#কৃষ্ণচূড়া🍂
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–১৩
ওটির বাইরে দাড়িয়ে আছে কাব্য। তার সামনে গোটা অক্ষরে লেখা অপারেশন থিয়েটার শব্দ টা জ্বলজ্বল করে জ্বলছে।
ভেতরে ছবি রয়েছে।আর তার পরিস্থিতি জানতে চিন্তিত ভঙ্গিতে বাইরে বুকের সাথে দু হাত ভাজ করে দাড়িয়ে আছে কাব্য।
হুট করেই সকাল বেলা ছবি অজ্ঞান হয়ে পড়ায়,একটু না বেশ অনেক খানি ঘাবড়ে গিয়েছিলো কাব্য। কাব্যর থেকে একটু দূরে নরম ফোমযুক্ত একটি চেয়ারে বসে রয়েছেন নূবায়রা। মেয়ের শোকে হাই হুতাশ করে যাচ্ছেন তখন থেকে।
নূবায়রার এমন কান্না দেখে কাব্যর চিন্তাও বেড়ে যাচ্ছে উল্টে।
সুস্থ মেয়েটার আচমকা কি থেকে কি হয়ে গেলো এখনও জানা হয়নি তার।
সবার সব চিন্তার মাঝেই ওটির দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন মধ্যবয়সীয় ডাক্তার মিনহাজ ইসলাম।
কাব্যর ফ্যামিলি ডক্টর তিনি।
যার দরুন পেশেন্ট এর খবর দিতে কাব্যর দিকেই এগিয়ে এলেন মিনহাজ। আর ওনাকে দেখে সোজা হয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি মুখে ফুটিয়ে দাড়িয়ে রইলো কাব্য।
— পেশেন্টের কি অবস্থা ডক্টর??
— আমার চেম্বারে আসুন।
ডাক্তারের পিছু নিয়ে হাটা ধরলো কাব্য আর নূবায়রা দুজনেই।
চেম্বারে ঢুকে হাতের গ্লাভস খুলে চেয়ার টেনে বসলেন মিনহাজ। আর অপর দিকের চেয়ার দুটোতে একে একে বসে পরলেন নূবায়রা ও কাব্য।
—- আমার মেয়ে এখন কেমন আছে বলুন না??
— আপনি??
— উনি পেশেন্টের মা।
— ওহ,,,দেখুন পেশেন্টের অবস্থা আপাতত ভালো। তবে এরকম টা থাকবে কিনা আমি শিওরিটি দিতে পারছিনা।
— মানে,,কি হয়েছে ওনার?
— ওনার হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। এই মুহুর্তে ফার্স্ট স্টেজে থাকলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে অবস্থা খারাপ হতে থাকবে। বলা বাহুল্য যে ওনার বয়স ২৫ পেরোলে কোনওরকম ট্রিটমেন্ট বা মেডিসিনে আর কাজ হবেনা,,,সেক্ষেত্রে হার্ট ব্লক হয়ে মৃত্যু ই অনিবার্য হবে ওনার জন্যে।
ডাক্টারের এমন কথায় চমকিত কাব্য। সাথে শব্দ করে ডুকরে কেদে উঠলেন নূবায়রা।
মেয়ের এমন সমস্যার কথা জ্ঞাত ছিলো নূবায়রার নিকট। কিন্তু অর্থ ব্যাতীত এই ব্যাপারে কোনও রকম পদক্ষেপ নেয়া মুশকিলই নয় বরং অসম্ভব ও ছিলো তার কাছে। সেদিন যদি এতটুকুও আশার আলো থাকতো তার হাতে তবে নিজের শেষ সম্বল টুকু দিয়ে হলেও মেয়ের চিকিৎসা করাতেন তিনি।
কিন্তু মাস শেষে যা রোজগার,, সব তো দু বোনের পড়াশুনা,দোকান ভাড়া,,সাথে রোজকার খাবারের যোগান দিতেই শেষ হয়ে যায়।
নূবায়রার কান্নার শব্দে ওর দিকে তাকালো কাব্য।
— মিস ছবির এমন অসুস্থতার ব্যাপারে অবগত ছিলেন আপনি??
কাব্যর কথায় কান্নারত অবস্থাতেই হ্যা বোধক মাথা নাড়লেন নূবায়রা।
উত্তর পেয়ে আবারো মিনহাজের দিকে দৃষ্টি পুনঃস্থাপন করলো কাব্য।
— ওনার ট্রিটমেন্ট আজকেই করা হবে। ,,,আপনি ট্রিটমেন্ট এর ব্যাবস্থা করুন। রিসেপশনে টাকা জমা হয়ে যাবে।
কাব্যর কথায় মিনহাজ মাথা নেড়ে সম্মতি প্রকাশ করলেও অবাক হয়ে গেলেন নূবায়রা।
— এসব তুমি কি বলছো বাবা।??
