তোমার_জন্য_সিন্ধুর_নীল #পর্ব_৩১ #সারিকা_হোসাইন

0
129

#তোমার_জন্য_সিন্ধুর_নীল
#পর্ব_৩১
#সারিকা_হোসাইন

*********
সময় বহমান,নদীর স্রোত যেমন ধীরে ধীরে বয়ে চলে ঠিক সেভাবেই সময় চলে যায় সকলের অলক্ষে।বিভিন্ন ব্যাস্ততায় মানুষ তা ঠাহর করতে পারেনা।যে সময় একবার চলে যায় তাকে আর কখনো ফিরিয়ে আনা যায় না শুধু থেকে যায় আফসোস।

ঠিক সেভাবেই প্রত্যেকের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ একটি বছর।
এই এক বছরে মুহিত তার জীবনের সকল ঝামেলা উৎপাটন করতে সক্ষম হয়েছে।শুধু তাই নয় তার বাবার তৈরি পুরাতন বাসটাকে সু সজ্জিত করে দিয়েছে নতুন রূপ।

স্বর্গ এখন একজন মিলিটারি ফিজিসিয়ান ক্যাপ্টেন,নিজের দায়িত্ব কর্তব্যে এক চুল গাফিলতি তার পছন্দ নয়।

নামিরার ছেলেটা এখন সাড়ে চৌদ্দ মাসে পা দিয়েছে।আধো আধো বুলিতে নানান ধরনের শব্দ আওড়ায় সে আর থপ থপ করে ঘুরে বেড়ায় সারা বাড়ি।

সোহাগ তার পূর্বের ভার্সিটিতে আবার ইংলিশ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছে।

ধরতে গেলে মিসেস তারিনের পরিবার অনেকাংশেই সুখী সমৃদ্ধি পরিবার।
সব কিছুই আছে মিসেস তারিনের সংসারে শুধু নেই আদরের ছোট পুত্র মুকিত আর ভালোবাসার মানুষ টা।

――――――
মিসেস তারিন ,মুহিত,সোহাগ আর নামিরা বসে আছে নাফিজ মাহমুদ এর ড্রয়িং রুমে।
একটু আগে বিভিন্ন নাস্তার পসরা সাজিয়ে দিয়ে গিয়েছেন বাড়ির হেল্পিং হ্যান্ড ফতেমা।
মুহিত চোরের মতো গোপনে গোপনে খুঁজে চলেছে তার মনের রাজ্যের রাজকুমারী কে।কিন্তু কোথাও তাকে দেখা যাচ্ছে না।
মুহিতের ধৈর্য্যের বাঁধ যেনো ভেঙে যাচ্ছে,বুক ধুকপুক করছে।
দীর্ঘ ছয়মাস ধরে সে তার প্রিয়তমা কে দেখতে পারছে না।

মুহিত,সৌম্য আর আদ্রিয়ান নিজেদের পদমর্যাদা বাড়াতে কঙ্গো তে গিয়েছিলো ছয়মাসের একটা মিশনে ।
সেখানে মুহিতের কাজ ছিলো বিভিন্ন ডিভাইস এর উপর।সারাক্ষন স্ক্রিনে নজর রাখতে হতো।
যার জন্য মুহিত বাসার কারো সাথেই খুব একটা যোগাযোগ রাখতে পারেনি।
মাঝে মাঝে দুই তিন মিনিটের জন্য কথা বলার সুযোগ পেতো।আর নেটওয়ার্ক এর অবস্থা এতো বাজে, ভিডিও কলে কথা বলার সৌভাগ্য হয়নি কারো সাথেই মুহিতের।

এজন্য মিশন থেকে ফিরেই পরিবার নিয়ে এসেছে নাফিজ মাহমুদ এর বাড়িতে।
আজই সে আংটি পরিয়ে রাখবে এবং মিশনের সকল কাজ অফিসিয়াল সাবমিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে স্বর্গকে নিজের ঘরে তুলবে।

স্বর্গ অবশ্য জানেনা আজ মুহিত আসবে,তনুজাও জানতেন না হুট করে মুহিত তার ফ্যামিলি নিয়ে চলে আসবে।

মুহিত কিছুক্ষন উশখুশ করে নামিরাকে চিমটি কাটলো।
নামিরা চোখ গরম করে মুহিতের দিকে তাকাতেই অসহায় এর মত ফেস করে মুহিত বলে উঠলো
―মামী কে জিজ্ঞেস কর না আমার বউটা কোথায়?

