#অর্ধ_নক্ষত্র ।৩২।
#লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati
বধূ সাজে নিয়ে আশা হচ্ছে মেহরা ও জুনায়নাকে।প্রশান্ত, আরশমান বসা থেকে দাড়িয়ে যায়,ফাইজকে দুজন একসঙ্গে থেমে যেতে বলে,”চুপ ফাইজ।”
ফাইজের নজরে পড়েনি মেহরা ও জুনায়না।তাই সে ভ্রু কুঁচকে ফেলে।বলে,” চুপ থাকতে কেন বলছিস?বিয়ে হতে না হতেই দল বদল!শালিকাদের ব্যাপারে খারাপ বলছি দেখে আমাকে চুপ করাচ্ছিস।”
আরশমান কটমট চোখে চায় ফাইজ এর দিকে।ফাইজ মুখটি ছোট করে বলে,”কী হয়েছে এমন শ’কু’নের মতো চোখ করে চাইছিস কেনো?”
আরশমান চোখে ইশারা করলো,ফাইজ দৃষ্টি অনুসরণ করে চাইলো।বিড়বিড় করলো,”মাশাল্লাহ!”
আরশমান মুগ্ধ নয়নে চেয়ে চেয়ে দেখলো তার বধূকে।তার পছন্দ করে কেনা গাঢ় মেরুন রঙ্গা বেনারশী পড়েছে মেহরা।আরশমান বিড়বিড় করে আওড়ালো,”প্রিয় মুগ্ধতায় ছায়াময়ী,তোমার ঐ শ্যাম রঙ্গা গায়ে গাঢ় মেরুন রঙ্গা শাড়িটি যেনো মোহনীয় করে তুলেছে তোমায়,তোমার ঐ মোহনীয়তা মুগ্ধ করছে আমায়!”
প্রশান্ত তার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে,সে নির্নিমেষ নিভৃতে তাকিয়ে রইলো জুনায়নার পানে।এমন বধূ সাজে জুনায়নাকে সেও খুব করে দেখতে চেয়েছিলো সে।আজ যেনো মনের গহীন কোণে থাকা ইচ্ছে পূর্ণতা পেলো।
মেহরা ও জুনায়না স্টেজে উঠলে আরশমান ও প্রশান্ত এগিয়ে যায়।দুই বর তাদের বধূর হাত ধরে বসার স্থানে আসতে সাহায্য করে।জুনায়না ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে দেখছে প্রশান্ত কে।জুনায়নার তো এই শুভ্র রঙ্গা শেরওয়ানি পরা বরের থেকে দৃষ্টি সরাতেই ইচ্ছে করছে না।
মেহরা আরশমান এর দিকে চাইলো,একজন ছেলেকেও যে এতটা মোহনীয় লাগতে পারে মেহরা প্রথম দেখছে।ছেলেদের এত মোহনীয় হতে নেই।তাদের জন্য এই সকল মোহনীয়তা নিষিদ্ধ।
মেহরা আরশমানের পায়ের দিকে চেয়ে ভ্রু কুঁচকে ফেলে।বলে,”জুতো ছাড়াই বিয়ে করতে চলে এসেছেন?এত তাড়া আপনার?”
