#গল্পঃ_আশার_হাত_বাড়ায়
#পর্বঃ_২২
#লেখাঃ_ইশরাত_জাহান
—
🦋
“তোকে পুলিশ অফিসার বানিয়েছি নাকি গাধার দলের লিডার এটা একটু আমাকে খুলে বলতো?”
শিহাব বোকা বোকা হাসি দিতে থাকে।তারপর বলে,”তুমি না একজন মহিলা কমিটির সদস্য।তুমি তো বলো নারীদের সম্মান করতে হয়।নারী বিপদে পড়লে তার জন্য তোমরা এগিয়ে আসো।তোমার ছেলে হয়ে আমিও এমনটাই করলাম মা।”
রাগী দৃষ্টি দিয়ে মিসেস জুই বলেন,”যা বলার স্পষ্ট করে বল।”
“আসলে মা ওনারা না খুব অভাবের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন।এই তো দুইদিন আগের কথা বাজারে সে দাম নিয়ে কতকিছু।এই আন্টি সারাদিন ধরে বাড়ি খুঁজছে।থাকার কোনো জায়গা নেই।ভদ্র মহিলার কষ্ট হচ্ছে দেখে আমারও মায়া হলো।তুমিই তো বলো অসহায়দের সাহায্য করতে।তাই সাহায্য করেছি।”
“তা এতই যখন অসহায় সাত হাজার টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে?”
ফেসে গেছে শিহাব।আমতা আমতা করে বলে,”ওনার স্বামী নাকি পুলিশ ছিলেন।মারা গেছেন দুই কি তিন বছর।হয়তো ওখান থেকেই রিটায়ার্ড এর টাকা দিবেন।আমি কি জানি এসবের?যতটুকু শুনেছি ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো।তুমি বললে না করে দিবো ওদের।”
“তার কোনো দরকার নেই।ভাড়া নিতে আসলে তাদের বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজ খবর রাখতে হয়।আজকাল মানুষদের বিশ্বাস করা অনেক কঠিন।”
“না মা আমি আমার দৃষ্টি শক্তি দিয়ে বলতে পারি এনারা অতটা খারাপ না।আন্টি অনেক নরম মনের।আমি কথা বলেছি ওনার সাথে অনেকক্ষণ ধরে।”
“ভালো হলেই ভালো।”
বলেই চলে যান নিজের ঘরে।শান্তির নিশ্বাস নিলো শিহাব।রিমলিকে সে এখন কাছ থেকে বুঝতে পারবে।
********
তিনজন মডেলকে একই ড্রেস পরতে দেওয়া হয়েছে।তৃষা ও সুনেহরা রাজি হলেও সিনথিয়া রাজি হয়না এই ড্রেস পরতে।ইভা আর লিজা একজন আরেকজনের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে।ইভা বলে,”কিন্তু আমাদের প্রমোটের জন্য তো এগুলোই সিলেক্ট করা।যার গায়ে ড্রেসগুলো সুট করবে তাকে দিয়ে অ্যাড করানো হবে।”
তেড়ে এসে সিনথিয়া বলে,”কি মনে করো তুমি?আমার গায়ে এটা সুট করবে না?এই সিনথিয়া না এমনি এমনি মডেলিংয়ের কুইন হয়নি।যা বলছি তাই করো।এই ড্রেস না অন্য ড্রেস দেখো।”
ইভা কোনো উপায় পাচ্ছে না।ড্রেসটা দেখতে সুন্দর।কিন্তু এটা নরমাল মেয়েদের জন্য বেস্ট।সিনথিয়া শর্ট মডার্ন ড্রেসে অভ্যস্ত।ও ওগুলো পরেই শুট করে।ড্রেস হাতে দাড়িয়ে আছে ইভা।শ্রেয়া চেকিংয়ের জন্য এসেছে।টাইম হয়ে এসেছে কিন্তু মডেলদের কোনো দেখা নেই।এদিকে আস্তে আস্তে বিকাল হয়ে আসবে।শ্রেয়া এসে ইভাকে প্রশ্ন করে,”কি হয়েছে?এত দেরি কেনো?স্যার তো রেগে যাচ্ছেন।”
ইভা অসহায় হয়ে তাকিয়ে আছে।সিনথিয়াকে কিছু বলতেও পারছে না।আবার ফারাজ দেরি করলে বকবে সব মিলিয়ে ইভা এসে শ্রেয়ার কাছে বলে,”এই ড্রেস নাকি ম্যাম পরবেন না।কারণ এটা কোনো ক্লাসিক না।”
“তাহলে উনি কোনটা পরবে?”
