ময়ূরাক্ষী #তাফসিয়া_মেঘলা তেত্রিশ

0
330

#ময়ূরাক্ষী
#তাফসিয়া_মেঘলা

তেত্রিশ

সকাল থেকে অম্বরের মত মন ক্ষুন্ন করে বসে আছে ময়ূরাক্ষী৷ উসখুস করছে শুধু৷ ময়ূরাক্ষীর মনে মেঘ জমেছে৷ তবে আরো বড় বিষয় হলো রুপার মুখোমুখি হতেও লজ্জায় মাথা কাঁ’টা যাচ্ছে৷
ও শুনেছে রুপার কাছে ও যখন জ্ঞান হারিয়েছে তখন শাহওয়াজ নিজে কোলে করে নিয়ে রুপার ঘরে দিয়ে গেছে৷
ইশ কি লজ্জার ব্যাপার তাই না? নিজেই ঝাপটে ধরলো লোকটা কে ফের নিজেই জ্ঞান হারালো৷ রুপাবু আর লোকটা তাকে নিয়ে কি ভাবছে যেন৷
সকালে ঘুম ভাঙতেই রুপা রসিকতা করে বলছিলো,
“তোকে বললাম আমার ভাইকে খাবার দিতে৷ তুই ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে জ্ঞানই হারালি? তোর জন্য আমার ভাই না খেয়ে ছিলো৷ যে মেয়ে কথায় কথায় জ্ঞান হারায় এমন ভাইয়ের বউ লাগবে না আমার৷”
রুপাবুর কথায় ম’রি ম’রি অবস্থা ছিলো ময়ূরাক্ষীর৷ সেই তখনি দৌড়ে ঘরে এসে যে দুয়ার দিলো সে দুয়ার এখনো খুলেনি৷

আজ বাড়ির সবাই যাবে আশ্রমে, আকবর চৌধুরীর বাবার মৃ’ত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে আয়োজন করা হবে৷ শাহওয়াজ ও নিশ্চয়ই ওখানে থাকবে?
ময়ূরাক্ষী ভাবলো আজ যাবে না শরীর খারাপ এর বাহানায় বাড়িতেই থাকবে৷
ময়ূরাক্ষীর ভাবনার মাঝেই হাসির কন্ঠ পেলো৷ দরজায় জোরে জোরে কড়া নাড়ছে আর ডাকছে৷
তপ্ত শ্বাস টেনে উঠলো ময়ূরাক্ষী৷ দরজা খুলতেই শোনা গেলো হাসির বাজখাঁই কন্ঠ,
“সারা রাত ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি করে দিনের বেলা দুয়ার দিয়ে বসে থাকিস কাজ কে করবে সব? মা ডাকছে এসে উদ্ধার কর৷”
থমকালো ময়ূরাক্ষী৷ হাসি কি তবে কাল দেখেছে? তাহলেতো কেলেংকারী নিশ্চিত৷ ফস করে নিশ্বাস ছাড়লো ময়ূরাক্ষী৷ যা হবার হবে৷

নিচে নামলো ময়ূরাক্ষী তখন রাবেয়া টুকটাক গোছগাছ করছে প্রয়োজনীয় যে গুলো নিয়ে যেতে হবে৷ রাবেয়ার কাছে গেলো সে৷ খোদেজা দু-দিন যাবত বেশ অসুস্থ৷ সে সোফায় আয়াশ করে বসে আছে পাশেই জোবেদা৷ এর মাঝেই রাহেলা বললো,
“আম্মা আজকে আইসা বড় ভাইজানরে হাসির সাথে শাহওয়াজ এর বিয়ার কথাটা বলবেন৷ মাইয়াতো বড় হইতাছে বিয়াসাদী দিতে হইবো না?”

