পূর্ন__তিথি লেখনী:নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি (০৮)

0
193

#পূর্ন__তিথি
লেখনী:নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি
(০৮)

মন খারাপ সাময়িক।এই একটু পর বেমালুম চাঁপা পরে। ভুলে যায় সব।কিন্তু বিষন্নতা ভয়ানক।গ্রাস করে মন, মস্তিষ্ক। অবসাদে ছেঁয়ে ফেলে চারপাশ। মৃদুমন্দ শান্তির বাতাস তখন বিষাদ লাগে।বিষাক্ত মনে হয় কারো সহানুভূতি। তিক্ততা ঘিরে থাকে হৃদয়।

বাইকের ওপর লম্বালম্বি ভাবে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে আদিত্য।চোখ গুলো আকাশ পথে। সাদা শুভ্র আকাশে কিছু খুঁজছে। পাশেই মুখ ছোট করে দাঁড়িয়ে আছে রঞ্জন,আর আরিফ। দুজনে কতক্ষন নিজেদের মধ্যে কথা বলছে,কখনও আবার চেয়ে দেখছে আদিত্যকে। আদিত্য একটা বাক্যব্যয় ও করেনি এখন অব্দি।

আদিত্যের মন ভালো নেই।ক্ষুন্নতায় ভুগছে। আজ এক সপ্তাহ তিথিকে একটু চোখের দেখা দেখেনি সে। প্রত্যেকটা দিন রুস্তমের দোকান,কলেজ গেট,ব্রিজের এপার ওপার করলেও তিথির দেখা মেলেনি। তিথিকি রাগ করলো? সেদিন ভালোবাসি বলায়? হতেই পারেনা। সেদিন কারো একটা গলার স্বর পেয়েছিলো ফোনে।কে ছিলো? তিথির মা? কোনও ঝামেলা হলো কি?

এমন হাজারটা প্রশ্ন সাত দিন দখল করে আছে তার মাথায়।বৃষ্টির থেকে তিথির কোনো খোঁজ না পেলেও তিথির ফোন নম্বর পেয়েছে।কিন্তু কল করার সাহস টুকুর জোগান পাচ্ছেনা। যদি তিথি রেগে যায়? ভুল বোঝে? আচ্ছা ওকি বিরক্ত হয়? তার এমন পাগলামোতে?

আদিত্যের এমন উদাস ভাব মূর্তিতে রঞ্জন চুপ থাকলেও বেশিক্ষন নিজেকে আটকাতে পারলোনা আরিফ।খোঁচা মেরে বলল,

‘ কি রে দেবদাস? একটা মদের বোতল আইনা দিতাম নাকি?

আদিত্য উত্তর দিলোনা।চুপচাপ চেয়ে থাকলো ওপরে।আরিফ আবার বলল,

‘ তোর কানে কি কথা ঢুকেনা আদি? মানে আমরা এত্ত পুরানো বন্ধু,আমাগো কোনো দামই নাই।শালা দুইদিন হলো প্রেমে পরছো কি এক্কেবারে চ্যাগাইয়া গেলা?

আদিত্য বিরক্তিতে আস্তে করে বলল,

‘ ভালো লাগছেনা আরিফ।কথা বলিস না তো!

‘ তা লাগবে কেন? এখন তো আমরা যাই বলবো তাতেই তোমার কানে ফোস্কা পরবে। আর তিথি রে দেখলে তো একবারে আনন্দে নাঁইচচা…

কথাটা শেষ করার আগেই আরিফ থেমে গেলো। চোখ ছোট ছোট করে চেয়ে থাকলো। তিথি আসছে। আরিফ ভালো করে খেয়াল করে দেখলো,হ্যা তিথিই।
লম্বা একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল,

‘ ওই যে আইছে।দেবদাসের পারবতি।

কথাটা শোনা মাত্রই আদিত্য লাফিয়ে উঠলো। তিথি আসছে দেখে ঝলমলালো চেহারা। উঠে দাঁড়ালো তৎপর। আরিফ, রঞ্জন কে ইশারা করে বলল,