নামিরা কটমট করে বললো এতো নির্লজ্জ কেনো তুই?বিয়েটা আগে হতে দে, পরে না হয় সারাক্ষন বউ বউ করিস।

মুহিত দাঁত পিষে বললো

“যেটা করতে বলেছি সেটা কর না হলে তোর ছেলের কান মলে দিব আমি।”

ছেলের কান মলার কথা শুনতেই ছেলের দিকে তাকালো নামিরা,দেখতে পেলো মুহিত অলরেডি তার ছেলে ‘শুদ্ধর ” কান ধরে আছে।

বাসায় গিয়ে তোকে দেখছি বলেই নামিরা ইতস্তত করে বলে উঠলো
―মামী স্বর্গকে কোথাও দেখছি না,

তনুজা স্মিত হেসে বললেন

“আসলে তোমরা আসবে এটা স্বর্গ জানতো না,ও সিএমএইচ এ গেছ। ইমারজেন্সি কল করেছে ওখান থেকে”

মিসেস তারিন বলে উঠলো

“আসলে আজ শুক্রবার এজন্য আমরা ভেবেছি ও হয়তো বাসাতেই আছে!তাই সারপ্রাইজ দিতে এলাম!

“সারপ্রাইজ দিতে এসে নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেলাম ”
মিনমিন করে বলে উঠলো মুহিত।

একটু পর হন্তদন্ত হয়ে নাফিজ মাহমুদ বাসায় ফিরে মিসেস তারিনের সাথে কুশল বিনিময় করে মুহিত কে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেলেন।

“তা বাবা মুহিত ওখানে কি অনেক পরিশ্রম হয়েছিল নাকি?একদম শুকিয়ে কালো হয়ে গেছো!”

“”আসলে স্যার প্রচুর ঘুম কামাই করতে হয়েছে,দিনে রাতে মিলিয়ে আমি সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো সময় পেয়েছি ঘুমানোর জন্য।”

“আর তাছাড়া পার্সোনাল কিছু দুশ্চিন্তা ও ছিলো।এজন্য নিজের ঠিকঠাক যত্ন নিতে পারিনি”

হঠাৎই নাফিজ মাহমুদ তনুজাকে ডেকে স্বর্গ কোথায় জানতে চাইলেন।

“বাপী আমি এখানে”
ক্লান্ত স্বরে জবাব দিলো স্বর্গ।

স্বর্গের আকস্মিক জবাবে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলো মুহিত।বুকে তার তোলপাড় শুরু হয়েছে।শূন্য বুক খাঁখাঁ করছে।হৃদয়ের অলিন্দ বারবার আন্দোলন করে যাচ্ছে স্বর্গকে জড়িয়ে ধরার জন্য।

ড্রয়িং রুমে মুহিতকে দেখে থমকে দাঁড়ালো স্বর্গ।
শ্বাস রোধ হয়ে আসছে এমন অনুভূতি হচ্ছে থেকে থেকে।বুকের ছাতিতে কে যেনো জোরে জোরে হাতুড়ি পেটাচ্ছে শুধু।

এতোগুলো দিন মুহিতকে না দেখে কিভাবে থেকেছে স্বর্গ এই কথা সে ছাড়া আর কেউ জানে না।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়েছে পাখি হয়ে মুহিতের কাছে চলে যেতে।কিন্তু তা কি আর সম্ভব?