রাহেলার কথা চোখ মুখ কুঁচকালো খোদেজা৷ হাসি লজ্জা পেলো কেমন৷ ইশ শাহওয়াজ তার হবে?
রাহেলার কথায় জোবেদা তাচ্ছিল্য হাসলো৷ খোদেজা বিরক্ত হয়ে বললো,
“আহা সেঝো বউ এখনো কথা শিখলা না৷ কখন কি কোথায় কইতে হইবো৷ এই কথা এহন বলার সময়?”
রাহেলার মুখটা চুপসে গেলো যেনো৷ এর মাঝেই জোবেদা বললো,
“বুবু কোন কথা কখন বলতে হইবো এটার থেকে বড় কথা হইলো শাহওয়াজ সোনা থুইয়া পিতলে মুখ দিবো নাকি? ওর নজর পরছে ওই ময়ূরাক্ষীর উপরে৷”
বলেই আবার হাসলো৷ যা দেখে গা পিত্তি জ্বলে উঠলো রাহেলার৷ হাসির শরীর রাগে শিরশির করে উঠলো৷ আবার এই ময়ূরাক্ষী৷

মেয়েটার জন্য সব সময় ওকে কেউ পাত্তা দেয় না৷ এই মেয়ে ক কিছুতে এগিয়ে৷ রুপ গুন সব৷ শাহওয়াজ কে সে হারাতে পারবে না ওর তো শাহওয়াজ কে চাইই৷

বাড়িতে সবাই যখন যাওয়ার জন্য তোরজোর করছে তখন মৃদুলার মা এসে জানালো সে যেতে পারবে না মৃদুলার শরীর ভালো না৷ সুযোগ পেলো যেন ময়ূরাক্ষী ৷ তখন সে আগ বাড়িয়ে বললো,
“ছোটো মা তুমি যাও আমারো শরীর টা ভালো লাগছে না আমি আছি এখানে৷মৃদুর খেয়াল রাখতে পারবো আমি৷”

মৃদুলার মা প্রথমে রাজি না হলেও খোদেজার কথায় রাজি হলো৷ মেয়েটার কাক রাত থেকে জ্বর এ অবস্থায় তার মন কোথাও যাওয়ার জন্য সায় দিচ্ছে না৷ কিন্তু বাড়ির কাজে আবার না গেলেও হয় না৷ সে জানে ময়ূরাক্ষী নিজের থেকে ভালো করে মৃদুলার খেয়াল রাখবে৷
রুপার ময়ূরাক্ষীকে রেখে যেতে ইচ্ছে করছিলো না কিন্তু না গেলে দাদিজান রাগারাগি করবে৷ ভাইজান জানতে পারলে রাগ করবে, যাওয়ার আগে বলে গেছে ময়ূরাক্ষীর জন্য ঢাকা থেকে নতুন একটা বোরখা ও এনেছিলো বলেছে সে বোরখা পরিয়ে যেন নিয়ে যায় ওকে৷

হাসি যেন হাতে চাঁদ পেলো৷ আজ শাহওয়াজ কে একা পাওয়া যাবে, শুনেছে রুপার কাছে বড় চাচা শাহওয়াজ কে অনুরোধ করেছে সে যেন থাকে ওখানে৷ শাহওয়াজ বলেছে দুপুরের পর যাবে৷ যা করতে হবে আজই করতে হবে৷ শাহওয়াজ কে ওর চাই৷

সবাই মিলে রওনা হলো ময়ূরাক্ষী মৃদুলা দু-জন রইলো৷ এতে আকবর বেশ রেগেও আছে বটে৷ কিন্তু ময়ূরাক্ষীর আজ যেতে ইচ্ছে করছেনা৷
জ্বরটা সামান্য কমেছে তবে কিছুই খাচ্ছেনা মেয়েটা৷ তবুও দুষ্টুমি কমেনা এইযে মাত্রই কান গরম হওয়ার মত একটা কথা বললো,
“শাহওয়াজ ভাইজান চুমু দিয়ে তোমায় সুস্থ করে দেয়৷ ভাইজান আমায় ও চুমু দিলে কি আমি সুস্থ হয়ে যাবো বুবু?”
ময়ূরাক্ষী বড় বড় করে চাইলো৷ বললো,
“মৃদু তুই এত পাঁকা পাঁকা কথা শিখেছিস কোথ্যেকে? আসুক ছোটো মা বলবো আজ৷”
মৃদুলা খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো বললো,
“আমি জানি শাহওয়াজ ভাইজান তোমায় কেন চুমু খায়৷ ”
ফের কান গরম হয়ে গেলো ময়ূরাক্ষীর৷ চোখ রাঙিয়ে বললো,
“তোকে এত কিছু জানতে বলেছে কে? তুই না অসুস্থ? ঘুমা ঘুমা৷”