‘ দ্যাখ! ৩২ পাটির সব দাঁত বাইর হইছে শালার।অথচ এতক্ষন বান্দরের মত ছিলো চেহারা।

রঞ্জনের নিরুদ্বেগ উত্তর,

‘ থাক বাদ দে।প্রেম তো করিনা তাই জানিওনা।

তিথির কাঁধে ব্যাগ।মুখ কালো। চুলটা ঝুটি করে বাঁধা পেছনে। মন ভালো নেই মুখেই স্পষ্ট। আদিত্যকে দেখেও না দেখার ভান করলো। পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে আদিত্য অধৈর্য হয়ে ডাকলো,

‘ তিথি শোনো..

তিথি দাঁড়াতে না চেয়েও দাঁড়ালো। আদিত্য এগিয়ে এলো ওর দিকে। উদ্বিগ্ন হয়ে প্রশ্ন ছুড়লো,

‘ এ কদিন কই ছিলে তিথি? শরির খারাপ ছিলো?

তিথি আদিত্যের দিকে একবারও তাকালোনা। নিচের দিকে চোখ রেখেই মাথা নেঁড়ে না বোঝালো। আদিত্য আবার প্রশ্ন করলো,

‘ তাহলে কোথায় গেছিলে? তোমাকে তো দেখিনি।জানো আমার কি অবস্থা হয়েছিলো?

আদিত্যের স্বরে উদগ্রতা পরিষ্কার। তিথি চুপ করে থাকলো তাও।আদিত্য ভ্রু কুঁচকে বলল,

‘ কি হলো? কথা বলছোনা কেন?

তিথি মৃদূ কন্ঠে বলল,

‘ কি বলবো?

‘ কি বলবে তুমি জানোনা?

তিথি এবার তাকালো। বড় ঠান্ডা সেই দৃষ্টি। বলল,

‘ আপনি আমাকে নিয়ে এত উতলা হচ্ছেন কেন? আপনার সাথে আমার এমন কোনো সম্পর্ক আদৌ কি আছে?

আদিত্য অবাক হলোনা। স্পষ্ট কন্ঠে বলল,

‘ তোমার দিক থেকে কি অাছে অামি জানিনা।আমার দিক থেকে অবশ্যই অনেক বেশি কিছু আছে।

তিথি শক্ত কন্ঠে বলল,

‘ আমার দিক থেকে নেই। আর হবেওনা।আপনি এভাবে রাস্তাঘাটে আমাকে বিরক্ত করবেন না।

আদিত্য অবাক হয়ে বলল,

‘ আমি তোমাকে বিরক্ত করছি?

‘ হ্যা।

বলে দিয়েই এগোতে নিলো তিথি। তবে পা বাড়ানোর আগেই ওর এক হাত টেনে ধরলো আদিত্য। তিথির একটুও ভাবান্তর এলোনা। ঘাঁড় না ফিরিয়ে শান্ত ভাবে বলল,

‘ হাত টা ছাড়ুন আদিত্য। কেউ দেখলে বদনাম হয়ে যাবে।

আদিত্য নম্র কন্ঠে বলল,

‘ না। আগে উত্তর দাও।

তিথি ভ্রু কুঁচকে তাকালো।

‘ কিসের উত্তর?

‘ সেদিনের সেই কথার উত্তর,

তিথি চোখ সরিয়ে নিয়ে বলল,

‘ আমি জানিনা।

‘ তার মানে তুমি জানো।তোমার চোখে স্পষ্ট। তুমিও আমাকে ভালোবাসো।

তিথি মৃদূ তেঁতে বলল,

‘ কে বলল? আমি বলেছি? কেন নিজের মত কথা বানাচ্ছেন?

