ময়ূরাক্ষী #তাফসিয়া_মেঘলা একত্রিশ

0
398

#ময়ূরাক্ষী
#তাফসিয়া_মেঘলা

একত্রিশ

গোলাপি জামদানী পরে আচল খানা ঠিক করছে ময়ূরাক্ষী৷ কুচির ভাজে ভাজে আজ অনুভূতি বোনা৷ আজ নিজের জন্য নয় অন্য কারো জন্য শাড়ি পরলো ময়ূরাক্ষী৷ টানা টানা আঁখিতে মোটা করে কাজল পরলো৷ এ কাজল ও সাক্ষী হলো অষ্টাদশী রমণীর আকাশ সমান অনুভূতির৷ কপালে মাঝ বরাবর থাকা টিপ ও আজ বোধহয় লাজুক হাসলো৷
রুনঝুন করলে থাকা গোলাপি রেশমি চুরি গুলো ও জানলো অষ্টাদশী মনে প্রেমের ছোঁয়া লেগেছে৷ মন কুঠিরে কারো নাম তুলেছে মেয়েটি৷
লাল টকটকে আলতা গুলো ও যেন আজ হিংসেতে জ্বলে পুরে ভস্ম হচ্ছে এ রুপে৷

আজ আরশিও বেজায় ব্যাকুল মেয়েটির প্রতিবিম্ব দেখার জন্য কিন্তু আরশির সামনে গিয়ে চোখ তুলে তাকাতে পারলোনা নিজের দিকে৷ লজ্জা গুলো ভাব জমালো৷ আজ না হয় নিজেকে খুঁটিয়ে নিজে নাই বা দেখলো?
কৌতুহল নিয়ে ঘড়িতে চাইলো৷ ঘড়িতে ছয়টা পেরিয়েছে সেই কখন৷ অপেক্ষার প্রহর তীব্র হলো৷
নিদারুণ এ অনুভূতি গুলো গুমরে মারছে যেন৷ সে কি করছে সে জানে না৷ সে এ ও জানে না তার কপালে কি আছে৷ শুধু জানে তার শান্তির প্রয়োজন৷
আজ না হয় পিছুটান ছাড়লো? আজ না হয় সব ভাবনায় বুড়ো আঙুল দেখালো? একটু স্বার্থপর হলে কি ক্ষতি হবে কোনো? হবে না৷

সময় পেরোলো সময় নিরুপণ যন্ত্রের কাটা ছয়টা পেরিয়ে নয়ের ঘরে৷ ময়ূরাক্ষী এবার মন ক্ষুণ্ণ করে নিজের ঘরের দিকে ছুটলো৷ খাওয়ার সময় হয়েছে এখনি কেউ আসবে ডাকতে৷ এমন সাজগোছ দেখলে শ-খানেক প্রশ্ন শুধাবে যা উত্তর দেওয়ার ইচ্ছ নেই এখন৷ দরজা বন্ধ করে বিছানায় বসলো৷ আশার আলো যেন একটু একটু করে নিভছে৷ এর মাঝেই ওপাশ থেকে শোনা গেলো রুপার কন্ঠস্বর,
“ময়ূর? আজ নিচে এলিনা কেন এখনো? শরীর খারাপ তোর? দরজা খোল আয় খেতে আয়৷”

ময়ূরাক্ষীর আঁখি টইটম্বুর পানি এখনি যেন গড়িয়ে পরবে৷ ভাবলো জিগ্যেস করবে কিছু৷ কিন্তু না কিছু জিগ্যেস করলো না৷ ময়ূরাক্ষীতো এতক্ষণ পথ চেয়েই ছিলো সে তো দেখতেই পেতো তাহলে৷ তাহলে কি লোকটা আজ ও আসবে না?
এত যত্ন করে যে সাজলো? ময়ূরাক্ষী ধাতস্থ হয়ে বললো,
“বুবু আমি ঘুমাবো৷ বড় মা কে গিয়ে বলো আমার খেতে ইচ্ছে করছে না৷”
রুপা চিন্তিত হলো৷ ফের বললো,
“কি হয়েছে তোর? দরজা খোল? ভেতরে আসতে দে আমায়৷আর এখানে শুয়ে আছিস কেন আমার ঘরে আয়৷ ভয় পাবি না ময়ূর?”

