#প্রিয়তম
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-৩
রিতুর কাছে জীবনটা বাংলা সিনেমার ন্যায় মনে হচ্ছে। ওর সাথে সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। অংক স্যারকে অপরিচিত লাগছে। লোকটা এমনসব কথা বলছে যে তার বেঁফাস কথাবার্তায় রিতুর মনের ভেতর অবর্ণনীয় লজ্জা আর ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। বাকি পথটুকু তাই আর কান্নাকাটি করলো না রিতু। তবে মনে মনে ঠিক করলো এতদিন অংক স্যার ভেবে যে লোকটাকে সম্মান করতো, যার শাসন, বারণ নিদ্বির্ধায় মেনে নিতো, লোক বিয়ে করবে না বলেও পরদিন ঢ্যাঙঢ্যাঙ করে বিয়ে করতে চলে আসে সেই লোকটাকে আজ থেকে নিজের শিক্ষক হিসেবে ভুলেও সম্মান করবে না সে। এসব ভাবনায় নিজের মনকে স্থির করে, বিয়ের ধকলে ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে সিটে হেলান দিয়ে বসে চোখ বুজে রইলো রিতু। ইফাদ আঁড়চোখে তাকালো পরপর কয়েকবার। কান্নাকাটি করে কাজল লেপ্টে ফেলা নববধূর চুলগুলো বাতাসে ওড়াওড়ি করছে। মুখখানিতে অন্যরকম এক সৌন্দর্য ভর করেছে। দেখতে ভালো লাগছে। ইফাদ মৃদু হাসলো। কখনো ভাবতেই পারেনি এই মেয়েটা একদিন তার বউ হবে, মায়ের পছন্দের সাথে নিজের পছন্দ মিলে যাবে। ইফাদের মন বসন্ত বাতাসের ন্যায় উৎফুল্ল হয়ে আছে। মেয়েটার গাল ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে। প্রেম নাকি ভালোবাসা জানে না, তবে মেয়েটার মুখের দিকে যতবার তাকাচ্ছে ততবারই ওর বুকের ভেতরটা আশ্চর্যভাবে কেঁপে ওঠছে নতুন এক অনুভূতির জোয়ারে। যেমনটা আগে কখনো হয় নি। ইফাদ বুকের বা-পাশে হাত দিতে বসে রইলো। গাড়ির মিউজিক সিস্টেমে তখন রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজছে, ‘তোমায় গান শোনাবো, ওগো ঘুম ভাঙানিয়া…’
রিতু ঘুমিয়ে পড়েছিলো। ভরাট কন্ঠস্বরের একটি ডাকে ওর ঘুম কেটেছে। বিরক্ত ভঙ্গিতে চোখজোড়া খুলতেই মুখের ওপর ঝুঁকে থাকা মানুষটাকে দেখে চমকালো ভীষণ। ইফাদ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। ওকে চোখ মেলতে দেখেই গালে টোকা মেরে বলল,
— ঘুম ভাঙলো তবে?
রিতু নিজের হতচকিত ভাব কাটিয়ে বলে ফেললো,
— পৌঁছে গেছি?
ইফাদ গাড়ি থেকে নামতে নামতে মৃদু হেসে বলল,
— জি ম্যাম। আপনি এখন আপনার স্বামীর বাড়ির সামনে আছেন, নামুন…
রিতু আড়ষ্ট বোধ করলো। কিছু বলতে যাবে তার আগেই হৈ হৈ রব শোনা গেলো। গাড়ি থেকে নামতেই ইফাদের কাজিনরা এসে রিতুকে দু’পাশে ধরে নিয়ে গেলো। ভেতর থেকে চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে।
দরজার সামনে রিতু নিজের শ্বাশুড়ি নাজিয়া ইসলামকে দেখতে পেলো। মহিলা সবুজ রঙের কাতান শাড়ি পরে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। রিতুর চোখ ধাঁধিয়ে গেলো শ্বাশুড়ির সৌন্দর্য দেখে। ফর্সা গায়ে কী ভীষণ মানিয়েছে তাকে শাড়িটি! অথচ কেউ দেখলে বলবেই না এই মহিলার এত বড় বড় ছেলে-মেয়ে আছে।
নাজিয়া ইসলাম ইফাদ আর রিতুকে বরণ করে ঘরে তুললেন। এরপর রিতুকে নিয়ে যাওয়া হলো বসার ঘরে। ইফাদও আসছিলো, কিন্তু তখনি ওর ফোন বেজে ওঠতেই কল রিসিভ করে ও অন্যদিকে চলে গেলো। বসার ঘরে কোলাহল, আড্ডা চলছে রিতুকে ঘিরে। দাদী শ্বাশুড়ি, ফুফু শ্বাশুড়ি সবাই একে একে বউ দেখতে আসছে। হাসিঠাট্টা চলছে। নতুন বউ এসেছে তাই নিয়ে বাড়ির মানুষজনের মাতামাতির শেষ নেই। এরমধ্যে রিতু জানতে পারলো ওর শ্বশুরবাড়ির সদস্য সংখ্যা অনেক। তিন চাচা শ্বশুর ও তাদের সন্তান সবাইকে নিয়ে বিশাল এক যৌথ পরিবার। রিতু ছোটবেলা থেকে বাবা-বোনের ছায়ায় বেড়ে ওঠেছে। ওদের তিনজনের সংসারে অভাব থাকলেও কখনো ঝামেলা ছিলো না। ও ভাবতে লাগলো এতবড় পরিবারের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবে কিনা!
