স্নিগ্ধ_প্রিয়া #সাদিয়া_শওকত_বাবলি #পর্ব_৪৪

0
442

#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_৪৪

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

জায়ান কোনো ভনিতা ছাড়াই জবাব দিল – দরজা ওই দিকে।

পূর্বাশা অবাক হলো। জায়ান এত সহজে তাকে বলে দিল দরজা ওই দিকে? তবে সে অবকতা বেশিক্ষণ টিকলো না। ছেলেটার এমন গা ছাড়া ভাবে যেন ক্রোধে শরীর জ্বলে উঠলো মেয়েটার। সে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো জায়ানের পানে। আজ রাতে তাকে এখানে রাখার জন্য এই বদ পুরুষ মানুষ কিনা এত বড়সড় একটা চাল খাটালো। বিয়ে ছাড়া এক ফ্ল্যাটে ছিঃ ছিঃ ভাবতেই তো মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে পূর্বাশার। বিয়ে ছাড়া এক বাড়িতে থাকা, লিভ ইন করা হয়তো চীনে ততটা খারাপ ভাবে নেওয়া হয় না। চীনে এসব খুব স্বাভাবিক ব্যাপার তাই বলে কি তাদের দেশেও এসব স্বাভাবিক? তারা বাঙালি। এরা যেখানে যায় নিজের সংস্কৃতিকে সেখানেই বহন করে। পূর্বাশা ক্রোধে গজগজ করতে করতে দরজার কাছে গেল ঠিক তখনই পিছু ডাকলো জায়ান। স্বাভাবিক কন্ঠে বলল – রাতে রাস্তার পাশে থাকার সময় কোনো মাতাল এসে যদি তোমার সাথে কুতকুত খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করে তবে সেই দায়ভার কিন্তু আমার নয়। চীনের রাস্তায় মধ্যরাতে কিন্তু মাতালদের আনাগোনা রয়েছে।

পূর্বাশা থেমে গেল। আর সাহস হলো না সামনে আগানোর। ঠিকই তো চীনের রাস্তায় রাতে মাতাল লোকের আনাগোনা থাকে অহরহ। যদিও সর্বস্থানেই আবার পুলিশের টহল রয়েছে এই মাতালদের মাতলামো বন্ধ করতে তবুও ভয় তো একটা থেকেই যায়। পূর্বাশা ফিরে এলো আবার। মেঝেতে একটু পাশ ঘেঁষে বসলো জায়ানের। ছেলেটা খেয়ে যাচ্ছে এখনও। পূর্বাশা কন্ঠ নরম করলো। নরম কন্ঠে বলল – আপনি একটু আমাদের হোস্টেল কতৃপক্ষকে কল বলুন করে বলুন না। আপনি বললেই তারা আমাকে ঢুকতে দিবে হোস্টেলে।

জায়ান খাওয়া বন্ধ করলো। সরু দৃষ্টিতে তাকালো পূর্বাশার পানে। থমথমে কন্ঠে বলল – কেন হোস্টেলটা কি আমার দাদার নাকি আমার বাপের?

জায়ানের কথায় ভিতরে ভিতরে তেতে উঠলো পূর্বাশা তবে সম্মুখে প্রকাশ করলো না। এই মুহূর্তে তাকে রেগে গেলে চলবে না। এই ব্যাটা যেমন চাল খাটিয়ে তাকে এখানে ধরে রেখেছে তেমনি একেই আবার তেল দিয়ে এখান থেকে বেরিয়ে হোস্টেলে ফিরতে হবে। পূর্বাশা জোরপূর্বক ওষ্ঠে হাসি ফুটালো। নম্র কন্ঠে বলল – আপনার মা তো দীর্ঘদিন এই কলেজেই কাজ করেছে। সেই সুবাদে হোস্টেল কতৃপক্ষ আপনার কথা শুনবে।

জায়ান আড় চোখে তাকালো পূর্বাশার পানে। আবার খাবার মুখে দিতে দিতে বলল – আমার মা মেডিকেল সেক্টরে ছিল হোস্টেল সেক্টরে না।

পূর্বাশা যেন এবার আর নিজের ভিতরকার ক্রোধ চেপে রাখতে পারলো না। টগবগিয়ে উঠে দাঁড়ালো সে, দাঁতে দাঁত চেপে বলল – আপনি একটা বদ, খারাপ, বাজে লোক।

জায়ান গা ছাড়া ভাবে উত্তর দিল – তারপর?

