তুমি_আছো_মনের_গহীনে 💖 #পর্ব-৫৮ #Jannnatul_ferdosi_rimi

0
121

#তুমি_আছো_মনের_গহীনে 💖
#পর্ব-৫৮
#Jannnatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
হাতে কোন পুরুষের ঠান্ডা পুরুষের স্পর্শে মেহেভীনের শিড়দাড়ায় নতুন অনুভুতির স্রোত বয়ে যায়। মেহেভীন পিছনে ঘুড়ে তাকায় না। সে জানে আরহাম এসেছে। আরহাম শুকনো মুখে মেহেভীনের
হাতে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে। মেহেভীন কিছুক্ষন আগে রান্না করতে গিয়ে, গরম চামচে হাত দিয়ে দিয়েছিলো। তখন সেখানে আরহাম অফিস থেকে কেবল আসছিলো। মেহেভীনের চাপা আর্তনাদ শুনতে পেয়ে, দ্রুত মেহেভীনকে কিছু না বলে উপর থেকে ওষুধের বক্স নিয়ে আসে। অতঃপর মেহেভীনের হাতে ওষুধ লাগিয়ে দেয় যেন ফোসকা না পড়ে যায়। মেহেভীন শুধু ড্যাবড্যাভ করে আরহামের দিকে তাকিয়ে ছিলো। এইবার আরহাম মেহেভীনকে ‘ স্টুপিড ‘ নামক উপাধী দিয়ে বকাঝকা না করলেও, মুখে বেশ গম্ভীর্য রুপ ধারণ করে রেখেছে। মেহেভীন আরেকটু ভালো করে পর্যবেক্ষন করে দেখলো গাম্ভীর্যপূর্ন চেহারায় তার বরের ফর্সা মুখটি কিছুটা লাল আকার ধারণ করে। বেশ ভালো লাগে দেখতে। মেহেভীন আরহামকে পর্যবেক্ষন করলেও, আরহাম একবারও মেহেভীনের দিকে তাকায়নি। ওষুধ লাগানো হয়ে গেলে, কাধের ব্যাগটা নিয়ে সোজা উপরে সিড়ি বেয়ে উঠে চলে যায়। মেহেভীন নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে আলতো হেসে বলে,

‘ বাহ আমার আরহাম সাহেবের এতো অভিমান? মেহুরে এই অভিমান ভাঙ্গতে তোকে অনেক কাঠখোড় পুড়াতে হবে। ‘

মেহেভীন নিজের হাতেই চুমু দেয়। এই হাতে তার বর তাকে কতটা যত্নের সাথে ওষুধ লাগিয়ে দিয়েছে।
মেহেভীন আবারো মুচকি হেসে নাঁচতে নাঁচতে রান্নাঘরে চলে যায়। নতুন প্রেমে পড়লে বোধহয় সবার মনেই আলাদা ভালো লাগা জন্ম নেয়। সবকিছুই তখন ভালো লাগে নতুনভাবে।

_____________

এদিকে,

ফারিয়া কান্না করতে করতে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে নিজের বিয়ের কথা শুনে। সর্বপ্রথম সে আরিয়ানকেই ফোন করে জানায় কথাটি,কিন্তু ফোনের অপাশ থেকে আরিয়ানের কোনপ্রকার পতিক্রিয়া না পেয়ে ফারিয়ার অভিমান হয়। অভিমানে বুকটায় ধক করে উঠে। তা কি আরিয়ান বুঝতে পারছে? ফারিয়া অভিমানসিক্ত গলায় বলে,

‘ ডাক্তার সাহেব আপনি শুনছেন তো? ‘

অপাশ থেকে আরিয়ান খাপছাড়া হয়ে বলে,

‘ হ্যা হ্যা শুনছি তো। কি যেন বলছিলে? ‘

আরিয়ানের এমন খাপছাড়া কথায় ফারিয়ার ভিতরে থাকা অভিমানগুলো ফারিয়ার আখিতে এসে ধরা দেয়। অশ্রু হয়ে গাল বেয়ে পড়তে থাকে। আচ্ছা আরিয়ান কি কিছু বুঝে না? নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করছে?
ফারিয়া কিছুটা তেজি গলায় বলে,

‘ আপনি কি শুনতে পারছেন ডাক্তার সাহেব আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ‘

‘ হুম শুনলাম তো। এখন লক্ষী মেয়ের মতো বিয়ে করে নাও। ‘

আরিয়ান খুব স্বাভাবিক ভাবেই কথাটি বললো।

ফারিয়া কাঁদতে কাঁদতেই বললো

‘ আপনার কি এতে কিছু যায় আসবে না তাইনা?
হওয়াটাই স্বাভাবিক আপনার তো গার্লফ্রেন্ড আছে না। কি নাম যেন শাকচুন্নি নাকি পেত্নি কি একটা যেনো। সেই যাই হোক। আপনি থাকুন আপনার পেত্নি গার্লফ্রেন্ড নিয়ে। আমিও বিয়ে করে ফেলবো এখন। কখনো আপনাকে ফোন দিয়ে ডির্স্টার্ব করবো না। ‘

