কৃষ্ণচূড়া🍂 নুসরাত সুলতানা সেজুথি পর্ব–০৩

0
183

#কৃষ্ণচূড়া🍂
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–০৩

কলেজে যাসনি??

অসময়ে আরাবী কে ফিরতে দেখে উপরোক্ত প্রশ্নটি করে বসলো ছবি।

— এই রে আপু বাসায়,কিন্তু ওর তো এখন ক্লাসে থাকার কথা।

আরাবীর ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে আবারো মুখ খুললো ছবি।

— কিরে,,,, কি হলো?? কলেজে যাসনি নাকি?

—- গিয়েছিলাম।

— তাহলে? …চলে এলি যে?

— আমি ক্লাস করিনি,,,

— কেনো?

— ভালো লাগছিলোনা।

আরাবীর এহেন কথায় মুখ শক্ত হয়ে এলো ছবির।

— ভালো লাগছিলোনা মানে কি?

— জানিনা,,আমার পড়তে ভালো লাগেনা।

— বাহ,,,ভালো লাগছেনা বলে চলে আসতে হবে? পড়াশুনায় মন নেই,,,,, পড়তে ইচ্ছে করেনা তোর?
তাহলে শুধু শুধু তোর পেছনে এতো খরচা করে কি লাভ হচ্ছে,,,,আমাদের।

— টাকার খোটা দেবেনা তো আপু,,,,,ক পয়সা খরচা করছো দেখে যা ইচ্ছে বলছো,,,আমি তো বলেইছি আমার পড়তে ভালো লাগেনা।

— তোকে টাকার খোটা কখন দিলাম আমি?

— একটু আগেই তো দিলে।

— আরাবী চুপ কর,ছবি ওভাবে বলেনি যেভাবে তুই ভাবছিস।

— তুমি আর আমাকে কি বোঝাবে,তুমিতো সব সময় বড় মেয়ের দলে,,,
এ বাড়িতে মনে হয় আমাকে কুড়িয়ে আনা হয়েছে তাইনা,,,,,আমার কোনও দামই নেই,,,,এখন যদি বাবা থাকতো হয়তো ঠিক আমাকে বুঝতো।

— আরাবী তোকে না বলেছি ওনার কথা না তুলতে,,,,

— তুলবো একশ বার তুলবো,,,,আর কখনও যদি বাবার সাথে দেখা হয়ে যায় আমার,,,,, আমি তার সাথে চলেও যাবো,তোমাদের সাথে থাকার একটুও হচ্ছে নেই আমার।

— আরাবী!!

ছবির ধমকে কেপে উঠলো আরাবী,,,,, বেশ তেজ নিয়ে হনহন করে হেটে গেলো রুমের দিকে,,,,

আরাবীর চিন্তায় নূবায়রা হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলেন,,,

— হায় আল্লাহ,,,,এ কেমন অবাধ্য মেয়ে দিলে আমার ঘরে??

🍂

🍂

টেবিলের ওপর ছবি গুলো বিছিয়ে রাখা হয়েছে,,যাতে একটা ছবিও কাব্যর চক্ষুর আড়াল না হয়।

তোয়ালে দিয়ে হাত-মুখ মুছতে মুছতে রাজীবের পাশে থাকা চেয়ারে বসলো কাব্য,,,

— এতোগুলো জমা হয়েছে?

— হ্যা স্যার,

— কি করেছে টা কি এতোদিন মঞ্জু।

— জানিনা স্যার,,,,ওনার মাথায় তো খালি এক্সট্রা আয়ের চিন্তাই থাকে,,,,,,কতো মেয়ের থেকে সিলেকশনের লোভ দেখিয়ে টাকা আদায় করেছে তার হিসেব নেই।
ভালোই করেছেন ব্যাটাকে তাড়িয়ে দিয়ে।

— হুম,,,,
পুরোনো কথা ছাড়ো,,,চলো বাছাইয়ের কাজ শুরু করা যাক।

,,,,
,,,,,
,,,,,,,,,

একের পর এক মেয়েদের ছবি হাতে নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখছে কাব্য,,,,,কোনও টাই পার্ফেক্ট লাগছেনা তার কাছে।

— পছন্দ হচ্ছেনা স্যার?

