“শ্রাবণধারা”
পর্ব- ১৪
(নূর নাফিসা)
.
.
“সাবধানে। শাপলা মনে করে আবার সাপের মাথা টেনে তুলিস না।”
“ভাইজান, চুপ করেন তো। সাপ উঠলে আপনের গলাতেই ছুঁইড়া দিমু আগে।”
বিপু পাশ থেকে পঁচা শাপলার গোটা তুলে ছুড়ে দেয় পরীর মাথায়।
“সাপ! সাপ!”
আকস্মিক ঢিলে চিৎকার করে উঠে পরী। তার চিৎকারের ধাক্কায় অর্পা শাপলা টানতে গিয়ে নিজেই চলে যাচ্ছিলো শাপলার সাথে। বিপু সাথে সাথেই হেসে উঠে বলে,
“এইযে, এইযে যায় আরেকটা৷ ধরবো না তো। সব ফেলে রেখেই নৌকা নিয়ে বাড়ি ছুটবো।”
অর্পা কটমটিয়ে তাকায় বিপুর পানে। মনের খায়েশ মিটিয়ে শাপলা তোলা হচ্ছে না এই ভাইয়ের জন্য। একবার সাপ, একবার নৌকা ডুবিয়ে দেওয়ার ভয়, আবার ফেলে রেখে যাওয়ার ভয়! ধমক টমক তো আছেই। ভেজাল করা ব্যতীত যেন তার আর কোনো কাজ নেই। পরী প্রত্যুত্তরে বলে,
“আস্তা একটা শয়তান আপনে, ভাইজান! আপনের দোষেই তো পড়তাছিলাম! সব ফালায় রাইখ্যা যে যাইবেন, বড় ভাইজান কি আপনারে আস্তা রাখবো নতুন ভাবিরে এই বিলে ফালায় গেলে?”
“তোরা মাথায় করে নিয়া যাবি। ওইটা তোদের দায়। আমি কি আসতে চাইছিলাম?”
“নিয়া তো আইছেন আপনে।”
“এই সাক্ষী দিবো কে?”
অর্পা হাত তুলে বলে,
“আমি দিবো।”
“তুই বাড়ি যেতে পারলে তো দিবি।”
শ্রাবণ হেসে কুটিকুটি তাদের কথা শুনে। ভালোই লাগছে এই মনোরম পরিবেশ ও তাদের কথা কাটাকাটি। নাগালের সব শাপলা তোলা শেষ। বিপু ভাই ভুল বলেনি। শাপলারা যেভাবে কলি হয়ে আছে, সাপের মাথার মতোই দেখা যায় একটু দূর হতে। তাই সে বাছাই করে নিশ্চিত হয়েই টানছে শাপলা ধরে। বিপু বৈঠা ঠেলে এগিয়ে গেলেই তারা আবার শাপলা কুড়াতে ব্যস্ত। একেকজন অর্ধেকটা ভিজে গেছে শাপলার পানিতে। নৌকার হেলেদুলে উঠা তো চলছেই অনবরত। বিপু শাপলা তুলে পানিতে ধুয়ে গজগজ করে চিবিয়ে খেতে শুরু করেছে বসে বসে। শ্রাবণ জিজ্ঞেস করে,
“অনেক মজা, তোতা ভাই?”
