“শ্রাবণধারা”
পর্ব- ১৭
(নূর নাফিসা)
.
.
মায়ের কাছে পরপর কয়েকটা চড় খেয়ে ভাত খাওয়া আর হয়ে উঠেনি বেলা জুড়ে। কলেজ যাওয়ারও নাম নেই। সারাদিন গুটিসুটি মেরে বসে রইলো ঘরের এক প্রান্তে জানালার ধারে। মা-ও আজ ডাকে না, “কান্তা, ভাত খাইয়া যা!”
তারও মন চেয়ে বসে না, “দুই মুঠো ভাত গিলে আসি।” কেবলই দুঃখ গিলে যায় কিশোরী একাকী। প্রণয় পীড়ার দুঃখ।
পরী আজও শাপলা তুলে এনেছে এক মুঠ। শাপলা বিলে যায়নি যদিও। নৌকা ঠেলে নিকটতম লতাচ্ছাদিত ক্ষেত থেকেই একটা দুইটা করে কুড়িয়ে এক মুঠ সংগ্রহ করে এনেছে একাকী। পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত কাদা মাখিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়েছে উঠুনে। শ্রাবণের উদ্দেশ্যে বললো,
“ভাবি, দেখেন শাপলা আনছি। ভর্তা করবেন নি?”
“একা একা শাপলা নিয়ে চলে এলে? বড্ড সাহস তো তোমার। তুমি না ভুতে ভয় পাও?”
“দূরে যাই নাই বেশি। ভর্তা খাইবেন নি কন।”
“দাও তবে।”
“খাঁড়ান, ধুইয়া আনি।”
পরী শাপলা ও নিজের হাত-পা ধুয়ে পরিষ্কার করেই বারান্দায় আশ্রিত হলো। শ্রাবণ মোড়া টেনে বসেছে বারান্দার এক কোণেই। পরী ট্যাপা পায়ে রান্না ঘরে যায়। বোল হাতে নিয়ে এদিক ওদিক তাকায়। অল্প কিছু তেতুল আছে প্যাকেটে। আম্মা দেখলেই চেঁচানো শুরু করবে। তাই অগোচরে পেট পর্যন্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে জানালেও সমস্যা নেই। কিন্তু শুরুতেই সমস্যা বাঁধানোর কোনো মানে হয় না। খায়েস পূরণ করার দরকার আছে। বোলের আড়ালে হাতের মুঠোয় তেঁতুল আর লবনের কৌটা নিয়ে চলে এসেছে বারান্দায়। পারভীনকে নিজ ঘরে বিশ্রাম নিতে দেখা গেলো। তাই চুপচাপ বসে গেছে পরী শ্রাবণের পাশে। শ্রাবণ জিজ্ঞেস করে,
“লুকোচুরি করা হচ্ছে যেন? আম্মাকে এভাবে দেখে এলে কেন?”
“মরিচ পোড়া দিমু, তাই।”
দাঁত বের করে হাসি দিয়ে আবার চলে যায় পরী। রান্নাঘর হতে শুকনো মরিচ পোড়ার ঘ্রাণ পাচ্ছে শ্রাবণ বারান্দায় বসে। দূর থেকে এই ঘ্রাণটা তার ভীষণ ভালো লাগে। এখনো লাগছে। সে শাপলা কুচিকুচি করে নিয়েছে। পরী মরিচ এনে দিলে নিজ হাতেই ভর্তা করেছে। আলাদা বাটিতে অর্পার জন্য রেখে বললো,
“পরী, আম্মাকে জিজ্ঞেস করে এসো খাবে কি না।”
“ধুর! আম্মা এইসব খায় না।”
“সেদিন যে খেলো?”
“ক্যামনে ক্যামনে জানি খাইছে।”
“আজও খেতে পারে। যাও, জিজ্ঞেস করে এসো।”
পরীর ইচ্ছে করছিলো না পারভীনকে জিজ্ঞেস করুক। তবুও দুয়ারে দাঁড়ালো। মন চাইছিলো না পারভীন খেতে রাজি হোক। তবুও জিজ্ঞেস করতেই পারভীন বললো এক চিমটি দিয়ে যেতে। পড়লো মহা জ্বালায়। আলাদা বাটিতে করে তার জন্য একটু এনে দেয় এই ঘরে। বাটি হাতে দিতেই পারভীন বলে,
“তেঁতুল গুলা শেষ করছত?”
