মেজর আপনাকে প্যান্ট খুলতে হবে!কথাটি শুনা মাত্র চকিত গতিতে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সামনে দাঁড়ানো লেডি ডিউটি ডাক্তার এর মুখের দিকে তাকালো মেজর মুহিত ওয়াসিফ।ভ্রু কুঁচকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি প্রয়োগ করে বুঝার চেষ্টা করছে ডাক্তারের মুখভাব।কিন্তু মেয়েটি মাস্ক পরিহিত।যার জন্য বেশ সুবিধা করতে পারলো না মুহিত।নেইম প্লেটের দিকে দৃষ্টি পাত করে মনে মনে নাম টা আওড়ালো বুশরা জাহিন স্বর্গ।
-মিস অর মিসেস স্বর্গ ,আপনার কথাটা ঠিক বুঝতে পারলাম না,আপনি জানেন আপনি কাকে কি বলছেন?
-জি মেজর আমি জেনে বুঝেই কথাটি বলেছি,আপনাকে প্যান্ট খুলতে হবে।আমি আপনাকে ভেন্ট্রো গ্লুটিয়াল পেশিতে ইনজেকশন টি পুশ করবো।এটা আপনি হাতে নিতে পারবেন না।উপর থেকে ওর্ডার আছে।কথাটি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলে ইনজেকশন এ মেডিসিন ঢুকানোর প্রস্তুতি নিলো ‘স্বর্গ’
এতক্ষন পাশেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে তাদের কথোপকথন শুনছিলো ক্যাপ্টেন ‘সৌম্য শাহরিয়ার’তার ভাবতেই পিলে চমকে উঠছে যেই মেজর এর এক ধমকে তাদের পুরো টিম থরথর করে কাপে তার সামনে একটি পুচকে মেয়ে মেজর কে নির্দ্বিধায় প্যান্ট খুলে ফেলতে বলছে?মেয়েটির সাহসের তারিফ না করে পারছে না সৌম্য।কীয়তক্ষন বাদেই সকল ভাবনাকে দূরে ঠেলে সৌম্য মনে মনে এক দুস্টু ভাবনা ভেবে ফেললো।
আজকে কি আমি মেজরের পাছু দেখতে পাবো?এত বড় সৌভাগ্য আমার?মনে মনে কথাটি ভেবেই শব্দ করে হেসে উঠলো ক্যাপ্টেন সৌম্য।
হঠাৎ হাসির শব্দ শুনে রাগে চিরবিড়িয়ে উঠলো মুহিতের শিরা উপশিরা।।এক দিকে এই ব্রেনলেস ডক্টরের অসংলগ্ন কথা অন্য দিকে সৌম্যের এমন বিদঘুটে হাসিতে বিতৃষ্ণায় হাত মুষ্টি বদ্ধ হয়ে এলো। মুহূর্তেই মুহিত রক্ত হিম করা দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো সৌম্যের পানে।মুহিতের দৃষ্টির সাথে সৌম্যের দৃষ্টি মিলে যাওয়ার সাথে সাথেই ভয়ে যেকটা দাঁত সৌম্য বের করেছিলো দ্রুত মুখ বন্ধ করে তা ঢেকে ফেললো।মনে মনে সে আল্লাহর নাম ডাকছে মেজরের পাছু কি দেখবো নিজের পাছুর ছাল থাকলেই এনাফ।রক্ষা করো মাবুদ।
আবারো রিনরিনে কন্ঠে ডক্টর বলে উঠলো শুয়ে পড়ুন মেজর!
মুহিত এবার নিজেকে শান্ত রেখে কন্ঠে খানিক গাম্ভীর্য ঢেলে বলে উঠলো -আপনি কার সাথে কথা বলছেন জানেন?
জি,আমি মেজর মুহিত ওয়াসিফ এর সাথে কথা বলছি,যাকে দেখলে পুরো ডিপার্টমেন্ট ভয় পায় কিন্তু আমি পাচ্ছিনা।
মেয়েটির সাহস দেখে অবাকের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেলো মুহিত।মনে মনে মেয়েকে পাক্কা বেয়াদব উপাধি দিলো।
আমি এখন ইনজেকশন নিবো না মিস স্বর্গ।
না নিলে আপনি যেতে পারেন ,আমাকে যেমন অর্ডার করা হয়েছে আমাকে তো সেভাবেই কাজ করতে হবে তাই না?
