পূর্ণ___তিথি লেখনীতে:নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি (০৯)

0
216

#পূর্ণ___তিথি
লেখনীতে:নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি
(০৯)

ঘরের মধ্যে ভ্যাপসা গরম উত্থলে পরছে। কেমন ঘিঞ্জিময় পরিবেশ। প্রতিবেশি মহিলারা তো বটেই সাথে আত্মীয়রাও ভিড় করেছে এখানটায়।বিছানার ওপর বধু বেশে বসে আছে এক কিশোরি। বয়স সতেরো-আঠেরো হবে। গোল গোল মুখে ফর্সা রঙ।পড়নে লাল টুকটুকে বেনারসি।মাথায় জর্জেট কাপড়ের ঘোমটা,কপাল অব্দি টানা। আশপাশ গোল করে অল্প বয়সি মেয়ে, বউয়েরা।এরা মেয়ে পক্ষের আত্মীয়। একটু বাদেই একটা ফুটফুটে বাচ্চা কোলে নিয়ে ঘরে ঢুকলো আদিত্যর বোন সুস্মিতা। এলোমেলো শাড়ির কুঁচি অন্য হাতে সামলে মেয়েটা উচু স্বরে বলল,

‘ কই গো আমার বউদি কউ? দেখি দেখি সরো সবাই।

সুস্মিতা গিয়ে বসলো পুতুলের সামনে। পুতুল মিষ্টি করে হাসলো ওকে দেখে। দেড় বছরের অনুশ্রীকে কোল থেকে নিলো নিজের কাছে।সুস্মিতাকে জিজ্ঞেস করলো,

‘ ভালো আছেন?

‘ হ্যা ভালো আছি।তা তোমাকে তো একেবারে পুতুলের মতই লাগছে।

পুতুল হাসলো। সুস্মিতা বলল,

‘ সকাল থেকে তো উপোস করে আছো তাইনা?

‘ হ্যা।

‘ মাথা ঘুরছে?

‘ না আমার অভ্যেস আছে।

‘ তাহলেতো ভালোই।

সুস্মিতা ঘর ভর্তি মানুষের দিকে চেয়ে অতি কোমল কন্ঠে বলল ,

‘ আপনারা কিছু মনে না করলে একটু বাইরে যাবেন?আমি ওর সাথে কথা বলতাম দু সেকেন্ড।

সবাই যত্রতত্র হয়ে ঘরের বাইরে চলে যায়।ইচ্ছে না থাকলেও উপায় নেই।মেয়ের ননদিনী বলে কথা!

ফাঁকা ঘরে সুস্মিতা আরেকটু এগিয়ে বসলো পুতুলের দিকে।উদ্ভাসিতমুখে বলল,

” আর বেশি সময় নেই, আরেকটু পরেই এসে তোমাকে নিয়ে যাবে।বিয়ে শুরু হতে কয়েক মিনিট বাকি।তারপর পারবেতো আমার ভাইকে আঁচলে বেঁধে রাখতে?

পুতুল আস্তে করে বলল,
‘ চেষ্টা করবো।

সুস্মিতা মুখ বেঁকিয়ে বলল,
‘ চেষ্টা না, পার‍তেই হবে।মা বলে দিয়েছে বউ এলে দাদার সব দায়িত্ব তার।তাকে ঘরে বেঁধে রাখা থেকে শুরু করে। একটা কথা মনে রাখবে, কালনাগিনীর বিষ থেকে দাদাকে বাঁচিয়েছেন আমার বাবা।নতুন করে সেই বিষ যাতে ছড়াতে না পারে সেই ভাড় তোমার।

পুতুল খানিকক্ষণ চুপ মেরে থাকলো। মনের কথা মুখ দেখে বোঝা গেলোনা তখন।হঠাৎ হেসে বলল,

‘ ওনাকে কেমন লাগছে দিদি?

