অর্ধ_নক্ষত্র ।৩৯। #লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

0
118

#অর্ধ_নক্ষত্র ।৩৯।
#লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

জুনায়না মেহরা গিয়ে উঠে পরে আরশমান এর গাড়িতে।মেহরা আরশমান এর দিকে আড় চোখে চেয়ে মৃদু কণ্ঠে বলে,”শার্টের বোতাম লাগান।”

আরশমান ঠোঁট টিপে হাঁসে।জুনায়না শুনতে পায় মেহরার কথা,সে তো উচ্চ কণ্ঠে হেঁসে ওঠে বলে,”আরেহ মেহরা আমাদের আরশু এমনই,সে বেশি রেগে গেলে অস্থির হয়ে যায় তখন শার্টের বোতাম কয়েকটা খুলে রাখে।”

মেহরা বিড়বিড় করে,”আজব মানুষ তার আজব কারবার!”

আরশমান হেঁসে শার্টের বোতাম গুলো ব্লক করে নেয় অতঃপর পকেট থেকে রুমাল বের করে মেহরার দিকে রুমালটি এগিয়ে দিয়ে বলে,”কত টা খাটিয়েছে আমার বউকে।”

“ওলে লে শোনা গো একটু আমাদের দিকেও চাও বউকে নিয়েই পরে থাকলে হবে।”,জুনায়না কথাটি বললে মেহারা আরশমান এর হাত থেকে রুমালটি নিয়ে লজ্জায় অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে ফেলে।

আরশমান জুনায়নার মত সুর টেনে বলে,”ওগো বান্ধবী আমার,তোমার খেয়াল রাখার জন্য স্বয়ং এসি আছে, এসির বাতাস খাও।”,বলে গাড়ি স্টার্ট দিলো আরশমান।

..
নয়না ইন্ডাস্ট্রির সম্মুখে এসে আরশমান এর গাড়ি থামলে জুনায়না নেমে যায়,মেহরা আরশমানকে বিদায় জানিয়ে সে চলে যায় ভিতরে।

অফিসের সকলে এখনও কর্মরত অবস্থায় কারও ছুটি হয়নি এখনো।তীব্র লিফট করে গ্রাউন্ড ফ্লোরে আসতেই তার চোখে পড়ে জুনায়না।তীব্র বড় করে সালাম দিয়ে বলে,”কেমন আছেন ভাবি।”

জুনায়না তীব্রর সম্মুখে এসে দাঁড়ায় সে ঠোঁটের কোণে হাঁসি ফুটিয়ে বলে,”উপস হ্যান্ডসাম সব শেষে তোমার মুখ থেকে ভাবি ডাক শুনতে হবে এখন।”

তীব্র চোখ বড় বড় করে ফেলে,জুনায়না তার বসের বউ হয়ে গেলো তবুও এই মেয়ে এমন ফ্লার্ট করে।আশ্চর্য!জুনায়না হাত বাড়িয়ে তীব্র’র চুল এলোমেলো করে দিয়ে লিফটের ভিতর চলে যায়।তীব্র যেনো পাথরের মত স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকে।কয়েকবার পলক ঝাপটায় সে।

.
কাঙ্ক্ষিত ফ্লোরে এসে লিফট থামলে জুনায়না বেরিয়ে চলে আসে প্রশান্তর কেবিনের সম্মুখে অতঃপর দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করে সে।প্রশান্ত টেবিলে একাধিক ফাইল ছড়িয়ে রেখেছে এখন সে পায়ের উপর পা তুলে চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে হাতে থাকা ট্যাবে আঙ্গুল চালাচ্ছে।তাকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে এমপ্লয়রা।জুনায়না বুকে হাত ভাঁজ করে চেয়ে দেখে প্রশান্ত কে।এলোমেলো চুল তার,কালো রঙ্গা গায়ে সাদা রঙ্গা ফরমাল ড্রেসআপ যেনো ফুটে রয়েছে।সে বারবার ঠোঁট নাড়িয়ে একেক দিকনির্দেশনা দিচ্ছে তার এম্পলয় দের হুট করেই প্রশান্ত অনুভব করে,তার নাশিকারন্দ্রে গিয়ে যেনো আঘাত হানে জুনায়নার গায়ের সেই মিষ্টি পরিচিত পারফিউমের গন্ধ।প্রশান্ত আখিজোড়া সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে বলে,”জুনায়না।”জুনায়না হেঁসে ফেলে।
এম্প্লয়রা ফিরে চায় দরজার পানে।তারা একসঙ্গে ঠোঁটের কোণে হাঁসির রেখা ফুটিয়ে বলে,”হ্যালো ম্যাম।”
জুনায়না প্রতিউত্তর একটি মিষ্টি হাসি ফিরিয়ে দেয়।

