ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ #writer_sumaiya_afrin_oishi #পার্টঃ৩০

0
196

#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ

#writer_sumaiya_afrin_oishi

#পার্টঃ৩০

“সময় চলছে নিজ ছন্দে। সেই তালে বইতে থাকে মানুষের জীবনযাত্রা। আবহাওয়া বেশ পরিবর্তন হয়েছে, শীত ঋতুর আগমন ঘটছে। ঐশীদের পরিক্ষা ও শেষ আর মাত্র একটা পরিক্ষা বাকি। বন্ধু মহল সবাই মিলে ছাদে বসে আছে। সবার মন খারাপ, এভাবে আর আড্ডা দেওয়া হবে না। হয়তো দেখা ও হবে না নিয়ম করে, ইচ্ছে না থাকা সত্যেও যেতে হবে নিজ বাড়িতে। সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর’ই পরিবর্তন হবে।”

– রাফিনের বেশ ঠান্ডা জ্বর হয়েছে, শরীর ভালো যাচ্ছে না। তবুও নিজেকে স্ট্রং রাখার চেষ্টা করছে। নিজের পড়ালেখা, ক্লাস, টিউশনি করিয়ে বেশ হাঁপিয়ে পড়ছে, নিজের তেমন যত্ন নেওয়া হয়না। সন্ধ্যার পড়ে একটা টিউশনি করিয়ে বাসায় আসলো মাত্র। এরি মধ্যে মায়ের ফোন পেয়ে ক্লান্ত মুখশ্রীতে ও অধর কোণে মিষ্টি হাসি ফুটলো। মায়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো। বিছানায় গাঁ এলিয়ে দিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো ঐশী কল দিয়েছে। ততক্ষণ কল ব্যাক করলো। রাফিনের কাছে দু’জন নারী সবার ঊর্ধ্বে। এক হলো তার “মা” দ্বিতীয় হলো তার প্রিয়তমা “স্ত্রী” তার মায়াবিনী।

– কিছু সময় কথা বলার পড়েই ক্লান্ত শরীর বিছানা পেয়ে যেন রাজ্যের ঘুম এসে চোখে ধরা দিলো। ঘুম ঘুম কন্ঠে কথা বলে দেখে, ঐশী জিজ্ঞেস করলো,

“ঘুম আসছে? ঘুমান তাইলে।”

“রাগ করো না বউ! খুব ঘুম আসছে। একটু ঘুমাই বউ! তুমি ফোন কাটবে না।
আমার সাথে থেকো। তুমি ফোনের অপর-প্রান্তে থাকলেও মনে হবে তুমি আমার পাশে আছো। জানো বউ! দূরত্ব অনেক কিন্তু ভালোবাসার মানুষটার প্রতি অনুভূতি কমতি নেই। তোমার প্রতি অনুভূতি কমবে না কখনো মায়াবী বউ। এই যে রোজ নিয়ম করে গুড মর্নিং বলা, নিয়ম করে গুড নাইট বলা। রোজ একই আকাশের নিচে থেকে, তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা। হায়! না ছোঁয়া আছে, না পাওয়া আছে। এই অদ্ভুত ভালোবাসার নাম দিয়েছে মানুষ লং ডিষ্টেন্স রিলেশনশীপ। আমার আমি বলি কি জানো? এই সম্পর্কের নাম ” ভয়াবহ মায়া”!

“যে মায়ায় আমি আঁটকে গেছি। তোমার প্রতি আমার ভয়াবহ মায়া মায়াবিনী। তোমাকে চাইলে দেখতে পারি না,ছুঁয়ে দিতে পারিনা।কারণ, বাস্তবতার কাছে আমরা সবাই আঁটকে যাই। তবুও তুমি থাকো আমার কল্পনায়, তুমি রোজ আসো আমার স্বপ্নে।”

“রাফিনের মুখে এই প্রথম বউ ডাক শুনে লজ্জা পেলো ঐশী। তবুও ভালোই লাগছে, ঘুম ঘুম কন্ঠে যেন মাদকতার মতো টানছে কিশোরী মন। দুই অক্ষরে ছোট্ট একটি ডাক বউ! এটা যেন হৃদয়ে তোলপাড় করাতে যথেষ্ট ছিলো।”

“এই মায়াবী পরী! কথা বলছো না কেন?

” লোকটার হয়েছে’টা কী? উনি কি বুঝে না উনার এমন কন্ঠে এমন মিষ্টি ডাক,মিষ্টি কথা, কিশোরী মনে এক অজানা অনুভূতি ছেয়ে যায়। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,

” আপনি না ঘুমাবেন কথা বলবো কার সাথে? ঘুমান আপনি। আর হ্যাঁ খেয়েছেন?

“হুম খেয়েছি বাহিরে। তুমি খেয়ে নিয়ো। শরীরে যত্ন নিয়ো মায়াবিনী। এখন একটু পড়তে বসো কেমন।”

“আচ্ছা”।

“শুভ রাত্রি বউ পাখি!”