“হইছে আম্মা, অহেতুক গলা বাড়াইয়েন না। আমি একলা খাই নাই। আপনেও খাইতাছেন। আপনের পুত্রবধূও খাইতাছে। খাইবো, খাইবোই। আবার হিসাব কইষা খায়।”
শেষ কথা বিড়বিড়িয়ে বলে দ্রুত প্রস্থান করে পরী। দ্বিতীয় ঝাড়ি কানে নেওয়ার কোনোরকম ইচ্ছে নেই তার। দুপুরের পরপরই ইফতেখার বাড়ি ফিরেছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিলো তখন। তার পোশাকাদি বৃষ্টিতে ভেজা। ভেজা মাথার চুলগুলোও। এসেই বাবাকে খুঁজলো। না পেয়ে গোসলে চলে গেলো। ঝটপট গোসল সেরে চলে আসায় শ্রাবণ জিজ্ঞেস করলো,
“এতো তাড়াতাড়ি গোসল শেষ?”
“কোনোমতে একটু পানি ঢেলে এসেছি। মাথা ব্যাথা করছে প্রচুর।”
“সে কি! কেন?”
“এমনি হঠাৎ।”
মাথা মুছতে মুছতে ঘরে চলে যায় ইফতেখার। শ্রাবণ দরজায় দাঁড়িয়ে বলে,
“খাবার নিয়ে আসবো?”
“উহুম। খাবো না এখন।”
বন্ধ জানালার কপাট খুলে দিয়ে বুকে ভর করে শুয়ে পড়ে ইফতেখার। শ্রাবণ দরজায় দাঁড়িয়েই চিন্তিত মুখে দেখে তাকে। পরক্ষণে পারভীনের কাছে যায়,
“আম্মা, কালোজিরার তেল না আছে? দিন তো একটু। উনার নাকি মাথা ব্যাথা করছে।”
“কার? ইফতির?”
“হ্যাঁ।”
তেলের কৌটা হাতে তুলে দেয় পারভীন। শ্রাবণ পুনরায় ইফতেখারের কাছে আসে। পাশে বসে মাথায় তেল মালিশ করতে শুরু করে। একবার শুধু চোখ খুলে দেখেছিলো সে। পুনরায় চোখ বুজে নিয়ে নিঃসঙ্গ লড়াই করছে মাথাব্যথার সাথে। খনিক বাদেই পারভীন আসে। শ্রাবণ তখনও মাথায় হাত বুলাচ্ছিলো। পারভীন কপাল ছুঁয়ে দেখে দেহের তাপমাত্রা। হালকা গরম।
“জ্বর আসে নাকি! ইফতি, ভাত খাবি না?”
“পরে।”
“ক’টা ভাত খেয়ে ঘুমায় থাক?”
“না। আব্বা আসছে?”
“হু, এইমাত্র এলো।”
চোখ খুলে উঠে যায় ইফতেখার। ড্রয়ার থেকে টাকার প্যাকেট নেয়। ওয়ালেট থেকে এক টুকরো কাগজও খুঁজে নেয়। পারভীন স্বগোতক্তি করতে করতে বেরিয়ে যায়,
“পোলাপান খাওয়াদাওয়া, চলাফেরার ঠিক রাখবি না। বৃষ্টি বাদলায় তাকাবি না। খালি অসুস্থ হইয়া একেকজন ঘরে পড়বি।”
পরক্ষণে ইফতেখার যায় আফজাল হোসেনের নিকট। শ্রাবণ বিছানার এক প্রান্তে বসে তাকিয়ে থাকে জানালার বাইরে। এইযে পারিবারিক একটা মেলবন্ধন। সুখেদুঃখে সদস্যদের পাশে থাকা কতই না সুন্দর, সুখকর। ভাবতে গেলে ব্যাথাও লাগে, আনন্দও হয়। অসুস্থ হলে বাবামায়ের উত্তেজনা দেখা, মায়ের মুখে ধারালো ও ব্যাথাতুর কিছু বাক্য বোধহয় প্রত্যেকেরই শোনা। মায়েরা সেবা করলেও বকা দিয়ে করেন। মাকে পাশে না পেলেও স্মৃতিগুলো জড়িয়ে থাকে শ্রাবণ প্রাণে। ক্ষণে ক্ষণে ফুল্কে উঠে ঘটনা ক্রমে কিংবা অকারণে। বাবাকে অর্ডারকৃত সিমেন্টের ম্যামো আর টাকার হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে ইফতেখার ফিরতেই শ্রাবণকে আনমনে জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকতে লক্ষ্য করে। দরজা আটকে এগিয়ে আসে শ্রাবণের পাশে। ধ্যানভঙ্গ হয় তার।
“কি ভাবছো?”