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবার হাকডাক শুরু করলো৷ নিমেষে তান্ডব শুরু হলো ঘন্টা ক্ষানেকের মাঝেই৷ বৃষ্টি আসার আগ মুহূর্ত সুন্দর কিন্তু বৃষ্টি আসার আগে এ ঝড় পছপ্নদ না ময়ূরাক্ষীর৷ বাইরে ঝ”ড় হচ্ছে কালবৈশাখী ঝড়৷
ময়ূরাক্ষীর বৃষ্টি বেশ পছন্দ কিন্তু ঝড় কেমন ভয় করে৷ মনে হয় অম্বরটা আবার কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে? কু-ডাকে মনে৷ এখনো বৃষ্টি হচ্ছে না ঝড়ের তান্ডব তীব্র হচ্ছে আরো৷
সবাই গেছে প্রায় তিন ঘন্টা হলো৷ দুপুর হয়ে এসেছে৷ সময় যত পার হচ্ছে ঝ’ড়ের তান্ডব যেন বাড়ছে৷ বেশ সময় মৃদুলার কাছেই বসে ছিলো৷ মেয়েটা জ্বরে ভুগছে তাও পাঁকা পাঁকা কথা শেষ নেই৷ নিচে নেমে এলো ময়ূরাক্ষী৷ মেয়েটা এখন ঘুমাচ্ছে৷ কাজের লোকদের বললো বাড়ির সব জানালা যেন আটকে দেয়৷ আকাশ রাতের মত অন্ধকারে নিমজ্জিত, টানা দু-দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিলো৷ তীব্র বাতাসে বন্ধ জানালায় বাতাস বাড়ি খেয়ে আরো বেশি শো শো শব্দ হচ্ছে৷ বাইরের গাছ গুলো ঝড়ের বেগে মর-মর শব্দ হচ্ছে মনে হচ্ছে এখনি সব ভে’ঙে ভুঙে আসবে৷ বাড়িতে দু-জন মেয়ে কাজের লোক ছাড়া কেউ নেই কেমন ভয় ভয় করছে তার৷ ওদিকে মৃদুলাও একা ঘুমাচ্ছে ভাবলো মৃদুলার কাছে গিয়ে বসবে পরক্ষণেই মনে হলো মেয়েটা জ্বর হলে কিছুই খেতে পারেনা সুপ বেশ পছন্দ করে তাই বানিয়ে নিয়ে যাওয়া যাক৷

..

আশ্রমে ভরপুর আয়জন চলছে, শাহওয়াজ গেলো ঝ’ড়ের মাঝেই সবে তখন বস্ত্র বিতরণ করছিলো৷ গিয়ে আকবর চৌধুরীর ইশারায় তার পাশে দাঁড়ালো৷ এখানে এসে শান্তি লাগছে কেমন শাহওয়াজ এর৷ সে ও তার মায়ের নামে আশ্রম করবে একটা৷ হুট করেই কিছু কথা কর্ণপাত হতেই মনোসংযোগ বিরাম পরলো৷ কাউকে খুঁজলো এদিক ওদিক৷ আশেপাশে দৃষ্টি বুলালো৷ অতঃপর রুপার কাছে গিয়ে জিগ্যেস করলো,
“ময়ূরাক্ষী কোথায়?”
রুপা তপ্ত শ্বাস টেনে বললো,
“ভাইজান ও তো আসেনি বাড়িতেই আছে৷ মৃদুলা অসুস্থ তার উপর ওর ও নাকি খারাপ লাগছিলো৷”
চমকালো শাহওয়াজ৷ এ ঝড়ের মাঝেই হন্তদন্ত হয়ে গাড়ির দিকে ছুটে গেলো অতঃপর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো কোথাও৷ আকবর চৌধুরীর বস্ত্র বিতরণ শেষ তখন ছেলেকে এমন হন্তদন্ত হয়ে বেরোতে দেখে মেয়েকে শুধালো,
“কোথায় গেলো শাহওয়াজ?”
রুপা উত্তর দিলো,
“বুঝতে পারছিনা বাবা ময়ূরের কথা জিগ্যেস করলো তারপর বেরিয়ে গেলো৷”

..

