#নিশীভাতি
#৫৮তম_পর্ব
“কিয়ের নিজের পোলা? ওই হারামী আমার নি? কার রক্ত কবে কে?”
কথাটা কর্ণপাত হতেই রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিতৃষ্ণা জন্মালো। কপালে পড়লো তীক্ষ্ণ ভাঁজ। মুখশ্রী কঠিন হয়ে গেলো। তার ক্রুদ্ধ নয়ন কাওছারের উপর। কাওছার সেদিকে তাকানোর সাহস করলো না। বেপরোয়া ভাবটি অক্ষত রাখলো। সামনের ব্যাক্তিটি অবাক কন্ঠে শুধালো,
“কাওছার ভাই, এডি কিতা কও! কাওছার তোমার পোলা না তো কার পোলা?”
“ওই খা**** কই দিয়ে চু**** আনছে আমি কি জানি”
রাশাদের মনে হলো কেউ তার কানে গরম শিশা ঢেলে দিয়েছে। মুঠোবন্দি করে রাগ সংবরণ করতে লাগলো সে। এদিকে মিঠু ক্ষেপে গেলো ব্যাপকভাবে। সে তেড়ে যেতে নিলে রাশাদ বাধা দিলো। কারণ সে এখানে ঝামেলা চায় না। কিছু মানুষ মানুষ হলেও তাদের স্বভাব নর্দমার কীটের মতো। কাওছার সেই প্রজাতির মাঝে পড়ে। কাওছারের জন্য গ্রামে তাদের বাড়ি ঠাট্টার পাত্র হয়ে গেছে। তাদের সম্মুখে কিছু না বললে, পেছনে ঠিক ই মজা নেয়। এখন রাশাদ গরম হলেই এখানে একটি গ্যাঞ্জাম হবে। যাতে লাভের লাভ শুধু বাজারের মানুষদের মনোরঞ্জনই হবে। তাই রাশাদ সেখানে আর দাঁড়ালো না। বড় বড় পা ফেলে নিজের দোকানে চলে গেলো। কিন্তু হায় মস্তিষ্ক, প্রতিটি কথা যেনো খোদাই হয়ে গেছে। না চাইতেও তা দূর করতে পারছে না। রাশাদের দিন সেদিন অত্যন্ত বাজে ছিলো। কাওছারের রটনা আগুনের ফুলকির চেয়েও দ্রুতগামী, সেটার পরিচয় দিলো। খরিদদার তো ছিলোই না। কিন্তু মনোরঞ্জিত হবার মানুষের অভাব নেই। তারা শুধু এসে এসে একটাই প্রশ্ন করছে,
“কাওছার যা কইতাছে তা কি হুনছোস নি? হাছা কতা?”
একটা সময় ধৈর্য্যচ্যুত হলো রাশাদ। সহ্য একটা সময় পর্যন্তই পীড়া হয় না। সেই সময় পার হলে ধৈর্য্যের প্রত্যেক মুহূর্তের নাম হয় যন্ত্রণা। রাশাদের কাছেও সেটাই মনে হচ্ছে। সে মিঠুকে ক্রুদ্ধ স্বরে বললো,
“দোকানের দিকে খেয়াল রাখ, আমি আসতেছি”
মিঠু তার কঠিন ইস্পাতের মতো মুখশ্রী দেখে কোনো কথা বলার সাহস পেলো না। বরং ঘাড় কাত করে বললো,
“আইচ্ছা”
কাওছার দোকানের ক্যাশের পাশের চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে আছে। উত্তপ্ত আবহাওয়ায় ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা। এতো কাজ ইহকালে করেছে বলে মনে নেই। টাকা থেকে টাকা বানানো কম খাটুনি নয় তা হারে হারে টের পাচ্ছে কাওছার। একটি ঠান্ডা পানির বোতল খুলে মুখে দিতেই মনে হলো সে শুন্যে ভেসে উঠেছে। কেউ তার কলার ধরে বসা থেকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।হাত থেকে বোতলটা পড়ে গেলো সাথে সাথেই। মেজাজ বিগড়ে গেলো তার। বিশ্রী গালি দেবার জন্য পেছনে ফিরতেই সন্ত্রাশে রক্তশূন্য হলো মুখশ্রী। গালিটুকু গিলে ফেললো সাথে সাথে। রাশাদের কঠিন মুখখানা তার মুখশ্রী বরাবর। ভরাট কন্ঠ কানে বাজলো,
“আপনার ফাজলামি কি কখনো বন্ধ হবে না? আর কত নিচে নামবেন?”
