#আশার_হাত_বাড়ায়|৩১|
#ইশরাত_জাহান
🦋
মিস্টার জায়ানের মেয়ের বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান আজ শেষ হলো।কাল ঢাকায় ব্যাক করবে সবাই।এই কয়টা দিন শ্রেয়া আর ফারাজের মধ্যে বন্ধু সুলভ আচরণ গড়ে উঠেছে।তবে এটা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি না।শ্রেয়া ফারাজের সাথে কাজ নিয়ে বেশি কথা বলে।কোনটা কোম্পানির জন্য বেস্ট কোনটা বেস্ট না এগুলোই নিজে থেকে ফারাজকে বলে শ্রেয়া।এনি আর শ্রেয়ার একই মতামত হলে সেই ডিজাইন নিয়ে কাজে লেগে পড়ে।শ্রেয়া অনুভব করেছে যত দিন যাচ্ছে সে ফারাজকে ভালোবেসে ফেলেছে।হ্যাঁ এই সাতদিন সে তার ভালোবাসা সম্পর্কে অবগত।নিজে থেকেই লজ্জা পেতে থাকে আবার ফারাজকে দেখলে আরো বেশি লজ্জা লাগছে।আজকে সবাই রাতের আধারে সমুদ্র দেখতে এসেছে।বলা যায় সমুদ্র বিলাস।
মিমিকে নিয়ে শ্রেয়া নিজের মতো ঘুরছে।এনি ফারাজের সাথে কথা বলছে। ইভা ওর বয়ফ্রেন্ডকে জানিয়েছিলো সে কক্স বাজারে এসেছ।তাই সেও কক্স বাজারে আসে।কাল একসাথে যাবে ঢাকায়।মিমি শ্রেয়ার হাত ধরে সমুদ্রের কাছে আসে।বেশি দূরে না যেয়ে শুধু সমুদ্রের তীরে দাড়িয়ে থাকে।পানি ছুড়তে থাকে মিমি শ্রেয়ার দিকে আর শ্রেয়া সেও মিমির সাথে তালে তাল মেলাতে থাকে।এনি ফারাজকে বলে,”ওদেরকে একসাথে দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে তাই না হ্যান্ডসাম?”
“হুম।”
“একদম মা মেয়ের মতো লাগছে তাই না।”
ফারাজ তাকালো এনির দিকে।এনি ফারাজকে দেখে বলে,”না মানে দেখতে তেমনই লাগছে তাই না?”
“কিছুটা।”
এনি আর কথা বললো না।অতিরিক্ত কিছু বললে ফারাজ আবার কি রিয়েক্ট করবে কে জানে।এমনি একটু আগে কাজ শেষ করে শান্তির জন্য এখানে এসেছে।এত ব্যস্ততার পরেও একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার।এখনই ফিউচার প্ল্যান নিয়ে বলার সাহস এনি পাচ্ছে না।শ্রেয়া আর মিমির কিছু ছবি তুলে নিলো।অন্ধকারে চারপাশে থাকা ক্ষুদ্র আলোয় ছবিগুলো স্পষ্ট না আসলেও বোঝার উপায় আছে।মিমির মুখটা বোঝা যায়।ফেইসবুকে পোস্ট করে হ্যাপি মোমেন্ট লিখে।এই পোস্ট নজরে আসে জিনিয়ার।বিরক্ত হলো সে।শ্রেয়াকে সহ্য করতে পারছে না।সিনথিয়ার বাবা মাকে কল করে জানান,”আপনারা পরশুদিন আসবেন।আমি ফারাজ আর সিনথিয়ার বিয়ে নিয়ে কথা বলতে চাই।”
এদিকে মিরাজকে কল করে জানিয়ে দিলো সিনথিয়া তার পরিবার নিয়ে আসবে।মিরাজ কি বলবে বুঝতে পারছে না।এটা কেনো হতে হলো।শুধু এটুকুই বলে,”ভাইয়া এমন অহংকারী ন্যাকু মেয়ে পছন্দ করে না মা।ভাই আর মিমির জন্য লাগবে সাংসারিক ও ভদ্র মেয়ে।”
“ওসব সাংসারিক মেয়ে আগেকার সময় লাগতো।এই সময়টা মানুষ এসব দেখে না।এই সময়ে মানুষ যোগ্যতা দেখে।”
বেশি কিছু বলল না মিরাজ।মায়ের মুখের উপর এখন কিছু বলা মানে বিপদে পড়া। অর্পাকেও কিছু শেয়ার করলো না।বেচারি এমনি দুশ্চিন্তা করার মানুষ।শুধু তার বাবাকে একটি ম্যাসেজ দিয়ে জানিয়ে দিলো।বাবা রিপ্লাই করে,”আমি দেখছি কি করা যায়।চেষ্টা করবো সবকিছু সামলানোর কিন্তু বাকিটা ফারাজের হাতে।”
মিমির ঘরে একা ঘুমিয়ে আছে অহি।ঘুমের মধ্যেই অনুভব করলো দরজা ধাক্কানোর শব্দ।দরজা ধাক্কানোর শব্দে দরজা খুলে অহি দেখলো সামনে তিহান দাড়িয়ে আছে।তিহানকে দেখে অহি বলে,”কি চাই তোমার?”