কথাটি বলেই ফারিয়া ফোনটা রেখে দেয়। আরিয়ানের বুকটা অদ্ভুদ্ভাবে কেঁপে উঠে ফারিয়ার কান্নার আওয়াজে। ফারিয়ার কান্না সে কিছুতেই সহ্য করতে পারেনা, কিন্তু আজ পরিস্হিতির স্বীকার সে
সহ্য না করেও উপায় নেই।

ফারিয়া ফোনটা রেখে কাঁদতে থাকে। ফারিয়ার মা মেয়েকে কাঁদতে দেখে প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,

‘ এইভাবে কাঁদছিস কেন তুই? ‘

‘ মা আমি কী এতোটাই পর হয়ে গিয়েছি যে তুমি আমাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছো। ‘

মেয়ের কথা শুনে ফারিয়ার মা হেসে ফেললেন। ফারিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে স্নেহের সহিত বললেন,

‘ এইসব কি কথা মা? অনেক ভালো সমন্ধ এসেছি। কি করে মানা করি বল? দেখবি ছেলেটা তোকে
অনেক রাখবে। আচ্ছা তোর কী কোন পছন্দ আছে ব্যক্তিগত? ‘

ব্যক্তিগত পছন্দের কথা শুনে ফারিয়ার মুখটা চুপশে যায়। ভেসে উঠে আরিয়ান চেহারা,কিন্তু আরিয়ান তো তাকে ভালোবাসে না। ফারিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,

‘ যা ইচ্ছে করো। আমার তাতে আপত্তি নেই।’
ফারিয়া কথাটি বলেই উঠে চলে গেলো।

____________

চোখ পিটপিট খুলে মায়রা তাকিয়ে দেখে সে অভ্রের রুমে। সে চট করে উঠে বসে। সে ঠিকই দেখছে
সে এখন অভ্রের রুমে রয়েছে। কিন্তু কীভাবে? সে যতটুকু জানে সে তো হসপিটালের বেডে তাহলে অভ্রের রুমে কী করে এলো? মায়রার ভাবনার মাঝেই অভ্র ফোনে কারো সাথে কথা বলতে বলতে রুমে ঢুকলো। মায়রা দেখে ফোনটা কেটে মিষ্টি হাঁসি উপহার দিলো। মায়রা ভরকে গেলো। অভ্রের আবার কি হলো?কিন্তু মায়রা এই ভেবে মনে মনে খুশি হলো যে অভ্র ঠিক আছে। অভ্র কিছুটা রশিকতার ছলেই বলে,

‘ হসপিটালে তো তুমি আমাকে দেখতে গিয়েছিলে,কিন্তু নিজেই অজ্ঞান হয়ে গেলে। আমিই তারপর তোমাকে ডিস্টার্চ করে নিয়ে আসলাম। ‘

‘ আসলে আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ‘

মাথা নিচু করে জবাব দিলো মায়রা। অভ্র কিছুক্ষন হাঁসলো। যাকে বলে প্রাপ্তির হাঁসি।

‘ অনেক ভালোবাসো আমাকে তুমি তাইনা? ‘

মায়রা অভ্রের প্রশ্নের জবাব দিলো। বিছানা উঠে দাঁড়িয়ে খানিকটা স্লান গলায় বললো,

‘ অভ্র তুমি কী ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিয়েছো?
তাহলে আমাকে দিয়ে দাও। আমি কালকে কোর্টে
সাবমিট করে দিবো। তাছাড়া কালকে আমার ক্যানাডার ফ্লাইট। তোমাকে আমি সারাজীবনের জন্যে মুক্তি দিয়ে চলে যাবো অভ্র। ‘

মায়রার কথাট শুনে অভ্র ডিভোর্স পেপারটা হাতে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা ছিড়ে ফেলে দেয়। মায়রা অবাক পানে অভ্রের দিকে তাকাতেই,অভ্র মায়রার হাত দুটো ধরে করুন কন্ঠে বলে,

‘ অনেক ভুল করেছি আমি মায়রা। তার শাস্তিও পেয়েছি। হ্যা এইটা ঠিক আমি মেহুকে ভালোবাসি, কিন্তু মেহু তো আমাকে ভালোবাসো না। মেহু যাকে ভালোবাসে তার সাথেই সুখে থাকুক এইটাই কামনা।
আর আমাকে যে ভালোবাসে আমি চাই তাকে মন প্রান উজাড় করে ভালোবাসতে। প্লিয থেকে যাও মায়রা। কোনদিন অভিযোগ করতে দিবো না তোমাকে। ‘

