ভালোবাসা_তারপর #পর্ব:১৪ #তামান্না_শাহরিন_শশী

0
167

#ভালোবাসা_তারপর
#পর্ব:১৪
#তামান্না_শাহরিন_শশী

কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত।

অনুমতি ব্যাতিত কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে সাঈফ এসেছে। শব্দেরসাঈফের পাশেই বসে আছে। রোদসী নিচে নামতেই সাঈফ কেমন অদ্ভুত চোখে তাকালো। রোদসী কেমন কেমন অনুভব হলো তবুও কিছু না বলে শব্দকে প্রশ্ন করে,

“ডেকেছিলে ভাইয়া? কিছু বলবে?”

“হ্যাঁ বস।”

রোদসী বসলো। শব্দের কথা শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে রইলো শব্দের মুখ পানে। তবে শব্দ কিছু না বলে আবারো সাঈফের সাথে কথা বলতে মত্ত হলো। তাই রোদসী বিরক্তিতে মুখ নামিয়ে চুপচাপ বসে ছিলো। কিছুক্ষণ বাদে শব্দ বলে তাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসতে আর সাঈফের জন্য চা, আর শব্দের জন্য কফি বানিয়ে আনতে। রোদসী উঠে চলে গেলো। কিচেনে আগে থেকেই মিলিখালা উপস্থিত ছিলো। রোদসী দাঁড়িয়ে চা, এবং কফি বানাতে লাগলো। মিলিখালা আগে থেকেই নাস্তা তৈরি করে রেখেছিলো তাই তার আর বানাতে হলো না। সব কিছু সাজিয়ে আবারো ড্রইংরুমে এসে শব্দকে কফি আর সাঈফকে চা দিলো। সাঈফ চা নেয়ার সময় কেমন মুচকি হাসলো তা রোদসীর ভাল লাগলো না। তবে ভাইয়ের বন্ধু বলে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না। তারপর রোদসী শব্দের পাশেই বসে পড়লো। শব্দ কফি খেতে খেতে রোদসী কে রুমে চলে যেতে বললো রোদসী উঠে রুমে এসে সোজাসুজি বিছানায় সুয়ে পড়লো। আজকাল কেমন একটুতেই হাঁপিয়ে ওঠে রোদসী। মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। ডাক্তার দেখাতে হবে। কিন্তু তার জন্য বাড়ির বাহিরে যেতে হবে। যা রোদসী চায় না। এসব ভেবেই রোদসী বড় নিঃশ্বাস টেনে চোখ বোঝে।

——

“ভাইয়া।”

উচ্ছ্বাস দরজার দিকে তাকায় উদয় দাঁড়িয়ে আছে তার ঘরের সামনে। উদয় ঘরে এসে ডিভানে বসে তারপর সাহস করে বলে,

“কি হাল করে রেখেছো নিজের? সে খেয়াল আছে? অফিসেও যাচ্ছো না। ব্যবসা লাটে উঠবে। সবাই তো রোদসীকে খুঁজছে তবুও তুমি পাগলামি কেনো করছো।”

উচ্ছ্বাস উচ্চশব্দে হাসলো। হেসে বলে,

“যে নিজে থেকে হারায় তাকে কি করে খুঁজবো? তাকে পাবি না।”

মুখটা কেমন অসহায় দেখালো। তারপর কেমন কন্ঠে উদয়কে প্রশ্ন করে,

“আচ্ছা আমি কি অনেক খারাপ? আমার দোষ আমি ওকে বেশি ভালোবাসতাম এটাই? এই কারণে ও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে? বল? কই তোরা তো ছেড়ে গেলি না??”

উদয় ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে গেলো তা দেখে উচ্ছ্বাস আবারো হেসে উঠলো। উদয়ের ভাইয়ের জন্য খারাপ লাগলো। কিছুটা সাহস করে উচ্ছ্বাসকে বলে,

“ভাইয়া তোমার চেইকআপ করানো উচিত!”

“তুই কি বলতে চাইছিস আমি আসলেই মানসিক রোগী? পা গ ল!”