প্রশান্ত আঁখি জোড়া বন্ধ রেখেই তার এম্পলয়দের উদ্দেশ্যে বলে,”আপনারা এখন আসতে পারেন।”

সকলে যেনো নিঃশব্দে হাসলো,এক এক করে বেরিয়ে গেলো কেবিন থেকে।জুনায়না ধীর পায়ে হেঁটে অগ্রসর হয় প্রশান্তর দিকে।

প্রশান্ত নেত্রপল্লব খুলতেই সম্মুখে দেখতে পায় জুনায়নাকে।জুনায়না এক ফালি হেঁসে বসে পরে প্রশান্তর কোলে,হাত বাড়িয়ে প্রশান্তর এলোমেলো চুল গুলো ঠিক করে দেয়।শার্টের করলার টেনে ঠিক করে দেয় অগোছালো শার্টটিকে।প্রশান্ত অনিমেষ চেয়ে থেকে বলে,”আই এম সরি,তোকে নিতে যেতে পারলাম না জুনায়না রানি।”,বলে জড়িয়ে ধরলো প্রশান্ত জুনায়নাকে।জুনায়না নিঃশব্দে হাঁসলো।প্রশান্তর মাথা জুনায়নার বুকে সে যেনো শুনতে পারছে জুনায়নার হৃদস্পন্দন,প্রশান্তর একই অবস্থানে থাকলো নড়ল না আবেশে অনুভব করলো বলল,”আজ অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছিস নারেহ জুনায়না রানি?খুব ক্লান্ত তুই?”

জুনায়না প্রশান্তর চুলের ভাঁজে অধর ছোঁয়ালো বলল,”হম দৌড়াদৌড়ি হয়েছে খুব তবে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছে আমার প্রশান্ত বাবুর ছোঁয়ায়।”

প্রশান্ত মাথা তুলে চাইলো এলোমেলো চোখে জুনায়নার
ক্লান্তিতে মাখা ঘর্মাক্ত মুখশ্রীটি দেখলো,মাথা উচু করে সর্ব মুখশ্রী জুড়ে অধর ছুঁয়ে দিলো প্রশান্ত।জুনায়না আঁখি জোড়া বন্ধ করে ফেললো ফিসফিস করে বলল,”আজ এত উম্মাদনা প্রশান্ত বাবুর?”

প্রশান্ত ক্ষীণ কণ্ঠে বলল,”যতদিন যাচ্ছে তোকে হারিয়ে ফেলার ভয় আমাকে ততো বেশি উন্মাদ বানিয়ে ফেলছে।”

জুনায়না আঁখি জোড়া খুলে প্রশান্তর দুই চোখে আবেশে বারকয়েক অধর ছোঁয়ালো অতঃপর অদূরে কণ্ঠে বলল,”আমি তোকে ছাড়া কোথায় যাবো বল তো জান।”

প্রশান্ত এবার হাঁসলো,জুনায়না দিকে চেয়ে রইলো কয়েক মুহূর্ত অতঃপর বলল,”জুনায়না তুই সোফায় গিয়ে বস আমি ফাইল গুলো গুছিয়ে নি।তারপর বাড়ি যাবো।”

জুনায়না উঠলো প্রশান্তর কোল থেকে তবে নিজেই এক এক করে খোলা ফাইল গুলো নিয়ে বন্ধ করলো গোছানো আরম্ভ করলো,প্রশান্ত বলে উঠলো,”আমি পারবো গুছিয়ে নিতে।তুই বস গিয়ে।”

জুনায়না কণ্ঠের রেশ ভরাট এনে বলে,”তুই চুপ কর আমি করছি।”

