গল্পঃ_আশার_হাত_বাড়ায় #পর্বঃ_২৩ #লেখাঃ_ইশরাত_জাহান

0
248

#গল্পঃ_আশার_হাত_বাড়ায়
#পর্বঃ_২৩
#লেখাঃ_ইশরাত_জাহান

🦋
অহনা বের হতেই মিসেস নাজমা জিজ্ঞাসা করেন,”কি হয়েছে তোমার?”

অহনা মুখটা শুকনো করে বলে,”হয়তো ভিন্ন চলাফেরার কারণে এমন হয়েছে।আমি তো এসবে অভ্যস্ত না।”

“এবার থেকে ভালো ভালো কাজের অভ্যাস করতে হবে।খাওয়া দাওয়া ঘুম এগুলো সময়মত করতে হবে।নামাজ পড়ে মোনাজাত করতে হবে।দেখবে শরীর ও মন ভালো থাকবে।”

ছোট করে উত্তর দিলো অহনা,”হুম।”
কথা বলতে ভালো লাগছে না তার।শরীরটা দুর্বল হয়ে আসছে।মিসেস নাজমার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লো।চোখ বন্ধ করতেই অহনা অনুভব করলো ওর মাথায় হাত বোলাতে থাকে মিসেস নাজমা।খাটের অন্যদিকে মুখ করে শুয়ে ছিলো অহনা।মাথায় হাতের স্পর্শ পেতেই চোখ খুলে যায়।মিসেস নাজমা ম্লান হেসে বলেন,”চলাফেরার পরিবর্তন করলে শুরুর দিকে এমন শরীর খারাপ হয়।মাথা ঝিমঝিম করে।আমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছি দেখবে ভালো লাগবে।”

চোখের কার্নিশে পানি জমতে থাকে।চোখ বন্ধ করতেই গাল বেয়ে পড়ে যায় পানি।আজ প্রথম তার মাথায় মাতৃত্বের ছোয়া পেলো। হ্যাঁ রনির সাথে সম্পর্কে জড়ানোর পর রনি তাকে এভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতো।কিন্তু মায়ের শূন্যতা তো পূরণ হবে না।অহনা চোখ বন্ধ করেই ভাবছে অতীতের ছোট একটা স্মৃতি।অহনা যখন পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষা শেষ করে বাসায় আসে।তখন অনেক মাথা ব্যথা করে তার। অহিকে বলে,”মা মা আমার মাথা ব্যাথা করছে।একটু টিপে দেও।”

রাত জেগে পড়াশোনা করার কারণে এমন ব্যাথা হয়। অহি বলে,”তুই গোসল কর আমি এখনই আসছি।”

ছোট্ট অহনা খুশি হয়ে চলে যায় গোসল করতে। অহি মেয়ের খুশি দেখে তাড়াতাড়ি করে তুর্যর দুপুরের খাবার তৈরি করে অহনার কাছে যেতে নেয়।পথে বাধা হয়ে দাড়ায় তুর্য।বলে,”আমাকে খাইয়ে দেও মা।”

অহি একবার অহনার ঘরের দিকে তাকালো একবার তুর্যর দিকে।সাহস নিয়ে বলে,”অহনার মাথা ব্যাথা করছে।একটু মাথা টিপে দেই।আজকে একা একা খাবার খাও।”

তুর্যর জেদ বেড়ে যায়।ও ফুঁসতে থাকে ওখানে।জোরে চেচিয়ে বলে,”আমার মা নেই বলে আমাকে কেউ ভালোবাসে না।আমাকে কেউ খাইয়ে দিতে চায় না।সবাই পঁচা।আমি থাকবো না এই বাড়িতে।চলেই যাব।”

তুর্যর এমন কথা শুনতে পায় তিহান। অহি আর উপরে যেতে পারে না।ওখানেই তুর্যকে সামলাতে থাকে।বুঝিয়ে বলে,”এমন করে না বাবা।তোমার বোন অসুস্থ।”