ময়ূরাক্ষী ঠোঁট কামড়ে ধরলো৷ রুপার কন্ঠে কান্না গুলো যেন বাধ ভাঙলো৷আদুরে হয়ে উঠলো, ইচ্ছে করলো ঝাপটে ধরে অভিযোগ জুড়ে দিতে৷ কিন্তু পারবে না সে৷ তাই বললো,
“বুবু উঠতে ইচ্ছে করছে না৷ যাও তুমি৷ ভয় পাচ্ছি না আজ এখানে থাকি আমি৷”
রুপা কি যেন ভেবে কথা বাড়ালো না৷ মেয়েটার যে কখন কি হয় বোঝা বড় দায়৷

এলোমেলো আটপৌরে শাড়ির আঁচল খানা অযত্নে গড়িয়ে আছে ছাদময়৷ চুড়ি গুলো অর্ধ হাতে আর অর্ধ ভাঙা অবস্থায় পরে আছে পায়ের কাছে৷ চুলের খোপাটাও খুলে এলোমেলো হয়ে আছে চুল গুলো৷ আজ ময়ূরাক্ষী প্রথম বার নিজের জন্য নয় অন্য কারো জন্য সেজেছিলো৷ অষ্টাদশী নিষিদ্ধ অনুভূতি দগ্ধ করেই ছাড়লো তাকে৷ ভস্ম করলো না চাইতেও৷
একটা মানুষের হৃদয়ে কতটা জায়গা তৈরি করে নিলে সে মানুষ টা কে তার অনুপস্থিতিতে মুমূর্ষু রোগীতে পরিনত করা যায় তা শাহওয়াজ জানে? জানে না ওই অভদ্র লোক৷

এ অনুভূতি থেকে বাঁচার জন্য প্রাণপণ ছুটলো কিন্তু পারলো কই? এখন সে নিজেই ওই অনুভূতির পিছনে ছুটছে৷ এ অনুভূতি থেকে নিস্তার নেই আর ময়ূরাক্ষীর৷ লোকটা ভালো না৷ ষড়যন্ত্র করেছে ওর সাথে প্রথমে নিজে ব্যাকুল হয়ে তাকে ব্যাকুল করেছে৷
লোকটা তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে এখন! আর সেই এড়িয়ে যাওয়াই দহনে পোড়াচ্ছে ময়ূরাক্ষীকে৷
লোকটা বাড়িতে নেই পনেরো দিন হলো৷ কোনো খবর ও নেই৷ গত কাল ফোন করে জানিয়েছে রুপাকে আজ সন্ধ্যায় আসবে৷ কত পরিপাটি করে সাজলো ময়ূরাক্ষী৷ কত যত্নে করে সাজলো৷

গোলাপি জামদানী দিয়ে আটপৌড় পরলো৷ আজ এই প্রথম আয়নার পানে তাকিয়ে লজ্জা পেয়েছিলো নিজেকে দেখে৷ দু-দন্ড ভালো করে তালায় ও নি নিজের দিকে লজ্জায়৷ এই প্রথম ময়ূরাক্ষী শাড়ি পরে নিজেকে নিজে পর্যবেক্ষণ করেনি৷ কিন্তু যার জন্য সাজলো সে আসলো না৷
ঘড়ির কাটা বারোর ঘরে নিদ্রায় আচ্ছন্ন চৌধুরী বাড়ি৷ হুট করেই গাড়ির শব্দে ধ্যাণ ভাঙলো ময়ূরাক্ষীর৷ পিলে চমকালো৷ তড়িৎ গতিতে উঠে রেলিং ধরে নিচের দিকে তাকালো৷ চিরোচেনা সেই কালো গাড়িটার দেখা মিললো৷ সবে ঢুকলো বাড়িতে লোকটা৷
তারমানে লোকটা সত্যি বলেছে কাল৷ দৌড়ে পা বারালো নিচে যাওয়ার জন্য৷

ততক্ষণে রুপা দরজা খুলে দিয়েছে৷ লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে বোধহীন হয়ে সত্যিই এগিয়ে গেলো সে দিকে৷
কত্ত দিন পর দেখলো লোকটা কে৷ শাহওয়াজ ভেতরে ঢুকতেই রুপা ক্ষানিকটা হেসে বললো,
“কারো নাকি ভালো লাগছিলো না তাই খেতে আসেনি৷ কিন্তু তোমার আওয়াজ পেয়ে কি সুন্দর একেবারে বউয়ের মত সেজে সামনে এলো৷ ”
শাহওয়াজ বেশ ক্লান্ত পরিশ্রান্ত৷ ক্লান্ত দেহটাকে যে দূর্বল করে দিলো আরো৷ অদুরে থাকা ছোট্ট দেহের অধিকারী মেয়েটার দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিললো৷ দুর্বল চিত্তে আড়ালে নিশ্বাস ফেললো৷কি বিধ্বংসী রুপ তার৷ না না গম্ভীরতা জারী রাখতে হবে৷ এর মাঝেই রুপা যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো৷ যেতে যেতে ময়ূরাক্ষীকে বললো,
“অপেক্ষা করেছেন৷ এবার আমার ভাইকে একটু সেবা যত্ন করুন৷ খাবার গরম করে ভাইকে খাবার দিন এবং নিজেও খেয়ে নিন আসছি আমি৷”

