রিদ-মায়ার প্রেমগাঁথা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
৩২
সকাল পাঁচটা পেরিয়ে পনে ছয়টা ঘরে। কাক ডাকা ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দ ভেসে আসছে অদূরে লিচু গাছটা থেকে। মায়া বাড়ির সামনের দরজায় দাঁড়িয়ে সেদিকে বিষন্নয়ে তাকিয়ে। ছোট লিচু গাছের ডালশাখা নুইয়ে পড়ছে কাঁচা পাকা অসংখ্য লিচুর ভারে। লিচু গুলো দেখতে লোভনীয় মনে হলেও মায়া সেদিকে এগিয়ে গেল পেরে খেতে। কার না কার বাড়ি কে জানে! রাতের অন্ধকারে মায়াকে ওর স্বামী কার বাড়িতে নিয়ে এসেছে মায়া এখনো জানে না। বাড়ির মালিক বা আশেপাশে অন্য কাউকেও দেখেনি এখনো। সেজন্য মায়া তখন সিঁড়ি থেকে থেমে নিচের ড্রয়িংরুমটা পার হয়ে বাহিরে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে মায়া বুঝতে পারছে এটা ফাহাদের বাড়ি নয়। কারণ মায়ার বোনের শশুর বাড়ি ওর চেনা। কিন্তু এই অপরিচিত বাড়িটি মায়া চিনে না বলেই বের হয়েছে দেখতে এই সুন্দর ডুপ্লেক্স বাড়িটা। ছোটখাটো দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়িটির সামনে একটা সুন্দর বাগানও আছে। তবে সেই বাগানে ফুলের চারা নেই। আছে শুধু অসংখ্য ফলের গাছে। বেশ কিছু ফলের গাছ মায়া চিনতে পারলেও অনেক গাছই সে চিনতে পারলো না। নামবিহীন বিদেশি ফলের চারা হবে বলে মায়ার মনে হলে। মায়া মাথার ঘোমটা আরও একটু টেনে নুইয়ে পড়া লিচু গাছের নিচে দাঁড়াল। ওর গায়ে এখনো কালকের পড়া সেই সাদা পাকিস্তানী জামাটি জড়ানো। ফর্সা পায়ে রিদের বড়ো বড়ো সেন্ডেল জোড়া মায়ার পাকে বেশ ছোট দেখাল। হয়তো তখন রিদের রুম থেকে পালাতে গিয়ে তাড়াহুড়ো মায়া নিজের জুতা খোঁজে পাইনি। চোখের সামনে তখন যা পেয়েছিল তাই পরে রিদের রুম থেকে পালিয়ে ছিল সে। মায়া ঘুরঘুর করে বাগানটা দেখতে লাগল। অসংখ্য ফল গাছের ভিতরে এক মূহুর্তে জন্য ভুলে গেল রিদের কথা। হাত বাড়িয়ে ফলসহ চারাগাছ গুলো ছুঁয়ে দেখার মধ্যে আসিফের গলা পেয়ে মায়া চমকে উঠার মতোন পিছন ফিরলো। তক্ষুনি চোখে পড়লো আসিফকে বাসার কাপড়ে দাঁড়িয়ে একজন মহিলার সঙ্গে কথা বলছে। মায়া অদূরে বাগান থেকে দাঁড়িয়ে দুজনকে দেখে বুঝতে পারলো মহিলাটি হয়তো এই বাড়ির সার্ভেন্ট হবে। আর আসিফ তাকে তাঁর কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে।
