দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_অন্তিম_পর্ব

0
335

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_অন্তিম_পর্ব

.
🍂
সাব্বিরের এমব কথা মায়া শক্ত করে রিদকে সামনের থেকে জরিয়ে ধরে বেহেয়ালি ভাবে কান্না করতে থাকে, মায়া পিঠে রক্ত ঝরতে দেখে, সাব্বির চমকে উঠে টায় জায়গায় দাঁড়িয়ে দুঃখী দুঃখী ভাব নিয়ে বলে…

.

—” মায়াপাখি দেখলে তো তোমার পিঠ থেকে কতটা রক্ত ঝরছে, সবটা শুধু তোমার জন্য হয়েছে, তুমি যদি আরও আগেই আমাকে বেচে নিতে ভালোবাসার জন্য তাহলে আজ তোমাকে এতটা আঘাত পেতে হতো না, সব তোমার দোষে হয়েছে, তুমি আমাকে ছেড়ে এই রিদকে ভালোবাসতে গেয়েছো কেন বলো, রিদ তোমার ভালোবাসা না আমি তোমার সত্যিকারের ভালোবাসা এখনো টাইম আছে তুমি আমার কাছে চলে আসো আমার হয়ে যাও পরে আমরা দুজন মিলে এই রিদকে জানে মেরে দিব, ওহ তো এমনিতে আধা মরা হয়ে গেছে চৌদ্দ মিনিট পর এমনই মরবে আমার হাতে, তোমাকে কিছু করবো না তুমি প্লিজ আমার কাছে চলে আসো লক্ষী পাখি…..

.

সাব্বিরের এমন আদুরে সোহাগের কথা শুনে মায়া রিদের বুকে মিশে থাকা অবস্থায় ঘৃণাত চোখে তাকায় সাব্বিরের দিকে, যেন এই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঘৃণাটায় করে সাব্বিরকে মায়া, মায়া এমন তাকানোর মধ্যে দিয়ে সাব্বিরকে রাগান্বিত কন্ঠে বলে…..

.

—” আমি মরে যাবো তারপরও আপনার হবো না, আমার স্বামী, আমার তাঁকে ছাড়া মরণ মঞ্জুর, তারপরও স্বামীকে ছাড়া নয়…..

.

মায়ার হার কাঁপানো কথায় মূহুর্তে সাব্বির রেগেমেগে দুই হাত মুষ্টি বদ্ধ করে নেয়, মায়ার ও রিদের দিকে রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে থাকে যেন মূহুর্তের সবকিছু ধংশ করে দিবে সাব্বির। মায়ার কথা আর সাব্বিরে রাগান্বিত ফেস দেখে মূহুর্তে বাঁকা হাসে রিদ, বউ তার জীবনের অন্তিমকাল পযন্ত হয়ে আছে সেটা আরও অনেক আগেই বুঝতে পেরেছি রিদ শুধু সাব্বিরকে শুনানোর জন্য রিদ এতক্ষণ চুপ ছিল, কিন্তু এখন রিদ মায়ার দুগাল আঁকড়ে ধরে কপালে আলতো করে একটা চুমু খেয়ে রিদ মায়াকে নিজের বাহুতে একহাতে জরিয়ে ধরে সাব্বিরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……..

.

