গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি #পর্ব১৪ #Raiha_Zubair_Ripti

0
247

#গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি
#পর্ব১৪
#Raiha_Zubair_Ripti

রাতের ঝড় শেষে নতুন এক ভোরের আগমন ঘটলো। রুয়াত খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে বাগানে ঘাসের উপর হাঁটাহাটি করছে। বৃষ্টি পড়ার দরুন মাটি থেকে আলাদা এক ঘ্রাণ ভেসে আসছে৷ রুয়াত বাগানে থাকা দোলনায় বসলো। বাড়ির সবাই ঘুমে বিভোর। রুয়াত পেয়ারা গাছের দিকে তাকাতেই দেখতে পায় গাছের ডালে ময়না দুটো পাখি বসে পেয়ারা খাচ্ছে। ছেলে না মেয়ে সেটা বুঝতে পারলো না রুয়াত। তাকিয়ে রইলো এক ধ্যানে পাখি গুলোর দিকে। রুয়াতের মতে পাখিরা হয় মুক্ত স্বাধীন। তারা তাদের নিজ মতো এক দেশ থেকে আরেক দেশে উড়ে বেড়ায়। কোনো সীমাবদ্ধতা নেই তাদের। কোনো আদেশ নিষেধাজ্ঞা নেই। পৃথিবীতে একমাত্র পাখিগুলোই তো স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারে। তাই তো মানুষ পাখি হতে চায়। পাখির মতো দুটো ডানা চায়। যাতে মন খারাপের সময় এক দেশ থেকে আরেক দেশ উড়ে বেড়াতে পারে। ঐ নীল আকাশের মেঘ গুলোর সাথে মিশে ভেসে বেড়াতে পারে। কল্পনা! নিছকই কল্পনা বাঁধে মনে মানুষ।

শাফায়াত আড়মোড়া ভেঙে বেলকনিতে আসতেই চোখ গিয়ে আঁটকে দোলনায় বসে থাকা রুয়াতের উপর। মাথায় ওড়না দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা টা ঢাকা। এক হাত দোলনার লোহায় দিয়ে মাথা ঠেকিয়ে আছে। কিছু দেখছে। শাফায়াত দৃষ্টি অনুসরণ করলো। পেয়ারা গাছের পাখির দিকে তাকিয়ে আছে। শাফায়াত ডেকে উঠলো-
-“ রুয়াত!
রুয়াত ঘাড় ফিরিয়ে আশেপাশে তাকালো। কেউ তো নেই। শাফায়াত ডাকলো কোথা থেকে?
-“ আমি বেলকনি তে।
রুয়াত বেলকনিতে তাকালো। শাফায়াতের মুখশ্রী দেখে মুখে হাসি ফুটলো৷ হাসি মুখেই বলল-
-“ কখন উঠলেন?
-“ এই তো কেবলই। ওখানে কেনো তুমি?
-“ প্রকৃতির ঘ্রাণ নিচ্ছি৷ আপনিও আসুন।
শাফায়াত বেলকনি থেকে চলে গেলো। মিনিটের মধ্যেই এসে রুয়াতের পাশে দাঁড়ালো। রুয়াত সরে বসে বলল-
-“ বসুন।
শাফায়াত বসলো। গগনে এখনো সূর্য উঠে নি। রুয়াত আড়চোখে তাকিয়ে বলল-
-“ চা খাবেন? এমন স্নিগ্ধ পরিবেশে বসে চা খেয়ে প্রকৃতি বিলাস করার আনন্দই আলাদা।
-“ কফি হলে খাওয়াই যায়।
রুয়াত উঠে দাঁড়ালো।
-“ অপেক্ষা করুন আমি ফটাফট বানিয়ে আনছি। রুয়াত চলে গেলো। দশ মিনিটের মধ্যে কফির মগ আর চায়ের কাপ হাতে করে আসলো। কফির মগটা শাফায়াত এর হাতে দিয়ে দোলনায় বসে পড়লো। শাফায়াত কফির মগটা নিয়ে চুমুক বসাতে নিবে এমন সময় রুয়াত বাঁধা দিলো। শাফায়াত ভ্রু কুঁচকে তাকালো।
-“ একটু পরে খান। আগে আপনার আর আমার চা কফির কাপের পিক তুলে নেই। দেখি হাত টা বাড়ান মগ টা নিয়ে।
শাফায়াত বা হাতে কফির মগ টা নিয়ে হাত বাড়ালো। রুয়াত নিজের চায়ের কাপ টা নিয়ে হাত বাড়িয়ে কপাল হাতের পিক তুলে নিলো। পিক গুলো জুম করে দেখতে দেখতে বলল-
-“ এবার খান।
শাফায়াত চুমুক বসালো মগে।
-“ তুমি কফিটা মোটামুটি ভালোই বানাও রুয়াত।
-“ সত্যি? প্রশংসা করলেন?নাকি পাম দিলেন কোনটা?
-“ সত্যি টাই বলেছি। কাউকে পাম দিয়ে কথা বলা আমার দ্বারা হয় না৷ আমি স্ট্রেট কথা বলি।
রুয়াত মুচকি হেঁসে বলল-
-“ আই লাইক ইট। তবুও মাঝেসাঝে আমার মন রক্ষা করার জন্য হলেও দু একটা পাম দিয়ে কথা বলবেন ওক্কে?
শাফায়াত কিছু বললে না।