আরশমান নিজের পায়ের দিকে চাইলো হেঁসে বলল,”তাড়া তো বটেই কিন্তু আপনার বোনেরা আমার আর প্রশান্তর জুতো ডাকাতি করেছে।”
ফাইজ তাল মিলিয়ে বলে,”ভাবি আপনার মত একজন ইন্সপেক্টর বাড়িতে থাকতে এমন জুতা ডাকাতি কী করে হয়।কিছু বলুন ভাবি।”
মেহরা হেঁসে ফেলে বলে,”এইসব ডাকাতির কেস আমি দেখিনা।”
জুনায়না সকলের কথন শুনে নিমগ্ন চেয়ে দেখলো প্রশান্তর খালি পা।দৃষ্টি নিমগ্ন থেকে সরিয়ে আসে পাশে নিক্ষেপ করলো,তার দৃষ্টি জাহরাকে খুঁজছে।দৃষ্টিগোচর হলো জাহরা,জুনায়না উচ্চ কণ্ঠে ডাকলো,”জাহরা আমার জামাইর জুতো দিয়ে যাও।”
জাহরা এহেন আকস্মিক ডাকে ফিরে চাইলো অগ্রসর হলো।স্টেজে উঠে,জুনায়নার সম্মুখে এসে দাড়িয়ে হাস্যজ্বল মুখে বলল,”ফারস্টলি ইউ গিভ মি মানি,তারপর আমিও তোমাকে তোমার জামাইর জুতো জোড়া দিচ্ছি।”
ফাইজ এগিয়ে এসে জাহরার হাতের পিছন থেকে প্রশান্তর জুতো জোড়া এক টানে নিয়ে নেয়, অতঃপর হেঁসে বলে,”নো মানি মিস জাহরা রাক্ষসী।”
জাহরা রেগে যায় ফাইজ এর হাত থেকে জুতো জোড়া নিতে চায়,ফাইজ জাহরার মাথা চেপে ধরে জাহরাকে দূরে সরিয়ে দেয়।প্রশান্তর কাছে জুতো জোড়া ফেলে বলে,”ভাই তাড়াতাড়ি জুতা পর।”
প্রশান্ত পড়ে নেয় জুতা।ফাইজ জাহরার মাথার কাছ থেকে হাত সরিয়ে দেয় হেঁসে বলে,”তোমার থেকেও অধিক চতুর বুদ্ধি আমার মিস।”
জাহরা মুখ ফুলিয়ে বলে,”সমস্যা নেই আরশমান ভাইয়ের জুতো দিচ্ছি না আমি।সেইটার ফি দ্বিগুণ দিতে হবে।”
মাহিদ স্টেজে উঠে এলো মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলল,”আরেহ জাহরা মা থাম।তুই পরে নাহয় ওদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলিস।কাজী এসেছে বিয়ের পর্ব শুরু হবে যে।”
জাহরা মিষ্টি হেঁসে মাথা নাড়ালো।
.
জুনায়না,প্রশান্ত বসেছে এক সঙ্গে।তার অপরদিকে মেহরা ও আরশমান বসেছে।কাজী ধর্মীয় ভাবে জুনায়না,প্রশান্তর বিয়েটা প্রথমে সেরে তবে মেহরা ও আরশমান এর টা।
মেহরা ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাঁসির রেখা টেনে চেয়ে আছে জুনায়না,প্রশান্তর দিকে।এইদিকে আরশমান নিজের ফোন বের করে মুহূর্তটিকে ক্যামেরা বন্দি করে নিচ্ছে।
কাজী অবশেষে সকল কথন আওড়ানোর পর সেই কাঙ্ক্ষিত বাক্যটি বলল,”মা আপনি এই বিয়েতে রাজি থাকলে বলুন আলহামদুলিল্লাহ কবুল।”
জুনায়না চমৎকার হাঁসলো প্রশান্তর দিকে চেয়ে কাঁধে কাধ ঠোকাঠুকি খেয়ে বলে,”তোমায় করে নিচ্ছি আমার।বলে দিচ্ছি কবুল”
প্রশান্ত হাঁসলো বলল,”বলে দে কবুল।”
“আলহামদুলিল্লাহ কবুল।”,প্রশান্তর নয়নের দিকে চেয়ে বাক্যটি বলল জুনায়না।
কাজী পুনরায় বলল,”মা আবার বলুন আলহামদুলিল্লাহ কবুল।”
কাজীর আর অপেক্ষা করা লাগলো না,জুনায়না ঠোঁটের কোণে হাঁসি বজায় রেখে একবার নয় দুই দুইবার বলে ফেললো,”আলহামদুলিল্লাহ কবুল,আলহামদুলিল্লাহ কবুল।
কাজী সহ সকলে একসঙ্গে বলল,”আলহামদুলিল্লাহ।”
এরপর প্রশান্তকে বলতে বলা হলে প্রশান্ত কোনো দ্বিধা না করে তার বধূর চোখের দিকে চেয়ে বলে দিলো কবুল।জুনায়না শেষে আওড়ালো,”ইন্সপেক্টর জুনায়নার মনের জেলে বন্দি করে নিলাম তোমায় প্রশান্ত বাবু।”
“আমি তো ওই জেলেই সারাজীবন বন্দী থাকতে ইচ্ছুক জুনায়না রানি।”
.