—” রিদ কাল যাহ ছিল আজও তাই আছে, তুই কাঁচা খেলোয়াড় হয়ে এসেছিস রিদ খানের সাথে খেলতে হুমমম? ইন্টারেস্টিং! (একটা ভ্রুঁ উঁচু করে)। তুই টানা দুই বছর প্লেনিং করেছিস আজকে দিনটা জন্য কিন্তু তারপরও আফসোস তুই সফল হতে পারলি না, কারণ কি জানিস তুই আমাকে বেঁচে থাকার জন্য চৌদ্দ মিনিট সময় দিয়েছিস এটাই তোর লাইফের সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ জানিস আমাদের লাইফে সবচেয়ে বড় রুলস হলো শত্রুর আক্রমণে সময় এক মিনিটের ভিতর কিভাবে নিজেকে বাঁচাতে হয় সেটাও জানা থাকতে হয়। আর সেই জায়গায় তুই আমাকে ফ্রি ফ্রি তেরো মিনিট দিয়ে দিলি আর এর থেকেই বুঝা যায় তুই কতটা কাঁচা খেলোয়াড় (বাঁকা হেঁসে), তোর সাথে আমার পারসোনাল, প্রোফেশন দুই দিক থেকেই শত্রুতা রয়েছে, প্রোফেশন হলো তোর বাবা সাথে বিজনেস শত্রুতা ছিল আমার, আর সেই সূত্র ধরে তোর বাবার তার বিজনেস ও প্রাণ দুইটাই হারায় আমার কাছে । আর তুই তোর বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে বিঘত দুই বছর ধরে আমার ওপর তথ্য জোগাড় করছিস আর এরইজন্য আমাদের ভার্সিটিতে পযন্ত গিয়ে ভর্তি হোস, এখান অবধি সবিই ঠিক ছিল, কিন্তু বিপত্তি ঘটে আমার বউকে নিয়ে, রিত যখন আমাদের ভার্সিটিতে ভর্তি হয় তার ঠিক কিছু দিন পরই তোর নজর ওর ওপর পরে আর ভালোবাসে ফেলেছিস আমার বউকে। কিন্তু তখনো তুই জানতিস না রিত খানবাড়ির বউ। মানে আমার বউ সেটা। তুই মনে করেছিস রিত আমাদের সম্পর্কে কোনো আত্মীয় স্বজন হবে হয়তো! কিন্তু আমি যখন রিতের সাথে বডিগার্ড ঠিক করে দেয়, আর বডিগার্ডদের জন্য তুই যখন আমার রিতের সাথে কথা বা যোগাযোগ করতে পারছিস না, তখনই বিষয়টি তোকে ভাবায় যে সাধারণ একটা মেয়ের জন্য তো আর রিদ খান নিজে এতোটা কড়া সিকিউরিটি দিবে না তাই না। আর এটার সূত্র ধরেই তুই আবারও তথ্য যোগাড় করার অনুসন্ধানে লেগে পরেছিস যে রিতের সাথে আসলে আমার আর কি কি পারসোনাল সম্পর্কে হতে পারে। তুই টানা ছয় মাস পর বুঝতে পারিস যে রিত আমার বউ। এটা শুনার পর পরই তোর সাথে আমার প্রোফেশন শত্রুতার থেকে পারসোনাল শত্রুতাটা আরও দৃঢ় ভাবে বাড়লো। কি ঠিক বলছি তো আমি? (বাঁকা হেঁসে) উঁহুম! এখানেই শেষ হয়নি, রিত আমার বউ এটা শুনার পর তুই চেষ্টা তো অনেক করিস রিতের সাথে যোগাযোগ করার ওকে তোর ভালোবাসার জালে ফাঁসানোর কিন্তু তোর কোনো চালেই সফলতা অর্জন করতে পারিসনি আমার জন্য। তাই বাঁধ হয়ে তুই ভার্সিটিতে আছিস আমার বউকে নিয়ে যেতে যেটা আয়নের জন্য বিফল হয় তোর প্লেন। পরে ফিহার বিয়েতে আসিস ছোট বাচ্চাটাকে দিয়ে আমাকে মেসেজ ও পাঠাস পারসোনাল ভাবে। আর সবশেষে রইলো, আজকের ঘটনা! তুই ভাড়া করা রহিমাকে দিয়ে আমার বউকে এখানে আনলি, আঘাতও করলি! এখন বল আমার তোর সাথে কি করার উচিত? তোকে তো ছেড়ে দেওয়া যাবে না? মেরে ফেলতে হবে! আমার বউকে আঘাত করার ফল সেটার তুই এমনিতেই পাবি,(দাঁতে দাঁত চেপে) যা হবে খুবিই ভয়ানক কিছু। আই সয়ার একটা ব্যক্তি ও জান নিয়ে ফিরে যেতে পারবে না এখান থেকে। এখন তোর দেওয়া বাকি তেরো মিনিট তোর ওপরই ভারি পরবে( রক্ত লাল চোখে তাকিয়ে থেকে)………..

.

রিদের এমন কথায় মূহুর্তে সাব্বির ফেইস এর ভয়ের ছাপ স্পষ্ট ফুটে ওঠে, আর সেই ভয় নিয়ে ভয়াৎ কন্ঠে রিদকে উদ্দেশ্য করে বলে…….

.

