ময়ূরাক্ষী #তাফসিয়া মেঘলা বত্রিশ

0
139

#ময়ূরাক্ষী
#তাফসিয়া মেঘলা

বত্রিশ

একটা ডাইরি নিয়ে চেম্বারে বসলো শাহওয়াজ৷ আজ রোগীর চাপ কম৷ ও বাড়ি থেকে এটা নিয়ে এসেছিলো৷ ওখান থেকে আরো অনেক কিছু জেনেছে শাহওয়াজ আপাতত ডাইরিটা না পরলে বুঝতে পারছে না কিছু৷
কৌতুহল নিয়ে ডাইরিটা খুলো৷ প্রথম পৃষ্ঠার উপরেই বড় বড় অক্ষরে লেখা প্রিয়দর্শিনী৷ ফের পৃষ্ঠা উল্টালো৷ পড়তে শুরু করলো…..

দর্শনা দাস থেকে প্রিয়দর্শিনী চৌধুরী হয়ে উঠার গল্পটা অদ্ভুত৷ মাঝে মাঝে মনে হয় এ মুহূর্ত গুলো আমার জীবনে না আসলেও হয়তো ভালো হতো৷ মাঝে মাঝে মনে হয় দুঃস্বপ্নের মত হতো সব৷ আমি যদি ঘুম থেকে উঠে দেখতাম সব আগের মত৷ পরক্ষণেই হৃদয় কম্পন ধরে তীক্ষ্ণ ব্যাথার আভাস পাই৷ ভাবি, না! এ মুহুর্ত গুলো না এলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না একজন মানুষ আমায় কতটা ভালোবাসে কতটা চায়৷ এ মুহূর্ত না এলে আমার জীবনে কাঁটানো শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত গুলো দেখতেই পেতাম না৷
এ ভালোবাসার জন্য তো আমি জীবন খোয়াতেও রাজি৷

চৌধুরী বাড়ির মেঝো পূত্র রুম্মন চৌধুরী ছিলেন বেশ বেপরো আমি হলাম চঞ্চল ধাঁচের৷ তার সাথে আমার পরিচয় মধুলতাদি আর আকবর ভাই এর বিয়েতে৷
ধর্ম ভিন্ন হওয়ায় আমি কখনো তাকে নিয়ে ভালোবাসা বা ভালোলাগার চিন্তা মাথাতেও আনিনি৷
মধুলতাদি আমার সই, এখানে ‘আমার’ শব্দটা যে কতটা আপন এক মাত্র আমিই জানি৷ প্রিয় বন্ধু হওয়ার সুবাদে মধুলতাদির বাড়িতে আমার আসা যাওয়া প্রায়ই লেগে থাকতো৷
রুম্মন ভাই কে আমি সব সময় পরখ করেছি উগ্র এক রুপে৷ বেপরোয়া মানুষ, স্বল্প ভাষীও বটে৷

তবে আমার রুপ যে বরাবরই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় তা আমার মনে ছিলো না কখনো৷ এ কারণে পড়াশোনাও স্কুলের গন্ডি পেরোতে পারিনি৷ অন্য কারণ ও আছে বাবার একলা রোজগারে সব সামলে উঠতে কষ্টসাধ্য ছিলো৷

মধুলতাদি কিন্তু আমার স্কুলের সই ছিলোনা৷ বয়সেও আমার দুই বছরের বড় তবুও সে আমার সই৷ প্রাণের সই৷ তাদের বাংলো আমাদেরি এলাকায় হওয়ায় মাঝে মাঝেই দেখতে যেতাম বাড়িটা! একদিন শুনলাম সে বাড়িতে ঢাকা থেকে মানুষ এসেছে বড় গাড়ি করে সে গাড়ি দেখতে গিয়েই পরিচয় হয় মধুলতাদির সাথে৷
একদিন তাদের বাংলোর পুকুরে পরে যাই আমি সাতার না জানায় ডুবে যাচ্ছিলাম প্রায় গ্রামে থাকলেও সাতার জানতাম না সে দিন সে আমায় বাঁচায় ম৷ সে দিন থেকেই আমাদের পথচলা শুরু৷
তার বাবা আমায় স্কুলেও ভর্তি করে দিয়েছিলো কিন্তু ওইযে আমার রুপ ছিলো আমার কাল৷ গ্রামের মোরলের ছেলের দৃষ্টি পরে আমার দিকে বাঁচার জন্য বাবা স্কুল ও বন্ধ করে দিলো৷