মুহিতের বুকে হামলে পরে শান্তির শ্বাস নিতে ইচ্ছে করছে স্বর্গের।কিন্তু বাবা আর ফুপির সামনে সম্মান বিসর্জন দিবে কিভাবে?

“ফুপি তুমি বসো আমি ফ্রেস হয়ে আসছি”
বলেই এক প্রকার দৌড়ে নিজের কক্ষে চলে আসলো স্বর্গ।

এই মুহিত টা তাকে ভীষন ভাবে কাবু করেছে তার প্রতি ।ভালোবাসা হীন এক দন্ড তার সামনে দাঁড়ানো যায়না।সারাক্ষন মাথায় চুমু,হাগ,কামড় দেয়া এসব ঘুরে বেড়ায়।
“এ কেমন অসভ্য ইচ্ছে??

মুহিত তার বুকের তোলপাড়ের কারনে বসে থাকতে পারছি না।”

“এখনই স্বর্গের কাছে যাওয়া চাই”

হঠাৎই দাঁড়িয়ে গেলো মুহিত,অনুরোধের স্বরে নাফিজ মাহমুদ কে উদ্দেশ্য করে বললো
“স্যার আমি কি একবার একান্তে ওর সাথে কথা বলতে পারি”?

প্রাণ খুলে হেসে উঠলেন নাফিজ মাহমুদ।মুহিত কে তিনি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন।যেমন ভদ্র তেমন শান্তশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একটি ছেলে ।ঠিক যেনো বাপের কার্বন কপি।
চোখ বন্ধ করে এই ছেলেকে বিশ্বাস করা যায়।
আর যাই হোক কারো কোনো ক্ষতি এই ছেলের দ্বারা সম্ভব নয়।

মাথা ঝাকিয়ে নাফিজ মাহমুদ বলে উঠলেন
“হপ ব্যাটা,এটা আবার অনুমতি নেবার কি আছে?তোমার ই তো হবু বউ,যাও কথা বলে এসো।আমরা অপেক্ষা করছি”

মুহিত দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে স্বর্গের কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

স্বর্গ ঝটপট শাওয়ার নিয়ে কোনো রকমে এলোমেলো করে একটা বেগুনি রঙের জামদানি পরে টাওয়েল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলো।

মুহিত আস্তে করে দরজায় নক করলো।
স্বর্গ ভেবেছে তনুজা এসেছে বোধ হয় তাই গলার আওয়াজ উঁচু করে বলে উঠলো
“দরজা খোলাই আছে ,ভেতরে এসো”

মুহিত দুই হাতের ধাক্কায় সপাটে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দরজা ভিড়িয়ে দিলো।

আয়নার দিকে তাকিয়ে চুল মুছতে মুছতে হঠাৎ ই আয়নার প্রতিবিম্বে মুহিতের অবয়ব দেখে ঈষৎ কেঁপে উঠে স্বর্গ।

মুহিত দ্রুত পায়ে পেছন থেকে কোমর জাপ্টে ধরে থুতনি গুঁজে দেয় স্বর্গের কাঁধে।

আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলে স্বর্গ।হাত থেকে পরে গেলো ভেজা টাওয়েল।
শক্ত পুরুষালী হাতের সহায়তায় স্বর্গকে নিজের দিকে ফেরালো মুহিত।

এলোমেলো শাড়ি,ভেজা চুল, স্নিগ্ধ মুখ সব মিলিয়ে মুহিত কে বেসামাল করে দিচ্ছে।ধবধবে সাদা অঙ্গে বেগুনি পাতলা জামদানি টি জলজল করছে।
মুহিতের মনে হচ্ছে এই শাড়িটি স্বর্গের জন্যই আলাদাভাবে তৈরি মরা হয়েছে।

স্বর্গের এহেন আগুন ঝরা রূপে ঝলসে গেলো মুহিত।মাথা ফাঁকা হয়ে গেলো তার।
এসেছিলো অনেক কথাই বলতে,কিন্তু এখন কিছুই মনে নেই তার।

নিজের একান্ত ব্যাক্তিগত মানুষের এমন রূপ কোনো প্রেমিক পুরুষ সহ্য করতে পারবে?

