পূর্ন__তিথি লেখনীতে:নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি (১৮)

0
140

#পূর্ন__তিথি
লেখনীতে:নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি
(১৮)

কনকনে ঠান্ডায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি। কি অদ্ভূত সুন্দর না প্রকৃতি? কুয়াশাচ্ছন্ন দুপুর এখন বৃষ্টিতে ভিজছে।সবুজ ঘাসের ওপর শিশিরের সাথে জায়গা পেয়েছে বর্ষার ফোঁটা। একটু রাশভারি মেঘ ডাকছে কখনও। সব কিছু অস্বাভাবিক আজ। শান্ত নেই কোনো কিছু। আদিত্য রাস্তার পারে এখনও থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাথা করছে প্রচন্ড।গালে নয়,বুকের বা পাশে।তিথি তন্ময়ের জন্যে তার গায়ে এভাবে হাত তুলবে একি স্বপ্নেও ভেবেছিলো? ভুল করেও ভাবেনি। কিন্তু সেটাই হলো আজ। তিথিতো চলে গিয়েছে সেই অনেকক্ষন।একবার পেছন ফিরেও তাকায়নি। কিন্তু আদিত্য,বরফের মত জমে আছে তার পা দুটো।নড়ছে না একবিন্দু।রঞ্জন নিজেও ভিজছে,বুঝতে পারছেনা আদিত্যর সাথে কি দিয়ে শুরু করবে কথা। অনেক চেয়েও সবটা সামলে উঠতে পারলোনা সে। রঞ্জন চিন্তায় ঠোঁট কামড়াচ্ছে,কখনও থুতনীতে হাত বোলাচ্ছে । হঠাৎ আদিত্যই ভাঙা কন্ঠে বলে ওঠে,

‘ দেখেছিস রঞ্জন? তিথি আমায় চড় মারলো।তাও অন্য এক ছেলের জন্যে?

রঞ্জন চুপচাপ। তবে স্পষ্ট বাদি।মনের কথা মুখে চেপে রাখতে না পেরে বলেই ফেলল,

‘ ভুল তোরও কম ছিলোনা আদি।কি দরকার ছিলো না জেনে বুঝে তিথিকে এত বাজে কথা বলার?

আদিত্য অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল,

‘ আমি বাজে কথা বললাম? তুই দেখিসনি ও অন্য কারো হাত ধরে ঘুরছিলো? ও ওদের বাড়িতে থাকছেনা, গত দশটা দিন আমি নাওয়া খাওয়া ভুলে ওদের দরজা পাহাড়া দিয়েছি, ওকে তো একবার ভুল করেও দেখিনি।তাহলে ও কোথায় ছিলো এতদিন? নিশ্চয়ই তন্ময়ের সাথে?

রঞ্জন ভ্রু কুঁচকে বলল,

‘ যদিও বা থাকে,তার মানেই যে ওরা নিষিদ্ধ কাজে মত্ত হয়েছে তুই কিভাবে বুঝলি?

‘ বুঝলাম মানে? এটা না বোঝার কি আছে রঞ্জন? একটা মেয়ে আরেকটা ছেলের বাসায় এমনি এমনি থাকবে? তন্ময় স্বার্থ ব্যাতীত নিজের বাসায় কেন তুলবে তিথিকে?

রঞ্জন এবার প্রসস্থ হেসে বলল,

‘ একটা ছেলে আর মেয়ে এক বাসায় থাকা মানেই খারাপ কিছু? আচ্ছা তুই আর পুতুল ও তো এক ঘরে থাকতি তোদের মধ্যেও নিশ্চয়ই…

আদিত্য মাঝপথে তেঁতে বলল,

‘ এসব কি বলছিস? আমি আর তন্ময় এক হলাম? আর তুই তিথির সাপোর্ট কেন করছিস সেটাইতো বুঝছিনা আমি!

