দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্ব_৯৪

0
238

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্ব_৯৪

.
🍂
হৈ হুল্লোড় আর সিম্পল এর মধ্যেই বিয়েটা সম্পূর্ণ হয় আরিফ ও ফিহার,, খান বাড়ির সবাই ফিহাকে বিদায় করেছে আরও চার ঘন্টা আগে, এখন যে যার যার মতো করে রুমের ভিতর রেস্ট নিচ্ছে আর মায়াও রিদের বিয়ের প্লেনিং করছে, ফিহার বিয়েটা সিম্পল হলেও রিদের বিয়েতে কোনো রকম আপোষ বোধ করছে না কেউ, রিদের বিয়েটা মূলত হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের যুরিচ শহরে এ, রিদ ও মায়ার বিয়েটা মাত্র আর এক সাপ্তাহ থাকায় রিদের আদেশ অনুযায়ী সবাই দুই দিন পর পরেই চলে যাবে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্য, আর ওখান থেকেই মায়ার বিয়ের জন্য সকল কেনা কাটা করা হবে ডিজাইনার দিয়ে, রিদ সবকিছু ঠিক করে রেখেছে এরি মধ্যে, বিয়েটা যেহেতু রিদের মত অনুযায়ী হচ্ছে তাই বাকি সবকিছু রিদের পছন্দ অনুসারেই হবে । খান বাড়ির সবাই এখন যে যার রুমের থেকে বিশ্ররাম নিচ্ছে পরে আবারও প্যাকিং করবে রিদও মায়ার বিয়ের জন্য, তাই এই দুই দিন বিশ্ররাম করবে,, মায়াও নিজের রুমে বিছানার ওপর পা ঝুলিয়ে বসে আছে আপাতত মায়ার চোখে ঘুম নেই, মাথায় নিজের বিয়ে নিয়ে হাজারো চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে। রিদকে নিয়ে সাজানো স্বপ্নটা আজ সত্যি হতে যাচ্ছে রিদের হাত ধরে, আর এই স্বপ্নটায় নতুন করে কোনো রকম বাঁধা চাই না মায়া…….

.

ফুলে ফুলে সাজানো বাসর ঘরে বসে আছে ফিহা, বিগত দুই ঘন্টা যাবত আরিফের জন্য অপেক্ষা করতে করতে এখন বসে বসে ঘুমে ঝিমোচ্ছে ফিহা, ফিহার এমন ঝিমানোর মধ্যে দিয়ে ঠাস করে দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করে আরিফ, পরে হটহট শব্দ করে দরজা আটকিয়ে পিছন ঘুরে দাড়ায় দরজার সামনেই,, দরজার হটহট শব্দ কানে আসতেই ফিহা চমকে উঠে ঝটপট নিজেকে ঠিক করে বেট থেকে নেমে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে ফিহা পরে ধীর পায়ে এগিয়ে এসে আস্তে করে আরিফকে সালাম করে উঠে দাঁড়াতেই আরিফ রেগে কটকট করতে করতে ফিহাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……

.

—” শুনো তুমি আমাকে বাঁধ্য করে বিয়েটা করলেও স্ত্রী অধিকার তুমি কখনোই পাবে না । তুমি সবসময় আমার থেকে নিজেকে দূরে দূরে রাখবে, এই রুমটা ফুলে ফুলে সাজানো থাকলেও তোমার সাথে বাসর তো আমি কোনো কালেই করবো না……

.

আরিফের এমন কথায় মূহুর্তে ফিহা নিজের মাথা গোমটা ফেলে দিয়ে একটা ভ্রুঁ উচু করে বলে উঠে…..

.

—” আপনার কি মনে হয় বাসর করতে বসে আছি আমি হুমম, নিয়ম রক্ষার জন্য এতোক্ষণ ধরে বসে ছিলাম আমি, এখন নিয়ম শেষ আমার গোমটা ও শেষ, আমার আপনার সাথে বিয়েটা হয়েছে সেটাই অনেক, আপাতত বাসর করার কোনো রকম ইচ্ছা নেই আমার, তাই এখন থেকে আপনি যেতে পারেন আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে (হামি তুলতে তুলতে) । আমার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের সময় নষ্ট না করে যান তো ঘুমিয়ে পরুন কোথাও, আমার আবার সকালে উঠে অনেক কাজ আছে বুঝেছেন, নতুন বউ বলে কথা সবার মন জোগাতে হবে আমার, আমি কি আপনার মতো নাকি শুধু বিয়েটা নিয়েই পরে আছি হুহহহ…….

