#আমার তুমি ২
#পর্বঃ২০
#তানিশা সুলতানা
এই বাড়িটাকে তুলতুলের কাছে জ*মের বাড়ি বলে মনে হয়। এই যে সব গুলো মানুষ কেমন করে তাকিয়ে থাকে। কেমন করে কথা বলে। সুমু তো এসেই সায়ানের রুমে চলে গেছে। তুলতুল ভয়ে যায় নি। গেলেই যে হালুম করে ধরবে এটা জানা আছে। ডিস্টেন্স মেইনটেইন করে চলতে হবে ওই লোকটার থেকে।
এখন আপাতত গাউন ধরে নায়িকা নায়িকা একটা ভাব নিয়ে হাঁটছে তুলতুল এই বাড়ির ড্রয়িং রুমের মধ্যে। মনে হচ্ছে রেম্পে হাঁটছে। আর আশেপাশে অনেক মানুষ।
হামিদা গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছে তুলতুলের দিকে। ওই বাড়ির একটা মেয়েকেও ওনার পেছন না। মেয়েরা হবে ধবধবে ফর্সা একদম সুমুর মতো। কিন্তু নাহহ এই মেয়ে দুটো ওতো ফর্সা না। তবুও তুলতুলের থেকে তনু একটু বেশি ফর্সা এতে তার একটু শান্তি।
মনের মধ্যে অনেক অনিচ্ছা তনুকে নিজের ছেলের বউ করতে। ভেবেছিলো নিজে পছন্দ করে নর্ম ভদ্র একটা মেয়ে আনবে। কিন্তু তাতো হলো না। ছেলে আগেই পছন্দ করে রাখলো।
“এই মেয়ে এভাবে হাঁটছো কেনো?
খুকি বেগম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে এসে সোফায় বসে বলে। তুলতুল হকচকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে।
” হাঁটছিলাম।
আমতা আমতা করে বলে।
“সেটা আমিও দেখলাম হাঁটছিলে। কেনো হাঁটছিলে সেটাই জিজ্ঞেস করেছি আমি?
কয়েকটা দাঁত পড়ে গেছে। যেগুলো আছে সেগুলো কটমট করে বলেন উনি। তুলতুলের বলতে ইচ্ছে করলো ” এভাবে দাঁত কটমট করবেন না। যে কয়টা আছে সে গুলোও পড়ে যাবে”
কিন্তু বলতে পারলো না।
হামিদা সুযোগ পেয়ে গেছে। ঘোমটা টানতে টানতে এগিয়ে আসে।
” মা সেই কখন থেকো এভাবে হাঁটছে। মনে হয় কোনো মতলব আঁটছে। আমি কিন্তু এখন সাফ সাফ কিছু কথা বলে দেবো ওকে। বলি?
অনুমতি চায় হামিদা। তুলতুল ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে আছে।
“বলো
খুকি বলে। হামিদা একটু হাসে। তুলতুলের সোজাসুজি দাঁড়ায়।
” আমার ভাইজি আছে।
“ওহহ আছে না কি? জানতাম না।
তুলতুল দাঁত কেলিয়ে বলে। কপাল কুঁচকে ফেলে হামিদা।
” চুপচাপ আমার কথা শুনবে। আমার আবার ভুলে যাওয়ার রোগ আছে। গুলিয়ে দিবা না কথার মাঝে বা হাত ঢুকিয়ে।
তুলতুল মাথা নারায়।
“আমার ভাইজি দেখতে খুব সুন্দর। নাম সোনা। পড়ালেখায়ও খুব ভালো। তাকে আমরা সায়ানের জন্য পছন্দ করেছি। সায়ানও পছন্দ করে। হিমুর বিয়েটা হয়ে গেলেই সোনাকে আমরা ঘরে তুলবো। আমার সায়ানটাও ভীষণ ভালোবাসে মেয়েটাকে। একদম চোখে হারায়। এই তো আজকে অসুস্থ বলে ফল টল কিনে নিয়ে আসছে। কতো ভালো ভাবো? ডাক্তারি পড়ছে।
সায়ানের সাথে তো প্রতিদিন কথা বলে। এক ঘন্টা নাই দুই ঘন্টা নাই।
তুলতুল মনোযোগ দিয়ে ওনার কথা শুনে। হামিদা বেশ খুশি হয় এতোগুলো কথা বলতে পেরে।
ভেবেছে তুলতুল পাল্টি খেয়ে গেছে। এখন নিজে থেকে সরে যাবে।
“কে কল দেয়?
তুলতুলের এরকম প্রশ্নে ভেবাচেকা খেয়ে যায় হামিদা। খুকি বেগম বড়বড় চোখ করে তাকায়।
” না মানে বলছি কলরেট তো অনেক বেরে গেছে। একদম আগুন বরাবর। সায়ান ভাইয়া যে কিপ্টার কিপ্টা। আমাকেই মিসকল দেয়। তাই বলছিলাম আর কি?