মধুলতাদির ও প্রেমের বিয়ে তাদের বিয়ের দিন রুম্মন ভাইয়ের সাথে আমার তুমুল ঝগড়া হয় সে আমার শাড়িতে সিগারেট ফেলেছিলো৷ সেই ঝগড়া থেকেই আমার পিছু নেওয়া শুরু তার৷
মধুলতাদির শশুর বাড়িতে যাওয়া তার শাশুড়ী পছন্দ করতো না এর কারণ ও ছিলো৷ রুম্মন ভাই এর মতিগতি ঠিক লাগছিলো না৷ তার আমার প্রতি সূক্ষ্ম নজর, আমাকে খেয়াল রাখা৷ আমাকে নিয়ে ভাবা সব কিছুতে আমিও দূর্বল হয়ে পরছিলাম তাই মধুলতাদি বিয়ের বছর দুই-এক পর থেকে তাদের বাড়িতে যাওয়াও বন্ধ করলাম৷
সে বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করতেই শুরু হলো রুম্মন ভাই এর পাগলামো৷ কখনো পাড়ার মোড়ে এসে বসে থাকতো কখনো বাড়ির সামনে আসতো৷

একদিন হুট করেই মধুদির শরীর খারাপ শুনে সে বাড়িতে যাই সেখানে গিয়ে শুনি তাদের এত্ত বড় বাড়িটা নাকি খোয়াতে বসেছে৷ সে দিন মধুলতা দি নিজের সব গয়না তুলে দেয় আকবর ভাই এর কাছে৷ সে দিন যাওয়ার পর তার পাগলামি বাড়ে আরো৷ বাড়ির লোকের কান অব্দি পৌঁছায় সে কথা৷
আমি তাকে বারণ করলেও শুনেনি সে, তার পাগলামোতে আমিও যেন খেই হারাচ্ছিলাম৷ নিজের প্রতি কারো পাগলামি দেখলে কি মন ঠিক থাকে? কিন্তু আমাদের পথের বড় বাঁধা যে আমাদের ধর্ম৷

তার থেকে বাঁচার জন্য তার সাথে বন্ধুত্ব করলাম৷আমি তাকে প্রতিবারই বুঝিয়েছি আমাদের মাঝে বড় এক বাঁধা আছে যা কখনো অতিক্রম করা যাবে না৷ সে ও বুঝতো৷ ভেবেছিলাম আমি স্বার্থক৷ দীর্ঘ চার বছর সে আমার ভালো বন্ধু হয়ে ছিলো৷ সে আমায় দর্শনা কখনোই ডাকতো না প্রিয়দর্শিনী ডাকতো৷ এ নাম টা অবশ্য মধুদির দেওয়া ছিলো৷ এ লোকটাকে আমি বিপদে আপদেও পাশে পেয়েছি৷ কিন্তু তাকে বুঝিয়ে যে তার প্রতি আমি দূর্বল হয়ে পরছিলাম এটা বুঝতে পারিনি কখনো৷ সে আমার পাশে ছায়ার মত থেকে আমায় দূর্বল করেছে৷ আমার বাবা একদিন হুট করেই হার্ট এ’ট্যাক হয় একা মেয়ে হয়ে কিছু পারছিলাম না দিশা না পেয়ে তাকে জানাই৷ সে না থাকলে হয়তো আমার বাবার কিছু হয়ে যেতো সে দিন৷

এক দিন তার খালা বাড়িতে এসে নালিশ করে যায়৷ শাসিয়ে যায় বাবা মা কে৷ আসলেইতো আমাদের কি কোনো দিক দিয়ে যায় তার সাথে? সব থেকে বড় বাঁধা যে ধর্ম৷ রুম্মন ভাই এর সাথে যেন আমি মেলামেশা না করি৷

সে দিন সীদ্ধান্ত নেই তার সাথে আমি আর কথা বলবোনা যে এত বোঝানোর পর ও বুঝলো না তার সাথে আর কথা নেই৷ দীর্ঘ পাঁচ মাস এড়িয়ে চলেছি রুম্মন ভাই কে৷
এর মাঝেই একদিন শুনতে পাই মধুদি অনক অসুস্থ৷ রুম্মন ভাই এসেই জানায় আমাকে রাতে দেখা করতে বলেছে৷ আর যাওয়ার সময় লুকিয়ে যেতে বলেছে৷ আমি প্রথমে বিশ্বাস না করলেও মধুলতাদির চিঠি পেয়ে যাই সেখানে৷
গিয়ে শুনতে পারি সে মা হতে চলেছে৷
কিন্তু এদিকে তার শাশুড়ী তাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর ব্যাবস্থা করছে৷

মধুলতাদি বেশ সাহসী হলেও মা হওয়ার কথা শুনে যেন আরো দূর্বল হয়ে পরেছিলো৷ আকবর ভাই কাজের সুবাদে গিয়েছিলো ঢাকা তাকেও বলতে পারেনি এ কথা৷ সে দিন রাতে দারোয়ানের ঘরের পিছনে আমাদের দেখা করতে হয়েছিলো সে হয়তো কিছু বলতে চেয়েছিলো কিন্তু এর মাঝেই তার শাশুড়ীর বোন জোবেদা খালার চিৎকারে৷ সে চিৎকার করে বলছিলো,
“বুবুগো দেইখা যাও তোমার বড় বউ দারোয়ানের লগে ফস্টিনস্টি করতাছে৷”