‘ আমি কথা বানাচ্ছিনা।তুমি যদি আমাকে পছন্দ নাই করতে এতক্ষনে হাত টা ঝাঁড়া মেরে ছাড়িয়ে নিতে।তোমাকে যদি সত্যিই বিরক্ত করতাম আর তাতে তুমি যদি সত্যিই বিরক্ত হতে, এত শান্ত ভাবে আমার সাথে কথা আদৌ বলতে না।

তিথি চুপসে গেলো।প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলল,

‘ হয়তো জীবনে প্রথম কারো মুখে ভালোবাসার কথা শুনেছি তাই?এমনও তো হতে পারে।

আদিত্য মুচকি হেসে বলল,

‘ এই কথাতেই বুঝিয়ে দিলে এটা মিথ্যে। তুমি আমাকে ভালোবাসো সেটাই সত্যি।

‘ আমি জানিনা।

‘ আমি জানি।

‘ হাতটা ছাড়ুন।

‘ যদি না ছাড়ি?

‘ আমি ছাড়িয়ে নেবো।

‘ পারলে নাও।

তিথি দমে গেলো। অনুরোধ করে বলল’

প্লিজ ছাড়ুন! এভাবে রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বলা ঠিক হচ্ছেনা।কেউ দেখে ফেললে বাবাকে বলে দেবে।

আদিত্য একটু ভেবে বলল,

‘ ঠিক আছে, কোচিং তো পাঁচটায় শেষ। আমি ব্লু- বার্ডসে অপেক্ষা করবো।এসো।

আদিত্য হাতটা ছেড়ে দিতেই তিথি হাত গুটিয়ে নিজের কাছে আনলো। কোনো উত্তর না দিয়েই এক ছুটে চলে গেলো দূরে। আদিত্য ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে আরিফ আর রঞ্জন এর দিকে তাকালো। দুটোতে হা করে চেয়ে আছে। পুতুলের মত। নড়ছেওনা।আদিত্য ভ্রু কুঁচকে বলল,

‘ তোদের আবার কি হলো?

কেউই উত্তর দিলোনা।চেয়ে থাকলো ওভাবেই।আদিত্য ধমকে বলল,

‘ মুখ বন্ধ করবি? নাকি রাস্তার বালু খাইয়ে দেবো?

আরিফ বিমুঢ় হয়ে থেকেই বলল

‘ ভাই আমরা কি করবো বল? চোখের সামনে এসব দৃশ্য কি হজম হয়?.

রঞ্জন তাল মিলিয়ে বলল,

‘ এটা আমাদের সেই আদিত্য? ভাবতেই নিজেকে কেমন পাবনা ফেরত পাগল পাগল লাগছে।

আদিত্য মুখ কুঁচকে বলল,

‘ কেন? কি এমন করেছি আমি? হ্যা?

আরিফ বলল,
‘ কি করেছিস? তোর মত একটা ছেলে রাস্তায় মেয়েদের হাত ধরছে? টানাটানি করছে? তুই? এটাও সম্ভব? বলতো!সেই তুই আর এই তুই?

আদিত্য মুচকি হাসলো।এগিয়ে এসে আরিফের কাধে হাত রেখে বলল,

‘ আসলে প্রেমে পরেছি তো।এখন আর আগের মত থাকলে চলবেনা।সাহসি হতে হবে রে চূড়ান্ত সাহসি।


আদিত্য? নেমে এসো।

ডাক টা শুন হুশে ফিরলো আদিত্য। আশেপাশে তাকালো। হট্টগোলে ভর্তি সেই বিয়ে বাড়ি।লোকজনে ভরপুর। এখনও গাড়িতেই বসে আছে সে।তিথির নাম শুনে কতক্ষনের জন্যে হারিয়ে গেছিলো অতীতে।ধ্যান কাটতেই নিজেকে চোরাবালির মধ্যে দেখে হতাশ হলো আবারও। মনে হলো স্বপ্ন টাই তো ভালো ছিলো।সুন্দর ছিলো।

আদিত্যর গাড়ির দরজা খুলে দিলো কেউ একজন ।দীর্ঘশ্বাস ফেলে নেমে এলো সে। কনের মা বরণ ডালা হাতে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে সামনে। আদিত্য ধীর পায়ে এগোলো সেদিকে।প্রতিটা পদক্ষেপ মনে হচ্ছে জ্বলন্ত কয়লার ওপরে দিচ্ছে। উলুধ্বনি, শঙখ বাজার শব্দে মুহুর্তে মুখরিত হলো চারপাশ।এমন সুরেলা শব্দও সূচের মতন কানে বিঁধলো আদিত্যর। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করার চেষ্টা চালালো। একটা সময় বরণ শেষে ভেতরে ঢুকলো সবাই। বরকে নিয়ে বসানো হলো আসনে। আর কিছু মুহুর্ত বাকি! তারপরই সব শেষ হবে।সত্যিই হবে?