প্রশান্ত এবার গালে হাত রেখে দেখতে লাগলো জুনায়নাকে।জুনায়না কাজ করছে খুব মনোযোগে কিন্তু তাহার মনোযোগ যে নষ্ট করছে অবাধ্য চুল গুলো।স্বাভাবিক,কারণ জুনায়নার চুল তুলনা মুলুক ছোট কাধ অব্দি।যা কাজে খুব বিরক্ত করে।প্রশান্ত দাড়িয়ে যায় টেবিলের ড্রয়ার থেকে চুল আটকানোর একটি কাকড়া বের করে এগিয়ে যায় জুনায়নার দিকে।জুনায়নার পিছনে গিয়ে দাড়ায় হাতের মুঠোয় নিয়ে চুল গুলোকে এক করে আটকে দেয়।জুনায়না ক্ষীণ হাঁসে হাতের ফাইল গুলোকে এক পাশে রেখে বলে,”কাকড়া টা কার প্রশান্ত বাবু?”

“কার আবার তোর।আমার অফিসে এসে নিজের কত কিছুই তো ভুল বশত রেখে চলে যাস।”

জুনায়না ফিরলো প্রশান্তর দিকে হুট করেই প্রশান্তর অধরে অধর ছুঁয়ে দিলো সঙ্গে সঙ্গে সরে আসলো হেঁসে বলল,”আর তুই সেই জিনিস গুলো যত্ন করে রেখে দিস।”

প্রশান্ত মাথা নিচু করে মুচকি হাঁসলো।জুনায়না হেঁসে প্রশান্তর কাঁধে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বলল,”ওরে আমার লজ্জাবতীর পুরুষ ভার্শন রে!”

..
রাতের তারার আকাশ আজ চাঁদ মেঘের আড়ালে।জাহরা বারান্দায় দাড়িয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছে সেই আকাশে থাকা তারা গুলোকে।এবং ভাবছে আজকে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা।জাহরা বিড়বিড় করে,”ফাইজ এর কী হলো?আমি ঝগড়া করলেও সে চুপ হয়ে যায়।কেমন করে চেয়ে থাকে,তার চাহনি বড়ই অদ্ভুত।তার ওই চাহনিতে আমারও বেশিক্ষণ চেয়ে থাকার সাধ্য হয়ে ওঠে না বোধ হয় এই হারিয়ে গেলাম তার চাহনির মাঝে।”

আজ জাহরা,ফাইজ এর সঙ্গেই লাঞ্চ করে তবে সর্ব মুহুর্ত জুড়ে ফাইজ ছিলো নিশ্চুপ।সে খাওয়ার মাঝে মাঝেই কয়েকবার চেয়ে চেয়ে দেখেছে জাহরাকে।আজ তুলনামূলক কম ঝগড়াই করেছে তারা।তাই তো জাহরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছে।

জাহরা তারা গুনলো হুট করেই তার আকাশ পানে হালকা আভায় ভেসে এলো ফাইজ এর মুখখানা।জাহরা অবাক হলো বারকয়েক পলক ঝাপটালো বলল,”আমি কি তাকে নিয়ে বেশি ভেবে ফেলছি।আশ্চর্য ব্যাপার!”

🍁
আজ দিনটি খুবই স্নিগ্ধ,সকালের দিকে উত্তাপ এর পরিমাণ ছিলো খুবই নিম্ন মানের তবে এখন দুপুর পেরিয়ে বিকেল হতে চলেছে যতটা উত্তাপ এর পরিমাণ ছিলো সকালে এখন আর তা নেই।

সকাল থেকে বিকেল এর আগ অব্দি রোহান এর খোঁজ চালিয়েছে পুলিশ।তবে পায়নি তারা রোহানকে।মেহরা বাড়ি চলে এসেছে কিয়ৎক্ষণ আগেই গোসল সেরে ফেলেছে সে।