রাশাদের কথায় কথা হারালো কাওছার। একেবারেই চুপসানো আমের মতো নেতিয়ে পড়লো। রাশাদ আরোও কড়া স্বরে বলল,
“কি হলো, কথা নেই মুখে? আমার নামে নোংরামি রটানোর সময় তো খুব চলছিলো”
শুকনো ঢোক গিলে কাওছার বললো,
“আমার কলার ছাড় রাশাদ”
“একটা আছাড় দিয়ে মাজাটা ভেঙ্গে ফেলি এখন! আমার একবিন্দু মায়া লাগবে না কিন্তু। নাটক ছেড়ে ঝেড়ে কাশুন। নিজেকে আর ঐ মহিলাকে তো বদনাম করছেন, কিন্তু সেই আবর্জনায় আমাকে টানছেন কেনো?”
কাওছার দু হাত দিয়ে রাশাদের থেকে নিজের কলার ছাড়ানোর চেষ্টা করলো। দুপুরের দিক বলে জনবহল কম। নেই এর কাছাকাছি। রাশাদ তাকে মারলেও সে নিজেকে বাঁচাতে পারবে না। মরার দোকানের ছেলেগুলোও খেতে গেছে। কাওছার আমতা আমতা করে বললো,
“আমি তোর বাপ রাশাইদ্দা”
“তাই নাকি? একটু আগ অবধি তো ছিলেন না। আমার রক্তে সমস্যা নাকি! আমার মা আমাকে বাজে কাজ করে জন্ম দিয়েছে। কি মনে নেই? কি চাই আপনার? টাকা, বাড়ি, সম্পত্তি?”
কাওছারের মুখখানা সাদা হয়ে গেলো ত্রাশে। রাশাদের ভয়ংকর রুপ তার হৃদয়কে কাবু করে দিচ্ছে। ঠিক তখনই দুটো ছেলে ছুটে এসে রাশাদ আর কাওছারকে আলাদা করলো। এর মাঝে একটি কণ্ঠ ভেসে উঠলো,
“রাশাদ ভাই, আপনার মতো সজ্জনের অন্যের দোকানে মারপিট করা মানায় না”
রাশাদ পেছনে ফিরতেই আমানকে দেখতে পেলো। মুখে রসিকতার হাসি। রাশাদের রাগ বৃদ্ধি পেলো কিন্তু তার শত্রুতা আমানের সাথে নয়। এদিকে কাওছার সাহস পেলো যেনো, চেঁচিয়ে বললো,
“তোর মায়ে যে মা** ছিলো তার পরমান তুই, হারামজাদা। তুই আমার পোলা না। বিশ্বাস না হইলে যা তোর মায়েরে জিগা, বিয়ার আগে কার লগে শুইছিলো”
রাশাদ নিজের রাগ সংবরণ করতে পারলো না। ছেলে দুটোর থেকে নিজেকে ছাড়িয়েই কাওছারকে ইচ্ছে মতো মারলো। আমান এবং দোকানের ছেলেগুলো চেয়েও তাকে থামাতে পারলো না। অচিরেই লোক জড় হলো। বিনা টিকিটেই বিশাল একটা রঙ্গ দেখার সুযোগ হলো। অবশেষে প্রবীন কিছু মানুষ এসে থামালো রাশাদকে। তারা টেনে নিয়ে গেলো তাকে। কাওছারের চোয়াল প্রায় ভাঙ্গার মতো হাল হয়ে গেছে। তবুও তার চোপা কমলো না। এদিকে আমানও তাকে বেশ সমর্থন করলো। কাওছার কিছু একটা বললো মিনমিনিয়ে আর সে শরীর দুলিয়ে হাসছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অস্বাভাবিক সখ্যতা তাদের ভিতর। কাওছারের দোকানের রমরমা অবস্থাটা কার দান বুঝতে বাকি রইলো না রাশাদের। কিন্তু এসবের মাঝে শান্ত রাশাদের ক্রুদ্ধ রুপ দেখলো গ্রামবাসী।
******
ফাইজানকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। সে এখন তার ভাড়া ফ্লাটেই থাকবে। এখনো দূর্বৃত্ত ধরা পড়ে নি। ফ্লাটের সিসি টিভি থেকেও ক্লিপ উধাও। পুলিশেরা মাথা চুলকাচ্ছে। ফাইজান দায়সারাভাব দেখাচ্ছে। কারণ কেতাব চৌধুরী জেলে। তার উপর দোষ দিয়েও লাভ নেই। ল এন্ড অর্ডারের উপর তখন আঙ্গুল উঠবে। একজন জেলের কয়েদি কাওকে মারার পরিকল্পনা করলে সেটা আইনের জন্যই লজ্জাকর। চৈত্রের ক্রুর গরমে গরম চা মন্দ লাগছে না তার। ফাইজান হেলান দিয়ে বসে চা খাচ্ছে। এই ভরদুপুরে চা খাওয়াটা অযৌক্তিক। কিন্তু ফাইজান হুমায়রার বারণ শুনছে না। ভাত খাবার পর পরই সে অনুরোধ করেছে চায়ের। বাধ্য হয়ে কথাটা শুনতেও হয়েছে হুমায়রার। সে চায়ে চুমুক দিচ্ছে এবং স্থির নয়নে চেয়ে আছে আয়নার দিকে। কেবল গোসল সেরে বেরিয়েছে হুমায়রা। সাপের মতো নেমে আসা চুল গুলো থেকে চুয়ে চুয়ে পানি পড়ছে। হুমায়রার পিঠ ভিজে আবার আধ শুকনো হয়ে গেছে গরমে। চুল মুছতেই মুছতেই তাদের চোখাচোখি হলো। হুমায়রা ধীর স্বরে বললো,
“কিছু লাগবে?”