মায়া হঠাৎই মনে হলো রিদের কথা। লোকটা হয়তো এখনো ঘুমিয়ে আছে। সেজন্য মায়ার খোঁজ জানে না। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে মায়ার খোঁজ করলে মায়া এই লোকের সামনে দাঁড়াবে কি করে? মায়াতো লজ্জায় মরে যাবে। কাল রাতের ঐসব ঘটনার পর মায়া আর সাহস নেই লোকটার সামনে দাঁড়ানো। ভাগ্যিস মায়া কাল রাতে বেহুশ হয়েছিল। নয়তো সে হার্ট অ্যাটাক করতো। এই লোক মায়ার উপর যে চাপ সৃষ্টি করেছিল। মায়ার তো এখন এই লোকের সামনে যাওয়াই রীতিমতো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার থেকে সবচেয়ে বড়ো কথা হলো মায়ার স্বামী ওর মতিগতি বুঝতে পেরে গেছে। হয়তো জেনে গেছে মায়া যে তাদের দুজনের স্বামী- স্ত্রীর হওয়া সম্পর্কটা নিয়ে অবগত। তার জন্য তো লোক আজকাল মায়ার সাথে কেমন আপোষে মিশে যেতে চাই। মায়ার মনস্তাত্ত্বিক ভাবনার মাঝেই সে একজোড়া সাদা পা গাসের উপর দেখলো। মায়ার বেখেয়ালি দৃষ্টি মাটি থেকে তুলে সামনে থাকাতেই চমকে উঠলো রিদের উপস্থিতি দেখে। থতমত খেয়ে তাড়াহুড়ো পালিয়ে যেতে চাইলে রিদ তৎক্ষনাৎ মায়ার বাহু টেনে আটকায়। মায়া রাতের কথা ভেবে লজ্জায় মাথা নুইয়ে রাখলে রিদ মায়ার বাহু টেনে কাছে আনে। মায়ার থুঁতি ধরে মুখটা উপরে তুলতে দুজনের চোখাচোখি হলো। মায়া লজ্জায় মুখ ঘুরে নিতে চাইলে রিদ মায়ার মুখটা আটকে রেখে বলে…
‘ কি ম্যাডাম? কি সমস্যা? পালাতে চাচ্ছেন কেন?
মায়া উত্তর করলো না। বরং জোর করে মুখটা নামিয়ে নিল রিদের হাত থেকে। এইভাবে মায়ার ভিষণ লজ্জা লাগছে। লজ্জায় সিঁটিয়ে মায়া হাসফাস করে দৃষ্টি লুকাতে চাইল এদিক সেদিক তাকিয়ে। রিদ মায়ার লজ্জা মিশ্রিত মুখটা দেখে দুষ্টু হেসে মায়ার নাক টানলে, মায়া উফফ! শব্দ করে। রিদ মায়ার নাক ছেড়ে কপালে ঠুকা মারতে মারতে বলল…
‘ বারবার কাছে আসছেন। ধরা দিচ্ছেন। তর্ক করছেন না। কাহিনী কি? আমার প্রেমে-ট্রেমে পড়লেন নাকি ম্যাডাম?
রিদের দুষ্টু মুখভঙ্গিমা এই প্রথম দেখল মায়া। লোকটা মজা করে মিটমিট হাসতে পারে সেটা জানা ছিল না মায়ার। মায়া বিষন্নয়ে রিদের মুখের দিকে তাকাল। রিদের ঠোঁটের কোণের অল্প হাসিটা দেখতে দেখতে মূহুর্তে গায়েব হয়ে গেল। রিদ মুখটা স্বাভাবিক করে নিতে মায়া মুখ ভার করে বলল….
‘ প্রেমে পড়ার জন্য আপনার ফিয়ন্সে শশী আপু আছে না? আমি কেন প্রেমে পড়তে যাব! আমি প্রেমে পড়ব না।
রিদের স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার মুখটা আবারও উজ্জ্বল হলো। ঠোঁট বাকিয়ে হেঁসে দ্বিতীয়বারের মতোন মায়ার নাক টেনে বলল।
‘ জ্বলে?