‘ আমি কারো সাপোর্ট করছিনা।আমি যাস্ট তোকে বোঝাচ্ছি আদি। দ্যাখ তন্ময় বাসায় একা থাকেনা।সাথে ওর মা বাবাও থাকে নিশ্চয়ই? তারা কি ছেলের এমন অন্যায় কে সমর্থন করবে? আর তাছাড়া তিথি সেও কি এতটাই জঘন্য চরিত্রের মেয়ে? নিজে ভালোবাসলি,তিন বছর একসাথে পা মিলিয়ে চললি, এখনও এতটুকু বিশ্বাস জন্মালো না?

আদিত্য চুপ করে গেলো।রঞ্জন আবার বলল,

‘ তুই তো বিয়ে করেছিস।তিথিতো গিয়ে দেখতে যায়নি তুই তোর বউয়ের সাথে কি করিস না করিস!ওর তো ভাবারই কথা তুই তোর বউকে মেনে নিয়েছিস।কিন্তু ও এ নিয়ে একটা খারাপ কথাও তোকে বললনা।ইনফ্যাক্ট তন্ময়,যাকে তুই মারতে গেলি সেও কিন্তু নিজের জন্যে তোকে কথা শোনায়নি।যা বলেছে সব তিথির হয়ে বলেছে। আমার কিন্তু একেবারেই মনে হয়নি ছেলেটা খারাপ। তাছাড়া ছেলেটা আমাদের থেকে বয়সে ছোট। এটুকু বোঝার ক্ষমতা আমার নিশ্চয়ই আছে কে কি রকম?

আদিত্য অসহায় কন্ঠে বলল,

‘ তাহলে ও কেন তিথির হাত ধরলো রঞ্জন? আমি যে নিতে পারিনি দৃশ্যটা! আমার যে বুক জ্বলে যাচ্ছিলো।

রঞ্জন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

‘ আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু,এখন তোর এই অনুভূতির যুক্তি তিথির কাছে নেই।ও যখন তোকে আকুতি মিনতি করছিলো বিয়ে না করতে তখন তুই ওর কথায় কান না দিয়ে বিয়ে করলি, আর ও তোর বিয়ে থেকে শুরু করে বৌভাত,ফুলসজ্জা সব কিছুর ছবি নিজের চোখে দেখেছে। ওর কি খারাপ লাগেনি? লেগেছে নিশ্চয়ই। সব সময় নিজের দিকটা ভাবলে চলে আদি? এখন তিথির কি অধিকার নেই নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার? ওর আছেই বা কি জীবনে? তুই কি পারবি পুতুল কে ডিভোর্স করে ওকে বিয়ে করতে? এরকম পারলে বিয়ে করার প্রয়োজন হতোনা। তাহলে তিথি কি করবে? বাঁচার জন্যে কাউকে আঁকড়ে ধরবেনা? নাকি তুই চাইছিস ওকে রক্ষিতা করে রাখতে!

আদিত্য ধমকে বলল,

‘ রঞ্জন! কি যা তা বলছিস?

‘ তো এর বেশি কি বলতে পারি আমি? তুই নিজে ওকে ঘরে তুলতে পারবিনা।আবার ও কারোর হাত ধরলে দশ বিশটা কথা শোনাবি। ওকি তোর কেনা জিনিস? ওর স্বাধীনতা নেই?

আদিত্য ঢোক গিলে ফিচেল কন্ঠে বলল,

‘ আছে।নিশ্চয়ই আছে।থাকবেনা কেন? তবে যার জন্যে একটা নির-অপরাধ মেয়েকে এত জ্বালাচ্ছি, সেই আমার গালে চড় মেরে অন্য ছেলের গাড়ি করে চলে গেলো।আবার যাওয়ার সময় তন্ময়ের এই এইখানে( হাতের ওপর দিকে) ধরে নিয়ে গেলো।অদ্ভূত না?