“কিছু না।”
“কিছু তো অবশ্যই।”
মুচকি হাসিতেই কথা চাপিয়ে নিতে চায় শ্রাবণ। ইফতেখার শ্রাবণের হাতে টাকা দিয়ে বলে,
“তোমার দশ হাজার।”
“ধন্যবাদ।”
সৌজন্যমূলক আরও এক টুকরো হাসির উপস্থিতি ঘটে শ্রাবণের মুখে। ইফতেখার ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে পুনরায় শ্রাবণের হাত তার মাথায় তুলে আনে। ব্যাথার যন্ত্রণা দূরীকরণে ভালোই লাগছিলো তখন। নিশ্চুপ আবদারে মুচকি হেসে বিছানার কোণে শ্রাবণ টাকা গুজে রেখে আরাম করে বসে৷ মাথা মেসাজ করে দেয় ততক্ষণ, যতক্ষণ পর্যন্ত না অনুধাবন করতে পারে ইফতেখার ঘুমিয়ে গেছে।
মাঝারি তাপমাত্রার জ্বর ঠিকই পাকড়াও করেছে ইফতেখারকে। গত বিকেল থেকে ঘুমাচ্ছিলোই আজ প্রাক-দুপুর পর্যন্ত। মাঝখানে একবার খাওয়া দাওয়ার বিরতি ছিলো মাত্র। তবে ঘুমও খুব স্বস্তির হয়নি। ভাঙা ভাঙা জ্বরযন্ত্রনাময় ঘুম। এগারোটার দিকে পারভীন ডেকে তুলে তাকে।
“ওঠ। আর কত ঘুমাবি? ওইদিকে বউ কই গেছে, সেই খেয়াল আছে?”
ভ্রু মাঝে সূক্ষ্ম ভাজ পড়ে ইফতেখারের। কোনোরকম অপেক্ষা ছাড়াই জিজ্ঞেস করে,
“কে? শ্রাবণ?”
“তো আর কে?”
“কোথায় গেছে?”
“আমি কি জানি। আমার কাছে বইলা যায় কিছু? সকাল থেকে চেহারা দেখা যায় না। কোন দিকে গেছে, বলতেও পারি না।”
“কাল রাতে বাড়ি ছিলো না?”
“রাত্রে তো ছিলোই। ভোরেও নামাজ পড়লো দেখলাম। এরপর আর খবর নাই। বউ মানুষ এমন হয়? আমি না করলাম, শ্বশুর না করলো তবুও বাইরে বাইরে দৌড়াদৌড়ি করে। ক্যা? আমি কি কোনো কাজে পাঠাই তারে? এমন হুটহাট বিয়া সাইরা যে আইলো, ঘরেও তো আয়েশ কইরাই রাখতাছি। তারপরেও কথা শুনতো না ক্যা? সকাল নাই, সন্ধ্যা নাই। যখন ইচ্ছা বের হইয়া যায়। কোনো আতাপিতা মানে না। সেদিনও কতক্ষণ কাটাইয়া আইলো হেই বাড়ি। আজকাও বুঝি গেছে। আমি কয়দিন যাই বাড়ি বাড়ি গল্প করতে? আর নয়া বউ হইয়া করে তামাশা।”
পারভীন মশারি টেনে গুটিয়ে নিতে নিতে বকবক করতে থাকে। ইফতেখার উঠে বসে ধীরে ধীরে। ওষুধের ক্রিয়ায় জ্বর তেমন বজায় নেই শরীরে, কিন্তু সমস্ত শরীরই ব্যাথা হয়ে আছে যেন। উঠে বসে সে চিন্তামগ্ন হয়। ভোর হতে এতোটা সময় পর্যন্ত ঘরে নেই? শ্রাবণ এমনটা না করলেও তো পারে। কি দরকার, মায়ের পছন্দের বাইরে চলে যাওয়ার। গেলেও তো অল্প সময়ের জন্য যেতে পারে মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে।
ইফতেখার হাতমুখ ধোয়ার নিমিত্তে বাইরে আসে। পরীকে রাস্তা থেকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখে জিজ্ঞেস করে,
“শ্রাবণ কোথায় রে?”
