অর্ধ_নক্ষত্র ।৪০। #লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

0
319

#অর্ধ_নক্ষত্র ।৪০।
#লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

খাবার টেবিলে খাবার সাজিয়ে মেহরা অপেক্ষা করছে আরশমানের।অপেক্ষার প্রহর গোনা যেনো তার কাছে বিরক্তিকর লাগছে বিড়বিড় করে আরশমানকে শত গা’লি’গা’লা’জ করে ফেলেছে সে।

আরশমান শার্টের বোতাম ব্লক করতে করতে নেমে আসে বসার ঘরে অতঃপর এগিয়ে আসে টেবিলের দিকে।মেহরা আরশমানকে আসতে দেখে মুখ ভেংচে বলে,”আসছেরে নায়ক ইদুর খান।”

.
আরশমান এসে মেহরার পাশের চেয়ারটি টেনে বসে বলে,”এই অব্দি কতগুলো গা’লি দিলেন আমায়?”

“কত গুলো গালি দিয়েছি গুণে দেখিনি।আপনি চাইলে আপনার সামনেই আপনাকে আবার গা’লি দিতে পারি।”

আরশমান হাত বাড়িয়ে মেহরার প্লেটে খাবার বেড়ে দিতে শুরু করে তার সঙ্গে আফসোসের সহিত বলে,”সকলের বউ জামাইকে দিনে রাতে চুমু দেয় আর আমার বউ আমাকে দিনে রাতে গা’লি দেয়।”

মেহরা মিটমিট করে হাঁসলো আরশমান থেকে তার দৃষ্টি সরিয়ে টেবিলের দিকে চাইলো সে সবে লক্ষ্য করছে আরশমান তার প্লেটে খাবার সাজিয়ে ফেলেছে।মেহরা বিস্মিত কণ্ঠে বলে,”আরেহ এত খাবার কে খাবে?”

“আপনি আর আমি।আজ আমরা একই প্লেটে খাবার খাবো।আমাকে খাইয়ে দিবেন আজ।ভালোবাসা বারবে বুঝলেন বউ।”

মেহরা বোকার মত চেয়ে আছে,সে বিরক্তি মাখা কন্ঠে বলল,”কিসব বলছেন?”

আরশমান এবার ঠোঁট প্রসারিত করে দুষ্টু হাঁসলো হাত বাড়িয়ে দিলো,মেহরার কোমড়ের দিকে ছুঁয়ে দিলো তার হাত, দৃঢ় ভাবে।মেহরা চোখ দুটো রসগোল্লার আকার ধারণ করেছে সে ধমকে বলে ওঠে,”আরশমান করছেন টা কী ছাড়ুন।”

আরশমান ঠোঁট টিপে হাঁসলো বলল,”দেখতেই পারছেন কী করছি তাই নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিন, না হয়।”

কথাটি বলতেই যেনো মেহরা তার কোমড়ে আরশমান এর হাতের বিচরণ অনুভব করলো।মেহরা চোখ মুখ কুঁচকে আরশমান এর হাত সরানোর জন্য হাত বাড়ালে আরশমান “নাহ” সূচক মাথা নাড়ায়। আরও দৃঢ় হয় আরশমান এর হাতের স্পর্শ।বলে,”আপনার স্বামী আপনাকে স্পর্শ করেছে এতে এত অস্থির হচ্ছেন কেনো মেহরা?চুপটি করে খাইয়ে দিননা।বেশি আবদার তো করিনি আমি।”