—” তুই শুরু থেকেই সব জানিস…..

.

—” সবটাই জানা ছিল আমার কিন্তু আমার বিয়ে জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম, তোর আমার সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করতে সময় লেগেছে টানা দুই বছর আর আমার জাস্ট দুই দিন,, (বাঁকা হেঁসে)

.

রিদের কথায় সাব্বির মূহুর্তেই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে সাথে ছেলে গুলোকে ইশারা করে রিদের ওপর হামলা করতে, সাব্বিরের ইশারা পেয়ে সবাই এগিয়ে যায় রিদের দিকে, রিদ নিজের মাথাটা একটু ঝেড়ে নিয়ে সামনের গুন্ডাটি ছুরি নিয়ে আসা লোকটা বুক বরাবর লাতি মেরে ছুরিটি নিজের হাতে নিয়ে নেয় দক্ষতা সাথে, পরে মায়াকে নিজের পিছনে দিয়ে সামনে এগিয়ে আসা ওপর একটা গুন্ডাকে তার বুক বরাবর নিজের হাতের ছুরিটা বসিয়ে দিয়ে, ঐ গুন্ডাটা হাতে হাতে থাকা ছুরিটা নিজের হাতে নিয়ে অন্য একটা গুন্ডার মুখ বরাবর ছুড়ে মারে নিচে ফেলে দেয়, আর পাশে থাকা গুন্ডার বুক থেকে ছুরিটা টেনে বের করে পাশ থেকে এগিয়ে আসা অন্য একটা গুন্ডার গলায় বসিয়ে দিয়ে মেরে ফেলে, সেখান থেকে ছুরিটা আর একটি গুন্ডার পেট দিয়ে ঢুকানোর সাথে সাথে পাশ থেকে আর ও একটা গুন্ডা রিদের হাতের বাহুতে ছুরি চালিয়ে দেয়, রিদের বাহুতে ছুরি চালাতেই রিদ খানিক পিছন ফিরে নিজের হাতটা ঝেড়ে নিয়ে গুন্ডা লোকটি দিকে কপাল কুচকে তাকায় পরে গুন্ডাটার দিকে ছুরি হাতে নিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে বলে উঠে…..

.

—” তোর ধম আছে বলতে হবে, সব কয়টার থেকে তুই হিট করা পিস……

.

কথা বলেই গুন্ডাটিকে নিজের ছুরি দিয়ে গলায় ফুস মারে, আর সাথে সাথে গুন্ডাটা মাটিতে লুটিয়ে পরে, সাব্বির ভারা করার গুন্ডা গুলোকে রিদ একে একে সবাইকে মারতে দেখে, ক্ষেপ্ত হয়ে নিজেই ছুরি হাতে এগিয়ে যায় পরে রিদের পিছন থেকে পিঠ বরাবর লাতিন মারে, এতে করে রিদ তাল সামলাতে না পেরে সামনের দিকে ঝুঁকে গিয়ে দুই কদম এগিয়ে যায় আর মায়া পাশ থেকে রিদের গাড়িটাকে আঁকড়ে ধরে রেখে চিৎকার করে উঠে রিদকে সাব্বির লাতি মারার জন্য, মায়ার চিৎকার সাথে রিদ পিছন ফিরে মায়াকে চোখে ইশারা করে শান্তনা দিয়ে কপাল কুচকে তাকায় সাব্বিরের দিকে, পরে চোখে সামনে সাব্বিরকে ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পাশে থাকা গুন্ডাটাকে উল্টো ধরে বুকের মধ্যে ছুরিটা বসিয়ে মারতে মারতে সাব্বিরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……

.

—” পিছন থেকে আঘাত করার স্বভাবটা আর গেলো না তোর, এই নে একে একে তোর সব-কয়টা ভারা করা চামচাকে শেষ করে দিয়েছি, এখন আছিস তুই ও তোর ভারা করার দুটো চামচা একটা রহিমা নামে মিস এলিনা আর অন্যটা হলো এদের মধ্যে একজন যাদের আমি মেরেছি, এখন তোদের পালা…..

.

রিদের কথা শুনার সাথে সাথে সাব্বির রাগান্বিত হয়ে লাল চোখে তাকায় রিদের দিকে পরে রিদের হাত কাঁপতে দেখে বাঁকা হেঁসে বলে উঠে……

.