“আমার ঘরে চলো।”
“কেনো?”
“স্বামী স্ত্রী আমরা।একসাথে ঘুমাবো।”
“পুরুষত্বের তেজ উঠেছে বুঝি!”
কিছুটা তিরস্কার করে বলে।
“দেখো বাড়াবাড়ি করো না।স্বামী স্ত্রী ঝামেলা হয়।তাই বলে এভাবে ঘর পাল্টে থাকা মানায় না।”
“কোনটা মানায় আর কোনটা মানায় না এটা আমি তোমার মতো লোকের থেকে জানতে চাই না।বিবেকহীন লোক যে পারে না স্ত্রীকে সম্মান দিতে যে পারেনা সন্তানকে শিক্ষা দিতে ভালোবাসতে সে কখনও কাউকে জ্ঞান দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না।”
“অনেক হয়েছে গলাবাজি।”
বলেই অহির হাত ধরে মিস্টার তিহান।হাত ছাড়িয়ে দূরে সরিয়ে দিলো অহি।চিল্লিয়ে বলে,”খবরদার অধিকার খাটাতে আসবে না।সম্মান তো অর্ধেক চলেই গেছে।বেশি বাড়াবাড়ি করলে তালাক দিয়ে চলে যাবো।তোমার সম্মান আর এই বাড়িতে তো থাকবেই না সাথে করে সমাজের চোখেও হাস্যকর হয়ে যাবে ব্যাপারটা।”
অহির এই নতুন রূপ দেখে অবাক হয় তিহান।অবাক নয়নে বলেন,”এতটা পরিবর্তন?”
“বাধ্য করেছো তুমি।এই জীবনে না পেলাম স্বামীর সুখ না পেলাম সন্তানদের ভালোবাসা।না পেলাম নিজের একটা নির্দিষ্ট পরিচয়।এখন আমার শুধু একটাই পরিচয় আমি মিমির নানী।আমাকে আমার মিমি অনেক ভালোবাসে।এই বাড়িতে আছি ফারাজের দয়ায়।ছেলেটা আমাকে ভালোবাসে আমার ভরণ পোষণ মিটিয়ে দেয়।ওর জন্য আশ্রয় পেয়েছি আমি এই বাড়িতে।তোমাদের জন্য না।বেশি কিছু করলে বাধ্য হবো এই বাড়ি ছাড়তে।মান সম্মান ডুবে যাবে তোমার।মনে রাখবে গরীবের মান সম্মান গেলেও পাবলিক হয়না বড়লোকদের সবকিছু ছড়াছড়ি হয় অতি সহজে।”
তিহান এবার কিছু না বলেই চলে আসতে নেয়।ঠিক তখনই পিছন থেকে অহি বলে,”সময় থাকতে দ্বিতীয় বউ আর মেয়েকে অবহেলা করেছিলে।এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে।উপরে আল্লাহ দেখছেন।তিনি সবকিছুর হিসাব মিলাতে থাকেন।আমার মেয়েটা যে নোংরা কাজ করেছে তার শাস্তি বাবা মা স্বরূপ আমরাও পাবো।এই দুনিয়ায় না পেলেও আখিরাতের জন্য শাস্তি তো আছেই।বাবা মা শিক্ষা না দিলে সেই বাবা মাকেও হিসাব দিতে হবে তিহান।কৃত কর্মের জন্য প্রস্তুত হও।”