এবার মেহরা হাসফাঁস করা বন্ধ করলো কিয়ৎক্ষণ আরশমান এর হাস্যোজ্জ্বল মুখ পানে চেয়ে থেকে ধীরে হাত বাড়িয়ে খাবার মাখলো অতঃপর আরশমান এর মুখের সম্মুখে খাবার নিতেই আরশমান সময় ব্যায় না করেই আঁখি জোড়া বন্ধ করে চুপটি করে খেয়ে নিলো।সুখ সুখ অনুভুতি হচ্ছে আরশমান এর।ঠোঁটের কোণে তার সুখের অনুভূতির এক রেখা ফুটে উঠেছে।আরশমান এর হাত সরে আসলো মেহরার কোমড় থেকে,আঁখি জোড়া খুললো হাঁসলো সে।মেহরা অবাক চোখে আরশমান কে দেখলো।আরশমান এইবার প্লেট নিজের কাছে নিয়ে নিলো বলল,”আমার খাওয়া হয়ে গিয়েছে,দিন এইবার আমি আপনাকে খাইয়ে দি।”

মেহরা বিস্মিত কণ্ঠে ক্ষীণ স্বরে বলে,”এ কী এক লোকমা খাবার খেয়ে আপনার হয়ে গেলো?

আরশমান পাশ থেকে গরুর মাংসের ঝোল নিয়ে নিজের হাতে ভাতে মাখলো হেঁসে বলল,”হম প্রাণের হাতে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।এক লোকমা ভাতেই তৃপ্তি পেয়ে গিয়েছি।পেট ভরে গিয়েছে আমার।”

মেহরার ঠোঁট প্রসারিত হলো সে ক্ষীণ হাঁসলো। আরশমান এবার নিজের হাতে খাবার নিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো মেহরার মুখের সম্মুখে চোখে ইশারা করে বলল খেতে মেহরা এবার কোনো প্রকার দ্বিরুক্তি করলো না চুপটি করে খেয়ে নিলো।

.
খাওয়া শেষ হলে আরশমান টেবিল থেকে উঠে বলে,”মেহরা আপনি ঘরে জান আমি এইসব রেখে আসছি।”

মেহরা উঠে দাড়ায় বলে,”নাহ আমি পারবো আপনি ঘরে জান।”

এবার আরশমান কণ্ঠের রেশে গম্ভীরতা টানলো বলল,”বলছি তো আমি,ঘরে জান মেহরা।”

মেহরা চোখ মুখ কুঁচকে বলে,”নিজের কথাই বড় কথা আমি যে বললাম আমি পারবো তা তো শুনবেই না সে।”

.
মেহরা সিঁড়ি বেয়ে নিজের ঘরের সম্মুখে চলে এসেছে।তখনই তার ঘরের দুই ঘর পর আরুইর ঘরের সম্মুখ থেকে শিমুলের কণ্ঠে ভেসে এলো,”মেহরা ভাবি আরুই আপা ডাকে আপনারে।”

মেহরা ফিরে চাইলো স্মিথ হেঁসে বলল,”আমি আসছি।”,বলে আরুইর ঘরের দিকে চলে গেলো মেহরা।

..
বিকেলের স্নিগ্ধ আবহাওয়া পেরিয়ে আকাশে হলদেটে ভাবের উদয় হয়েছে।সন্ধ্যা নামবে বলে।আকাশ চিড়ে হলদে কমলার মিশ্রণ,তার মাঝে লাল রঙের সূর্যের দেখা মিলছে।

জুনায়না নিজের বাড়িতে আসে কাজ থেকে।বিশেষ করে তার মায়ের জন্য আশা হয়েছে তার।মায়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ নিয়ে এসেছে জুনায়না।মাকে ঔষধ দিয়ে কিছুক্ষণ সুখ দুঃখের গল্প করলো মা মেয়ে।এখন জুনায়না বাড়ি থেকে বেরিয়ে সড়কে এসে দাঁড়িয়েছে।আশপাশ তাকিয়ে রিকশা খুঁজছে সে,এবং তার কানের কাছে চেপে রেখেছে ফোন।ফোনের ওইপাশে মানুষটি কল রিসিভ করলে জুনায়না বলে,”প্রশান্ত আজ তো আমি বাড়ির চাবি আনিনি।”

“ওহ,তাহলে এখন তুই কোথায়?থানা থেকে বেড়িয়েছিস?”