আশানুরূপ উত্তর পেলোনা সুস্মিতা।ক্ষুন্ন হলো সামান্য।তবে এ নিয়ে এখন মাথা ঘামানো জরুরি নয়,তাই উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বলল,

‘ ছবি দেখবে?

‘ দেখান না।

ফোনের গ্যাল্যারি থেকে আদিত্যর বর বেশে তোলা ছবি বের করে পুতুলের সামনে ধরলো সুস্মিতা গাড়িতে ওঠার আগে তুলেছিলো, জোর করে।পুতুল এক ধ্যানে চেয়ে থাকলো। শুকনো ঢোক গিলল।এই লোকটা কে প্রথম দেখেই তার অন্তস্থলে কম্পন শুরু হয়েছিলো।সে এক উঠতি বয়সের কম্পন।

‘ কিগো,কেমন লাগছে বললেনা?

‘ খুব সুন্দর। কিন্তু উনি এমন মন মরা কেন? হাসছেন না যে!

সুস্মিতা মুখটা কালো করে বলল,

‘ বাদ দাও ওসব।বিয়ের প্রস্তুতি নাও।তারপর ফুলসজ্জার।

লজ্জ্বায় লাল হয়ে এলো পুতুল।মাথা নামিয়ে বলল,

” যাহ।কি যে বলেন না!

সুস্মিতা খিলখিল করে হাসলো।পরমুহূর্তে ভ্রু কুঁচকে বলল,

‘ এই তুমি আমাকে আপনি আপনি কেন করছো? সম্পর্কে আমি তো তোমার ছোট।তুমি করে বলবে বলেছিনা?

পুতুল বাধ্য মেয়ের মত মাথা নেড়ে বলল,
‘ ঠিক আছে।

দুজনের খোশগল্পের মধ্যে ঘরে ঢুকলেন পুতুলের ছোট মাসি। পেছনে এলো চারজন যুবক। ছোট মাসি ব্যাস্ত কন্ঠে বললেন,

‘ পুতুল নে নে পিরিতে বোস।তাড়াতাড়ি।

পুতুল অনুশ্রীকে সুস্মিতার কোলে দিয়ে বিছানা ছেড়ে নেমে দাঁড়ালো। অলংকারের মনজুড়ানো ঝুনঝুন শব্দ হলো তাতে। পুতুলের মাসি হাতে দুটো পান পাতা ধরিয়ে দিলেন।লাল আলপনা আঁকা পিরিটা রাখা হলো মাটিতে। পুতুল আলতা রাঙা পা দুটো রেখে বসলো হাটু মুড়ে। পান পাতা দিয়ে ঢাকলো মুখ। বুক দুরুদুরু কাঁপছে।এত প্রতীক্ষার পর সেই মানুষ টাকে চোখের দেখা দেখতে পাবে। তৃষ্ণার্ত গলাটা একটু জলের আস্বাদন পাবে আজ।

যুবক চারজন বেগ নিয়ে পিরি হাতে তুললো। তাড়াহুড়ো করে মেয়েকে কোলে নিয়ে দাঁড়ালো সুস্মিতা। কনের সাথে সাথে বের হলো ঘর ছেড়ে। পরিবেশ ছেঁয়ে এলো শঙখের শুভ ধ্বনিতে।

___

শুভ দৃষ্টির সময় এখন। আদিত্য পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে। পুতুল কে পিরি সহ ঘোরানো হচ্ছে তার চার পাশে। একটা সময় থামলো পিরি।আদিত্যর দৃষ্টি বরাবর। আদিত্য নিরস চোখে চেয়ে থাকলো । পাশ থেকে কেউ একজন পুতুল কে নরম কন্ঠে বলল,