সে দিন আমি বলেছিলাম ওটা আমি ছিলাম কিন্তু কেউ শুনেনি এমনকি দারোয়ান নিজেও বলেছে তার সাথে মধুদির সম্পর্ক আছে৷
সে অবস্থায় তার শাশুড়ী তার গায়ে হাত তুলে৷ আমি না থাকলে হয়তো মেরেই ফেলতো৷
সে দিন তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি৷ পরের দিন মধুলতা দি সকাল হতে না হতেই যায় সে বাড়ি এবং তার বাচ্চার কথা জানায় সবাইকে সেই থেকেই শুরু হয় বড় ঝামেলা তারা বলে এ বাচ্চা দারোয়ানের৷ দারোয়ানের আচরণে অবাক ছিলাম আমি৷ বোঝাই যাচ্ছিলো তাদের আগেরই পরিকল্পনা৷

সব কিছুতে অবাক করা বিষয় জানতে পারি এ মহিলা আকবর ভাই এর নিজের মা না৷ আকবর ভাই এর মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে৷ এবং রুম্মন ভাই সহ বাকি তিনজন ওনারই ছেলে মেয়ে৷
আর এতে বুঝলাম উনিতো চাইবেই আকবর ভাই এর সর্বনাশ করতে৷

তার শাশুড়ী এবং তার শাশুড়ীর বোন সে দিন ওই অবস্থায় গায়ে হাত তোলার পর মধুলতাদির প্রথম বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায়৷ এতে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে মধুলতাদি আকবর ভাই আসার পর তার আগেই তার শাশুড়ী জানায় সবটা৷ কিন্তু সে দিন আকবর ভাই বিশ্বাস করে না কিছু৷ সব থেকে ভালো লাগার বিষ্যয় ছিলো এটা৷
ভালোবাসার মধ্যে বিশ্বাসটাইতো সব? আকবর ভাই সে দিন দারোয়ানকে অনেক মারে এবং কিছু কাজের লোক মধুলতাদির সাথে ছিলো বলে সত্যিটা বেরিয়ে এসেছে৷ যে সে নির্দোষ এসব তার পরিকল্পনা৷

কিন্তু এর মাঝে যে নিষ্পাপ বাচ্চাটার প্রাণ যায়৷ মধুলতাদির বাবা আইনের সাহায্য নিতে চায় আকবর ভাই মধুলতা দির হাতে পায়ে ধরে তাকে নিষেধ করে৷
সব ঠিকঠাক চললেও দমেনি তার শাশুড়ী প্রতিনিয়ত তাকে তারানোর কোনো না কোনো পরিকল্পনা আটতোই৷ একদিন তো পুকুরে ধাক্কা দিতেও চেয়েছিলো সে দিন ও তার ভাগ্য সহায় ছিলো আমি সাথেই ছিলাম৷

এর মাঝে রুম্মন ভাই এর পাগলামিও বাড়ে৷ তাদের বাড়িতে ফের তখন আমার আসা যাওয়া ছিলো৷ কিন্তু এভাবে ওখানে টেকা মুসকিল ছিলো যেন তার জন্য৷ আকবর ভাই এর আচরণেও পরিবর্তন এসেছিলো৷ ডাক্তার বলেছিলো মধুদি আর মা হতে পারবে না৷ কিন্তু অদ্ভুত বিষয় এক বছরের মাথায় মধুদি ফের পোয়াতি হয়৷
এর মাঝেই জানতে পারি আকবর ভাই দ্বিতীয় বিয়ে করেছে৷ বিয়ের কথা জানানজানির পর মধুদি সৌহার্দ্যনিবাস ত্যাগ করে৷
তার বাবা মা দেশের বাইরে থাকায় ঢাকাও যেতে পারছিলো না এক দিন আমার বাড়িতে রাখি তাকে৷

মধুদি সে বাড়ি ছাড়ার পর সব স্বাভাবিক ছিলো৷ শুনেছি রুম্মন ভাইকে মেরে ছিলো ও আকবর ভাই এবং তার মা৷ ছয় মাস অসুস্থ ছিলো৷ তার সাথে দেখা হয়নি আমার দীর্ঘ দুই বছর৷ শুনেছি একবার এক্সি’ডে’ন্ট ও হয়েছে৷ হসপিটালে ভর্তি ছিলো মাস খানেক৷ এমনকি তার মা তাকে বিভিন্ন তাবিজ করেও আটকে রেখেছিলো৷ দুই বছর পর ফের তার পাগলামি শুরু হয়৷ আমি একদিন রাস্তায় থাপ্পড় ও দিয়েছিলাম৷ মধুদি যাওয়ার তিন বছর পর
একদিন রাতে হুট করে নেশা করে এসে বাড়ির সামনে হট্টগোল শুরু করলো৷
মোড়ল অব্দি এ কথা পৌছালো, তাকে সে দিন বলে বাড়ি পাঠালেও পরের দিন মোরল বিচার বসায়৷ আমার বাবা কে গ্রাম ছেড়ে দিতে বলা হয় নয়তো আমায় বিয়ে দিতে বলে তার ছেলের সাথে৷

