শ্রাবণধারা” পর্ব- ১২ (নূর নাফিসা

0
120

“শ্রাবণধারা”
পর্ব- ১২
(নূর নাফিসা)
.
.
কালো রঙের ছাতা হাতে হনহন পায়ে হাঁটছে কান্তা। পরনে কালো বোরকা হিজাব। পায়ের জুতোটাও কালো। রাস্তায় নতুন পিচ ঢালাইয়ের রংটাও ঝকঝকে কালো। বাজারের সীমানার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যেতেই আকস্মিক বিপুর উপস্থিতি। চলতে গিয়ে এতোক্ষণ দেখেনি। কিন্তু দূর হতে যে তার দিকে চোখদুটো গেঁথে রেখেছিলো, তা বেশ বুঝতে পারছে হঠাৎ পথের সঙ্গী হওয়ায়। নিজ হাতের ছাতাটা কান্তার ছাতায় ধাক্কা দেয়। কথা বলে না কান্তা। বিপুই শুরু করে,
“র‍্যাব বাহিনীর মতো দৌড়াস কেন?”
কান্তার পায়ের গতি যেন আরেকটু বেড়ে যেতে চাইছে তার কথায়। বিপু সমান তালে হাঁটে।
“তোর আব্বার ছাতা নিয়ে বের হইলি? বুড়া ছাতা কিশোরীর মাথায় তুলতে আছে? আমারটা নিয়ে যা। রঙিন চকচকে ছাতা।”
বিরক্ত লাগছে কান্তার। তবুও থামে না বিপু।
“মাথা থেকে পায়ের জুতাটা পর্যন্ত কালো। কেমন দেখা যাচ্ছে তোকে, জানিস? পুরাই কোকিল। তুই মানুষটাও তো কালো। শুধু চোখটা লাল।”
এখন তারা কবিরাজ বাড়ির সংলগ্ন আছে। আর তা খেয়াল করতেই বিপু মন্তব্য করে,
“ও, শ্বশুর বাড়ির পথ বলে এমন দেমাগে আমায় উপেক্ষা করে হাঁটছিস?”
“শ্বশুর বাড়ি” শব্দটা শ্রবণেন্দ্রিয়তে পৌঁছাতেই সাথে সাথে থেমে যায় কান্তা। চোখ পাকিয়ে ফিরে তাকায় বিপুর দিকে। ক্রোধের ব্যাথায় ফাটছে সে। বিপুর হৃদয়ে যেন এই ব্যাথারা স্পর্শ করে যায় আলতো করে। কত অভিমান আর অনুরাগ জমা এই চোখে। ব্যাথা অনুভবের পরও মিথ্যে হাসি ফুটিয়ে বিপু বলে,
“ওই যে, তোর চোখ লাল। আমি একদম মিথ্যে বলিনি।”
“আমার সাথে কি? আর এক পা-ও হাঁটবেন না।”
চোখ ভিজে উঠতে দেখা যাচ্ছে। কথায় সে কি ধার! বিপু প্রত্যুত্তরহীন তাকিয়ে থাকে। কান্তা আবার হাঁটতে শুরু করলে সে-ও হাঁটতে শুরু করে। একদম পাত্তা দেয় না কান্তার নিষেধাজ্ঞা। এই কোকিল আজ কতদিন হয় তার সাথে কোকিলা কণ্ঠে কথা বলে না। একটু সুখ দুঃখের ভার ব্যক্ত করতে চায় না। ঠোঁটের কোণে একটু হাসি আর মায়া জড়ানো কণ্ঠে দুটো আবদার করে না। কেন যে মনে বজ্রমেঘ আসে, বুঝেই না। কান্তা একটু সামনে গিয়েই আবার থেমে তার দিকে তাকায়।
“নিষেধ করলাম না সাথে হাঁটতে?”
“আমার পায়ে আমি হাঁটি, তোর কি?”
