#হিয়ার_মাঝে ৫৮.
#মেঘা_সুবাশ্রী ®️
মধ্যাহ্নের ক্লান্ত দুপুর। বন্ধুদের সাথে আড্ডা শেষ করে বাসায় এসে পৌঁছায় জিতু। দুপুরের খাবার শেষে অবসন্ন শরীরে দু’চোখ মুদে আসছিল বার বার। শেষে না পেরেই বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে পড়েছে। কিছু সময় পেরুতেই তার মুঠোফোন শব্দহীন কম্পিত হল। ছোট্ট টেবিলটার উপর কম্পন্ন তুলে ফের বন্ধ হয়ে গেল। নিদ্রায় আচ্ছন্ন জিতু হুঁশহীন। এভাবেই পর পর কয়েকবার কম্পিত হল মুঠোফোন। শেষ কল এসে যখন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম আচমকাই তার ঘুমন্ত চোখজোড়া খুলে গেল। তন্দ্রাঘোরে মুঠোফোন হাতে নিল। নিভু নিভু চোখে স্ক্রিনে চোখ বুলাতেই অবাক হল। অচেনা নাম্বার দেখে কিছু সময়ের জন্য ভাবনায় পড়ল। তবু কোনোভাবে কল রিসিভ করে বলে উঠল,
‘হ্যালো কে?’
অপর পাশ থেকে অল্প বয়সী এক মেয়েলী কন্ঠস্বর ভেসে এল। মেয়েটি অনর্গল নিজের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও তার বলা একটা কথায় জিতুর ঘুম পুরো উবে গেল। নিজেকে নিজেই বলে উঠল, আঙ্কেল! তাকে কোন আঙ্গেল থেকে আঙ্কেল মনে হয় এই বোকা মেয়ের। রাগে থরথর করল। বেশি কিছু জবাব দিল না সেই মেয়ের। এটা সেই বোকা মেয়ে! যে তার নাম্বারে ভুল করে বিকাশ করেছে। মেয়েটার টাকা পাঠিয়ে সে কল কাটল। নিস্তব্ধ কয়েক মিনিট ধরে ঘোরের মধ্যে আছে সে। তার কন্ঠ কি সত্যিই বুড়োর মতো। নিজের মুঠোফোন হাতে নিয়ে নিজের গম্ভীর গলায় তার কথা রেকর্ড করল বেশ কয়েকটি। ফের শুনে দেখল না’তো বুড়ো তো মনে হচ্ছে না। তাহলে এই বোকা মেয়ে আঙ্কেল বলল কেনো? সে কি আদৌ আঙ্কেল না’কি। বয়স একুশ তার। বাংলাদেশের আইন মোতাবেক মাত্র বিয়ের বয়স হয়েছে। আর এ বয়সে তাকে বলে কি’না আঙ্কেল? দেয়াল ঘড়িতে তখন দুপুর ২টো বেজে ২০ মিনিট। চোখের পাতায় তার ঘুম ধরল আর। মানসপটে ভেসে আসছে ঐ বাক্যেধ্বনি।
‘আঙ্কেল, আপনি আমার টাকাগুলো ফেরত দিবেন, প্লিজ। আঙ্কেল, আপনি আমায় চিনবেন না। আঙ্কেল, আমার বাড়ি বরিশাল। আঙ্কেল, আমার নাম নুহাহ। আঙ্কেল, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে। ধন্যবাদ আঙ্কেল।’
উফফ! এই মেয়ে তাকে কতবার আঙ্কেল ডেকেছে আল্লাহই জানে। কি যেনো নাম, ও নুহাহ না টুহাহ। বোকা মেয়ে একটা! বাড়ি কোথায় বলল বরিশালে। থাকে কোথায়? হয়তো নদীনালায়, বিল-খালে। দিন গড়িয়ে রাত হল। কিন্তু তার মনে এখনও সেই শব্দধ্বনি বেজে যাচ্ছে। পড়তে বসেও ধ্যান নেই। অযাচিত মনে তার নজর চলে যাচ্ছে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায়। মনে হাজারও কল্পনা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই মেয়েকে আচ্ছাভাবে জব্দ করে তবেই ক্ষান্ত হবে। নয়তো মন তার শান্ত হবে না।