— আমরা পরে কথা বলি এ নিয়ে??
কাব্যর এহেন কথায় নূবায়রা আর কথা বাড়ালোনা।
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ সেড়ে নিয়ে চেম্বার ছেড়ে বেরিয়ে এলো কাব্য। যথারীতি নূবায়রা এসে দাড়াতেই প্রশ্ন ছুরে দিলো কাব্য।
— হ্যা তো এবার বলুন কি বলতে চান?
— আমার মেয়ের অপারেশনের টাকা আমি তোমার থেকে নিতে চাইনা বাবা। কিছু মনে করোনা।কারো দয়া চাইনা আমাদের। যেমন চলছে তেমনই চলুক। আমার মেয়েটার কপালে বেচে থাকা লেখা থাকলে বাচবে,,,না হয়…..
— আমিতো দয়া করছিনা। যেটা করতে মন চেয়েছে সেটাই করছি।
মিস ছবি এখন আমার দায়িত্বে রয়েছেন। এগ্রিমেন্টের কথা তো আপনি জেনেই গিয়েছেন,,,সে অনুযায়ী ওনার ব্যাপারে এখন আমি যে সিদ্ধান্ত নেবো সেটাই উনি মানতে বাধ্য। তাই এখানে আপনার মতামত চাইনি আমি।
আর কিছুক্ষন বাদেই অপারেশন শুরু হবে। সো তার জন্যে প্রস্তুতি নিন। আপনার কথা আমি শুনছিনা এটুকু নিশ্চিত থাকুন।
জবাবে নিশ্চুপ রইলেন নূবায়রা। ইচ্ছে না থাকলেও এভাবে অন্যের টাকায় ছবির অপারেশন হবে,,,, মেনে নিতে ভীষণ অসুবিধে হচ্ছে তার।
ভাগ্য বড়ই অদ্ভূত,,,বাপের অঢেল টাকা থাকা সত্বেও মেয়ে বিনা চিকিৎসায় মরতে মরতে বেচে যাচ্ছে। তাও কোনও এক অপরিচিতের করুনার জন্যে।
লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নূবায়রা চুপচাপ বসে পরলেন আবারো সেই একি জায়গায়। আর কাব্য এগিয়ে গেলো ওটির দিকটায়। কাচ বিশিষ্ট অর্ধ জানলার মত স্থান টি দিয়ে কক্ষের অভ্যন্তরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো তার। যেখানে বেডের ওপর অচেতন অবস্থায় শুইয়ে রাখা হয়েছে ছবিকে। বাম হাতে তার ক্যানেল লাগানো রয়েছে। মাথার খানিক টা ওপরের দিকে ঝুলছে স্যালাইন ভর্তি প্লাস্টিকের বোতলটি।
কাব্য ক্ষানিকক্ষন এক ভাবে তাকিয়ে ছবিকে দেখে নিয়ে সরে গেলো সেখান থেকে।
।
।
।
ঘন্টাখানেক পর পুনরায় জ্বলে উঠলো অপারেশন থিয়েটার লেখা শব্দ টি। এর অর্থ ছবির অপারেশন শুরু হয়েছে।
যদিও এতো ভয়ের কিছু নেই,,কারণ সময় থাকতে থাকতেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবুও মায়ের মন বড্ড বিচলিত। পাশাপাশি কাব্য যে চিন্তামুক্ত এমন টাও নয়।
ওটির কাছে এলেই তার ভেতর টা জ্বলে যায়। পুরোনো কিছু ঘা তাজা হয়ে ওঠে। জেগে ওঠে নিজের মধ্যকার কিছু ঘুমন্ত হিংস্রতা।
,,,
,,,,,
,,,
,,,,
,,,
,,,,
,,,,,,
,,,
নুবায়রা একিভাবে বসে আছে। অল্প সময় পর
নুবায়রার নিকট এসে দাড়ালো কাব্য। কাব্যর উপস্থিতি বুঝতে পেরে মাথা তুলে তাকালেন নূবায়রা।
নূবায়রার দিকে একটি খাবারের প্যাকেট এগিয়ে দিলো কাব্য।
— এখানে কিছু খাবার আছে,,,,খেয়ে নেবেন। আর আমার একটা আর্জেন্ট কাজ পরে গিয়েছে আমাকে যেতে হবে।