মেয়েটির কথার ধরনে শরীরে যেনো আগুনের ফুলকি পড়লো মেজর মুহিতের ।
আমি উপর মহলে কথা বলতে যাচ্ছি,ইনজেকশন পোস্টপন্ড করলাম আর আপনার মতো বেয়াদব মহিলাকেও দেখে নিচ্ছি জাস্ট ওয়াচ এন্ড ওয়াইট বলে মুহিত দুই আঙ্গুল দুই চোখের সামনে তুলে ইশারায় বুঝালো।
আমাকে আপনি কিছুই করতে পারবেন না মেজর মুহিত।কারন এই ইনজেকশন না নিলে আপনি যেই মিশনের স্বপ্ন দেখছেন সেটা পূরণ করতে পারবেন না আর যার কাছে আমার নামে বিচার শালিস দিবেন উনি আমার গুণধর বাবা।আশা করছি কোনোটিতেই বিশেষ লাভ করতে পারবেন না।আর আমাকে মহিলা ভেবে ভুল করবেন না বয়স মাত্র চব্বিশ।কথাটি বলে মুখের মাস্ক টা খুলে ফেললো স্বর্গ।
রাগের চোটে নাকের ডগা লাল হয়ে এলো মেজর মুহিতের।সে উপরে তাকিয়ে ডিউটি ডাক্তার এর চেহারা দেখার প্রয়োজন মনে করলো না।কিন্তু ক্যাপ্টেন সৌম্য এই সুযোগ মিস করার পাত্র নয়।সুন্দরী মেয়েদের প্রতি তার একটা আলাদা দায়িত্ব আছে আর সেই দায়িত্ব টা হচ্ছে তাদের চোখ মুখ খুটিয়ে খুটিয়ে দেখা আর কোথায় কোন সৌন্দর্যের খুঁত রয়েছে তা বের করা।
কিন্তু ক্যাপ্টেন নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা।অনেক ক্ষণ চেষ্টা করেও যখন কোনো খুঁত ধরতে না পারলো তখন দুই হাত দিয়ে দুই চোখ কচলে আবার ডিউটি ডাক্তার এর দিকে দৃষ্টি দিলো।
ইনজেকশন না নিলে অন্যজনকে নেয়ার জায়গা করে দিন।দরজার বাহিরে লম্বা সিরিয়াল আছে।আশা করি বুঝতে পেরেছেন মেজর মুহিত।
মুহিত মেয়েটির খোঁচা মারা অপমান সইতে না পেরে- ক্যাপ্টেন সৌম্য বলে হুংকার ছেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলো।
গায়ের এপ্রোন ঠিক করে চুল গুলো ইলাস্টিকের সহিত বেঁধে নেক্সট বলে হাক ছাড়লো স্বর্গ।
রুমে এসে গায়ের ইউনিফর্ম খুলে বিছানায় সজোরে আছাড় মারলো মুহিত।সৌম্য মনে মনে জিকির করেই যাচ্ছে কারন পূর্বের ন্যায় মেজর আজকেও রেগে আছেন আর তাকে নির্ঘাত কঠিন পানিশমেন্ট দিবেন।পূর্বের পানিশমেন্ট এর কথা মনে পড়তেই পেটে মোচড় দিলো সৌম্যের।
সৌম্য চলে গেলো সেই ভয়ংকর স্মৃতিচারণ করতে-
গত বছর গ্রীষ্মকালে তাদের টিম একটি গ্রামের জঙ্গলে ক্যাম্প গেড়েছিলো।রাতে গোলাগুলির মহড়া হতো দিতে মাটি গর্ত করে বাংকার বানাতে হতো।যেমন গরম তেমন পরিশ্রমে মেজরের অনুপস্থিতে সৌম্য এক সোলজার কে নিয়ে কাজে ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্পের বাইরে চলে আসে শুধু তাই নয় হাঁটতে হাঁটতে তারা লোকালয়ে পৌঁছে যায়।হাটতে হাটতে নির্জন একটি বাড়িতে একটি আমগাছে পাকা পাকা টসটসে আম ঝুলতে দেখে লোভ সামলাতে পারেনি সৌম্য।সে আম ছিড়তে উদ্দত হতেই সোলজার তাকে নিষেধ করে যে ,
-স্যার মেজর জানলে রক্ষে থাকবে না চলুন ফিরে যাই।কারন মেজর আগেই নিষেধ করেছে লোকালয়ে কারো সাহায্য না নিতে এমনকি কারো জিনিসে হাত না দিতে।রেপুটেশন খারাপ হবে স্যার।
সৌম্য বুক উঁচু করে বহুত বড়াই বুকে চাপড়ে বলেছিলো তুমার মেজর কিচ্ছুটি টের পাবেনা।এর পর তারা আম ছিড়ে খেতেই কোথা থেকে যেনো একটি বুড়ি এসে লাঠি নিয়ে তাদের দৌড়ানি দিয়েছিলো সৌম্য আম নিয়েই ভো দৌড়।ভেবেছিলো বুড়ি আর কি করতে পারবে?কিন্তু বুড়ি ছিলো ধানী লঙ্কা।দৌড়েই ক্ষান্ত হয়নি সোজা ক্যাম্পে এসে বিচার দিয়ে গেছে।সেদিন মুহিত তাকে এই তেল ঝড়ানো গরমে দুশো পুশ আপ করিয়েছে সাথে এক পায়ে তিন ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রেখেছে,এমনি এমনি দাঁড় করায়নি।হাতে ছয়টি ইট উঁচু করে ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো।সেদিনের সেই শাস্তিতে রাতে হাড় কাঁপিয়ে জ্বর এসেছিলো সৌম্যের।সেই জ্বরে সৌম্য টানা একুশ দিন কিছু খেতে পারেনি।আর শরীর ব্যাথার কথা না বললেই নয়,মনে পড়লে এখনো ব্যাথা করে।
সৌম্যের ভাবনার ছেদন হলো মুহিতের দাঁত পিষানো ধমকে,
কেনো হেসেছিলে ক্যাপ্টেন?