বলেই মাথায় হাত বুলিয়ে সে প্রস্থান করলো৷ রুপা যেতে দেরি ময়ূরাক্ষীর ভয়ংকর এক কান্ড ঘটাতে দেরি হলো না৷ ঝাপটে গিয়ে আছড়ে পরলো শাহওয়াজ এর এর বক্ষে৷ মিশে রইলো শাহওয়াজে বক্ষে৷ আলিঙ্গন করলো নিজ থেকে৷ এবং সর্বনাশ সাদরে গ্রহন করলো৷ ময়ূরাক্ষী উচভতায় এতটাই ছোটো শাহওয়াজ এর বুক অব্দি পরে৷
মেয়েটা কি জানে কি ভয়ংকর কান্ড ঘটালো মেয়েটা? শাহওয়াজ এর গলা শুকিয়ে আসছে৷ শাহওয়াজ কিছু বলবে তার আগে ময়ূরাক্ষীর শরীরের ভার সব শাহওয়াজ এর উপর ছেড়ে দিলো৷ আরেক দফা বিস্মিত হলো শাহওয়াজ৷ কোনোমতো মেয়েটাকে সামলে মুখের দিকে তাকালো৷ তপ্ত শ্বাস টানলো৷ যাক বাবা নিজে এসে নিজেই জ্ঞান হারালো?হাসলো শাহওয়াজ নিজের লাগেজ ফেলে অগত্যা প্রেয়সীকে তুললো৷ অতঃপর পা বাড়ালো রুপার কক্ষের দিকে৷ ভাবা যায় এ অষ্টাদশী মেয়েও শাহওয়াজ কে দূর্বল করে দিতে কারসাজি করছে? এ শাস্তি যে শাহওয়াজ দিবেই৷

..

ফজরের নামাজ পরে রুম্মন চৌধুরী আর শাহওয়াজ এসে বসলো পুকুরপাড়৷ শাহওয়াজ এর মতিগতি বোঝে না রুম্মন চৌধুরী, ছেলেটার হাবভাব বড়ই অদ্ভুত৷ মসজিদ থেকে যখন বের হলো হুট করেই অদ্ভুত একটা প্রশ্ন করলো শাহওয়াজ,
“ইনহেলার সাথে এনেছেন মেঝোবাবা?”
রুম্মন চৌধুরী এমন প্রশ্নে বেশ অবাক হয়েছিলো৷ সে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দেয়,
“হ্যাঁ এনেছি আব্বা৷ কেন?”
শাহওয়াজ হেসে তখন বলে,
“চলুন আপনার সাথে কথা আছে৷”
তারপরই এখানে এসে বসে৷ শাহওয়াজ বসতেই কাজের লোক এসে দুই কাপ চা দিয়ে যায়৷ নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই বলে গিয়েছিলো নামাজ শেষে এখানে থাকবে৷ কড়া করে দু-কাপ চা যেন দিয়ে যায়৷

“কি হইছে আব্বা? কিছু বলবা?”
শাহওয়াজ চায়ে চুমুক বসায়৷ রুম্মন চৌধুরী মুখ পানে তাকিয়ে বলে,
“আপনার স্ত্রী, আর মেয়ে কোথায় মেঝো বাবা?”
রুম্মন চৌধুরী আকস্মিক এহেন কথায় চমকায়৷ খানিক্ষন চুপ করে গম্ভীর স্বরে বলে,
“কি বলছো শাহওয়াজ? কিসের সন্তান? তুমিতো জানো তোমার চাচি আর আমার ছেলে মেয়ে নেই কোনো৷ ”
শাহওয়াজ ফের হাসি৷ তীক্ষ্ণ সেই হাসি অতঃপর বলে,
“মেঝোবাবা আমি মধুলতা চৌধুরী উহু মধুলতা শেখ এর ছেলে, আপনি আমায় সব এড়ালেও অজানা থাকবে না কিছু৷”
রুম্মন চৌধুরী গভীর নিশ্বাস নিলেন৷ আসলেইতো কাকে এড়াচ্ছে সে? রুম্মন চৌধুরীর কন্ঠ নিভলো বললো,
“আমি ভালোবেসেছি তাকে কিন্তু সে ভালোবাসার বদলে এক গুচ্ছ ছলনা দিয়ে গেছে আমায়৷ সবার বিরুদ্ধে গিয়ে আপন করেছিলাম আমি ওকে কিন্তু ও কখনোই ভালোবাসেনি আমায়৷ এমনকি ওর জন্য আমার সন্তান ও পৃথিবীতে আসেনি৷ মৃ’ত সন্তান জন্ম দিয়েছে প্রিয়দর্শিনী৷ বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে আমার সাথে অন্য কারো সাথে পালিয়েছে সব নিয়ে৷এবং আমায় মুমূর্ষু হৃদয়ের রোগাই বানিয়ে দিয়ে গেছে৷”