মায়া গাল ফুলিয়ে রিদের দিকে তাকাল। কষ্ট পেয়ে রিদকে পিছন ফেলে পিঠ মুড়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল।
‘ না।
রিদ মায়ার অবুঝ কান্ড দেখে ঠোঁট কামড়িয়ে হাসলো। বউ তার জ্বলছে সেটা সে জানে। রিদ জেনে শুনেই নিজের বউকে জ্বালাচ্ছে। মূলত তার ভালো লাগছে এটা করতে। রিদ মায়ার বাহু টেনে নিজের দিকে ফেরাল। মায়ার গাল টেনে বলল…
‘ পুড়া পুড়া গন্ধ পাচ্ছি ম্যাডাম। কার কলিজা যেন পুড়ছে তাই না ?
মায়া একহাতে নাক ঘষতে ঘষতে রিদের দুষ্টু দৃষ্টির দিকে তাকাল। রিদ যে ইচ্ছা করে মায়াকে হেনস্ত করছে সেটা বুঝে মায়া কথা ঘুরাতে চাইল। আশেপাশে দৃষ্টি ঘুরিয়ে মিহি স্বরে বলল…
‘ এই বাড়িটা কার?
‘ তোমার।
রিদের সোজাসাপ্টা উত্তরে বিস্মিত হলো মায়া। রিদকে শুধিয়ে বলল…
‘ আমার?
‘ হুম
রিদের উত্তরে মায়া মনে করলো রিদ মায়ার সাথে মজা করছে। মায়া পুনরায় একই ভঙ্গিতে বলল…
‘ প্লিজ বলুন না বাড়িটা কার? আর এই লিচু গাছটা। এটা কার?
রিদ মায়ার আঙ্গুলের অনুসারে ঝুলন্ত লিচু গাছটার দিকে তাকাল। সে উপর থেকে দেখেছিল মায়াকে এই লিচু গাছের আশেপাশে ঘুরঘুর করতে। রিদ মায়া হাত ধরে লিচু গাছের সামনে দাঁড়াল। ঝুলে থাকা লিচুর থেকে একটা লিচু নিয়ে সেটা খোসা ছাড়াল। বিজ ছাড়িয়ে সাদা অংশটুকু মায়ার মুখে তুলে দিতে দিতে বলল…
‘ এই বাড়ি, এই-ঘর, আর এখানকার সবই তোমার। আমি তো ভাড়াটিয়া তোমার।
‘ আপনি ভাড়াটিয়া আমার?
মায়া অবাক গলায় শুধাল রিদকে। রিদ একইভাবে দ্বিতীয় লিচুটা গাছ থেকে পেরে খোসা ছাড়িয়ে মায়ার মুখে তুলে দিতে দিতে সম্মতি দিয়ে বলল…
‘ হুম।
মায়া মূহুর্তে খুশি হয়ে গেল। কারণ সে রিদের ইঙ্গিত বুঝতে পেরেছে তাই। রিদ যে এই বাড়ির মালিক সেটা বুঝতে বাকি নেই মায়ার ? মায়ার স্বামী এই বাড়ির মালিক হলে মায়াতো তার বউ তাহলে সে মালকিন হবে এটাই স্বাভাবিক। আর এজন্য হয়তো রিদ মায়াকে এই বাড়ির মালিক বলে সম্মোধন করছে। মায়া লজ্জা মিশ্রিত মুখে খুশি হয়ে গেল। রিদ মায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আরও একটা লিচু মায়ার মুখে তুলে দিল। দুজনের কেউ কাউকে এই পযন্ত ভালোবাসি বলেনি। আর না কেউ কাউকে জানিয়েছে তাঁরা একে অপরের স্বামী- স্ত্রী হওয়া সম্পর্কে অবগত। ভালোবাসা মুখে প্রকাশ করেনি কেউ অথচ এই দুজনকে একত্রে দেখলে যেকেউ বলে দিতে পারবে তাদের দুজনের মধ্যে কতোটা গভীর প্রেম চলছে। রিদর নিশ্চুপ ভালোবাসা আর মায়ার অস্থির