কাজী ফিরলো মেহরা ও আরশমান এর দিকে।মেহরার
সেই কাঙ্ক্ষিত বাক্যটি বলার সময় চলে এসেছে,আজ পুরোপুরি আরশমান এর হয়ে যাবে মেহরা।নিজের নামের সঙ্গে তার নামটি যেনো জুড়ে যাবে।কাজী আওড়ালো,”মা বলুন আলহামদুলিল্লাহ কবুল।”
আরশমান হাত বাড়িয়ে মেহরার একটি হাত নিজের হাতের ভাঁজে নিয়ে নিলো।মেহরা কেঁপে উঠলো,চাপা নিশ্বাস ফেললো কম্পিত কণ্ঠে বলে দিলো বাক্যটি।
পরপর কাজী আরও দু বার আওড়াতে বলল বাক্যটি।মেহরা আওড়ালো।
আরশমান এর ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠলো বিজয় হাঁসি,সেও কাজীর কথনে আওড়ালো বাক্যটি তিনবার।সকলে সর্ব শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলল।সকলের ঠোঁটের কোণে হাঁসির রেখা।এক পরিবার অন্য পরিবারকে মিষ্টি মুখ করাতে ব্যাস্ত।তাদের যেনো আজ আনন্দের শেষ নেই।
ফাইজ বলে ওঠে,”কী ভালোবাসারে দোস্ত তোদের ভালোবাসা দেখে এখন আমার বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে।”
আরশমান হেঁসে বলে,”দোস্ত এইখানে অনেক মেয়েই আছে প্রয়োজন পড়লে একটা পছন্দ করে আজকেই বিয়েটা সেরে ফেল।”
ফাইজ বিস্মিত নয়নে চেয়ে বলল,”এইখানের মেয়ে!নাহ ভাই একদম না।একেকটা আস্ত রাক্ষসী।বিয়ের পর আমাকে চিবিয়ে চিবিয়ে কাচাই খেয়ে ফেলব।”
“নাহ থাক আমরা বলবো নে।তোকে যেনো লবণ মরিচ লাগিয়ে খায়।”
.
মেহরার ফোন শব্দ তুলে বেজে উঠলো,সকলের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ব্যাগ থেকে ফোন বের করলো।সে অবাক হলো ফোনের স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করতে থাকা নম্বরটি দেখে,এসপি ফোন করেছে তাকে!
মেহরা জায়গাটি ছাড়লো উঠে দাড়ালো, আরশমান চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাচ্ছে সে।
মেহরা বলল,”গুরুত্বপূর্ণ ফোন এসেছে আসছি আমি।”
মেহরা স্টেজ থেকে নেমে এক পাশে গিয়ে দাঁড়ালো অতঃপর ফোন রিসিভ করলো সালাম দিলো।ঐপাশ থেকে এসপি ফরহাদ বলল,”সকালে তন্ময় গিয়েছিল আপনাদের থানায়।ইন্সপেক্টর জুনায়না ছিলো আপনি ছিলেন না কেনো?”
“স্যার আজ আমার বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছে।আমার বিয়ের অনুষ্ঠান।এই অবস্থায় কী করে যাওয়া যায়?”