হৈচৈ, চেঁচামেচি শুনে ওর নিজেকে অসহায় লাগছিলো। ওর পরিচিত কেউই এখানে নেই। একটু পরেই ভেজা চুলে একটা ট্রাউজার আর টি-শার্ট পরে ইফাদ এসে বসার ঘরে সবার সামনে জিজ্ঞেস করল,
— বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছে? টায়ার্ড নিশ্চয়?
সবার সামনে এমন করায় লজ্জায় মিইয়ে গেলো
রিতু। কোনোমতে বলল,
— না….
ইফাদ চলে গেলো।সবাই হাসিঠাট্টা করতে লাগলো। রিতু মাথা নিচু করে বসে রইলো। সবার সামনে এভাবে বলার কোনো প্রয়োজন ছিলো? অংক স্যারের কাজিনদের কথা শুনে ওর কানটান লাল হয়ে যাচ্ছে রাগে, লজ্জায়। নাজিয়া ইসলাম এসে সবাইকে ধমকালেন ওকে এভাবে বেঁফাস কথাবার্তা বলে লজ্জা দেওয়ার জন্য। এরপর রিতুকে নিয়ে গেলেন অংক স্যারের ঘরে, গিয়ে দেখলো সারা বিছানা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। রঙ-বেরঙের সুগন্ধি মোমবাতিও দ্যুতি ছড়াচ্ছে। আর অংক স্যার ফোন কানে নিয়ে পায়চারি করছে বারান্দাজুড়ে। ওকে ঘরে পৌঁছে দিয়েই নাজিয়া ইসলাম রিতুর শাড়ি আনতে গেলো। রিতু অস্বস্তিতে পড়ে গেলো। কি করবে বুঝে ওঠতে পারলো না। এরমধ্যে ঘরে এলো ইফাদ। ওকে দেখে চমকালেও পরক্ষণে মৃদু হাসলো। এরপর হাতে ঘড়ি পরতে পরতে ওকে বললো,
— আমার ভাইবোনগুলোর মধ্যে থাকলে ঘন্টার মধ্যে ওরা তোমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে। আমি তো আর বিয়ের দিনই বউকে পাগল বানিয়ে পাবনা রেফার করতে পারি না। তাই তোমায় ঘর চিনিয়ে দিয়ে গেলাম।
এটা আমার ঘর। আজ থেকে তোমারও। এখানে বসে রেস্ট নাও…
রিতু ‘হ্যাঁ না’ কিছুই বললো না। চুপচাপ শুনে গেলো৷ ওকে মৌন থাকতে দেখে ইফাদ ভ্রু কুঁচকালো। কাছে এসে একটু নিচু হয়ে ওর কানে ছোট্ট একটা চুমু খেয়ে বসলো। রিতু চমকে ওঠলো। মেরুদণ্ড বেয়ে যেন শীতল এক স্রোত বয়ে গেলো। এটা কি করলো স্যার? ইফাদ ওকে চমকাতে দেখে মৃদু হেসে নিচু স্বরে বলল,
— বিয়ে থেকে ফেরার পথে আমার এক বন্ধুর বাইক এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে। সেখানেই যাচ্ছি। ফিরতে দেরি হতে পারে, তুমি কিন্তু অপেক্ষা করবে আমার জন্য, হাজার হোক আমার প্রথম বাসর রাত, জমিয়ে বাসর করবো…
অংক স্যারের এই রুপটাও রিতুর কাছে সম্পূর্ণ নতুন। ও তো ভাবতেও পারছে না এতদিন যে স্যারকে চিনতো, সেই লোক আর ওর সাথে বিয়ে হওয়া লোকটা আদৌ এক কি-না? এত নির্লজ্জ এই লোক? ওর কানে চু’মু খাওয়া? রাগে গা কিলবিল করতে লাগলো রিতুর।
সাহস সঞ্চার করে কটমট করে তাকালো সে স্যারের পানে। কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইফাদ বেরিয়ে গেলো। যাবার আগে আবারও সতর্ক করে গেলো,
–ঘুমানো কিন্তু চলবে না, নেভার…
রিতু ওর যাওয়ার পানে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে
মনে মনে বলল,
— এমন ঘুম দেব তুই কেন, তোর চৌদ্দ গোষ্ঠীও আমার ঘুম ভাঙাতে পারবি না.