কোনো লাভ হয়না।তিহান এসে অহিকে অকথ্য ভাষায় কথা শুনিয়ে দেয়। অহিকে থ্রেট দিয়ে বলে,”আমার ছেলের যদি কোনো কিছুতে অবহেলা হয় তাহলে তোমাকে আর তোমার মেয়েকে এই বাড়ি থেকে বের করে দিবো।নিজে এক আপদ জন্ম দেয় আরেক আপদের।”

স্বামীর থেকে এমন কথা শুনে অহি পারেনি অহনার কাছে যেতে।অহনার পড়াশোনা সহ আরো খরচ খরচা বহন করার উপায় ছিল না অহির।বেশিদূর পড়াশোনা জানে না সে।বাধ্য হয়ে মনের বাইরে যেয়ে ওইদিন খাইয়ে দেয় তুর্যকে। তুর্য ইচ্ছা করেই এমন করেছিলো।কিন্তু অহি কিছু বলতে পারবে না।তার হাত পা বাধা। অহির দেরি হওয়ায় বাইরে এসে নিচের দিকে তাকালো অহনা।দেখতে পেলো মা তার খুশি মুখে খাইয়ে দিতে থাকে তুর্যকে।মাথা ব্যাথা নিয়েই ওখানে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলতে থাকে অহনা।ওইদিনের পর থেকে অসুস্থ হলেও কখনও আবদার করেনি অহির কাছে। আস্তে আস্তে অহনার মন মানতে শুরু করেছে তার ভালোবাসার কেউ নেই।তাকে কেউ ভালোবাসে না।এই জীবন তাকে তার মতো করে পার করতে হবে।দিনশেষে টাকা পয়সা পাচ্ছে এটাই তো অনেক।জিনিয়াকে পার্টি করতে দেখে অহনার মনেও তখন থেকে এমন করার আগ্রহ জাগে।পরিবারের সঠিক শিক্ষা না পেলেও বড়লোক বাড়ির অভিজাত হিসেবে পার্টি করাকে নিজের ভালোলাগা হিসেবে ধরে নেয় অহনা।কিন্তু ফারাজ তার বিপরীত।ফারাজ যখন দেশে আসতো সবার জন্য কিছু না আনলেও অহনার জন্য আনতো।ফারাজ অহনাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসতো।কিন্তু অহনা এসবের কিছুই জানতো না। ফারাজের অগোচরে অহনাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় ফারাজের সাথে।অহনাও মুখ ফুটে কিছু বলেনি ফারাজকে। তিহান অহি আর তুর্যর উপর রাগ করে নিজের নোংরা পথকে বেচে নিয়েছিলো।আর রনিকে না পাওয়ার কারণে জেদের বসে নোংরা পথ থেকে ফিরে আসেনি।অহনার একাকিত্বে রনি তার সঙ্গ দিয়েছিলো।তাই তো ফারাজের মত হীরে ছেড়ে কাচের দিকে নজর ছিলো অহনার।পুরোনো কথাগুলো মনে পড়তেই হুহু করে কান্না করে অহনা।মিসেস নাজমা উল্টো দিক থেকে অহনার চোখের পানি মুছে দেন।শান্ত কণ্ঠে বলেন,”মাকে খুব মনে পড়ে?”

অভিমানী কণ্ঠে অহনা বলে,”আমার মা নেই।আমি কাউকে মনে করি না।আমি বাজে নষ্ট মেয়ে।আমি এমনই থাকবো।আপনাকে এত আদর করতে হবে না।দূরে সরে যান।”

গেলো না মিসেস নাজমা।আলতো হেসে আদরটা আরো বাড়িয়ে দিলো।অহনাকে নিজের কাছে এনে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন,”হয়তো আপন মায়ের ভালোবাসা অনুভব করতে পারবে না।কিন্তু মায়ের শূন্য স্থান তো পূরণ করো।”

কোনো কথা বলে না অহনা।মিসেস নাজমার জামা থেকে সুন্দর এক ঘ্রাণ পাচ্ছে অহনা।ভাবতে থাকে এটাই কি মায়ের ভালোবাসার ঘ্রাণ?কিছু বুঝতে পারছে না অহনা।মনের অগোচরে আজ প্রথমবার অহনার মনে হলো মিমির কথা।ভাবতে থাকে তার কোল জুড়ে এসেছিলো মিমি।ও তাহলে এভাবে খুঁজছে একটা মায়ের কোল।অহনা তো দিতে পারেনি মিমিকে সেই ভালোবাসা।আজ নিজেকে ব্যার্থ মা মনে হচ্ছে অহনার।এগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে যায়।

******
ঘরের সবকিছু ভাংচুর করতে থাকে সিনথিয়া।মেয়ের এমন অবস্থার কথা শুনে অফিস থেকে ছুটে বাসায় আসে সিনথিয়ার বাবা সোহেল।প্রশ্ন করেন,”কি হয়েছে মা?এভাবে সব ভাংচুর করছো কেনো?”

