম দিন একা কেন যাবি ? নিহাল ও তো যাচ্ছে ওর সাথেই যাবি।

জুসের গ্লাস নিয়ে করিডোর দিয়ে আসতে আসতে কথা টা বললেন চারুলতা। আজমাল ওহ সম্মতি জানালো। অনিন্দিতা কিছু বলতে চেয়ে ও বললো না। চারুলতা গ্লাস টা এগিয়ে বললেন
_ নাস্তা তো করে যাবি না। বাসা থেকে খালি পেটে বের হতে নেই। জুস টা খেয়ে যাহহ।

_ আচ্ছা। নির্ভীক ভাইয়া এতো আগেই চলে গেলেন যে।

_ বলিস না আর পুরো বজ্জাত ছেলে। দেখ বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মজেছে। আজ তো ওর সব বন্ধুরাই আসবে ভারসিটিতে।

সবার দোয়া নিয়ে বের হয় অনিন্দিতা। নিহাল গাড়ি তে অপেক্ষা করছে। অনিন্দিতার দিকে তাকিয়ে স্বচ্ছ হাসলো। একটু প্রশংসার স্বরে বলল
_ দেখো আবার কাউ কে মন দিয়ে এসো না।

_ মন কেউ নিবে না নেহাল ভাইয়া।

_ সেকি কথা এতো সুন্দর মেয়েটার মন কেউ দিবে না।

_ হ্যাঁ। যাই হোক , ফেরার পথে আমি একাই ফিরবো।

ভ্রু কুটি করে তাকায় নিহাল। কথা টা যেন তাঁর পছন্দ হয় নি। অনিন্দিতার দিকে না তাকিয়ে স্টিয়ারিং এ হাত দেয়। তারপর বলে
_ বয়ফ্রেন্ড থাকলে তাঁর সাথেই আসতে পারো তবে সমস্যা হচ্ছে আম্মু বার বার বলে দিয়েছে তোমাকে নিয়েই ফিরতে।

_ একটু ম্যানেজ করে দিবেন প্লিজ । আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবো।

_ আচ্ছা সমস্যা নেই। তুমি আমাকে কল দিয়ে জানিয়ে দিও। মোরে এসে এক সাথে আসবো।

কৃতঙ্গতা প্রকাশ করে মেয়েটা। সিটে মাথা এলিয়ে দেয়। শরীর টা মেজ মেজ করছে। সারা বছর ই হালকা পাতলা অসুস্থ থাকে মেয়েটা। রোজ কান্নার ফলে চোখের নিচে দাগ থাকে। কেউ একটু খুঁটিয়ে দেখলেই ধরা খেয়ে যায়। কারন শরীরে থাকে অজ্রস আঘাতের রেখা।

গাড়ি পার্কিং এ রেখে চলে যায় নিহাল। অনিন্দিতা দম ফেলে হাঁটা লাগায়। শরীর দূর্বল লাগাতে এনার্জি ড্রিঙ্কস কিনে। ক্যাপ খুলে খাওয়ার আগেই মাথা ঘুরে যায়। তবে কেউ একজন আগলে ধরে। ব্যগ্র কন্ঠে বলে
_ ঠিক আছো অনি ? হঠাৎ পরে যাচ্ছিলে কেন ?

_ আসলে মাথা ঘুরে গিয়েছিলো।

_ নট ফেয়ার। নির্ঘাত নাস্তা করো নি। আসো আমার সাথে।

_ আমি ঠিক আছি আসিম। চলো ভেতরে যাওয়া যাক।

_ নো কোনো কিছু ঠিক নেই। তুমি এখনি নাস্তা করবে আমার সাথে। আর লিসেন কিউট গার্ল , ফাংশন এখনো শুরু হয় নি।

প্রচন্ড প্যারা খেয়ে যেতেই হলো অনিন্দিতা কে। আসিম বক বক করে যাচ্ছে। একটা রেসট্রন এ এসে দু কাপ কফি আর স্যান্ডুইচ অর্ডার করলো।
আসিম নাস্তা করে এসেছে তাই শুধু কফি ই খেলো। অনিন্দিতা সংকোচ ছাড়াই খাচ্ছে। আসিম কফি কাপে চুমুক দিয়ে বলল
_ বাই দ্যা ওয়ে আজ একা এলে যে ? নির্ভীক স্যার আসে নি তোমার সাথে ?

_ রোজ কি ওনার সাথে আসবো। আর ওনি তো আজ অনেক আগেই এসেছেন।

_ আচ্ছা। নির্ভীক স্যার কিন্তু অনেক কঠোর।

অনিন্দিতা হাসলো। সে এটা ভালো করেই জানে। আসিম কিছুক্ষণ নিরব থেকে অনিন্দিতার উদ্দেশ্য শুধাল
_ তুমি কি কোনো কারনে আপসেট ?

_ নাহ। আমি ঠিক আছি , তবে ভারসিটির কিছু স্টুডেন্ট একটু অন্য রকম আচারন করে।

_ আচ্ছা আসো আমার সাথে আমি প্রবলেম সলভ করে দিবো।

ভারসিটি তে প্রবেশ করতেই গোলাপ দিয়ে বরন করা হলো। আসিম অবাক করা এক কান্ড করলো।ফুলের গুচ্ছ থেকে পাঁচ টা ফুল নিয়ে অনিন্দিতার হাতে দিয়ে দিলো। অনিন্দিতা বলল
_ এতো গুলো নিলে কেন ?

