#দেওয়ানা( আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৯১
#ধার্মাকা_পর্ব
🍂
হেনা খাঁন রিদের পিছন পিছন যেতে নিবে তার আগেই আরাফ খান হেনা খাঁনের পথে আটকায়। তিনি হেনা খাঁনকে শান্তনা দিয়ে বললেন যে, রিদ মায়াকে কোনো রকম কষ্ট বা আঘাত করবে না। ওদের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে সেটা ওরাই ঠিক করে নিবে হেনা খান না যেতে। শুধু ওদের দুজনকে কিছুটা সময় একা ছেড়ে দিতে বলল,,, আরাফ খানের কথায় হেনা খাঁন কিছুটা শান্ত হলেও রিদের যাওয়ার দিকে করুন দৃষ্টি বুলাল।
.
মায়াকে কোলে করে নিজের রুমে প্রবেশ করলো রিদ। মায়াকে নামিয়ে বামহাতে রুমের দরজা লক করল। ছটফট করা মায়া চলে যেতে নিলে ওকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে শক্ত করে। মায়া রিদের এমন কাজে খানিকটা ভরকে গিয়ে কান্না করতে করতে কিছু বলতে যাবে তার আগেই রিদ মায়ার গলায় নিজের মুখ গজায় কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে,, আকস্মিক ঘটনায় মায়া চমকে উঠে সাথে সাথে নিজের দুহাত দিয়ে রিদের কাঁধের শার্ট আঁকড়ে ধরে দুই পা উঁচু করে,,,,
রিদ নিজের দুই হাত মায়া শাড়ির ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে মায়ার কমড় শক্ত করে জরিয়ে ধরে নিজের সাথে মায়াকে উঁচু করে তুলে ধরে,, রিদ দেখা ভয়ংকর স্বপ্নটা সাথে মায়া বলা কথা গুলো রিদকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে তুলে মায়াকে হারানো ভয়টা,, রিদ মায়াকে নিজের সাথে বেঁধে রাখার জন্য হয়তো এমনটা করছে,, যাতে আর কখনো মায়া রিদকে ছেড়ে যেতে না পারে তাই রিদ মায়ার সুমতি ছাড়ায় আজ মায়াকে নিজের করে নিতে যাচ্ছে,,, হয়তো আজ রিদ এমন কিছু করতো না সঠিক সময়ে জন্য অপেক্ষা করতো মায়ার সুমতি নিয়ে মায়াকে আপন করে নিতো কিন্তু আজকের দেখা স্বপ্নটা রিদকে ভিষণ ভাবে নাড়িয়ে তুলে যার কারণে রিদের এই মূহুর্তে যেটা ঠিক মনে হচ্ছে সেটাই করছে………
.
রিদ মায়ার গলায় থেকে নিজের মুখ তুলে মায়া চোখে মুখে কপালে ছোট ছোট চুমু খেয়ে ওপরে চোখ তুলে তাকাতেই মায়াকে চোখ বন্ধ করে থাকতে দেখে সাথে সাথে মায়ার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে দেয়ালে চেপে ধরা অবস্থায়,,, রিদের এমন কাজে মায়া সাথে সাথে নিজের দুচোখ খুলে বড় বড় করে তাকিয়ে থেকে রিদের শার্টির কলার আরও শক্ত করে খামচি দিয়ে ধরে চোখ মুখ হিচকে আবারও বন্ধ করে ফেলে শিহরিত হয়ে……….
.
রিদ নিজের কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় খানিকটা সময় বাদেই মায়া প্রাণপূণ শক্ত দিয়ে রিদকে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়,, আকস্মিক ঘটনায় রিদ তাল সামলাতে না পেরে কয়েক কদম পিছিয়ে যায় মায়ার থেকে,, মায়ার হঠাৎ ধাক্কা রিদ রেগে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে রক্ত চক্ষু করে মায়ার দিকে তাকায়,, মায়ার রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে একহাত দিয়ে নিজের ঠোঁট মুছতে যাবে তার আগেই রিদ মায়াকে নিষিদ্ধ সুরে রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে……..
.
—” আই সোয়ার বউ তুই এখন ঠোঁটে হাত দিবি তো তোর ঠোঁট আর ঠোঁট থাকবে না,, সারা রাতও ছাড় পাবিনা তুই আমার কাছ থেকে যদি ঠোঁট মুছবি তো……….
.
রিদের এমন কথা মায়ার মূহুর্তেই ভরকে গিয়ে রিদের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকায়,, রিদ হঠাৎ করে কেন এতটা রাগান্বিত হয়ে আছে সেটা বুঝতে না পেরে মায়াও রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে কটমট করতে করতে বলে উঠে……….
.
—” আপনি আমার সাথে এমন করছে কেন,, আমি কি করেছি,, আমাকে যেতে দিন থাকবো না আমি আপনার সাথে……….
.
কথা গুলো বলেই মায়া সাথে সাথে রিদের রুম থেকে যেতে নিবে তার আগেই রিদ মায়ার শাড়ির আঁচল একহাত চেপে ধরে সাথে সাথে উল্টো ঘুরিয়ে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে আবারও দেয়ালের ফেলে দেয় আর নিজের হাতে থাকা মায়ার শাড়ির আঁচলটা ধরে রেগে টেনে খুলতে নিবে তার আগেই মায়া নিজের শাড়িতে দুহাতে আঁকড়ে ধরে রিদকে দ্রুততা সঙ্গে বলে উঠে……….
.
—” আরে আরে কি করছেন আপনি,, আমার শাড়ির টানছেন কেন, এই শাড়িটা আমাকে দাদী দিয়েছে, এটা কিন্তু আপনার দেওয়া শাড়ি নয়, এটা দাদীর শাড়ির………
.
