#কৃষ্ণচূড়া🍂
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–০৮
ড্রয়িং রুমের সোফায় বসিয়ে রাখা হয়েছে ছবিকে,,,,,বেশ অনেকক্ষন হয়ে গিয়েছে সে কাব্যর বাড়িতে এসেছে,,,
,,,,,,এতো সুন্দর কারুকার্যে তৈরি বাড়িটি যে কারোরই মন ছুয়ে যাবে,,,,কিন্তু এ নিয়ে চোখ ধাধানোর পরিবর্তে চিন্তিত ছবি,,,,,
এতো অর্থ সম্পদ দেখে আরাবি আবার কাব্যর কোনও জালে ফাসলো কিনা এমন টাই ভয় তার।
দ্বিতীয়ত ,, এখানে রাজীব কে দেখে অনেক টা অপ্রস্তুত হয়ে পরেছিলো সে,,,,,কিন্তু রাজীব আজ কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
ভদ্র ভাবেই ছবির এখানে আসার কারণ জিজ্ঞেস করে কাব্য কে ডাকতে গিয়েছে রাজীব। এটা খানিকটা অবাক করেছে ছবিকে।
কিন্তু সেই যে গিয়েছে এখনও আসেনি,এদিকে বোনের ব্যাপারে কি খবর পাবে না পাবে সেই চিন্তায় অবশ হয়ে আসছে ছবির শরীর।
এখান থেকে ফিরলে মায়ের কাছে উত্তর কি দেবে সেটাও জানা নেই তার,শুধুমাত্র আন্দাজের বশে কাব্যর বাড়িতে এসে হাজির হয়েছে সে।
হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে মুখে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম গুলোকে মুছে নিলো ছবি,,,
এরই মধ্যে বূট পায়ে দিয়ে গটগট আওয়াজ তুলে সিড়ি বেয়ে কারো নিচে নামার শব্দ পেয়ে সোজা হয়ে বসলো ছবি। আপাতত দৃষ্টি তার সিড়ির দিকে।
ক্ষানিকখন এর মধ্যেই হাতে ওয়াইনের গ্লাস সমেত নিচে নেমে এলো কাব্য,,,,গায়ে একটি আটশাট টিশার্ট পরিহিত সে।
ছবি তাকিয়ে আছে কাব্যর দিকে,,,আর কাব্যর দৃষ্টি তার হাতের দিকে,,,,গ্লাসে এক চুমুক দিয়ে রাজীবের হাতে তুলে দিলো সেটিকে,,
মদ্যপান করা ছবির অপছন্দের কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি,, যার দরুন কাব্যর এহেন কাজে নাক মুখ কুচকে এলো তার।
— স্যার ইনিই মিস আরাবি রাহমানের বোন ছবি।
রাজীবের কথায় এতক্ষনে চোখ তুলে ছবির দিকে তাকালো কাব্য।
মুহুর্তেই চোখ গুলো সরু সরু হয়ে এলো কাব্যর। বড্ড পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছে মেয়েটিকে তার।
জ্বিভ দিয়ে একবার নিচের ঠোঁট ভিজিয়ে নিলো কাব্য,,,,খুব তীক্ষ্ণ ভাবে তাকিয়ে একবার পর্যবেক্ষণ করে নিলো ছবিকে।
— ও ইয়েস,,মনে পরেছে,,,
এই মেয়েটাকে দেখেছিলাম আমি,,,মাস দুয়েক আগে,বৃষ্টি তে ভিজতে,,,,
কি অদ্ভুত। সেই মেয়েটাই এই মেয়েটা?
কাব্যর মনে মনে বলা কথা গুলো ছবি রাজীব কেউই শুনতে পায়নি,,,
তবে কাব্যর এমন চাহনীতে বেশ অস্বস্তি হচ্ছিলো ছবির,,বারবার গায়ে পরে রাখা ওড়না টেনে টেনে নিচ্ছে সে। ব্যাপারটা কাব্যর চোখ এড়ায়নি যদিও
— মিস ছবি উনিই কাব্য স্যার,,,আপনার যা জানার জেনে নিতে পারেন,,
রাজীবের কথায় মাথা দোলালো ছবি,,, কাব্যকে উদ্দেশ্যে করে মুখ খুলে কিছু বলতে নেওয়ার আগেই ওপাশ থেকে কাব্য কড়া গলায় বলে উঠলো….