“জানি না তো। আমিও খোঁজতাছি ভাবিরে।”
“মজিদা কাকিদের বাড়ি গেছে হয়তো। ডেকে আয়।”
“হেই বাড়িত্তেই আইলাম। আম্মা পাঠাইছিলো। নাই মজিদা কাকির কাছে। যায়ই নাই আজকা। পাশের বাড়িও দেইখ্যা আইলাম।”
ইফতেখারের ভ্রু মাঝে এইবার দুশ্চিন্তার উপস্থিতি ঘটে। সে অর্পার ঘরে যায় দরজা ঠেলে। শ্রাবণের বই আছে এখানে। কাপড়চোপড়ও আছে। কিন্তু শ্রাবণ নেই। ইফতেখার তার কাপড়ের ব্যাগটা একটু নেড়েচেড়ে দেখে। কোনো টাকা পয়সা নেই। ফোনও নেই। শ্রাবণের কাঁধে বহন করার ব্যাগটাও নেই। সে কি টাকা পরিশোধ করতে ইউনিভার্সিটিতে চলে গেলো নাকি একা একাই? কাউকে বলে গেলো না কেন? নাকি আবার এমনি কোনো প্রয়োজনে বাজারের দিকে গেলো? ভাবতে ভাবতে বেরিয়ে আসে। হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসে। মাকে জানায়, শ্রাবণ সম্ভবত তার ইউনিভার্সিটিতে গেছে ফি পরিশোধ করে। তাকে বলেছিলো আগে। পারভীন নাখোশ ইফতেখারের কথায়। বাড়ির বউ এখন সে। এমন মর্জিতে চলাফেরা কাম্য নয় তার কাছে। যেখানেই যাক, অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনবোধ তার মধ্যে কেন নেই? শিক্ষিত মানুষ, এইটুকু শিক্ষা কি গ্রহণ করা হয়ে উঠেনি? আর একা একা বাইরেই যাবে কেন? আগের জীবন যেমনই থাকুক, এখনকার হিসেব তো আলাদা। ইফতেখার কোনো কথা বলে না। মনের সন্দেহে চলে যায় বাজারের দিকে। ওদিকেই গেছে কি না আবার, দেখা যাক। ফোন নম্বরও নেই সাথে, যে ফোন দিবে। এদিকে অশান্ত পরী হায়হুতাশ শুরু করেছে বাড়িতে। ক্ষণে আফজাল হোসেনকে চা দিতে গিয়ে বিস্মিত মুখে খবর দিচ্ছে,
“কাকা, ভাবিরে তো খুইজ্জা পাওয়া যাইতাছে না। সকাল থাইকা।”
ক্ষণে বকুল কাকার কাছেই এমন উক্তি ছড়াচ্ছে।
“কাকা, বড়ভাবি হারায় গেছে।”
এমনি বকুল কাকা জানায় সে সকালেও দেখেছে ব্যাগ কাঁধে চাপিয়ে ড্যাংড্যাং পায়ে বড়বাজানের বউ বেরিয়ে গেছে কোথাও। তারপরও ক্ষণে বিপুর সামনেই দাঁড়াচ্ছে,
“ভাইজান, কত্ত ঘন্টা হইয়া গেছে। ভাবিরে পাই না। মসজিদে গিয়া মাইকিং করেন জলদি। আমার চিন্তা লাগতাছে।”
পরীর বিভ্রান্তিকর উক্তি শুনে বিপু মায়ের কাছে যায় জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হতে। পারভীন তার সামনেও ইফতেখারকে বলা কথার পুনরাবৃত্তি শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ইফতেখারের জানানো তথ্যও দিয়েছে। তাতেই ব্যাপারটা তার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। পরীর মাথায় ঠুকে তাই সাজা দিয়ে আসে সামান্য কারণও এমন বিভ্রান্তির সাথে প্রকাশ করায়। প্রয়োজন হয়েছে, গেছে, আবার চলে আসবে। এতে হারানো বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কি আছে?
দুপুরের সময়টা বাইরেই ছিলো ইফতেখার। বিকেলে এসেই মাকে জিজ্ঞেস করে,
“শ্রাবণ ফিরেছে?”
“ফিরলে তো দেখতিই। খালি আন্দাজটা দেখি একেকজনের। আক্কেল বলতে কিচ্ছু নাই। সন্ধ্যা হইয়া যায়, বউ বাড়ি ফেরার খবর নাই। তোরা ঘুমা নাকে তেল মাইরা।”
“এতো টেনশন নিয়ো না। সে একা চলেফিরে অভ্যস্ত। এসে পড়বে।”
“হো, আইতাছেই তো। দেখতাছিই সব। আধুনিক যুগের আধুনিক পোলাপান তোরা। এহন পর্যন্ত অনুমতি না নিয়া বাপের বাড়ির মুখই দেখলাম না৷ আমি এক কথা তোরে জানায় দেই, তোরা যতই আধুনিক হছ না ক্যা। সংসার, সংসারই। সংসারে থাকতে হইলে নিয়মকানুন মাইনাই চলতে হইবো। আমার কথা তো কানে নেয় নাই, তুই-ই পরিষ্কার জানায় রাখিস তবে। আর এইটা চেয়ারম্যান বাড়ি। মানসম্মানের একটা ব্যাপারও আছে। মর্জিতে সব করা যাইবো না। কিছু বলিছ।”
ইফতেখার চুপ থেকে যায়। দুশ্চিন্তা তো তারও হচ্ছে। একা একা না গেলেই কি পারতো না? এতোক্ষণ লাগিয়ে দিচ্ছে, অথচ কোনোরকম যোগাযোগ নেই!