মনের সাথে মুহিতের কিছুক্ষণ নীরব যুদ্ধ চললো।এর পর করে ফেললো এক পাগলামি।

শাড়ির ফাক গলিয়ে স্বর্গের মেদহীন তলপেট মুচড়ে ধরলো মুহিত,

স্বর্গ নিজেকে সামলাতে না পেরে খামচে ধরলো মুহিতের চুল।

নেশাতুর চোখে স্বর্গের পানে তাকিয়ে স্বর্গের লাল ঠোঁট দুটো দুই আঙুলের সহিত টেনে টিপে ধরলো।

হঠাৎই দরজায় করাঘাত এর আওয়াজ পাওয়া গেলো।
স্বর্গ ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো মুহিত পাশে থাকা চেয়ারে ঝিম মেরে বসে গেলো।

রুমে প্রবেশ করে উৎসুক হয়ে নামিরা জানতে চাইলো
“কি করছিস তুই?স্বর্গ কোথায়?
আর এই শীতের মধ্যে এভাবে এতো ঘামছিস কেনো ?

মুহিত আমতা আমতা করে কিছু বলার আগেই ঠিকঠাক ভাবে নিজেকে পরিপাটি করে বেরিয়ে এলো স্বর্গ।

নামিরা স্বর্গের হাত ধরে টেনে নিয়ে বললো
“এসো সবাই অপেক্ষা করছে”

নামিরা চলে যেতেই কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে চোখ বন্ধ করে ফুঁস করে নিশ্বাস নিলো মুহিত।এরপর নিজেকে স্বাভাবিক করে বাইরে বেরিয়ে এলো।

ড্রয়িংরুমে সকলেই বসে আছেন,গল্প গুজব করছেন।একটু পর মুহিত এসে সেই আড্ডায় সামিল হলো।
সকলের মাঝে হঠাৎই মিসেস তারিন বলে উঠলো

“আমি যদি আজকে আমার আম্মাকে আংটি পরিয়ে যাই কারো কোনো আপত্তি আছে?”

নাফিজ আর তনুজা মুখ চাওয়া চাওয়ি করে বলে উঠলেন
“কি বলিস আপা আপত্তি কেনো থাকবে?”

মিসেস তারিন খুশি মুখে আবার বলে উঠলেন

“”আজকে আম্মাকে আংটি প্রিয় যাবো,আগামী সপ্তাহে বিয়ের ডেট ফেলতে চাচ্ছি”

“তোরা কি তোদের মেয়েকে আগামী সপ্তাহে আমার ঘরে দিবি নাকি আরো কিছুদিন তোদের কাছে রাখতে চাস?”

মায়ের মুখের এমন কথায় ধক করে উঠলো মুহিতের বুক।কি পরিয়ে নিয়ে এলো আর এই মহিলা বলছে কি?
“এখন যদি মামা মশাই বলে ফেলে আরো কয়েকদিন যাক?

“তাহলে তো কচু গাছের সাথে ফাঁস নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবেনা মুহিতের।
বিয়ে করা বউকে কাছে পাওয়া যাচ্ছে না সময় মতো এর চাইতে বড় কষ্ট আর কি আছে এই নশ্বর দুনিয়াতে??””

“মুহিত মনে মনে আল্লাহ মাবুদ জপতে থাকলো।

একটু পর নাফিজ মাহমুদ বলে উঠলো মেয়েকে কাছে রাখার কিছুই নেই আপা, তোর বাসা আমার বাসা থেকে দশ মিনিটের রাস্তা।চাইলেই যখন তখন মেয়েকে দেখতে পাবো,আর মেয়েতো অন্য কারো ঘরে যাচ্ছে না।
নিজের ফুপুর কাছে যাচ্ছে।

“”যেখানে তুই আছিস,মুহিত নামিরা আছে সেখানে আমার চিন্তা করা বা দুঃখ পাবার কিছুই নেই।

মুহিতের ও বিয়ের বয়স হয়ে গেছে অনেক আগেই,আর ওদের বিয়েটাও অনেক দিন ই হলো ঠিক হয়েছে।

আমার মনে হয় এখন বিয়েটা হয়ে যাওয়াই ভালো
“কি বলো তনুজা??

