শেষ_ভালোবাসা পর্ব : ৪ লেখা : মেঘপরী

0
228

#শেষ_ভালোবাসা
পর্ব : ৪
লেখা : মেঘপরী
.
অত্র: এসবের মানে কি আফরা? তুমি যানো না আমি তোমাকে কতো ভালোবাসি। আমার বাসা থেকে আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিছে। আমি ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো আমি তোমার কাছে একটু সময় চেয়েছি আর তুমি এভাবে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছো।আফরা প্লিজ এমনটা করো না তোমাকে ছারা আমি বাচতে পারবো না।
আফরা : শোনো অত্র যা হয়ে গেছে তুমি মেনে নাও এই দেখো আমিও আমার ভাগ্যকে মেনে নিয়েছি। তুমি যদি আমার হতে তাহলে তোমার ফ্যামিলি আমার সাথেই তোমার বিয়ে দিতো। কিন্তু তারা আমাকে পছন্দ করে নি। তোমার বউকে পছন্দ করেছে। আমি যানি তুমি ওকে মেনে নাও নি এখনো। ওকে স্ত্রী মর্যাদাও দাও নি। আমি চাই তোমরা একটি সুখী দাম্পত্যীর মতো জীবনযাপন করো।
প্লিজ অত্র আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও। আমরা এক হতে পারি নি তো কি হয়েছে আমাদের বন্ধুত্ব সারাজীবন থাকবে।
অত্র : আফরা ওটা কোনো মেয়ে না একটা চুরেল তুমি যানো না। ওকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে ইম্পসিবল। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি আফরা (আফরার হাত ধরে) তুমি প্লিজ এই বিয়েটা ভেঙে দাও আমরা খুব দূরে চলে যাবো। একটা সুন্দর সংসার সাজাবো।
-অত্র আমার হাত ছারো। এটা আর সম্ভব না কাল আমার বিয়ে। প্লিজ তুমি চলে যাও।
.
আফরা প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো। তুমি কেনো বুঝছো না আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে আমার চাই। (অত্র আফরাকে খুব জেরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে)
-অত্র আমার লাগছে ছারো আমাকে..
-তুমি বলো তুমি এই বিয়ে ভাঙবা নাকি আমি ভাঙবো
আফরা অত্রকে খুব জোরে একটা ধাক্কা দিয়ে ঠাস করে অত্রর মুখে একটা চড় বসিয়ে দিলো।
– ছিঃ অত্র তোমাকে আমি অনেক ভালো ভেবেছিলাম, কিন্তু তুমি এতোটা স্বার্থপর সেটা ভাবতেও আমার কষ্ট হচ্ছে, চাইলেই সবকিছু সম্ভব হয় না অত্র আমাদের সমাজ পরিবার নিয়ম নীতি বলেও অনেককিছু আছে তুমি ভাবলে কি করে তোমার এমন একটা প্রস্তাবে আমি রাজি হয়ে যাবো নিজের ভালোবাসার মানুষকে পাওয়া জন্য একটা মেয়ে হয়ে অন্য একটা মেয়ের ঘর ভেঙ্গে দিবো এটা তুমি ভাবতে পারলে কি করে,
-আরফা তুমি আমাকে ভুল বুঝছো,
– আমি তোমাকে ভুল বুঝছি না অত্র যেটা সত্যি সেটাই বলছি, শোনো শুধু ভালোবাসলেই হয় না ভালোবাসার মানুষটাকে আপন করে পেতে ভাগ্যও লাগে যেটা তোমার বা আমার কারোরই নেই, আর এটাই বাস্তব, বাস্তবতাকে মেনে নিতে শিখো অত্র, একটা কথা সব সময় মনে রাখবে উপরওয়ালা আভাকেই তোমার জীবন সঙ্গী হিসেবে তৈরি করেছে আমাকে নয়, তাই ওকে তুমি মেনে নাও, আমি হয়তো তোমার প্রথম ভালোবাসা ছিলাম কিন্তু আভাই হবে তোমার শেষ ভালোবাসা সেটা একদিন তুমি নিজেই বুঝতে পারবে, আর একটা কথা আর কখনো নিজের ভালোবাসার দাবি নিয়ে আমার সামনে এসো না।আমার নতুন জীবনের জন্য দোয়া করো। আমি চাই না অতীতের কথা ভেবে ভবিষ্যত নষ্ট করতে। তুমি নিজে সুখী হও আর আমাকেও সুখী হতে দাও।
ভালো থেকো অত্র good bye…

