হিয়ার_মাঝে ৫৩. #মেঘা_সুবাশ্রী

0
361

#হিয়ার_মাঝে ৫৩.
#মেঘা_সুবাশ্রী ®️

হাস্যোজ্জ্বল মুখশ্রীতে সহসাই বেদনার ছাপ। তার দু’চোখেও কতশত স্বপ্ন আর রঙিন প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়। কিন্তু তার যে ছোঁয়ার সাধ্যি নেই। সদ্য এইস.এস.এসি শেষ করা অষ্টাদশী বোনকে দু’দিন বাদেই পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে। এই মুহুর্তে কিভাবে নিজের বিয়ের কথা বলবে। আর জুঁইকে বা কি দিয়ে বরণ করবে সে। নিজের বলতে তো কিছুই নেই। চাকরির জন্য একটা ফার্মাকোলজি বিভাগে আবেদন করেছে। জবটা হলে অন্তত বিয়ের কথা বলতে পারত। বুকের মাঝে দীর্ঘায়িত সেই কষ্ট ফের নাড়াচাড়া দিয়ে উঠল। তারপরও মুবিনের খুব করে বলতে ইচ্ছে হল,

‘জুঁইফুল চলো এবার আমরা বিয়ে করে নিই। পড়াশোনা, সংসার দুটোই না হয় একসাথে করি। তুমি রান্না না পারলে আমি রাঁধবো মাঝেমধ্যে। তোমায় বুকে নিয়ে আমাদের শেষ জীবন’টা না হয় এভাবে পার করি। থাকবে তো সারাজীবন আমার সর্বসঙ্গী হয়ে?’

মনের মাঝে সারাদিন আওড়ালেও মুখ ফুটে আজও হইনি বলা। মুবিনের এমন চুপসে যাওয়া মুখ নিয়ে সানি ফোড়ন কাটলো,

‘কেউ খায় ডুইবা ডুইবা জল,
কেউ খায় ভাইসা ভাইসা জল,
জিগাইলা কয় শালা সব মিথ্যেবাদীর দল।
সবাই করলে রাজলীলা,
শালা, ম্যা ক্যারু তো ক্যারেক্টর ঢিলা।’

বিমূঢ় থাকা মুবিন ভ্রু কুঁচকালো। সানির দিকে তৎক্ষণাৎ চোখ পাঁকালো। কিন্তু সানি ভাবলেশহীন। তার সাথে রকিও যোগ দিল। সে বাওয়ালি গানের মত সুর টেনে গেয়ে উঠল,

‘যাহা আছে মনে মনে,
বল বন্ধু তাহার সনে,
হোক না কথা আলাপনে
প্রেম যে চলুক গোপনে।’

দু’জনের অদ্ভুত কীর্তিকলাপ দেখে মুবিনের চক্ষু চড়কগাছ। এই দুই বিচ্ছু কি তবে তার কথা জেনে ফেলেছে। সর্বনাশ! জানলো কিভাবে? সে ফের চোখ পাকালো। কিন্তু সর্বনাশ যা হবার হয়ে গেছে। জুঁই দু’জনকে চেপে ধরল।
‘কি’রে মুবিনের কি কারো সাথে কিছু চলছে না’কি?’

সানি রগড় গলায় জবাব দিল, ‘হ্যাঁ চলে তো।’
জুঁই ফের চেপে ধরতেই সানির হয়ে রকি জবাব দিল।
‘আমারে না জিগাইয়া তুই মুবিন’রে জিগা। কার লগে ইটিসপিটিস চলে।’
জুঁই দমে গেল। মনঃক্ষুণ্ন হল। তবে মুবিন কাকে পছন্দ করে এটা সে জেনেই ছাড়বে।
____

