# কৃষ্ণচূড়া 🍂
#নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–০২
ক্লাসে যাওয়ার জন্যে তৈরি হচ্ছে ছবি। ডিগ্রী নিয়ে পড়াশুনা তার,,,,অর্থ সংকটে খুব একটা বেগ পায়নি পড়াশুনায়। মায়ের পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে ছোট্ট একটা পার্ট টাইম চাকরী আর এই পড়াশুনা। যার দরুন স্বল্প খরচে যেটুকু শিক্ষা লাভ তাতেই মঙ্গল।
এ বছর প্রথম বর্ষ পেরিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পন তার। বেগুনি রংয়ের একটি থ্রি পিস পরে হাতে ব্যাগ নিয়ে বাড়ির সদর দরজার কাছে এসে দাড়ালো ছবি।
ওমনি পাশের ঘর থেকে হুড়মুড়িয়ে দৌড়ে ছবির পাশে এসে দাড়ালো আরাবী।
— আপু,আপু… ভার্সিটি যাচ্ছো তাইনা?
আমাকে একটু কলেজের সামনে নামিয়ে দিও।
স্বাভাবিক ভাবে আরাবীর দিকে তাকালেও মুহুর্তেই মেজাজ বিগড়ে গেলো ছবির।
— তুই কলেজে যাচ্ছিস?
— হ্যা।
— এইভাবে?
ছবির কথায় নিজেকে একবার আপাদমস্তক দেখে নিলো আরাবী,,,,
— হ্যা কেনো? কি হয়েছে?
— এরকম পাতলা ফিনফিনে একটা টপ্স পরে ক্লাসে যাচ্ছিস নাকি মডেলিং এর জন্যে বেরোচ্ছিস?
— আপু এটা আজকাল কার ফ্যাশন,কলেজের সবাই পরে এরকম।
— সবাই পরলেও তুই পরবিনা,কোনও দরকার নেই এরকম ফ্যাশনের,,,,যা চেঞ্জ করে আয় যা।
মুখের দিকে তাকিয়ে কি দেখছিস,,,,যেতে বলেছিনা তোকে?
শেষের কথাটা চিল্লিয়ে ধমকের সুরে বললো ছবি। যার দরুন কাদো কাদো মুখ করে ভেতরের রুমে চলে গেলো আরাবী।
আয়নার সামনে গিয়ে নিজেকে একবার ভালো ভাবে দেখে নিয়ে হাতের ব্যাগ টাকে বিছানার ওপর ছুড়ে ফেললো।
— এই আপুটার জন্যে কোনও কিছুতে শান্তি নেই,,,আমার। কি খারাপ আছে এ ড্রেস টাতে,,,কত্তো প্রিটি লাগছিলো আমাকে। ধ্যাত।
মেয়েদের জোরালো কথার আওয়াজে বাইরের ঘরে হাজির হলেন নূবায়রা।
ছবিকে চেয়ারের ওপর মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে দৃষ্টি গোচর হলো তার।
— কি রে মাথা ব্যাথা করছে?
— হ্যা।
— চেচাচ্ছিলি কেনো,,,,,চেচামেচি করা তোর জন্যে ঠিক না জানিস ই তো।
,,,
— কি করবো তোমার মেয়ে এক একটা কাজ করে,,
বলতে না বলতেই রুম থেকে বেরিয়ে এলো আরাবী,,বাধ্য মেয়ের মতো এবার যথেস্ট মার্জিত ভাবে এসেছে সে।
আরাবীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো ছবি,,,,,,রাগ তার উবে গিয়েছে এখন।
— ধমকেছি বলে রাগ করিস না,,,আমি যা কিছু বলি সব তোর ভালোর জন্যেই।
— বুঝেছি স্ক্রুটারের চাবিটা দাও।
— চাবি দিয়ে কি করবি?