মায়ার এমন ভিত্তিহীন কথায় রিদ বিরক্তি নিয়ে মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে শাড়ি টেনে খুলতে খুলতে বলে উঠে…………..
.
—” দাদীর শাড়ির বলেই খুলে ফেলবো, রাখবো না………
.
কথা গুলো বলেই রিদ মায়ার শাড়ির আঁচল ধরে টান দিয়ে খুলে ফ্লোরে ফেলে দেয়,, পরে এক এক করে নিজের শার্টের বোতাম গুলো খুলতে থাকে মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে,, মায়া রিদের এমন কর্মকান্ড গুলো কিছুই বুঝতে না পেরে এক পলক ফ্লোরে পড়ে থাকা শাড়িটি দিকে তাকিয়ে থেকে আবারও রিদের দিকে তাকায় পরে রিদকে নিজের শার্ট খুলতে দেখে মায়া ভ্রুঁ কুচকে বলে উঠে………….
.
—” আপনি শার্ট খুলছেন কেন,, আপনার শার্টটা ও কি দাদী দিয়েছে……….
.
মায়ার এমন বোকা বোকা কথায় রিদ বিরক্তি নিয়ে নিজের গায়ের শার্ট ফ্লোরে ছুড়ে ফেলে বলে উঠে……..
.
—” হুমমম তোমার আমার সব কাপড় দাদী দিয়েছে তাই সব খুলে ফেলে দিব একটাও রাখবো না………….
.
রিদের এমন কথায় মায়া চিন্তত সুরে বলে উঠে……….
.
—” তাহলে আমি পরবো কি…..
.
—” আজ না পড়েই থাকবে তুমি…….
.
—” এ্যাঁ কাপড় ছাড়া আমাকে ভালো লাগবে নাতো…….
.
মায়া কথা গুলো শেষ করতে করতে রিদ মায়ার কাছে এসে সাথে সাথে মায়াকে কোলে তুলে নিয়ে মায়াকে বলে উঠে……..
.
—” তোমাকে কেমন লাগবে কাপড় ছাড়া সেটা কাল সকালে বলবো এখন চুপচাপ থাকো…….
.
রিদ কথা গুলো বলতে বলতে মায়াকে বেঁটে মধ্যে শুইয়ে দেয় পরে এক হাত বাড়িয়ে রুম লক করার রিমোট নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মায়ার ওপর নিজের শরীরে ভর ছেড়ে দিয়ে মায়ার গলায় মুখ গজিয়ে চুমু খেতে থাকে মায়ার দুহাত নিজের দুহাতে বিছানায় চেপে ধরে,, মায়া রিদের এই রুপ দেখে ভয় পেয়ে যায় সাথে সাথে তাই নিজেকে রিদ থেকে বাঁচানোর জন্য চটপট করতে করতে বলে উঠে……..
.
—” আপনি এমন করছেন কেন, আমা………..
.
মায়া বাকি কথা গুলো শেষ করার আগেই রিদ আবারও মায়ার ঠোঁট আঁকড়ে ধরে সফটলি ভাবে,,,
আজ রিদ সকল ভয় পিছনে ফেলে মায়াকে নিজের করে নিচ্ছে,, মায়া খনে খনে পাগলামো করলেও রিদ সামলে নিচ্ছে সমান ভাবে,, রিদ মায়ার সকল পাগলামো জয় করে আপন করে নিচ্ছে গভীর ভাবে,,, রিদ মায়াকে নিয়ে মেতে উঠছে আদিম খেলায়, আজ রাতটা রিদের রাত, আজ রাতটা রিদও মায়ার ভালোবাসা পূর্ণতা পাবার রাত,, আজ রাতটা রিদের সুখের রাত সকল চাওয়ার পূর্ণতা পাবার রাত……..
.
.
শীতের সকাল ঘুড়িতে আটটা বাজে,, খান বাড়িতে চারদিকে হৈ হুল্লোড় ডোল পড়েছে,, আজ ফিহার বিয়ে,, কাল ফিহার হলুদের পূর্বটা শেষ করে ঘুমাতে ঘুমাতে বেশ রাত হয়ে গেলেও আজ সবাইকে সকাল সকাল উঠতে হয়েছে বিয়ে জন্য,,,, বউ সহ ছোট বড় সবাই আজ সকাল সকাল খান বাড়ির ড্রয়িংরুমে উপস্থিত থাকলেও দুজন মানুষ অনুপস্থিত আর তা হলো রিদ ও মায়া,,, কাল রাতে রিদ মায়াকে নিয়ে রেগে রুমে যাওয়ার পর কেউ আর সাহস করে উঠতে পারিনি রিদও মায়ার খবর নিতে যেতে রিদের রুমের সামনে রিদের ভয়ে যদি আবারও রেগে বসে তো,,,
.
রিদের ভয়ে সবাই বারবার উপরে দিকে তাকিয়ে থেকে রিদ ও মায়াকে খুঁজে চলছে যদি রিদ সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামে তো মায়াকে দেখতে পারবে আর মায়াকে জিজ্ঞেসা করতে পারবে কাল কি হয়েছে রিদ এতটা রাগান্বিত হয়ে ছিল কেন,,, কিন্তু সবার এমন সব চিন্তা ভাবনায় রিদ জলাঞ্জলি দিয়ে রুমের ভিতর শুয়ে আছে মায়াকে নিয়ে নিশ্চিতে,, হয়তো নিজের ভয়টা কাটাতে পেরে আর ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে পেয়ে নিশ্চিতে ঘুমাচ্ছো রিদ…….
.
চলবে………………..