“তো হাঁটেন।”
“তোর ছায়ার সঙ্গী হয়ে হাঁটবো।”
“আমার ছায়ার সঙ্গী আপনাকে হতে দিবো না।”
“এমন কেন করিস? আমি কি করলাম? আমার দোষটা কি?”
“আপনার কোনো দোষ না। দোষ আমার। কোনো মায়ায় জড়ানোটাই আমার চরম দোষের। কেন আপনি আমায় ডাকলেন, কেন আমি শুনলাম, আর কেন ই বা দিনের পর দিন জ্বালাতন করছেন?”
“আমি কি জ্বালাতন করলাম? বিয়ে ঠিক করছে তোর আব্বা আম্মা।”
“বেশ তো। আপনি কিছুই করেন নাই। আপনার কিছু করতেও হবে না। আমার পিছুও নিবেন না।”
“তাইতো সঙ্গে সঙ্গে চলছি।”
“অসহ্য লাগছে!”
চোখের কোণের ব্যাথা চলতে চলতে হাতে মুছে নেয় কান্তা। বিপু পথে দৃষ্টি বুলায়। বৃষ্টি দেখে। বলে,
“বিয়ে হবে না। চিন্তা করিস না। একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।”
গলায় জমা অভিমানী সুরে কান্তার প্রত্যুত্তর আসে,
“কোনো ব্যবস্থা করতে হবে না।”
“ওই বুড়াকে পছন্দ হয়ে গেছে বুঝি?”
“আপনি জানেন, সে বুড়া নাকি?”
“আমার চেয়ে তো বুড়া।”
“ফাজলামো করবেন না। যান। নয়তো আমিই কলেজ না গিয়ে বাড়ি ফিরে যাবো।”
“বাদাম খাবি?”
“আমি কি বলেছি, বাদাম খাবো?”
“তাইতো জিজ্ঞেস করছি। সাপের মতো ফোসফোস না করে একটু কোকিলের মতো গানও ধরতে পারিস। আমার নরম মনটাই তো তোকে দিয়ে দিয়েছি বিনামূল্যে৷ সেখানে এমন খাঁচকাটা গলায় কেন আঘাত করছিস?”
“আমার কারো মন লাগবে না।”
“আমার লাগবে।”
“কালো মানুষের মনও কালো হয়।”
“ও বাবা! আবার এইটাতেও ধার ধরে গেলি! মানে তোর সাথে কিছুই বলা যাবে না যেন।”
“যাবেই না।”
“আমি পিছু ফিরে গেলে সুখে থাকতে পারবি?”
ঘাড় ঘুরিয়ে অভিমানী চোখে বিপুর পানে তাকায় কান্তা। এই ছেলেটাকে পাবে না ভাবতেই তার কান্না এসে যায়। কিভাবে যে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফেলেছিলো বছরখানেক আগে, বুঝতেই পারেনি। অথচ ছোটকালে কত খেলাধুলা করতো, বিপুর হাতে মাইরও খেতো। ঝগড়াও করতো। বড় বলে পাল্টা মাইর দিতে পারেনি যদিও, তবে বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে নালিশটুকু করে দিতো। অথচ এখনো ঝগড়া হয়, কিন্তু মারামারি আর নালিশের প্রয়োগ ধারা বদলে গেছে। তার বিরুদ্ধে নালিশ তার কাছেই দিতে হয়। কি অদ্ভুত! তাকে না দেখার ব্যাথাও নিজের মধ্যে গেঁথে নিতে হয়। বিপু তার অভিমানে ডুবি অক্ষিতারকায় তাকিয়ে মৃদু হাসে। চলতে চলতে বলে,
“ভাইয়ের বিয়েটা হয়ে গেছে। এবার আমারও একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। একটু চাপিয়ে চল পরিবারে। প্রকাশ করে দে ঠিকভাবে। অন্তত একটা দিক ঠিক হলেই সাহসটা করে উঠতে পারি।”
“প্রকাশ আর কি করবো? আব্বা আম্মা আগে থেকেই সাবধান করছে বারবার। আপনার উঁকিঝুঁকি দেখে না বুঝি?”