রঞ্জন স্পষ্ট কন্ঠে বলল,
‘ না অদ্ভূত না। এটাই স্বাভাবিক। জীবন কারোর জন্যে থেমে থাকেনা। আজ পুতুল কে কষ্ট দিচ্ছিস কাল ওকে ঠিক মেনে নিবি।ওর বাচ্চার বাবা হবি। আর রইলো বাকি তোর নির-অপরাধ মেয়ে? আমার কিন্তু মনে হয়না পুতুল সত্যিই নির-অপরাধ।

_____

বিছানায় উপুড় হয়ে কাঁদছে তিথি। শব্দে পুরো ঘর কেঁপে উঠছে সাথে সাথে। গুনগুন আওয়াজে মাথার ওপরের ফ্যানের শব্দটা প্রকট হচ্ছেনা তেমন।নির্মলা,তুষার কে নিয়ে স্কুলে যাওয়ায় খালি ঘরে ইচ্ছেমতো চোখের অশ্রু বাঁধ ভাঙছে আজ। বিছানার এক কোনে বসে আছে তন্ময়। অসহায়ত্ব চোখ মুখ জুড়ে।তিথিকে কি করে থামাবে সে? কিভাবে শান্ত করবে? আজ হয়তো সব কিছুর জন্যে সেই দ্বায়ী।কেন তিথির হাত ধরতে হলো? নাহলেতো এমনটা হতোনা।রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েটাকে এত অপমানও সহ্য করতে হতোনা! সব কিছু তার অতিরিক্ত কেয়ারিং এর ফল। কি করবে এখন?

অনেক ভেবেচিন্তে তন্ময় আরেকটু এগিয়ে বসলো তিথির দিকে। তিথি তখনও কাঁদছে।তন্ময় ইতস্ততভাবে পিঠে হাত রাখলো ওর।তিথি থেমে গেলেও ফিরে চাইলোনা। তন্ময় আস্তে করে ডাকলো,

‘ তিথি…

তিথি উত্তর দিলোনা।
তন্ময় দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ দুটো বন্ধ করলো।ধুকপুক করা বুকে লম্বা শ্বাস টানলো তারপর। শুকনো ঢোক গিলে যত্র বলল,

‘ তিথি আমি তোমাকে ভালোবাসি….

তিথি চমকে তাকালো।জলমাখা চোখ দুটোতে তখন রাজ্যের বিস্ময়। তন্ময় অপ্রস্তুত হয়ে পরলো তিথির এমন দৃষ্টিতে। এদিক ওদিক চোখ সরিয়ে বলল,

‘ এরকম পরিস্থিতিতে কেউ এমন কথা বলে কিনা জানিনা,তবে আমার মনে হলো ইটস হাই টাইম ফর মি! তোমার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।

কথাটুকু বলে দিয়ে তন্ময় উঠে চলে গেলো।যাওয়ার সময় একবারও তিথির দিকে তাকায়নি।তাহলে হয়তো বুঝতো,মেয়েটা ঠিক কতোটা অবাক হয়েছে!

একেবারে নিজের রুমে গিয়েই পা থামালো তন্ময়।বুকে হাত দিয়ে জোরে দুবার নিঃশ্বাস ফেলল। বুকটা এখনও কাঁপছে, লাফাচ্ছে।যতটা শান্ত ভাবে বলতে পেরেছে ভেতরটা ছিলো ততটাই অশান্ত,উদগ্রীব। কিন্তু কি করার! তিথির মাথা থেকে আদিত্যর বিষবাক্য গুলো মুছে ফেলার এই একটাই পথ! এখন হয়তো তিথি ভাবতে বসবে। হয়তো এ বাড়িতে আর থাকতেও চাইবেনা,কিংবা বদলাবে তাদের বন্ধুত্বটাও।তবুওতো মেয়েটা পুরোনো জখম ভুলে নতুন কিছু নিয়ে ভাববে! ওমন চাপা কাঁদবেনা।তার জন্যে এই-ই ঢেঁড়!