— আরাবি কোথায় মিস ছবি??
এহেন প্রশ্নে বিষ্মিত ছবি,,,
— মানে??
— মানে আপনার বোন কোথায়?? এডভান্স নিয়েছে অথচ কাজ না করে কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন উনি??
— এসব আপনি কি বলছেন? আরাবি কোথায় এটা তো আপনি জানবেন.
— আমি জানবো?? সিরিয়াসলি?? তা আপনার কেনো মনে হলো আমি জানবো।
— কারণ এ অব্ধি আমার বোন যা করেছে সব কিছুর তদারকিতে আপনি ছিলেন,এমন কি ও শুধুমাত্র আপনার জন্যেই বাড়ি ছেড়ে ফ্ল্যাটে চলে এসেছে।তাহলে আপনার ই তো জানার কথা তাই নয় কি?
— নাহ তাই নয়,,আর তার কারণ,,, আপনার বোন কে বাড়ি ছাড়তে আমি বলিনি,, উনি নিজ ইচ্ছায় লোভের বশবর্তী হয়ে এসেছিলেন আর দ্বিতীয়ত উনি আমাকে ওনার ডেইলি রুটিন জমা করে যান নি যে উনি কখন কোথায় যাচ্ছেন বা যাবেন সেসব খবর আমি জেনে রাখবো,,, আজ দশ দিন ধরে সিনেমার কাজ হচ্ছেনা আমার,,মাঝপথে শ্যুটিং ফেলে রেখে কাউকে না জানিয়ে কোথায় যেতে পারেন সেটার খবর রাখা বোন হিসেবে আপনার কাজ আমার নয়।
নাকি হাতে টাকা পেয়ে হাওয়া হয়ে গিয়েছেন,,,উনি,,,
— চুপ করুন,,আমার বোন মোটেও ওরকম মেয়ে নয়।
— আপনার বোন ঠিক কিরকম মেয়ে সেটা আমার জানা হয়ে গিয়েছে মিস ছবি।
— কি বলতে চাইছেন?
— আপাতত এটুকুই যে
উনি যাই করুক না কেন আসতে তো ওনাকে হবেই,,,ফিল্মের হিরোইন হতে চেয়েছিলেন না উনি?? আমাকে ঠকিয়ে ঠিক কোন প্রডাকশনে কাজ পায় সেটা আমিও দেখে নেবো,,
— আমার সামনে এসব অভিনয় করে লাভ নেই মিস্টার রেয়ান,,,এসব অভিনয়ের দক্ষতা আপনি আপনার পর্দায় দেখাবেন।
আমি খুব ভালো করে জানি আপনি আমার বোনের ওপর যেসব ব্লেম দিচ্ছেন তা সবটাই বানোয়াট।
সত্যিটা আপনি খুব ভালো করেই জানেন যে আরাবি কোথায়,,,,,আপনাদের প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য ই একিরকম,,,,মিথ্যে দিয়ে পুরোটা তৈরি আপনাদের।
কিন্তু কতক্ষন এভাবে মিথ্যে দিয়ে নিজেকে আড়াল করে রাখবেন আপনি,,,,, আমিতো ঠিক টা বার করেই ছাড়বো,,সবার সামনে দেখিয়ে দেবো হিরোরা আসলে ঠিক কি??
— মিস ছবি আপনি কাকে কি বলছেন,,না জেনে শুনে স্যারের সাথে এভাবে কথা বলতে আপনি পারেন না।
— আপনি একদম চুপ থাকুন,আপনি হলেন আরেকটা গিরগিটি,,, রং বদলাতে সবাই পারদর্শি আপনারা,,,সেদিন অব্ধি আমাকে তুমি করে সন্মোধন করতেন,,,,সাথে যাচ্ছে তাই বলে অপমান ও করেছিলেন তাহলে আজ হঠাৎ করে এত সন্মান দেওয়ার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে?? যাতে আমি আপনাদের ওপর সন্দেহ না করি.?? এইতো?
—
আপনি আমাদের ঠিক কি নিয়ে সন্দেহ করতে পারবেন মিস ছবি?? আপনার বোন কে আমরা লুকিয়ে রেখেছি কোথাও? আচ্ছা বেশ মেনে নিলাম আপনিই ঠিক,,তা এখন কি শাস্তি দিতে পারবেন আমাদের?
— দেশে আঈন আছে মিস্টার রেয়ান,,,,সেখানে সবাই সমান,,,,দরকার পরলে আমি থানায় যাবো,,,আপনার নামে মামলা করবো। আমার বোন কে খুজে বার তো আমি করবোই করবো।
— সেটাই করুন না হয়,এতে আপনার ও ভালো সাথে আমারও।
তবে আর কি,,,, মামলা ঠুকে দিন,,,দেখি কতদূর কি করতে পারেন আপনি,,,
কথাটা বলে মৃদূ হাসলো কাব্য,,,,এমন হাসিতে যেন মুহুর্তেই গায়ে ফোস্কা পরার মত অনুভূত হলো ছবির।
কাব্যকে একবার রাগীচোখে দেখে নিয়ে বেরিয়ে গেলো বিস্তর বাড়ির দোরগোড়া ছেড়ে।ছবির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একিভাবে হাসলো কাব্য,,,আপাতত তার মাথায় একটা কথাই চলছে,,,
কাব্যর দিক তাকিয়ে ভ্রু ক্রুটি করলো রাজীব,,
— মেয়েটা এত অপমান করলো স্যার আর আপনি হাসছেন?
রাজীবের কথায় ঠোঁটের হাসিটা আরো প্রকট হয়ে এলো কাব্যর।
— সাইগো নাই ওয়াতাসি গা হোসিকাট্টা ইয়ো নাই( অবশেষে যেমন টা চেয়েছি ঠিক তেমন)
কথাটা বলে কাব্য চলে গেলেও রাজীব বুঝতে না পেরে মাথা চুল্কে নিলো একবার,,,
এটা কোন দেশের ভাষা বলে গেলো???
🍂
🍂
রুমের দরজা আটকে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে ছবি।
বলা হয়,,,বাবা ছাড়া বড় হওয়ার মতো অসহায় সন্তান পৃথিবীতে নেই,,কিন্তু নিজের বেলায় এরকম টা কখনই অনুভুত হয়নি ছবির,যতটা না আজ হচ্ছে।
পরপর তিনটে থানায় গিয়েছিলো ছবি,,,,কাব্যর নামে কেস ফাইল করতে,,,,,
কিন্তু অর্থ আর প্রতিপত্তির কাছে তার আর্জি ফিকে হয়ে গিয়েছে,,,কেউ শুনতেই চায়নি তার কথা,,,,কাব্যর নাম শুনেই সবাই অনীহা প্রকাশ করেছে এফ আই আর করতে,,,
তাই হাপিয়ে উঠে অন্য থানার চৌকাঠ মাড়ায়নি আর। সত্যিই দেশের আঈন কতোটা সচল তার প্রমান আজ হাতে নাতেই পেয়ে গিয়েছে সে,,,,
এদিকে বোনের খোজ না দিতে পেরে মাকেও কোনও উত্তর দিতে পারেনি ছবি। সেই কখন থেকে নূবায়রা দরজায় কড়া নেড়ে যাচ্ছে।
ছবির কান্নার শব্দ পেয়ে আরো কাহিল হয়ে যাচ্ছেন তিনি।
— এই ছবি দরজা খোল না মা,,,,বলনা আমাকে…কি হয়েছে,আরাবির খোজ পাসনি??
খোল না,,,
আমার কেমন মাথা ঘুরছে রে,,মনে হচ্ছে পরে যাবো।।।।
শেষের কথাটা শুনে ধড়ফড় করে উঠে দরজা খুলে দিলো ছবি,,,,নূবায়রা টলছে,,,
তড়িঘড়ি করে মাকে ধরে ফেললো ছবি। পাশে রাখা বেতের চেয়ারে বসিয়ে দিলো,,
— মা এইতো আমি দেখো,,,
— আরাবির খোজ পাসনি তাইনা??
নরম গলায় কথাটি বলে উঠলেন নূবায়রা,ছবির চোখ মুখ দেখেই আন্দাজ করে নিয়েছেন উনি,,,
— আমাকে বল সবটা,,,
মায়ের এক হাত নিজের হাতে নিয়ে নিলো ছবি,,,,নিচের দিক তাকিয়ে বলতে শুরু করলো আজকে সারাদিনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর বৃত্তান্ত।
পুরোটা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পরার মত অবস্থা হলো নূবায়রার,,,,
— আরাবি কি আমাদের ইচ্ছে করে ছেড়ে গেলো রে?
— না মা ও এমন টা কেনো করবে?? ও এরকম করতেই পারেনা।
— জানিনা মা,,,হয়তো তুই ঠিক হয়তো আমি,,, আরাবির টাকার প্রতি যে লোভ লালসা তৈরি হয়েছিলো,, তার দরুন চেনা মানুষ পাল্টে যেতে কতক্ষন বল,,,
আমার মনে হয় কি,,, ওই কাব্য রেয়ান সত্যিই জানেনা আরাবির কথা,উনি অত বড় মাপের একজন হিরো,,,পাশাপাশি ওনার কত সুনাম,,এসব নিচু মানসিকতা ওনার হবেনা,,,তুই ওনাকে শুধু শুধুই সন্দেহ করছিস।
— তাহলে এখন??
— আরাবিকে যেমন আমাদের দরকার,,,ওনার ও তো,,ওনার এত বড় বাজেটের সিনেমা আটকে আছে আরাবির জন্যে,,,সেখানে উনি নিজেও চাইবেন আরাবি ফিরুক।
— কি বলতে চাইছো মা…
— আমি বলতে চাইছি এই মুহুর্তে আমাদের যদি কেউ সাহায্য করতে পারে সে হলো কাব্য রেয়ানই,,,থানার অবস্থা তো দেখেই এসেছিস,,,,, আপাতত কাব্য রেয়ান ছাড়া আশা ভরসার আর কেউ নেই।
— এখন ওনার কাছে সাহায্য চাইবো আমি? এ কি করে হয়,আজ এতো অপমান করে এলাম ওনাকে,,
— বোনের জন্যে কত কিছুই তো করেছিস,,,, এটুকু ও করলি না হয়,তাছাড়া ভুল যেখানে তোর সেখানে নত হওয়া খারাপ কিছু নয়,কেউ নত হলে তো আর ছোট হয়ে যায়না।
মায়ের কথায় জবাব দিলোনা ছবি,,,উঠে দাড়িয়ে ওয়াশরুমের দিকে হাটা ধরলো,,,
অনেকক্ষন কান্না করার ফলে মাথা ব্যাথার সাথে বুকের ব্যাথা টাও নাড়া দিয়ে উঠেছে, আপাতত চোখে মুখে একটু পানির স্পর্শ দেয়া দরকার।
নূবায়রা ছবির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মৃদূ দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
আজ এক মেয়ে নিখোজ,,,আরেক মেয়ের অবস্থাও খুব একটা ভালো যে তাও তো নয়।
ছবির হৃদরোগের সমস্যা টা বয়সের সাথে সাথে প্রকট হয়ে আসবে,,,,টাকার অভাবে মেয়েটা কে যদি হারাতে হয় সেই আশঙ্কায় সঙ্কিত নূবায়রা।
আজ ওই লোকটার জন্যেই তার সন্তান দের এমন করুন পরিস্থিতি।
নাহ দোষ তার নিজের ও কিছু কম নয় তো,,,,
আবেগের বশবর্তী হয়ে কাউকে এক কথায় বিয়ে করার ফল আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তিনি।
তাহলে?? সব দ্বায় কি তার নিজেরই?? কিন্তু আরাবি নায়িকা হোক এরকম তো সে চাননি…মেয়ের জেদের কাছে হার মেনে নিয়েছিলো উল্টে। আজ এই মিডিয়া কি তবে তার মেয়েটার জীবন টাও নষ্ট করে দিলো??
🍁
🍁
🍁
🍁
🍁
মাথা নিচু করে বসে আছে ছবি,,,,হাটুর ওপর রাখা হাতের কব্জি দুটো কে ক্রমশ মোচরামুচরি করে যাচ্ছে।
লজ্জ্বা অস্বস্তি সবগুলো ছবির চোখ মুখেই ভীড় করেছে এই মুহুর্তে।
ছবির এমন নতজানু চেহারাতে বেশ মজা পাচ্ছে কাব্য,,,,ছবির দিকে অদ্ভুত চাহনী নিবদ্ধ করে পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছেন তিনি।
— কি ব্যাপার মিস ছবি,,এসে থেকে চুপ করে আছেন?? সেদিন তো অনেক ফটর ফটর করছিলেন আজ কি হলো?
— সেদিনের ব্যাবহার এর জন্যে আমি সত্যিই দুঃখিত মিস্টার রেয়ান,,,,না জেনে আপনাকে ওভাবে দোষারোপ করা ঠিক হয়নি আমার।
— তো আপনি এখানে ক্ষমা চাইতে এসেছেন?
— জ্বি,,
— ওকে,,,,দেন ইটস ওকে,
কিছু সময় চুপ থাকলো দুজনেই,, ছবি একিভাবে মাথা নিচু করে রেখেছে।
নিরবতা কাটিয়ে কাব্য নিজেই বলে উঠলো….
— আপনি কি আর কিছু বলতে চান??
কাব্যর কথায় জোর পূর্বক হ্যা বোধক মাথা ঝাকালো ছবি।
— বলুন।
— আমি আসলে,,, আমি আসলে….
— আটকে যাচ্ছেন যে???
— না মানে…
— মিস ছবি ঝেড়ে কাশুন,,,আমার শ্যুটিং আছে আজ,,,
কাব্যর কথায় চোখ বড়বড় করে ফেললো ছবি…
— শ্যুটিং?? তার মানে আরাবিকে পাওয়া গিয়েছে?
— হাউ স্টুপিড গার্ল ইউ আর,,,,,আমি কি একটা ফিল্মের ভরসাতেই বসে থাকি?? এটা অন্য ফিল্মের কাজ…
—- ওহ,,
— আপনি কিছু বলছিলেন….
— আসলে মিস্টার রেয়ান,, আমার আপনার সাহায্য দরকার….
— কিসের সাহায্য।
—
আরাবির ব্যাপারে,, ওকে খুজতে একমাত্র আপনিই পারবেন আমাকে সাহায্য করতে….
— কেনো আপনার আঈন থানা এসবের কি হলো….??
— লজ্জ্বা দেবেন না প্লিজ,,,,ওসবের ওপর ভরসা আমার সেদিনই উঠে গিয়েছে,,,
— ও তার মানে এইজন্যেই ক্ষমা চাইতে আসা??
— না না এরকম টা ভাববেন না দয়া করে,,,,দেখুন সেদিনের ব্যাবহার টা আমার ইচ্ছাকৃত ছিলোনা। আরাবির কোনও খোজ না পাওয়াতে আমি হাইপার হয়ে কি থেকে কি বলে দিয়েছিলাম আমি নিজেও জানিনা,,,পরে যখন ভুল টা বুঝতে পেরেছি তখন আপনার কাছে ক্ষমা চাইবো সেটা ঠিক করেই নিয়েছিলাম আমি।
আমার ওই দিনের ভুলের জন্যে ফিরিয়ে দেবেন না আমাকে,,, প্লিজ আমাজে সাহায্য করুন,প্লিজ….
ছবির চোখ গুলো ভিজে এসেছে,,,কার্নিশে চিকচিক করছে পানি গুলো।
কাব্য কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো মৌণ ভাবে।
তাৎক্ষণিক নিচের দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে ছবির দিকে তাকালো আবার।
— বেশ,,,,,আমি আপনাকে সাহায্য করবো….
মুহুর্তেই খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে এলো ছবির চোখমুখ,,
— ওয়েট ওয়েট প্রথমেই এত খুশি হবেন না,, কিছু কথা বলা এখনও বাকি….
— বলুন।
— আমি আপনার বোন কে খুজতে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত,,, কিন্তু তিনটি শর্তে….!!
— বলুন,কি শর্ত?
— প্রথম শর্ত…..
আপনাকে আমার সিনেমার হিরোইন হতে হবে!
…….!!!
চলবে…