পূর্বাশা রেগেমেগে আশেপাশে খুঁজলো। আর কি বলা যায়। শেষে কিছু না পেয়ে বলল – আপনি একটা পেটুক। সেই কখন থেকে খেয়েই যাচ্ছেন থামার নাম গন্ধ নেই কোনো।

জায়ান তবুও খাওয়া বন্ধ করলো না। খেতে খেতেই জবাব দিল – সকালে খাইনি, দুপুরে খাইনি, রাতে খাইনি। তিন বেলা মিলিয়ে খাচ্ছি একটু বেশি তো খাবোই।

পূর্বাশা যেন অবাক হলো জায়ানের কথায়। অবাক কন্ঠেই বলল – আপনি সারাদিন না খেয়ে আছেন?

– হুম।

পূর্বাশা আর বিরক্ত করলো না। খাক লোকটা, সারাদিন না খেয়ে ছিল। জায়ান একটু সময় নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে উঠে দাঁড়ালো। খাওয়া শেষে বাসন গুলো পরিষ্কার করতে নিতেই তাকে বাঁধা দিল পূর্বাশা, বলল – আমি করছি।

জায়ান আর দ্বিরুক্তি করলো না। পূর্বাশা সকল এটো বাসন নিয়ে গেল রান্নাঘরে। সুন্দরভাবে ধুয়ে গুছিয়ে রেখে আবার ফিরে এলো ড্রইং রুমে। এ কক্ষে পা রাখতেই যেন চমকে উঠলো সে। জায়ান কক্ষের উজ্জ্বল আলো নিভিয়ে ড্রীম লাইট জ্বালিয়ে দিয়েছে ইতমধ্যে। পূর্বাশার হৃদয় কাঁপলো। মতলব কি এর? এত তাড়াতাড়ি হুট করে আলো বন্ধ করার মানে কি? এমনি খারাপ কিছু জায়ান তার সাথে করার চেষ্টা করবে না সে বিশ্বাস ছেলেটার উপরে আছে পূর্বাশার। যদি তেমন কোনো চিন্তা ভাবনা থাকতো তবে এতদিনে সে অবশ্যই
নিজের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে পারতো। কিন্তু ভয় অন্য স্থানে। এই পুরুষ লোকের তো আবার উদ্ভট বুদ্ধির অভাব নেই। একা ফ্ল্যাটে রেখে তাকে আবার ভয় টয় দেখাবে না তো? দেখাতেও পারে বদ লোক কিনা। কিন্তু ভয় দেখালেই বা সে কেন ভয় পাবে? পূর্বাশা তো আগে থেকেই জানে জায়ান তাকে ভয় দেখাবে। তাহলে এখানে ভয়ের কি আছে? একদম ভয় পাবে না পূর্বাশা। তার ভাবনার মধ্যেই হঠাৎ এক জোড়া শীতল হাত এসে চেপে ধরলো মেয়েটার চোখ জোড়া। অন্তরাত্মা যেন কেঁপে উঠলো মেয়েটার। ভয় পাবে না পাবে না বলেও ভয়ে লাফিয়ে উঠলো সে। চিল্লিয়ে বলল – আল্লাহ গো! ভুত! ভুত! ভুত!

প্রায় সাথে সাথেই পূর্বাশার কর্ণে হো হো করে হাসির শব্দ ভেসে এলো। পূর্বাশা কান পেতে শুনলো সে হাসির শব্দ, এ তো জায়ানের কন্ঠস্বর। তার মানে জায়ানই এভাবে ভুতের মতো এসে চোখ চেপে ধরেছে তার, ভয় দেখিয়েছে। এখন আবার হাসছে? ফুঁসে উঠলো পূর্বাশা, দাঁতে দাঁত চেপে বলল – অভদ্র, বদ লোক একটা এভাবে ভয় দেখালেন কেন?”

জায়ান হাসি থামানোর চেষ্টা করলো। তবে তার ওষ্ঠ থেকে সম্পূর্ণরূপে হাসি বিদায় করতে ব্যর্থ হলো ছেলেটা। ঠোঁটের কোনে অল্প বিস্তর হাসি রেখেই বলল – কে ভয় দেখিয়েছে তোমাকে? আমি তো শুধুমাত্র তোমার চোখ দুটো চেপে ধরলাম তাতেই তুমি লাফিয়ে উঠেছো। এতে আমার দোষ কোথায়?