অহির একটা কথাও মাটিতে ফেলার মতো না।সত্যি বলতে এই কয়েকদিন অহির এই দূরত্ব আর অবহেলা সজ্য হচ্ছে না মিস্টার তিহানের।তাই তো আজ ছুটে আসে অহিকে নিতে।কিন্তু অহি আজ তাকে তার স্থান বুঝিয়ে দিলো।মিস্টার তিহান আজ একটু উপলব্ধি করলো।সে যে ভুল করেছে তা এখন তা এখন অনুশোচনায় জেগে উঠেছে।কিন্তু এখন সে কিছুই ঠিক করতে পারবে না।পরিস্থিতি তাকে ঠিক করিয়ে দিবে।
পরদিন সকালে ফারহান চৌধুরী আসেন শ্রেয়ার মায়ের কাছে।সাথে আছে মিসেস জুঁই।সৃষ্টি বেগম ঘরে যা ছিলো তাই দিয়ে আপ্যায়ন করতে থাকলেন।লজ্জা পাচ্ছেন তিনি।আগে থেকে জানলে ফল মিষ্টি আনতে পারতেন।রিমলি তাও চেষ্টা করলো পাশের দোকান থেকে কিছু আনার।নুডুলস এনে রান্না করছে আর কিছু পিঠা সৃষ্টি বেগম বানিয়ে রেখেছিলেন নিজেদের জন্য।ওগুলো দিয়ে সামনে পরিবেশন করলেন।লজ্জা মুখে বললেন,”আমি তো জানতাম না আপনারা আসবেন।বাড়িতে কোনো ছেলে মানুষও নেই।আমি আর আমার মেয়ে।ঢাকা শহরের এদিক ওদিক কমই যাওয়া হয়।ভুল কিছু করলে মনে নিবেন না ভাইজান।”
ফারহান চৌধুরী স্মিত হাসলেন।মিসেস জুঁই বলেন,”কপালে থাকলে পরেরবার পেট ভরে খেয়ে যাবে।তখন বেয়াই অ্যাপায়ন করতে পারবেন আপা।”
বেয়াই আপ্যায়ন শুনে অবাক হলেন সৃষ্টি বেগম।তবে রিমলি ঠিকই বুঝলো বিষয়টি।ঘরের মধ্যে ছিলো সে।ঘর থেকেই শুনছে ওদের কথাবার্তা।শ্রেয়ার জন্য সম্বন্ধ এসেছে বুঝতে পারলো।তাও কি না তার কল্পনার মানব।রিমলি কেনো জানেনা চায় ফারাজ আর শ্রেয়ার মিল হোক।তাই তো এদের সম্বন্ধের কথা শুনে ঘরের মধ্যেই লাফাতে থাকে দুই হাত উচু করে।অর্পাকে ম্যাসেজ দেয়,”আমার আপুর বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। হুররে!তোমার শশুর এসেছে তোমার ভাসুরের জন্য।”
ম্যাসেজ দেখে খুশি হয় অর্পা।মিরাজকে বলে ঘটনা।মিরাজ তো দেখানো হাসি হেসে দেয়।
বাসায় গেলে বাবা মায়ের এই দুইদিক থেকে দুইটা সম্বন্ধ নিয়ে একটা তুলকালাম বাদবে এটা সে শিওর।কোনো একটা সুনামি আজ আসবে।
সৃষ্টি বেগম কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলেন,”বুঝলাম না।কার বেয়াই মানে কার সাথে কার সম্পর্ক?”