সকালে কাকের কর্কশ শব্দে ঘুম ভাঙলো তার। কিন্তু হঠাৎই কাকের কা কা শব্দে গতকালকের সেই বোকা মেয়ের কথা মনে পড়ে গেল। মুহুর্তে চোখমুখ কুঁচকে এল। গতকাল কাকের জন্যই না’কি সেই মেয়ের এত বড় ভুল হয়েছে। ভাবা যায়! কি অদ্ভুত মেয়ে! নিজে ভুল করে কাককে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল। কি বুদ্ধি! সত্যি প্রশংসনীয়। নিজের দু’হাত প্রসারিত করে বারান্দায় দাঁড়াল। অদূরে থাকা কাকের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করল। আজকাল মানুষরা তোদেরও ছাড় দেয় না। বুঝলি কাকভাই। তবে মুখে যাই বলি, তোরা কিন্তু যেখানে সেখানে নিজেদের টয়লেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারিস না। এটা কিন্তু সত্যি।
জিতু তৈরি হয়ে নিচে গেল। নাস্তা খেয়ে ভার্সিটি যাবে। ড্রাইনিং রুমে আসতেই দেখল, খাবার রেডি করছে তার মা’। তাকে দেখে বলল, ‘উঠেছিস। বস তাহলে। নয়তো আমি ডাকতে যেতাম এক্ষুনি।’ নিশব্দে মায়ের বলা বাক্যেই সে বসে পড়ল চেয়ারের উপর। নিজের জন্য দু’টো স্যান্ডউইচ, একটা সিদ্ধডিম, এক গ্লাস দুধ নিয়েছে। একটা স্যান্ডউইচ খেয়ে মাত্র অন্যটিতে কামড় বসাবে ঠিক তখনি আগমন ঘটল এক আগুন্তকের। ছন্নছাড়া এক উদ্বাস্তু সকাল সকাল তাদের বাড়ি হাজির। সে দেখেই চেঁচিয়ে উঠল,
‘কিরে লম্বুর বাচ্চা, এত সকাল সকাল আমাদের বাড়ি কি? তোর কর্ণেল বাপ কি তোরে নাস্তা খাইতে দেয় না।’
জিমান ভাবলেশহীন। টেবিলে রাখা জিতুর খাবারে ভাগ বসালো। যা ছিল তার অর্ধেক খাবার নিজের পাতে নিয়ে নিল। জিতু নিজের ডিম নেওয়ার আগে জিমান তা পেটে চালান করে দিয়েছে মুহুর্তেই। এতেই জিতু তেতে উঠল। ‘কিরে আমার ডিম খেলি কেন? জিমান অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। ‘জিতু আমি তো জানি মুরগী ডিম পারে। কিন্তু তুই যে ডিম পাড়িস তা তো জানতাম না।’ মেজাজ চটল জিতুর। হুট করে দু’গাল চেপে ধরল জিমানের। তিরিক্ষি গলায় বলল, ‘যা খেয়েছিস, তাও বের করে নেব তোর।’
জিমান চেঁচালো, ‘খালামনি এই জিতুর বাচ্চাটা কি তোমার ছেলে? দেখলে তো মনেই হয় না। কোত্থেকে কুড়াই আনছো এরে। আমারে খাবারের খোঁটা দেয় কেমনে দেখছো।’
‘ওটা জিতুর বাচ্চা না, আজমল ফরাজীর বাচ্চা।’