এটা বলে আরফা রুম থেকে বেড় হয়ে চলে যায়, আর অত্র ছলছল চোখে তার যাওয়ার পানে চেয়ে থাকে,
.
ঘড়িতে রাত ১.৩০ টা ছুই ছুই অত্র পচন্ড নেশা করে মাতাল হয়ে নিজের বাসায় ফিরছে।
রুমে ঢুকে সোজা বিছানায় সুয়ে পরল। পরক্ষণেই মনে পরলো আভার কথা। আজ ওর জন্যই অত্র আফরাকে হারালো। আজ ওকে একটা উচিত শিক্ষা দিয়েই ছাড়বে।
অত্র উঠে বেলকনিতে আভার কাছে গেলো.. আভা তখন ঘুমে মগ্ন.. ঘুমন্ত আভা মুখে হালকা চাদের আলো আর হালকা অন্ধকার মিলে এক অদ্ভুত সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে আর সেই সৌন্দর্য অত্রকে ভিষণ ভাবে আকৃষ্ট করছে, অত্রের মনে চাইছে সবকিছু ভুলে আভার মাঝে ডুবে যেতে, অত্র হাটু মুড়ে আভার পাশে ফ্লোরে বসে পরে,তারপর আভার খুব কাছে চলে যায়, এতোটা কাছে চলে যায় যে অত্র আভার প্রতিটা নিশ্বাস অনুভব করতে পারছে। আভার মুখের দিকে তাকালেই অত্রর এক অদ্ভুত মায়া কাজ করে এটা অত্র এর আগেও ফিল করেছে ও যানে না এটা কি। হয়ত উপরওয়ালা সবটা উপর থেকেই সেট করে রেখেছে। হঠাৎ অত্র কিছু একটা ভেবে আভাকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিয়ে রুমে এনে বিছানার ছুরে মারে…
হটাত বিছানায় এভাবে ধুপ করে পরার পরে আভার ঘুম ভেঙে যায়। তার চোখ যায় অত্রর দিকে।অত্র ভয়ংকর ভাবে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
আভা তার কোনো পাত্তা না দিয়ে বলল এসবের মানে কি.. বলেছি না আমাকে কখনো টাচ করবেন না😤😤বলেই উঠে যেতে চাইলে অত্র আভার হাত ধরে ফেলে…আভা বুঝতে পারে অত্র ড্রিংস করেছে…
হাত ছাড়ুন আমার.. অত্র আরো জোরে আভার হাত ধরে এক ঝটকায় নিজের কাছে টেনে আনে..
আভা চোখ বড় করে অত্রর দিকে তাকিয়ে থাকে। অত্রর এখন হুস নেই ওকে এখন কিছু বললে ও উল্টো রিয়েক্ট করতে পারে।
অত্র আভার ঠোঁটের দিকে গভীর ভাবে চেয়ে আছে।
অত্র আভার ঠোটের দিকে এগিয়ে আসছে আর আভার রাগে শরীর ঘিনঘিন করছে।
আভা অত্রকে একটা ধাক্কা দিয়ে চলে আসতে গেলেই অত্র আবার আভার হাত ধরে আভাকে বিছানায় ফেলে দেয় এক টানে আভার বুক থেকে শাড়ির আচল ফেলে নিজে আভার উপর লাফিয়ে পরে….
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here