এমন আকস্মিক প্রশ্নে গলা শুকিয়ে উঠলো সৌম্যের, কি উত্তর দিবে তা ভাবতে লাগলো।এরই মধ্যে আবারো গমগমে কন্ঠে বলে উঠলো মুহিত –
তুমাকে শাস্তি পেতে হবে সৌম্য।
শাস্তির কথা মনে পড়তেই সৌম্যের মুখ পাংশুবর্ণ ধারণ করলো।কাঁদো কাঁদো মুখে মেজরের দিকে অসহায় দৃষ্টিপাত করেও কোনো সুবিধা করতে পারলো না বেচারা ক্যাপ্টেন।
যাও সৌম্য শাস্তির জন্য রেডি হও!
কিসের শাস্তি চলছে এখানে মেজর মুহিত ওয়াসিফ?
হঠাৎ ই রুমে মেজর জেনারেল নাফিজ মাহমুদ এর প্রবেশ যেনো অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে দিলো মুহিত আর সৌম্য কে।
দুজনেই ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে স্যালুট ঠুকলো।
মুহিত জিজ্ঞেস করলো স্যার আপনি এখানে?
আসতে হলো মেজর ,আসতে হলো।আমার মেয়েকে কথা শুনিয়ে ইনজেকশন নিবে না বলে নাকি বের হয়ে এসেছো?
মুহিত হা হয়ে গেলো তার মানে ইতিমধ্যে বিচার চলে গিয়েছে?যেখানে বিচার দেবার কথা মুহিতের কারন সে অপমানিত হয়েছে সেখানে কিনা ওই মেয়েই তাকে শায়েস্তা করতে বিচার দিয়েছে?দুঃখে হাসি এসে গেলো মুহিতের।অবজ্ঞা জনক হাসি।
স্যার একটা সত্য কথা বলি?
-বলো’
আপনার মেয়ে একটা পাক্কা শয়তানের হাড্ডি আর বেয়াদব,কাউকে সম্মান করতে তো জানেই না উল্টো কিভাবে অপমান করতে হবে সেটা ভালোভাবে রপ্ত করেছে।
ক্যাপ্টেন সৌম্য জানে মুহিত ঠোঁট কাটা তাই বলে মেজর জেনারেল এর সামনে তারই মেয়ের নামে এমন ভয়ানক ব্যাখ্যা শুনে মাথা ভনভন করে ঘুরে উঠলো সৌম্য শাহরিয়ার এর।
ঠিক বলেছো মেজর মুহিত মেয়েটা একদম মায়ের মতো হয়েছে ঘরেও সম্মান পাইনা এখানেও পাইনা।
নাফিজ মাহমুদের উক্তিতে চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে এলো সৌম্যের।মেজর জেনারেল মা মেয়ের অত্যাচারে নিগৃহীত?
এজন্যই তাহলে আমাদের উপর স্টীম রোলার চালায় ব্যাটা হারামি।
তা বাবা মুহিত আমার মেয়েকে তুমি অপমান করেছো নাকি আমার মেয়ে তুমাকে করেছে যদি বলতে খুব উপকার হতো আরকি?কথাটি বলে উত্তরের প্রত্যাশায় মুহিতের দিকে দৃষ্টি বুলালেন।
-আপনার মেয়ে আমাকে অপমান করে রুম থেকে বের করে দিয়েছে স্যার!