মাত্রই পৌষের শেষ হয়ে মাঘের আগমন ঘটেছে প্রকৃতিতে। হলের জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ভেতরে শীতের প্রকোপ নেই বললেই চলে। তবে সেনা মালঞ্চের বাইরে হিম করা ঠান্ডার মাত্রা অতীব। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মত্ত চিন্ময়। আচম্বিত তার মুঠোফোন প্রকম্পিত হল। অযাচিতভাবে আসা কল দ্রুতই রিসিভ করল। কিন্তু ওপাশের ব্যক্তির কথা শুনে বাকরুদ্ধ সে। তার মামা কল দিয়েছে। তার মায়ের অবস্থা ভালো নয়। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ভাবার জন্য সময়ক্ষেপণ না করেই হুড়মুড় করে নিচে নামল সে। বন্ধুদের জানায়নি। বিয়ের এত সুন্দর মুহুর্ত তার জন্য নষ্ট হোক সে চায় না। কিন্তু নিচে নামতেই বাঁধ সাধল হৃদি। ঠোঁটের কোণে ঈষৎ হাসি ঝুলছে মেয়েটার। তার সামনে এসে বলে উঠল,

‘এত হন্তদন্ত হয়ে কোথায় যাচ্ছেন?’
‘সময় নেই হৃদি। পরে এসে বলবো।’
‘কি হয়েছে বলুন না?’

চিন্ময়ের রাগ আকাশ ছুঁলো। পিচ্চি মেয়েটা তার সব কিছুতে কেন ঢুকে পড়ে। গলার স্বর রুক্ষ হল তৎক্ষণাৎ। হুট করে বলে উঠল,
‘তোমাকে বলা’টা কি খুব জরুরি। পিচ্চি মানুষ পিচ্চির মতই থাকো না। আমার হাঁটুর বয়সী তুমি। তোমার ভালোর জন্যই বলছি, আমার আশা ছেড়ে দাও হৃদি। পস্তাবে অনেক।’

‘যদি না ছাড়ি কি করবেন?’
‘আসলে তুমি একটা বেহায়া মেয়ে। তোমাকে আরও আগেই বলেছি আমার পিছু নেওয়া ছেড়ে দাও। শুধুমাত্র জুঁইয়ের অনুরোধে তোমার সাথে পারফর্ম করতে রাজি হয়েছি। নয়তো কখনই করতাম না। এখন দয়া করে আমার রাস্তা থেকে সর, আমার দেরি হচ্ছে।’

‘সত্যি আমি বেহায়া মেয়ে! ঠিক আছে, আর বিরক্ত করব না। ভালো থাকবেন।’

চিন্ময় প্রতিত্তোর করল না। বাচ্চা মেয়ে আবেগে হুঁশ খুঁইয়েছে। তাই এমন পাগলামো করছে। সময় হোক নিজ থেকেই ঠিক হয়ে যাবে। সে আর ঘাটালো না। বাইকে চেপে হাসপাতালের উদ্দেশ্য বেরিয়ে গেল। পিছনে তাকালো না। তবে তাকালে হয়তো দেখতে পেত একজোড়া অশ্রুসিক্ত ভেজা চোখ। হৃদি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। সে কি সত্যিই বেহায়া মেয়ে! চিন্ময় এভাবে বলতে পারলো। শুধু ভালোই তো বেসেছিল তাকে। দোতলার বারান্দায় দাঁড়ানো ছিল সানি। নিচের সবকিছুই তার দৃষ্টিগোচর হল। হৃদির প্রতি তার অনুভূতি সত্যিই ছিল। কিন্তু সে মেয়েটার চোখে চিন্ময়ের জন্য আকুলতা দেখেছে। যতই মেয়েদের সাথে সে মজা করুক। দিনশেষে সেও বুঝে ভালোবাসা কি? তাই তো হৃদির থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। মেয়েটা ভালো থাকুক। নিজেকে ভালো রাখুক।

নীলাভ মাত্রই নিচে নামল। হৃদিকে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখে অবাক হল। কাছে এসে জিজ্ঞেস করল,
‘কি হয়েছে আপু? কাঁদছো কেনো?’