মনোভাব দুজনকে একে অপরের ডুবিয়ে রাখে সারাক্ষণ। মায়ার মুখে যখন রিদ শেষ লিচুটা তুলে দেয় তখন মায়া মুখ ফিরিয়ে নেয় আর খাবে না বলে। রিদ তারপরও মায়ার মুখে শেষ লিচুটা দেওয়ার সময় হতভম্ব হয়ে গেইট দিয়ে ডুকতে দেখা গেল রাদিফকে। রাদিফকে দেখেই মায়া ভয় পেল। রাদিফ যদি মায়াকে এখানে দেখে উল্টা পাল্টা কিছু মনে করে বড়দের সবাইকে সবটা জানিয়ে দেয় তাহলে বিপদে পরবে ওরা দুজন। মায়া সেই ভয়ে রিদকে না বলে হঠাৎ দৌড়ে পালিয়ে গেল বাড়ির ভিতরের দিকে। মায়ার হঠাৎ কান্ডে রিদ খানিকটা চমকাল। মায়ার দৌড়ে যাওয়া দিকে তাকিয়ে খানিকটা উঁচু গলায় খাক ছেড়ে মায়ার উদ্দেশ্যে ডেকে বলল…
‘ রাতের ব্যাপারটা ভুলিনি কিন্তু রিত। আমার অসমাপ্ত কাজটা সমাপ্ত চাই।
~~
ডাইনিং টেবিলের রাদিফের মুখোমুখি মায়া জড়তায় বসে। পাশেই রিদ টানটান হয়ে নাস্তা প্লেট উঠিয়ে বসল। তাতে নাস্তা তুলে খাবে সে তাই। সামনে নানান রকমের খাবার। সার্ভেন্ট পাশেই দাঁড়িয়ে। অথচ কেউ প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছে না। এমন থমথমে পরিবেশে মায়া উঠতেও পারছে না জড়তায়। রিদ একা থাকলে একটা কথা ছিল। কিন্তু রাদিফ মুখোমুখি বসে থাকার কারণে মায়া ভদ্রতা দেখিয়ে এই মূহুর্তে উঠে যেতে পারছে না। যদি বেয়াদবি হয় সেজন্য। অথচ রাদিফের মনোভাব এমন যেন এই মূহুর্তে মায়া ছাড়া টেবিলের আশেপাশে আর কেউ নেই। সেই তখন থেকে রাদিফ ড্যাবড্যাব করে মায়াকে দেখেই যাচ্ছে। এতে করে মায়া ভিষণ নার্ভাস হচ্ছে। অস্বস্তিতে আছড়ে পড়ছে। এইভাবে কেউ মুখের উপর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে অস্বাভাবিক লাগে না বিষয়টা ? রিদ, মায়া আর রাদিফ দুজনের মনোভাব দেখল। রাদিফকে আপাতত কিছু বলে লাভ নেই। সে বড় ভাইয়ের বউকে গবেষণা করতে বসছে এই মূহুর্তে। যতক্ষণ না পযন্ত রাদিফের গবেষণা শেষ হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে মায়ার দিকে এই ভাবেই তাকিয়ে থাকবে। রিদ রাদিফকে অপেক্ষা করে মায়া বলল তাদের প্লেটে খাবার তুলে দিতে। মায়া আমতাআমতা করে আরও সিঁটিয়ে বসল চেয়ারে। রাদিফের দৃষ্টি আর মতিগতি কোনোটায় পরিবর্তন হলো না। মায়াকে চেয়ার ছেড়ে উঠতে না দেখে এবার রিদ বিরক্ত হলো। ধমক দিতেই মায়া হাসফাস করে উঠে দাঁড়াল। অস্বস্তিতে পরে থমথত খেয়ে রিদের ঠিক করে রাখা প্লেটটা উল্টিয়ে দিল। মায়ার এমন কাজে রিদ কপাল কুঁচকাল। তীক্ষ্ণ গলায় বলল…
‘ কফি দাও!