রুয়াত পিক টা ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ক্যাপশন হিসেবে লিখলো—“ প্রিয় পুরুষের সান্নিধ্যে প্রথমবার চা কফির সাথে প্রকৃতি বিলাস! ”

সাদমান মর্নিং ওয়াক করে বাড়ির ভেতর ঢুকতেই শাফায়াত আর রুয়াত কে বাগানে দেখে দৌড়ে তাদের কাছে আসলো। রুয়াত কে মনোযোগ দিয়ে ফোন ঘাঁটতে দেখে বলে-
-“ কি দেখছো রুয়াত?
রুয়াত মাথা উঁচু করে তাকায়।
-“ এমনি ছবি দেখছিলাম ভাইয়া। আপনি কোথা থেকে আসলেন?
-“ হাঁটতে বের হয়েছিলাম। এই ব্রো আমার ফ্রেন্ড সার্কেল তোমার আর রুয়াতের পিক দেখতে চেয়েছে। আসো তো একটা সেলফি তুলি। রুয়াত তোমার ফোনটা দাও তো।
রুয়াত ফোন টা বাড়িয়ে দিলো। সাদমান ফোনটা নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুললো। সাদমান গ্যালারি তে ছবিটা দেখার জন্য গিয়ে দেখে শাফায়াত এর মুখ বোঝা যাচ্ছে না কফির মগ মুখে থাকায়৷ সাদমান পিছু ফিরে বলল-
-“ ব্রো পরে খাও কফি আগে একটা সেলফি তুলে নেই।
শাফায়াত তাকালো ফোনের দিকে। সাদমান তুলে ফেললো পিক। পিক টা দেখে নেয় ফের। এবারের পিক টা ঠিকঠাক আছে। রুয়াতের ফোন রুয়াত কে দিয়ে বলে-
-“ হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিও।
রুয়াত আচ্ছা বলে। সাদমান চলে যায়। রুয়াত সাদমানের হোয়াটসঅ্যাপে পিক গুলো পাঠিয়ে দেয়। তারপর ফেসবুকে ঢুকে তাদের তিনজনের একটা পিক আপলোড দিয়ে ক্যাপশন দেয়—“ সকাল টা সুন্দর ছিলো।