‘ এবার পান পাতা টা সরাও মা…

এক ঝাঁক হৃদ কম্পন, কাঁপা হাত নিয়ে পান পাতা মুখ থেকে নামালো পুতুল। হৃদয়ের গোপনে আঁকা সেই মুখটার দিকে আস্তে ধীরে তাকালো।কিন্তু আহত হলো দৃষ্টি। তার প্রাননাথ তার দিকে তাকিয়ে নেই।বরং অঢেল অনীহা নিয়ে চেয়ে আছে অন্যদিকে। পুতুলের মন ক্ষুন্নতায় ভরে এলো। কালো মেঘে দখল করলো ভারি মেক-আপে ডুবে থাকা মুখটাকে। বিষয় টা হয়তো বুঝে ফেলল সুস্মিতা। এসে দাদার পাশে দাঁড়ালো সে। ঠোঁটে হাসি টেনে রেখেই আদিত্যর মুখটাকে ঘুরিয়ে দিলো পুতুলের দিকে।একটা যন্ত্রের মত চালিত হলো যেন আদিত্য। বিনাবাক্য ব্যায়ে সে ওভাবেই তাকালো। পুতুল মৃদূ হাসলো তবে আদিত্য বরফের মত জমে ছিলো তখনও। চোখে কোনো ভাষা নেই,নেই শব্দ।

দেখতে দেখতে মালা বদল শেষ হলো।শেষ হলো কন্যা সম্প্রদায়ন। আদিত্যর মাথায় তিথি ঘুরছে।ঘুরছে সম্পর্কের মিষ্টি মধুর দিন গুলো।পুরোহিতের উচ্চারিত মন্ত্র মনে মনে বারবার ভুল ভাল আওড়াচ্ছে সে।দিশেহারা লাগছে।নাজেহাল লাগছে।ছুটে পালাতে ইচ্ছে করছে আবার।

শুরু হলো সাত পাঁক। আদিত্যর গায়ে প্যাঁচানো ধবধবে সাদা কাপড় টার সাথে পুতুলের ঘোমটার অংশ বাঁধা হলো।যাকে বলে জোর বাঁধা৷ প্রথমে আদিত্য,পেছনে পুতুল।অগ্নিকুন্ডলি ঘিরে ধীর পায়ে হাটছে দুজন। উৎসুক অতিথি বৃন্দ উপভোগ করছেন এই দৃশ্য। আদিত্যর বাবা সমিরন একটু দূরে চেয়ারে বসে আছেন।টুথপিক দিয়ে দাঁত খোঁচাচ্ছেন ।মাঝে মাঝে হেসে গল্প করছেন কনের মামা, চাচাদের সঙ্গে। কি আনন্দ তার,উল্লাসিত মুখ,নিশ্চিন্ত মস্তিষ্ক। অথচ বাবা হয়ে ছেলের মনের খবর বিন্দুমাত্র জানা নেই তার।

ছয় পাঁক শেষ হলো। শেষ পাঁকে হাটতে গিয়ে আদিত্য থমকে দাঁড়ায় হঠাৎ ।মনে পড়ে তিথির সাথে কাটানো সেই রাতের কথা। সেই প্রথম স্পর্শে হারানোর কথা।পাগল পাগল লাগতে শুরু করে। মনে হয় এই বুঝি মাথা ঘুরে পরে যাচ্ছে।আদিত্যকে দাঁড়িয়ে পরতে দেখে পুতুল ও দাঁড়ালো। সবার কৌতুহলে ভ্রু কুঁচকে আসে।

সুস্মিতা প্রশ্ন ছুড়লো,

‘ কি হলো দাদা?

আদিত্য উত্তর দিলোনা।একবার ওর দিকে দেখলোওনা। ওভাবেই বিয়ে অসম্পূর্ন রেখে মন্ডপ ছেড়ে হনহন করে চলে গেলো কোথাও। পেছনে রেখে গেলো একগুচ্ছ্ব চমকে থেতলে থাকা লোকজন।আদিত্য কে চলে যেতে দেখে সমিরন বসা থেকে দাঁড়িয়ে পরলো। সুস্মিতা হকচকিয়ে বাবার মুখ দেখলো। চিন্তায় ফেটে যাচ্ছে দুজনের মাথা। আদিত্যকি বিয়ে করবেনা? তীরে এসে তরি ডুবলো নাতো আবার?

