#তুমি_আছো_মনের_গহীনে 💖
#পর্ব- ৫৭
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
মায়রা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতেই, মেহেভীন এবং আরহাম মায়রার কাছে আসে। আরিয়ান মায়রার পার্লস চেক করে দ্রুত মায়রাকে ভর্তি করায়। এইসময়ে অতি শোকে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো মায়রা। অভ্রের মা মুখ চেপে কেঁদে উঠে। আজ তার ছেলের এবং তার ছেলের বউয়ের এমন করুন পরিনতি তারই জন্যে। নিজের জন্যে এক রাশ ঘৃণা
সৃষ্টি হচ্ছে তার মনে। কতটা অন্ধ হয়ে পড়েছিলো।
গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে তার। মেহেভীনের মা তার মেয়ের কাছে কিছুটা এগোতে নিলে,তাতে বাঁধ সাধে মেহেভীন। রোষপূর্ন দৃষ্টিতে ক্ষিপ্ত সুরে বলে,
‘ একদম এগোবেন না আপনি আমার দিকে। লজ্জা হয়না আপনার? আজ আপনার পাপের ফল আমি পেয়েছি। আজও পেয়েই যাচ্ছি৷এতোটা স্বার্থপর আপনি যে নিজের বোনের কথা ভাবেন নি। এমনকি নিজের সন্তানের কথাও ভাবেন নি। কোন মুখ নিয়ে আপনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন? আপনার লজ্জা লাগেনা আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে ছিহ!
আমার ভাবতেও ঘৃণা হয় আমি এতোদিন আপনার মতো খারাপ মানুষের জন্যে কাতরিয়েছি। আপনার মতো মানুষের জন্যে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছি। ‘
নয়না বেগমের চোখ দুটো ছলছল হয়ে উঠে। নিজের করা কৃতকর্মের জন্যে আজ মেয়েটার চোখেও সে
ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠেছেন। মেহেভীন অন্যদিকে ঘুড়ে
শক্ত গলায় বলে,
‘ আপনি বেড়িয়ে যান আমার চোখের সামনে থেকে। আপনার মতো নিকৃষ্ট মহিলার মুখ আমি কখনোই দেখতে চাইনা। ‘
নয়না কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে যান। মেহেভীন এইবার ছলছল চোখে ইশরা বেগমের দিকে আকুলতার কন্ঠে বলে,
‘ খালা দোষ তো মা করেছিলো। তাহলে সেই শাস্তি আমাকে কেন দিয়েছিলে তুমি? আজ তোমারই জন্যে আমার সন্তানও আজ পৃথিবীতে নেই। অভ্রের
জীবন মরণ অবস্হা। এতো কিছু করে তুমি ঠিক কি পেলে? ‘
ইশরা বেগম নত হয়ে ভেজা গলায় বললেন,
‘ হ্যা আমারই দোষ। আমার নিজের প্রতিশোধের নেশা আজ সবার জীবন ধবংশ করতে চললো। নিজের কাছে নিজেকে শুধু ঘৃণিত মনে হচ্ছে। উপরে তো এক আল্লাহ আছেন তিনি সবই দেখছেন। তাই তিনি আমাকে ঠিক শাস্তি দিয়েছেন। তাই আজ আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ‘
ইশরা বেগমের কথাটি শুনে মেহেভীন থমকে দাঁড়ায়।
ইশরা বেগম পুনরায় চোখের অশ্রু মুছে দিয়ে বললেন,
‘ এখন আমার একটাই চাওয়া। আমার ছেলেটা আমার আয়ু পাক। আমি তো আজ আছি কাল নাও থাকতে পারি৷ ‘
ইশরা বেগম কি যেন বিড়বিড় করতে করতে বেড়িয়ে গেলেন।
মেহেভীনের হৃদয়ের গভীর থেকে দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো। আস্তে করে বললো,
‘ আল্লাহর খেলা সত্যিই অদ্ভুদ। আল্লাহ কাউকে ছাড় দেননা। তার কাছে সবার হিসাব থাকে। ‘
____
মেহেভীন অনেক্ষন জুড়ে পাইচারি করছে অভ্রের জন্যে চিন্তা হচ্ছে তার। যা আরহাম অনেক্ষন যাবত লক্ষ্য করছে। কিছুক্ষন পরে ডক্টর বেড়িয়ে এসে বলে,
‘ এখন আপনার নিশ্চিন্ত থাকতে পারুন। অভ্র আহমেদ এখন ঠিক আছে। উনাকে আপাতত ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। আশা করি কাল সকালের মধ্যে উনার জ্ঞান ফিরবে। ‘