আজমলের বলা শেষোক্ত কথায় জিমান জিতু দু’জনেই থামল। জিমান মুচকি হেসে বলল, ‘জ্বী, আঙ্কেল। আসলেই ভুল হয়ে গেছে। এবার থেকে আজমল ফরাজীর বাচ্চা বলমু। ঠিক আছে।’
মুহুর্তে আজমলের চক্ষুদ্বয় বড় হয়ে গেল। নিজমনে হেসে উঠল। এরা বুঝি আর বড় হল না। পাশে বসা ঈশিতা হেসেই যাচ্ছে। বিড়বিড় করল নিজমনে, দু’পাগল একসাথে হলেই এই অবস্থা। কোথায় কি বলবে তাই জানেই না এখনো। নাস্তা শেষ করে দু’জনেই ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা দিল।
__
ক্যান্টিনের পাশে বকুলতলায় বন্ধুমহলের অপেক্ষায় বসে আছে দু’জনে। কয়েক গজ দূরত্বে ডাস্টবিন থেকে একঝাঁক কাকের কা কা শব্দ আসছে। এ দৃশ্য দেখে আনমনে জিতুর মনে পড়ল সেই বোকা মেয়ের কথা। নিজমনে বিড়বিড় করল, আশ্চর্য তো! এই মেয়ে তো একদমই ভালো নয়। হুট করে যেখানে সেখানে হানা দেয় দেখছি। এটা ভালো লক্ষণ নয় জিতু। তবুও নিজমনে বিড়বিড় করে গেল অযাচিত কিছু।
‘একটা কাক, অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল, দশ হাজার টাকা, অপ্রত্যাশিত কল আর পাঁচ মিনিটের এক বোকা মেয়ের কোকিলা কন্ঠস্বর।’
জিমান আচমকাই বলে উঠল, ‘কি গো জিতু বাবু আপনার কি বসন্তের হাওয়া লেগেছে। কিন্ত এখন তো বসন্তকাল না শীতকাল। নাকি শীতে পাগল হয়ে গেছেন? জিতু চোখ পাকালো জিমানের দিকে। মুখ বাকিয়ে বলে উঠল,
‘পাগল তো তুই, সাথে আমাকে পাগল বানাচ্ছিস, যা সর বাসায় যামু।’
জিমান ভ্যাবাচ্যাকা খেল। এর আবার কি হল? মতিভ্রম হল না’কি?
___
শীতের উষ্ণ মধ্যাহ্নবেলা। দ্বিপ্রহরের শেষ সময়। জিতুর মনে উদয় হল গতকালের খন্ড চিত্র। ঠিক গতকাল এ সময় মেয়েটা তাকে কল দিয়েছিল। তারও ইচ্ছে হল মেয়েটাকে একটু জ্বালিয়ে দেখতে। কেমন হবে ভাবল। হুট করে কল দিল সেই অচেনা অপরিচিত মেয়েটাকে। তবে কলটা দ্রুতই রিসিভ হল। ফের অপর পাশ থেকে গতকালের মতই একই সুর ভেসে এল।
‘আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল ভালো আছেন। কাল আপনি আমার কত বড় উপকার করেছেন বলে বোঝাতে পারব না। সত্যি আপনার মত মানুষ হয় না।’
জিতু নিজেকে আর সংযত করতে পারল না। তিক্ত গলায় বলে উঠল, ‘আঙ্কেল, আঙ্কেল, ডাকছো কেনো?’
‘জ্বী, তাহলে কি ডাকব ভা,,ভাইয়া?’
এই মেয়ে আঙ্কেল থেকে সোজা ভাইয়াতে। রাগ থরথর করে বাড়ল তার। মূহুর্তেই কঠিন এক ধমক দিল।
‘আমি তোমার মায়ের পেটের ভাই। না তুমি আমার বোন। না আমাদের রক্তের কোন সম্পর্ক আছে। না আমি তোমার এলাকার ভাই। যে তুমি আমাকে ভাইয়া ডাকবে? কিছুই ডাকার দরকার নেই। নাথিং, বুঝেছো বোকা মেয়ে!’