“হ্যাঁ বেড়িয়েছি অনেক আগেই মায়ের কাছে এসেছিলাম।এখন তো আমি আমার বাড়ির নিচে আছি।”

ঐপাশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে যেনো উত্তর এলো না সময় নিয়ে উত্তর এলো,”হম ঠিক আছে।তবে তুই অপেক্ষা কর আমি আসছি।”

“ঠিক আছে।আমি তাহলে বাড়ির পাশের ওই চায়ের দোকানে বসে থাকি।”,বলে ফোন রাখলো জুনায়না।অগ্রসর হলো চায়ের দোকানের দিকে।এসে বসলো কাঠের বেঞ্চিতে।জুনায়না আড় চোখে দেখলো পাশের দিকটা।তার পাশে আরও দুইটি কাঠের বেঞ্চিতে বসে আছে কয়েকজন মধ্য বয়স্ক পুরুষ।তারা চায়ের কাপে ওষ্ঠ ছুঁয়ে আবেশে চুমুক দিচ্ছে তো আবার তাদের কথার বুলি আওড়াচ্ছে।জুনায়না মনোযোগ দিয়ে শুনলো তাদের কথা,সে বুঝতে পারলো তাদের আলোচনার মূল বিষয় রোহান ও তার বাবা।

জুনায়না এবার দীর্ঘশ্বাস ফেললো।রোহান এর বাবাকে তারা আটক করেছে তাকে দুইদিন পরই আদালতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।অপরদিকে রোহান তার খোঁজ পুলিশ না পেলেও পেয়েছে আরশমান।আরশমান এর লোকেরা রোহানকে গত রাতে বন্দী করে ফেলেছিল তবে তাকে আটকে রক্ষা যায়নি,সে পালিয়েছে আজ ভোরের দিকে।আরশমান ভোরের দিকে এরই জন্য বেরিয়েছিল।জুনায়নাকে সকল কথা জানিয়েছে আরশমান।রোহান যতক্ষণ না হাতে আসছে ততক্ষণ অব্দি জুনায়না সস্তি বোধ করবে না।রোহান হাতের বাইরে চলে গেলে কোনো না কোনো প্রকার ক্ষতি করবে তাদের।

.
জুনায়না অপেক্ষা করতে থাকলো প্রশান্ত’র,এক ঘন্টা পেরিয়ে গেলো।জুনায়না এবার বিরক্ত হলো।হাত ঘড়ির দিকে চেয়ে বিড়বিড় করলো,”আসতে এত সময় লাগার কথা না।আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো?”

নিজেই নিজের সঙ্গে একেক কথা আওড়াতে থাকলো।এমন করে আরও প্রহর যেতে থাকলো।আকাশে সন্ধ্যার আভা মুছে যাওয়া আরম্ভ করেছে।ঘড়িতে সময় জানান দিচ্ছে সাতটা বেজে চল্লিশ মিনিট।জুনায়না উঠে দাড়ালো পকেট থেকে ফোন বের করে প্রশান্তকে ফোন করলো বারকয়েক রিং হলো ফোন তুললো না প্রশান্ত।জুনায়না অস্থির হয়ে গেলো পুনরায় ফোন করলো,ধরলো না প্রশান্ত।জুনায়না এবার ফোন করলো ফাইজকে।ফাইজ ফোন তুললো বলল,”হ্যাঁ দোস্ত বল।”

জুনায়না ভাঙ্গা কণ্ঠে বলে,”ফাইজ প্রশান্ত ফোন তুলছে না একটু তুই ট্রাই করে দেখ না দোস্ত।”

ফাইজ জুনায়নার ভাঙ্গা কন্ঠ শুনে বলে,”এই মেয়ে ফোন ধরছে না বলে তুই কী কাদছিস নাকি?জুনায়না কী রে দোস্ত তুই এত নরম হলি কবে?”