— আমি চালাবো।
— আচ্ছা বেশ।
হাসিমুখে স্ক্রুটারের চাবিটা আরাবীর দিকে এগিয়ে দিলো ছবি।
আঙুলের ফাকে চাবি ঘোরাতে ঘোরাতে স্ক্রুটারের ওপর চেপে বসলো আরাবি।
— এই,,,ভাঙা স্ক্রুটি টা আর কতদিন চালাবে আপু,,,বিক্রি করলেই তো পারো,,,,আগামী মাস অব্ধি চলবে কিনা সন্দেহ। এমনিতেও সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস ছিলো।
— এটা কত কষ্ট করে কিনেছি জানিস?
— ওকে জানিয়েও লাভ নেই, এসবের মর্ম ও বুঝবেনা।
মায়ের কথায় মুখ ভ্যাঙচালো আরাবী।
— এইসব ভাঙা চোড়া গাড়ির খবর আমি রাখিনা,,,,যেদিন আমি সিনেমার হিরোইন হবো না?? মার্সেডিজ এ চড়বো,,অবশ্য তোমাদেরও চড়াবো,, ভেবোনা।
— হ্যা হ্যা গাছে কাঁঠাল আর গোফে তেল দিলে যা হয় আর কি।
— উফ মা,,, সব সময় এমন নেতিয়ে পরার মত কথা বলো নাতো,অনুপ্রেরনা দিতে শেখো।
কথাটা বলতে বলতে স্ক্রুটি চালু করলো আরাবি। ছবি পেছন দিকে বসতে যাওয়া মাত্রই তাকে চমকে দিয়ে ধূলো আর ধোয়া উড়িয়ে হাওয়া হয়ে গেলো নিমিষেই।
— দেখেছিস কি পাজি?
— থাক,,,,,হয়তো ওর একার একটু চালাতে শখ হয়েছে।
— শখ না ছাই,,একটু আগে বকেছিস না তারই প্রতিশোধ ছিলো এটা।
— ছাড়ো।
— এই তুই-ই ওকে লাই দিয়ে মাথায় ওঠালি,,,, এবার যাবি কি করে শুনি?
— রিক্সা নিয়ে নেবো….আর না হলে আমার গাড়ির থেকেও ফাস্ট দুটো পা আছেনা??
🍂
🍂
🍂
🍂
🍂
— স্যার ইরফান স্যারের সাথে কথা হয়েছে উনি স্ক্রিপ্ট পাঠিয়ে দেবেন আজ কালকের মধ্যে। তবে?
— তবে?
— আপনার শিডিউল চাইছিলেন.
— এই ইরফান টাও না,,,,ওতো জানেই আমি আগে স্ক্রিপ্ট পড়ি তারপর পছন্দ হলে শিডিউল দেই।
— হ্যা কিন্তু এবারের টার প্রযোজনায় যেহেতু আপনি স্যার,,আর এটা তো আর পাঁচ টা সিনেমার মত নয় স্যার,,,বিগ বাজেটের সিনেমা বলে কথা।
— সো হোয়াট? বিগ বাজেটে মুভি কি এই প্রথম করছি?
— না স্যার তা নয়,,,,
— ছাড়ো ওসব,,,,গাড়ি বার করো….
— কোথাও যাবেন স্যার। না মানে এই সময় গাড়ি।
— স্টুডিও যাবো
— ওকে স্যার,,,,
🍂
🍂
🍂
ফুটপাতের রাস্তা ধরে এগোচ্ছে ছবি,,অনেক্ষন দাড়িয়ে থেকেও একটা রিক্সা পেলোনা,,,,,এদিকে এতো বৃষ্টি নেমেছে,,, আর বৃষ্টি দেখলেই রিক্সাওয়ালা গুলো ডাবল ভাড়া চেয়ে বসে।
বৃষ্টির সিজন গুলো কতটা প্যারাদায়ক সেটা বাইরে না বের হলে বোঝা যায়না।
ভাগ্যিস ছাতা নিয়ে এসেছিলো নাহলে হাটতে গেলেও ভিজতে হতো তাকে।
আরাবি আবার ভিজবেনা তো? নিশ্চয়ই ছাতা নিয়ে বার হয়নি। উফফ এতো ছটফাটায় মেয়েটা।
তার বোন কিভাবে এতো চঞ্চল হলো ভেবে পায়না ছবি।
হুট করে একদলা কাঁদা পানি ছিটকে এসে গায়ে পরায় ভাবনায় ছেদ ঘটলো ছবির। সমস্ত জামায় কাদায় মাখামাখি হয়ে গিয়েছে তার।
দাঁত কড়মড় করে সামনে তাকাতেই এক বিলাস বহুল গাড়ি সামনে দিয়ে এগিয়ে যেতে দেখতে পেলো ছবি।
এদিক ওদিকে তাকিয়ে একটা ইটের টুকরো খুজে পেয়ে
রাগ ক্ষোভ মেটাতে ছুড়ে মারলো সেটাকে গাড়ির দিকে।
ইটের টুকরো টা বেশ শব্দ করে বাড়ি খেলো জানলার কাঁচ বরাবর,,,,প্রায় সাথে সাথেই চলন্ত গাড়িটা থেমে গেলো।
গাড়ির সামনের সিটের জানালা দিয়ে মাথা বের করে তাকালো রাজীব।
— এই মেয়ে তোমার সাহস তো কম না,, গাড়িতে ইট ছুরে মারছো.
— ভুল হয়ে গিয়েছে, আসলে ওটা গাড়িতে নয় আপনার মাথায় মারা উচিত ছিলো আমার।
— কিহ আমার মাথায় মারবে তুমি?
— বিশ্বাস না হলে আরেকটা মেরে দেখাই?
— আবার মুখে মুখে তর্ক করছো?
— কোথা কার কোন লাট সাহেবের চামচা এলেন রে ওনার সাথে কথা বলা যাবেনা।
— এই মেয়ে ঠিক করে কথা বলো বলছি,গাড়িতে কে আছে জানো তুমি?
— না জানিনা আর জানতেও চাইনা। গাড়িতে যেই থাকুক,,,,,তাই বলে কি এইভাবে কাঁদা ছিটকে বেড়াবেন?
গাড়ি চালাতে পারেন না তো রিক্সা চালালেই পারেন।
— রাস্তায় হাটতে পারোনা তো ঘরে থাকলেই পারো
— কথা বলতে পারেন না তো চুপ থাকলেই পারেন।
— ঝগড়ুটে মেয়ে একটা!
এতোক্ষনে রাজীবের কথা শ্রুতিগোচর হওয়ায় ল্যাবটব এর স্ক্রিন থেকে মুখ তুলে তাকালো কাব্য,,,,
কি ব্যাপার রাজীব? গাড়ি থামিয়েছো কেনো?
— স্যার দেখুন না একটা মেয়ে ইট ছুড়ে মেরেছে গাড়িতে,একটুর জন্যে কাচ টা ভাঙলোনা।আর ভাগ্যিস কাচটা টানা ছিলো। নাহলে তো নিশ্চিত আমার মাথাটা ফাটতো।
— মেয়ে? ইট ছুড়ে মেরেছে? কেনো?
— কি করে জানবো স্যার,,,,, কোন দিক তাকিয়ে হাটে,,,,,,গায়ে একটু কাদা ছিটেছে বলে যাচ্ছেতাই বলছে।
পেছনের সিটে বসে সামনের লুকিং গ্লাসের দিকে দৃষ্টি দিলো কাব্য,,,,যেখানে কাদায় মাখো মাখো ছবির প্রতিবিম্ব ভেসে আছে।
সে ব্যাপারে খুব একটা হেলদোল না দেখিয়ে রাজীবের দিকে তাকালো অাবার।
— ছাড়ো এসব,,,রাস্তায় বসে মেয়েদের সাথে ঝগড়া করার জন্যে তোমাকে কাজে রেখেছি আমি?
— না মানে স্যার।
— স্টার্ট দ্যা কার।
ড্রাইভার কে গাড়ি স্টার্ট করতে বলে আবারো জানলা দিয়ে মাথা বের করে ছবির দিকে তাকালো রাজীব।
— এই মেয়ে দেখে নেবো তোমাকে।
— হোয়াট দ্যা হেল ইজ দিজ রাজীব,,,,,,,
ছবির কোনও উত্তর পাওয়ার আগেই কাব্যর ধমক শুনে সোজা হয়ে বসলো রাজীব।
— স্যরি স্যার স্যরি। আর হবেনা।
কাব্যর দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ড্রাইভারের দিকে তাকাতেই দেখলো সে মুখ টা হা করে তাকিয়ে আছে।
— হা করে আছিস কেনো,,,স্যার গাড়ি স্টার্ট দিতে বললোনা?
— ওহ হ্যা হ্যা।
গাড়ি এগিয়ে চলতে শুরু করতেই মুখ খুললো ছবি।
— অসভ্য অভদ্র লোকজন,,,,, ইয়া বড় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলেই ম্যানার্স শেখা যায়না।যত্তসব।
এখন এই অবস্থায় কি করে যাবো আমি? ধ্যাত। আজকের ক্লাস টাও গেলো আমার।
,,,,,,
,,,,,,,,
,,,,,
,,,,,
,,,,,,,
কাল না রেয়ান স্টুডিও গিয়েছিলি? তো রেজাল্ট কি?
— এখনও জানায়নি। বলেছে ডাকবে।
— এখনও জানায়নি? তার মানে আর জানাবেওনা,,,,,
— এমন মনে হলো কেনো তোর?
— হ্যারে তোর কি মনে হয়? তুই একা ছবি জমা দিয়ে এসেছিস যে তোকেই নেবে,,আরো কত মেয়ে আছে।
— তো
— এরা হয়তো কারো রেফার্ড হয়,আর নয়তো টাকা খরচা করে,এমনি এমনি কেউ কাউকে নেয়?? নিলে তো আগেই চান্স পেয়ে যেতিস।
তিশার কথায় ভ্রু গুলোকে কিছুটা সঙ্কুচিত করে ফেললো আরাবী।
— তার মানে এবারো আমাকে নেবেনা।
— মনে তো হচ্ছেনা। ছাড় ওসব,,,,
চল ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে।
— তুই যা
— আর তুই?
— আমি আজকে ক্লাস করবোনা
— কেনোরে আরাবী,,,,তুই প্রায়ই ক্লাস মিস দিস ইচ্ছে করে,,,,,,,আর দু মাস বাদেই পরীক্ষা মাথায় আছে?
— আমার এসব পড়াশুনা ভালো লাগেনা। তাছাড়া নায়িকা হওয়ার জন্যে তো দরকার ফিগার,,, সৌন্দর্য আর দু চারটে ইংরেজি বলার জন্যে যেটুকু পড়াশুনা ওটুকু শেষ আমার।
— তোকে আর মানুষ বানানো গেলোনা,,,সারাদিন মাথার মধ্যে এই এক কথা ঘুরপাক খায়।তুই তবে থাক,আমি যাচ্ছি।
— হ্যা যা যা। যেদিন নায়িকা হবো সেদিনই বুঝবি,,,,,আমি কি ছিলাম,,,,আমার মন বলছে এবার আমি সিলেক্ট হবোই,,,,হবো।
,,,,,,,,
,,,,,
,,,,
,,,,,
,,,,,
,,,,,
স্যার আপনি এই সময়?
অসময়ে কাব্য কে স্টুডিও তে দেখে বেশ অবাক হলেন মঞ্জু মিয়া। পান সাজিয়ে রাখা বাটিটাকে কৌশলে আড়াল করে রেখে দিলো টেবিলের ড্রয়ারে।
রাজীব চেয়ার টেনে দিতেই তাতে পায়ের ওপর পা তুলে বসে পরলো কাব্য।
আর তার পাশে পেছনে দু হাত গুজে দাড়িয়ে পরলো রাজীব।
— সব কিছু ঠিকঠাক তো মঞ্জু?
— জ্বি স্যার,,,
— কতজন সিলেক্ট করলে?
— কি বলছেন স্যার,আমি সিলেক্ট করবো?এ কাজ আপনার থেকে ভালো আর কে পারবে?
আপনার হলো জহুরির চোখ,একেবারে খাঁটি রত্ন খুজে বার করেন আপনি।
মঞ্জু মিয়ার কাচুমাচু মুখ দেখে রাজীবের বেশ মজা লাগছে,,,,
— অতি ভক্তি চোরের লক্ষন।
রাজিবের বিড়বিড়ানো কথাটা কাব্যর শ্রুতিগোচর হলেও তার বহিঃপ্রকাশ মুখে ফুটে উঠতে দিলোনা সে।
বরাবরের মত শক্ত ভঙ্গিতে তাকালো মঞ্জু মিয়ার দিকে,,,,,যে দৃষ্টি তে ভয়েই সব কিছু গুলিয়ে যায় মঞ্জুর।
— তুমি আমাকে দেখলেই এমন গুটিয়ে যাও কেনো মঞ্জু?
— ওই যে স্যার চোরের মনে পুলিশ পুলিশ।
মঞ্জু কিছু বলার আগেই ফট করে উপরোক্ত কথা টা আওড়ে দিলো রাজীব।এমন কথায় মঞ্জু মিয়ার ভারী রাগ হলেও কাব্যর সামনে কিচ্ছুটি বলার সাহস নেই তার। কিন্তু তবুও রাজীব কে ধমকে উঠলো কাব্য।
— রাজীব! তোমাকে কথা বলতে কে বলেছে??
— স্যরি স্যার।
— গত এক সপ্তাহের ফটোশুটের ইনফরমেশন গুলো আমাকে দাও মঞ্জু,,,,
এইরে এতক্ষন ঠিক যেই ভয়টা পাচ্ছিলো সেটাই হলো। এই সপ্তাহে মাত্র তিনটে শ্যুট করিয়েছেন মঞ্জু,,সপ্তাহে ১৪ টার জায়গায় মাত্র তিনটে?
কিন্তু সেটা কি করে বলবে? আজ আর চাকরি টা বাঁচলোনা তার
— কি হলো?
— ইয়ে মানে স্যার,,,,হয়েছে কি….
— মাত্র তিনটি শ্যুট হয়েছে তাইতো?
— আপনি জানেন?
— আমার অগোচরে আমার অধীনস্থ কোনও কাজ সম্ভব বলে তোমার মনে হয় মঞ্জু?
— স্যার এবারের মত ছেড়ে দিন না।
— গতকাল ই বলেছিলাম তোমার আর একটা ভুলও আমার সামনে এলে সেখানেই তোমার যাত্রা শেষ হবে। এবার আমার কথার খেলাপ আমি করি কি করে??
— স্যার,,,প্লিজ স্যার,,,
মঞ্জু মিয়ার কাদো কাদো মুখকে অবজ্ঞা করে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো কাব্য,,,
— রাজীব??
— হ্যা স্যার?
— দ্বিতীয় বার এলে একে যেন না দেখি আমি।
— ওকে স্যার।
— আর হ্যা,,,রিসেন্ট জমাকৃত মেয়েদের ছবি গুলো আমার এড্রেসে পাঠিয়ে দেবে। ধীর মেজাজে সিলেকশন করা যাবে না হয়।
— ওকে স্যার।
,,,,,চলবে।
কি মনে হয় আরাবি সিলেক্ট হবে?
(নিশ্চয়ই নাইস নেক্সট বাদ দিয়ে গঠনমূলক মন্তব্য আশা করি। আর এই গল্প টা শুধু মাত্র আমার পেজেই দেবো)