পূর্বাশা কোনো উত্তর দিল না জায়ানের কথার প্রেক্ষিতে। নিজের চোখ থেকে জায়ানের হাত সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো সে। ব্যস্ত কন্ঠে বলল – চোখ ধরেছেন ভালো কথা এখন তো ছাড়ুন।

– ছাড়ার জন্য তো ধরিনি। চুপচাপ এখন চলো আমার সাথে।

– কোথায়?

– যেখানে নিয়ে যাচ্ছি আমি সেখানে।

কথাটা শেষ করেই বলে পূর্বাশার চোখ চেপে ধরেই রেখেই সম্মুখের দিকে হাঁটা ধরলো জায়ান। ক্ষানিক পরে ফ্ল্যাটের বাইরে রাস্তার দারে এসে সে চোখ ছেড়ে দিল মেয়েটার। পূর্বাশা পিটপিট করে চোখ খুললো। সম্মুখের দিকে তাকাতেই যেন চমকে উঠলো সে। গোল গোল চোখে তাকালো রাতের আকাশের পানে। রাস্তার ধারের ল্যাম্পপোস্টের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে চারদিক। সাদা বরফে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট। আকাশ ফেটে বৃষ্টির মতো শুভ্র বর্না তুষার পতিত হচ্ছে ভূমিতে। কি অভূতপূর্ব এ দৃশ্য। পূর্বাশা এই প্রথম নিজের চোখে তুষারপাত দেখছে। অন্যরকম এক অনুভূতিতে হৃদয় ছেয়ে যাচ্ছে তার। তার যেন মনে হচ্ছে আকাশ ফেটে তুষার নয় বরং শুভ্র তুলার আবির্ভাব ঘটছে। মুগ্ধ নয়নে সে অবলোকন করতে শুরু করলো চারপাশটা। পূর্বাশার এই মুগ্ধতার মধ্যেই হুট করে উপর থেকে কি যেন একটা পড়লো মেয়েটার শরীরের উপর। হকচকিয়ে উঠলো পূর্বাশা। আকস্মিক ঘটনায় নিজের ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে ধপ করে বসে পড়লো বরফের উপরে। নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে দেখলো বেশ বড়সড় এবং মোটা একটা শীত পোশাক তার ছোট্ট শরীরটার উপরে পরে আছে। পূর্বাশার আর বুঝতে বাকি রইলো না এই মহান কাজ কার। মেয়েটা বিরক্তিভরা দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে। জায়ান একটু বেঁকে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দিল পূর্বাশার পানে অতঃপর বলল – হাত ধরে উঠে আসো।

ভেংচি কাটলো পূর্বাশা। যদি হাত ধরে তোলারই হয় তবে ফেলে কেন দিলি? মেয়েটা উঠলো না জায়ানের হাত ধরে। নিজেই বরফের উপর ভর দিয়ে ওঠার চেষ্টা করলো। কিন্তু বরফের উপর হাত পড়তেই যেন অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো পূর্বাশার। শরীরে তো মোটা শীত পোশাক আর পায়ে মোজা তাই বরফের ঠান্ডা শরীরে লাগেনি ততটা তবে নগ্ন হাতে বরফ তার শীতলতা ঠিকই পুরে দিয়েছে। খাওয়ার সময়ে যে হাতের মোজাগুলো সে খুলে রেখেছিল তা তো ভুলেই বসেছিল। মেয়েটার দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে যেন ঠান্ডায়। দ্রুতই বরফ থেকে হাত সরিয়ে নিল পূর্বাশা। জায়ানের উপেক্ষিত হাতটাই ধরতে হলো শেষে। জায়ান ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলো, টেনে বরফের ভিতর থেকে তুললো পূর্বাশাকে। মেয়েটার ছোটখাটো দেহের উপর থেকে বড় শীত পোশাকটা নিয়ে ধীরে সুস্থে পড়িয়ে দিল তার শরীরে। জায়ানের নিজের ছিল এ শীত পোশাকটা। ছয় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট তারই হাঁটুর নিচ অব্দি পড়ে শী পোশাকটা। সেখানে পূর্বাশা তো মাত্র পাঁচ ফুটের। মেয়েটার পুরো শরীরই ঢেকে গেছে শুধু একটা শীত পোশাকে। জায়ান তাকালো পূর্বাশার পা থেকে মাথা পর্যন্ত। এই মুহূর্তে এই বরফের মধ্যে মেয়েটাকে পেঙ্গুইন ছাড়া আর কিছুই লাগছে না তার কাছে। জায়ানের হাসি পেল ভীষন তবে সে হাসলো না একটুও। পরে দেখা যাবে তার হাসি দেখে আবার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে পূর্বাশা। আর তারপর ঝগড়া। এই মুহূর্তে জায়ান তার প্রেয়সির সাথে ঝগড়ায় নামতে মোটেই ইচ্ছুক নয়।