“প্লিজ দোস্ত ট্রাই করে দেখ না।”

“ঠিক আছে দোস্ত আমি দেখছি তুইও দেখ।”,বলে ফোন রাখলো ফাইজ।

জুনায়নার চোখ দুটো জলে টলমল করছে,কেনো যেনো তার হৃদযন্ত্র স্বাভাবিক থেকে অধিক দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছে।হাত কাপছে তার।অফিস থেকে বেরোলে তো এক ঘণ্টার বেশি সময় প্রয়োজন পরে না।আর দেরি হলেও তো একবার ফোন করে বলে দিত।

জুনায়না অস্থির চোখে ফোনের দিকে চেয়ে আছে।কিছুক্ষন যেতেই শব্দ তুলে ফোন বেজে উঠল। জুনায়না দ্রুত ফোন রিসিভ করলো বলল,”হ্যাঁ ফাইজ বল ফোন ধরলো?”

ফাইজ স্বাভাবিক কন্ঠে নয় বরং অস্থির কণ্ঠে শুধালো,”জুনায়না সিটি হাসপাতাল এর জন্য দ্রুত একটি রিকশা নে।প্রশান্তর এক্সিডেন্ট হয়েছে।আমি বাড়ি ফিরছিলাম গাড়ি ঘুড়িয়ে এখন হাসপতালে যাচ্ছি।প্লিজ তুই সাবধানে চলে আয় দোস্ত।”

জুনায়নার সকল কিছু যেনো স্তব্ধ হয়ে গেলো,ফোন কান থেকে সরিয়ে আনলো ঘোলাটে চোখে আশেপাশে চাইলো রিকশা খুঁজলো সে।জুনায়না হেঁচকি তুলে কেঁদে উঠলো দৌড়ে আসেপাশে রিকশা খুঁজতে শুরু করলো।একটি রিকশাও নেই আশেপাশে।

সে দৌড়াতে শুরু করলো,বড় সড়ক পেরিয়ে বা দিকে যেতেই একটি রিকশা চোখে পড়লো,জুনায়না রিকশার সম্মুখে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ল।রিকশা চালক কোনো রকমে রিকশা থামালো।জুনায়না চোখ মুখ মুছে কম্পিত কণ্ঠে বলে,”মামা সিটি হাসপতালে যাবো।প্লিজ না বলবেন না নিয়ে চলুন,আমার স্বামীর এক্সিডেন্ট হয়েছে।আপনি যত ভাড়া চাইবেন ততো দেবো।”

রিকশা চালক যেনো দ্বিরুক্তি করলো না বরং সে বলে,”আপা আপনি কাইনদেন না তাড়াতাড়ি রিকশায় ওঠেন।”

জুনায়নার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অনবরত অশ্রু।চোখের সামনে সকল কিছুই ঘোলাটে,নিজেকে সামলে রিকশায় উঠে পড়লো জুনায়না।রিকশা চালক রিকশা ঘুড়িয়ে নিলো।জুনায়না অনুরোধের স্বরে বলল,”একটু তাড়াতাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করবেন প্লীজ।”

রিকশা চালক আশ্বস্ত করলো বলল,”আপা আপনি চিন্তা কইরেন না,আপনার স্বামী ঠিক থাকবো।আমি তাড়াতাড়ি চালাইতেছি।”

জুনায়না বারবার চোখের অশ্রু বাম হাতের উলটো পিঠে মুছছে এবং আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করছে যেনো তার প্রশান্তর কিছু না হয়।ঠিক থাকে তার প্রশান্ত।

..
হাসপতালে সম্মুখে এসে রিকশা থামলে জুনায়না রিকশা থেকে নেমে পকেট থেকে টাকা বের করে রিকশা চালকের হাতে না দেখেই কত গুলো টাকা ধরিয়ে দিয়েই হাসতালের প্রবেশ দ্বারের দিকে দৌড় লাগায়।