——————-

ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে শাফায়াত, সাদমান, রুয়াত,সানজিদা। শারমিন বেগম খাবার বেড়ে দিচ্ছে। সাদমান খাচ্ছে আর ফোন স্ক্রোল করছে। শাফায়াত আড়চোখে দেখলো। এঁটো প্লেটে হাত ধুতেধুতে গম্ভীর কন্ঠে বলে-
-“ এটা কোন ধরনের অভ্যাস তোর যে খাওয়ার সময় ফোন স্ক্রোল করিস। এই অভ্যাস টা চেঞ্জ করিস।
সাদমান ফোন বন্ধ করে খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। শাফায়াত টিস্যু দিয়ে হাত মুছে রুয়াতের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি।
রুয়াত মাথা নাড়ালো। শাফায়াত চলে গেলো। রুয়াত খাওয়া শেষে হাত ধুয়ে সোফা থেকে ব্যাগ টা নিয়ে শারমিন বেগমের উদ্দেশ্যে বলে-
-“ আসছি আম্মু।
-“ সাবধানে যেও ভার্সিটি।
রুয়াত মুচকি হেঁসে চলে আসলো। গাড়ির কাছে আসতেই দেখলো শাফায়াত গাড়ির ভেতর বসে আছে। রুয়াত গাড়িতে উঠে ব্যাগ টা কোলে নিয়ে বলে-
-“ চলুন।
শাফায়াত গাড়ি স্টার্ট দিলো। মাঝ রাস্তায় এসে জ্যামে আঁটকে পরলো তারা। লম্বা জ্যাম,গাড়ি একটু ও এগোতে পারছে না। বিরক্তিতে শাফায়াত এর চোখ মুখ কুঁচকে আসে। রুয়াত তাকায় সেই বিরক্ত মাখা মুখ পানে। লোকটাকে আজকাল বেশ ভালোই লাগছে তার কাছে। ভার্সিটি তে যেমন রাগী দেখেছিল কই বাসায় তো তেমন রাগী না। তবে বেশ গম্ভীর এই লোক। খুব একটা হাসি মুখ দেখে নি রুয়াত।

শাফায়াত বাহিরে দৃষ্টিপাত করে তাকিয়ে আছে। বিরক্তির চরম পর্যায়ে যাওয়ায় পথে সামনে থাকা গাড়ি গুলো চলতে শুরু করলো। প্রলম্বিত দীর্গ শ্বাস ফেললো শাফায়াত। তারপর মনোযোগ দিলো গাড়ি চালাতে।

ভার্সিটির সামনে আসতেই রুয়াত নেমে যায় গাড়ি থেকে। তারপর সোজা ক্লাসের দিকে হাঁটা ধরে। ক্লাসের সামনে আসতেই দেখে ইংরেজি টিচার নাইমুর জাকারিয়া ক্লাসে অলরেডি ঢুকে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে। রুয়াত শুকনো মুখ করে বলল-
-“ মে আই কামিং স্যার?
নাইমুর জাকারিয়া পড়ানো তে ব্যাঘাত পেয়ে তাকালো রুয়াতের পানে। তারপর হাতের ঘড়িটায় চোখ বুলিয়ে বলে-
-“ ক’টা বাজে এখন?
-“ ১০ টা ২০।
-“ ক্লাস শুরু কয়টায়?
-“ ১০ টায়।
-“ বাকি মিনিট বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকো। আমি বের হলে ঢুকবে ক্লাসে।

রুয়াত মন খারাপ নিয়ে ক্লাসের বাহিরে দাঁড়িয়ে রইলো। শাফায়াত সেকেন্ড ফ্লোরে উঠে ক্লাসে ঢুকতে নিবে এমন সময় সামনে তাকিয়ে দেখে রুয়াত ক্লাসের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে বাকি নেই দেরি হবার দরুন বাহিরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে টিচার৷ শাফায়াত ফোন থেকে টিচার’স ক্লাস রুটিন দেখে নিলো আজ ফাস্ট ক্লাসে কোন টিচার। নাইমুর জাকারিয়া নাম দেখে ফোনের কল লিস্টে গিয়ে নাইমুর কে ফোন লাগালো।