— উহু,,,হয়তো লাইটিং নাহলে মেক-আপ,,, একটাও ঠিকঠাক পাচ্ছিনা।

,,
,,,
,,,
,,,,

কাব্যর সিলেকশন দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পরেছে রাজীবের চোখগুলো ,,,দুই তৃতীয়াংশ মেয়ের ছবিই বাদ পরেছে কাব্যর হাতে।

— আমি তো দেখতে দেখতেই ক্লান্ত,,,,,অথচ স্যার এখনও কতো এনার্জি নিয়ে বাছাই করে যাচ্ছে।

অবশেষে তিনটে ছবি হাতে নিয়ে ক্ষনে ক্ষনে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলো কাব্য,,,,,

ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে কাব্যর কাজে মনোযোগ দিলো রাজীব।

— রাজীব?

— হ্যা স্যার?

— এই মেয়ে তিনটা ঠিক আছে,,,,,

— তিনজন কেই নেবেন স্যার?

— গাধা,,,,,তিনজন এর সাথে যোগাযোগ করে অডিশনের জন্য ডাকো,,,তারপর একজন কে সিলেক্ট করে আমাকে জানাও,ওকে???

— ওকে স্যার।

— আর হ্যা,,,অডিশনে যেন কোনও ফাক না থাকে।

— জানি স্যার,,,আপনার হিরোইন হবে বলে কথা,,,,যাকে তাকে বাছাই করবো না আমি।

— ওয়েল। তাহলে কাজে লেগে পরো।

ছবি তিনটে হাতে নিয়ে মাথা নেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রাজীব। আর সেদিক তাকিয়ে কিঞ্চিৎ হাসি খেলে গেলো কাব্যর ঠোঁটে।
দাবার চাল আবার শুরু হতে যাচ্ছে যে

🍁

🍁

দুপুরের খাবার খেতে বসেছেন নূবায়রা। পাশেই দুই মেয়ে,,,আরাবী মুখ ফুলিয়ে একবার খাচ্ছে তো আরেকবার ছবিকে দেখছে।

তার কারণ ছবিকে সেই কখন থেকে সে স্যরি বলে যাচ্ছে তাও ছবির রাগ কমছেনা,,,,,,,,
কোনও কথা কানে না নিয়ে একভাবে খেয়ে যাচ্ছে সে।

ছোট বোনের সব আবদার বেয়াদবি মেনে নেয় ছবি,কিন্তু যেখানে জন্ম দাতা পিতাই অসহনীয় সেখানে তাকে নিয়ে বিন্দু বাক্য ও সহনীয় নয় তার কাছে।

— আপু রাগের মাথায় বলে দিয়েছি বললাম তো। আর হবেনা।

— চুপচাপ খা।

ছবির কথায় আবারো মাথা নিচু করে ভাতের লোকমা মুখে তুলতে উদ্যত হলো আরাবী।
হুট করে ছবির ফোনের রিংটোন বেজে ওঠায় সবার মনোযোগ সেদিকে।

প্লেট ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে হাতে লেগে থাকা পরিশিষ্ট খেতে খেতে বিছানা থেকে ফোন বাম হাতে তুলে নিলো ছবি।
আননোর নাম্বার দেখে খানিকটা ভ্রু সঙ্কুচিত করে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো স্ক্রিনের দিকে।

— কে ফোন করেছে?

— জানিনা।

— ধর ফোনটা।

মায়ের দিক থেকে চোখ সরিয়ে আবারো ফোনের দিকে তাকিয়ে রিসিভ করে কানে ঠেকালো ছবি। কিছু বলতে যাওয়ার আগেই ওপাশ থেকে একটা পুরুষালী কণ্ঠ ভেসে এলো।

— আসসালামু আলাইকুম।

— ওয়ালাকুম আসসালাম,,জ্বি কে বলছিলেন?

— ম্যাম আমি রেয়ান স্টুডিও থেকে বলছি। মিস আরাবি রাহমান আছেন?

— রেয়ান স্টুডিও?