কে কল দেয়?
নিশ্চয় সোনা মনি?
সত্যিই মেয়েটা খুব ভালো। এতো ভালো মেয়ে আজকালকার দিনে দেখা যায় না। এরকম মেয়ে হাত ছাড়া করবেন না একদম।
একটা আইডিয়া দেই শুনুন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সোনামনিকে বউ করে আনুন। পারলে এখনই আনুন। কতো লহ্মী একটা মেয়ে বলুন
তাতে আপনাদেরও লাভ আর আমারও লাভ হবে। চুটিয়ে প্রেম করতে পারবো। একটু রিলাক্সে ঘুরাঘুরি করতে পারবো।
আপনাদের বাড়ি ছেলের কি নাম রেখেছি আমি জানেন? সিংহ
ওই সিংহ আমার জীবন টাকে তেনাতেনা বানিয়ে ফেলছে। এখন ওনার বিয়ে হলে আমি বেঁচে যাই।
এক কাজ করি আমি ওনাকে বলি আসি ওনার সোনামনির সাথে ওনার বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন। উনি হয়ত জানে না। জানানো দরকার।
তাতে কি হবে বলেন তো?
আমার পিছু লাগবে না। সোনার পেছনে মনা মনা করবে। আমি মাঝখান থেকে বেঁচে যাবো।
তুলতুলের কথা শুনে মাথা ঘুরছে হামিদার। খুকি একটু পরপর ঢোক গিলছে। এ যে একটা ভাঙা রেডিও।
হামিদাকে কিছু না বলার সুযোগ দিয়ে তুলতুল নাচতে নাচতে সায়ানের রুমে চলে যায়। হামিদা ঠাসস করে শাশুড়ীর পাশে বসে পড়ে।
“আম্মা আপনি আটকান। এই মেয়েকে যদি সায়ান বাড়িতে তুলে আমাদের পাগল করে দেবে।
” ওই বেপারোয়া ছেলেকে আটকানোর সামর্থ্য কি আর আমার আছে?
খুকি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে।
তুলতুল চার পাঁচবার মুখ বাঁকায়। কি একটা অবস্থা?
ওনারা কি ভেবে ফেলেছে যে তুলতুল ওই খাটাশটাকে পছন্দ করে ফেলেছে?
কখনোই না। তুলতুলের পছন্দ এতোটাও বাজে না।
সায়ানের রুমের সামনে এসে ভেতরে উঁকি দেয়। উপুর হয়ে শুয়ে আছে সায়ান। মাথায় পেছনে আঘাত পেয়েছে বলে চিৎ হয়ে শুতে পারে না। গায়ে কিছুই নেই। খানিকটা লজ্জা পায় তুলতুল।
সুমু ঘাড় টিপে দিচ্ছে সায়ানের। তন্ময় মুখের সামনে বসে কিছু বলছে। হাসিব পা টিপছে হিমু চুল টেনে দিচ্ছে।
তুলতুল ভেংচি কাটে। কি আদিহ্ম্যেতা। ইচ্ছে করছে কা*টা জায়গায় একটা ঘু*সি দিতে। কিন্তু এটা কি আর তুলতুল পারবে? ঘাড়ের ওপর তুলে আ*ছাড় মারবে। হনুমান কি না?
দুর থেকেই দুই চারটা লা*থি আর ঘু*সি দেখায়।
বাই এনি চান্স যদি সায়ান দেখতো তাহলে হয়ত এতখনে দুই গালে দুইটা পড়তো।
শুকনো ঢোক গিলে চুল গুলো ঠিক করে নেয়। ফোনের স্কিনে নিজের চেহারাটাও দেখে নেয়।
তন্ময়কে দেখে কিছুটা সাহস নিয়েই ভেতরে ঢুকে পড়ে তুলতুল।
“দাভাই আমি এখানে থাকবো না। আমার সাথে কথা বলার মতো কেউ নেই। যে যার মতো। আমি কার সাথে কথা বলবো?