আমি আসছি।
কোনও উত্তর না দিয়ে কাব্যর হাত থেকে খাবারের প্যাকেট নিয়ে নিলো নূবায়রা। কাব্য যেতেই সেটিকে ওভাবেই রেখে দিলেন নিজের পাশে। যার মেয়ের অপারেশন চলছে তার গলা দিয়ে কি আদৌ খাবার নামতে পারে।
🍁
🍁
🍁
🍁
🍁
চোখের পাতা এক করে বিছানার ওপর আধশোয়া হয়ে বসে আছে ছবি।ক্লিনিক থেকে ফিরেছে আজ দিন পাঁচেকের মত হবে। এক সপ্তাহ ফুল বেড রেস্ট তার। যার দরুন কাব্য শ্যুটিং এর সময়কাল ও পিছিয়ে দিয়েছে।
নূবায়রা এ কদিন মেয়ের কাছেই ছিলো। গতকাল -ই কাব্যর কথায় প্রস্থান ঘটেছে তার।
রুমের দরজায় টোকা পরাতে চোখ খুলে তাকালো ছবি।
দরজার ওপাশে কাব্য দাড়িয়ে আছে।চোখে মুখে কোনও সজিবতা নেই এই লোকটার,,, এমন টাই ধারণা ছবির। কেমন একটা নিষ্প্রাণ নিষ্প্রান ভাবভঙ্গি। যেন কোনো এক শোকে পাথরের ন্যায় শক্ত স্তুপে পরিনত করেছে নিজেকে।
কাব্যকে দেখে সোজা হয়ে বসলো ছবি।
— আপনি?? দাড়িয়ে আছেন কেনো? আসুন না।
এবার বাইরে থেকে ভেতরে এসে দাড়ালো কাব্য। আর তার পিছু পিছু হাতে কাটা সুসজ্জ্বিত ফলের প্লেট আর গ্লাস ভর্তি জুস নিয়ে প্রবেশ করলো একজন সার্ভেন্ট মধ্যবয়সী নারী।
— এখানে রেখে দিন।
সার্ভেন্ট কে উদ্দেশ্য করে কথাটি বললো কাব্য। নির্দেশ মোতাবেক কাজ সেড়ে রুম থেকে নতজানু ভাবে বেরিয়ে গেলেন নারীটি
— এগুলো আবার কেনো?
— শুনলাম আপনি কিছু মুখে তোলেন নি।
— আসলে আমার খেতে ইচ্ছে হচ্ছেনা।
— আপনার ইচ্ছে তো চলবেনা মিস ছবি। আপাতত আমি যা বলবো তাই হবে। খেয়ে নেবেন।
আর একটা কথা বলতে এসেছিলাম আপনাকে।
— কি কথা?
— রবিবার থেকে সিনেমার শ্যুটিং এর কাজ শুরু হবে। কাল থেকে স্ক্রিপ্ট রিভার্স করবেন।
আসছি।
ছবির উত্তরের অপেক্ষা না করে প্রস্থান নিলো কাব্য।
কাব্য বেরিয়ে গেলে আবারো চোখ বন্ধ করে নিজের মাথাটা বিছানার সাথে এলিয়ে দিলো ছবি। কি এক পরিস্থিতিতে এসে দাড়িয়েছে তার জীবন,,,, খাওয়া অব্দি নিজের ইচ্ছেতে নয়,,,অন্যের ইচ্ছে অনুযায়ী চলবে।
কিন্তু এই লোকের দয়াতেই আজ সে পুরোপুরি সুস্থ একটা জীবন ফিরে পেয়েছে এটাও সত্যি। এখন থেকে তাকে আর রাস্তাঘাটে বুকে হাত চেপে বসে পরতে হবেনা। দিনের পর দিন অসহ্য যন্ত্রনায় ঘুম নষ্ট করতে হবেনা। এ সব কিছু থেকেই মুক্তি মিলেছে তার। তবুও অন্যের টাকায় সাবলীল থাকার মধ্যে বিন্দুমাত্র আনন্দ নিহিত আছে কি?? অন্তত তার মধ্যে নেই। তবুও সে কাব্যর নিকট কৃতজ্ঞ। আর যাই করুক শেষটাতে ভালো টা তারই করেছে লোকটা।
🍂🍂🍂
স্যার আসবো?
— এসো……
কোনও খবর পেলে??
— সব জায়গায় লোক লাগিয়েছি স্যার। কিন্তু আশানুরূপ কোনও তথ্যই পেলাম নাহ।
— একদিনে একটা মেয়ে কিভাবে হাওয়া হয়ে যেতে পারে,,,,বলতে পারো রাজীব….