_____

অতীতঃ

কাঁপা কাঁপা হাতে রেস্টুরেন্টের দরজা খুললো তিথি।ভেতরে ঢুকলো। তেমন লোকজন নেই আজ।একটু স্বস্তি পেলো এতে।এদিক ওদিক তাকালো।একটা সময় খুঁজে পেলো সেই কাঙখিত মুখ। কোনার টেবিলে বসে আছে আদিত্য। একাই আছে।তিথি গুটিগুটি পায়ে এগোলো সেদিকটায়। আদিত্য টেবিলে থাকা কোল্ড কফির স্ট্র নাড়াচ্ছে।খাচ্ছেনা। হঠাৎ সামনে তাকাতেই তিথিকে দেখলো।মুহুর্তেই ঠোঁটে ফুটলো গাঢ় হাসি।দাঁড়িয়ে পরলো।ব্যাস্ত হয়ে চেয়ার টেনে বলল,

‘ বসোনা।

তিথি বসলো।কাঁধ ব্যাগটা রাখলো কোলের ওপর। আদিত্য বসতে বসতে বলল,

‘ আমি জানতাম তুমি আসবে।

তিথি কিছু বললনা।আদিত্যর চকচকে চেহারার দিকে চেয়ে থাকলো। আদিত্য হেসে বলল,

‘ কি খাবে? কফি? নাকি অন্য কিছু?

তিথি বলল,

‘ কিছুনা।আপনি কিছু বললে তাড়াতাড়ি বলুন।আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে,আমার ভাই..

‘ তোমার ভাই নাহলে একা তাইতো?

তিথি ভ্রু কুঁচকে বলল,

‘ আপনি জানলেন কি করে?

আদিত্য হেসে বলল,

‘ তোমার ব্যাপারে জানবোনা এমন কিছু আছে?

তিথির মুখটা কালো হয়ে এলো। তাহলে আদিত্য নিশ্চয়ই তার বাবা মায়ের ব্যাপারটাও জানে!আর পাঁচটা মানুষের মতই ওকি মাকে খারাপ ভাববে?

‘ কি ভাবছো?

উত্তরে তিথি মলিন কন্ঠে বলল,

‘ আপনি আমার ব্যাপারে সব জানেন?

‘ যতটুকু জানার জানি।এর বেশি প্রয়োজন নেই।

‘ আছে।অনেক কিছু জানার আছে। দেখুন আমার বাবা মা…

আদিত্য মাঝপথে উদ্বেগ নিয়ে বলল,

‘ এই এক সেকেন্ড,তোমার আমার মধ্যে এসব বাবা মা টেনোনা প্লিজ! কথা আমাদের নিজেদের মধ্যে,আমরাই থাকিনা।

তিথি আস্তে করে বলল,

‘ আপনার জানা দরকার।

‘ উহু।তুমি জানা থাকলেই হবে।
আচ্ছা এটা বলো, তুমি এর আগে কখনও প্রেম করেছো?

তিথি মাথা দোলালো দুদিকে।আদিত্য ভ্রু নাঁচিয়ে বলল,

‘ বাহ! কিন্তু আমি করেছি।দুটো।

তিথি অবাক হয়ে তাকাতেই আদিত্য ব্যাস্ত কন্ঠে বলল,

‘ আরে, আরে এভাবে তাকিওনা।এই প্রেম সেরকম প্রেম ছিলোনা।একটা ফেসবুকের প্রেম,আরেকটা ফোন কলে।বলতে পারো টাইম পাস ছিলো।সামনাসামনি দেখিনি অব্দি।মাস খানেক পর আর স্টে করিনি।বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম।ভালো লাগছিলোনা।

তিথি মৃদূ হেসে বলল,

‘ তাহলে আমাকে যদি কখনও ভালো না লাগে? আমাকেও বাদ দিয়ে দেবেন?