ডক্টরের কথা শুনে সবাই যেন নিশ্চিন্ত হয়। মায়রাও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। মায়রার জ্ঞান ও সকালের আগে ফিরবে না।
রাতটা মেহেভীন, আরহাম এবং আরিয়ান হসপিটালেই কাটিয়ে দেয়।
আকাশে আজ মেঘ জমেছে। অধরের কোণে বৃষ্টির ফোটা অনুভব করতেই চোখমুখ খিচে ফেলে মেহেভীন। শীত শীত অনুভব হচ্ছে। অনুভব হওয়ারই কথা ডিসেম্বর মাস এখন। তার মধ্যে হাল্কা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। সব মিলিয়ে কিছুটা শুষ্ক কিছুটা ঠান্ডা পরিবেশ।
এমন পরিবেশে চা হলে ব্যাপারটা বেশ জমে যেতো।
মেহেভীনের মনের ইচ্ছেটাই পূরণ হলো আরহাম এগিয়ে এসে ধোঁয়া উঠা চা মেহেভীনের দিকে এগিয়ে দিয়ে ক্লান্ত সুরে বলে,
‘ মেহেভীন গরম গরম চা টা খেয়ে নাও। ভালো লাগবে। ‘
বলেই চেয়ার মাথা ঠেকিয়ে বসলো আরহাম। আরহামকে দেখে বেশ ক্লান্ত মনে হচ্ছে। ক্লান্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সারা রাত জেগে ছিলো।
আরহামের ফর্সা মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
দাঁড়িগুলো ও হাল্কা বড় হয়ে গিয়েছে। তবে আরহামের ফর্সা চাপা মুখে দাঁড়িগুলো যেন তাকে আগের থেকে সুদর্শন যুবকে পরিনত করে ফেলেছে।
আরহামকে কিছুক্ষন খুঁটিয়ে দেখে মেহেভীন চায়ের চুমুক দিলো। সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা মৃদ্যু আর্তনাদ করে উঠলো। চা টা একটু বেশিই গরম। আরহাম চোখ বন্ধ করে রেখেছিলো। চোখ খুলে সর্বপ্রথম মেহেভীনের হাত থেকে চা টা নিয়ে হাল্কা ফু দিতে দিতে বললো,
‘ সাবধানে! আরেকটু হলেই মুখ পুড়ে যেতো। সাবধানতার সাথে চা টাও খেতে পারো না। স্টুপিড।’
‘ আপনি থাকতে আমি সাবধানে কাজ করতে যাবো কোন দুঃখে? আপনি আছেন তো আমার খেয়াল রাখতে। ‘
হাল্কা মৃদ্যু হেসে মেহেভীন কথাটি বলে। আরহাম ভ্রু কুচকেই হেসে ফেলে বলে,
‘ তবুও নিজের একটু খেয়াল রাখুন প্রেয়সী। আপনার করা প্রতিনিয়ত স্টুপিড কাজে আমার কাছে বকা খেতে কি আপনার ভালো লাগে?
আমার কিন্তু আমার প্রেয়সীকে বকতে আমার ভালো লাগে না। ‘
‘ আমার কিন্তু ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনার স্টুপিড ডাক টা।’
খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো মেহেভীন। আরহামের বুকে ভালো লাগার ঢেউ মুহুর্তই সৃষ্টি করতে যথেষ্ট
তার প্রেয়সী খিলখিলানো হাঁসির শব্দ। আরহাম গালে হাত দিয়ে শান্ত কন্ঠে মাত্রাধিক মুগ্ধতা নিয়ে বললো,
‘ প্রেয়সী তুমি হাঁসলে আমার বুকে মৃদ্যু ব্যাথা অনুভব হয়। সেই ব্যাথাতেও রয়েছে অজস্র ভালোলাগার অনুভুতি। এই অনুভুতির কি নাম দেওয়া যায় বলো তো? ‘
মেহেভীন হাসি বন্ধ করে দিয়ে লজ্জায় উঠে পড়ে। আরহাম পুনরায় চোখ বন্ধ করে মাথা ঠেকিয়ে বসে।
বুকের ভিতরটা হঠাৎই খাঁ খাঁ করে উঠছে। বুকে কিছুটা ব্যাথাও অনুভব হচ্ছে। এই ব্যাথা নিতান্তই নিজের ভালোবাসার মানুষটির চোখে অন্য কারোর জন্যে এক চাপা আর্তনাদ। আরহাম স্পষ্ট খেয়াল করছে মেহেভীন বার বার কেবিনের কাঁচের জানালায় উঁকি দিচ্ছে। কাঁচের স্বচ্ছ জানালায় অভ্রের মুখটা দেখা যাচ্ছে। মেহেভীনের চোখ-মুখে অভ্রের জন্যে অস্হিরতা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। কেন যেন আরহাম না চাইতেও মেহেভীনের এই অস্হিরতাটা ভালো লাগছে না। ডক্টর কিছুক্ষন পর বেডিয়ে এসে মেহেভীনকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
