#কৃষ্ণচূড়া 🍂
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–০৫
মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরাবি। চোখের পাতা এক করে পলক ফেলার কথাটি যেন লাপাত্তা হয়ে গেছে তার মস্তিষ্ক থেকে। এই মুহুর্তে তার মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে সুদর্শন পুরুষ টি দাড়িয়ে আছে তার সামনে।
কাব্য একবার আপাদমস্তক দেখে নিয়েছে আরাবিকে,,,,যাক রাজীবের পছন্দ বেশ উন্নত। আরাবি এভাবে তাকিয়ে থাকায় ভ্রু ক্রুটি করে সেও তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন,,,,,কিন্তু আরাবির দিক থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে অবশেষে ওর চোখের সামনে হাত নাড়ালো কাব্য।
— হালো মিস? জেগে আছেন।
এমতাবস্থায় বেশ অপ্রস্তুত আর লজ্বায় পরে গেলো আরাবি,,,,,কি বেহায়ার মতোন তাকিয়ে ছিলো এতোক্ষন,,,,,,,থাকবেই বা না কেনো,,,, এতোদিন যাকে পর্দায় দেখেছে আজ সে স্বয়ং তার সামনে উপস্থিত।
— আমি কিছু বলছি আপনাকে?
— ইয়ে মানে,,,জ্বি বলুন।
— অভিনয় পারবেন তো??
এহেন প্রশ্নে আরাবী কিছু বলতে যাওয়ার আগে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে এলো রাজীব,,,কাব্যর কান বরাবর মুখ এনে বলে উঠলো
— দু ধরনের স্ক্রিপ্ট দিয়েছিলাম স্যার,,,,পাক্কা এক্টিং ছিলো।
কথাটা বলেই আবারো সোজা হয়ে দাড়ালো রাজীব।রাজীবের কথায় মাথা নাড়লো কাব্য,,,যার অর্থ চলবে।
— ডান্স জানেন??
কাব্যর প্রশ্নে মাথা নাড়লো আরাবী,,,,,
— একটু আধটু জানি,,,,
— বাকিটা শিখিয়ে দেয়া হবে,,,
— আচ্ছা আপনার এড্রেস দিয়ে যাবেন,,,স্ক্রিপ্ট পাঠিয়ে দেবো।
— না না পাঠাতে হবেনা,,,আমিই নিয়ে যাবো আমাকে একটা খবর দিলেই,,,
— ঠিক আছে,,,
রাজীব?
— হ্যা স্যার,,
— ওনাকে কিছু এডভান্স দিয়ে দেবে ড্রেস আপের জন্য,,,আর বাকি কস্টিউম প্রোডাকশন থেকেই পেয়ে যাবেন আপনি। কাল আরেকবার আসবেন শ্যুটিং স্পট এ।
শেষের কথাটা আরাবির উদ্দেশ্যে বললো কাব্য,,,,,কথা শেষ করে দাড়ালোনা আর,,,,শব্দ করে হেটে সিড়ি বেয়ে উপর দিকে চলে গেলো।
আরাবীর দিক থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া না পেয়ে মুখ খুললো রাজীব।
— মিস আরাবী,আমার সাথে আসুন।
— জ্বি
চলতে চলতে আবারো প্রশ্ন ছুড়লো রাজীব,,
— স্যারের সামনে নার্ভাস হয়ে গেছিলেন?
— হ্যা ওই আর কি,,,
— আচ্ছা চলুন যাওয়া যাক।
— একটা কথা বলবো?
— বলুন
— ওনার কথা এমন আটকে আসছিলো কেনো,,সিনেমাতে যেরকম গলার আওয়াজ শুনতাম তার সাথে আজকের টার অনেকটাই তফাৎ লাগলো,সিনেমাতে কি ডাবিং করা হতো,,,
— আরে না না,,,কাল স্যার বৃষ্টিতে ভিজেছিলো,,,আর তাতেই ঠান্ডা লেগে গলা বসে গেছে,,,এই যা,,,পরে আবার ঠিক হলে বুঝতে পারবেন।
ডাক্তার দেখিয়েছে অবশ্য,,,
— সামান্য গলা বসে যাওয়ায় ডাক্তার দেখিয়েছে? আর আপুর তো কত্ত জ্বর তাও দুটো ওষুধ ছাড়া কিছুই পেলোনা। টাকা থাকলে কিনা হয়!