“খেয়ে দেখেন।”
“আমার এভাবে ভালো লাগে না। কাচা খেতে হলে ভর্তা করে খাই।”
“মিষ্টি শাপলা। এমনিতেও মজা।”
পাতানো শাপলা বিলের কিছুটা অংশে গমন করেই নৌকা প্রায় ভরো ভরো। আর তুলতে দেয় না বিপু। বৈঠা ঠেলে বেরিয়ে আসে শাপলাজোট ছেড়ে। অর্পা, পরী দুজনেই তার বিরোধে। তাদের মন ভরেনি। অহেতুক এতো শাপলা নিয়ে কোনো কাজ দেখে না বিপু। বাতাসের প্রতিকূলে বৈঠার ধার ধরে ধমক দেয় তাদের।
“আরে রাক্ষসের দল, এগুলো খেয়ে শেষ করে নে আগে।”
অর্পা মুখ মলিন করে বলে,
“তুমি তো আর নিয়ে আসবা না।”
“আমি তো বাজারে বেচতেও যাচ্ছি না।”
“ভাইজান, আপনে আসলেই একটা… কি কইতাম! কোনো দরদ মরদ কিচ্ছু নাই আপনের পাষান্ড মনডার ভিত্তে। আর পাঁচটা মিনিট থাকলে কি এমন ক্ষতিডা হইয়া যাইতো? নিজে না খাইতে পারতাম, তৃপ্তি মিডায়া তুইল্লা নাহয় গরুরেই খাইতে দিতাম। তা-ও কেউর পেট ভরতো।”
“আমি কি গরুর ঘাস কাটতে আসছি তোদের নিয়ে?”
“আসেন নাই, তবে তা-ই আসার দরকার আছিলো।”
“কথা কম বল।”
“আল্লাহ মুখ দিছে কথা কইতে, কেল্লাই কম কইতাম? আর একটা মুঠ শাপলাই তো তুলতাম। আপনেরে না আনলেই ভালা হইতো। বকুল কাকারই দরকার আছিলো।”
বিপু বৈঠা চলা থামিয়ে দেয়। হতাশাজনক বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকায়। বৈঠাটা নৌকার শাপলার স্তুপের উপর তুলে রেখে আকস্মিক ঝাপিয়ে পড়ে স্বচ্ছ পানিতে। উপস্থিত সকলেই বিস্মিত হয়ে যায় তার কান্ডে। বিপু ডুব দিয়ে মাথা তুলে বলে,
“আমার যখন দরকার নাই, তোরা এইবার বাড়ি যা। আমি গেলাম।”
প্রত্যেকেই হতবাক হয়ে আছে! শ্রাবণও হা করে তাকিয়ে থেকে হেসে উঠেছে খিলখিলিয়ে। বিপু সত্যিই সাঁতার কাটতে কাটতে চলে যাচ্ছে। মাঝখানে নৌকা ভাসছে। বাতাসের ধাক্কায় ঘুরছে আর পিছু দিকে একটু একটু সরে যাচ্ছে। অর্পা কাঁদোকাঁদো চেহারা করে রাখে, ভাই এটা কি করলো! এতোক্ষণ ভয় দেখিয়ে এবার সত্যি সত্যিই গেলো! পরী হাউকাউ শুরু করেছে। বৈঠা ধরে শ্রাবণের কাছে নালিশ করছে,
“দেখছেন, ভাবি? দেখছেন খালি শয়তান বেডার কামকাজ! এহন নৌকাটা কেডা ঠেইল্লা নিয়া যাইবো, কন আপনে?”