“সেটা বলছি না। তুমি নিজের দিকে খেয়াল করছো না। তাই একবার মেডিকেল চেইকআপ করো। আর অফিসে বসবে। আমি এতো কিছু সামলাতে পারবো না। আমি কিছু জানি না। তুমি এটাই করবে।”

এই বলেই উদয় চলে যায়। আর উচ্ছ্বাস ওর যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে। উদয় আর রুহির বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। রুহি রোদসীকে ছাড়া বিয়ে করবে না। যতদিন না রোদসীর খোঁজ পাওয়া যায় ততদিন বিয়েও হবে না। তাই রোদসীকে এখনো সবাই খুজেঁ চলেছে।আদোও রোদসী কোথায় আছে কেউ জানে না। একমাত্র তার জন্য রোদসী পালালো আর এই কারণে ছোটো ভাইয়ের বিয়েটাও আঁটকে আছে। উচ্ছ্বাস হতাশনিঃশ্বাস ত্যাগ করে চোখ বুঝলো। আর ভাবলো আসলেই তার ডাক্তার দেখানো উচিত। সে পা গ ল হয়ে গেছে।

——–

“সাঈফ তোমাকে পছন্দ করে। তোমাকে বিয়ে করতে চায়! আমি বলেছি তোর থেকে মতামত নিয়ে জানাবো।”

“হোয়াট?”

চেঁচিয়ে উঠলো রোদসী। তারপর রাগীকন্ঠে বললো,

“কি যা-তা বলছো এসব ভাইয়া। তুমি উনাকে বলো নি যে আমি বিবাহিত? আর তুমিও এই প্রস্তাব রাখলে কি করে? মাহাদীর সাথে আমার ডিভোর্স পর্যন্ত হয় নি। মাহাদী জানতে পারলে কি হবে জানো তুমি? আর তুমি কি পাগলামি শুরু করেছো? তুমি ঠিক আছো?”

“আমি ঠিকই আছি। আমি চাই তুই নতুন করে জীবন শুরু কর। না হলে মাহাদীর কাছে ফিরে যা।”

“আমি জানি ও আমাকে অনেক ভালোবাসে। আর পালানোর পরে এখন আমাকে পাগলের মতো খুঁজছে। এখন যদি আমি ফিরে যাই মাহাদী আমাকে মেরেই ফেলবে! তুমি কি চাও আমি ফিরে যাই।”

“তাহলে কি করবি? এভাবেই থাকবি? লোক জন কি ভালো বলে?”

“ভাইয়া আমি তোমার বাসায় থাকি খাই। এতে অন্য মানুষের বলাবলি বা কথায় আমার কিছু যায় আসে না। তুমি তোমার কলিগ কে না করে দেবে। আমি এইসব পছন্দ করি না। আর বাড়াবাড়ি করলে আমি এখান থেকেও চলে যাবো!”

“কোথায় যাবি? কোথাও যাবার যায়গা আছে? সেই প্রথম থেকে তো এখানে ঘাপটি মেরে থাকছিস! তুই এখানে থেকে বের হলেই তোর মাহাদী তোকে পেয়ে যাবে। তারপর কি হবে তা আমারও ভাবনার বাহিরে। তুই তো জানুস তোর স্বামী কেমন!”

রোদসীকে ভীত দেখালো ঠিক তবুও রোদসী তার মতামত থেকে নড়লো না। রোদসী এমন অটল সিদ্ধান্তে শব্দও মনে মনে খুশি হলো তবে মুখে কিছু না বলে স্থান ত্যাগ করে।

—–

“আপুর কোনো খোজঁ পেলে উদয়?”

উদয়ের মখ চিন্তিত দেখালো। তারপর উত্তর করলো,

“না খুঁজছি। রোদসী এমন বোকামি করবে তা আমার কল্পনাতেও আসে নি। এভাবে কেউ পালায়? আল্লাহ জানে কোথায় আছে কি অবস্থায় আছে।”

রুহি উদয়ের মুখের দিকে তাকিয়েই ছিলো। আসলেই আপু এতো বড় গাধামী কিভাবে করলো?

——–

“ভাইয়া আসবো?”

উদয় দরজার দিকে তাকালো। বৃষ্টি দাড়িয়ে আছে। এতো রাতে বৃষ্টিকে দেখে উদয় অবাক হলো চোখ ঘুরিয়ে ঘরির দিকে তাকালো বারোটা বাজতে চলেছে। কিঞ্চিৎ চিন্তিত হয়ে আসতে বললো। বৃষ্টিকে কেমন যেনো লাগছিলো মনে হচ্ছিলো কোনো ব্যাপার নিয়ে ভয় পেয়েছে অথবা চিন্তিত। বৃষ্টি ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে উদয়ের কাছে ডিভানে বসে। উদয় অবাকের ওপর অবাক হয়। বৃষ্টির সাথে তার সম্পর্ক ওতভালো নয়। তাহলে হুট করেই এমন ব্যাবহার করছে কেনো উদয় তা মেলাতে পারলো না। তবুও নিজেকে শান্ত করে বৃষ্টি কে শুধায়,

“কি হয়েছে? তোকে এমন লাগছে কেনো?”