রিদ মায়াকে কফির জন্য আদেশ করে মায়ার উল্টে দেওয়া প্লেটটা নিজেই আবার ঠিক করে রাখল। মায়া রিদকে কফি দিতে চেয়ে চায়ের কেটলিতে ধরলে রাদিফ বলল…
‘ ভাবি আমার প্লেটটাও উল্টিয়ে দাও ভাইয়ের মতো করে। সোজা প্লেটে নাস্তা করতে মজা পায় না। স্বাদ আসে না। উল্টো প্লেটে নাস্তা করলে নিশ্চয়ই মজা পাবো তাই না।
রাদিফের মুখে ভাবি ডাকটা শুনে মায়ার মনে অস্থিরতার ঝড় তুললো। অস্থির ভঙ্গিতে মায়া রিদের দিকে তাকাতে দেখল রিদ মায়ার দিকে পূর্ব থেকে তাকিয়েই আছে। দুই ভাই এমন করে মায়াকে কি দেখছে আল্লাহ জানে। কিন্তু মায়া সাংঘাতিক অস্বস্তিতে ভুগছে এই মূহুর্তে। তাছাড়া রাদিফ যে সরাসরি মায়াকে ভাবি ভাবি ডাকছে তাতে রিদ বাঁধাও দিচ্ছে না বরং চুপ থেকে নিরভ সম্মতি জানাচ্ছে। রিদের নিশ্চুপ সম্মতি আর রাদিফের সরাসরি ভাবি ডাকায় মায়া ভিতর থেকে অস্থির হয়ে উঠলো। সবকিছু গুলিয়ে ফেলে এলোমেলো কাজ করতে লাগল। খালি চায়ের কাপটা রিদের দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বলল…
‘ আপনার রুটি।
রিদ মায়ার হাতের খালি চায়ের কাপটার দিকে তাকিয়ে সেটা নিজের হাতে নিয়ে বিষন্নে বলল।
‘ এটা রুটি?
মায়া রিদের হাতের দিকে তাকিয়ে অস্হির ভঙ্গিতে লজ্জিত হলো। কি করবে ভেবে না পেয়ে তাড়াহুড়ো রিদের হাত থেকে খালি কাপটা ছিনিয়ে নিতেই সামনে থেকে রাদিফ সিরিয়াস গলায় বলল…
‘ ভাবি আমাকেও ভাইয়ের মতোন এমন রুটি দিন।
লজ্জা, ভয়, অস্থিরতা একত্রে ঘিরে ধরলো মায়াকে। রাদিফ যেন সেসব আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বারবার ভাবি ডেকে আবদার করে। মায়া অনিচ্ছাকৃত ভুল গুলো আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। রাদিফ পুনরায় রুটি চাইলে মায়া হাতের কাছে একটা আপেল রাদিফের দিকে এগিয়ে দিতে দিতে ভয়ে আমতাআমতা করে বলল…
‘ আপনার চা।
রাদিফ মায়ার হাত থেকে আপেলটা নিয়ে গোল গোল চোখে সেটা কয়েক পলক দেখে টুপ করে সেটাতে কামড় বসাতে বসাতে বলল…
‘ আহা ভাবির হাতের চা হলো অমৃত। চা তো নয় যেন আপেলের স্বাদ পাচ্ছি খেতে।
মায়া রিদের দিকে একটা কলা এগিয়ে দিতে দিতে একই ভঙ্গিতে বলল…
‘ আপনার কফি।
রিদ মায়ার হাত থেকে কলাটা নেওয়ার আগেই রাদিফ সেটা ছু মেরে ছিনিয়ে নিতে বলল…
‘ ভাবি ভাইয়ের তোমার কফি খাওয়ার দাঁত নাই। আমার দাঁত আছে চৌত্রিশটা এই যে দেখো। এজন্য আমি তোমার কলা ফেভারের কফিটা খাই কেমন?
#চলিত….