আর এই বাড়ির মানুষ গুলোও কেমন যেনো। জানি আমি সুন্দর তবুও খালি ড্যাপ ড্যাপ করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। একদম ভালো লাগছে না। এমবিও নাই যে ফোন দেখবো। এই বাড়ির মানুষজন যে কিপ্টার কিপ্টা মনেও হয় না যে একটুখানি ওয়াই ফাই র পাসওয়ার্ড দেবে। তার থেকে ভালো দিয়ে আসো আমায়। থাকবোই না আমি এখানে।
তুলতুল বলে। সায়ান ভ্রু কুচকে তাকায় তুলতুলের দিকে।
” এমা তুলতুল তুমি বোর হচ্ছো? আমরা আড্ডা দিচ্ছি তুমি তো আমাদের সাথেও গল্প করতে পারো।
সুমু বলে।
“আমি সবার সাথে গল্প করি না। বিশেষ করে হনুমান টাইপের মানুষদের সাথে।
সায়ানের দিকে তাকিয়ে মুখ বাঁকিয়ে বলে তুলতুল। হাসিব ফিক করে হেসে ফেলে। সায়ান চোখ পাকিয়ে তাকায়।
“আসো আমরা দুজন গল্প করি। ছাঁদে সন্ধা মালতি ফুল গাছ লাগিয়েছি দেখাবো তোমায়। চলো।
হাসিব বিছানা থেকে নেমে বলে। তুলতুল খুশি হয়।
” বোনু ফুল কিন্তু ছিঁড়িস না।
তন্ময় কড়া গলায় বলে দেয়। তুলতুল মাথা নেরে সায় দেয়।
পুরো বিকেল হাসিব তুলতুল আর সুমু ছাঁদেই কাটায়। নিচে আর নামে নি৷ সুমু দুবার গিয়ে চকলেট জুস এসব নিয়ে এসেছে। তুলতুলের মাথা থেকে বেরিয়েই গেছে সোনার কথা। থাকলে অবশ্য বলে দিতো ওদের।
সালমা আর মনি খাবার নিয়ে এসেছে সায়ানের জন্য। সন্ধায় একটা ঔষধ আছে। খাবার খাইয়ে সেটা খায়িয়ে দেবে।
সালমা ধরে বালিশে পিঠ ঠেকিয়ে বসিয়ে দেয় সায়ানকে।
“মা তুলতুলকে এসে দাও।
সায়ানের মুখের সামনে খাবার ধরতেই বলে সায়ান। সালমা বিরক্ত হয়। মনি চোখ পাকিয়ে তাকায়।
” সায়ান কি পেয়েছিস ওই মেয়ের মধ্যে? সারাক্ষণ তোর তুলতুল কেনো লাগবে? মাথা খেয়ে ফেলবি আমাদের? তোর বাবা জানতে পারলে মে*রে লা*শ বানিয়ে দেবে।
সালমা ভাত মাখাতে মাখাতে কড়া গলায় বলে।
“বাদ দিয়ে দাও সায়ান। তুমি এর থেকেও ভালো কাউকে ডিজার্ভ করো।
মনি বলে। সাথে সাথে মায়ের হাতের ভাতের থালা ফেলে দেয় সায়ান। কেঁপে ওঠে সালমা আর মনি। মুহুর্তেই কাঁচের থালা খুব বিকট শব্দ করে ভে*ঙে গুড়িয়ে যায়৷ ভাত গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ো যায়।
সায়ান রাগে কাঁপছে।
” বেয়াদব হবে যাচ্ছিস তুই?
সালমা শক্ত গলায় বলে। সায়ান পাত্তা দেয় না। কোমর পর্যন্ত জড়ানো কম্বল ফেলে দিয়ে বিছানা থেকে নেমে পড়ে।
“আব্বা কোথায় যাচ্ছিস?
সালমা তারাহুরো করে সায়ানের সামনে এসে বলে।
সায়ান উওর দেয় না। কাবাড থেকে একটা টিশার্ট বের করে গায়ে জড়াতে জড়াতে বেরিয়ে যায় রুম থেকে। পেছন পেছন মনি আর সালমাও যায়।
হনহনিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে পড়ে সায়ান।
তুলতুল হাসিব হিমু বসে গল্প করছে। সুমু তন্ময়কে নিয়ে রুমে গেছে। ওদের থেকে একটু দুরে বসল পান চিবচ্ছে খুকি আর অপেক্ষা করছে সোনার। সোনা একটু আগেই কল করেছিলো। প্রায় চলে এসেছে।
এই সোনাকে দিয়েই তাড়াবে সায়ানের মাথা থেকে তুলতুলের ভুত।
সায়ান তুলতুলের হাত ধরে। আচমকা এমন হওয়াতে ভয় পায় তুলতুল। কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে টেনে নিয়ে যেতে থাকে সায়ান।
সবাই হতদম্ভ হয়ে গেছে। মনি আর সালমা কেঁদে ফেলেছে। খুকি শুকনো ঢোক গিলে। গোটা বংশে এতো রাগী আর জেদি একটাও নেই। এ কোথা থেকে এসেছে?
” আব্বা তোর শরীর ভালো নেই৷ কোথাও যাস না।
পেছন পেছন যেতে যেতে কেঁদে বলেন সালমা। সায়ান পাত্তা দেয় না। তুলতুল হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। হাতে ভীষণ ব্যাথা পাচ্ছে। লোহার মতো শক্ত হাত দিয়ে তুলোর মতো নরম হাত ধরলে ব্যাথা লাগবে না?