ভাইয়া যা বলছি মন দিয়ে শুনো। আর হ্যাঁ উচ্ছ্বাস ভাইকে বলো না। তাহলে ধ্বংস করে ফেলবে

“কি ধ্বংস করবে কি যা তা বলছিস?”

উদয়ের মাথায় ঢুকছিলো না বৃষ্টি কিসের ব্যপারে বলছে। এবার বৃষ্টি একটু নড়েচড়ে বসে বলে,

“ভাবীকে মা পালাতে সাহায্য করেছে।”

উদয় চমকে বৃষ্টির দিকে তাকায়। বৃষ্টি মাথা নাড়িয়ে আবারো বলতে শুরু করে,

“আমি মাত্রই মা কে কারো সাথে কথা বলতে শুনেছি। তিনি কাকে যেনো বলছিলো, মেয়েটাকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করলাম। নাম হলো পালিয়েছে। তবে লাভ কি হলো তোদের কাছে তো যায় নি। কি জানি কোথায় গেলো। আমার ভীষণ ভয় করছে। উচ্ছ্বাস বা বাড়ির কেউ এ ব্যাপারে জানলে আমাকে অস্ত রাখবে না। মেয়েটা যে কই গেলো। আদোও বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না।”

উদয়ের মুখ শক্ত হয়ে উঠলো। ঘরের মধ্যেই কাল সাপ পুষেছে। উদয় দাঁড়িয়ে যায় তা দেখে বৃষ্টিও তাড়াহুড়ো করে দাঁড়ায় এবং বলে ভাইয়া মথা ঠান্ডা করো। ভুল করে কোনো স্টেপ করে ফেল্লেই আমাদেরই ক্ষতি। উনি যা করছে তার ফাঁদে তাকেই ফালাতে হবে। আর ভাইকে জানানো জাবে না। আর শোনো ভাইয়াকে ডাক্তার দেখানোর ব্যাবস্থা করো।

উদয়ও ব্যাপারটা বুঝলো বৃষ্টি মন্দ বলে নি। যা করতে হবে মাথা ঠান্ডা করে করতে হবে। রোদসী কোথায় আছে তা খুঁজতে হবে। আর ভাইকেও ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ করতে হবে।

——-

“ভাইয়া কোথায় যাচ্ছো?”

“ডাক্তারের কাছে।”

উদয় অবাক হয়ে তাকালো। ঊষা কেবন পানি মুখে দিয়েছিলো ভাবে বলে। ছিটকে বেরিয়ে পড়বো বৃষ্টির ওপর। বৃষ্টি রিয়াকশনও ছিলো ভুত দেখার মতো। উচ্ছ্বাস সবার রিয়েকশন দেখে বিরক্তবোধ করলো। সে ডাক্তার দেখাবে এতে এমন রিয়াকশন দিয়ের কি আছে?

উদয় ভাইয়ে ভালো করে দেখে। বোনদের দিকে তাকিয়ে বলে,

“আমি যা শুনেছি। তোরাও তাই শুনেছিস?”

বৃষ্টি আর ঊষা বোকার মতো মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বোঝায়। ওদের এমন কর্মকান্ড দেখে উচ্ছ্বাস ওখানে থেকে বেড়িয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্য রওনা হয়।

—-

দরজা লাগানোর শব্দ শুনে মিসেস বিপাশা চমকে তাকায়। উদয়কে দরজা লাগাতে দেখে কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়ে চেঁচিয়ে উঠে,

কি হয়েছে কি? তুই আমার রুমে কি করছিস? আর দরজা লাগালি কেনো?

হয়েছে তো অনেক কিছুই। তার আগে বলো তুমি কি চাও?

এটা বলেই পুরো রুমে চোখ বহলিয়ে বিছানায় আধসোয়া হয়ে বসে উদয়। তা দেখে রেগে উঠে মিসেস বিপাশা বেগম।

হচ্ছে কি উদয়। হঠাৎ করে এসেছো ভালো কথা। এইসব কি কান্ড? আর কি চাই বলতে কি বলতে চাইছিস?

সেটা তো তুমিই যানো। দেখো আমি ঠান্ডা ভাবে ব্যাপারটা মিটাতে চাচ্ছি তবে এটা ভাইয়ার কানে গেলে কি কি ভয়ংকর কান্ড হবে তা আমার থেকে তুমি ভালো জানো।

কাধ উঠিয়ে কথা বলে। গা ছাড়া ভাব নিয়ে উঠে বসলো উদয়। মিসেস বিপাশা বেগম ভিতরে ভিতরে চমকে উঠে। উদয় কিসের ব্যাপারে বলছে? সব জেনে গেছে? কিন্তু জানলো কি করে? এসব ভাবতে ভাবতেই মিসেস বিপাশা বেগম ঘেমে একাকার। উদয় তা দেখে হাসলো। তারপর মিসেস বিপাশা বেগমের সামনে এসে বলে,

ভালোয় ভালোয় বলো রোদসী কোথায়? আর ওকে পালাতে সাহায্য করেছো কেন? কি কারণে?