এলোমেলো চুল রাগে ফোঁসফোঁস করতে করতে সিনথিয়া বলে,”ওই ছোটলোকটা আমাকে হারিয়ে দিলো ড্যাড।সব ঠিকভাবে হতো।আন্টি ছিলো আপু ছিলো।আমি হ্যান্ডসামকে পেয়ে যেতাম।কিন্তু না দুদিনের ওই ছোটলোক পিএ আমাকে হারিয়ে দিলো।”

“কি হয়েছে এটা তো বলো?”

“আমি চৌধুরী ফ্যাশন হাউজের জন্য এবার মডেল হিসেবে কাজ পাইনি বাবা।আমি তো হ্যান্ডসামকে কাছে পাওয়ার সুযোগ খুঁজছিলাম। আর ওদিকে ওই পিএ শ্রেয়া।আমাকে সিলেক্ট না করে বুদ্ধি দিয়ে আমাকে অকর্মা বানিয়ে দিলো।সিলেক্ট করেছে কাকে জানো?ওই ছিপছিপে তেলের অ্যাড দেওয়া একটা ছোটখাটো মডেল সুনেহরাকে।ও নাকি আমার থেকে বেস্ট!”

কথাগুলো বলেই লাথি মারে ফুলদানিতে।সোহেল নিজেও ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন।ফোন বের করে কল করেন জিনিয়াকে।জিনিয়া রিসিভ করছে না ফোন।আসলে জিনিয়া নিজেও এখন ঘাবড়ে আছেন।এত চেষ্টা করলো সিনথিয়াকে সুযোগ করে দেওয়ার কিন্তু পারলোই না।এখন নিশ্চয়ই মেয়ের হেরে যাওয়ার কারণে কল করে কথা শোনাবে।হাত মোচড়াতে মোচড়াতে পাশে থাকা ফোনের দিকে তাকিয়ে আছেন।অতসী এসে রিসিভ করে কল।বলে,”লিসেন ড্যাড।এখানে কাকিয়ার কোনো দোষ নাই।যদি দোষ থাকে তো ওই চিপ গাইয়া মেয়েটার।বোনকে রিল্যাক্স করতে বলো।দিন আর সুযোগ আমাদের আসবেই।সো চিল করতে থাকো।এই বাড়ির বউ আমার বোন হবে।আমার বোন যখন আমার ভাসুরকে ভালোবেসেই ফেলেছে তখন সে তাকে পাবে।”

বড় মেয়ের থেকে শান্তনা পেয়ে একটু নিশ্চিন্ত হলো সোহেল।কিছুক্ষণ কথা বলে কল কেটে সিনথিয়াকে বলে,”রিল্যাক্স মা।ওই মেয়েটার ব্যাবস্থা করবো শীঘ্রই।”

অন্যদিকে জিনিয়া একটু শান্তি পেলো। অতসীকে জিজ্ঞাসা করে,”কি বললো তোমার বাবা?”