ছবির মুখে রেয়ান স্টুডিওর নাম শুনে বসা থেকে ধপ করে উঠে দাড়ালো আরাবি।
হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে গেলো ছবির দিকে,,,,

— দেখি দেখি আমাকে দাও,,,,

ছবির হাত থেকে অনেকটা কেড়ে নেয়ার মত করে নিয়ে নিলো ফোনটা,,,

— রেয়ান স্টুডিও?

— জ্বি। মিস আরাবি রাহমান আছেন??

— আমি,,আমিই আরাবি,বলুন কি ব্যাপার??

— ম্যাম আপনি এখানে ছবি জমা করে গিয়েছিলেন,,আপনাকে অডিশনের জন্য সিলেক্ট করা হয়েছে,,,,,

কথাটা শুনে মুহুর্তেই খুশিতে জ্বলজ্বল করে উঠলো আরাবীর মুখমণ্ডল….

— কি?? আমি সিলেক্টেড?

— জ্বি,,, আগামি সোমবারে অডিশন নেয়া হবে,,,,,সকাল দশটায়।
চলে আসবেন।

— নিশ্চয়ই আসবো,,,,,

— ওকে ম্যাম রাখছি।

ফোন রেখে ছবির দিকে তাকালো আরাবি,,,মুখ খুলে কিছু বলতে যাওয়ার আগেই ছবি জিজ্ঞেস করে উঠলো

— এই লোক গুলো আমার নম্বর কোথ থেকে পেলো?

— আমিই দিয়েছি,,আমার তো ফোন নেই,তাই তোমার নম্বর দিতে হলো,,, ওসব ছাড়ো
আপু আমি সিলেক্ট হয়েছি,মা আমি সিলেক্ট হয়েছি ভাবতে পারছো তোমরা? পরশু অডিশন দিতে ডেকেছে আমাকে,,,একবার টিকলে ব্যাস কাব্য রেয়ানের নতুন ফিল্মে আমি?

নূবায়রা চুপচাপ তাকিয়ে আছেন ছবির দিকে,,,,এক্ষুনি মেয়েদের মধ্যে সুনামি বয়ে যাবে বেশ বুঝতে পারছেন তিনি,,,

আরাবির কথায় কোনও হেলদোল দেখালো না ছবি,,,,,

— খেতে বোস। কোনও অডিশন দিতে হবে না

— কি বলছো টা কি আপু??

— যা শুনেছিস তাই,,,,অডিশন দিতে যাবিনা তুই!

— কেনো? কেনো যাবোনা আমি? আমার এতো প্রচেষ্টার পর আমাকে নেয়া হচ্ছে আর সেখানে তুমি এসব….

— হ্যা আমি এসব বলছি,,,,মিডিয়া জগত আমার পছন্দ নয়। বুঝেছিস তুই,,,

— তোমার পছন্দ অপছন্দের দরকার কি এখানে,নায়িকা তো তুমি হচ্ছোনা,হচ্ছি আমি,,,,

— এতো তর্ক করবিনা আরাবি,,

— বেশ করলাম না,কিন্তু অডিশন আমি দেবোই।

— আমি বলেছি তুই যাবিনা ব্যাস।

— আমি যাবোই ব্যাস। আর তুমি কে এসব বলার,,,আমার মর্জি আমি যা ইচ্ছে করবো,আমি শুনবো না তোমার কথা,,, কি করবে তুমি?
…..

কথা শেষ না করতেই ঝিম ধরে গেলো আরাবির গাল,,,,নূবায়রা ঠাস করে এক চড় বসিয়েছেন মেয়ের গাল বরাবর।

— আহ মা মারলে কেনো?

— চুপ কর তুই,,,,দিন দিন বেয়াদব তৈরি হচ্ছে একটা,,, বড় বোনের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় শেখেনি ও??,অাদব কায়দা সব গিলে খেয়ে ফেলেছিস তাইনা?