“যাইহোক ইন্সপেক্টর জুনায়নাকে বলা হয়েছে যেনো আসিফ এর কেস থেকে সরে আসে।আপনাকেও বলা হচ্ছে।আপনারা দুইজন কেসটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন।বাড়াবাড়ি হলে ইন্সপেক্টর জুনায়নার পাশাপাশি আপনাকেও সাসপেন্ড করা হবে।”
মেহরা দায়সারা উত্তর দিলো,”স্যার দেখা যাক কী হয়।এখন রাখছি স্যার।”,বলে মুখের উপর লাইন কেটে দেয় মেহরা।সাফওয়ানকে হ’ত্যা করেছে যারা তাদেরকে কী করে ছেড়ে দেয় মেহরা।নিজের সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে ভয় পায় না সে।
..
খাওয়ার পর্ব শুরু হলো,সকলে এক সঙ্গে আকারে বড় এমন একটি টেবিলে বসেছে খেতে।ফাইজ এর পাশে বসেছে জাহরা।ফাইজ ওয়েটারকে ডেকে ছয় নম্বর রোস্টটি চাইলো।জাহরা ভ্রু কুঁচকে পাশের থেকে খাবারের চামচ নিয়ে ফাইজ এর হাতে একটা বারি বসিয়ে দিলো বলল,”এই আপনি কী সবার ভাগের রোস্টটাও খেয়ে ফেলবেন নাকি!”
ফাইজ চেঁচিয়ে আরশমান এর দিকে চেয়ে বলে,”আরশমান তোর শালিকা আমাকে তরকারির চামুচ দিয়ে মারলো কিছু বল তুই।”
আরশমান ভাব নিয়ে বলে,”জাহরা আরও দুইটা দাও তো,না পারলে চামচ টা আমাকে দাও।আমি তোমাকে হেল্প করছি।”
ফাইজ এর মা হেঁসে বলে,”ঠিকই বলেছে আরশমান।কিন্তু জাহরা আমার ছেলেকে একাই জব্দ করতে পারবে।আমি তো এজন্যই ওকে আমার ছেলের বউ হিসেবে চাই।”
জাহরা ফাইজ এর মার কথন শুনে বিষম খেলো।ফাইজ খিলখিলিয়ে হাঁসলো।পাশ থেকে গ্লাস ভরা পানি জাহরার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,”কী বলো জাহরা,আমিও কিন্তু চাই।চলো বিয়েটা সেরে ফেলি।”
জাহরা চোখ বড় বড় করে চাইলো ফাইজ এর দিকে।ফাইজ এর মা খুশি হয়ে বলল,”ফাইজ সত্যি তুই চাস।ইশ জাহরা মা রাজী হয়ে যাও না।আমিও বিয়েটা দিয়ে দি তোমাদের।”
ফাইজ হাঁসলো বলল,”নাহ মা আমি মজা করছিলাম।ও মত রাক্ষসী পেত্নীকে বিয়ে করার আমার শখ নেই।”
হাঁসি ঠাট্টার মাঝে শেষ হলো খাবার পর্ব।বিশ্রাম নিল সকলে এখন বিদায়ের পালা।শুরু থেকেই আঞ্জুমান দূরে ছিলো।এখন সে এগিয়ে এসেছে মেয়ের নিকট,জাপটে জড়িয়ে ধরলো মেয়েকে কেঁদে ফেললো সে।বলল,”তোকে ছাড়া আমি থাকবো কী করে মা।”
জুনায়না বুলিয়ে দিলো মায়ের পিঠে।প্রশান্ত মধ্যখান থেকে বলে,”মামনি তোমাকে কেউ বলেছে তোমার মেয়েকে ছাড়া থাকতে?তুমি তো আমাদের সাথে যাচ্ছ।”
আঞ্জুমান অবাক হলো মেয়েকে ছেড়ে ভেজা কণ্ঠে বলল,”এই তো সম্ভব না।”
“তুমি আমার মায়ের মত তো কেনো সম্ভব নয়।আমার এত বড় ফ্লাট তো খালি থাকে মামনি।আমার আর জুনায়না বাদে যদি আমাদের মাঝে মা থাকে তাহলে কীসের সমস্যা।”
আরশমান, ফাইজ এগিয়ে এসে বলে,”মামনি প্রশান্ত ঠিক বলছে।রাজি হয়ে যাও।”
আঞ্জুমান হাঁসলো বলল,”নাহ থাক বাবা।আমি প্রয়োজন পড়লে তোদের দেখে আসবো।”
প্রশান্ত জোর করলো আঞ্জুমান কিছুতেই রাজি হলো না।ওপর দিকে মেহরা বাবা, মাকে জড়িয়ে ধরে দাড়িয়ে আছে।তার চোখ বেয়ে একটি ফোঁটা জল অব্দি গড়িয়ে পড়ছে না।মেহরা হুট করেই শক্ত হয়ে গেলো কেনো?এই বিয়ে নিয়ে কী তার মনের মধ্যে নূন্যতম খুশি নেই।
মাহিদ বলল,”মা তুই সত্যি কদবি না?”