নাইমুর আকস্মিক শাফায়াত এর ফোন কল পেয়ে পড়ানো বন্ধ করে সাইডে গিয়ে ফোন রিসিভ করে বলে-
-“ হ্যালো।
শাফায়াত জবাব দিলো-
-“ ক্লাসের বাহিরে যাকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিস তাকে ক্লাসে ঢুকতে দে।
নাইমুর ভ্রু কুঁচকালো।
-“ মেয়েটা দেরি করে আসছে তাকে কেনো ক্লাসে ঢুকতে দিব?
-“ রাস্তায় জ্যাম ছিলো বিধায় দেরি হয়েছে। আর বিষয় টা আমার ভালো লাগছে না।
-“ আশ্চর্য তোর কেনো ভালো লাগবে না? বউ রেখে অন্য মেয়ের জন্য দরদ হচ্ছে কেনো তোর? ভাবসাব তো ভালো ঠেকছে না শাফু। জবার নম্বর টা দে এখনই বলে দিব।
শাফায়াতের মুখ আগের তুলনায় গম্ভীর হলো।
-“ জবা কে আমি বিয়ে করি নি নাইমুর। আমার বউ রুয়াত। যাকে বাহিরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিস।
নাইমুর অবাক হয়ে কিছু টা উচ্চস্বরে বলে—“ কী! পরক্ষণে স্টুডেন্ট দের দিকে তাকিয়ে দেখে তারা তার দিকে তাকিয়ে আছে। নিজেকে স্বাভাবিক করে নাইমুর বলল-
-“ তোর সাথে না জবার বিয়ে হবার কথা ছিলো? তাহলে রুয়াতের সাথে হলো কিভাবে?
-“ পরে বলবো সময় করে। এখন ব্যাটা রুয়াত কে ঢুকতে দে ক্লাসে।
-“ টুরু লাভ বুঝছি। রাখলাম এখন।

নাইমুর ফোন টা পকেটে ঢুকিয়ে মুখটা গম্ভীর করলো। তারপর রুয়াতের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ ক্লাসে আসো।
রুয়াত ক্লাসে ঢুকে সুইটির পাশে বসলো। নাইমুর পড়ালো আর বারবার রুয়াতের দিকে তাকালো। কিভাবে হলো জবার সাথে বিয়ে টা না হয়ে রুয়াতের সাথে!

বেল বাজতেই নাইমুর রুয়াত দের আগামী পড়া দিয়ে চলে যায়। সেকেন্ড ক্লাসে শাফায়াত আসে। ক্লাসে ঢুকেই সর্বপ্রথম চোখ যায় রুয়াতের দিকে। শেষ বেঞ্চে বসে আছে। শাফায়াত একাউন্ট বই বের করে অঙ্ক বুঝালো হোয়াইট বোর্ডে। রুয়াত মনোযোগ দিলো ক্লাসে। এরমধ্যে দু’জন ছেলে আসলো ট্যুর এর চাঁদা নিতে। ভেতরে আসার অনুমতি চাইলে শাফায়াত গম্ভীর কন্ঠে বলে-
-“ আমি ক্লাস নেওয়ার সময়ই কি তোমাদের এই ক্লাসে আসতে হয় আমার পড়ায় ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য?

নেহাল শান্ত কন্ঠে বলল-
-“ জরুরি না হলে আসি না স্যার।
শাফায়াত ক্লাসে আসার অনুমতি দিলো। নেহাল এক এক করে সবার থেকে ট্যুর এর টাকা তুললো। সুইটির কাছে এসে টাকা নিতেই সুইটি রাগী চোখে তাকিয়ে টাকাটা ঠুসে দিলো। আর বিরবির করে বলল-
-“ টাকা গুলো নিয়ে ভেগে যাস।
নেহাল চকিতে তাকালো সুইটির দিকে৷ ঢের বুঝে গেলো কথার মানে। বেয়াদব বলে তারপর চলে আসলো। শাফায়াত মনোযোগ দিলো পড়ানো তে।

রোহান ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে বসে আছে। মাথায় এখনও ব্যান্ডেজ। কাল সকালে রওনা দেওয়া হবে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে। সব কিছুর ব্যবস্থা করা শেষ। নেহাল চেয়ে দেখছে রোহান কে। রোহান মনের সুখে ফোন টিপছে। ডিপার্টমেন্টের হেড সাইফুল ইসলাম যে কি না নেহালের বাবা৷ তিনি রোহানের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ কিসের জন্য এসেছিস তোরা বল।
-“ নিশ্চয়ই আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে নয় স্যার। আমাকে সেকেন্ড ইয়ারদের সাথে ট্যুরে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে দিন। আপনার ছেলে কেউ সাথে নিব চাইলে তাড়ছিঁড়া মেয়েকেও পাঠাতে পারেন। কয়েকদিনের জন্য মানিয়ে নিব। তবুও পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
-“ তোর মামু কে গিয়ে বল ব্যবস্থা করে দিতে।
-“ মামু এসব ছোটখাটো বিষয়ে হেল্প করে না। আপনাকেই করতে হবে।
-“ দেখছি কি করা যায়। এখন যা এখান থেকে।
রোহান চলে গেলো। নেহাল বাবার দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ না করতে পারো না ডিরেক্ট? উচ্ছনে চলে যাচ্ছে ছেলেটা।
-“ তুই কি কম উচ্ছনে চলে গেছিস? দুইটাই তো বদের হাড্ডি আবার আসছিস আরেকজন কে নিয়ে বলতে?
নেহাল মুখ ভেঙচি দিলো। যেতে যেতে বলে গেলো-
-“ ভালো হতে চাইছি দাম দিলে না। পরে শুধু কথা শুনিয়ে দেখো, তোমার সাধের ডুপ্লেক্স বাড়িতে আ’গুন ধরিয়ে দিব।