এরমধ্যেই নাজিয়া ইসলাম চলে এলেন। রিতুকে ফ্রেশ হতে বললেন। এই ভারী শাড়ি, মেকআপ, সাজগোজে রিতুর এতক্ষণ দমবন্ধ লাগছিলো। নাজিয়া গয়নাগাটি, সাজগোজ মুছতে ওকে সাহায্য করলেন। এরপর একটা সুতি শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমের গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এলো রিতু। বেরুতেই দেখতে পেলো নাজিয়া খাবার নিয়ে বসে আছে। খাবার দেখে রিতুর পেটের ক্ষিধে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠলো। সারাদিনে বিয়ের নাটকে ভালো করে খেতেও পারেনি ও। নাজিয়া ইসলাম ওকে টেনে নিয়ে নিজের পাশে বসিয়ে লোকমা তুলে খাইয়ে দিতে লাগলেন, মা মা ব্যবহার রিতুর ভালো লাগলেও খুব একটা বেশি খাবার খেতে পারলো না। নাজিয়া ইসলাম তবুও জোর করে প্লেটের অর্ধেক খাওয়ালেন। খাওয়াদাওয়ার আয়োজন শেষ করে ওনি বললেন,
— তোমাকে প্রথম দেখেই আমার পছন্দ হয়েছিলো মা। তাই ছেলের জীবনসঙ্গী বানিয়ে আনতে দেরি করিনি। তুমি নিশ্চয়ই এখনি বিয়ে করতে চাওনি…
রিতু অপ্রস্তুত হলো,
— সেভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। বাবা চেয়েছেন আমি যাতে এখনি বিয়ে করে নিই…
নাজিয়া হাসলেন,
— আমি শুনেছি তুমি আসতেই চাওনি আমাদের বাড়ি? এভাবে বিয়ে হওয়ায় কী রাগ করেছো?
রিতু লজ্জিত ভঙ্গিতে বলল,
— সেরকম কিছু না। কষ্ট হচ্ছিল, মন খারাপ লাগছিলো…
— বাবাকে ছেড়ে এসেছো বলে? নাকি ইফাদ তোমার স্যার বলে?
— ওই আরকি!
নাজিয়া ইসলাম হেসে ফেললেন,
— আরে বোকা মেয়ে, এসব কোনো ব্যাপার না। একদম মন খারাপ করবে না। আমার ছেলে কিন্তু খুব একটা খারাপ না…
–জি।
রিতু ভদ্রতাসূচক আলাপন সারলো। নাজিয়া ইসলাম আরো কিছুক্ষণ বকবক করে চলে গেলেন। বাড়ির অন্যদের আর ঘরে এসে হৈচৈ বাঁধাতে দিলেন না। রিতু একা একা ঘরে বসে কী করবে ভেবে পেলো না। ঘরটার চারদিকে চোখ বুলাতেই বেড সাইড টেবিল, কর্ণার আর দেয়ালে স্যারের কিছু পোট্রেটের দিকে চোখ পড়তেই রীতিমতো কাঁদতে ইচ্ছে করলো রিতুর। যেদিকে তাকাচ্ছে সেদিকেই এই ঠকবাজটার মুখ দেখতে হচ্ছে। গত রাতেও এমন কিছু ভাবেনি ও৷ বাবা যে কি করে বসলেন ওর সাথে! রিতু বাবার কথা মনে করেও কিছুক্ষণ কাঁদলো। মানুষটা সম্পূর্ণ একা হয়ে গেছে৷ আজ ওর সত্যিই আফসোস হচ্ছে। মা বা একটা ভাই থাকলে হয়তো বাবা একা হয়ে পড়তেন না কখনো। এসব ভাবতে ভাবতেই ফুল সাজানো বিছানার দিকে চোখ পড়লো ওর। বুকের ভেতরটা কেমন ছটফটিয়ে ওঠলো। অংক স্যারের নির্লজ্জ কথাগুলো মনে পড়লো। এরপরই মেজাজ গরম হয়ে গেলো।
এই লোকটার সাথে এত সুন্দর বিছানা শেয়ার করতে হবে ভাবতেই পারলো না ও। তাই সবগুলো গোলাপের পাপড়ি জমিয়ে বারান্দা দিয়ে বাইরে ফেলে দিলো। মোমবাতিগুলো নিভিয়ে ফেললো। সব উলটপালট করতে করতে মনে মনে বললো, এবার জমিয়ে বাসর কর শ’য়’তান, নির্লজ্জ! এরপর নিজে আরাম করে শুয়ে পড়লো৷ মিনিট খানিকের মধ্যে ঘুমিয়েও পড়লো। তবে মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো ওর। গুমোট মস্তিষ্ক সচল হতেই আবিষ্কার করলো অংক স্যার ওকে বুকের ভেতর জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে৷ নড়তেই পারছে না ও। রাগে রিতু হতভম্ব হলো, মাথায় আগুন জ্বলে ওঠলো। কিছু না ভেবেই কা’ম’ড় বসিয়ে দিলো অংক স্যারের বাহুতে। ঘুমের মধ্যে ইফাদ কঁকিয়ে ওঠলো ব্যথায়। প্রায় লাফিয়েই ওঠে বসলো। রিতুও রাগ নিয়ে ওঠে বসলো। ইফাদ একবার নিজের হাতে আরেকবার
রিতুর দিকে তাকিয়ে রুক্ষ স্বরে বলল,
–কী সমস্যা তোমার? এভাবে কেউ কা’ম’ড়ে দেয়?