হৃদি জবাবহীন। কিঞ্চিৎ মাথা নাড়িয়ে শুধু না’ বলল। নীলাভ বুঝল সবই তাই দ্বিতীয়বার ঘাটালো না। চিন্ময়ের ব্যাপারটা সে জানে। কিন্তু তার জিমানকে দেখলেই ভীষণ রাগ হয়। সে কিভাবে তমা আপুর জামাইয়ের প্রেমে পড়ল। লজ্জায় রাগে নিজের উপর নিজেই গজগজ করে আজকাল। নিজেকে নিজে ধিক্কার দেয়, ‘ছিঃ! নীলাভ তুই একটা ক্যারেক্টরলেস মহিলা!’ তাই কানে ধরেছে আর জীবনেও কোন পুরুষের দিকে নজর দিবে না।
___

দরজার চৌকাঠে হালকা গোলাপি রঙা লেহেঙ্গা পরিহিত এক মানবী। গলার স্বর তার বজ্রকঠিন। বিদ্যুৎ বেগে ছুটে এল লিমার সামনে। তমার এমন অভাবিতভাবে আগমনে জিতুর সাথে লিমাও বাকরুদ্ধ। তাদের ভাবনার অতীত তমা হুট করে এসেই লিমার গালে কষে দু’থাপ্পড় লাগালো। কিঞ্চিৎ দম নিল সে। এর মাঝে জিতু বলে উঠল,
‘তমা আমার’টা দিয়ে দাও।’

ফের আরও একটা থাপ্পড় মারল তমা। জিতু আবারও বলে উঠল, ‘আরে আমার বউয়ের’টা দিয়ে দাও। তমা তখনও থামেনি। পরপর পাঁচটা থাপ্পড় মেরে তারপর ক্ষান্ত হল সে।

লিমা হা’ করে নিশ্বাস নিচ্ছে। থাপ্পড়ের চেয়েও অপমানে গজগজ করছে। সে মাত্রই মুখ খুলল কিছু বলতে। সেই সুযোগটুকুও তমা লুপে নিল। আগের মতই বজ্রধ্বনি তুলল মুখে,

‘এই থাপ্পড়গুলো তোকে তিনবছর আগেই দেয়া উচিৎ ছিল। আমার আবার নিশাতের মত অত দয়ার শরীর নয়। তাই আজ শোধবোধ করে নিলাম। যদিও যৎসামান্য প্রাপ্যটুকুও শোধ হয়নি। তবে তখনও নিশাতকে তোকে নিয়ে সর্তক করেছিলাম। কিন্তু মেয়েটা বুঝেনি। আর তুই, তার সরলতার সুবর্ণ সুযোগ লুপে নিলি। তাকে বোকা বানিয়ে তার সব খবর তোর ঐ মদনা ভাইকে দিতি। এরপরে যা করেছিল, তা তো আরও ভয়াবহ। আমার ভাইয়ের সাথে নিশাতের নাম জুড়ে দিলি। রেষ্টুরেন্টে কোথায় দেখা করেছে, কোথায় করেনি সব খবর মদনার বাচ্চাকে দিতি। আর মদনার কুলাঙ্গার বাপ তার বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বলেই আমার ভাই আর নিশাতকে জড়িয়ে সারা শহরে বদনাম রটিয়ে দিল। কি দারুণ খেলাটাই খেললো বাপ ছেলে। সাথে তুই ইন্ধন যোগালি। একটা মেয়েকে কলুষিত করে কি মজা পেলি তোরা সবাই? এখন আবারও এসেছিস তাকে নিয়ে বদনাম রটাতে। তোর লজ্জা করে না। তুই তো এখন ওর জা’ হোস। শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় হয় তোর। কিভাবে নিশাতের স্বামীকে এসব বলতে আসলি। আসলে কথায় বলে না, কুকুরের লেজ কখনই সোজা হয় না। বেরিয়ে যা এখান থেকে। দ্বিতীয়বার আমার সামনে তোর এই নোংরা মুখ দেখাবি না। নয়তো সেদিন তোর বাকি থোবড়াও রাখবো না।’