— কি ভাবছেন চলুন।
ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে রাজীবের পিছু পিছু হাটা ধরলো আরাবি।
,,,,,,
,,,,,,,
,,,,,
,,,,,,
,,,,,
,,,,,,,,,,
রাতেরবেলা,,,,,,,,
,,,
,,,,,
আপু তোমার জ্বর এখনও কমেনি,,,,,,আর আমি ভাবলাম কাল তোমাকে নিয়ে শ্যুটিং স্পট যাবো।
— ও গিয়ে কি করবে?? ওর এসব পছন্দ নয় জানিস ই তো।
— তাও প্রথম দিন তো,,,একটু নার্ভাস লাগছে।
— তোর আবার নার্ভাস ও লাগে নাকি???
— ওমা লাগবেনা কেনো?
— না যা ছটফটানি দেখছি ইদানিং,,,কথাটা হজম করতে বেগ পেতে হচ্ছে আমার।
— উফফ মা,,,তোমার কি সারাদিন-এ এই একটাই কাজ? আমার পেছনে লাগা?
— নাহ মা,,,আমি কেনো তোমার পেছনে লাগবো? তুমি আমার এতো ভালো মেয়ে,,,কি বাধ্য শান্ত শিষ্ট।
— থাক থাক বুঝেছি আর বলতে হবেনা,,,,প্রশংসা করার নামে নিন্দে করছো জানি আমি।
— বাহ বুদ্ধিমতি আছিস বেশ।
— মা!!
আরাবির মুখের দিক তাকিয়ে মুচকি হাসলেন নূবায়রা।
ছবির দিকে চোখ পরতেই দেখলেন ভাবলেশহীন ভাবে জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে ছবি।
— কি হয়েছে রে ছবি?
— কই কিছু নাতো?
— কিছু ভাবছিস??
— কিছুনা।
— আমরা এতক্ষন কি বলেছি শুনেছিস?
— কি বলেছো?
— তার মানে তুই কিছু নিয়ে চিন্তা করছিলি? কি হয়েছে বল আমাকে?
— মা,,,বলেছি তো কিছুনা।
— আপুর বোধ হয় শরীর খারাপ লাগছে মা,,,থাক আপুকে দিয়ে এতো কথা বলিওনা।
আমি কি বলছি শোনো না….
—বল,,
— ওই যে কাব্য রেয়ান মা? স্ক্রিনের থেকেও সামনাসামনি অনেক বেশি সুন্দর,হ্যান্ডসাম। আমি তো দেখে হা করে তাকিয়ে ছিলাম জানো,,,,মনে হচ্ছিলো উনবিংশ শতাব্দির কোনও রাজপুত্র আমার সামনে দাড়িয়ে,,,
— থাক,,সিনেমায় নাম লিখিয়েছিস ভালো কথা,,,,,নায়িকা হচ্ছো তাও ভালো,,,মেনে নিয়েছি,,কিন্তু ওসব রাজপুত্র দের থেকে দূরে থাকবে বুঝেছো??
এমনিতেই হিরো দের চরিত্র ভালো হয়না।
শুধু হিরো কেনো,,,,,ইন্ডাস্ট্রির কেউ-ই সুবিধের হয়না।
— হ্যা বলেছিলো তোমাকে,,,,,,সব কিছুতে বাবাকে দিয়ে বিচার করবেনা তো,,,,
— ধীরে কথা বল,ছবি শুনতে পাবে,,,,
— ঠিক আছে ঠিক আছে,,,আমি এখন যাই ঘুমিয়ে পরি,কাল সকাল সকাল ডেকে দিও তো।
হাই তুলতে তুলতে মৃদূ পায়ে হেটে অন্য ঘরে চলে গেলো আরাবি।আর নূবায়রা এগিয়ে এলেন বিছানার দিকে,,যেখানে অন্যমনষ্ক হয়ে বসে আছে ছবি।
— এবার বলতো? কি হয়েছে?
আর একদম লুকাবিনা আমার থেকে।
— কি বলবো আমি,,,,আমার কিছু ভালো লাগছেনা,,
— কেনো রে,,জ্বর টা বাড়লো নাকি?
— ওসব না মা। আমি ভাবছি আমার বোন টাকে নিয়ে,,,,আরাবি মিডিয়ায় পা বাড়িয়েছে ঠিকই,কিন্তু আমার মন বলছে এতে ওর খারাপ হবে। খারাপ কিছু ঘটবে ওর সাথে।
— এরকম কেনো মনে হচ্ছে তোর?