মন খারাপের লতা গুলো জাপটে ধরলো তন্ময়কে।শান্ত পায়ে হেটে বারান্দায় গেলো সে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি গুলোর দিকে চোখ পরতেই আপনা-আপনি কোটর ভরে উঠলো।সত্যিই যদি তিথি আর কথা না বলে? চলে যেতে চায়? কিভাবে থাকবো আমি? এই দশটা দিন যে আমার কাছে স্বপ্নের মত সুন্দর ছিলো। প্রত্যেকটা দিন শুরু হতো তিথিকে দেখে, তিথির স্নিগ্ধ মুখ দেখে শেষ হতো প্রত্যেকটা দিন।দশ দিনের অভ্যেসকে সারাজীবন এ কি বদলানো যায়না? এই পৃথিবী? কেন তুমি এত নিষ্ঠুর? কেন তোমার বুকে মানুষ এক তরফা ভালোবাসে? কেন ভালোবাসা না পাওয়ার ব্যাথায় মরতে মরতে তোমার বুকেই মিশে যায়? তাদের এত কষ্টে তোমার বুকটা কাঁদেনা পৃথিবী? খারাপ লাগেনা তোমার? কেন অপর পাশের মানুষটাও একি ভাবে ভালোবাসেনা পৃথিবী? কেন কাউকে চেয়েও পাওয়া যায়না? কেন? কেন? আছে উত্তর? নেইতো! থাকবে কি করে? তুমি যে নিষ্ঠুর পৃথিবী। নিষ্ঠুর তোমার বুকে বসত করা মানুষ গুলো।

তন্ময়ের বুকফাটা আর্তচিৎকার কারোর কান অব্দি যায়নি। শ্যামবর্ন মুখটা এতটাই উদ্বেগহীন,ভেতরটা ভুমিকম্পে তোলপাড় হলেও বাইরেটা দেখে বোঝার ফুরসত নেই কারো। এইতো মা হয়েও নির্মলা বোঝেননি,গত দু বছর তার ছেলে কতটা মরন যন্ত্রনায় দাপিয়েছে। এই মনের খবর যে কেউ জানেনা। তিথিও না। তিথি যদি একটাবার দেখতে পেত, তার ভালোবাসা না পাওয়াতে অন্ত:স্থলের রক্তক্ষরণ কি প্রচন্ড! কখনওই না বলতো না।বলতেই পারতোনা।

_________

আদিত্য মদ খেয়েছে। রঞ্জন বাড়ি অব্দি রেখে গিয়েছে তাকে। তবে তাকে চার কথা শুনিয়েছেন সমিরন । ছেলের এমন কান্ডে শকুন্তলা আর সমিরনের মাথায় যে আকাশ ভেঙে পরার অবস্থা। রাগে শরীর কাঁপছে সমিরনের৷ গৃহস্থ ঘরের ছেলের এ কি হাল?
আদিত্য সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেনা।ঢুলছে তার পা দুটো।সদর দরজা আঁকড়ে ঢুলুঢুলু চোখ গুলো দিয়ে পিটপিট করে দেখছে বাবা মাকে। সমিরন অগ্নি দৃষ্টিতে ছেলের দিকে চেয়ে আছেন।অথচ এমন দৃষ্টির পরোয়া নেই আদিত্যর।সে হুশে নেই এখন।সমিরন দাঁত খিচে শকুন্তলাকে বললেন,

‘ দেখেছো তোমার ছেলের অধপতন? এরপরেও একে এই বাড়িতে রাখব আমি?

শকুন্তলা স্বামীর কথার উত্তর দিলেননা।উল্টে দৌঁড়ে গিয়ে পরতে নেওয়া আদিত্যকে আটকালেন। স্বর উঁচু করে ডাকলেন,

‘ পুতুল?এই পুতুল?