আদিত্য জ্বলন্ত চোখে চেয়ে রইলো কিছু সময়। মুচকি হাসলো এরপর । একটু ঝুঁকে এসে সচেতন কন্ঠে বলল,

‘ তোমাকে ভালো লাগেইনা এখন।তোমাকে তো ভালোবাসি।ভালোবাসা নতুন পুরোনো হয়?

কথাটায় কি ছিলো জানা নেই।তিথির বুকটা ভালো লাগায় ছেঁয়ে এলো। নিঁচের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। মুহুর্তেই তার গালে ভেসে উঠলো ক্ষীন গর্ত। আদিত্য মুগ্ধ চোখে দেখলো, যতক্ষন চোখের পাতা এক না হয়।

আনমনে বলল

,’ তোমার এই টোল নামক গর্তে পা পিছলেছে আমার।বাঁচার উপায় কি?

তিথির হাসি গাঢ় হলো আরো।লজ্জ্বা পেলো ভীষণ। আদিত্য টেবিলের ওপর রাখা তিথির হাত দুটো মুঠোতে নিলো। প্রথম স্পর্শে ঈষৎ কেঁপে উঠলো তিথি। আদিত্য হাতদুটো শক্ত করে ধরে বলল,

‘ আজ থেকে পথ চলা শুরু হলো আমাদের।ছেড়ে যাবেনা তো?

তিথি চোখ তুলে তাকালো। নিষ্পাপ হাসি হেসে বলল,

” আপনি যাবেন না তো?

আদিত্য দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে বলল,

‘ কক্ষনও না।

বর্তমানঃ

দরজায় ঠকঠক শব্দ। তিথি কেঁপে উঠলো। এখনও ওভাবেই মেঝেতে বসে আছে সে। এতক্ষনের নিস্তব্ধ পরিবেশ মুহুর্তেই কেমন ভারি মনে হলো। কে এলো এখন? মা..?
তিথি ভেজা ক্লান্ত চোখ নিয়ে একবার ঘড়ির দিকে তাকালো। সন্ধ্যে ছয়টা বেজে কুঁড়ি মিনিট। মাতো এখন আসেনা।তবে কে? আদি?

তিথির শুকনো চেহারা মুহুর্তেই কেমন ঝলমলিয়ে ওঠে। ঠোঁট ফোটে এক ঝাঁক বাঁধ ভাঙা হাসি।আদিত্য এসেছে।নিশ্চয়ই তার কথা,সন্তানের কথা ভেবে ছুটে এসেছে আদিত্য।থাকতে পারেনি।সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে এসেছে।হ্যা নিশ্চয়ই। তার ভালোবাসা মিথ্যে হতেই পারেনা।

তিথি চোখ মুছে ধড়ফড়িয়ে উঠে দাঁড়ায়। অবশ শরীর নিয়েও ছুটে গিয়ে দরজা টেনে খুললো।
কিন্তু তিথিকে হতাশ করে দিয়ে আদিত্য আসেনি। ওপাশে দাঁড়িয়ে আছে অন্য কেউ। তিথির মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে এলো।কালো মেঘ আষ্ঠেপৃষ্ঠে চেঁপে ধরলো তাৎক্ষণিক। ভাঙা অস্পষ্ট কন্ঠে ছোট করে বলল,

‘ তন্ময়! তুমি?

চলবে,

আচ্ছা ফেসবুকে আমিই প্রথম যে অতীত নিয়ে গল্প লিখছি? নাতো! তাহলে একটা মন্তব্য আপনারা বারবার কেন করেন? অতীত শেষ করুন, অতীত শেষ করুন? আমার প্লট আমি এভাবেই সাজিয়েছি আমি এভাবেই লিখবো।যাদের অতিরিক্ত তাড়া, তারা পড়তে হলে পড়বেন নাহলে না। অনুরোধ। অহেতুক গল্প আপনাদের তাড়াহুড়োর জন্যে ঘেটে ঘ বানাতে পারবোনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here