“আমার উঁকিঝুঁকিতে তো কাজ হবে না। তোকে স্পষ্ট বলতে হবে। এখন সেটা কি আমি গিয়ে করতে পারবো? তোর পরিবার, তুই ম্যানেজ করবি। আমি গেলে তো আমাকে ডান্ডা খেয়ে আসতে হবে।”
“আমার সাহসে কুলায় না। আপনিই প্রস্তাব পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।”
“মগের মুল্লুক! আমার আব্বা আম্মা যাবে তোর বাড়ি প্রস্তাব নিয়ে?”
“তো আপনি আসছিলেন কেন?”
“বয়সের নেশায় মাতাল হয়ে। এখন আমার আব্বা আম্মার তো সেই বয়স নাই। তুই তোর পরিবার ম্যানেজ কর। যুদ্ধ করা লাগলে তা-ও কর। তোর দিকটা অন্তত তুই ঠিক করতে পারলে ভাবির মতো তোকেও হুট করে ঘরে তুলে নাহয় আমার পরিবারকে ম্যানেজ করে নেওয়া যাবে। জায়গা না দিলেও সমস্যা নাই। তোর বাড়িতে তো তখন জায়গা হবে অন্তত।”
গোমড়া মুখে চোখ ঘুরিয়ে তাকায় কান্তা। বিপু ঠোঁট কার্ণিশে হাসি ধরে। তাতেও যদি একটু হাসতো মেয়েটা! এই হাসির নাটকটুকুও নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারে না দুশ্চিন্তার চাপে। সবই বুঝে সে। বুঝে বলেই তো নিজের করে নেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টার উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে। পকেট থেকে বাদামের প্যাকেট বের করে দেয় বিপু। কান্তা হাতে নেয় না। উপেক্ষা করতে চায়,
“কি এটা? আমি নিবো না কিছু।”
“ধর!”
ছাতায় ছাতা ধাক্কা দেয় আবারও। কান্তা পথ চলা থেমে বলে,
“ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে আমার ভয় হয়। কান্না আসে। আপনি কিছু দিতে চাইলেই আমার কান্না বাড়ে।”
“কান্না থামলেই খেয়ে নিবি। টেনশনে শুকিয়ে গেছিস একদম। খাওয়াদাওয়া বেশি বেশি করিস।”
হাতের মুঠোয় প্যাকেট নেয় কান্তা। তার চোখ এখনো ভিজে আছে। আবার মোছে।
“আপনি মেয়ে মানুষের দিকে তাকাবেন না এভাবে।”
“কিভাবে?”
“কে শুকালো, কে মোটা হলো!”
“মেয়ে মানুষের দিকে তাকালাম কই? তোকে দেখলাম।”
“আমি কি মেয়ে না?”
বিপু হাসে৷
“তোর দিকে তাকালেই কি?”
“আমি এখনো আপনার কেউ না।”
“কেউ-ই না?”
“না।”
“আচ্ছা।”
এক খন্ড ভারি নিশ্বাস ছাড়ে বিপু। কলেজের কাছাকাছি এসে গেছে। বিদায় নিতে চায় এবার।
“আমি যাই। ছাতা নিবি?”
“আমি বলেছি নিবো? গরিবের ঘরে জন্মাতে লজ্জা হয়নি। গরিবের ছাতা মাথায় ধরতেও লজ্জা নাই।”
“বেশি কথা বলিস, এজন্যই ভাল্লাগে না। ছাতায় কি ধনী গরিব লেখা আছে?”