পরপর পাঁচটা থাপ্পড় খেয়ে লিমা যেন বাকশূন্য। মুখের কোণে কথার ঝুলি থাকলেও তা আর বেরুলো না। অপমানে উল্টো গজগজ করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।

জিতুর মন মস্তিষ্ক দুটোই খারাপ। তার বউকে না’জানি কত কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। সে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। তমা জিতুর নিকটবর্তী দাঁড়ানো। গলার স্বর নরম করল সে।

‘আসলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল বলেই আমি পাশে বাথরুমে এসেছিলাম। আর এসেই দেখলাম লিমাকে আপনার সাথে। আমার তখনই সন্দেহ হয়েছে। তাই তো দ্রুতই ছুটে এলাম। ভাইয়া মন খারাপ করবেন না। তবে দু’টো থাপ্পড় ঐ নিশিরাতের জন্যও রেখেছি। আপনি এই রুমেই থাকুন। ঐ গাধীকে পাঠাচ্ছি।’

জিতু আৎকে উঠল। তড়িঘড়ি জবাব দিল,
‘আমার বউকেও থাপ্পড় দিবা না’কি?
‘সর‍্যিই! আমি তো আপনার বউকে চিনি না। কে সে?’

হতশ্রী মুখে তাকালো জিতু। তমাকে তার মোটেও সুবিধার মনে হল না। ফের করুণ গলায় বলল, ‘খবরদার, আমার বউয়ের গায়ে হাত তুলবে না বলে দিলাম। আমার একটাই বউ কিন্তু।’

তমা হাসলো। তবে জবাব দিল না। রুম ছেড়ে বেরিয়ে পুনরায় আগের রুমে ফিরে এল। লিমা সেখানে নেই। তবে নুবাহ এককোণে গুটিশুটি মেরে বসে আছে। তার ইচ্ছে করছে ঠাঠিয়ে কয়েকটা চড় এই গাদীকে মেরে দিতে। কিন্তু এখন তা করা যাবে না। উপরমহলের নিষেধ আছে। সে নুবাহর পাশে গিয়ে বসল। তার একহাত ধরে বলে উঠল,

‘মুখে কি কুলুপ দিসছ? কথা বলিস না কেনো?’

নুবাহ যেনো খুশিতে ডগমগিয়ে উঠল। কোনো বাক্যে বিনিময় ছাড়া তমাকে জড়িয়ে ধরল। তমা বিরক্ত হল। কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,

‘এই কাজটা বিতর্কের ক্লাবেও করতে পারতি।’
‘তুইও তো করতে পারতি।’
‘ভালোই পালটা জবাব দিতে পারিস। কিন্তু যখন দরকার তখন তো দিস না।
নুবাহ কিঞ্চিৎ অবাক হল। ‘মানে।’
‘প্রিয়জন যখন বলে, চলে যাও তার অর্থ হল আরও কাছে এসো। যদি বলে তুমি আমার কেউ না তার অর্থ তুমিই আমার সব। এই কথাগুলো কখন বুঝবি নিশিরাত।’

নুবাহ তমাকে ছেড়ে তার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে। তার জিগ্যেসু দৃষ্টি। ‘মানে।’