ক্লাস শেষ করে রুয়াত আর সুইটি মাঠ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। রোহান, নেহাল ছাউনির নিচে বসে ছিলো। রোহান রুয়াত কে দেখামাত্রই তার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকে। নেহাল গলা ঝেড়ে বলল-
-“ মনে হয় না তাকিয়ে থেকে কোনো লাভ হবে রোহান।
চকিতে ফিরে তাকালো রোহান।
-“ মানে?
-“ কাল দেখেছি এক ছেলের সাথে রুয়াত কে। মেবি বয়ফ্রেন্ড।
-“ কাল দেখেছিস আর আজ বলছিস?
-“ বলতে চেয়েছিলাম কাল। কিন্তু রেগে থাকায় বলতে মনে নেই। আই থিংক রুয়াত মিঙ্গেল।
-“ ভাই ও তো হতে পারে।
-“ হতেও পারে শিওর না।
-“ তোর পেয়ার লাল সুইটির থেকে জেনে আমায় জানাস তো।
-“ কথা বলে না আমার সাথে।
-“ কেনো?
-“ মনোমালিন্য চলছে আমাদের মাঝে।
-“ হোয়াই?
-“ ওর বিয়ের জন্য নাকি বাসা থেকে পাত্র দেখছে। তাই আমাকে বলতেছে কিছু করার জন্য। আমার কি বিয়ের বয়স হইছে বল? তবুও ওর বাপরে বলছিলাম। আমি কি রোজগার করি? কি খাওয়ামু তার মেয়েরে বল।
-“ শা’লা লুই’চ্চা প্রেম করার সময় মনে ছিলো না তুই বেকার? মায়ের পেট থেকে আসা ফিটার খাওয়া শিশু? এখন আসছিস ভাঁওতাবাজি করার জন্য! সুইটির জায়গায় আমি থাকলে মাঠে দাঁড় করিয়ে ফুলস্টপহীন পি’টাইতাম।
-“ একদম শা’লা বলবি না। আমার বোন কে তোর কাছে বিয়ে দেই নি। আর লু:ইচ্চা বলস ক্যান? সুইটি বলতে পারবো, আমি ওর সাথে রিলেশন করা কালিন কিস বা ডেটে গেছি?
-“ মিটমাট করে নে যা। রুয়াতের খোঁজ এনে আবার মনোমালিন্য শুরু করে দিস নো প্রবলেম।
-“ তুই একটা স্বার্থবাদী জানিস?
-“ আই নোও। এখন যা।
-“ না অপমান করবে রুয়াতের সামনে। রাতে কথা বলে নিব।
-“ কাল তাহলে যাচ্ছি কুয়াকাটা।
-“ না গিয়ে উপায় আছে? ভাবছি সুইটির আব্বাকে আজ ফোন দিব। মেয়ে ভালোয় ভালোয় বিয়ে দিতে রাজি হলে তো হলোই। তা না হলে কুয়াকাটা থেকে বিয়ে করে একদম হানিমুন সেরে ফিরবো।
-“ সমুদ্র সৈকতে চুবিয়ে আনবো শা’লা। আমার বিয়ের ঘটকালি করার তুই বিয়ে করলে।

( যারা সানজিদা আর নেহাল কে জুটি ভেবেছিলে তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা 😷😷)

#চলবে?

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here