মায়ের চোখ রাঙানো দেখে চুপ হয়ে গেলো আরাবী,,ছবি ধরতে গেলেই হাত উঁচু করে থামিয়ে দিলো।
চোখ উঠিয়ে একবার নূবায়রা আর ছবিকে দেখে নিয়ে রুমের দিকে হাটা ধরলো,,,,,

ভেতরে প্রবেশ করতেই ধড়াম করে মা আর বোনের মুখের ওপরে দরজা লাগিয়ে দিলো আরাবী।

— আরাবী খেয়ে যা। এই আরাবী।

— ডাকবিনা ওকে,ক্ষিদে পেলে নিজেই আসবে।

বোন না খেয়ে থাকায় ছবির ও আর খাওয়া হলোনা,,,,

— ভাবলাম আজ সবাই মিলে একসাথে দুপুরে খাবো,,,,,কি থেকে কি হলো
সব অশান্তির মূলে ওই স্টুডিওটা। ইচ্ছে করছে মালিকের মাথা বরাবর বাড়ি মারতে। যত্তসব।

🍂

🍂

রকিং চেয়ারে বসে ক্ষনে ক্ষনে দোল খাচ্ছে কাব্য। বরাবরের মতো হাতে ওয়াইন ভর্তি গ্লাস বিদ্যমান।

কাচের গ্লাস দিয়ে বৃষ্টি দেখছে সে,,,,,যেন এই মুহুর্তে বৃষ্টির ফোটা গুনতে ব্যস্ততা তার।

চোখ গুলো ঝাপসা হয়ে আসছে একটু পরপর,,,,,কিছু পুরোনো স্মৃতি নাড়া দিয়ে উঠছে। এতো বড় বাড়িতে একা থাকে সে,,, অবশ্য রাজীব ও থাকে কিন্তু আপন জন এর তালিকা টা শূন্য।,,,যার দরুন তার একাকীত্বতা পাহাড় সমতূল্য।

আচ্ছা এই একাকীত্বের কি কোনও শেষ নেই? প্রত্যেক এর জন্যেই তো কেউ না কেউ থাকে,,,তার জন্যে কি তবে ওই একজন ছাড়া কেউ নেই?

আকাশ কুসুম ভাবতে ভাবতেই রাজ্যের ঘুম এসে ভর করলো কাব্যর আখির পাতায়,,,,,চেয়ারে বসে থাকা অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পরলো সে।
এই মুহুর্তে গায়ে চাদর জড়িয়ে দেয়ার মতোন ও কেউ নেই যে তার।
কি অদ্ভুত ভাগ্য!!
,,,
,,,,
,,,,,,,
,,,,,,,,,

খানিক বাদেই রুমের মধ্যে পা টিপে টিপে প্রবেশ করলো রাজীব,,,,ঘুমে পাড়ি দেয়া কাব্যর চোখের সামনে একবার হাত নাড়িয়ে পরীক্ষা করে নিলো আদৌ জেগে আছে কি না?

কাব্য ঘুমিয়ে আছে বুঝতে পেরে আস্তে ধীরে তাকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলো রাজীব। পায়ের কাছ থেকে কম্বল নিয়ে বুক সমান টেনে দিয়ে নিঃশব্দে দরজা লাগিয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেলো রুম ছেড়ে।

🍁

🍁

রাতের বেলা বাসায় ঢুকে আরাবিকে ডাকতে শুরু করলো ছবি।

ছবির ডাকে আরাবি না এলেও নূবায়রা কাজ রেখে বাইরের ঘরে এসে দাড়ালেন।

— এ বাবা একদম ভিজে গিয়েছিস তো।
জানিস ই তো বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন,,ছাতা সাথে রাখবিনা?

— ছাতা সাথে ছিলো আমার,,,জিনিস গুলোর জন্যে ভালো করে মেলতে না পারায় ভেঙে গিয়েছে।

— এতো সব কি??

— দেখাচ্ছি দাড়াও।

— দাড়া,,আগে মাথা মুছে নে ধর।

মায়ের হাত থেকে গামছা নিয়ে লম্বা চুল গুলো মুছতে শুরু করলো ছবি,

— আরাবী কোথায় ডাকো ওকে।

— তিনি কি বেরিয়েছেন নাকি? এখনও রুমের মধ্যেই বসে আছেন।

— সেই থেকে আর বের হয়নি?

— না

— ডাকোনি ওকে?