_ তুমি স্পেশাল। তাই তোমার কাছে বেশি গোলাপ থাকবে।

খলবিলিয়ে হাসে অনিন্দিতা। আসিম একটু গায়ে পরা তবে খুব ভালো। অনিন্দিতা আসিমের সাথেই হাঁটতে লাগলো। ফুল হাতে নির্ভীকের কথাই ভাবছে সে।

এন এস ইউর বিশাল ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে আসিম চিৎকার করে ডাকলো।
_ এটেনশন গাইস। লুক দ্যা বিউটিফুল গার্ল সী ইজ মাই পার্সোনাল ফ্রেন্ড। আই হোপ ওকে কেউ বিভ্রান্ত করবে না।
যদি এমন কিছু হয় তো জানোই তো কি হবে।

সবাই অনিন্দিতার দিকে তাকালো। আসিমের পড়াশোনা আর সৌন্দর্য দুটোর ই নাম ডাক আছে সাথে বাবার পাওয়ার। ছেলেটার এমন কান্ডে হতবাক হয় অনিন্দিতা। আসিম অনিন্দিতার দিকে তাকাতে ই অনিন্দিতা চোখ পাকায় যার অর্থ তুমি পুরো পাগল।
.

এসে থেকেই চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খুঁজে চলেছে এক মানব কে। কিন্তু সে মানবের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বুক টা কেমন করছে। শূন্যতা যেন ওকে আঁকড়ে ধরেছে।

হন্তদন্ত হয়ে খুঁজে চলেছে নির্ভীক কে। অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে বেশ অনেকক্ষণ। বেশির ভাগ সময় আসিম তাঁকে সাথে রেখেছে। তবে আসিমের বন্ধু মহলের সাথে অনিন্দিতা একা থাকতে তো পারে না। তাই সে নিজ থেকেই বলেছে আমি আশে পাশে ঘুরে আসি। আসিম বারন করে নি। সে নিজে ও বোধহয় স্পেস খুঁজছিল।

অনিন্দিতার সাথে দেখা হয় মেহেরিমার। হাত উঁচিয়ে ডাকে অনিন্দিতা কে। একটু অবাক হয় সে। মেহেরিমার কাছে গিয়ে বলে
_ Good afternoon miss.

_Good afternoon. এভাবে ছুটছো কেন অনিন্দিতা। শাড়ি পরে আছো , পা পিছলে যাবে তো।

_ এক্সচেলি মিস

_ ওকে। এক্সপ্লেইন করার প্রয়োজন নেই। তোমাকে খুব মিষ্টি লাগছে। বাই দ্যা ওয়ে তুমি বোধহয় বিব্রত হয়েছো।

_ নো মিস আম

অনিন্দিতা কে বলতে দেয় না মেহেরিমা। মৃদু হেসে অনিন্দিতার শাড়ির আঁচল ঠিক করে দেয়। ভারী অবাক হয় মেয়েটা। মেহেরিমা বলে
_ আমি আসিমের বড় বোন ।

_ হ্যাঁ।

_ ইয়েস। ওহ আমাকে তোমার কথা বলেছে আরো পাঁচ ছয় মাস আগেই।

_ ওহহ।

_ তোমাকে বলতেই হয় শুধু মাত্র এন এস ইউ তে এডমিশনের জন্য এক বছর গ্যাপ দেওয়া সত্যি ই দুষ্কর কাজ। আম ড্যাম সিউর তুমি তোমার লক্ষ্য জয় করবেই অতি শীঘ্রই ।

_ শুকরিয়া মিস।

_ ওকে ডিয়ার আমি যাচ্ছি, আসিম এর সাথে একদিন এসো বাসায়।

হাত নাড়িয়ে চলে গেলো মেহেরিমা। অনিন্দিতার চোখ বিচলিত হলো। চাতক পাখির মতো খুঁজে চলেছে প্রিয় ব্যক্তি টি কে। চোখ যায় ক্যান্টিনের দিকে। বুক টা ধক করে উঠে। নির্ভীকের সাথে রোজ অনেক ক্লোজ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

অনিন্দিতা আর নিতে পারে না। দৌড়ে চলে যায় বাইরে। অসতর্কতার কারনে শাড়ি পিছলে পরে যায়। দুটো মেয়ে দেখে ও না দেখার ভান করে। অনিন্দিতা একা উঠার চেষ্টা করে। পায়ের হাঁটু তে বোধহয় ছিলে গেছে। ব্যথায় টনক নেড়ে যাচ্ছে। হঠাৎ এক টা হাত তাঁর সামনে আসে, হাতে হাত রেখে উঠে দাঁড়ায়। নিহালের দৃষ্টি বিচলিত। সে শুধায়
_ এভাবে পরে গেলে কি করে ? এর জন্য ই শাড়ি পরা একদম ই পছন্দ নয়। দেখি কতো টা ব্যথা পেয়েছো। আসো হসপিটাল থেকে ওয়াস করে যাবে।

_ আমি ঠিক আছি নিহাল ভাইয়া। চলুন বাসায় যাবো।

_ একদম নয় আগে হসপিটালে যাবে দ্যান বাসায়। আচ্ছা একটু বসো আমি নির্ভীক কে নিয়ে আসি। ওহ ডিপার্টমেন্ট থেকে ট্রিটমেন্ট করার ব্যবস্থা করে দিবে।

[ আইডি তে কিছু সমস্যার কারনে পেজ সহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করতে পারছি না। আগে ও বলেছি গল্প টা অনিয়মিত হবে । আর এখন তো ফেসবুক স্বয়ং আমাকে আটকে দিয়েছে। গল্প সংক্রান্ত সকল আপডেট দেওয়া হবে গ্রুপে । গ্রুপ Fatema’s story discussion ]

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here