“রঙে তাকালেই তো দেখা যায়।”
“হয়েছে, পন্ডিত। চুপ! তোর নিতে হবে না ছাতা। আর, টেনশন করিস না। ভাবির সাথে কথা বলতে হবে। দেখি কি হয়। বাড়িতে জিজ্ঞেস করলে লুকোচুরি না করে স্পষ্ট বলে দিবি। আর আমায় দেখলে ভদ্রলোকের মতো সালাম দিবি, হুজুরাইন। তুই নিজেই সম্মান দেস না, তোর পরিবার আর কি দিবো!”
“এহ! রাস্তাঘাটে মারামারি করে আসে সম্মান চাইতে।”
বিড়বিড় করে সে সামনে এগিয়ে গেলেও বিপু পিছু ফিরে যায়। প্রত্যুত্তর করে না তার বিড়বিড়ের। ভাবতে থাকে তাদের যোগসূত্র নিয়েই। কিভাবে যে তার পূর্ণতার যোগান দিবে, ভেবেই পায় না উপায়। কেন কান্তা শ্রাবণের মতোই কোনো আগন্তুক হয়ে এলো না তার জীবনে? কেন পরিচিতের সীমানায় তারা মন বিনিময় করে বসলো?

বিকেলে দালানের পূর্ব পাশের বাউন্ডারি ঘেঁষে বারান্দা সংলগ্ন বেলীফুলের গাছটি লাগিয়েছে ইফতেখার। রাস্তা হতে বাড়িতে প্রবেশ করলেই দক্ষিণ পাশে যেমন টিন কাঠের ঘরের সামনে দুইটা গোলাপ গাছ চোখে পড়ার মতো, তেমনই উত্তরের দিকে এই বেলী গাছটিও চোখে পড়ার মতো। শ্রাবণ আজও গোসলের পর শাড়ি পরেছে৷ নিজের কাপড়চোপড় না শুকানোর কারণে শ্বাশুড়ির আরেকটা শাড়ি সে গছিয়ে নিয়েছে নিজের করে। এটাতেও দারুণ লাগছে। যৌবনকালে যেমন রূপের লাবন্য পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, শাড়িও বুঝি এই যৌবনেই নারীতে অধিক শোভা পায়। তা-ই তো দেখাচ্ছে। আজ শ্রাবণের দিন তাই শ্রাবণকেই একটু সময় দিতে ইচ্ছে করছে ইফতেখারের। কাজের ব্যস্ততা চাপিয়ে দিয়ে সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে বাইরে যাওয়ার প্রস্তাব করে। শ্রাবণ জানতে চায়,
“কোথায়?”
“শ্রাবণ দিনে একটু এলোমেলো হাওয়ায়।”
ইফতেখারের সঙ্গে এলোমেলো হাওয়ায় ভাসতে মোটরসাইকেলে চড়ে বেরিয়ে গেছে শ্রাবণ। কিছু অব্যক্ত কথার সুর, পিছু নিয়েছে তাদের। কিছু ত্যক্ত জীবন মূহুর্ত ছুঁতে চাইছে তাদের। কিন্তু অবর্ণনীয় এক সায়রের প্রেমমায়া সঙ্গী হয়ে গেছে ততোক্ষণে। পিছু ফিরতে অনিচ্ছুক, ত্যক্ততার স্পর্শ পেতে অনীহা। মুহূর্ত বড় প্রিয়। আরও প্রিয়, মুহুর্তকে প্রাধান্য দেওয়া প্রহর। হঠাৎ বৃষ্টির মতো যুগল জীবনের প্রণয়োচ্ছ্বাসের সৃষ্টি এই প্রহরে। প্রণয়ের গুনগুন প্রবাহিত হয় বাতাসে বাতাসে। এই বাতাস বড় সুখকর। সুখকে গভীর উপলব্ধি করতে শখপ্রাণের পিঠে মাথা হেলিয়ে দেয় সুখপ্রিয়া। ইফতেখারের সেদিনকে মনে হতেই জিজ্ঞেস করে,
“খারাপ লাগছে?”
“উহুম।”
“কি খাবে?”
“শহরের পথে বের হলে বলতাম ফুচকার কথা। এখানে কি খাওয়া যায়?”
“বাজারে ফুচকা আছে তো। খাবে?”
“চলুন তবে।”
ছোট ছোট ঝাল ফুচকায় সন্ধ্যাটা আরও জমে উঠেছে দুয়ের। পরক্ষণে কিছু সময় কাটিয়ে এসেছে তাদের প্রথম গল্প জমানো স্থান বালুর মাঠে। এই জায়গাটা অকারণেই একটু বেশি ভালো লাগে শ্রাবণের। কারণ খুঁজতে গেলে হয়তোবা প্রকৃতির স্পর্শমায়াই বেশি প্রস্ফুটিত হবে। তবে ভালো লাগে। সে আশপাশের পরিবেশ নিয়েই গল্প করতে থাকে ইফতেখারের সাথে। কিন্তু আজ এই যুগলতারা এখানে হেলেনা পাগলের সামনে পড়ে গেলো। কাঁধে কয়েকটি লাঠির খুঁটি নিয়ে বাজারে দোকান হতে দুইটা বোতল কুড়িয়ে এসেছে এদিকেই। ইফতেখারকে দেখেই তাদের কাছে এগিয়ে আসে,
“এই ছ্যাড়া, তুই না বিয়া করছত? দাওয়াত দেছ নাই ক্যা?”
শ্রাবণ একটু অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে দেখে হেলেনার বেশভূষা। নদীর ওপারের মিলের বড় বড় লাইটের আলো, বাজারের দোকানপাটের কিছু আলো এবং গগনের সেই আধশশী যথেষ্ট আলোকিত রেখেছে বেশভূষা কাছ থেকে দেখে ওঠার মতো। ইফতেখার খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে ছোলা চিবাচ্ছিলো তখন। হেলেনার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে তার মুখের নড়াচড়া ধীর হয়ে আসে। জবাব দেয়,
“আমার বিয়েতে আমিই দাওয়াত পাইনি। তাই আপনাকেও দিতে পারিনি।”
“তোর বাপেও কি পারলো না? তোরা চেয়ারম্যান দেইখ্যা কি মনে করছ নিজেগো? আমাগো পেট নাই দাওয়াত খাওয়ার মতো? এমন ফকিন্নি চেয়ারম্যান তো জীবনে দেহি নাই। পোলার বিয়াত হামধুম করে না। কাইজ্জা লাগছত বাপের লগে? নইলে তোর লগে এরুম শত্রুতাডা করলো ক্যা?”
শুকনো গলায় দুইটা কাশি উঠে যায় ইফতেখারের। হাতের ছোলা শ্রাবণের হাতে থাকা প্যাকেটে রেখে পকেট থেকে টাকা বের করতে থাকে। হেলেনা ততক্ষণে শ্রাবণের দিকেও নজর গাঁথে। শ্রাবণ তার দিক থেকে নজর তুলে নেয় তাতেই। হালকা করে গলা খাঁকারি দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দাঁড়ায়৷ এই বুঝি তাকে নিয়েও মন্তব্য শুরু করে উল্টাপাল্টা কিছু! ইফতেখার একশো টাকা হেলেনার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“দাওয়াত তো খাওয়া হলো না, এটা দিয়ে আপনি মিষ্টি খেয়ে নিয়েন।”
“হো, দে। ওইডা তোর বউ?”
“জ্বি।”
“সুন্দর অই। এই রাইতের বেলা সুন্দরী বউ লইয়া এনে কি করছ? চান্দের নজর লাগবো। ঘরে যা!”
“জ্বি, যাবো। নজর সরিয়ে আপনি আগে যান। মিষ্টির দোকান বন্ধ করে ফেলবে নয়তো।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here