বলতে বলতে নিশ্বাস ভারী হলো তার৷ ইনহেলার বের করে কয়েকবার নিশ্বাস নিলো স্বাভাবিক হলো৷ শাহওয়াজ অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে৷ কি বলছে এগুলো? এসব তো ঠিক না৷ অন্য পালিয়েছে নাকি কিছু জানে না তবে মৃ’ত বাচ্চা কি করে?
শাহওয়াজ দুইটা ফাইল বের করে রুম্মন চৌধুরীর সামনে দিলো৷ কৌতুহল নিয়ে ফাইল দুটো নিলো সে কিন্তু যা দেখলো মোটেও প্রস্তুত ছিলো না৷ একটা ফাইল মেডিকেল বার্থ সার্টিফিকেট এর যেখানে স্পষ্ট আঠারো বছর আগে তার মৃ’ত সন্তান হয়নি৷ তার মেয়ে সন্তান হয়েছে এবং গ্রোথ ও ভালো ছিলো৷
আর একটা ফাইল যে হসপিটালে ছিলো ওখানকার ডিসচার্জ এর কাগজপত্র যাতে তার মা এবং বড় ভাই আকবর চৌধুরীর সাইন করা আছে৷
কি দেখছে এসব? সব কেমন ধোয়াশা লাগছে৷ তাহলে তার সন্তান কোথায়?

রুম্মন চৌধুরী বেশ উত্তেজিত হয়ে পরেছে তাই তাকে বেশি কিছু জিগ্যেস করতে পারলো না শাহওয়াজ৷ কিন্তু এটা অর্ধ পথে ফেলে রাখতে পারবে না সে৷ প্রিয়দর্শিনীর বাড়ির ঠিকানা মায়ের কাছ থেকে নিয়েছিলো শাহওয়াজ৷ কিন্তু এতবছর পর ওখানে গিয়ে কাউকে পাবে কি না কে জানে? প্রিয়দর্শিনী হলো শাহওয়াজ এর মায়ের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুবি যার খোঁজেই আসতে দিয়েছিলো তার মা তাকে এখানে৷ এখনো অনেক কিছু শাহওয়াজ এর কাছে অস্পষ্ট৷
এ বাড়ির মানুষ গুলো কতটা মুখোশধারী সব জানে শাহওয়াজ৷ আকবর চৌধুরীর বিয়ে শাহওয়াজ এর মায়ের চলে যাওয়া আসলেই কি সব স্বাভাবিক ছিলো?
মধুলতা শুধু রাবেয়াকে বিয়ে করে আনায় চলে যায়নি৷ এর পিছনেও কারণ আছে অনেক৷ আকবর চৌধুরীর বিয়ের আগের ঘটণা গুলো শাহওয়াজ এর মা শাহওয়াজ কে বলেনি এত দিন কিন্তু এখন সব যানে শাহওয়াজ৷ দুই-দিন বলে হুট করে এত দিন ঢাকায় থাকার ও অনেক কারণ ছিলো৷

শাহওয়াজ এর গাড়ি এসে থামলো গ্রামের অনেকটা ভেতরে একটা গোলির সামনে৷ এখান থেকে আর ভেরতে যাবে না গাড়ি তাই এখানেই রাখতে হলো৷ কয়েকজন কে প্রিয়দর্শিনীর বাবার নাম বলে পথ জানতে চাইলো৷ সে পথ অনুযায়ীই এগোলো শাহওয়াজ৷ একজন এ বাড়িটির সামনেই দিয়ে গেলো৷ গোবরের তীব্র গন্ধ ভেসে আসছে৷ সকাল সকাল তাই শঙ্খের আওয়াজ ও ভেসে আসছে৷
একটু এগিয়ে গিয়ে একটা বৃদ্ধ লোক দেখতে পেলো তাকে কৌতুহল নিয়ে জিগ্যেস করলো,
“এটা কি দর্শনা দাস এর বাড়ি?”
লোকটা গোয়াল ঝাড়ু দিচ্ছিলো৷ এত বছর পর চেনা নাম শুনে চমকায়৷ লোকটি অনেকটা বৃদ্ধ৷ কাঁপছে আর ঝড়ু দিচ্ছিলো৷ মাথা দুলালো সে মানে “হ্যাঁ ”
শাহওয়াজ আশেপাশে তাকিয়ে বললো,
“প্রিয়দর্শিনী আন্টি আর তার মেয়ে কোথায়?”

চলবে,

[ধৈর্য ধরুন সব জানতে পারবেন৷ আমি স্ব-ইচ্ছায় টানছি না গল্প বাড়ানোর জন্য৷ আমি গল্পটা যেভাবে ভেবেছি সেভাবেই লিখছি৷ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here