নিশীভাতি #৫৬তম_পর্ব

0
292

#নিশীভাতি
#৫৬তম_পর্ব

একজন নার্স ছুটতে ছুটতে বের হলো ডাক্তারকে ডাকার জন্য, রাশাদ তাকে আটকাতেই জানালো,
“প্যাশেন্টের অবস্থা ভালো নেই। প্রেসার ফল করছে, হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছে না।”

নার্সের মুখখানা শুকনো। নার্সের কথাখানা কর্ণপাত হতেই স্তব্ধ হয়ে গেলো হুমায়রা। অশ্রুরা থমকে গেলো। হৃদয়খানা ছিড়ে যেতে লাগলো।শূন্যতার বিশ্রী ধূসর ভয় তাকে আস্তে আস্তে গিলতে লাগলো। সাহস জিনিসটা খুব বেমানান।তার অহেতুক কারণে ফুরিয়ে যাবার স্বভাব। যখন মনে হবে মনকে স্থির করা প্রয়োজন সবচাইতে বেশি। তখনই সেই সেই সাহস ব্যাগ পেটরা গুছিয় কোথাও পালিয়ে যায়। হুমায়রা পাতলা ঠোঁটজোড়া একটু ফাঁক হলো। বুক চিরে আর্তনাদ বের হলো। গল। গলায় দলা পাকালো হাজারো কষ্ট। সাহস পালানোর ধান্দা করছে শুধু। স্মৃতি ঝাপসা তলে ভেসে উঠলো ফাইজানের একটি কথা,
“আমি না থাকলেও তুমি আমার-ই থেকো। নিষ্ঠুর আকুতি, তবুও ফিরাইয়ো না”

বুকটা হু হু করে উঠলো সাথে সাথেই। চোখ থেকে নেমে এলো নোনাজলের স্রোত। কিন্তু হুমায়রা ভাঙলো না। সে ফাইজান ইকবালের স্ত্রী৷ যে নির্ভীক হয়ে শত্রুর গুলি গ্রহণ করতে পারে, তার স্ত্রী হয়ে এমন ভীতি মানায় না। জন্মিলে মরিতে হবে— এটা তো বিধির অকাট্য সত্য। তবে এই ভয়ের কি অর্থ! হুমায়রা মনে মনে স্রষ্টাকে স্মরণ করতে লাগলো। বারবার একটি প্রার্থনাই করলো,
“আল্লাহ, আমার মানুষটিকে আমার কাছেই রেখে যাও। আজ নিও না”

নার্স ডাক্তারকে ডাকতে ছুটলো। মোটা দরজার একটু ক্ষাণেক ফাঁক থেকে দেখার চেষ্টা করলো রাশাদ। কিন্তু বুঝতে অক্ষম হল হচ্ছে কি! ডাক্তার ছুটে এলো। প্রায় জনশুন্য করিডোরে কেবল চারটি প্রাণ। শরীফা, রাশাদ, হুমায়রা এবং ফরিদ। ফরিদের মুখখানা রক্তশূন্য। সে কাঁদছে না। শুধু স্থির মুখশ্রীতে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ জীবন দেখতে প্রসন্নবোধ করে কিন্তু মৃত্যু না। নবজাতক জন্মের সময় তাদের মুখশ্রীতে যতটা আনন্দ পরিলক্ষিত হয়, মৃত্যুর আগমণ সংবাদে ততটাই ত্রাশ মুখে ঠাঁই পায়। ফরিদের মুখেও সেই ত্রাশ। ছেলেটার সাথে তার তর্ক হয় নি। তবে মনোমালিন্য ছিলো। এমন কিছু একটা হতে পারে ফরিদ আশংকা করেছিলো। দেলোয়ার সাহেব মানুষ মোটেই ভালো নন। উপরন্তু তার প্রাণভোমরা আটকে থাকে ছেলের ভেতর। প্রাণভোমরার ক্ষতি করলে তো ছোবল খেতেই হতো। এই ভয়টাই বারবার সতর্কবাণী আকারে বলছিলো, কিন্তু ফাইজান এই সতর্কবার্তা হাওয়ায় মিলিয়ে দিতেও দুদন্ড ভাবে নি। ফরিদ বুকে হাতজোড়া বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। তার দৃষ্টি করিডোরের সাদা টাইলস এর দিকে। কোথা থেকে আর্তনাদের সুর ভেসে আসছে। বাহিরে আকাশের তীব্র হুংকার কানে আসছে। সেই হুংকারে আর্তনাদগুলো সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল জায়গাটি বড্ড অপছন্দ ফরিদের। শেষবার এসেছিলো হাফসার মরদেহ নিতে। হাসপাতালের প্রতিটি দেওয়ালে মৃত্যুর গন্ধ থাকে যেনো, প্রিয়জন হারানোর বিশ্রী নীলব্যাথা এখানে অনুভূত হয়। আইসিউ এর ভেতরে এবং বাহিরে থাকে হৃদয় কাঁপানো ভয়। এই বুঝি ডাক্তার জানাবেন, “সরি”। মানুষ তো কেবল ই রক্ত মাংসের জীব। তার কি শক্তি! মৃত্যুর সামনে সে পরাজিত সৈনিক। মায়া ত্যাগ করে তাকে যেতেই হবে। আর পিছনে ফেলে যাবে কিছু স্মৃতি, যা আঁকড়ে ধরে বাঁচবে তার প্রিয়রা যেমনটা বেঁচে আছে ফরিদ। এজন্যই হাসপাতালের নাম শুনলেও বিরক্ত হয় ফরিদ। অথচ আবার আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছে।