“রিল্যাক্স কাকিয়া।আমি তো আছি।ড্যাড এখন নরমাল আছে।যদিও তোমাকে কিছুই বলতো না।কিন্তু বোনের কষ্ট সহ্য হয়নি ড্যাডের।”

শান্তির নিশ্বাস নিলো জিনিয়া।বলে,”এবার একটু ভালো লাগছে।যেভাবেই হোক ফারাজ আর সিনথিয়ার বিয়েটা হলেই বাচি।”

বলেই দুজনে হাসতে থাকে।দরজার আড়াল থেকে শুনে নেয় অর্পা।জিনিয়া টায়ার্ড হবে ভেবে লেবু শরবত বানিয়েছিলো।শরবত নিয়ে আসতে যেয়ে এমন কথা শুনে ওখানেই দাড়িয়ে গেলো।ঘরের ভিতর না যেয়ে মন খারাপ করে সার্ভেন্ট দিয়ে শরবত পাঠিয়ে দেয়।নিজের ঘরে এসে বসে অর্পা।মন খারাপ করে ভাবতে থাকে আজ গরীব বলে সে কোনো মর্যাদা পাচ্ছে না।তার উপর কোনো বাচ্চার মুখ দেখাতে পারলো না অর্পা।এখন যদি শ্রেয়াকে নিয়ে ভাবে তাহলে এই বাড়িতেই হয়তো জায়গা হবে না তার।অহনাকে ঘৃণা করলেও কোনো না কোনো ভাবে যে অহনার জীবনটা শেষ হওয়ার পিছনে এই বাড়ির লোক দায়ী এটা অর্পা খুব ভালো করেই বোঝে। সৎ মা তারও আছে।কিন্তু তুর্যের মত করেনি।আবার অহনা যে সাপোর্ট ভালোবাসা পায়নি সেটা অর্পা গরীব হয়েও পেয়েছে।শ্রেয়ার পরিবার সেই ভালোবাসা দিয়েছে।শ্রেয়া ভালো ছিলো বলেই অর্পা ভালো জীবন পেয়েছে।কিন্তু অহনা?সে তো ভালো বন্ধু বান্ধবের সাথে নাও মিশতে পারে।হয়তো বাজে বন্ধু বান্ধবীরা অহনাকে এই পথে এনেছে।কিন্তু যত যাই হোক এভাবে বিয়ের পর নোংরা পথে। যাওয়া উচিত হয়নি।অর্পা তো বেস্ট ফ্রেন্ডের মত মিশতে চাইতো।ফারাজ সব সময় কল দিয়ে খোঁজ নিতো।দেশে আসলে ঘুরতে নিয়ে যেতো এদিক ওদিক। মিমি তো মাকে একেক ভাবে সারপ্রাইজ দিতে চাইতো।কিন্তু মিমির সারপ্রাইজগুলোতে অহনার মন গোলে না।সে তার মতই খারাপ পথে যেতে থাকে।তাই আজ তার পাপের শাস্তি পেলো।অর্পার ভাবনার মাঝেই অর্পার কোমর জড়িয়ে ধরে কেউ।পাশে তাকিয়ে দেখলো মিরাজ।মৃদু হাসলো অর্পা।মিরাজ তার নাক অর্পার গলায় ঘষতে ঘষতে বলে,”আমার বউয়ের মন খারাপ থাকলে আমার ভালো লাগে না।আমি আমার বউকে খুশি দেখতে চাই।”

মিরাজের মাথায় হাত বুলিয়ে অর্পা বলে,”এই জন্য মুখ লুকিয়ে ওখানে নাক আটকে আছো?”

“হ্যাঁ।বউকে কাছে পাবো কিন্তু তার মন খারাপের দৃশ্য দেখব না।”

মিরাজের এমন বাচ্চা বাচ্চা ভাব দেখে হেসে দেয় অর্পা।বলে,”তুমি এমন কেনো? মন খারাপের সময়ও হাসিয়ে দেও।”

“আমি তো সবার মন খারাপে হাসাতে যাই না।আমি আমার বউকে ভালবেসে হাসিয়ে দেই।তো বলো!তোমার মন খারাপ কেনো?”