রিতু রাগে ফেটে পড়লো,
— এভাবে কেউ জড়িয়ে ধরে? আমি আপনার ছাত্রী আপনি সেটা ভুলে গেছেন? ছি ছি…
রিতুর কথা শুনে ইফাদও এবার রেগে গেলো,
— একশোবার, হাজারবার জড়িয়ে ধরবো। ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন রিতু, তুমি এখন আমার বিয়ে করা বউ। কোনো ছাত্রী নও, অন্ততপক্ষে বেডরুমে তো নওই…
রিতু কাঁপতে কাঁপতে বলল,
— নির্লজ্জ, ইতর লোক…
— যা মনে করো…
রিতু এবার অংক স্যারের কলার চেপে ধরলো,
— আপনার একটুও অপরাধবোধ নেই?
ইফাদ ঘাবড়ালো না। বরং ওর মজা লাগলো রিতুর রাগ রাগ আচরণ। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে বলল,
— তোমার আছে? তোমারও তো নেই। এই অধম যে তোমাকে অপেক্ষা করতে বলে গেলো, সে কথা তুমি রেখেছিলে? আজ আমাদের প্রথম রাত, কোথায় গল্পটল্প করবো, জোছনাবিলাস করবো তা না। বাসরঘরকে বস্তিঘর বানিয়ে কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে পড়লে কেন তুমি?
রিতু রাগে এবার অন্ধ হয়ে গেলো,
–একশো বার বানাবো। দরকার পড়লে বাসরঘরে আ’গুন জ্বা’লি’য়ে দেবো। তোর সাথে বাসর করতে, জোছনা বিলাস করতে আমার বয়েই গেছে। ঠকবাজ, বুইড়া বাঁদড় কোথাকার…
ইফাদ হতভম্ব হয়ে গেলো। রিতুর থেকে এধরণের আচরণ অপ্রত্যাশিত। ভাবতেও পারেনি এই মেয়ে এভাবেও কথা বলতে পারে? যে মেয়ে এক বলতে
গিয়ে একশো বলে ফেলে, সে মেয়ে বাসর রাতে তার স্বামীকে তুইতোকারি করছে? ঠকবাজ, বুইড়া বাঁদড় বলছে? টগবগে যুবক সে। এখনো মেয়েরা ওর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। কত মেয়ে লাইন ধরে ওর পেছনে ঘুরছে, ইনিয়েবিনিয়ে কাছে আসতে চায়, প্রেম করতে চায় সেখানে নিজের বউয়ের কাছে ইফাদ বুড়ো? অপবাদগুলো ওর মোটেও সহ্য হলো না। ওর কলার চেপে ধরে থাকা রিতুর কোমড় জড়িয়ে সে দুর্বৃত্ত হেসে বলল,
— তোমার হাজব্যান্ড বুইড়া নাকি টগবগে যুবক তার প্রুফ চাচ্ছো বললেই হতো। এভাবে আমার পৌরুষকে অপমান করে মাথাটাই তো বিগড়ে দিলে ডার্লিং….
রিতু অংক স্যারের হাসি দেখে কুঁকড়ে গেলো। লোকটা তো ওর ভাবনার বাইরে নির্লজ্জ!
____
[ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটাতে হাস্যরসাত্মক কিছু বিষয় থাকবে। সেইসাথে প্রচুর সিনেমাটিক, ড্রামাটিক হবে। এখন আপনি যদি এই বিষয়গুলো পছন্দ না করেন তাহলে স্কিপ করে যাবেন। ধন্যবাদ।]
চলবে…
সবাই ফলো দিয়ে রাখুন Bindas Life