রিকশা চালক হাতের মুঠোয় টাকা গুলোর দিকে চেয়ে থেকে বলে,”অরি ভালোবাসারে। স্বামী কপাল করে এমনটি বউ পাইসে।”,বলে রিকশা চালক আকাশ পানে চাইলো বলল,”আল্লাহ আপনি এই মাইয়ার স্বামীরে আপনি দেইখেন,মাইয়ার স্বামীর কিছু হইতে দিয়েন না।”

..
জুনায়না রিসেপশনে গেলো ফাইজকে পেয়ে গেলো সে।ফাইজ জুনায়নার অবস্থা দেখে ভাষাহীন হয়ে দাড়িয়ে চেয়ে রইলো।জুনায়না ফাইজ এর দুই বাহু চেপে ধরে ফাইজকে ঝাঁকিয়ে উচ্চ কণ্ঠে বলে,”এই ফাইজ কোথায় আমার প্রশান্ত?কথা বলছিস না কেন?ফাইজ বল কোথায় আমার প্রশান্ত?”

আশেপাশে থাকা প্রত্যেকে চেয়ে দেখছে জুনায়নার পাগলামো।

ফাইজ ত্রস্ত হয় বলে,”ওই ঐযে আসছে।”

জুনায়না ফাইজকে ছেড়ে দেয় পাশে চায়।প্রশান্ত আসছে তার হাতে ও মাথায় ব্যান্ডেজ করা।জুনায়না দাড়িয়ে রইলো না দৌড়ে গেলো প্রশান্তর কাছে।ফাইজ ফিরে চেয়ে দেখলো তা।

প্রশান্ত নিজের হাতের দিকে চেয়ে ছিল যখন সামনের দিকে চাইলো তখন জুনায়নাকে দেখলো সে।অবাক হলো খুব।জুনায়না প্রশান্তর সম্মুখে এসেই জাপটে জড়িয়ে ধরলো প্রশান্তকে।প্রশান্ত বুকে ব্যাথা পেলো তবে শব্দ করলো না।জুনায়না এইবার জোরে কেঁদে ফেলল কথা আটকে এলো তার একটি একটি করে শব্দ উচ্চারণ করে বলল ,”প্রশান্ত ,,তুই ,,ঠিক ,,আছিস?”

হেঁচকি তুলছে জুনায়না।প্রশান্ত স্তব্ধ হয়ে যায় ক্ষীণ কণ্ঠে বলে,”আমি ঠিক আছি।”জুনায়না থামলো না অনবরত কাদতেঁ থাকলো কিছু মুহূর্ত যেতেই সে ছেড়ে দিলো প্রশান্তকে,উম্মাদের মত চুমু খেল প্রশান্তর
মুখশ্রীতে।দুই হাতে আগলে নিলো প্রশান্তর মুখশ্রী কম্পিত কণ্ঠে বলল,”আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ ঠিক রেখেছে তোকে।”

প্রশান্তর ঠোঁটের কোণে কিঞ্চিৎ হাঁসি ফুটে উঠলো,সে এবার নিজেই এক হাতে জড়িয়ে ধরলো জুনায়নাকে।জুনায়নার চুলের ভাঁজে অধর ছোঁয়ালো বলল,”আমি ঠিক আছি জুনায়না।এমন উম্মাদের মত করছিস কেনো?”

“তোর এক্সিডেন্ট হয়েছে এই কথা শুনার পর আমি নিজেকে কী করে ঠিক রাখি!”

#চলবে।

গত দুইদিন গল্প দিতে না পারার জন্য আমি দুঃখিত।আমার গত তিন দিন ধরে এক টানা পরীক্ষা গেলো।যেইখানে বৃষ্টির কারণে পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা ছিল আমাদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়নি।আর এক টানা পরীক্ষা হলে গল্প লেখা তখন হয়ে ওঠে না।আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here