___

তুমি এ সময়?

তিথির প্রশ্নের জবাব দিলোনা তন্ময়।চুপচাপ চেয়ে থাকলো ওর দিকে। যে প্রেয়সীর টানা টানা মায়াবী চোখ দেখে একদিন ডুবেছিলো প্রেম সাগরে, আজ সেই চোখের নিঁচ কালিতে ভর্তি। গালে দাগ পরেছে বাঁধ ভাঙা অশ্রুর।তিথির শুকনো মুখচোখ তন্ময়ের বুকে সুপ্ত তোঁলপাড় তুললো। তিথি তার দিকে দেখছেনা, তার পাশ কাটিয়ে হন্তদন্ত চোখে খুঁজছে কাউকে।ঐ অদূর রাস্তাটায়। তন্ময় জানে তিথি কাকে খুঁজছে। কাকে খুঁজছে তার চোখ?কিন্তু সে কি আসবে? এসে দেখবে তার শোকে মেয়েটার এসব অদ্ভূত পাগলামী?

তন্ময় মৃদু কন্ঠে বলল,

‘ কি অবস্থা করেছো নিজের তিথি?

তিথির খোঁজা খুঁজি থেমে গেলো। তন্ময়ের দিকে তাকালো। ফাকা ঢোক গিলে বলল,

‘ কেন এসেছো?

তন্ময় তিথিকে পেছনে ফেলেই ঘরের ভেতরে এলো। আশেপাশে তাকালো।শীতল চোখে দেখলো ঘরের ধ্বংস -স্তুপ। বুক চিড়ে এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই বের হয়নি তখন। তিথি এগিয়ে এসে উদ্বিগ্ন হয়ে বলল,

‘ কেন এসেছো তন্ময়? তুমি কি আদিত্যর কোনো খবর জানো?

তন্ময় থমথমে কণ্ঠে বলল,

‘ জানি।জানি বলেইতো এলাম।

তিথি উৎকন্ঠিত হয়ে বলল,

‘ কি জানো? বলোনা তন্ময়..!

তন্ময় নিঁচের দিকে চোখ নামিয়ে নিয়ে ফোস করে এক নিঃশ্বাস ফেললো। আহত চোখে তাকিয়ে বলল,

‘ আদিত্যর বিয়ে শেষ তিথি!

তিথির বুক ধক করে উঠলো।ঝাঁ ঝাঁ করে উঠলো কান দুটো। এক পা পিছিয়ে গেলো সাথে সাথে। খানিক সময় থম মেরে থেকে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে বলল,

‘ মিথ্যে কথা!আদিত্য আমাকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করতেই পারেনা।এত বড় ধোঁকা আমাকে ও দিতে পারেনা।কিছুতেই না।

তন্ময় ক্ষীন হেসে বলল,

‘ হলে হয়তো খুশি হতাম।যে বরের স্বাজে বিয়ে বাড়ির দোরগোড়ায় যায়,সেকি ফিরে আসে তিথি? আসেনা।বিয়ের উদ্দেশ্যেই যায়। তেমনি তোমার আদিত্যও আসেনি।আসবেওনা। আদিত্য ফ্রড ছিলো তিথি। সে ধোঁকাবাজ!

তিথি চেঁতে বলল

‘ চুপ করো।আদিত্যকে নিয়ে একটাও বাজে কথা বলবেনা তন্ময়! খুব খারাপ হয়ে যাবে।

তিথি ডুকরে কেঁদে উঠলো তারপর। তন্ময় মুখ উদাস করে বলল,

‘ বিশ্বাস করলেনা আমায়?

তিথি তাকালো।অবিশ্বাস খেলে যাচ্ছে দু আখিতে। তন্ময় আস্তে করে বলল,

‘ বিশ্বাস না হলে রঞ্জন কে কল করতে পারো।

তিথি করুন কন্ঠে বলল,

করেছিলাম তো।অনেক বার করেছিলাম।সুইচড অফ করে রেখেছে। কিন্তু আদিত্যর বিয়ে কি করে হবে তন্ময়? এখনও তো সাতটাই বাজেনি তাইনা?