ইভা হাত উচু করে একটা শর্ট ড্রেস দেখিয়ে দেয়।গাঢ় নীল রঙের ছোট একটি ড্রেস।যার গায়ে লাইট পড়লেই চিকচিক করে ওঠে।এটা রেম্প ওয়াকের জন্য রাখা। আর আজকের শুট বাঙালি উৎসবের জন্য।শ্রেয়া এবার ড্রেসটি নিজের হাতে নিয়ে সিনথিয়ার সামনে আসে।সিনথিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে,”সরি ম্যাম।ওটা রেম্প ওয়াকের জন্য।এখন আমরা ট্রেডিশনাল বাঙালি লুক চাই।আপনাকে এটাই পরতে হবে।”
আঙুল উচু করে অহংকারের সাথে সিনথিয়া বলে,”হেয় ইউ!আমাকে টিচ করতে আসবে না।ফ্যাশন সম্পর্কে আমার আইডিয়া বেস্ট।নিজে তো পরে আছো ক্ষেত একটা ড্রেস। যেটার উপর দিয়ে আবার হিজাব পরা।”
ভদ্রতার সাথে শ্রেয়া বলে,”দেখুন ম্যাম।আমরা তো আর মডেল না।আমাদের এভাবেই থাকতে হবে।আপনি প্লিজ কোনো আর্গুমেন্ট করবেন না।এটাই বর্তমানে কোম্পানির মেইন ডিজাইন।আপনাকে তো কোম্পানির দেওয়া ড্রেসটি নিয়েই শুট করতে হবে।শুটিং স্পটে স্যার অপেক্ষা করছেন।তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আসুন।”
সিনথিয়ার দেরি হতে দেখে সেখানে জিনিয়া আর অতসী উপস্থিত হয়।সিনথিয়ার মুখের উপর তর্ক করতে দেখে জিনিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বলে,”তোমার সাহস হয় কিভাবে সিনথিয়ার সাথে এভাবে ব্যাবহার করার?এটা চৌধুরী বংশের কোম্পানি।এখানে আমাদের পরিবারের সদস্য কি পরবে না পরবে তোমাকে বলে দিতে হবে?ও খুব ভালো জানে ফ্যাশন সম্পর্কে।এই যুগে বাঙালি অনেক মেয়েই শর্ট ড্রেস পরে।ও ওদের জন্যই অ্যাড করবে।”
“কিন্তু ম্যাম।এটা তো কোম্পানি থেকেই সিলেক্টেড।আমরা পুরো ফ্যাশন হাউজের মেম্বার মিলেই এই ড্রেসগুলো সিলেক্ট করে রেখেছি।বাকি মডেলদের কোনো সমস্যা নেই।তাহলে মিস সিনথিয়াকে কিভাবে ভিন্ন ড্রেসে দেওয়া হবে?”
অতসী শ্রেয়াকে আঘাত করার জন্য খোচা মেরে বলে,”তোমরা মিডিলক্লাস মেয়েরা কি বুঝবে মেইন ফ্যাশনের?একজন মডেলের যেটা কমফোর্ট ফিল হয় সে ওটা পরেই শুট করবে।একেক মডেল একেক অ্যাড এর উপর নির্ভর করে।এটা সম্পর্কে কি কোনো নলেজ আছে তোমার মধ্যে?দুদিনে চাকরিটা পেয়ে দেখছি একজন সফল মডেলকে জাজ করতে শুরু করেছো।তোমরা আনকালচার লোকজন হাই সোসাইটির কিছুই বুঝো না।”
শ্রেয়া এবার অপমান বোধ করলো।এতগুলো লোকের সামনে তিনজন মিলে একেকটা কথা শুনিয়ে দিচ্ছে।কিন্তু সে তো এই কোম্পানির রুলস মেনেই কাজ করেছে।সব থেকে বেশি অপমান বোধ করলো জিনিয়া আর অতসীর কথায়।এরা কোম্পানির সিইও এর পরিবারের লোক বলে এভাবে কথা শোনাবে?এটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে শ্রেয়ার।সিনথিয়া তো এদের কথা শুনে হাসতে থাকে।ঠিক তখনই সবার কানে ভেসে আসে,”এই কোম্পানিতে যদি কেউ রুলস ফলো করতে না জানে তাকে আমরা কোম্পানি থেকে বের করে দেই।