‘ মিঃ অভ্র আহমেদ এর জ্ঞান ফিরেছে। মিসেস মেহেভীন হাসান তালুকদার অভ্র আহমেদ আপনার সাথে দেখা করতে চাইছেন। ‘
ডক্টরের সম্পুর্ন কথা শেষ করতে দিলো না মেহেভীন। দ্রুত পায়ে হেটে অভ্রের কেবিনে চলে গেলো। একটিবার ও আরহামের দিকে তাকালো না। আরহাম দীর্ঘশ্বাস ফেললো। নিজের পাশে কারো উপস্হিতি দেখতে পেয়ে, আরহাম তাকিয়ে দেখে আরিয়ান। আরিয়ান ভ্রু কুচকে বলে,
‘ তুই কী কোন বিষয় নিয়ে আপসেট ভাই? ‘
‘ জীবনটা খুব অদ্ভুদ তাইনা আরিয়ান? কেউ না চাইতেও ভালোবাসা পেয়ে যায় আর কেউ শত অপেক্ষা করেও ভালোবাসা পায়না। ‘
‘ তুই ঠিক কি বুঝাতে চাইছিস ভাই? ‘
আরহাম কিছুক্ষন নিরব থেকে অতি ঠান্ডা গলায় বললো,
‘ মেহেভীন এখনো অভ্রকে ভালোবাসে এতোকিছুর পরেও। মেহেভীনের এই ভালোবাসাকে আমি শ্রদ্ধাও করি। প্রথম ভালোবাসা কী আর ভুলা যায় বল?’
[লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি]
আরহামের কথায় চমকে গিয়ে আরিয়ান অবাক হয়ে বললো,
‘ তুই এইসব কি বলছিস ভাই? মেহু এখন অভ্র ভাইকে ভালোবাসে না। মেহু তো তোকে ভালোবাসে…’
আরিয়ানের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে আরহাম নিজেই বলে,
‘ আমি জানি মেহেভীন আমাকে ভালোবাসে না। আর আমি তো মেহেভীনের ভালোবাসা চাইনি। শুধু নিজের পাশে চেয়েছি। শুধু ওর হাত টা সারাজীবন ধরতে চেয়েছি। ওকে আগলে রাখতে চেয়েছি। আমি জানি মেহেভীন এখন ও ভালোবাসে অভ্রকে। এই ভালোবাসাকে আমি সর্বদা শ্রদ্ধা করবো, কিন্তু যতই হোক মেহেভীন তো আমার ভালোবাসার মানুষ আমার স্ত্রী। একটা কষ্ট থেকেই যায় বুকের গভীর থেকে। আমি আমার ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসা পাইনি। ‘
আরিয়ান কপালে হাত দিয়ে বসে থাকে। আরহামের
বেঞ্চিতে আগের ন্যায় বসে থাকে। সে জানে অভ্র অসুস্হ তাও তার কষ্ট হচ্ছে।
‘ ভাই তুই কিন্তু ভুল বুঝছিস। ‘
আরহাম আগের ন্যায় উত্তর দিয়ে বললো,
‘ মেহেভীনের চোখে আমি অভ্রের জন্যে আলাদা এক টান অনুভব করেছি। আমি ভুল হতে পারি না।’
আরিয়ান বুঝতে পারলো আরহামকে শত বুঝিয়ে লাভ নেই। আরহামকে শুধু একজনই বুঝাতে পারবে।
___________
মেহেভীন অভ্রের কেবিনে ঢুকে দেখে অভ্র আরেকপাশ ঘুড়ে শুয়ে আছে। চোখ দুটো ফোলা।
মুখশ্রীটা নিষ্প্রান শুকিয়ে আছে। মেহেভীন একটা চেয়ার নিয়ে, অভ্রের বেডের পাশে বসলো। আলতো সুরে ডেকে বললো,
‘ অভ্র। ‘
অভ্র ঘুড়লো। সামান্য হাঁসলো। এই হাসিতে আগের মতো উজ্জ্বলতা নেই। আছে শুধু বিরহ। এই বিরহের শেষ আদোও কোথাও আছে।?
‘ এই যাত্রায় বেঁচে গেলাম। হয়তো এখনো আমার আয়ু আছে। না চাইতেও বেঁচে গেলাম।’
অভ্রের কথার প্রেক্ষিতে মেহেভীন উৎকন্ঠা হয়ে বললো,
‘ অভ্র আত্মহত্যা কোন কিছুর সমাধান নয়। আমি সবকিছুই শুনেছি। তুমি না চাইতেও আমার সাথে অন্যায় করেছো কিন্তু তাই বলে এইভাবে আত্মহত্যার
পথ বেঁচে নিবে? তুমি অনুশোচনা করছো নিজের কৃতকর্মের জন্যে এইটাই যথেষ্ট। হ্যা আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমিও তোমাকে একসময় ভালোবাসাতাম। ‘
[লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি]
মেহেভীনের কথার মাঝেই অভ্র শুকনো গলায় বললো,
‘ এখন ভালোবাসো না?’