—” আমাদের মারার জন্য সেই সময়টা আর পাবি না তুই, কারণ তোর হাতে আর মাত্র আট মিনিট আছে তার পর পরই তুই শেষ, একদমই অচল হয়ে পরবি…..

.

রিদ নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে…..

.

—” এই আট মিনিট অনেক তোর চাপটার ক্লোজ করার জন্য…..

.

কথাটা বলার সাথে সাথে রিদ সাব্বিরের বুক বরাবর লাতি মেরে ছুরি দিয়ে হাতে পায়ে বরাবরই আঘাত করে থাকে, পাশ থেকে রহিমা সাব্বিরকে রিদের সাথে মারামারিতে পেরে উঠতে না দেখে, কি করবে কিছু ভেবে না পেয়ে মায়া দিকে ভ্রুঁ কুচকে তাকায় পরে কিছু একটা ভেবে নিয়ে পাশ থেকে একটা ধারালো ছুরি নিয়ে মায়ার দিকে এগিয়ে যায়, রিদ সাব্বিরের সাথে মারামারিতে ব্যস্ত থাকায় আর মায়াও রিদের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে পিছন থেকে এলিনা মায়ার বাহু ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দক্ষ হাতে মায়ার পেট বরাবর নিজের হাতের ছুরিটা ঢুকিয়ে দেয়,, মায়ার পেটের মধ্যে ছুরিটা ঢুকাতেই মায়া চিৎকার করে আহ শব্দ করে উঠে, মায়ার শব্দ কানে আসতেই রিদ চমকে উঠে পিছন ঘুরে সাব্বিরকে ছেড়ে দিয়ে মায়ার দিকে তাকায়, পরে মায়ার পেটে এলিনাকে ছুরি ঢুকাতে দেখে রিদ হাক ছেড়ে চিৎকার করে বলে,, “এইইই..

.

রিদের চিৎকার সাথে সাথে এলিনা নিজের হাতের ছুরিটা টেনে বের করে আবারও নির্দয়ের সাথে মায়ার পেটের ভিতর ঢুকিয়ে দেয় রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে, এলিনা মায়াকে পর পর দুই বার ছুরি দিয়ে আঘাত করার সাথে সাথে রিদ স্তব্ধ হয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে পরে মায়ার দিকে পাথর মূতি মতো তাকিয়ে থেকে,, রিদ দাঁড়ানো সাথে সাথে পিছনে থাকা গুন্ডাটি রিদের মাথা বরাবর লাটি দিয়ে ভারি মারে পরপর দুই বার আর এতে করে রিদ মাথা দিয়ে অঝোর ধারা রক্ত ভয়তে থাকে, রক্তে রিদের সারা কপাল বেয়ে গলার নিচ পযন্ত যাচ্ছে আর রিদ সাথে সাথে মাটিতে হাটু গেড়ে বসে পরে,, কিন্তু রিদের সেই দিকে কোনো খেয়াল নেই রিদ মায়ার দিকে পাথরের মতো তাকিয়ে আছে, এলিনা জানতো রিদকে দুর্বল করার জন্য মায়াই এক নাম্বার হাতিয়ার তাই সেটায় কাজে লাগিয়েছে এলিনা, মায়াকে পরপর দুই বারবার পেটের মধ্যে ছুরি চালানোর পর মায়া অচল অবস্থায় টলমলে চোখে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো, আর মায়ার রক্তে মাটি ভেসে যাচ্ছে মূহুর্তেই, মায়ার এমনত অবস্থায় মধ্যে সাব্বির পরপর লাটি দিয়ে রিদকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে কিন্তু এতো করেও রিদ টু শব্দটি পযন্ত করছে না শুয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মায়ার দিকে পাথরের মতো করে,, মায়া মাটিতে শুয়ে থেকে রিদের দিকে নিভু নিভু চোখে তাকিয়ে থেকে কাঁপা কাঁপা স্বরে থেমে থেমে একটা হাত বাড়িয়ে রিদকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে…….

.