তন্ময় হাসলো।অদ্ভূত হাসি! বলল,

‘ নটা বাজে তিথি।

তিথি ভ্রু কুঁচকে দেয়াল ঘঁড়িতে তাকালো আবার।ছটা কুঁড়িই বাজে সেখানে। তন্ময় বুঝলো ব্যাপারটা। ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে বলল,

‘ ঘড়িটার ব্যাটারি কদিন আগেই শেষ হয়েছিলো।তুমিই আমায় বলেছিলে।মনে নেই? অবশ্য যা পরিস্থিতি, মনে থাকার কথাও নয়।

তিথি হতাশ কন্ঠে ছোট করে বলল ,

‘ ওহ!

তন্ময়ের বুক মোচড় দিলো তিথির গলার স্বরে। ভালোবেসে মেয়েটার কি দূর্দশা! এর এক বিন্দু ভালোবাসা যদি তাকে দিতো, আজ হয়তো কাহিনী টা অন্যরকম হতো!

তিথি মৃদুস্বরে বলল,

‘ সত্যিই আমার আদিত্য বিয়ে করে নিয়েছে?

তন্ময় ক্ষনিকের জন্যে চুপ থেকে বলল,

‘ তুমি বরং নিজের চোখেই দেখে নাও।

মেঝে থেকে তিথির ফোন তুলে ওর দিকে এগিয়ে দিলো তন্ময়।তিথি প্রশ্ন নিয়ে তাকালো।তন্ময় ফোনের দিকে ইশারা করে বলল,

‘ রঞ্জনের আইডিতে যাও।সব উত্তর পেয়ে যাবে।

তিথি আর দেরি করলোনা। তাড়াহুড়ো করে ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকলো। সার্চ লিস্টে গিয়ে রঞ্জনের নাম লিখলো কাঁপা আঙুলে। স্ক্রল করলো ওর আইডি।সবার প্রথম পোস্ট, এইতো আধ ঘন্টা আগে। আদিত্যর আইডিকে ট্যাগ করে। তিথির হাত থমকে গেলো ওখানেই। ক্যাপশন পড়ে ঘোলা হয়ে এলো চোখ।

‘ বন্ধুর বিয়েতে…

তিথি সবার প্রথম ছবিটায় ক্লিক করলো। মালা বদলের ছবি।এরপর একে একে, পুতুল কে পেছন থেকে জড়িয়ে দুজনের কূলোয় ভরে আগুনে খই ঢালার ছবি,সাত পাঁক ঘোরার ছবি আর তারপর সবার শেষের ছবিটা পুতুলের মাথায় আদিত্যর সিঁদুর তুলে দেয়ার।

তিথির হৃদ স্পন্দন থেমে গেলো ।কয়েক মুহুর্তের জন্যে জমে এলো শরীর। নঁড়লোনা।কথা বললনা।এমনকি চোখের পাতাও ফেললোনা। হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেলো নিঁচে। এক ফোটা জল নিথর দেহে চলন্ত রেলের মত গঁড়িয়ে পরলো গালে।তন্ময় অস্থির চোখে চেয়ে থাকলো।কি বলবে বুঝে উঠলোনা। এমন সময় তার কোনো সহানুভূতিই কি কাজে আসবে? একটুও কি লাঘব হবে তিথির কষ্ট? সাথে চিন্তাও হলো,
তিথি কি পারবে সহ্য করতে?তিথির পাগলামি কি আজ মাত্রা ছাড়াবে?

তার ভাবনার ফাঁকেই দ্বিতীয় বারের মত ঢলে পরলো তিথি।তবে মেঝেতে পরার আগেই ধড়ফড়িয়ে নিজের সাথে ওকে আঁকড়ে নিলো তন্ময়।

চলবে,

ভাববেন না গল্প এখানেই শেষ। মাত্র শুরু হলো😐

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here