— ডেকেছিলাম দরজা খোলেনি,আর উত্তর ও দেয়নি।

— কি যে করে না।
শুধু শুধু মারতে গেলে কেনো বলোতো।

— ওরকম শাসন একটু আধটু দরকার,,,,,,এতে যদি শুধরায় এখন,,,,একটু।
তাছাড়া তুই এতো ভাবিসনা তো,,,,,

বিড়বিড় করতে করতে কাচা বাজার গুলোকে নিয়ে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন নূবায়রা।
আর ছবি পা বাড়ালো আরাবির রুমের দিকে।হাত বাড়িয়ে মৃদূ টোকা দিতে দিতে ডাকতে শুরু করলো আরাবীকে।

— এই আরাবি খোল না দরজাটা,দ্যাখ আমি কি এনেছি তোর জন্যে…
খোল না বোন আমার,,,লক্ষী মেয়ে না তুই…কি হলো….খোল না,,,ঠিক আছে তুই যখন দরজা খুলবিইনা তখন এই ড্রেস টা তাহলে আমি ফেরত দিয়ে আসছি,,,
,,,,,
,,,,
,,,
,,

ছবি পিছু ফিরতেই দরজা খোলার আওয়াজে আবারো ফিরে তাকালো।

— কি এনেছো.??

ছবি জানতো তার ট্রিক্স কাজে লাগবে,,,,তাই মুচকি হেসে বলে উঠলো

— আয় এদিকে,,,

আরাবির হাত ধরে মায়ের রুমের দিকে নিয়ে গেলো ছবি,,,,বিছানার ওপর বসিয়ে সাদা রংয়ের একটা প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিলো।

উৎসুক দৃষ্টিতে প্যাকেট খুলতেই মুখে হাসি ফুটলো আরাবির।

— আনারকলি? ওয়াও আপু,,,,তোমার মনে আছে এখনও?

— থাকবেনা কেনো,,,তুই চেয়েছিস আমি না দিয়ে পারি নাকি।

— থ্যাংক ইউ আপু,,,

হঠাৎ কিছু একটা মনে পরতেই মুখের হাসি বিলীন হয়ে গেলো আরাবির। হাত থেকে জামা টা নামিয়ে রেখে উঠে দাড়িয়ে পরলো।

— কি হলো?

— আমি নেবোনা এটা।

— কেনো?

— আমি এসব কিছু চাইনা,,আমাকে অডিশন দিতে যেতে দাও।

— আবার শুরু করলি? বলেছিনা অডিশন দেয়া হবেনা তোর।

— তুমি যদি আমাকে যেতে না দাও আমি কিন্তু সুইসাইড করবো বলে দিলাম।

— আরাবী! কি বলছিস কি এসব আবোল তাবোল??

— তাহলে বলো যেতে দেবে?? তুমি হ্যা বললে মা ও আর না করবেনা আমি জানি।

আরাবীর কথায় কিছুক্ষন চুপ থেকে হ্যা বোধক মাথা নাড়লো ছবি।
আনন্দে ছবিকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলো আরাবি,,,,, অবশেষে তার প্ল্যান কাজে লাগলো।

একটু রাগ করলে লাভ বৈ ক্ষতি নেই,,,কি সুন্দর সব কিছুর অনুমতি ও পেলো আর সাথে একটা সুন্দর জামাও হয়ে গেলো তার,,,পরশুদিন এটা পরেই যেতে পারবে,,,,, ড্রেস নিয়ে এক্সট্রা ভাবনা ভাবতে হলো না আর।

আরাবির খুশিতে উজ্জ্বল মুখ দেখে কিঞ্চিৎ ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো ছবি,,,,
আরাবি সুন্দরী স্মার্ট,,,অডিশনে টিকে যাওয়ার চান্স বেশি থাকলেও তার মন মানছেনা,,,,,
কু গাইছে ভেতরে ভেতরে,,,,কেনো জানিনা মনে হচ্ছে ঘোর অন্ধকারে পা দিতে যাচ্ছে তার বোন। অনুমতি দিয়ে কোথাও ভুল করে বসলোনা তো সে??

চলবে….

যারা গল্পের নায়িকা নিয়ে কনফিউজড তাদের জন্য বলছি ধৈর্য নিয়ে পড়ুন,,গল্পের সাথে থাকলে তবেই না জানতে পারবেন।
আর গল্প কি আপনাদের ভালো লাগছেনা? নাহলে রেসপন্স এতো কম কেনো???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here