.

ফিহার এমন কথায় যেন মূহুর্তের আরিফ সাত আসমান থেকে পড়লো, ফিহা কথা গুলো শুনে আরিফ হা হয়ে তাকিয়ে আছে ফিহার দিকে, এই মেয়ে কি বলছে এসব, ফিহার কথা অনুযায়ী এই মূহুর্তে আরিফকে বড্ড পাগল টাইপ কিছু মনে হচ্ছে, যে মেয়ে বিয়ে করার জন্য লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বড়দের সবাইকে জ্বালিয়ে মেরে আর তাঁকে জোর করে তাকে বিয়েটা করলো এখন সেই মেয়ের নাকি এই তাঁর (আরিফ) প্রতি কোনো রকম ইন্টারেস্ট নেই, আরিফ তো চিন্তা ভাবনা করে রেখে ছিল জোর করে বিয়ে করার দায়ে ফিহাকে স্ত্রী অধিকার না দিয়ে দূরে দূরে রাখবে নিজের থেকে ফিহাকে জ্বালিয়ে মারার জন্য, কিন্তু এখন তো উল্টো ফিহাই আরিফকে নিজে থেকে দূরে দূরে রাখছে, বিষয় কোথায় থেকে কি হচ্ছে কিছু বুঝতে না পেরে ফিহার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আরিফ,, এই মূহুর্তে আরিফের মনে হচ্ছে ফিহা আরিফকে নিজের জালে ফাঁসানোর জন্য ভয়ংকর টাইপ প্লানিং করে রেখেছে কিছু । আর সেই প্লানিং থেকে বাঁচার জন্য আরিফ মনে মনে শপথ গ্রহন করে যে কখনোই সে ফিহার ফাঁদের পা রাখবে না এবং ফিহার থেকে নিজেকে সর্বদা দূরে দূরে রাখবে, কথা গুলো এক মনে আরিফ ভেবে নিয়ে ফিহার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে একটা বালিশ নিয়ে সোফায় শুইয়ে পড়ে চুপচাপ ।
ফিহা আরিফকে শুয়ে পরতে দেখে সেও হেলতে দোলতে বেটে গিয়েছে শুয়ে পরে চোখ বন্ধ করে, ফিহার শুয়ার পর পরই খানিক বাদে একটা চোখ খুলে আরিফকে দেখে নিয়ে একটা ভ্যাকচি কেটে পিছন ঘুরে চুপচাপ শুয়ে পড়ে আবারও………

.

শীতের সকাল সময়টা ৫ঃ৩০ কি ৬ঃ০০ টাকা হবে শীতের সকালের হালকা হালকা মিষ্টি বাতাস জানালা পর্দা বেধ করে ফাঁকে ফাঁকে এসে ছুয়ে যাচ্ছে ফিহা ও আরিফের শরীর, এমনিতেই হার্ড় কাঁপানো শীত তার ওপর আবার ঠান্ডা বাতাস সবমিলিয়ে মনোরম পরিবেশ আরিফ ও ফিহা একে ওপরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে চাদরে ভিতর ঘুমিয়ে আছে পরম শান্তিতে, একে অপরের জরিয়ে ধরা অবস্থায় ঠান্ডা বাতাস এসে ফিহার ফেস ছুঁয়ে যাচ্ছে বারবার, সাথে ফিহার কপালের থাকা ছোট ছোট চুল গুলোও বেশ বেহায়া পূনা সাথে ফিহার নাকে মুখে আঁচড়ে পড়ছে বারবার এতে করে ফিহা বেশ বিরক্তি নিয়ে বার বার কপাল কুচকাচ্ছে । বেশ সময় ধরে এমনটা করার পর হঠাৎ করে ফিহার ঘুমের মধ্যে কেঁপে ওঠে পেটের মধ্যে শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে । ফিহা ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে নিজের শাড়ির বেধ করে পেটের মধ্যে হাতে ছুঁয়া পেতেই কেঁপে ওঠে ঘুম ভেঙে যায় ফিহার,,,,,

.