পরনের শাড়ি ঠিক করে,আরশমান এর পুরো ঘরের এদিক ওদিক চোখ বুলালো মেহরা।অতঃপর ঘর থেকে বেরিয়ে আশপাশটা দেখে নেমে এলো বসার ঘরে।বসার ঘরে কেউই নেই।সে বাড়িতে আসার পর আরশমানকেও দেখেনি।আরশমান ভোরের দিকে মেহরার ঘুম ভাঙ্গার পূর্বেই চলে গিয়েছিল।তবে কোথায় গিয়েছে তা জানে না মেহরা।হীনা নিজের ঘরে,আমজাদ তার অফিসে।আরুই তার ঘরে,ইমান তার কাজে বাইরে গিয়েছে।

মেহরা রান্না ঘরে দিকে অগ্রসর হলো,যখন রান্না ঘরে প্রবেশ করলো তার ঠোঁটের কোণে আনমনেই হাঁসি ফুটে উঠল বলল,”মা খুব সুন্দর করে রান্না ঘর গুছিয়েছে।”,শশুর বাড়ী আসার পর আজ তার প্রথম রান্না ঘরে প্রবেশ।মেহরা কিয়ৎক্ষণ দাড়িয়ে ভাবলো,ভাবনার ইতি টেনে চা বানানোর প্রস্তুতি নিলো।নিজের জন্য ও হীনার জন্য চা বানাবে সে।

.
সময় নিয়ে চা বানালো মেহরা, ট্রেতে করে দুই কাপ চা নিয়ে নিলো অতঃপর রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে অগ্রসর হলো তার শাশুরির ঘরের দিকে।তখনই তার নজরে পড়লো আরশমান সদর দরজা পেরিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করছে।তার পরনের শার্ট থেকে শুরু করে সে পুরোটাই এলোমেলো।

মেহরা থমকে দাঁড়িয়ে গেলো।আরশমান তার দৃষ্টি যখন নিমগ্ন থেকে সরিয়ে সামনের দিকে ফেললো তখনই তার ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠলো প্রশান্তির হাসি।আরশমান বড় বড় পায়ে এগিয়ে এলো মেহরার সম্মুখে আপাদমস্তক দেখলো সে মেহরা কে।মেহরা ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে আছে এলোমেলো আরশমান এর পানে।

আরশমান হাত বাড়ায় মেহরার কপালের সম্মুখে চলে আসা অবাধ্য চুল গুলোর দিকে,কানের পিছনে ঠেলে দেয় চুলগুলোকে।মেহরা ত্রস্ত হয় কেঁপে ওঠে সে।আরশমান ঠোঁট প্রসারিত করে নিঃশব্দে হাঁসে।মেহরা শুকনো ঢোক গিলে জিজ্ঞাসু কণ্ঠে বলে,”আপনার এই অবস্থা কেনো?”

আরশমান এইবার শব্দ করে হাঁসলো পাশে থাকা সোফায় ধপ করে বসে পড়ল অতঃপর মেহরার হাতে থাকা ট্রে এক হাতে সামলে নিয়ে অন্য হাতে মেহরার হাত টেনে তাকে তার পাশে বসিয়ে দিলো।মেহরা বিস্মিত কণ্ঠে বলে,”এইসব কী করছেন আপনি?”

আরশমান হাঁসলো মেহরার শাড়ির কিছু অংশ টেনে ঘোমটা দিয়ে দিলো মেহরার মাথায় অতঃপর থুতনিতে ধরে নিজের মুখোমুখি করলো মেহরাকে অদূরে কণ্ঠে বলল,”ইশ!এখন যে আপনার এই সাজ নষ্ট করার ইচ্ছে জাগছে আমার মনে।”

মেহরা লজ্জা পেলো খুব,তবে মূখোশ্রীতে প্রকাশ করলো না তা।মেহরা মুখশ্রীর বিরক্তির ছাপ টানলো বলল,”এইসব উল্টো পাল্টা কথা না বলে বাইরে থেকে এসেছেন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন।।”,বলে চায়ের ট্রে নিয়ে উঠে দাড়ালো মেহরা ফিরে কদম ফেলতে নিলে আরশমান শাড়ির একাংশ টেনে ধরে মেহরার।মেহরা ফিরে চায় বলে,”সমস্যা কী আপনার?”

আরশমান উঠে দাড়ালো,কোমল কণ্ঠে বলল,”কোথায় যাচ্ছেন চায়ের কাপ নিয়ে?”