‘নিশিরাত, তোর বাবা আমাকে দুশ্চরিত্র বললো। কিন্তু তাও আফসোস হল না। কারণ আমি তো জানি আমার প্রিয় বান্ধুবী আমার পাশে আছে। প্রতিনিয়ত আমি তোর একটা ফোনকলের অপেক্ষায় থাকতাম। কিন্তু তিনটা বছরে একটা কলও দিলি না আমাকে। এই কষ্ট আমার সহ্য হল না। অভিমানের পাথর জমল বুকের মাঝে। তাই তো তোকে দেখে উগলে দিলাম। কিন্তু আমি কখনো ভালো ছিলাম না’রে। ঢাকায় আসলাম এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পর। বাবা আমার সাথে জিমানের বিয়ে তখন থেকে ঠিক করে রাখল। একদিন জিমান আমাকে কল দিল। তার সাথে তখন থেকে সখ্যতা বাড়ল। তার সাথে অনেক কিছুই শেয়ার করতাম। কথায় কথায় জানলাম একদিন জিতু ভাইয়ের কথা। শুধু এইটুকু জেনেছিলাম তার প্রেমিকা সুই,,সাইড করেছে। কিন্তু তোর সাথে বিতর্কের ক্লাবে দেখা হওয়ার পর জিতু ভাই জিমানকে নিয়ে আমার কাছে ছুটে আসে। ব্যাকুল হয়ে বলে তুমি আমার নুবাহর বেষ্ট ফেন্ড। তাহলে তো তুমি তার সবকিছুই জানো। আমি হা’ হয়ে গিয়েছিলাম তখন। শুধু বললাম, জ্বী বেষ্টফেন্ড। জিতু ভাই শুনে ভীষণ খুশি হলেন। আমাকে অনুরোধ করলেন, আমি যেনো তোকে ভুল না বুঝি। অভিমান ভেঙে এক হয়ে যাই। আমাদের হলুদের অনুষ্ঠানে তোর জন্য কতকিছু করল। তোকে আলাদা ভাবে ট্রিট করল। তোর জন্য আলাদা ক্যামেরা, আলাদাভাবে ফুল দিয়ে বরণ, গানে গানে প্রপোজ। অথচো তুই এখনো তার অভিমান ভাঙতে পারিসনি। জিতু ভাই তোকে কত ভালোবাসে। সেই তিন বছর ধরে। আজও সে তোকে ভুলেনি। কতটা ভালোবাসলে একজন মানুষ মৃত মানুষটাকেও ভালোবাসতে পারে।’

নুবাহ চমকালো। ‘মানে,, জিতু মৃত মানুষ কাকে ভালোবাসতো?’
‘তুই, জিতু ভাই জানতো তার নুবাহ বেঁচে নেই। অথচ তবু ভালোবেসে গেল অবলীলায়। কিন্তু তুই তো চিনতে পেরেছিলি জিতু ভাইকে। তাও একবারও বললি না কেন বলতো। সেই কষ্ট’টা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। তুই তার এত কাছে, তাও তোদের মাঝে এত যোজন যোজন দূরত্ব, কেনো রেখেছিস এত দূরত্ব নিশাত? তুই কি তাকে আবারও মেরে দিতি চাস না’কি। একবার তো প্রাণ নিয়ে মরতে মরতে ফিরে এসেছে।

নুবাহ হতবাক। চোখের কোণা বেয়ে জল গড়ালো চিবুকে। তমা তাকে কি বলছে এসব। মুখের অভিব্যক্তি শূন্য। ফের প্রশ্ন ছুঁড়লো, ‘
‘জিতু জানে আমার কথা। সে সত্যিই আমাকে চিনতে পেরেছে।
‘হুমম।’
‘তাহলে কেন বলল না।’
‘অভিমান করেছে তোর উপর।’

নুবাহ সোজা উঠে দাঁড়ালো। সে কিছু বলার আগেই তমা বলে উঠল,
‘দক্ষিণ দিকের তিন নাম্বার রুমে আপনার ফুল জামাই ইয়াফি ইমদাদ জিতু আছে। যান তার অভিমান ভাঙ্গেন গিয়া ভাবী।’

চলবে,,,,

কালকে ইমদাদের অতীত আসবে। আপনারা প্রস্তুত তো?🥱

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here