মেজাজ চটে আছে বেশ। তাই হুট করে কল কেটে দিল। মাথা ঠান্ডা করার জন্য ভাবল বেশ কিছু সময়। এই মেয়ের কি করা যায়। তবে মেয়েটার বয়স, পরিচয় সব তাকে জানতে হবে। তারপর তার মস্তিষ্ক শীতল হবে। যা ভাবনা তাই করল। ফের কল দিল সেই নাম্বারে। রিসিভ হতেই শান্তস্বরে কথা বলল। কথায় কথায় মেয়েটার পরিচয়, বয়স, পড়াশোনা সব জেনে নিল। মেয়েটার বয়স মাত্র ষোলো। এসএসসি পরীক্ষার্থী। কি অবাক কান্ড! শেষে নিজের পরিচয় বয়সও বলল। দিন গড়িয়ে রাত নামল। কিন্তু সে কেমন আসক্ত হয়ে পড়ল মেয়েটার প্রতি। মাত্র দু’দিনের পরিচিত অথচ। এটা বড্ড বিদঘুটে লাগছে তার কাছে। তবে মেয়েটার সাথে কথা বলতে বেশ ভালো লাগে তার। ফের রাতে কল দিল। কিন্তু রিসিভ হল না। সময় যেনো ফেরুতেই চাইছে না। কেমন অস্থির লাগছে। এভাবে পুরো একদিন কাটল। মেয়েটা তার কল রিসিভ করল না। এতে তার অস্থিরতা যেনো আরও বাড়ল। নিজেকে কেমন পাগল পাগল লাগছে। এই মেয়ে তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে কেন? পিচ্চি একটা মেয়ে! তার মত এমন সুদর্শন ছেলেকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এটা ভাবা যায়, একদমই না। পরেরদিন দুপুরবেলায় ফের কল দিল। যাই হয়ে যাক, একবার কথা বলা চাই। মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে ঐ বোকা মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য। সেই দুপুরে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত কল রিসিভ হল। মনটা ফুরফুরে ও প্রশান্তিতে ভরে উঠল। কিন্তু সেই প্রশান্তি তার স্থায়ী হল না। যখন মেয়েটার মুখে এক তীর্যক বাক্যে প্রতিধ্বনি হল।
‘প্লিজ, আপনি আর আমাকে বিরক্ত করবেন না। আমার আম্মু শুনলে রাগ করবে। আমাকে বকাবকি করবে। প্লিজ, আর কল দেবেন না।’
জিতু যেনো অথৈজলে পড়ল। এই মেয়ে তাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছে। এই দিনও দেখতে হল। নিজের রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাল। চট করেই সেও বলে উঠল,
‘ঠিক আছে, যাও বিরক্ত করবো না।’
এই বলেই কল কাটল। কিন্তু মন তার পড়ে আছে সেই পিচ্চি মেয়ের কাছে। এ কোন সর্বনাশ হল তার! না পারছে সইতে, না পারছে বলতে।
পাশে শুয়ে থাকা জিমান থুতনিতে দুই হাত দু’দিকে প্রসারিত করে জিতুর দিকে তাকিয়ে আছে। টিপ্পনী মেরে বলে উঠল।
‘জিতু তুই মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেলি না’তো?