“তুমি নির্বাচনী পরীক্ষা পুরো দাও নি তাই না?”
হুমায়রা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা নাড়ালো। তার শেষ দুটো পরীক্ষা দেওয়া হয় নি। ফাইজান হাত এগিয়ে বললো,
“ফোনটা দাও তো আমার”
“দাঁড়ান”
বলেই চার্জ থেকে ফোনটা খুলে ফাইজানের হাতে দিলো। ফাইজান নাম্বার চিপে কাওকে ফোন করলো। হাসিমুখে মোলায়েম ভাবে কথা বললো। তারপর ফোন রেখে বললো,
“প্রিন্সিপাল বলেছেন কোনো সমস্যা নেই। সামনের মাঝে রেজিস্ট্রেশন, তখন মিস করা যাবে না”
“ভাইজান তার সাথে কথা বলে নিয়েছিলেন”
“ভাইজান তার দায়িত্ব পালন করেছেন, আমি আমার”
হুমায়রা নিঃশব্দে হাসলো। তারপর কিছুক্ষণ মৌন থেকে বললো,
“আচ্ছা, আপনার আর ফরিদ ভাইয়ের কি কোনো ঝামেলা হয়েছে”
অতর্কিত প্রশ্নে কিছুটা অপ্রস্তুত হলো ফাইজান। চোখ তুলে শান্ত স্বরে বললো,
“কেনো?”
“না, আজ সবাই আপনাকে দেখতে এলেও ফরিদ ভাই আসে নি তাই”
ফাইজান তাচ্ছিল্যভরে বললো,
“ক্ষমতা খুব বাজে জিনিস। মাঝে মাঝে বন্ধুত্বেও দেওয়াল তুলে দেয়”
“যে বন্ধুত্ব ক্ষমতায় হাওয়ায় প্রভাবিত হয় সেটা কি আদৌ বন্ধুত্ব?”
“সেটাই জানার অপেক্ষায় আছি”
“সন্দেহও কিন্তু বন্ধুত্বে দেওয়াল তুলে”
হুমায়রার কথাটার মর্মার্থ বুঝতে সময় নিলো না ফাইজান। চুপ করে রইলো। অন্তঃস্থল থেকে বেরিয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস।
*********
অবসন্ন বিকালে কাঁচে মোড়া রুমের ভেতর নতুন আগত ফাইলগুলো একে একে উলটে পালটে দেখছে ইলহা। তার বর্তমান ডিউটি কেবিনে থাকে। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা অবধি ডিউটি করে। একটু পর ই বেরিয়ে যাবে সে। হঠাৎ একটি ফাইলে চোখ আটকে গেলো তার। নামটি দুবার উচ্চারণ করলো। নার্সকে ডেকে বললো,
“ইনি কবে ভর্তি হয়েছে?”