“আমি মায়ের ঘরে যাচ্ছি চা নিয়ে।মা আর আমার জন্য চা বানিয়েছিলাম ভেবেছিলাম দুজন মিলে একটি আড্ডা দেবো।”

“আপনি দুপুরে খেয়েছেন?”

মেহরা তো খায়নি,সকালে তো আর এখন টিফিন নিয়ে যাওয়া হয় না।না বাইরের হোটেলের খাবার খেতে ইচ্ছে করে তার।তাইতো সে না খাওয়া।আর আসার পর তো খাবারের আগে চা খাওয়ার ইচ্ছে জেগেছে তার।মেহরা ক্ষীণ কণ্ঠে বলে,”নাহ।”

আরশমান ছেড়ে দিলো মেহরার শাড়ির অংশটি, বলল,”গল্প পড়ে করবেন মায়ের সঙ্গে।শুনুন ট্রে টা শিমুলকে ডেকে দিয়ে দিন ও মায়ের ঘরে দিয়ে আসবে।আর আপনি খাবার টেবিলে গিয়ে বসুন আমি আসছি,আপনার এখন চা খাওয়ার প্রয়োজন নেই।”

মেহরা এবার চরম বিরক্ত হলো তিক্ত কণ্ঠে বলল,”আমি আপনার কথা কেনো শুনবো?”

আরশমান সিঁড়ির দিকে অগ্রসর হতে হতে বলল,”কারণ আপনি যে আমার বউ।যা বলেছি তাই করুন নয়তো।”

মেহরা রেগে তেঁতে বলে উঠলো,”ঘোড়ার ডিম করবি শালা বেদ্যপ ফাজিল নির্লজ্য ,দেখিস তোকে একদিন থার্ড ডিগ্রি পেটান পেটাবো আমি।সবসময় জোর করবে এই আমি কি তোর বাপের সম্পত্তি নাকি?”

আরশমান এবার থামলো ফিরে চেয়ে হেঁসে বলল,”নাহ আমার বাপের এক মাত্র ছেলের সম্পত্তি আপনি।”

সদর দরজার সম্মুখে আমজাদ মুখ হা করে দাড়িয়ে দেখলো দুজনের ঝগড়া।মেহরা ফুসফুস করতে করতে ফিরে চাইলো আমজাদ কে দেখে চোখ দুটো বড় বড় করে ফেললো জিহ্বায় কামড় কেটে বলে,”আই জা ছেলের বাপ এইদিকে কখন আসলো।”

আমজাদ এবার ঠিক হলো ঠোঁটের কোণে হাঁসির রেখা ফুটিয়ে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করলো বলল,”বউমা।”

মেহরা মোলায়েম হাসলো এগিয়ে গেলো বলল,”জি বাবা।”

আমজাদ নিমগ্ন চাইলো মেহরার হাতে চায়ের ট্রে দেখে হেসে বলল,”কার জন্য বানিয়েছ মা?”

“বাবা মা আর আমার জন্য বানিয়েছিলাম।কিন্তু আপনার বজ্জাত ছেলে”,মেহরা বলে সঙ্গে সঙ্গে থেমে গেলো কী বলতে যাচ্ছিল সে।আমজাত এবার হো হো করে হেঁসে উঠল বলল,”কী করেছে আমার বজ্জাত ছেলে?”মেহরা বোকা বোকা হাঁসি দিয়ে বলে,”ইয়ে মানে আসলে উনি বলেছে এখন চা খেতে না।শিমুল দিয়ে চায়ের ট্রে টা মায়ের ঘরে পাঠিয়ে দিতে।”

আমজাদ নিজেই হাত বাড়িয়ে মেহরার হাত থেকে চায়ের ট্রে টি নিয়ে নিলো বলল,”আমি নিয়ে যাই বরং।বউমার বানানো চা।তুমি তো খাবে না,আমি তোমার ভাগের চা টা খেয়ে ফেলবো।”,বলে নিজের ঘরের দিকে হাঁটা ধরলো আমজাদ।মেহরা ঠোঁট প্রসারিত করে মিষ্টি করে হাসলো।এই পরিবারের মানুষ গুলো বড্ডো মিশুক।

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here