তনুজা মধুর হাসি ঝুলিয়ে বলে উঠলো

“আপনার ভাই ঠিকই বলেছে আপা, আগামী সপ্তাহেই আমরা বিয়ের তারিখ ফেলতে চাই।

আলহামদুলিল্লাহ বলে হ্যান্ড ব্যাগ থেকে একটি বক্স বের করলেন মিসেস তারিন।

স্বর্গকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো
“আম্মা আমার পাশে এসে বসো তো দেখি”

স্বর্গ লাজুক ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে মিসেস তারিনের পাশে বসলেন।

একটি ডায়মন্ড এর আংটি মুহিতের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে উঠলেন
“এটা তোমার পাপা ভালোবেসে আমাকে দিয়েছিলো, ব্যাবহার করলে নষ্ট হবে ভেবে আমি কোনদিন হাতে তুলিনি এই আংটি।

মানুষটা আজ নেই,দুদিন পরে আমিও থাকবো না,
“তোমার পাপা বেঁচে থাকলে হয়তো আরো সুন্দর সুন্দর জিনিস তোমার বউয়ের জন্য খুশি হয়ে কিনতো।
মানুষটা কতো সৌখিন ছিলো এটা তোমাদের কারোর ই অজানা নয়।

কিন্তু আল্লাহ তাকে নিয়ে গিয়েছে।মনকে সবর দেয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।

তোমার পাপার পক্ষ থেকে বাড়ির প্রথম ছেলের বউ হিসেবে স্বর্গের জন্য এই ছোট উপহার।

পরে তুমি তোমার মন মতো যা খুশি কিনে দিও।
বলেই মুহিতের দিকে আংটি টি বাড়িয়ে দিলেন।

সকলের চোখ ভিজে উঠলো মিসেস তারিনের আক্ষেপে।

মুহিত বারবার পলক ঝাপটে অশ্রু লুকিয়ে মায়ের হাত থেকে আংটি নিয়ে স্বর্গের হাতে পরিয়ে দিলো।

মিসেস তারিন মুহিত আর স্বর্গের মাথায় হাত বুলালেন।
স্বর্গের নরম হাত তুলে নিয়ে অনামিকা আঙুলে চুমু খেয়ে বললেন
“আম্মা আংটি সুন্দর মানিয়েছে তোমার সুন্দর হতে।
বিয়ের যা যা কেনাকাটা দুজন মিলে করে নিও,ফুপি আর ডিস্টার্ব করবো না।

স্বর্গ আহ্লাদী হয়ে মিসেস তারিনের হাত জড়িয়ে ধরে বললো
আংটি অনেক পছন্দ হয়েছে আমার,এটা আর জীবনেও ফেরত পাবে না তুমি।আর তোমার পছন্দ অনেক সুন্দর।
আমার বিয়ের সব কেনাকাটা তুমি আমার সাথে গিয়ে কিনবে।
বলেই মিসেস তারিনের কাঁধে মাথা রেখে চোখ বুঝলো স্বর্গ।

মিসেস তারিন স্বর্গের গালে মমতার হাত বুলালেন।

নাফিজ মাহমুদ ক্যালেন্ডার দেখে সকলের উদ্দেশ্যে বললেন
আগামী শুক্রবার বিয়ে।সকলেই প্রস্তুতি নাও।কেনাকাটা তে লেগে যাও।
আমি উঠলাম আজ আমার অনেক কাজ আছে।একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা।

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here