“কাল রাতে ম্যাডাম! সিরিয়াস অবস্থা”
শুনতেই হৃদয় ধক করে উঠলো ইলহা। চোখ ঝাপসা হয়ে এলো নোনা জলে। ভুল হতেই পারে, এক নাম তো দুজনের হতেই পারে। নাম এক হলেই যে তার মা হতে হবে সেটার বাধ্যবাধকতা নেই। নার্সকে ডেকে বললো,
“আমি একবার রাউন্ডে যাবো, চলো আমার সাথে”
নিজের সন্দেহ নিবারণ করতে ১৪১৩ নম্বর রুমের সামনে দাঁড়ালো ইলহা। বুকখানা প্রচন্ড বেগে স্পন্দিত হচ্ছে। ভয় হচ্ছে এই মানুষটি যদি তার মা হয়। হায় ভাগ্য, আশংকাটা সঠিকই হলো। সফেদ বিছানায় ঘুমে আচ্ছন্ন ইলহার মা সাথী। সাথীর মুখে নোজাল মাস্ক। অক্সিজেন চলছে। কিডনি জনিত কারণে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ হাই ক্রিয়েটিনিন। একবার ডায়ালায়সিস দেওয়া হয়েছে। আবার দিতে হবে। মহিলার সাথে কোনো গার্ডিয়ান নেই। আসে কেবল একটি উনিশ বছরের কাজের মেয়ে। ইলহা যেতেই নার্স রোগীকে ডাকতে চাইলো। ইলহা বাধা দিলো। তার চোখ ভিজে আসছে। মায়ের সামনে দাঁড়ানোর সাহস হচ্ছে না। আকিব শাহরিয়ার অমানুষ অথচ এই মহিলা সারাটা জীবন তাকেই ভালোবেসে এসেছে। আজ সেই ভালোবাসার পরিণাম ভুগছে। কে বলেছে ভালোবাসা মনে শান্তি দেয়, কিছু ভালোবাসা ধ্বংসও করে ফেলে।
*****
বিকালের কমলা সূর্যটা পাড়ি দিলো পশ্চিম গগনে। একটু একটু করে বিলীন হলো আকাশের সব রঙ। রান্নাঘরে তখন রাতের খাবার রান্না হচ্ছে। হুমায়রার ঘাড় বেয়ে নেমে আসছে ঘর্মরেখা। সে নিষ্ঠুর চাকু চালাচ্ছে চপিং বোর্ডের উপর। বছরের শেষ সীমের বিচি দিয়ে শৈল মাছ রান্না হচ্ছে আর জলপাই দিয়ে ডাল। রান্নাঘরের দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ফাইজান। তার নির্লজ্জ দৃষ্টি দেখছে হুমায়রার ঘামে ভিজে লেপ্টে থাকা পিঠ। বুকটা জ্বলছে। মেয়েটাকে কাছে পেতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব করে। কিন্তু শরীর এবং রমনী কেউ ই অনুমতি দিবে না। কিন্তু একটু আদর করতে ক্ষতি কি। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো ফাইজান। ভালো হাতে কোমড় পেছিয়ে ধরতেই চমকে উঠলো হুমায়রা। সাথে সাথে অসতর্কতায় আঙ্গুলটা কেটে গেলো। “উহহ” করে উঠতেই ফাইজান তাকে ছেড়ে দিলো। শান্ত গলায় বললো,
“এতো অন্যমনষ্ক কেনো তুমি?’
“দোষ কি আমার?”
“তাহলে আমার?”
ফাইজানের এমন প্রশ্নে বিস্মিত হলো হুমায়রা। সে কিছু বলার পূর্বেই ফোন বেজে উঠলো। সে ফাইজানকে কপট রাগ দেখিয়ে বললো,
“দাঁড়ান, আপনার হিসেব করছি পরে”
ফাইজানের ঠোঁটে নির্লজ্জ হাসি। সে যেনো অপেক্ষায় আছে হিসেবে। ফোনটা হাতে নিতেই হুমায়রার মুখের রঙ পালটে গেলো। নাম্বারটা যুবাইদার। ব্যাপারটি খেয়াল করলো ফাইজান। হুমায়রা ফোন কেটে দিলো। কিন্তু ফোনটি আবার বাজলো। এবার ফাইজান ফোনটা হাতে নিয়ে রিসিভ করলো। লাউডস্পিকারে দিয়ে হুমায়রাকে ইশারা করলো যেন কথা বলে, হুমায়রা তাই নাকোচ করলো না। কড়া স্বরে হ্যালো, সালাম ছাড়াই বললো,
“কি চাই?”
ওপাশের মানুষটিও বিনাভনীতায় বললো,
“তুই জানোস কাওছার আর রাশেদের আইজ বাজারে মারপিট হইছে। শুধু তাই না, কালকেরা বিচার বইবো”………………
চলবে
[আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি কথা বলতে পছন্দ করি না। তবে অনেকেই ম্যাসেজে জানতে চান, আপু আপনি আবার নয়দিন ডুব কেনো দিয়েছেন। আপনার আব্বা তো সুস্থ হয়ে গেছে। আমার আব্বা আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন, তবে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হন নি। লাস্ট বারো দিন শুধু টেস্ট করানো এবং ডাক্তারের পেছনেই ছোটা হয়েছে। ডাক্তার নতুন ঔষধ দিয়েছেন, এখন আল্লাহ ভরসা। দোয়া করবেন আব্বুর জন্য। আর গল্পটা আমি দ্রুত শেষ করে দিবো। কারণ আপনাদের অপেক্ষা করাতে ভালো লাগছে না। আমার একটা ব্রেক দরকার। তাই ইনশাআল্লাহ ঝামেলা না হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করে দিবো। কিন্তু সেটাও আমি জানি না আদৌ হবে কি না। কারণ সামনের মুহূর্তে কি হয় তা আমি বা আপনি কেউ জানি না]
মুশফিকা রহমান মৈথি