মৃদুলার জন্য সুপ করলো ময়ূরাক্ষী, বেশখানিক্ষন হলো মেয়েটা একা আছে সুপটা নিয়ে উপরে যাওয়ার জন্য এগোবে ঠিক তখনি কলিংবেলটা চাপলো কেউ৷ বাইরে যা ঝড়তুফান হচ্ছে এ সময় আবার কে এলো?
কাজেরলোকেদের ময়ূরাক্ষীই পাঠিয়ে দিয়েছে তখন এখন একাই আছে বাড়িতে৷ সুপটা রাখলো টি টেবিলের উপর অতঃপর এগিয়ে গিয়ে দরজা খুললো৷ দরজা খুলতেই নিহান এর দেখা মিললো৷ এ লোক আবার এখানে কি করছে? আত্মা কেমন কেঁপে উঠলো ময়ূরাক্ষীর৷

কম্পিত গলায় বললো,
“ভাইজান সবাইতো আশ্রমে গেছে৷ আপনি এখন?”
নিহান বিশ্রী ভাবে হাসলো বললো,
“আমার তো সবাকে দরকার নেই বেইব, আমার তো তোমাকে দরকার৷”
বলে আবার হাসলো৷ ময়ূরাক্ষী ভীত হলো তৎক্ষণাৎ মেইন দরজাটা লাগাতে যাবে তার আগেই ধা’ক্কা দিয়ে খুলে দিলো নিহান৷
ময়ূরাক্ষী এবার একটু সাহস নিয়ে বললো,
“মানে কি? কি রকম অসভ্যতামো এসব? আপনি এখন যান এখান থেকে নয়তো চিৎকার করবো বলে দিলাম৷”

নিহান এগিয়ে গিয়ে খপ করে হাতটা ধরে বললো,
“আমার জানামতে চৌধুরী বাড়ির আশেপাশেও কারো বাড়ি নেই৷ আর আকবর চৌধুরীর যা আলিশান বাড়ি থাকলেও কেউ শুনতোনা৷ তুমি চিৎকার করতে পারো সমস্যা নেই৷ ”
বলেই ময়ূরাক্ষীর ওর্নাটা ধরে টান দিলো৷ ঘাম ছুটলো ময়ূরাক্ষীর শরীর থেকে শরীর কাপছে৷ সর্বশক্তি দিয়ে নিহান থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে সামনে টি টেবিলে থাকা গরম সুপটা ছুড়ে দিলো নিহানের শরীরে অতঃপর দৌড় লাগালো উপরের দিকে৷

দৌড়ে এলো মৃদুলার ঘরে দুয়ার আটকে বসলো৷ বুক চিঁড়ে কান্না আসছে যেন৷ এখন কি করবে ও? কে বাঁচাবে ওকে?কেউ নেই৷ আশেপাশে কিছু খুঁজলো ময়ূরাক্ষী৷ যাওয়ার সময় রুপা তার ফোন দিয়ে গিয়েছিলো ময়ূরাক্ষীকে৷ কিন্তু ফোনটা রেখেছে কোথায় তাই খুঁজে পাচ্ছে না৷ এর মাঝেই দরজায় লাথি পরছে জোরে জোরে৷ এ দরজা খুব একটা শক্ত না মৃদুলা থাকে বলে সহজেই যেন খোলা যায় এমন ভাবে বানানো৷