নিজেকে বেশ ভারি ভারি মনে হওয়ায় চোখ বন্ধ করার অবস্থায় হালকা নড়াচড়া করতে চাই ফিহা কিন্তু কারও কাছে নিজের বুন্দি বুন্দি মনে হওয়ায় বিরক্তি নিয়ে আস্তে আস্তে চোখ তুলে তাকায় ফিহা, চোখে সামনে বেশ অপরিচিত রুম লাগায় ফিহা কপাল কুচকে তাকায় চারপাশে, ফুল দিয়ে বেশ সাজগোছ রুম থাকায় মূহুর্তেই মনে পরে যায় আরিফের সাথে নিজের বিয়ের কথাটি, নিজেকে স্বাভাবিক রেখে হামি তুলতে তুলতে উঠতে যাবে কিন্তু কিছু একটা সাথে বাঁধা হওয়ার উঠতে না পেরে ঠাস করে আবারও শুয়ে পরে নিজের বালিশে ফিহা, শুয়ার সাথে সাথে ঘাড় ঘুরিয়ে পাশ ফিরে তাকাতেই চমকে উঠে চোখে দুটো বড় বড় হয়ে যায়, কারণ আরিফ ফিহাকে আষ্টেপৃষ্ঠে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে, ফিহার আরিফকে নিজের সাথে দেখে অনুভূতি হয়ে মনে করতে থাকে আরিফ তো কাল রাতে সোফায় ওপর ঘুমোচ্ছিল তাহলে এখন ফিহার সাথে কি করে বেটে এসে ঘুমাচ্ছে,,

.

ফিহা কথা গুলো মনে মনে ভেবে নিয়ে চোখ তুলে তাকায় আরিফের দিকে পরে আরিফকে নিজের সাথে দেখে মূহুর্তেই খুশি হয়ে হালকা হেসে চুপি সারে আরিফের কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে নেই আরিফের অগোচরে,, পরে কিছুক্ষণ আরিফের দিকে তাকিয়ে থেকে আবারও আরিফকে দেখানোর জন্য নিজের ফেসের মধ্যে কৃত্রিম রাগ নিয়ে ফিহা আরিফকে হালকা ধাক্কা দিতে দিতে বলে উঠে…….

.

—” এই যে শুনছেন সুবিধা বাধি লোক, আমাকে ছাড়ুন বলছি আমি উঠবো, এই যেএএএএএএএ……

.

ফিহার এমন লাগাম হীন ডাঁকে আরিফ বিরক্তি নিয়ে নড়েচড়ে ওঠে আস্তে আস্তে ঘুম থেকে পিটপিট করে নিজের চোখ খুলে তাকায় ফিহা দিকে, ফিহার আরিফকে চোখ খুলতে দেখে হেয়ালি করে বলে উঠে…….

.

—” এই তো মহাশয় উঠে পরেছে ঘুম থেকে, তা জনাব আমাকে ছাড়বেন নাকি আরও জরিয়ে ধরে ঘুমার ইচ্ছা আছে আপনার হুমমম…..

.

ফিহার এমন কথায় মূহুর্তেই আরিফ নিজেকে এক পলক দেখে নিয়ে ধুর ফুরিয়ে উঠে বসে শুয়া থেকে, পরে ইতস্তত বোধ করতে করতে দ্রততা সঙ্গে দাঁড়িয়ে পরে বেট থেকে পরে অপরাধী চোখে ফিহাকে এক পলক দেখে নিয়ে আমতা আমতা করতে করতে বলে উঠে……..

.

—” আমি ইচ্ছা করে বেটের এসে ঘুমাই নি, আসলে আমি সোফায় ঘুমাতে পারিনা, তাই মধ্যো রাতে এসে বেটে একপাশে ঘুমিয়ে পরছিলাম কিন্তু রাতে কখন তোমাকে কাছে গিয়েছি সেটা বলতে পারি না, সরি এমনটা হওয়ার জন্য…..

.

আরিফের কথা গুলো শুনে ফিহা উঠে বসতে বসতে বলে উঠে……

.

—” সরি, সরি বললে হবে জনাব, আমার তো মনে হচ্ছে আপনি সুন্দরী বউয়ের রেখে সোফায় ঘুমাতে চাইছিলেন না, তাই আমি ঘুমানোর পর চুপি সারে আমার পাশে এসে ঘুমিয়ে পরেছিলেন আমাকে জরিয়ে ধরে, কি সত্যি বলছি তো হুমমম……

.
ফিহার এমন কথা পছন্দ হলো না আরিফের তাই নিজের ফেঁসে বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে…..

.

—” তুমি কি বলতে চাচ্ছো আমি ছেঁচড়া……

.

—” মনে হওয়ার কি আছে কাজে তো সেটাই মনে হচ্ছে আমার….

.

ফিহার এমন কথায় আরিফ রেগে কটকট করতে করতে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে পাল্টা উত্তরে বলে উঠে…….

.