“আপনাদের শ্রেয়াকে আমাদের অনেক ভালো লাগে।যেমন মিষ্টি তেমন নম্র ভদ্র।আপনার কি আমাদের ফারাজকে ভালো লাগে?”
এ যেনো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।সৃষ্টি বেগম শাড়ির আঁচল মুখে এগিয়ে দিয়ে বলেন,”আপনারা এত বড় পরিবার থেকে সম্বন্ধ এনেছেন এটাই তো বিশ্বাস হয় না।”
“হয়ে যাবে বিশ্বাস।সময় লাগবে তো একটু।কিন্তু ফারাজকে আপনার পছন্দ তো?”
“ফারাজ বাবা অনেক ভালো মানুষ।যতটুকু দেখেছি বলতে পারি সে একজন বিচক্ষণ পুরুষ।এমন পুরুষ মানুষকে না বলার উপায় নেই।”
“তাহলে আর কি?আমরা ফারাজের সাথে কথা বলে দেখি।আর আপনারা শ্রেয়ার সাথে কথা বলুন।দুই তরফা রাজি হলে বিয়ে দিয়ে দিবো।”
মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলেন সৃষ্টি বেগম।জিনিয়ার কানে পৌঁছে গেলো ব্যাপারটি।ফারহান চৌধুরীর ড্রাইভারকে কল করে ফারহান চৌধুরীর খোঁজ নিতেই জানতে পারেন সবকিছু।রাগে দুঃখে ছক কষছে এই সম্পর্ক ভাঙার।
রাতে সবাই ঢাকায় ফিরে আসে।যে যার বাড়িতে পৌঁছে যায়।ফারাজ এসেই সবার সাথে সাক্ষাৎ করে নিলো।তারপর ফ্রেশ হয়ে এসেছে।ফ্রেশ হয়ে আসতেই ফারাজের রুমে হাজির হয় জিনিয়া।জিনিয়াকে আসতে দেখেছে অহি।কিছুটা জানে ফারাজ সম্পর্কে।অহি তাড়াতাড়ি করে ডাক দিলেন মিরাজকে কল করতে লাগলেন ফারহান চৌধুরীকে।কিছু একটা অঘটন ঘটে যেতে পারে এখন।ফারাজ তার মাকে দেখে বলে,”কিছু বলবে মা?”
“তোমার বিয়ে নিয়ে কথা চলছে এটা কি তুমি জানো?”
ভ্রুকুটি করে ফারাজ বলে,”হোয়াট?”
হাঁফাতে হাঁফাতে ফারাজের ঘরে আসলো মিরাজ।কোনমতে দরজার কাছে এসে দাড়ালো।একটুর জন্য পড়ে যায়নি।অর্পা কোনমতে দৌড়ে আসলো।মিরাজের দৌড় দেখেই সে দৌড় দেয়।কাহিনী কি কিছুই জানে না।মিরাজকে দেখে জিনিয়া বলে,”ওহ তাহলে চলেই এসেছো আমাকে বাধা দিতে।কিন্তু সত্যিটা তো জানবেই ফারাজ।তোমরা ওর সাথে ওর অ্যাসিসট্যান্টকে বিয়ে দিতে চাও এটা জানার অধিকার তো আছে ওর।”
“ব্যাপারটা এভাবে না যেভাবে তুমি প্রেজেন্ট করছো মা।বাবা ছিলো তো।সেই বুঝে নিতো।”
ফারাজ এদের কথার মাঝে বলে,”আমার অ্যাসিসট্যান্ট মানে?মিস শ্রেয়ার সাথে আমার বিয়ের কথা?”
“হ্যাঁ তোমার বাবা যেয়ে কথা বলে এসেছে শ্রেয়ার মায়ের সাথে।সম্ভবত তোমরা রাজি হলে বিয়েটা হবে।”(জিনিয়া বলে)
অতসী এসে দাড়ালো ফারাজের ঘরের সামনে।ফোন বেড় করে ফারাজের রিয়েকশন ভিডিও করতে চায়।হয়তো ফারাজ কোনো একটা বাজে কথা বলবে।ভেঙ্গে দিবে বিয়ে। হলোও তাই।ফারাজ বলে ওঠে,”তোমরা ভাবলে কি করে আমি এখন বিয়ে করবো?”