“কি অদ্ভুত কর্মকাণ্ড! দাও তো দেখি, আমি পারি কিনা।”
শ্রাবণ বৈঠা হাতে নেয়। তার এসবে অভিজ্ঞতা নেই। ছোট নৌকার বৈঠাও ছোট এবং পাতলা। তাই তা সহজে বহন করতে পারলেও হাল ধরা অসাধ্যকর। বাতাস না থাকলে হয়তো একটু এগিয়ে নেওয়া যেতো। কিন্তু বাতাসের সঙ্গে লড়ে উঠা একদমই অসম্ভবপর। তারউপর তারা তিনজন মেয়ে। সেইসাথে তাদের চেয়েও বেশি ওজন হবে বুঝি এই শাপলা স্তুপের! তো আর কিভাবে সম্ভব এই নৌকা ঠেলে নেওয়া? শ্রাবণের হাতের বৈঠার ধারে নৌকা শুধু চরকির মতো ঘুরছে। পথ চলার অগ্রগতিতে বরং ঘটছে অবনতি। বিপু সাঁতার কাটতে কাটতে পিছু ফিরে দেখে হাসছে। সেজন্য পরী খেমটা মেজাজে তাকিয়ে বৈঠা নিতে হাত বাড়ায় শ্রাবণের দিকে।
“পারবেন না, পারবেন না। বেডা মাইষের বেডা জোর। আপনে তো দূর, আমার শক্তিতেও কূলাইতো না।”
শ্রাবণ নিজের পরাজয় মেনে বৈঠা দিয়ে দেয় হেসে। পরী ক্রুদ্ধ মেজাজে বৈঠার হাল ধরতে চেষ্টা করে। সে-ও ততটা অভিজ্ঞ না বৈঠা চালাতে। তবুও সর্বজোরে চেষ্টা করে কিছুটা ভালো ফলাফল করতে পেরেছে। নৌকা ডানে বামে বেঁকে যাচ্ছে যদিও, তবে বাতাসের সাথে মোকাবিলা করে এগোতে পারছে। বিপু হাসছে, মনের আনন্দে ভাসছে। তারা একটু একটু করে এগুচ্ছে। বিপু অনেকটা দূর পর্যন্ত এগিয়ে আবার সাঁতার কাটতে কাটতে ভীড়েছে নৌকার ধারে।
“কি? যায় না? ধাক্কা দেওয়া লাগবো?”
পরীর ইচ্ছে করে বৈঠা মেরে মাথাটাই ফাটিয়ে দিতে। কিন্তু এতো দুঃসাহস তার নেই যে তাদের কাউকে সে আঘাত করতে পারে। শ্রাবণ নিরবই আছে। অর্পা তো খেমটা মেজাজে গাল ফুলিয়েই আছে। এইযে, সে ফিরে না এলে কে নিয়ে যেতো তাদের? পরী ঠেলতে ঠেলতে তো রাতই নামিয়ে আনতো! বিপু নৌকার কোণে ভর করে দুই দিকের ভারসাম্যই ঠিক রেখে উঠে আসে। ভেজা শরীরে বসে বৈঠা নেয় হাতে। পরীকে বলে,
“আর একটা কথা বলবি, এরপর দেখিস নৌকা কোন দিকে যায়। আর পরীই কোন আকাশে উড়ে যায়!”
পরী একদম চুপ হয়ে থাকে। তবে চোখে ও মনে শত রকমের বিড়বিড়ানি। বসে বসে শাপলার আঁটি করতে থাকে। অর্পা তাকে সাহায্য করছে। শ্রাবণ সেই এক কোণে বসে শাপলা ফোটাতে থাকে হাতে। একে একে কপাট খুলে লজ্জা ভাঙায় শাপলা বেগমের। ফুটে আসে লুকানো সৌন্দর্য। এইযে, ডোরাকাটা সবুজের ভেতরে লালচে সাদার বাহার। তার ভেতরে ধবধবে আলোড়ন শুভ্রতার। অতঃপর হলুদ রাঙা তার কেন্দ্র। ধাপে ধাপে ফুটিয়েছে, বিলিয়েছে মাধুর্য। এর কোনো উপস্থিত ঘ্রাণ নেই, তবুও সে রূপের বাহারে পবিত্র। যেন নিজের প্রতিচ্ছবি এই শাপলাতেও পেয়ে যায় শ্রাবণ। দুয়ের আগমনই ঘটে বর্ষায়। রূপ আছে, রূপের ঘ্রাণ হয়তো নেই কারোই। তবুও তারা বর্ষা রূপের রানী। বর্ষার জল যত ফুলেফেঁপে উঠে, তারা নিজেদের প্রবৃদ্ধির প্রয়াস তত বেশি বাড়িয়ে নেয়। জলের কূল ছেড়ে অতিমাত্রায় বাড়তে চায় না একদমই। বেশ কিছুক্ষণ মনযোগ পেতে রাখে সে শাপলার রূপে। পরক্ষণে তাকায় দূর দিগন্তে। দিগন্তের শেষ সীমায় যেন একটা মুখ ভাসে দৃষ্টি গোচরে। শখপ্রান মহাশয়ের মুখ। যাকে চাইলেই পারা যায় ছুঁতে, চোখ জুড়িয়ে দেখে নেওয়া যায় কাছ থেকে, ডাকা যায় প্রাণে শিহরণ জাগিয়ে, তৃপ্তিকর আলাপও করা যায় গোপনে রোপনে। অথচ কল্প দৃষ্টিতে কেবলই সে দূর, বহুদূরে!