নিস্তব্ধতায় আচ্ছন্ন জিতু প্রতিত্তোর করল না। জিমান এবার নড়েচড়ে বসল। নাক টেনে ফিসফিস করে বলল,
‘কেমন যেনো পোড়া পোড়া গন্ধ আসছে। তোর কি কোথাও পুড়ছে জিতু? আরে এ আর এমন কি। কত মেয়ে আসবে যাবে। বাদ দেয় না ভাই।’
মুহুর্তে জিতুর মুখে তির্যক বাক্য ফুটে উঠল। দৃঢ় গলায় জবাব দিল,
‘বাদ দেব, অসম্ভব! আমার তো এই মেয়েকে চাই চাই। যেভাবে হোক, সারাজীবনের জন্য যদি এই মেয়েকে নিজের করতে না পারি তো তবে আমার নামও ইয়াফি ইমদাদ জিতু নয়।’
চক্ষুদ্বয় কোটর থেকে বের হবার উপক্রম। বেশ অবাক হল জিমান, ‘তুই এই পিচ্চি মেয়েটাকে আমাদের ভাবী বানানোর পায়তারা করছিস জিতু?’
জবাবহীন জিতু থম মেরে আছে। হঠাৎই তার চোখেমুখে অসহায়ত্ব ফুটে উঠল। অজানা এক ভাবনায় মগ্ন হল। জিমান ফের অবাক হল।
‘তোর আবার কি হল? একটু আগেও তো দাঁত কেলিয়ে হাসছিলি।’
অসহায় চোখে সে জিমানের দিকে তাকাল। গলার স্বরে বেশ আকুলতা ফুটে উঠল।
‘কিন্তু আমার সত্যি ভয় করছে। আমি ওকে হারাতে চাইনা। প্লিজ একটা কিছু কর না জিমান। কিভাবে ওকে ফিরে পাব? ওর সাথে ফের কিভাবে কথা বলব?’
‘তুই না লাভগুরু, সবাইকে প্রেমের পরামর্শ দিয়ে বেড়াস। এখন তুই আমার কাছে পরামর্শ চাইছিস।’
‘অন্যের জন্য ঠিকি কোনো উপায় বের করতে পারি কিন্তু নিজের জন্য কিছুই মাথায় আসছে না এখন।’
জিতুর এমন ব্যকুলতা দেখে জিমান নিজ ভাবনায় পড়ল। কাউকে না দেখে দু’দিনের পরিচয়ে কি ভালোবাসা হয়ে যায়। না’কি শুধুই মোহ! জানা নেই তার।
__
চোখ খুলে পিটপিট করে তাকাতেই দেয়াল ঘড়িতে চোখ পড়ল জিতুর। প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। এতক্ষণ ঘুমিয়ে কাটিয়েছে সে। একটু পর মাগরিবের আজান দিবে। পাশে তাকিয়ে দেখে জিমান বিছানায় নেই। কোথায় গেল বাঁদরটা। দু’জনেই একসাথে ঘুমিয়েছিল। অবশ্য বেশিদূর খোঁজা লাগেনি। দেখল মহোদয় বাথরুম থেকে দাঁত কেলিয়ে বের হচ্ছে। তার সামনে এসে চোখ টিপে বলল,
‘আমার একমাত্র পিচ্চি ভাবির জামাই আপনার জন্য আইডিয়া পেয়ে গেছি।’
জিতু কপাল কুঁচকালো। তাহলে এতক্ষণ বুঝি টয়লেটে এটাই ভাবছিলি। জিমান মুখ বাঁকালো। পৃথিবীর সব বড় বড় বুদ্ধিজীবীরা কিন্তু টয়লেটে বসেই নিজেদের আধ্যাত্মিক চিন্তাগুলো করে, বুঝলি। ওহ হ, তুই এগুলো বুঝবি না, তুই তো আবার পিচ্চি মেয়ের প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিস। তাই তোর মাথায় এমন মহান আধ্যাত্মিক চিন্তা ভাবনা আসবেও না।
চলবে,,,,,
নুবাহর অতীতে সব বিস্তারিত দেওয়া ছিল। তাই নুবাহর কোনো কথোপকথন এখন দেওয়া হবে না। শুধু ইমদাদের রি’অ্যাকশন দেখানো হচ্ছে। সবাইকে রেসপন্স করার অনুরোধ করা হল। ধন্যবাদ।
ফটো ক্রেডিট : মিসেস আনসারি ধন্যবাদ