সময়ের গাড়ি চলছে। বৃষ্টি থেমে গেছে।হাসপাতালের বদ্ধ করিডোরে বোঝার উপায় নেই সেই বর্ষার ধার। হৈহল্লা থেমে গেছে। সাংবাদিকরা ফাঁক খুঁজছে। খবর বের করার চেষ্টা। এস.পি সাহেব একবার ধরণা দিয়ে গেছেন। মন্ত্রাণালয়ের সচিব সাহেব খোঁজ নিয়ে গেছেন। ফোনের পর ফোন আসছে। জানার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে মন্ত্রী সাহেব বেঁচে আছেন কি না। হুমায়রা জায়নামাযে বসে আছে। অশ্রুগুলো বাঁধ মানছে না। স্রষ্টার কাছে চাইছে মৃত্যুর সাথে লড়াই করা মানুষটির প্রাণ। ডাক্তার বের হলেন প্রায় ছয়ঘন্টা পর। তাকে দেখেই রাশাদ ছুটে এলো। শুধালো,
” আমাদের রোগী”

ডাক্তার মলিন মুখে বললো,
“গুলিগুলো রিমুভ করা হয়েছে। বাট সমস্যা হলো তার দ্বিতীয় গুলিটা হার্টের পাশ থেকে গিয়েছে। ফলে বেশ কমপ্লিকেটেড হয়ে গিয়েছিলো সিচ্যুয়েশন। আমরা মাঝে দুবার উনাকে হারাতে বসেছিলাম। বাট আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে অপারেশন সাক্সেসফুল হয়েছে। তবে এখনো বিপদ কাটে নি। জ্ঞান ফিরলেই বলতে পারবো রিস্ক আছে কি না! এখন শুধু পরমকরুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করুন। আমরা তো কেবল মানুষ, হায়াত মতের মালিকের হাতেই সব”

শেফালী বেগম এর মাঝে উঠে এসে দাঁড়ালেন। ক্লান্ত স্বরে শুধালেন,
“ছেলেটাকে একটু দেখতে পাবো কি?”
“লাইফ সাপোর্টে রেখেছি। দেখতে পাবেন আধ ঘন্টা পর”

শেফালী বেগম ঘাড় কাত করে সায় দিলেন। তার চোখ শুষ্ক। পাঁপড়ি গুলো নির্জীব। বৃদ্ধ চোখ উদাসীন। যেন কঠিন সত্যকে তিনি সর্বদাই আগলে নিয়েছেন। আঁধ ঘন্টা পর একজন মানুষকে দেখার অনুমতি দেওয়া হলো। শরীফা নিজের ছেলেকে দেখলেন। হুমায়রা দেখার সাহস করলো না। তার ভয় হয়, এই দেখা না শেষ দেখা হয়। রাশাদ বোনের কাঁধে হাত রেখে বলে,
“সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। হায়াত থাকলে সে থেকে যাবে”
“জানি, তবুও মন যে মানে না ভাইজান। মানুষটাকে ছাড়া এখন নিজের জীবনটা কল্পনাও করতে পারি না। উনি আমার নিশীভাতি ভাইজান, নিশীভাতিটা নিভে গেলে জীবনটা যে কালচে হয়ে যাবে”

রাশাদ অবাক চোখে বোনের দিকে তাকালো। বোনের কথাটা যেনো বিশ্বাস হলো না। পরক্ষণের ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটলো। বোন তার জীবনের নিশীভাতি খুঁজে পেয়েছে। রাশাদ বোনকে আগলে ধরলো। মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
“নিশীভাতিরা নিভে না রে! তারা আলো ছড়ায়। নিকষ কালচে আঁধারেও তারা তাদের উজ্জ্বলতা হারায় না”