— জানিনা যে মা,,আমি নিজেও জানিনা।
— বোন কে অনেক বেশিই ভালোবাসিস তো তাই এসব মাথায় আসছে,,ভাবিস না,আরাবি যথেস্ট বুদ্ধিমতি,ও ঠিক ভালো মন্দ বুঝবে।তাছাড়া আমরাতো আছিই তাইনা।
মায়ের কথায় মৃদূ মাথা নাড়লো ছবি,,,,কিন্তু মন থেকে যে আশ্বস্ত হতে পারছেনা।
,,,,,,
,,,,,,,,
,,,
,,,,
,,,,
,,,
,,,,
তো মিস আরাবি কদমতলী রোডের ৯৭২ নম্বর বিল্ডিং এর নিচের তলায় আপনারা থাকেন তাইতো?
গড়গড়িয়ে আরাবির বাসার এড্রেস ওর সামনে আওড়ে দিলো কাব্য।
এহেন কার্যে চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম আরাবির।
— জ্বি,,,কিন্তু আপনি?
— কি ভাবে জানলাম?
কাল এড্রেস এর কথা জিজ্ঞেস করাতে যেভাবে লাফিয়ে উঠেছিলেন তাতেই কিঞ্চিৎ সন্দেহ লেগেছিলো আর কি,,,,,,খোজ না নিয়ে পারলাম না। অবশ্য এটা পরেও নিতাম যেহেতু আজকের পর থেকে আমার সাথে কাজ করতে যাচ্ছেন আপনি। মিডিয়ায় আপনার অভিষেক আমিই ঘটাচ্ছি,,, খোজ তো নিতেই হতো।
তা বাসার ঠিকানা বলতে এতো লজ্জ্বা পাওয়ার কি আছে?
— না মানে আসলে….
— ইন্ডাস্ট্রিতে যারা আছে তারা সবাই ই যে শুরু থেকে বড় ফ্যামিলি থেকে বিলং করে এমন কিন্তু নয়….এখানে আসার পর অনেকেই নিজেকে গড়ে নিয়েছে। আর আপনাকেও সেটাই করতে হবে,,,
জবাবে চুপ থেকে নতজানু ভাবে মাথা নাড়লো আরাবি।
আর কাব্য হেটে গিয়ে সোফায় পায়ের ওপর পা তুলে বসে পরলো,,,
—তবে হ্যা,,,,একবার ক্যামেরার সামনে এলে তখনই আপনার পার্সোনাল ব্যাপার নিয়ে ঘাটা হবে,,,,যেটা আপনার ক্যারিয়ারেও প্রভাব ফেলতে পারে।
— মানে?
— মানে আমি বলতে চাইছি আপাতত আপনার ঠিকানা আপনাকে পাল্টাতে হবে,,,,,আমি যতদূর খোজ পেয়েছি আপনার বাবা নেই,,,আপনার মায়ের একটা টেইলার্স আছে আর পাশাপাশি আপনার বোন একটা শো রুমে কাজ করে তাইতো??
— জ্বি….
— তাহলে এই মুহুর্তে আপনার ভালো বাসায় যাওয়ার আশা টা শূন্য,,,,আর তাই এটা আপনার।
কাব্যর হাতে চাবির রিং দেখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আরাবি।
— এটা একটা ফ্ল্যাটের চাবি,,,যেটা আপনাকে আমার তরফ থেকে দেয়া হচ্ছে,,,, চাইলে কাল ই শিফট করতে পারবেন।
— ফ্ল্যাটের চাবি? আমার জন্যে?
— জ্বি,,,,,আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন আপনাকে ফ্ল্যাট কেনো দেয়া হচ্ছে? তাও আবার আমি নিজে দিচ্ছি?
— জ্বি মানে,,,
— এটার উত্তর আপাতত জানতে হবেনা আপনাকে,,,,,তবে হ্যা এটা পারমানেন্টলি দেয়া হচ্ছেনা আপনাকে,,,,,
এটুকু জেনে রাখুন,,,,কাজ শেষ হলে তখন না হয় আপনি নিজেই নিজের ঠিকানা বদলে নেবেন।
বেশ উচ্ছ্বাস নিয়ে কাব্যর হাত থেকে চাবিটা নিয়ে নিলো আরাবি,,,,,,
— অনেক ধন্যবাদ,,,,
🍁
🍁
🍁
ফ্ল্যাট?? কিসের ফ্ল্যাট??
— কাব্য রেয়ানের ফ্ল্যাট,আমাকে গিফট করেছে,,,,,
যাক বাবা এবার এই চাপা গলির মতো ঘর থেকে মুক্তি পাবো আমি,,,,আমার একদম ভালো লাগেনা এখানে।
আপু,,মা তোমরা সবাই যা যা নেবে গুছিয়ে নাও আমরা কাল ই শিফট করে যাবো। আমার কিন্তু সব গোছানো শেষ।
নিজের মত করে কথা বলে যাচ্ছে আরাবি,,,মা আর বোনের দিক থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে মাথা তুলে তাকালো ওদের দিকে।
— কি হলো?? যাও গোছগাছ করে নাও।
— আমি যাবোনা আরাবি,,
— যাবেনা?? কেনো?