—” আপনি ওদের বলুন না আমাদের ছেড়ে দিতে, ওরা হয়তো জানে না আর দুই দিন পর আমাদের বিয়ে সুইজারল্যান্ডে জানলে হয়তো আমাদের ছেড়ে দিবে তাই না, আপনি জানেন আমার না আপনার নামের মেহেদী পরার খুব ইচ্ছা, আগের বার বিয়েতে আপনার জন্য পরতে পারিনি তো আমি আর এখন মরে গেলে আমার সাথে সাথে আমার সব স্বপ্ন গুলোও অপূর্ণ রইয়ে যাবে, তাই আপনি ওদের বলুন না আমাদের দু’জনকে ছেড়ে দিতে,, আর আপনি রহিমা খালাটাকে বলুন না আমার পেটে আর ছুরি না ঢুকাতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে এই আঘাতে আমি ঠিক করে নিশ্বাসটা ও নিতে পারছি না, আপনি দেখুন না আমার সাথে কি হচ্ছে আপনার সব ভালোবাসা আমার পেট থেকে ওরা বের করে দিচ্ছে তো………

.

মায়া এমন সব কথায় রিদ স্তব্ধ হয়ে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে শুনতে থাকে, মায়ার কথা গুলো রিদের কান অবধি পৌঁছাতে পারলেও রিদের মস্তিষ্ক পযন্ত পৌঁছাতে পারছে না, রিদ পাথর মূতির মতো শক্ত হয়ে মায়ার দিকে তাকিয়ে থাকে, আর রিদের কপাল ছুঁয়ে ছুঁয়ে টপটপ করে রক্তে ফোটা পরতে থাকে, আর রিদের হাত পা অচল হতে থাকে ধীরে ধীরে বিষ শরীরে থাকার কারণে, একটা সময় রিদ সাব্বিরের আঘাতে আর নিজের শরীরে বিষ ছড়িয়ে পরার কারণে মাটিতে লুটিয়ে পরে মায়ার দিকে তাকিয়ে একটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে ধরার চেষ্টা করতে করতে রিদের এমনত অবস্থায় মায়া আবারও বলে উঠে নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে…..

.

—” আমি আপনাকে অনেক অনেকে অনেক বেশি ভালোবাসি, আপনার সাথে আমি সারাজীবন থাকতে চাই, আপনাকে ভালোবাসতে চাই, আমি মরতে চাই না ওদে……….

.

মায়ার বাকি কথা গুলো শেষ করার আগেই এলিনা পাশ থেকে মোটা ভারি লোহার পদার্থের লর্ড নিয়ে মায়ার মাথার সজোরে আঘাত করে আর এটা দেখে রিদ মাটিতে পরে থাকা অবস্থায় একহাতে মাটিতে থাপ্পড় দিতে দিতে কান্না করতে করতে চিৎকার করে বলতে থাকে………

.

—” No, No, No, Noooooooooo আআহ……..

.

ঠাস করে ভারি মারে এলিনা মায়ার মাথার প্রাণপূণ শক্তি প্রয়োগ করে, এতে করে মায়ার রিদের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা ঠাস করে নিচে পরে যায় আর হ মায়ার হাতে থাকা কাঁচের চুড়ি গুলো ভেঙে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে, আর মায়ার মাথায় আঘাত করার সাথে সাথে জায়গায় নিজের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে, এলিনা মায়ার মাথায় ভারি মারার কারণে মাথায় মাথাটা জায়গায় তেঁতলে যায় ও মায়ার মস্তকটা ফাটা মাথা দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পরছে, এলিনা আবারও মায়াকে মায়াকে আঘাত করতে নিবে আর আগেই রিদ পাশ থেকে ছুরিটা নিয়ে এলিনার গলা বরাবর ছুড়ে মেরে এলিনার মাথাটা দেহ থেকে আলাদা করে দেয় আর এলিনা দেহটা মায়ার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়লো, এটা দেখে পাশ থেকে সাব্বির ক্ষিপ্ত হয়ে রিদকে মারার জন্য আসতেই রিদ সাথে সাথে উল্টো ঘুরে উঠে সাব্বিরের মাথাও দেহ থেকে আলাদা করে দেয়, রিদ একে একে সবাইকে মেরে ফেলতে দেখে অবশিষ্ট বেঁচে থাকা গুন্ডাটি দৌড়ে পালিয়ে যেতে নেই রিদ পিছনে চুরিটা ছুড়ে মারে গুন্ডাটার পিঠ বরাবর এতে করে এই গুন্ডাটাও সবার মতো করে মারা যায়,,,,

.