অর্পা মিরাজের থেকে চোখ সরিয়ে বলে,”তেমন কিছুই না।শুধু ভাবছি জীবন কোথায় নিয়ে গেলো।সবার জীবনেই কোনো না কোনো ঝামেলা আছে।আমাদের বাবু হচ্ছে না।অন্যদিকে মিমি মাতৃত্বের স্বাদ পাচ্ছে না।বড়ভাই এক ঘেয়ামি হয়ে আছে।আগে তো তাও বউ আর মেয়ে করতে করতে বাড়িতে আনন্দ উৎসব করতো।এখন দেখো যে যার মত।বাড়ির আনন্দ মাটি হয়ে গেলো।তুমি তোমার মত ব্যাস্ত হয়েছো বড়ভাই অফিস থেকে এসে এখন আর বলে না অর্পা আমাদের সবার জন্য মুচমুচে পকোড়া বানাও।অহনার জন্য কোনটা কিনবো।অন্তত অহনার কথা না আসুক মিমিকে নিয়েও ইদানিং ঘুরতে যায় না।মিমিটাও কেমন যেনো এখন আর ঘুরতে যেতে আবদার করে না।কোনো কিছু খেতে ইচ্ছা করলে আমার কাছে বলে না।কাকিয়া(অহি)মেয়ের জীবনের জন্য নিজেকে দায়ী করে একঘর হয়ে আছেন।বাবা তো আছেন সেই ইন্ডিয়ায়।মা আমার সাথে কোনদিক ঠিকমত কথাই বলেনি।আজ বলবে এটা আশা করি না।আমার আর ভালো লাগছে না।আমি কিন্তু এবার শ্রেয়ার কাছে চলে যাব।”

অর্পার হাত খোপ করে ধরে নিজের কাছে এনে মিরাজ বলে,”এই কি বললে?আমাকে রেখে তুমি শ্রেয়ার কাছে যাবে।কেনো হ্যা?আমি নাহয় একটু ব্যাস্ত ছিলাম।কিন্ত কাজ শেষ করে তো তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাই।এই যে আমি টিকিট কেটেছি(পকেট থেকে বের করে বলে)।কক্স বাজারের।ভাইয়া বলল অফিসের কাজের জন্য ওদেরকে চট্টগ্রাম যেতে হবে।আমি তো সাথে সাথে মাথায় রেখেছি আমার বউ তার বান্ধবীকে নিয়ে চিন্তা করবে।তাই আমিও আমার আর আমারও বউয়ের জন্য টিকিট করে রেখেছি।এখন বউ দেখি আমার কথা চিন্তা না করে অন্য কোথাও যেতে চায়।”

চোখ মুখ উজ্জ্বল করে মুখে হাসি ফোঁটায় অর্পা।খুশিতে জড়িয়ে ধরে মিরাজকে।বলে,”আমরা আবার ঘুরতে যাবো।”

কিন্তু আবার মন খারাপ করে মিরাজকে ছেড়ে দিয়ে সরে আসে।মিরাজ ভ্রু কুচকে বলে,”কি হলো?”

অর্পা মন খারাপ করেই বলে,”কি আর হবে!কক্স বাজারে তো মা সিনথিয়া এরাও হাজির হবে।আগেরবারের মতো এবারও সেই হ্যান্ডসাম হ্যান্ডসাম করতে থাকবে সিনথিয়া। আর মা আমাকে এখানে ওখানে বকতে থাকবে।”

দুষ্টুমি করে মিরাজ বলে,”নেড়া বেলতলায় একবারই যায়।”

“মানে?”

“মানে এই যে এবার আমরা পুরো পরিবার যাচ্ছি না।তুমি আমি মিমি আর ভাই।ভাই নিজেই আমাদের যাওয়ার কথা গোপন রাখতে বলেছে।ওরা যেদিন বের হবে একসাথে বের হবো।”

“মা যদি কিছু বলে?”

“বাবা আসবে কাল।কালকে পার্টি আছে অফিসে।বিদেশী ক্লায়েন্ট আসবে।ওনারা সুনেহরার সাথে কথা বলবেন।এছাড়া যেহেতু ডিলটা আমরা পেয়েছি তাও চট্টগ্রামের শিল্পপতির তরফ থেকে।তাই এনি আর বাবা মিলে এই পার্টি রেখেছেন।যেদিন যাবো বাবা সামলাবে মাকে।”

বাবা আসবে শুনে খুশি হয় অর্পা।একমাত্র তিনিই পারেন জিনিয়াকে সামলাতে।মিরাজ আর ফারাজ তো সব সময় কাট কাট উত্তর দিয়ে রাগিয়ে দেয়।

চলবে…?
#আশার_হাত_বাড়ায়

(সবাই গঠনমূলক মন্তব্য করেন, ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here