মেহরা চাইলো বাবার দিকে,নিজের সকল কষ্টের অনুভূতি গুলোকে মনের মাঝেই চাপা রেখে হেঁসে বলে,”নাহ একদম না।আবেশে শেইখ বাড়ি থেকে বিদায় করে দিলে আমাকে।এত তাড়াতাড়ি না করলেও পরতে বাবা।”
মাহিদ বুঝতে পেলো মেয়ের হাঁসির পিছনে থাকা অভিমান।অভিমানী কথা বলছে মেয়ে।মাহিদ মোলায়েম কণ্ঠে বলে,”অভিমান করেছে মেয়ে?”
“নাহ অভিমান করার অধিকার কী আছে আমার।বড় হয়েছি আমি এইসব মানায় না আমাকে।”
আরশমান পিছন থেকে দাড়িয়ে দেখছে মেহরাকে।সে দুই কদম এগিয়ে মেহরার পাশাপাশি দাঁড়ালো মাহিদ এর উদ্দেশ্যে বলল,”বাবা তার অভিমান নিয়ে কষ্ট পাবেন না।আপনার মেয়েকে আমার বাড়ির রানি করে
করে নিয়ে যাচ্ছি,তাকে খুশি রাখা আমার দায়িত্ব।”
ফাইজ গাড়ির মধ্যে থেকে বলে ওঠে,”ভাই ভাবীকে তো খুশি রাখবি,এইবার নিজের জুতা নিয়েও একটু ভাব।”
আরশমান ফিরে চাইলো হেঁসে বলল,”গাড়ির ডিকিতে আরেক জোড়া জুতো আছে সমস্যা নেই।”
জাহরার মুখ হা হয়ে গেলো ফাইজ হা হা করে উচ্চ কণ্ঠে হেঁসে উঠলো বলল,”আরেহ জুতা চরের বিজনেসে বড় সড় লস হলো দেখি।”
সকলে হো হো করে হেঁসে উঠলো।জাহরা ঠোঁট উল্টে বলে,”এইটা ঠিক হলো না।”
.
গাড়িতে উঠে বসলো মেহরা আরশমান।প্রশান্তর গাড়িতে উঠে বসে জুনায়না,প্রশান্ত।প্রস্থান করে দুইটি গাড়ি তার সঙ্গে একে একে প্রস্থান করে বর পক্ষের সকল গাড়ি।
..
এক নতুন প্রণয় কী আরম্ভ হবে এই বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধন দ্বারা।তাদের পরবর্তী দিন গুলো কী হবে খুশির নাকি হবে লড়াইর।নিজের দেশের হাতে গোনা কিছু প্রভাবশালী মানুষ দেশদ্রোহীদের আড়াল করে রাখছে।তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যেতে হবে সকলকে।
#চলবে।