মায়রা হু হু করে অভ্রকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো।
অভ্র প্রশান্তি হাঁসি দিয়ে বললো,

‘ আমি বাকিটা জীবন তোমাকে এবং আমাদের অনাগত সন্তানকে সুখে কাটাতে চাই। দিবে আমাকে সেই সুযোগ? ‘

মায়রা উত্তর দিলো না। অভ্রকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেই চললো। মায়রার কান্নাটাকেই সম্মতি হিসেবে ধরে নিলো অভ্র।

[লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি]
_______

আজ কিছুটা রাত হয়ে গিয়েছে আরহামের। অফিসে কিছু জরুরী মিটিং ছিলো। ড্রইং রুমে ঢুকতেই দেখতে পায় ড্রইং রুম কেমন অন্ধকার। সামান্য আলো বিদ্যমান। রাহেলা সবকিছু গুছিয়ে বের হচ্ছিলো তখনি রাহেলার দিকে প্রশ্ন নিক্ষেপ করে আরহাম বললো,

‘ বাড়িটা এতো নিষ্চুপ লাগছে কেন? সবাই কোথায় রাহেলা? ‘

‘ ভাইজান বড় সাহেব আর বড় ম্যামসাহেব তো আইজকা গেরামার বাড়ি গেছে। কি যেন একটা কামে। কালকে ফিরবো। আর আরিয়ান ভাইজান তো হাসপাতালের কামে আইজকা হাসপাতালেই থাকবো। বড় ভাবি উপর আছি। আমি এখন যাই কেমন? দেরী হইয়া যাইতাছে বাসায় যাইতে হবে।’

রাগেলা কথাটি বলেই তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে গেলো। আরহাম ও সেদিকে পাত্তা না দিয়ে উপরের দিকে এগিয়ে গেলো। উপরের দিকে একদম অন্ধকার হয়ে রয়েছে। এই অন্ধকারের উৎস কোথায়? আরহাম আরেকটু এগিয়ে যেতেই বুঝতে পারলো সমস্ত ঘরেই অন্ধকার। ছাদে আলোর উৎস পেতেই আরহাম সেদিকে এগিয়ে গেলো। ছাদেই এসে সে এক মুহুর্তের জন্যে চোখ আটকে গেলো ছাদে থাকা গোলাপী তাতের শাড়ি পড়া রমনীর দিকে। সে ভিবানে বসে গোলাপের পাপড়িতে পা ভিজিয়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে। চাঁদের আলোয় তার মায়াবী মুখখানা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
এক আলাদা উজ্জ্বলতা উঁকি দিচ্ছে সেই মুখশ্রীতে।সে আর কেউ নয় আরহামের একমাত্র স্ত্রী তার প্রেয়সী। মেহেভীন আরহামের উপস্হিতি টের পেয়ে মেহেভীন পিছনে ঘুড়ে দেখে আরহাম দাঁড়িয়ে আছে।
একদম ফরমাল ড্রেসাপে। চুলগুলো কপালে কেমন লেপ্টে রয়েছে। মেহেভীন তার বরকে দেখে মুচকি হাঁসে। আরহাম বুকে হাত দিয়ে দেয়। মেহেভীনের একটা হাঁসিই যেন যথেষ্ট তার বুকটা ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়ার জন্যে। আরহামের নজর আরেকটু ভালো করে পুরো ছাদের দিকে যেতেই, সে দেখতে পায় ছাদের একদম কর্নারে একটি ছোট্ট রুম আছে। যেই রুমটাকে একদম গোলাপ ফুলে দিয়ে সাজানো হয়েছে। তার মাঝখানে বেডে ছোট্ট করে লেখা আছে,
‘ Meherham forever ‘.
আরহাম নিজের অজান্তেই স্মিত হাঁসে। মেহেভীনের দিকে এগিয়ে এসে বলে,

‘ হঠাৎ এইসব আয়োজন কিসের জন্যে? ‘

মেহেভীন পর পর ঘন শ্বাস ফেলে। বুকটা কেঁপে উঠছে বার বার। সে যা বলতে চাইছিলো আরহামকে
তা কেন যেন মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না। কেমন একটা লজ্জা লজ্জা লাগছে। এইদিকে আরহাম মেহেভীনের দিকে অধিক আগ্রহে নিয়ে তাকিয়ে আছে মেহেভীন তাকে ঠিক কি বলতে চায়। কিছুক্ষন চুপ থেকে মেহেভীন কিছুটা সাহস সংচয় করে আলতো সুরে বলে,

‘ আপনি কী বুঝেন না আরহাম সাহেব? আমার মনে ঠিক কি চলছে? ‘

আরহাম ভ্রু কুচকে বলে,

‘ না বললে কীভাবে বুঝবো?’