মেহেভীন তাচ্ছিল্যের সাথে বললো,
‘ এই প্রশ্ন করাটা বোকামি নয়? ‘
অভ্র চুপ হয়ে যায়। মেহেভীন উঠে দাঁড়িয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে সূর্যের দিকে ইশারা করে বললো,
‘ সূর্যটাকে দেখতে পারছো অভ্র? রাতের কালো অন্ধকারকে ঢেকে দিয়ে সূর্য তার আলো দিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করে তুলেছে। না চাইতেও সূর্যের প্রতি বড্ড টান অনুভব হয়ে যায় আমাদের।
আরহাম সাহেব ও আমার কাছে ঠিক সূর্যের মতো।
যে তার আলো দিয়ে আমার অন্ধকার জীবনটাকে আলোকিত করে তুলেছে। আজ আমার বলতে দ্বিধা নেই আমি অনেক ভাগ্যবান। উনি নিজের ভালোবাসা দিয়ে আমার মনের গহীনে জায়গা করে নিয়েছেন। যেথায় নেই অন্য কারো বসবাস।’
অভ্রের ভিতর থেকে সুদীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে আসে। মেহেভীন অভ্রের হাত খানা শক্ত করে ধরে বলে,
‘ মায়রা তোমাকে অনেক ভালোবাসে। জীবনটা অনেক মূল্যবান অভ্র। এই মূল্যবান জীবনে তার সাথেই গোটা জীবন পাড় করো যে তোমাকে নিজের থেকেও ভালোবাসে। দেখবে জীবনটা কতটা সুন্দর।
একসময় আমারোও বাঁচতে ইচ্ছে করতো না কিন্তু আজ করে। শুধুমাত্র আরহাম সাহেব এর জন্যে।’
অভ্র মেহেভীনের হাতেই মাথা রেখে চোখের পানি বিসর্জন দিতে থাকে। এই দৃশ্য এড়ায়না আরহামের চোখে। সে চোখ সরিয়ে নিয়ে পিছনে ঘুড়ে দাঁড়ায়।
মেহেভীন অভ্রের থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,
‘ জীবনটাকে গুছিয়ে নাও অভ্র। কিছু কিছু সম্পর্ক অপূর্ন থাকাই ভালো। ভালো থেকো। ‘
মেহেভীন আর পিছে ঘুড়ে তাকায়নি দরজা দিয়ে বেড়িয়ে আসে। কিছু কথা অভ্রকে বলা উচিৎ ছিলো।যা সে বলে কিছুটা শান্তি পাচ্ছে। মেহেভীন দরজা পেড়িয়ে ফেলে আসে তার সমস্ত অতীত। হয়তো পিছনে ঘুড়লে সে দেখতে পেতো এক জোড়া
চোখ কতটা মায়া নিয়ে তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে।
মেহেভীন বেড়িয়ে এসে শুনতে পায় আরহাম নাকি অফিসে চলে গিয়েছে। মেহেভীনের কেমন একটা খটকা লাগে আরহাম তো তাকে কখনো না বলে অফিসে যাইনি তাহলে আজ কি হলো?
‘ তোর বর পাগল হয়ে গেছে। আজেবাজে চিন্তা পুষে রেখে তোর উপর অভিমান করে অফিসে চলে গিয়েছে।’
আরিয়ানের কথায় বেশ খানিকটাই অবাক হলো মেহেভীন। অতঃপর আরিয়ান সবকিছু খুলে বললো। সবকিছু মেহেভীন আলতো হেসে আনমনে বলে উঠলো,
‘ আমার আরহাম সাহেবের অভিমান হয়েছে। সেই অভিমান এবং তার ভুল ধারণাকে ভেঙ্গে দিতে হবে এইবার। মেহেভীন এইবার উনাকে মেহেভীনের ভালোবাসার গভীরতা বুঝিয়ে দিবে। ‘
_________________
আরিয়ান হসপিটালের সব কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে আসতেই তার ফোন বেজে উঠে। আরিয়ান তাকিয়ে দেখে ফারিয়া। ফোনটা রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গেই ফারিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলে,
‘ ডাক্তার সাহেব বাসা থেকে আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। ‘
চলবে কী?
বড় পার্ট দিছি 😁
[কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু 💖😊]
গল্পে একেবারেই শেষের দিকে। আশা করি শেষের দিকে দুই তিনটে পর্বতেও আপনাদের ভালোবাসা পাবো। 💖🔥
লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি