#পূর্ন_তিথি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
(২)
থমথমে পরিবেশ। একটু আগে অল্পস্বল্প ঝড় বয়েছে এখানে। তবে এখন কেমন শান্ত, নিরিবিলি।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাপড় ইস্ত্রী করছেন সুচিত্রা৷ স্বপ্নের সামনে মেলে রাখা বাংলা বই।কিন্তু তার চোখ, মনোযোগ দুটোই তিথির দিকে। ঠোঁট উল্টে বিছানার ওপর বসে আছে তিথি।হাটু ভাঁজ করে বালিশে মুখ চেপে, তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে।
সূচিত্রার ভাবান্তর নেই। ভ্রুক্ষেপহীন। মায়ের আচরনে মন মেজাজ আরো বিগড়ে অাসছে তিথির। রাগ হচ্ছে। মা একবার তার দিকে তাকাচ্ছেও না। একটু আগে এত বকলো আর এখন সে যে রাগ করে আছে সেনিয়ে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই?
এদিকে স্বপ্ন একবার বোনের দিকে তাকাচ্ছে তো অন্যবার মায়ের দিকে। বোনের এমন গোঁমড়া মুখ একটুও ভালো লাগছেনা তার৷ ঠোঁট কাঁমড়ে বড়দের মত কিছু একটা ভাবলো স্বপ্ন। শেষে আর থাকতে না পেরে তিথির কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। স্বপ্নকে একবার দেখে বালিশে মুখ লোকালো তিথি। স্বপ্ন একটু ঝুঁকে গেলো ওর দিকে। ফিসফিস করে বলল,
— সোনু,,,তোর কি জিনিস টা খুব দরকার…??
ভাইয়ের কথায় চোখ তুললো তিথি। ওপর নিচ মৃদু মাথা নাঁড়লো । ফোস করে এক নিঃশ্বাস ফেললো স্বপ্ন। বিজ্ঞদের মতো মাথা ঝাঁকিয়ে বলল,
‘ দাড়া দেখছি।
স্বপ্ন গুটিগুটি পায়ে এসে মায়ের পাশে দাঁড়ায়।তিথির ভ্রু কুঁচকে এলো।স্বপ্ন আবার কি করবে?
সুচিত্রা একটার পর একটা কাপড় ইস্ত্রী করছেন।ব্যাস্ত হাতে সেগুলো ভাঁজ করছেন,আবার সাথে সাথে ভরে রাখছেন ব্যাগের ভেতর। কালকের মধ্যে ডেলিভারি দিতে হবে। স্বপ্ন আস্তে করে বলল,
— মা,,,বলছিলাম কি,,শোনোনা…
সুচিত্রা গম্ভীরমুখে বললেন,
— কি?
— একবার আমার দিকে তাকাবে তো…
সুচিত্রা না তাকিয়েই বললেন,
— আমি শুনতে পাচ্ছি। বলতে থাক…
স্বপ্ন অনুরোধ করে বলল,
—- বলছিলাম যে, কিনে দাওনা। একটা ঘড়িই তো চেয়েছে সোনু তাইনা।
সুচিত্রা হাতের কাজ থমকে থামালেন।তিথি উদগ্রীব হয়ে দেখছে।ভাইয়ের কথায় মায়ের মন গললো কিনা!
সুচিত্রা পরমুহূর্তে আবার ব্যাস্ত হলেন কাজে। কড়া কন্ঠে বললেন,
— বলেছি না এ মাসে হবেনা,,,,এত বায়না কোথ থেকে আসে তোদের? যার যতটুকু সামর্থ্য সেটুকুর মধ্যে থাকতে হয়।
স্বপ্ন অসহায় চোখে তাকালো তিথির দিকে। তিথি মুখ ছোট করে নিলো। স্বপ্ন আবার ফিরলো মায়ের দিকে। অধৈর্য হয়ে বলল,
— আগামি মাসে কি লটারি পাবে তুমি? এ মাসে ওর কলেজ শুরু হয়ে যাবে।প্রথম দিনের ব্যাপার স্যাপার ই আলাদা। দাও না কিনে।
সুচিত্রা কপাল কুঁচকে তাকালেন,
— কি ব্যাপার বলতো!এমনিতে তো সারাদিন দুটোতে মারামারি করিস। আজ হঠাৎ ওর জন্যে এত দরদ দেখাচ্ছিস যে??
স্বপ্ন আমতা-আমতা করে বলল,
— দরদ কোথায় দেখাচ্ছি? আরে বাবা! ওর জন্যে তো আমার প্রেজটিস টাও যাবে তাইনা। ও যদি ক্যাবলা কান্তের মতো ক্লাসে যায় তো সবাই বলবে দ্যাখ দ্যাখ স্বপ্নের বোনের হাতে একটা ঘড়ি অব্দি নেই। বলবেনা বলো…নিজের জন্যেই তো বলছি…
সুচিত্রা ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ফেলে বললেন,
—- হু, বুঝেছি,,,কিন্তু এসব চালাকি আমার সাথে দেখিয়ে লাভ নেই বাবা। এ মাসে যা হাতে আছে সেগুলো দিয়ে বাকিটা মাস চালাতে হবে।
বেশি তাড়া থাকলে নিজেদের বাবার কাছে গিয়ে চেয়ে নিতে বল। এত টাকা তবুও ছেলেমেয়ের পেছনে এক পয়সাও খরচা করেনা লোকটা।
মায়ের কথায় বিছানা ছেড়ে উঠে এলো তিথি। উদ্বেগ নিয়ে বলল,
— আমি কি বলেছি খুব দামি ঘড়ি দিতে? যা হোক কিছু একটা কিনে দাওনা মা…
সুচিত্রা চোখ সরু করে বললেন,
— যা হোক কিছু একটা পেলেই চলবে তো ??
তিথি জোরে মাথা নেড়ে বলল,
—- হ্যা হ্যা…
‘ পরে আবার কিছু বলবিনাতো?
‘ না না।
সুচিত্রা একটু ভেবে বললেন,
— ঠিক আছে। কাল সকালে টাকা নিয়ে যাস।
তিথি আনন্দে পুলকিত হয়ে বলল,
— সত্যি দেবে…?
সুচিত্রা হেসে ফেললেন এবার।
— না দিয়ে পারা যায়… দুজনে যা শুরু করেছিস।
_____________________
মফস্বল শহর ।খুলনার মূল শহরটা এখান থেকে দেড় ঘন্টার পথ। সচরাচর সেখানে যাওয়া হয়না। হাতে বড় বাজেট নিয়ে তবেই ঘুরে আসা হয় খুলনার হাই কোয়ালিটির শপিং সেন্টার গুলো। মোটামুটি সাধারন মানুষের কেনাকাটার যোগান এই মফস্বলেই মেলে। জায়গাটা দুটো ভাগের। এক পাশে গ্রাম,অন্য পাশে শহর। মোটামুটি পর্যায়ের মল, বড় বাজার সব কিছু ওখানেই। তিথিরা শহরের দিকটায় পরেছে।তবে ঢাকা,চট্টগ্রাম এসবের তুলনায় এই শহর বড্ড নগন্য।
শপিং সেন্টারের সামনে এসে রিক্সা থেকে নেমে পরলো তিথি। ভাড়া চঁুকিয়ে ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে পা বাড়ালো ভেতরের দিকে।
একটা ঘড়ির শপে এসে দাঁড়ালো তিথি। নানান রঙ,বাহারি নকশার ঘড়ি টাঙানো। এক পাশে মেয়েদের,অন্যপাশে ছেলেদের। কাঁচের মধ্য দিয়ে ঘড়ির গ্লাস গুলো কেমন চকচক করছে। তিথির ইচ্ছে হলো সব নিয়ে যেতে। কিন্তু সব ইচ্ছেতো আর পূরন করার উপায় নেই। এদিক ওদিক দেখে ঘড়ি পছন্দ করতে শুরু করলো। শপের দায়িত্বে থাকা ছেলেটি ভদ্র ভাবে জিজ্ঞেস করলো,
‘ ম্যাম কোনটা দেখাবো?
তিথি মৃদূ হেসে বলল,
‘ একটু দেখে বলি?
‘ ঠিক আছে । এদিকটায় ভালো কালেকশন আছে,কোয়ালিটিফুল, দেখতে পারেন।
তিথি বলল,
‘ আমি নিজের মত করে দেখছি।আপনি আপনার কাজ করুন,পছন্দ হলে আমি বলবো।
‘ জ্বী।
তিথি মলিন মুখে দেখতে থাকে। সুচিত্রা ৫০০ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এখানে যা দেখলো বাজেটের ওপরে প্রায়। তিথির মুখ আবার কালো হয়ে এলো। ভাবলো অন্য কোথাও যাবে।শো রুমে বাজেটের মধ্যে না পেলে না হয় ফুটপাত থেকে কিনে নেবে! ১৫০ টাকায়ও কত সুন্দর ঘড়ি পাওয়া যায় এখন।
তিথি নিজের মত ভাবলো। উল্টো ঘুরে হাটতে নিয়ে থেমে গেলো। ভ্রু কুঁচকে আবার তাকালো। একটা কালো বেল্টের ঘড়ি। ভীষণ সুন্দর। তিথি দ্রুত প্রাইস ট্যাগ টা চেক করলো, ৪৭০ টাকা। মুখে হাসি ফুটলো তিথির। খানিকক্ষণ নেঁড়েচেড়ে দেখে পরতে শুরু করলো। সামনে মস্ত বড় আয়না টাঙানো। ঘড়ি হাতে বাঁধতে গিয়ে হুট করে আয়নার দিকে চোখ পরলো তিথির। নিজের মুখের পাশাপাশি ভেসে আছে আরেকটা ফর্সা মুখ।
তার থেকে এক হাত পেছনে দাঁড়িয়ে আছে কেউ একজন। পড়নে চেক শার্ট,, কালো জিন্স। সানগ্লাস টা শার্টের কর্লাারে ঝোলানো।
ব্যাপারটা সাধারণ। কিন্তু তিথির ভ্রু কুঁচকে এলো। ছেলেটি একভাবে দেখছে তাকে । সাথে কালো ঠোঁটে এক সুন্দর মুচকি হাসি।
তিথি বোকা চাউনিতে আয়নার দিকে চেয়ে থাকলো। ছেলেটির হাসির কারন বুঝলোনা। ছেলেটিকি তাকে দেখে হাসছে? কিন্তু কেন..?? তাকে দেখে হাসার কি হলো…? কিছুটা অস্বস্তি লাগলো। নড়েচড়ে গায়ের ওড়নাটা টেনে নিলো।
চোখ সরিয়ে নিলো। মন দিলো ঘড়ির দিকে। পরমুহূর্তে আবার তাকালো। ছেলেটি দুদিকে মাথা দোলালো। কিছু একটা ব্যাপারে বারন করছে।
তিথি মুখ কুঁচকে ভাবলো,
— এই ছেলেটা এমন করছে কেন?? কি নিষেধ করছে আমাকে??
বাই এনি চান্স ওকি আমাকে ওড়না টা ঠিক করতে বারন করছে??
ভারি শয়তান ছেলে তো…
তিথির মেজাজ তেঁতে এলো। আয়নায় ছেলেটির দিকে দাঁত কটমট করে তাকালো। ছেলেটি তবুও হাসলো। তিথি অবাক হলো এতে। ছেলেটার অদ্ভুত চোখ।অদ্ভূত দৃষ্টি। কি আছে সেখানে? মুগ্ধতা?
হঠাৎ অন্য একটি ছেলে এসে দাঁড়ালো ওই ছেলেটির পাশে। কাঁধে হাত রেখে ভয়ার্ত কন্ঠে কিছু একটা বলল। সানগ্লাস টা বুক থেকে উঠিয়ে চোখে পরলো ছেলেটি। যাওয়ার সময় তিথির দিকে আরো একবার তাকালো। চোখ মুখে অনেক কথা। তিথি কেমন ভঁড়কে চেয়ে আছে।ছেলেটি বেরিয়ে পরলো মল ছেড়ে। তিথি হাফ ছেড়ে বাঁচার মত শ্বাস টানলো। চোখ সরিয়ে দোকানের ছেলেটিকে ডাকলো,
‘ শুনুন ভাইয়া?
ছেলেটি এগিয়ে এলো,
তিথি হাতের ঘড়িটা দেখিয়ে বলল,
‘ এটা নেবো।
_____________
তিথির জ্ঞান ফিরেছে অনেকক্ষন। ঘামে ভিজে জুবুথুবু। আদিত্যর সাথে প্রথম দেখা হওয়ার মুহুর্ত টা মনে পড়ছে খুব। এইতো সেদিনের কথা! এর মধ্যে এতদিন কি করে হলো?
‘ আচ্ছা আদিত্য সত্যিই তুমি আমাকে ফেলে অন্য কাউকে বিয়ে করবে? একদিন যেই হাত দিয়ে আমার কপালে সিঁদুর দিয়েছিলে সেই হাতে অন্য মেয়ের মাথায় সিঁদুর তুলতে হাত কাঁপবে না তোমার? একটুও কষ্ট হবেনা? তিথি ডুকরে কেঁদে উঠলো। ধড়ফড় করে ফোন তুলল। ডায়াল করলো আদিত্যর নম্বরে।সুইচড অফ।তিথি চোখ মুছে ডায়াল করলো আদিত্যর বন্ধু রঞ্জনের নম্বরে। রিং হলো ঠিকই,তবে কেটে দিলো রঞ্জন।পরের ডায়াল করতেই ওর ফোনও সুইচড অফ শোনালো। তিথি আবার ব্যাস্ত হলো চিল্লিয়ে কাঁদতে। মা চলে আসবে,এভাবে যে আর কাঁদা হবেনা তখন।
অতীত:
‘
মেইন রাস্তার এ পাঁড়ে দাঁড়িয়ে আছে তিথি। বাড়িতে পৌছানোর খুব তাড়া ।স্বপ্নর স্কুল থেকে ফেরার সময় হয়ে এসছে। একা একা বাড়িতে থাকতে পারেনা ও। এদিকে একটা রিক্সাও পাচ্ছেনা।পেলেও ডাবল ভাঁড়া দাবি করছে। তপ্ত কঁড়া রোদ সরাসরি এসে গায়ে লাগছে। এভাবে ব্যাস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতেও অসহ্য ঠেকছে। হঠাৎ রাস্তার ওপারে চোখ পরলো তিথির।
মাত্রই একটি গাড়ি থেকে হাতে ফাইল সমেত নেমে দাড়িয়েছেন একটা মধ্যবয়সী লোক। পেছন থেকে দেখেও চিনে ফেললো তিথি। তার বাবা বিকাশ মিত্র। বাবাকে দেখেই ঝলমলিয়ে উঠলো তিথির চেহারা। ওভাবে দাঁড়িয়ে থেকেই গলা উঁচু করে ডাকলো
— বাবা….!!
এতটা দুরুত্ব,সাথে গাড়ির হর্ন, তিথির ডাক শুনতে পেলোনা বিকাশ। একটা উঁচু বিল্ডিংয়ের গেটের দিকে হাটা ধরলেন। বাবাকে থামানোর প্রত্যাশায় উদ্বিগ্ন হয়ে ছুট লাগালো তিথি। দ্রুত বেগে রাস্তা পার হলো। এ পাশে এসে আবার ডাকলো,
‘ বাবা,
ডাক শুনেই দাঁড়িয়ে পরলেন বিকাশ। ভ্রু কুঁচকে পেছন ফিরলেন। তিথিকে দেখা মাত্রই ঠোঁটে হাসি ফুটলো।তবে সামান্য।সহজ কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
— সোনু। তুই এখানে??
তিথি উত্তর দিলোনা। উল্টে আপ্লুত কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো,
— কেমন আছো বাবা…?
বিকাশ হেসে থেকেই বললেন,
— এইতো ভালো আছি। তুই কেমন আছিস?
— তোমাকে ছাড়া ভালো থাকি কিভাবে?
তিথির মলিন মুখের উত্তরে কাঠ হয়ে এলো বিকাশের চেহারা। শক্ত অথচ শান্ত কন্ঠে বললেন,
‘ চেয়েছিলাম তো আমার সাথে থাক।তোরাই চাসনি। যাক গে,স্বপ্নের কি খবর..?? কেমন আছে ও..??
তিথির উত্তর,
— ভালো…
— এখানে এসেছিস?? কিছু দরকার…??
তিথি মুহুর্তেই উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বলল,
— হ্যা,একটা ঘড়ি কিনলাম। পরশু দিন কলেজে প্রথম দিন তো…
বিকাশ অদ্ভুত ভাবে তাকালেন। ভ্রু নাঁচিয়ে বললেন,
—- ঘড়ি কিনেছিস। দেখি……
আনন্দে দ্রুত হাতে প্যাকেট থেকে ঘড়ি বার করে বাবার সামনে ধরলো তিথি।দেখা মাত্রই নাক কুঁচকে নিলেন বিকাশ।
—এটা?? এরকম সস্তা একটা ঘড়ি পরবি নাকি সোনু..??
তিথি মুখ কালো করে বলল,
— না মানে,মায়ের কাছে যা টাকা ছিলো সেটা দিয়েই…
তিথির কথায় বিকাশ তাচ্ছিল্যের হাসি টানলেন ঠোঁটে।বিদ্রুপ করে বললেন,
— হবেইতো! ওর চোখ বরাবর নিঁচুতেই থাকে। নাহলে কি আর…
তিথি চুপ।বিকাশ আবার বললেন,
‘ কত বার বলেছি ওই মহিলা কে ছেড়ে আয়,কোনও কিছুর অভাব রাখবোনা তোদের। কিন্তু না,তোরা দুই ভাই বোন তো তোদের মা ছাড়া কিছুই বুঝিস না। অথচ বৃষ্টি কে দ্যাখ,আমার কথা মেনে নিয়েছে বলে কি সুন্দর ঢাকায় রেখে পড়াচ্ছি ওকে। যা চাইছে তাই পাচ্ছে। এখন তোরা নিজেরাই যদি জেদ নিয়ে বসে থাকিস যে আমার কাছে তোরা আসবিনা। তো এখানে আমার কি করার আছে? থাক যেভাবে থাকার ইচ্ছে তোদের।
এক দমে কথা গুলো বলে দিয়ে আর দাড়ালেন না বিকাশ। পেছনে তিথিকে রেখেই হনহন পায়ে হেটে গেলেন।
আহত দৃষ্টিতে বাবার যাওয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো তিথি। ভাঙা পরিবারের কথা ভেবে বুক চিঁড়ে বেরিয়ে এলো দীর্ঘশ্বাস।
— আমরাতো টাকা পয়সা চাইনা বাবা। আমরা চাই পরিবার। যেখানে তুমি আর মা একসাথে থাকবে। আমাদের সাথে।
চলবে….