রিদ সবাইকে দক্ষ হাতে মেরে ফেলে পিছন ফিরে মায়ার মাটিতে পরে থাকা নৃত্যত দেহটির দিকে তাকায়, রিদের সারা শরীরে রক্তে ছড়াছড়ি হয়ে আছে, রিদের সারা শরীর রক্তে মাখা মাখি, আর রিদের কাঁপন্ত শরীরে সাথে আদু আদু চোখে মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে দুলতে দুলতে মায়ার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে,, রিদ মায়ার সামনে হাটু গেড়ে বসতেই আসিফ, আশিক, আয়ন, খান বাড়িতে উপস্থিত থাকা প্রত্যেকটা সদস্য নিয়ে হাজির হয় রিদ যেখানে আছে সেখানে, আয়ন চারপাশে লাশের ছড়াছড়ি দেখে রিদকে খুজতে থাকে পরে রিদকে পিছন থেকে একটা লাশের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখে দ্রততার এগিয়ে আসে রিদের সামনে পরে মায়ার দিকে না তাকিয়েই উত্তেজিত সাথে রিদকে বারবার দেখতে বলে উঠে…….

.

—” কি হয়েছে রিদ তোর এতো রক্ত কেন তোর শরীরে, এখানে এতো লাশ কেন, আর তুই এখানে কি করে এলি, আর মায়া কোথায় ওকে বাড়িতে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তুই কথা বলছিস না কেন রিদ……

.

আয়ন উত্তেজিত সাথে বারবার রিদকে ডাকলেও রিদ কোনো রকম কথা বলছে না নড়াচড়া ও করছে না পাথর মূতি মতো হয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মায়ার দিকে, আয়ন রিদের দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনে তাকাতেই চোখে সামনে মায়ার তেঁতলে যাওয়া লাশটি দেখে ঠাস করে মাটিতে বসে পরে বাঁক রুদ্ধ হয়ে, আয়ন মাটিতে বসার সাথে সাথে রিদ টলে পরে মায়ার পিঠের উপর, রিদের মাথাটা মায়ার পিঠের উপর আর শরীরটা বাহিরের মাটিতে, রিদের মায়ার জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় চাপ ও রিদের শরীরে সাব্বিরের দেওয়া বিষটা ছড়িয়ে পরায় আর নিতে পারিনি কোনো কিছু জায়গায় টলে পরে মায়ার ওপরই, হয়তো মায়ার সাথে সাথে রিদও সবাইকে ছেড়ে এই দুনিয়ায় মায়া ত্যাগ করেছে, আবার হয়তো না……..

.

আয়নকে বসে থাকতে দেখে পরিবারের সবাই এগিয়ে আসে রিদও মায়ার দিকে, পরে মায়া আর রিদের এমন অবস্থায় দেখে হেনা খান রিদের সামনে হাটু গেড়ে বসে চিৎকার করে সাথে সাথে আয়নে কোলে ঢুলে পরে নিজের নিশ্বাস আটকে জায়গায় মৃত্যুর বরণ করে আয়নের কোলে, আর আরাফ খান, রিদ, মায়া ও হেনা খাঁনের অবস্থায় পাথর হয়ে যায়, আর মায়ার বাবার মা মেয়ের অবস্থা দেখে জায়গায় অজ্ঞান হয়ে পরে….
খান পরিবারের মূহুর্তেই আনন্দ মহল থেকে চিরন্তন কান্নায় মহলে পরিনত হয়ে যায়…..

.

——————— সমাপ্ত ———————-

.
—” কিছু কাহিনি মনে রাখার জন্য মাঝে মাঝে sad ending টা প্রয়োজন হয়,, প্লিজ কেউ বাজে কমেন্ট করবেন না, কাল আবারও নতুন কোনো গল্পের সাথে হাজির হবো আপনাদের সামনে ইনশাআল্লাহ

.
—” রিদের বাঁচা মরাটা সবটা পাঠক পাঠিকাদের ওপর, আপনারা চাইলে রিদকে বাচিয়ে রাখতে পারেন আবার মারতেও পারেন, সবটাই আপনাদের ওপর, লেখায় আছে জানি তাই কাল ঠিক করবো ভুল গুলো)

#দেওয়ানা_২
সকল পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122114737418106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here