ভেতর থেকে পুতুলের কোনো উত্তর এলোনা।শকুন্তলা বিরক্ত হয়ে বললেন,

‘ এই মেয়েও না রাত আটটা বাজার আগেই ঘুমিয়ে যায়।

সমিরন রেগেমেগে বললেন,

‘ ওকে এখানেই ফেলে রাখো, মদ খাওয়ার মজা হাড়েহাড়ে বুঝবে তখন।

‘ আহ,তুমি থামোতো। যাও তুমি ঘরে যাও।ওকে আমি দেখছি…

সমিরন কথা বাড়ালেননা।বাড়িয়েই বা লাভ কি? যাকে শোনাবে তার কানে তো ঢুকবেনা এখন।তাই লম্বা পা ফেলে হেটে গেলেন নিজের ঘরে।

আদিত্য বলিষ্ঠ শরীরের পুরো ভর ছাঁড়লো মায়ের কাঁধের ওপর। এই বয়সে ছেলেকে নিয়ে এক কদম হাটতেও বেগ পোহাতে হচ্ছে শকুন্তলাকে।ওদিকে আদিত্যর মুখ থেকে বিশ্রী গন্ধ আসছে। এক হাত দিয়ে শাড়ির আঁচলে নাক চাপলেন শকুন্তলা। অন্য হাত দিয়ে কোনো রকম আদিত্যকে ধরে ঘরের দিকে এগোতে শুরু করলেন। বিলাপ করে বলতে থাকলেন,

‘ আমার হয়েছে যত জ্বালা! ধন্যি ছেলে হয়েছিস।পেটেতো আমি ধরেছি আমিতো আর মুখ ফিরিয়ে নিতে পারিনা।চল ঘরে দিয়ে আসি।

আদিত্যকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েই শকুন্তলা দরজাটা লাগিয়ে দিলেন বাইরে থেকে। মুহুর্তেই ঠোঁটের কোনে রহস্যময়ী হাসি ফুটলো তার। ভেবে রাখা কাজ এখন আরো সহজ হবে ভেবে খুশিরা হৈহৈ করে উঠলো মুখমন্ডলে।

দরজা থেকে বিছানা অব্দি আদিত্য হেটে যেতে পারছেনা।সব গোলমেলে লাগছে ।পুরো ঘর ঘুরছে মনে হচ্ছে। কাঠ দিয়ে বানানো খাটের খুঁটি আঁকড়ে আঁকড়ে এগোচ্ছে আদিত্য। হঠাৎ বিছানার দিকে চোখ পরতেই ভ্রু কুঁচকে এলো তার। তিথি লম্বা হয়ে শুয়ে আছে বিছানায়।পড়নে সবুজ শাড়ি। আদিত্য কিছুক্ষন চেয়ে থাকলো। তিথিই কি? ব্যাপারটা পরিষ্কার করে বুঝতে চোখ কঁচলালো।নাহ তিথিই তো! আদিত্য প্রসারিত হাসলো আনন্দে। মাতাল কন্ঠে উত্তেজনা নিয়ে বলল,

‘ তিথি তুমি এসেছো?একেবারে চলে এসেছো আমার কাছে? তন্ময় একদম ভালোনা।ওর কাছে না গিয়ে খুব ভালো করেছো।তিথি আমি আসছি দাঁড়াও।দাঁড়াও

আদিত্য এলোমেলো পায়ে হেটে গিয়েই ধঁড়াম করে বিছানার ওপর শুয়ে পরলো। তিথির শাড়ির আঁচল পরে আছে পেটের কাছে।বুক উন্মুক্ত।আদিত্য বরফ চোখে চেয়ে চেয়ে দেখলো ওর পা থেকে মাথা অব্দি। চোখের সামনে সেই প্রথম কাছে আসার পুরোনো দৃশ্য টা তখন ঝাপসা ভাসছে। আদিত্য ঠোঁট বাড়িয়ে চুঁমু খেলো তিথির উন্মুক্ত পেটে, গলদেশে। তিথি বিন্দুমাত্র নঁড়লোনা।শুধু বন্ধ চোখ দুটো খুলে মুচকি হাসলো আদিত্যকে দেখে । ভারি নিঃশ্বাস তখন আদিত্যর মুখমন্ডলে বিশ্রামহীন ছুটে বেড়াচ্ছে।

চলবে,

আজকের পর্ব অনেক ছোট হওয়ায় দুঃখিত। একটু প্রেসারে আছি।১৯ পর্ব বড় করে দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ 🤗

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here