জয়ানের শীত পোশাকটা পড়ে বেশ ভালোই উম হচ্ছে পূর্বাশার। শীত পোশাকটা বড় হওয়ায় আরও ভালো হয়েছে তার। পায়ে খুব একটা ঠান্ডা লাগছে না। তবে এই মুহূর্তে পূর্বাশার মনে ভীষধ এক স্বাদ জাগলো। ইচ্ছে হলো ছোট ছোট তুষার কনা গুলো একটু ছুঁয়ে দিতে। হৃদয়ে ভীষণ মুগ্ধতা নিয়েই সে হাত বাড়িয়ে ধরতে চাইলো তুষার কনা গুলো। কিন্তু তখনই তার কার্যে ব্যঘাত ঘটিয়ে হাতের মধ্যে তৎক্ষণাৎ মোজা পড়ি দিল জায়ান। বিরক্ত হলো পূর্বাশা। এমন একটা মুহুর্তে যদি এমন কেউ করে। মেজাজটা বিগরে গেল পূর্বাশার চোখ মুখ কুঁচকে বলল – এটা কি হলো?

জায়ান ততটা পাত্তা দিল না পূর্বাশার রাগকে। সে মেয়েটার এক হাতে মোজা পড়িয়ে অন্য হাতেও মোজা পড়াতে পড়িয়ে দিল সুন্দরভাবে। অতঃপর স্বাভাবিক কন্ঠেই বলল – এমনিই তো ঐ টুকু দেহ। তার মধ্যে ভালোভাবে শীতের কাপড় শরীরে না জড়িয়ে এই তুষারপাতের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলে একটু পর দেখা যাবে পূর্বাশা থেকে তুষারবাসা – তে পরিনত হয়েছো।

কপট রাগ দেখালো পূর্বাশা। ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল – তাই বলে আপনি একটুও তুষার স্পর্শ করতে দিবেন না আমাকে?

জায়ান শীতল দৃষ্টিতে তাকালো পূর্বাশার পানে। ঠান্ডা কন্ঠেই বলল – হাতে মোজা পড়িয়ে দিয়েছি এখন যত খুশি স্পর্শ করো তুষার। আমি কি বারন করেছি নাকি?

পূর্বাশা একবার বিরক্তিভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো জায়ানের পানে অতঃপর পেঙ্গুইনের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে গেল সম্মুখের দিকে। বরফের মধ্যে কি আর এই সাধারন জুতা পড়ে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা যায় নাকি? বেশি রাত হওয়ায় মানুষজনও ছিল না চারদিকে। পূর্বাশা যেন আরও সুযোগ পেল। মানুষ থাকলে হয়তো অস্বস্তিবোধে একটু তুষার স্পর্শ করেও দেখতে পারতো না। যদিও জায়ান এখানে আছে তবে তাতে খুব একটা অস্বস্তি হচ্ছে না পূর্বাশার। পৃথিবীর এই একটা মানুষ যার সম্মুখে পূর্বাশার অস্বস্তিবোধটা কম হয়। যার সম্মুখে মেয়েটা নিজের হাসি, আনন্দ, দুঃখ কষ্ট এখন উজার করে দিতে পারে। আগের মতো ইতস্ততবোধে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে না তাকে। পূর্বাশা বেশ উৎফুল্ল হয়ে পেঙ্গুইনের মতো ছুটে বেড়াতে শুরু করলো এদিক থেকে ওদিক। কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করার পরে হঠাৎ তার হৃদয়ে একটা প্রশ্নের উদয় হলো। ছোটাছুটি থামিয়ে দিল পূর্বাশা, ভ্রু কুঁচকে তাকালো জায়ানের পানে। সন্দিহান কন্ঠেই প্রশ্ন করলো – আপনি কিভাবে জানলেন আজ তুষার পড়বে?

– আবহাওয়ার সংবাদে দেখেছি।

পূর্বাশার কুঁচকানো ভ্রু জোড়া কুঁচকে এলো আরও। কপালে ভাঁজ ফেলে সে ফের প্রশ্ন করলো – এই জন্যই আপনি আমাকে বিভিন্ন তাল বাহানায় হোস্টেলে না যেতে দিয়ে এখানে রেখে দিয়েছেন তাই না?

চলবে…….

ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here