নৌকা নীড়ে ফিরিয়েই বিপু বৈঠা হাতে নেমে আসে। বকুল কাকার বৈঠা বকুল কাকাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। একটা শাপলার আঁটি যদি ছুঁয়ে দেখতো সে! যার দরকার সে নিয়ে আসবে। তার এসবে দরকার নেই। শ্রাবণ স্বেচ্ছাতেই এক আঁটির ভার বহন করে বাড়ি হাঁটা ধরেছে। আরও তো অনেকগুলো বাকি। কে নিবে এতোগুলো? তারা বারবার নিতে এলেও ক্লান্ত বোধ করবে। পরী তাই অর্পার কানে ফিসফিস করে,
“আপা, বকুল কাকারে ডাকেন।”
“ডাকো তুমি।”
“আমি ডাকলে আইবো না এই বেডায়। আপনে ডাকেন, দৌড়ায় আইবো।”
অর্পা তা-ই করে। বকুল কাকাও বাড়ির সীমানা ছেড়ে নেমে যায় অর্পার ডাকে। পরী নিজে বহন করার জন্য এক আঁটি রেখে বাকি সব একত্রে বেঁধে বকুল কাকার মাথায় তুলে দিয়েছে। পারভীন বড়ই বিরক্ত তাদের কর্মকাণ্ডে। এই যে এতোগুলো শাপলা নিয়ে এলো, কি করবে এগুলো দিয়ে? চটজলদি বাড়ি পরিষ্কার দেখতে চান তিনি। শ্রাবণের আগে নিয়ে আসা ওই আঁটিটাই অল্প ভেবে তিনি নিজ হাতে নিয়েছিলেন। বকুলের মাথায় আঁটির উপর আঁটি দেখেই রেগে গেছেন। বিপু দাঁড়িয়ে আছে বাথরুমের দরজার সামনে। মাকে আরও উস্কে দিতে নালিশ করছিলো পরী আর অর্পার নামে। এগুলোতেও যে তাদের পোষাচ্ছিলো না! বাথরুম হতে ইফতেখার বেরিয়ে এসেছে গোসল সেরে। তবেই বিপু গেলো কয়েক মগ পানি ঢেলে নিতে। ইফতেখার উঠুনে নেমে এসে কাপড় নেড়ে দেয় রশিতে। শাপলার স্তুপ দেখে জিজ্ঞেস করে,
“পরী কি এগুলো বিক্রি করতে নিবে?”
আম্মার বকাঝকায় পরী এমনিতেই দমে আছে। তাই মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো,
“শাপলায় যে এত্তো বরকত ক্যামনে আইলো, বুঝলাম না। ভাইজান, সকালে ভ্যান দেখলে কইয়েন তো পাইকারিতে দিয়া দিমু নে।”
পারভীন ধমকে উঠে বলেন,
“এক্ষণ ফালা নিয়া। সকাল তো দূর! বিকাল পর্যন্তও আমি দেখতে চাই না।”
“এমন করেন ক্যা, আম্মা? মাইনসে তরকারি পায় না খাইতো। আর আপনেরে বিনা পয়সায় আইন্না দেই, হেইডা আপনের ভাল্লাগে না।”
“আমার দরকার নাই বিনা পয়সায় খাওনের। তোর বাপ দাদার বাড়ি নিয়া দিয়া আয়।”
“তা-ও তো আপনের বাপের বাড়ি ওদিগে।”
“যা, আমার বাপের বাড়িই দিয়া আয়। তবুও দূর কর।”
পরী নিজের হাতের আঁটিটাও বারান্দার এক কোণে রাখে। বকুল কাকার বহন করা আঁটি গুলো আম্মার চোখের সামনে হতে দূর করতে পাশের বাড়ি বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বকুল কাকাও দুইটা আঁটি বেছে রাখে নিজের বাড়ি নেওয়ার জন্য। ইফতেখার কাপড় মেলে দিয়ে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে ঘরে যাওয়ার সময় শ্রাবণও পিছু দুহাত বেঁধে রাখা অবস্থায় বারান্দা হতে যেতে থাকে তার সাথে সাথেই হেঁটে। ইফতেখার জিজ্ঞেস করে,
“ভালোই ঘুরাঘুরি করে এলে।”
“উহুম। ততটাও ভালো না।”
“কেন?”