খুক খুক করে কেশে ফেললেন মেজর জেনারেল নাফিজ মাহমুদ।যেই মেজরের ভয়ে তিনিও মাঝে মাঝে তটস্থ থাকেন সেই মেজর তার মেয়ের কাছে পাত্তা পায়নি?
মুহিতের কাঁধে হাত চাপড়ে বলে উঠলেন নাফিজ মাহমুদ-
থাক বাবা মনে কষ্ট নিওনা যেখানে তুমাদের স্যার ই প্রতিনিয়ত অপমানিত হচ্ছে সেখানে একদিন অপমানিত হয়ে মন খারাপের কিছুই নেই।বিকেলে গিয়ে ইনজেকশন টা দিয়ে এসো যেই জায়গায় আমার মেয়ে দিতে চায় সেই জায়গাতেই ঠিকাছে?
না হলে ইনজেকশন টা আমাকেই পুশ করবে বলেছে।
আর তুমার যেই মিশন নিয়ে এতো স্বপ্ন সেই মিশনে যেতে হলে তুমাকে প্রচুর ফিট থাকতে হবে আশা করি সব বুঝতে পেরেছো?বাচ্চাদের মতো জেদ করোনা।
নিজের স্বপ্নের মিশনের কথা মনে পড়তেই মুহিতের স্বর খাদে নেমে এলো,
-জি স্যার আমি দেখছি কি করা যায় বলেই আবার স্যালুট ঠুকে নাফিজ মাহমুদ কে বিদায় জানালো।
ক্যাপ্টেন সৌম্য তুমাকে মাফ করে দিলাম যাও আজকে শাস্তি দেয়ার মোড নেই বলেই ওয়াশ রুমে ঢুকে গেলো মুহিত।
ক্যাপ্টেন সৌম্য যেনো গভীর সমুদ্রে তলিয়ে গিয়ে বেঁচে ফিরলো।এক মুহুর্ত কাল বিলম্ব না করে এক প্রকার দৌঁড়েই পালালো সে।
মিনিট বিশেক হট একটা শাওয়ার নিয়ে রুমে এসে মুহিত তার গোপন ফোন টি বের করলো।ফোনটা অন করতেই একটা মেসেজ টুং করে উঠলো-
আহমেদ খান ইজ হেয়ার,সি ইউ ইন আফগানিস্তান
মেসেজ টি দেখে মুহূর্তেই মুখে হাসি ফুটে উঠলো মুহিতের,চোখ গুলো হয়ে উঠলো চকচকে,খুব দ্রুতই তাহলে মিশন শুরু হতে যাচ্ছে!
তাহলে তো আর দেরি করা যাবেনা।
ওকে গেট রেডি ফর ইনজেকশন বলে রেডি হয়ে ক্যাপ্টেন সৌম্যকে নিয়ে রওনা হলো ডক্টরের চেম্বারে।
ডিউটি শেষ করে এপ্রোন খুলে সব কিছু গুছিয়ে নিলো স্বর্গ।আজ অনেক ধকল গেছে।সুযোগ পেয়ে অবশ্য ক্লোজ ফ্রেন্ড মেহেনাজ পিউ কে ডেকেছে দুজনে এক সঙ্গে বুফে খাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।দুজনে যেই বের হবে অমনি মেজর মুহিত ক্যাপ্টেন সৌম্য কে নিয়ে হাজির।
আসতে পারি?
স্বর্গ স্মিত হেসে প্রশ্ন করলো এসেছেন তাহলে?
আসতে হলো,কোনো সমস্যা?
নাহ সমস্যা না শুয়ে পড়ুন!প্যান্ট খুলুন
বলেই মুখ টিপে হেসে ফেললো স্বর্গ।
এবার আগে ভাগেই ভয়ের চোটে রুম ত্যাগ করলো সৌম্য।
মুহিতের লজ্জা এবং ব্যাক্তিত্বের এমন ফালুদা হওয়াতে সে ইতস্তত করতে লাগলো।তা বুঝতে পেরে চিকন সুমিষ্ট কন্ঠে স্বর্গ বলে উঠলো-
লজ্জার কিছু নেই মেজর,ও ডক্টর পিউ ও আমাকে হেল্প করবে কারন একটু এদিক সেদিক হলেই প্রচুর ব্লিডিং হবে,সো ডোন্ট প্যানিক ওকে?
এতোক্ষন ডাক্তারের চেহারা না দেখলেও নরম কন্ঠ টা শুনে মেজর মুহিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো স্বর্গের দিকে এবং আপনা আপনি ই মুখ থেকে অস্ফুট স্বরে বেরিয়ে এলো মাশাআল্লাহ।
#চলবে?
#তোমার_জন্য_সিন্ধুর_নীল
#সূচনা পর্ব
#সারিকা_হোসাইন