—” এই তোমার প্রতি না আমার একটুও ইন্টারেস্ট নেই ওকে, তাই ফালতু বকবক আমার সামনে করো না প্লিজ। আমার বেটে আমি শুব কাল থেকে তুমি সোফায় নয়তো নিচে ঘুমাবে এই বেটে আর তুমি শুইতে পারবে না ব্যাস…..

.

আরিফের এমন কথায় ক্ষেপ্ত হয় ফিহা, তাই রাগানিত্ব হয়ে বেঁটে ওপর আরাম করে বসে বেঙ্গালো সুরে বলে উঠে……

.

—” এ্যাঁহ আসছে ব্যাস বলতে, এটা আমার শশুর বাড়ির তাই আমি এই বেঁটে ওপর ঘুমাব, আর আপনি নিচে ঘুমাবেন শুনেচ্ছেন, দরকার হলে আপনিও আপনার শশুর বাড়ির গিয়ে বেঁটে ওপর ঘুমিয়েন এতে আমার কোনো রকম আপত্তি নেই কিন্তু তারপর ও আমার শশুর বাড়িতে বেঁটের ওপর ঘুমাতে দিব না আপনাকে হুহহহ….

.

ফিহার এমন খাপছাড়া উত্তরে আরিফ সবকিছু গলিয়ে ফেলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে উঠে……

.

—” কিহ, এই তোমার মাথা ঠিক আছে, তোমার শশুর বাড়িটা তোমার হয়ে এসেছে কোথায় থেকে সেই খবর আছে তোমার……

.

আরিফের কথায় ফিহা নিজের দায় সারা ভাব ঝেড়ে বলে উঠে….

.

—“থাকবে না কেন, আমার শশুর বাবা থেকে এসেছে আমার শশুর বাড়ির আর কোথায় থেকে আবার হুহ…..

.

আরিফ কি বুঝাতে চেয়েছিল আর ফিহা কি বুঝতে পারলো, আরিফ তো নিজেকে বুঝাতে চেয়েছিল কিন্তু ফিহা তার উল্টোটা বুঝতে পারায় আরিফ রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে……

.

—” আর তোমার শশুর বাবাটা কার মাধ্যমে এসে সেটা জানো তো…….

.

—” ছিঃ ছিঃ কি বলেন আপনি জানবো না, আমার দাদী শাশুড়ী থেকে এসেছে আমার শশুর বাবা……

.
আরিফ বারবার নিজেকে বুঝাতে চাইছে ফিহাকে যে ফিহা তার শশুর বাড়ির আরিফের মাধ্যমে পেয়েছে অন্য কারও মাধ্যমে নয়, কিন্তু ফিহা সেটা বুঝতে না পেরে উল্টো পাল্টা কথা রেগে যায় আরিফ আর রাগে গজগজ করতে করতে বলে উঠে…..

.

—” স্টেআপ ইডিয়ট, কখন থেকে আজে বাজে বকবক করছো। এরা সবাই কার মাধ্যমে এসে তোমার কাছে সেটা বলছি…..

.
আরিফের এমন রাগ দেখে চুপ হয়ে যায় ফিহা কিছুক্ষণ দম ধরে থেকে চিন্ত করে হঠাৎ বলে উঠে…..

.

—” ওহ ওরা সবাই আমার দাদা শশুর থেকে এসেছে আমার কাছে, কারণ আমার দাদা শশুর যদি আমার দাদী শাশুড়ী মাকে বিয়েটা না করতো তো আমার শশুর বাবা ও শাশুড়ী মাকে পেতাম না আমি,, তাই উনি সবাইকে আমার কাছে এনে দিয়েছেন ঠিক বলিনি আমি…..

.

—” স্টেআপ ইডিয়ট….

.

—” সত্যিটা বললেই লাগে আপনার আমি সব বুঝি হুহহ…..

.

ফিহাকে গাল ফুলাতে দেখে আরিফ রেগে বেঙ্গো করে বলে উঠে…..

.

—” ওহ এতো সত্যবাধি মানুষকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হবে আজ বার্থরুমবাসি, তুমি ব্রাথরুমে যাও গিয়ে নিয়ে আসো তোমার নোবেল পুরষ্কার বার্থরুম থেকে……

.

আরিফের এমন বাজে ইংগিতে নাক মুক্তি ছিটকে ফিহা উচ্চ স্বরে বলে উঠে…….

.

—” ছিইইইইইই……..

.

ফিহা সাথে সাথে আরিফ ও বেঙ্গালো সুরে কপি করে বলে উঠে……..

.

—” ছিইইইইই………

.

.

.
চলবে………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here