মেহেভীন এইবার স্পষ্ট গলাতেই বললো,

‘ আপনার মনে একটা ভুল ধারণা জন্ম নিয়েছে আরহাম সাহেব। তা এইবার ভেঙ্গে দেওয়ার সময় হয়েছে। দেখুন আমি এতো কিছু গুছিয়ে বলতে পারেনা আপনার মতো।শুধু একটাই কথা বলবো আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমার অজান্তেই আমার মনের গহীনে জায়গা করে নিয়েছেন। ‘

মেহেভীন কথাটি বলেই সেই ফুল সজ্জিত রুমে চলে গেলো। বুকটা ভয়ে ধরফর করছে তার। আরহাম কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। সে যা শুনলো তা কী আদোও সত্যি ছিলো? নাকি সে কোন ভ্রমে রয়েছে। অবশেষে তার প্রেয়সীও তাকে ভালোবেসে ফেললো। কথাটি ভেবেই আনমনে হাঁসে আরহাম। এগিয়ে যায় সেই ফুলসজ্জিত রুমের দিকে। রুমে কোনপ্রকার লাইটের আলো নেই। শুধু চারিদিকে ক্যান্ডেলের আলো। সেই আলো তে আরহাম স্পষ্ট দেখতে পারছে মেহেভীনের লজ্জামাখা মুখশ্রী।
আরহাম এক পা দু করে এগিয়ে মেহেভীনের ললাটে ধরে বললো,

‘ সব বুঝলাম, কিন্তু হঠাৎ বাসররাতের মতো রুম সাজানোর মানে টা কী? ‘

মেহেভীন নিষ্চুপ। লোকটা কি বুঝেও এখন না বুঝে থাকবে নাকি? মেহেভীন কি নিজ থেকে তাকে বলবে নাকি? মেহেভীনের রাগ হলো। যাকে বলে প্রবল বেগে রাগ।

‘ আমি জানিনা। ‘

কথা টি বলে মেহেভীন চলে যেতে নিলে, তাতে বাধ সাধে আরহাম। মেহেভীনের হাত টেনে নিজের কাছে এনে,মেহেভীনের কানে নেশাক্ত গলায় বলে,

‘ আমাকে পাগল করে তুমি কোথায় যাচ্ছো প্রেয়সী?নিজে থেকে কাছে আসতে চাইছো আমি কী করে ছেড়ে দেই বলো? আজকে তুমি তোমার আরহাম সাহেবের ভালোবাসা কতটা গভীর তা হারে হারে টের পাবে। ‘

আরহামের নেশাক্ত গলায় বলা কথাটি যেন মেহেভীনের বুক বেধ করে হৃদয়ে গিয়ে লাগলো। সারা শরীরটা অদ্ভুদ ভাবে কেপে উঠছে। আরহাম পাজকোলে তুলে নেয় তার প্রেয়সীকে এগিয়ে নিয়ে যায় বিছানার দিকে। বিছানায় আলতো করে শুয়িয়ে দিয়ে মেহেভীনকে। বদ্ধ রুমে দুই নর-নারীর শ্বাস -প্রশ্বাস শুনা যাচ্ছে শুধু। দুজনের হৃদয়ে আজ একসাথে কম্পিত হচ্ছে। আরহাম মেহেভীনের ললাটে ধরে কপালে চুমু খায়। মেহেভীনের হাতগুলো নিজের হাতের আয়ত্তে নিয়ে গেলো। মেহেভীন চোখজোড়া আবেশে বন্ধ করে নিলো। কেননা আজ সে তার স্বামীকে বাঁধা দিবেনা। নিজেকে সম্পূর্নরুপে সমপর্ন করবে তার স্বামীর কাছে।
আরহাম গভীর ভালোবাসার স্পর্শে মেহেভীনকে মত্ত রাখলো। উজার করে দিলো তার বুকে জমানো সমস্ত প্রেমকে।

মিউজিক বক্সে আলতো করে বেজে চলেছে,

Tumhe apna banane ka junoon

Sar pe hai, kab se hai

Mujhe aadat bana lo ik buri

Kehna ye tumse hai

Tumhe apna banane ka junoon

Sar pe hai, kab se hai

চলবে….কী?

[ ওই আপনারা কি দেখেন? যান যান দূরে যান😕।
যান আপনাদের কথামতো দিলাম 😕। আমি দিতে চাইনি। হুহ। আপ্নারা সবাই এখন যান। গল্প শেষ। আগামী পর্বে দেখা হবে। বড় পার্ট দিছি 😕]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here