— জানিনা স্যার,৷ হয়তো আরাবী ম্যাডাম ইচ্ছে করেই লুকিয়ে আছেন।
— হতে পারে,আবার নাও হতে পারে।
দুটোর চান্সই ফিফটি পার্সেন্ট। এনি ওয়ে,,,লেগে থাকো,প্রয়োজন পরলে সোর্স বাড়াও,,,কিন্তু খোজ তো আমার চাই–ই চাই।
দরজার বাইরে থেকে কাব্য আর রাজিবের কথোপকত্থোন শুনে বুক থেকে চিন্তার ভার টা নেমে গেলো ছবির। যাক কাব্যকে তাহলে সে ভুল বুঝেছিলো।
— ভেবেছিলাম লোকটা সুযোগ নিচ্ছে আমাকে বিপদে দেখে। কিন্তু নাহ,,উনি আরাবি কে খুজছেন। আমিই ভুল ছিলাম ওনার ব্যাপারে।
🍁
🍁
অসহায় মুখ করে বসে আছে ছবি। তার পাশেই কাব্য,,,,রাগে সর্পের ন্যায় ফোসফাস করছে সে।
ছবির ওপর চূড়ান্ত পর্যায়ের রাগ হচ্ছে তার। একটা মেয়ে এত মাথামোটা কিভাবে হয়??
একই সিন এই নিয়ে দশবার দশ রকম ভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে অথচ এই মেয়ে সেটা পারছেইনা। যদিও দৃশ্যটি কাব্যকে জড়িয়ে ধরার। কাব্যর কাছে এসব মামুলি ব্যাপার হলেও নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছেনা ছবি এবং সেটা কোনও ভাবেই নাহ।
হাজার বার চেষ্টা করে নিজেকে বহুভাবে বুঝিয়ে যখনই কাব্যকে জড়িয়ে ধরতে উদ্যত হচ্ছে গা কাপাকাপি শুরু হয়ে যাচ্ছে তার। ফলশ্রুতিতে তড়িৎ গতিতে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে আবার।
মিডিয়ায় হিরোইন দের এমন লজ্জাবতি রিয়্যাকশনের সাথে অভ্যস্ততা বড় বেশিই কম সবার কাছে। যার দরুন এই মুহুর্তে ছবি সবার নিকট হাসির খোড়াক তৈরি হয়েছে।
— কোত্থ থেকে নিয়ে এসেছে একে??
এমন গুঞ্জনে কান ছেয়ে যাচ্ছে কাব্যর। যার পুরো রাগ ঝেড়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে ছবির ওপর।
কাব্যর এমন রাগী চেহারা দেখে আরো বেশি নার্ভাস হয়ে যাচ্ছে ছবি। কিন্তু এতে তার কি দোষ। পুরুষের সংস্পর্শে সে কি বিন্দুমাত্র এসেছে কোনও দিন। অথচ কেউ তার সমস্যা না বুঝে তাকেই হেও করে যাচ্ছে।
কান্না পেলেও সেগুলোকে আটকে নিয়েই কাব্যর পাশে চুপ হয়ে বসে রইলো ছবি।
নিজেকে অনেক ভাবে বুঝিয়ে অবশেষে রাগ সংবরন করলো কাব্য। আর যাই হোক ছবির সিনেমায় কোনও আগ্রহ ছিলোনা এসব তার জানা। মেয়েটার মধ্যে এমনিতেই অনেক জড়তা। যার দরুন হেজিটেশন এ ভুগছে।
অতঃপর চেয়ার থেকে উঠে দাড়ালো কাব্য। মুহুর্তেই আশেপাশের গুঞ্জন গুলোও হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।
— মিস ছবি এবার লাস্ট টাইম,,ভালো ভাবে সিন বুঝে নেবেন।
আমি আরেকবার দেখিয়ে দিচ্ছি।
কাব্যর কথায় মাথা নাড়লো ছবি,,,,,যথারীতি সেও উঠে দাড়ালো। এবার তাকে পারতেই হবে।
কিন্তু বাধ সাধলো ইরফান।
— কাব্য,তুইতো অনেক বার দেখিয়ে দিলি,,উনি পারলেন না তো
— তো??
— এবার বরং আমি একবার দেখিয়ে দেই??
— তুই দেখালেই উনি পারবেন?
— চেষ্টা তো করতে দে ইয়ার??
ইরফানের থেকে চোখ সরিয়ে ছবির দিকে তাকালো কাব্য,,,ছবি নিশ্চুপ ভাবে দুদিকে মাথা দোলাচ্ছে। যার অর্থ সে ইরফানের থেকে বুঝে নিতে রাজি নয়। দুভার্গ্যবশত ছবির এমন আপত্তি তে তোয়াক্কা করলো না কাব্য। পুনরায় ইরফানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো….
— আয় তবে….দ্যাখ পারিস কিনা??
চলবে,,,
নাইস নেক্সট কমেন্ট বাদ দিয়ে একটু গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। এই ধরনের কমেন্ট দেখলে আমার ভীষণ দুঃখ হয়😑।