এটা নিশ্চয়ই মাথায় আছে সবার? একজন কর্মচারীকে আমরা একবার সুযোগ দেই বড়জোর দুইবার কিন্তু তিনবারের বার এই সুযোগ তার জন্য থাকবে না।মিস সিনথিয়া টাইম মেইনটেইন করে চলতে পারেননি। তাও একবার না দুইবার।একজনের জন্য আমাদের এতবার সাফার করার কোনো মানে নেই।দিস ইজ দ্যা ফার্স্ট এন্ড লাস্ট ওয়ার্নিং।কোম্পানিতে কাজ করতে হলে রুলস ফলো করতে হবে।প্রথম রুলস একজন আরেকজনের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করা।দ্বিতীয় রুলস টাইম মেইনটেইন করা।আর মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট কোম্পানির যে ড্রেসকে প্রমোট করতে বলা হবে তার বাইরে কোনো আর্গুমেন্ট না করা।”
ফারাজের কথা শুনে সবাই তাকালো ফারাজের দিকে।হাত ঘড়ি দেখতে দেখতে ফারাজ বলে,”আমি মাত্র দশ মিনিট সময় দিচ্ছি।যে এই সময়ের মধ্যে রেডি হয়ে আসতে পারবে তাদেরকে নিয়েই সিলেক্ট করতে হবে কে হবে আমাদের কোম্পানির বেস্ট মডেল।তাকে নিয়েই আমরা নেক্সট কাজ শুরু করবো।”
সিনথিয়া এবার কোনো কথা না বলে শ্রেয়ার হাত থেকে ছো মেরে ড্রেসটা নিয়ে মিষ্টি হেসে ফারাজের দিকে তাকিয়ে বলে,”আমি অলরেডি রেডি হয়ে আছি।জাস্ট ড্রেসটি পরলেই হয়ে যাবে।এখনই আসছি।”
বলেই দৌড় দেয় ড্রেসটি পরতে।ফারাজ চলে যেতে নেয়।শ্রেয়া নিজেও বাকি মডেলদের কাছে যেতে থাকে।কিন্তু ফারাজ ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রেয়ার উদ্দেশে বলে,”মিস শ্রেয়া।”
শ্রেয়া হকচকিয়ে যায়।ফারাজ যে এবার তাকেও কিছু বলবে এটা শ্রেয়া শিওর। হলোও তাই।ফারাজ বলে,”এটা একটা কোম্পানি। আপনার শশুর বাড়ি না যে আপনি এভাবে লজ্জাবতী লতার মতো নেতিয়ে একেকজনের কথা হজম করবেন।নিজের কর্মের স্থান অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করুন।আপনি এখন কারো ঘরের পুত্রবধূ নন।যে আপনাকে অন্যের কথা মানতে হবে।এই কোম্পানির রুলস আপনাকেই কেরি করতে হবে।যে মানবে না তার উপর একশন আপনাকেই নিতে হবে।অথবা আমার কাছে এই বিষয়ে আপনাকে ডিসকাস করতে হবে।কোনো পারিবারিক সম্পর্ক টেনে আমি আমার কোম্পানির লস করতে পারব না। আশা করি নেক্সট টাইম এমন ভুল হবে না।”
মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো শ্রেয়া।মনে মনে বলে,”ব্যাটা এইমাত্র রুলস দিলো সবার সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করতে হবে।নিজেই তো পারে না আবার অন্যকে এডভাইস দেয়।”
ফারাজ চলে গেছে।জিনিয়া আর অতসী খুব ভালোভাবেই বুঝেছে কথাগুলো শুধু শ্রেয়ার উদ্দেশ্যে না ওদেরকেও বলেছে ফারাজ।ফারাজ স্ট্রেট কথা বলে। যার মুখের উপর কথা বলা অনেকটাই কঠিন।তৃষা আর সুনেহরাকে দেখে শ্রেয়া চলে আসে শুটিং রুমে।ওখানে অর্পা মিমি ও বাকিরা দাড়িয়ে আছে।অর্পার কাছে এসে দাড়াতেই অর্পা বলে,”এত দেরি করলি কেনো?”