“শাপলারা সব ঘুমাচ্ছিলো। জেগে থাকলে ভালো লাগতো। আর আপনি পাশে থাকলে সেই ভালো লাগারা পূর্ণতা পেতো। দুজনের দিব্যি একটা প্রহর কেটে যেতো তবে ফুটফুটে বিলে। আর তা না হওয়ায় ভীষণ নেই নেই অনুভব করছিলাম।”
কথার পিঠে কথা রাখে না ইফতেখার। ঘরে এসে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। শ্রাবণ পিছু বাঁধা হাত ছেড়ে দেয়। হাতের শাপলাটা ইফতেখারের সামনে ধরে বলে,
“নেই নেই অনুভব করলেও খালি হাতে ফিরিনি। নিজ হাতে ফুটিয়েছি শাপলা বেগমকে। এটা আপনার জন্য।”
ইফতেখার ঘাড় ঘুরিয়ে শ্রাবণের মুখে তাকিয়ে হাসি দেখতে পায়। বিপরীতে নিজের ঠোঁট প্রাঙ্গণে মৃদু হাসি জাগিয়ে ফুল টা হাতে নেয়। একটু ঘুরে শ্রাবণের মুখোমুখি হয়ে তার কানে গুজে দিয়ে বলে,
“ফুল মেয়েদের অঙ্গে ভারি শোভা পায়।”
“আর মেয়েরা কোথায় শোভা পায়, জানেন?”
“কোথায় বলতে চাও?”
“পুরুষের হৃদকুঞ্জে।”
“বড্ড নরম জায়গা।”
“তাইতো এতো আরাম-আয়েশে গুটিয়ে থাকতে চায় কোমল হৃদয় আঙ্গিনায়।”
“আঘাত পাওয়ার ভয় থাকে না?”
“পাজর আছে যে তার উপরিভাগে।”
ঠোঁট কার্ণিশে প্রশান্তি স্পষ্ট হয় ইফতেখারের। এক হাত শ্রাবণের ঘাড় স্পর্শ করে আলতো করে। ফুল গোজা কানের পাশেই ঠোঁটের উষ্ণতা ছুঁয়ে দেয় এক নিমেষে। শ্রাবণ বড্ড লজ্জা পায়। উক্ত স্থান ত্যাগ করতে চায়। ইফতেখারও তাকে বেঁধে রাখেনি। মনযোগ দিয়েছে মুখে এক চিমটি ক্রিম লাগানোর দিকে। গোসলের পর মুখের চামড়া টানটান হয়ে থাকে। একটু আধটু প্রসাধনী প্রলেপ না লাগালে চলে না। শ্রাবণ দরজার সামনে এসেও আবার ফিরে গেছে তার কাছে।
“একটু খালাম্মার কাছে যাওয়ার ছিলো।”
“কেন?”
“আমার যা আছে, সবই তো উনার কাছে। নিয়ে আসা দরকার। আম্মার দুই শাড়ি গছিয়ে নিয়েছি ইতিমধ্যে।”
“যেতে হলে যাও। কিন্তু তোমায় শাড়িতেই ভারি লাগে।”
“ইশ!”
শ্রাবণ পুনরায় যেতে থাকলে ইফতেখার পিছু বলে,
“এখনই যাচ্ছো?”
“না।”