*****

অরুণের আলোটুকু গিলে ঝুমঝুমে সন্ধ্যাটা নিজের মাধুর্য নিয়ে বিরাজ করছে ধরণীতে। সন্ধ্যা তারাটাও দেখা যাচ্ছে দূর থেকে। চাঁদ আজ উঠে নি। নিকষকালো মেঘহীন আকাশে কেবল তারকারাজীর ক্ষীন আলো পরিলক্ষিত হচ্ছে। হুমায়রা, শরীফা, ফরিদ, রাশাদ, পার্টির ছেলেপুলেরা বসে অধীর অপেক্ষায়। অপেক্ষা ফাইজানের জ্ঞান ফেরার হুমায়রা এখনো জায়নামাজেই। ঘড়িতে যখন সারে সাতটা তখন ই একজন নার্স এল। অমসৃণ হেসে বললো,
“আপনাদের রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। আমরা তাকে পোস্টক্যাথ এ ট্রান্সফার করছি। আপনারা ইনশাআল্লাহ আগামীকাল তাকে দেখতে পারবেন”

হুমায়রা বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। কিছুক্ষণ বাদে, ফরিদের সাথে ডাক্তারের কথা হলো। ফাইজান এখন ঝুঁকিমুক্ত, তবে তাকে এখনই বেডে দেওয়া হবে না। দুদিন আইসিউতে থাকতে হবে। ফরিদ দ্বিমত করলো না। শরীফা হুমায়রার হাতখানা ধরে বললো,
“আল্লাহ আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে হুমায়রা। শুকরিয়া আদায় করে নামায পড়ো মা, তোমার ভাগ্য আমার মত না”

****

নীল গাউন পড়ে আইসিউর কেবিনে প্রবেশ করেছে হুমায়রা। একটি স্পেশাল রুমে আলাদা করে রাখা হয়েছে ফাইজানকে। বাহিরে পুলিশের প্রহরা। এবার কোনো ভুল যেন না হয়। ডাক্তারের পারমিশন নিয়েই প্রবেশ করলো হুমায়রা। আজ একদিন পর নিজের স্বামীকে দেখার সুযোগ পেয়েছে সে৷ বড় বড় নেতাদের আনাগোনায় ঘরের মানুষের সুযোগ হয় নি। শরীফা একবার দেখে গিয়েছিলো গতকাল। ফাইজান এখন কথা বলতে পারছে। মাকে দেখেই তার প্রথম প্রশ্ন ছিলো,
“হুমায়রা আসে নি?”

“এসেছে, বাহিরে বসে আছে।”
“ওকে একটু ভেতরে আসতে বলো”
“ডাক্তার মানা করেছেন। বলেছেন একজনের বেশি ঢোকা যাবে না”

ফাইজানের মুখখানা শক্ত হলো৷ পালটা উত্তর দিলো না। শুধু মা চলে যাবার সময় বললো,
“কাল ওকে পাঠিও মা”

বিশ দিনের অধিক হবে দুজন দুজনকে দেখে নি। মনের ক্ষিধে তো কথা বলে মেটানোই যায় কিন্তু চোখের ক্ষিধে! যন্ত্রের ভেতরে দেখা আর সামনে থেকে মন ভরে দেখায় যে অনেক তফাৎ। হুমায়রা ফাইজানকে দেখলো। বুকে অনক যন্ত্রপাতি লাগানো। পাশে একটি বড় মনিটর, যেখানে অনেক সংখ্যা। এমন ঠান্ডা আটকানো রুমে এই প্রথম প্রবেশ করেছে হুমায়রা। এই যন্ত্রের নামও জানে না সে। তাকে দেখে হাতে ইশারা করলো ফাইজান। হুমায়রা এগিয়ে গেলো খাটটির কাছে। ফাইজান হাত বাড়িয়ে দিলো হুমায়রার দিকে। হুমায়রা ফ্যালফ্যাল নয়নে তাকিয়ে আছে। কাঁপা হাতে সেই হাতটি ধরলো। ধরা গলায় শুধালো,
“কেমন আছেন?”