হাতরে ফোন টা খুঁজে পেলো ময়ূরাক্ষী৷ প্রথমেই রেহানের নাম্বার পেলো৷ রেহানের ফোন বন্ধ৷ কয়েকবার চেষ্টা করলো৷ দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছে ময়ূরাক্ষী৷ বার বার ফুঁপিয়ে উঠছো৷ চোখ মুখ লাল হয়ে আছে৷ এইটুকু শরীর কি এতো জোরে ধাক্কা সামলাতে পারে দরজার?
নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দরজা চেঁপে৷ রেহানকে অনেকবার ফোন করে পেলোনা৷ বড় বাবা ছোটোমা কাউকে পেলো না৷ হুট করেই কন্ট্রাক্ট লিস্টে শাহওয়াজ এর নাম্বার খুঁজে পেলো শাহওয়াজকেই ফোন লাগালো দুইবার রিং হতেই ধরলো ফোনটা কিছু বলবে তার আগেই ঠাস করে দরজা টা খুলে গেলো৷

ময়ূরাক্ষী গিয়ে ছিঁটকে পরলো দূরে৷ আকুতি ভরা কন্ঠে বললো,
“দয়া করে আমায় ছেড়ে দিন৷ এমন কেন করছেন? আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি?”
নিহান পৈশাচিক হাসলো বললো,
“আহা তেজ কোথায় গেলো বেবি? সে দিনিতো থাপ্পড় দিয়ে ছিলে৷ আজ সে তেজ কোথায়?”
বলে এগোলো ময়ূরাক্ষীর দিকে ময়ূরাক্ষী জোরে জোরে কেঁদে উঠলো৷ নিহান কোমর পেঁচিয়ে ধরলো ময়ূরাক্ষীর, এবারো সরে যেতে চাইলো কিন্তু ধরে ফেললো নিহান৷ হেঁচকা টান দেওয়ার পেঁটের কাছের জামাটা ফট করে ছিঁড়ে গেলো সেদিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকালো৷ এর মাঝেই মৃদুলা উঠে গেছে৷

ময়ূরাক্ষীর এ অবস্থা দেখে উঠে গিয়ে নিহানের শার্ট খামচে ধরে বললো,
“ছাড়, ছাড় আমার বুবুকে৷”
অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো নিহান হাত আলগা হতেই নিজেকে ছাড়িয়ে বারান্দার দিকে এগিয়ে গেলো৷ চিৎকার করতে লাগলো৷ “বাঁচান, বাঁচান” বলে৷ কিন্তু এ আর্তনাদ শুনে কে?
নিহান ঠাস করে থা’প্পড় মারলো মৃদুলার গালে বললো,
“এই মাইয়া বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোর বুবুর সাথে তোরেও…৷ ”

বলে বিচ্ছিরি হাসলো৷ ময়ূরাক্ষী ডুকরে কেঁদে উঠে বললো,
“মৃদু বোন তুই পালা৷ পালা তুই৷ ”
নিহান ও গেলো বারান্দায় ময়ূরাক্ষীর পেটে স্পর্শ করলো ঝাপিয়ে পরলো ময়ূরাক্ষীর উপর বিশ্রী ভাবে গলায় মুখ ডুবালো৷ ময়ূরাক্ষীর শরীর ঘিনঘিন করছে সর্ব শক্তি দিয়েও কিছু করতে পারছে না৷ এর মাঝে ফের মৃদুলা এলো পেছন থেকে খামচে ধরলো নিহানের হাত৷ কামড় বসিয়ে দিলো সেই হাতে নিহানের রাগ আকাশ ছুলো হুট করেই এক ভয়ংকর কান্ড ঘটালো ফের থা’প্পড় দিয়ে বারান্দার রেলিং এর উপর উঠিয়ে ধাক্কা মা’রলো নিচে ফের ঝাপিয়ে পরলো ময়ূরাক্ষীর উপর৷ থমথমে হলো পৃথিবী বৃষ্টির আগমন ঘটলো ময়ূরাক্ষী খেই হারালো৷ উগ্ররুপ ধারণ করলো যেন “মৃদুলা” বলে চিৎকার করে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সুঠাম দেহের অধিকারী নিহানকে সরিয়ে সে ও ঝাপিয়ে পরলো বারান্দা দিয়ে৷

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here