“তোমার ভাই আর তার বউ তো মনে করে তুমি ওই ক্ষেত মেয়েটাকে ভালোবাসো।তাই তো বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।তোমার ভালোবাসার মিলন ঘটাতে।”
“হোয়াট ননসেন্স!আমি এমন কিছুই ভাবি না মিস শ্রেয়াকে নিয়ে।আমি ভালোবাসি না তাকে।বিয়ে তো দূরের কথা আমার জীবনে এখন কেউই নেই।শুধু আমার মেয়ে আছে আমার জীবনে।”
জিনিয়া তাকালো অর্পা আর মিরাজের দিকে।মিরাজ নিজেও কম না।মায়ের চালাকি ধরতে পেরে সেও মুখ খুলে।ফারাজকে প্রশ্ন করে,”তারমানে তুমি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাও না?”
“আমি আমার জীবনে অন্য কোনো নারীর স্থান দিতে পারবো না।”
“করবে না তো কাউকে বিয়ে।”
“না আমি বিয়ে করবো না।”
“মিস সিনথিয়াকেও না?”
সাথে সাথে ক্যামেরা বন্ধ করে দিলো অতসী।ফারাজ যে না বলবে এটা শিওর সে।জিনিয়া এবার অগ্নিদৃষ্টি দিলো মিরাজের দিকে।মুখে টেডি স্মাইল দিয়ে মায়ের দিকে তাকালো মিরাজ।কিভাবে উল্টো বিপদে ফেলতে হয় এটা সে খুব ভালো করেই জানে।ফারাজ এবার গর্জে উঠে বলে,”কি একবার মিস শ্রেয়া একবার মিস সিনথিয়া লাগিয়েছিস তোরা?”
“আমরা মিস শ্রেয়া লাগলেও মম তো মিস সিনথিয়া লাগিয়েছে।কাল সিনথিয়ার বাবা মা আসবে তোমাদের বিয়ে নিয়ে কথা বলতে।দেখো ব্রো!আমার কাছে ওই নাচঙ্গি সিনথিয়ার থেকে মিস শ্রেয়াকে বেশি পারফেক্ট লাগে।বউ ভক্ত হয়ে সাপোর্ট করছি না আমি।ভাইয়ের সুখের দিকে বিচার করে বলছি কথাগুলো।মেনে নেওয়া না নেওয়া তোমার ব্যাপার।”
মিরাজের এমন লাগামছাড়া উল্টো কথাতে ফারাজ কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না।মিরাজের কথাতে একবার মনে হচ্ছে তাকে বিয়ের জন্য জোর করা হচ্ছে আবার মনে হচ্ছে না তার মতামতের প্রয়োজন আছে এদের কাছে।ফারাজ সোজাসুজি বলে দেয়,”আমি এখন বিয়ে করবো না।দ্বিতীয় কোনো নারীকে আমার জীবনে স্থান দিবো না।কথা ক্লিয়ার?”
“ওকে।তুমি সিঙ্গেল থেকে বুড়ো হয়ে পচে মরলে আমার কি!ভাই হিসেবে দায়িত্ব ছিলো পালন করেছি।বাবার ক্ষেত্রেও সেম।এখন নিজেকে গাঙ্গে ভাসিয়ে দিবে নাকি ফুলের মতো জীবনটাকে জাগ্রত করবে এটা তোমার হাতে।আমার যায় আসেনা।চলো বউ ভাইয়ের বউ না আসুক আমাকে তো আমার বউকে নিয়ে সুখে থাকতে হবে।খুব ঘুম পাচ্ছে।”
অর্পার হাত ধরে বেড়িয়ে গেলো মিরাজ।অর্পা মিটিমিটি হাসতে থাকে।মিরাজ যে ওদের মুখ বন্ধ করতে এমন করেছে এটা অর্পা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে।এই যে ছেলে মুখ থেকে সবসময় লাগামহীন কথা বেড় হয়।
চলবে…?