ফাইজানের ঠোঁটের কোনে অমলিন হাসি। প্রতীভ স্বরে বলল,
“এখন ভালো”

হুমায়রার মন দলা পাকালো অনেক প্রশ্ন। কিন্তু মুখ খুলতেই সব যেনো বাস্পায়িত হলো। চোখ ভিজে আসলো অজান্তেই। ফাইজান হাতখানা চেপে বললো,
“ফাইজান ইকবাল দূর্বল নয় বউ। তার জন্য কেঁদো না। জীবন তো একটাই। বারবার আমি মরতে চাই না”

হুমায়রা ফাইজানের হাতখানা শক্ত করে ধরলো। যতটা শক্ত করলে ছেড়ে পালানোর সুযোগ নেই। ফাইজান হাসলো। মেয়েটির শুষ্ক মুখখানা দেখে বুকে ব্যাথা উঠছে। নীল অসহণীয় ব্যাথা। মেয়েটি খাওয়া দাওয়া করছে না ঠিক মত। কিন্তু শুধালেই মিথ্যে বলবে। হয়তো সারারাত তার কেটেছে নির্ঘুম কিন্তু শুধালেই মিথ্যে বলবে। এর মাঝেই হুমায়রা ধীর স্বরে বললো,
“তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। আমি অপেক্ষা করছি”

কথাটায় কিছু একটা যেনো ছিলো। ফাইজান ভরাট স্বরে বলল,
“আমি চাই, তুমি কেবল আমার জন্য ই অপেক্ষা করো। অনেক স্বার্থপর শুনালো কি?”
“উহু, আমিও চাই আমার সব অপেক্ষা আপনার জন্যই হোক”

ফাইজানের হাসি প্রশস্থ হলো। এই হাসি যেনো বিজয়ের হাসি, পরিতৃপ্তির হাসি।

****

ফাইজানকে বেডে নেওয়া হয়েছে। অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। ডাক্তার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।কিন্তু পার্টির লোকেদের মাঝে উত্তেজনা। বিশেষ করে ছেলেপুলেদের। তাগড়া রক্তে স্ফুলিঙ্গ জ্বলছে প্রতিশোধের। তাদের ভেতর একটাই প্রশ্ন এতোবড় আক্রমণটি করলোটি কে! ফরিদ শান্ত করতে হয়রান। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের দায়সারাভাবের উপর। ফাইজানের সম্মুখে বসা মোট চারটে মুখ। মহানগর ছাত্র এবং যুব সংঘটনের এরা মাথা। নাদিম, আফসান, মতিউর এবং রুবেল। ফাইজানের হাতে গরম লাল চায়ের পেপার কাপ। লাল চা বরাবর ই কষযুক্ত পানি মনে হয় ফাইজানের। তবুও খেতে হচ্ছে। নীরবতা ভাঙলো আফসান,
“ভাই এটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না। শত্রু তো এখন নির্ভীক হয়ে যাচ্ছে। কিছু একটা না করলে কি করে হবে?”
“অন্ধকারে ঢিল ছুড়বি? সেই ঢিল যে তোর গায়েই পড়বে না কি ভরসা?”

ফাইজান চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বললো।সাথে সাথেই মুখখানা বাকালো। একেবারেই বিশ্রী চা। ঠান্ডা হয় গেছে। নাদিম উত্তেজিত হয়ে বলল,
“তবে কি কিছুই করবো না?”
“করবো না কেনো? কিন্তু সঠিক সময় এখনো আসে নি। আমান নাকি বেইল পেয়েছে শুনলাম? কথা সত্য ফরিদ ভাই?”

ফরিদ খানিকটা অপ্রস্তুত হল। খবরটি তার জানা ছিলো না। আমতা আমতা করে শুকনো গলায় বলল,
“আমি জানি না”
“জানতে হবে তো ফরিদ ভাই। কেতাব চৌধুরী, দেলোয়ার, সবার উপর কড়া নজর রাখো। আর তোরা কাজ কর। এখন বসে থাকার সময় না। মিডিয়া কাজে লাগা। প্রেসার দে। পুলিশ আপনাআপনি নড়ে যাবে”

নার্স এসে তখন বললো,
“ভিড় কমান। রুমে একজন বাদে সবাই চলে যান”

ফলে সবাইকে বেরিয়ে যেতে হলো। ফাঁকতালে নাদিম ফাইজানকে একা পেয়ে বললো,
“ফাইজান ভাই, তোমাকে একটি ছবি পাঠিয়েছি। দেখো পারলে”

সবাই যাবার পর হুমায়রা থেকে নিজের মোবাইলটা নিল ফাইজান। ছবিটা ওয়াটস এপে পাঠিয়েছে নাদিম। ওপেন করতেই তার কপালে পড়লো প্রগাঢ় ভাঁজ। ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে দেলোয়ারের সাথে ফরিদ কথা বলছে……

চলবে

[আসসালামু আলাইকুম, ঈদ মোবারক। দিতে দিতে রাত হলো। তবুও ঈদে একটি পর্ব না দিলেই নয়। ইনশাআল্লাহ আগামী পর্ব আব্বুকে বাসায় নেবার পর দিবো। ইনশাআল্লাহ গ্যাপ হবে না আশা রাখছি]

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here