— কারো দেয়া ফ্ল্যাটে আমি থাকবোনা,,,,,কারো দয়া নিতে চাইনা আমি,,,
— এখানে দয়ার কি আছে আপু,,,,আমি ওনার ফিল্মের হিরোইন হচ্ছি বলেই দিয়েছেন উনি,,
— হ্যা তো ঠিক আছে,,,,তুই আর মা যা বরং,,,আমি এখানেই ঠিক আছি।
— আমি যাবো মানে?? তোর কি মনে হয় ছবি আমি যেতে চাচ্ছি?
— এসবের মানে কি? মা তোমার যেতে কি সমস্যা?
— আমি ছবির সাথে একমত মা,,,,আজ ওনার ইচ্ছে হয়েছে ফ্ল্যাট দিয়েছে কাল ইচ্ছে হবে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেবে,,,,,গরীব হলেও নূন্যতম আত্বসন্মান কি নেই আমাদের?
— তার মানে তোমরা যাবেনা?
— ভুল বুঝিস না মা। ওনার সিনেমার হিরোইন তুই,,,,তাই বলে ওনার থেকে ফ্ল্যাট নেয়াটা কি তোর ঠিক হলো,৷ এসব খবর একবার প্রেস মিডিয়া জানলে বড্ড কেলেংকারী হয়ে যাবে।
— হলে হবে,,,,তোমরা যাবে? হ্যা কি না….
— না আসলে…,একবার বোঝার চেষ্টা কর মা,,,
— আর কিছু বোঝানোর দরকার নেই,,,,যেতে চাইছোনা বেশ,,,,,,,যেওনা। আমি একাই যাবো।
— তুই সত্যিই আমাদের ছেড়ে থাকবি?? তুইতো একা ঘুমোতেও পারিস না,সেখানে।
— ওসব ন্যাকামো এখন করলে চলবেনা আপু,,,,তোমরা যদি আমার কথা ভাবতে তাহলে আর যাবেনা বলতে না। যাই হোক,,,,আজ অন্যের ফ্ল্যাটে থাকছি বলে যেতে চাইছোনা মেনে নিলাম,,,এরপর যখন আমি নিজ ফ্ল্যাট কিনবো সেদিনই নিয়ে যাবো তোমাদের।
— আরাবি এখান থেকে কি শ্যুটিং করা যায়না?
— না যায়না। আমি এরকম একটা ঝুপড়ি ঘরে থাকি এটা জানলে আমার মান সন্মানের সাথে সাথে কাব্য রেয়ানের টাও যাবে,,,আর সেসব উনি হতে দেবেন না বলেই এই ফ্ল্যাট।
— তুই আমার কোনও কথাই কখনও শুনিস নি তো,,,তাই আজও বৃথা চেষ্টা করবোনা,,,সাবধানে থাকবি,নিজের খেয়াল রাখবি,,,,
— হু,,তোমরা যখন যাচ্ছোইনা তাহলে একটা দিন ওয়েস্ট করে লাভ কি,আমি আজই চলে যাবো।
— আমাদের ছেড়ে যাওয়ার এত তাড়া?
— নাহ ক্যারিয়ার গোছানোর তাড়া। আসছি।
মুখ ভার করে হাতে কাপড় ভর্তি ব্যাগ নিয়ে সদর দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলো আরাবি,,,চৌকাঠ পার হতেই ছ্যাত করে উঠলো ছবির বুক,,,,, মনে হলো ধারালো ছুড়ি দিয়ে কেউ বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখা কলিজা টা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় মত্ত। নিজেকে সামলাতে দরজা চেপে ধরলো এক হাত দিয়ে,,,
নূবায়রা আরাবির যাওয়ার দিক থেকে চোখ সরিয়ে ছবির দিকে তাকাতেই চমকে উঠলেন,,,,
ছবি বুকে হাত দিয়ে ফ্লোরে বসে পরেছে।
— এই ছবি কি হলো,,,,এই ছবি? শরীর খারাপ করছে মা?
— আমাকে এক গ্লাস পানি দেবে মা,
ধড়ফড় করে পানি এনে ছবিকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতে লাগলেন নূবায়রা।
গ্লাস শূন্য করে ছলছল চোখে মায়ের দিকে তাকালো ছবি,ধরে আসা গলায় বলে উঠলো
– আমার মন বড্ড কু গাইছে মা,,,,,,আরাবির কোনও বিপদ হবেনা তো,,,,??
চলবে,,,