সায়ানের সাথে সমান তালে হাঁটতেও পারছে না তুলতুল। পড়তে পড়তে সামলে নেয় তুলতুল।
হিমু রুমে চলে যায় গাড়ির চাবি আনতে। পেছন পেছন যেতে হবে।
সায়ান তুলতুলকে গাড়িতে বসিয়ে ডোর লক করে নিজেও বসে পড়ে। সালমা গাড়ির কাছে পৌছানোর আগেই সায়ান স্ট্রাট দিয়ে দেয়।
তখনই সোনা এসে পড়ে।
“সায়ান কোথায় গেলো? সাথে কে?
সোনা সালমাকে জিজ্ঞেস করে। হু হু করে কেঁদে ওঠে সালমা।
” আমি না ম*রা পর্যন্ত এই ছেলে শান্তি দেবে না আমায়।
আঁচলে মুখ মুছতে মুছতে বলেন উনি।
🥀
“আরে আরে আমাকে কিডন্যাপ কেনো করলেন? আজব তো? এভাবে কই নিয়ে যাচ্ছেন? বিক্রি করে দিবেন না কি? আমি করলাম টা কি? দোষটা কি আমার? আমি নিষ্পাপ একটা মানুষ। এভাবে হুটহাট আমার ওপর অ্যাটাক কেনো করেন? যদি হার্ট অ্যা*টাক করে বসি? তখন দায় কে নেবে? তখন তো আমাকে কেউ বিয়েও করবে না।
হায়য়য়য়য় আল্লাহ তখন কি হবে আমার?
এই গোমড়ামুখো হনুমানের জন্য আমার বিয়ে করে এগারো ছেলের মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না।
এটা হতে পারে না। এটা অন্যায়। ভীষণ অন্যায়। আমি সয্য করলেও আল্লাহ সয্য করবে না। আল্লাহ তুমি বিচার করো।
তুলতুল নাক টানতে টানতে বলে। সায়ানের রাগ বেরে যায়। এমনিতেই মায়ের ওপর রাগ হচ্ছে। এখন আবার এর বকবকানি।
সায়ান খুব জোরে ব্রেক করে গাড়ি থামায়৷ সিট বেল্ট না বাঁধায় তুলতুল বাড়ি খেয়ে যায় সায়ান হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়।
বুক কাঁপছে তুলতুলের। এভাবে গাড়ি থামায় কেউ? হাত পাও কাঁপছে। বুকে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে দুটো শ্বাস টানে তুলতুল। তারপর বুকে থু থু দিয়ে তাকায় সায়ানের দিকে। সায়ান মাথা নিচু করে চোয়াল শক্ত করে বসে আছে। চোখের পলকও ফেলছে না।
“আল্লাহ বাঁচাইছে। গাড়ি চালানো শেখেন নাই? এভাবে কেউ গাড়ি থামায়? ইচ্ছে করে করেছেন এমনটা তাই না? আমাকে মে*রে ফেলতে চাইছিলেন? বুঝি বুঝি সব বুঝি আমি৷ আমি আপনার কোন পাকা ধানে মই দিয়েছি যে এভাবে আকালে আমাকে ওপরে পাঠানোর ফন্দি এঁটেছেন? আমি মরে গেলে আমার এগারো ছেলের কি হতো? একবারও চিন্তা করলেন না? এতিম হয়ে যেতো না ওরা?
হনুমান, পাষান, হার্টলেস মানুষ কোথাকার। একটুও দয়া মায়া নাই। আমার থেকে দয়া মায়া ধার নিয়েন একটু। মানুষ বল
বাকিটুকু শেষ করার আগেই সায়ায় একহাত তুলতুলের চুলের ভাজে দিয়ে আরেক হাত গালের ওপর রেখে নিজের দিকে টেনে একদম কোলে বসিয়ে দিয়ে ওষ্ঠদুটো নিজের ওষ্ঠদ্বয়ের ভাজে নিয়ে নেয়।
তুলতুল বড়বড় চোখ করে তাকায়। কি হচ্ছে বুঝতে পেরে আবার চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে। দুই হাতে সায়ানকে ধাক্কা দিতে থাকে।
যত ধাক্কা দিচ্ছে সায়ান ততবেশি গভীর হচ্ছে। গাল থেকে হাত সরিয়ে কামিজের ফাঁকে ঢুকিয়ে দেয় সায়ান।
তুলতুল কাঁপতে থাকে। ছোঁয়া গুলো অবাধ্য হতেই দুই হাতে খামচে ধরে সায়ানের চুল।
চলবে