আমি জানি না ওই মেয়ে কোথায়। সত্যি বলছি।

আবারো জিজ্ঞেস করছি ভালোয় ভালোয় বলো রোদসী কোথায়? ভাইয়া আসলে কিন্তু আমার মতো ভালো মানুষির ব্যবহার করে জিজ্ঞেস করবে না!

আমি সত্যি বলছি ও কোথায় জানি না।

বলেই মিসেস বিপাশা বেগম কান্না করে দিলেন।

তাহলে ওকে পালাতে সাহায্য করেছো কেন? কারণ কি? আর কোথায় পাঠাতে চেয়েছিলে? বলো কোথায়?

আমি ও সাহায্য করিনি। পথের কাটা সরিয়েছি শুধু মাত্র। আমি তো চেয়েছিলাম প তি তা লয় পাঠাতে সেখান থেকে ও আর আসতে পারতো না কিন্তু ভাগ্যবশত রোদসী ওখানে ও যায়ই নি।

এই কথা শুনে উদয়ের মাথায় রক্ত উঠে যায়। রক্তচোখ নিয়ে বিপাশা বেগমের দিকে তাকিয়ে বলে,

কেনো চাচী? ও কি ক্ষতি করেছে? ও বুঝিছি! ও তোমার সতিনের ছেলে আর ছেলের বউ এর জন্য? নাকি সম্পতির জন্য? তার জন্য এমন কাজ করবে? রোদসীর জায়গায় একবার বৃষ্টিকে ভাবো তো?

বিপাশা বেগম চমকে তাকালো উদয়ের দিকে। তা দেখে উদয় হাসলো।

কি এখন ভাবতে বুক কেপে উঠছে? নিজের মেয়ের কথা শুনে এমন লাগছে? রোদসীও তো কারো মেয়ে! আচ্ছা চাচী, মানুষ খারাপ হতে পারে কিন্তু মায়েরা তো খারাপ হয় না। তাহলে তুমি এমন করলে কেন? ঠিক আছে ও তোমার দেয়া ঠিকানার ওখানে যায় নি? তাহলে এখন কোথায় রোদসী? আদোও ঠিক আছে কিনা তার কি গ্যারান্টি আছে বা ও ভালো কোথাও আছে?

উদয় ঘৃনায় মুখ ফিরিয়ে নেয়। তা দেখে বিপাশা বেগম শব্দ করে কান্না করে দিয়ে বলে,

বাবা আমাকে মাফ করে দে। আমি সত্যি এমনটা করতে চাইনি। সম্পতির লোভে কি থেকে কি করে ফেলেছি বুঝতে পারিনি।

ক্ষমা করবো তোমাকে? আর লোভ এগুলো করে কি পেলে? সবাই যখন জানবে সবার ঘৃণা নিয়ে বাচঁতে পারবে তো। আর বৃষ্টি? ওর চোখে চোখ রাখতে পারবে তো?

মিসেস বিপাশা বেগম কেমন যেনো করে উঠলেন। মুখটা পাংশুটে বর্ণ দেখালো। ঘামতে লাগলেন। উদয় তার মুখ দেখে থামলো। কিন্তু বিপাশা বেগম আর কিছুই দেখতে পেলেন না! তারপর… সব অন্ধকার।

——

ডাক্তার, চাচীর কি অবস্থা?

ড.মুনীব শব্দ মাত্রই অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হতে উদয় শব্দকে উদ্দশ্য করে প্রশ্নটি করলো। শব্দ আশেপাশে তাকিয়ে বললো,

আমরা আমাদের চেষ্টা করেছি। উনি কিছু দিন যাবত অনেক চিন্তায় ছিলেন। তাই ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেছিলো। সাথে স্ট্রোক করেছে। এখন সময় বলে দেবে কি হবে। আমাদের হাতে কিছুই নেই। এক্সকিউজ মি.. বলেই শব্দ স্থান ত্যাগ করলো।

দূরে বৃষ্টি দাড়িয়ে সব শুনছিলো ঊষাও তারএক পাশে বসে ছিলো। শব্দের কথা শুনে বৃষ্টির কান্না বেগ বেড়ে যায়। ঊষা বৃষ্টিকে ধরে বসে ভাইয়ের মুখলর দিকে তাকালো। উদয়ের মুখেও চিন্তার ভাজ।

চলবে…..

ভুলত্রুটি ক্ষমা মার্জনীয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here