“আরে তোদের মিস সিনথিয়া যে কি না তোর জায়ের বোন ঝামেলা করছিলো খুব। লং গাউন না পরে উনি শর্ট ড্রেস পরবে।তোর শাশুড়ি আর জা মিলেও আমাকে বকছিলো।তাই দেরি হয়।এখন আবার শুট শেষ করে মডেল চুজ করতে হবে।আমার তো মনে হয় ওই সিনথিয়াকে নেওয়া হবে।”
শ্রেয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে অর্পা বলে,”শোন দোস্ত।মডেলকে তো তুই আর এনি মিলে সিলেক্ট করবি।তুই যেনো ভুলেও সিনথিয়াকে সিলেক্ট করবি না।তাহলেই ঝামেলা শেষ।এই কোম্পানির এখন তুইও মেইন পজিশনে আছিস।একজন অ্যাসিসট্যান্ট কম কিছু করে না।”
অর্পার কথা শেষ হতেই সিনথিয়া ও বাকি মডেল এসেছে।মিমি জোরে জোরে বলে,”পাপা পাপা ওই দেখো ডিস্কো আন্টি আর বাকি দুজন এসেছে।”
ফারাজ ওদেরকে দেখে ক্যামেরাম্যানকে ইশারা করে।সবাই আবার নতুন করে সবকিছু সেট করে।তিনজনকেই একই স্ক্রীপ্ট দেওয়া হয়।তৃষা আর সুনেহরা মোটামুটি কয়েকবার চেষ্টা করার পর পারফেক্ট ভাবে বলতে পারলেও সিনথিয়ার জন্য বেশ কয়েকবার কাট করতে হয়।প্রায় বিশ পঁচিশবার কাট করার পর পুনরায় সিনথিয়াকে দিয়ে স্ক্রীপ্ট বলানো হয়।সবশেষে ওদেরকে লাইটের সামনে দাড় করিয়ে ছবি তোলা হয়।একেকজন ভিন্ন এঞ্জেলে দাড়িয়ে ছবি তুলেছে।সিনথিয়া শুধু মাজা বাকা পোজ দিতে থাকে।মাথায় হাত ঘুরিয়ে কোমড়ে আরেক হাত রেখে মুখটা একটু হা করে দাড়ায়।এটা দেখে ফারাজ বিরক্ত হয়ে ওখান থেকে বের হয়ে নিজের কেবিনে যায়।এনি পারছে না জিনিয়ার সামনে কিছু বলতে।ওদিকে জিনিয়া আর অতসী তো অনেক খুশি।ওদের কাছে বলিউডের থেকে কম কিছু লাগছে না সিনথিয়াকে দেখতে।মনে মনে অহি বলে,”আমার মেয়ে গেছে এবার এই নর্তকী বাড়িতে আনবে।কেন একজন দিয়ে শিক্ষা হয় না?অন্তত ফারাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে ঘরোয়া মেয়ে দেখলেই তো হয়।সামাজিক ভদ্র মেয়ে যেভাবে মিমি আর ফারাজকে দেখবে এরা তার ধারে কাছেও নেই।”
কোমড়ে দুই হাত রেখে মিমি বলে ওঠে,”আচ্ছা ডিস্কো আন্টি।তুমি এমন হা করে আছো কেনো?ছবি তুলতে তুলতে কি তোমার ক্ষুধা লেগেছে?তাহলে তাড়াতাড়ি ভালো করে ছবি তুলে ক্যান্টিনে চলো।ভালো ভালো খাবার পাবে।এভাবে হা করে থাকলে তো মুখে মাছি ঢুকবে।আর কোমড় এভাবে বেকিয়ে আছো কেনো?তুমি তো এমনি ডিস্কো আন্টি এভাবে আরো বাজে লাগছে।”
মিমির কথা শুনে হো হো করে হেসে দেয় বাকি সদস্যরা।মিমি দাড়িয়ে ছিলো শ্রেয়ার সামনে।শ্রেয়া সাথে সাথে মিমির মুখ চেপে ধরে।নাহলে মিমি আরো কিছু শুনিয়ে দিতো।
**********
কাজ করতে করতে নাজেহাল অবস্থা অহনার।প্রতি পদে পদে অহনাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে মিসেস নাজমা।অহনা ঘেমে একাকার হয়ে আছে।রান্না করা মিসেস নাজমাকে নিয়ে গোসল ও অন্যান্য বিষয়ে সাহায্য করা।এবার ক্লান্ত হয়ে অহনা বলে,”এবার কি একটু রেস্ট নিতে পারি?”
মিসেস নাজমা বলেন,”আমাকে আগে বিছানায় শুইয়ে দেও।তারপর তুমিও একটা ঘুম দেও।দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ঘুমানো উচিত।এতে ব্রেনের উপকার হয়।মাথা ঠাণ্ডা থাকে।”
অহনা হামি দিতে দিতে বলে,”আপনি কি ডাক্তার যে এত এডভাইস দিচ্ছেন?”
“সে তুমি আমাকে যাই ভাবো না কেনো।আমার মনে হলো তোমাকে এইটুকু বলা উচিত।কারণ ওই ভোরে উঠে কাজ করেছো।এখন একটু তো রেস্ট নেওয়ার দরকার আছে।”
“বুঝেছি বুঝেছি আর কিছু বলতে হবে না।এমনিতেও ঘুম আসছে আমার।”
বলেই মিসেস নাজমাকে বিছানায় শুইয়ে দিলো।অন্যদিকে অহনার কেমন যেনো মাথাটা ঝিমঝিম করছে।গা গুলিয়ে আসতেই দৌড়ে যায় ওয়াশরুমে।মিসেস নাজমা বাইরে থেকে বুঝতে পারেন অহনা বমি করছে।একটু চিন্তা হলো তার।অহনা বের হলে জিজ্ঞাসা করবে কি হয়েছে তার।
চলবে…?
#আশার_হাত_বাড়ায়
রিচেক দিতে যেয়ে কয়েকবার থেমে গেছি।মাথা যন্ত্রণা বাড়ছে খুব। জ্বর আসছে অলরেডি। কাল হয়তো গল্প দিতে পারব না।তার জন্য আগে থেকেই আমি দুঃখিত।