গ্রাম থেকে চলে গেলে ঠায় হবে কোথায়? শূন্য মস্তিষ্কে বিয়েতে রাজি হয়৷ পরের দিন রুম্মন ভাই এ কথা জানতে পারে আমাদের বিয়ের তোরজোর দেখে৷ সে দিন শূন্য মস্তিষ্কে রাজি হলেও আমার মন যেন পরবর্তীতে সায় দিচ্ছিলো না কিছু৷ আমার আশির্বাদের রাতে হুট করেই সে এলো৷ মা বাবার সামনে বলে,
“আমার সাথে সারাজীবন এর জন্য যেতে পারবি প্রিয়?”
আমি সে দিন বাবা মায়ের কথা ভাবলেও আমার বাবা মা সে দিন তার হাতে তুলে দেয় আমায়৷ সে দিন রাতেই আমাদের বিয় হয় ইসলাম ধর্ম অনুসারে৷ আমার নতুন পরিচয় হয় দর্শনা দাস থেকে প্রিয়দর্শিনী চৌধুরী৷

দীর্ঘ ছয় বছর আমরা বাইরে বাইরেই ছিলাম আর আমাদের পিছনে ঢাল হয়ে ছিলো মধুদি৷ দূরে থেকেও আর্থিক ভাবে সাহায্য করে গেছে প্রায় দুই বছর৷ বিয়ের সপ্তম বছর আমার পেটে বেড়ে উঠে আমার ছোট্ট ছানা৷ আমার আর রুম্মন ভাই এর অস্তিত্ব৷
বিয়ের সাত বছর পর গ্রামে যাই আমরা আমার মায়ের বাড়িতে৷ আমার যখন তিন মাস তখন হুট করেই রুম্মন ভাই এর খোঁজ মিলছিলো না৷ আমি সে অবস্থায় যাই চৌধুরী বাড়ি তখন জানতে পারি সে বাড়িতেই আছে৷ সেখানে যাওয়ার পর আমার শাশুড়ির মন গললো আমায় রেখে দিলো সেখানেই৷ একদিন জানতে পারি জোবেদা খালার মেয়ে রুম্মন কে পছন্দ করতো আমরা পালানোর পর সে আত্মহ’ত্যা করেছে সে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই তারা আমায় রেখেছে৷ আমার বাচ্চা সহ আমায় মেরে ফেলবে নয় মাসের ভরা পেটে ভোরে সে বাড়ি থেকে পালাই আমি৷ রুম্মন ভাইকে বলার সাধ্যিও ছিলো না আমার কারণ মধুলতাদির মত আমার খুঁটি শক্ত না৷ আমার বাবা মা কে নিয়ে বাঁচতে হবে৷

কিন্তু সে দিন সৃষ্টিকর্তা আমার সহায় ছিলোনা মাঝরাস্তায় আকবর ভাই আর আমার শাশুড়ির সামনে পরে যাই৷ আকবর ভাই ও আগের ন্যায় ছিলোনা৷ সে তো মা ভক্ত৷ সে সময়ই আমার ব্যাথা শুরু হয় তারাই হসপিটাল নিয়ে যায় আমায়৷
জ্ঞান ফেরার পরই আকবর ভাই জানায় মেয়ের ভালো চাইলে মেয়েকে যেন তাদের কাছে দিয়ে আমি চলে যাই৷ প্রথমে ভেবেছিলাম মেয়েকে দিয়ে দিবো কিন্তু ওইটুকু ফুটফুটে মেয়ের মুখ দেখলে কি আর মন মানে? আমি মেয়েকে দিতে অস্বীকার করি৷ মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে আসি……

এরপর আর লেখা নেই কিছু৷ শক্ত হয়ে বসে আছে শাহওয়াজ৷ এর পরের ঘটনা শুনেছে সে প্রিয়দর্শিনীর মায়ের কাছে৷ রাগে রি রি করছে তার শরীর৷

চলবে,

[আমি জানি এখন অনেকেই অনেক কথা বলবেন৷ কিন্তু আমি গল্পটা যেভাবে ভেবেছি সেভাবেই লিখছি৷ যা ইচ্ছে বলতে পারেন৷ কেমন হয়েছে জানাবেন৷ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here