“শুভ রাত্রি শ্যামসুন্দর পুরুষ! ”

রাফিনের কোনো সাড়াশব্দ নেই। সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
লোকটা ঘুমিয়ে পড়েছে নিশ্চয়ই। আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন, রাফিন ভাই। আমার ঘুম যে আর আসবে না। কবে হবে আমাদের দূরত্বের অবসান? আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে, ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে। আনমনে যখন এসব ভাবছিলো ঐশী। মায়ের ডাকে ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসলো। এতক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলো। মায়ের কন্ঠ শুনে তড়িঘড়ি করে রুমে আসলো।

-রিয়া, জান্নাত ও ফোন নিয়ে বসা ছিলো। সানজিদা শেখ কে দেখে সবাই বই নিয়ে বসে পড়লো।

-তোরা এখনো পড়তে বসো নাই? চোখ রাঙিয়ে বললো উনি।

– এইতো আন্টি পড়ার বিষয় নিয়েই কথা বলছিলাম। বললো রিয়া।

– হয়েছে আমাকে বোকা বানাতে হবে না। সুযোগ পেলেই যে তোরা আড্ডা, খোস গল্প করিস, এটা আমার জানা আছে। কথা না বাড়িয়ে পড়তে বস। উনি খাটের উপরে বসতে বসতে বললো। রোজ নিয়ম করে ঐশীদের কাছে বসে থাকে সানজিদা শেখ। যাতে পড়ায় ফাঁকি দিতে না পারে কেউ। বন্ধু মহলের সবাই কৃতজ্ঞ সানজিদা শেখের আচরণের প্রতি। নিজ মায়ের মতো, আদর যত্ন শাসন করে রেখেছে এতটা দিন।

-কেউ আর কথা বললো না, পড়তে বসলো।

“পড়া কমপ্লিট করে। সবাই মিলে ডিনার করে ঘুমাতে গেলো।”

-সকাল নয়টা সবাই রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লো পরিক্ষার হলে উদ্দেশ্যে।
_______________________

আজ বন্ধু মহলের সবার পরিক্ষা শেষ। চৈতীর বিয়ের তারিখ ঘনিয়ে আসছে। আর মাত্র সাত দিন বাকি। যেহেতু সবার পরিক্ষা শেষ, তাই আজ সন্ধ্যায় সাইফ সবাই কে ট্রিট দিবে বলে জানিয়েছে। চৈতীসহ সবাই মিলে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লো।

রেস্টুরেন্টে বসে সাইফের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো সবাই। কিছু সময়ের মধ্যে’ই সাইফ চলে আসছে। সাথে রয়েছে সায়েম, সুজন। সুজন হলো সাইফের ভাই। পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকে, একমাত্র বড় ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে ছুটি নিয়ে চলে আসছে বাড়িতে।

“সায়েম কে দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠলো ঐশী। মনে পড়ে গেলো ঐ দিনের এই বাজে লোকটা’র আচরণ। ঐশী’র ভয়ার্ত চেহারা দেখে সাইফ কাছে এসে বললো,

“ভয় পেয়ো না। আমি আছি, কোনো সমস্যা হবে না।”

“তবুও এই লোকটা কে সহ্য হলো না। ঐশী নিজের মনকে ও স্ট্রং করে নিলো, আজকে যদি কোনো অসভ্যতা করে এই লোক, তাহলে গায়ে হাত তুলতে দ্বিতীয় বারের মতো ভাববে না বলে ঠিক করলো।

“ঐশী কে অবাক করে দিয়ে, সায়েম এসে দু’হাত জোর করে, অপরাধীর ন্যায় মাথা নিচু করে অনুরোধের স্বরে বললো,

“স্যরি ঐশী! ঐ দিনের ব্যাপারটা’র জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! প্লিজ আমাকে মাফ করে দেও। আমি অনুতপ্ত, এমন একটা কাজের জন্য। ঐ দিন যে কি হয়েছিলো বুঝতে পারি’নি। আজকে তোমার কাছে ক্ষমা চাইতেই এসেছি। মানুষ মাত্র ভুল হয়, প্লিজ! আমাকে ক্ষমা করো। আমি নিজেকে সর্বচ্চ চেষ্টা দিয়ে পরিবর্তন করতে চাই।

“মানুষ যদি তার ভুল বুঝতে পারে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। ক্ষমা করে দেওয়া একটা মহৎ গুন। এভাবে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাকে ছোট করবেন না। আমি আপনাকে মাফ করে দিয়েছি। সত্যি খুশি হয়েছি আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারছেন। আশা করি দ্বিতীয় বার এমন ভুল করবেন না। মেয়েরা হলো মায়ের জাতি। তাদের যারা সম্মান করতে জানে না তারা কোনো মানুষ’ই না। মানুষ রুপি কিছু অ’মানুষ। নিজের ব্যবহার, চরিত্র সুন্দর হলে ম’রার পরে-ও সবাই তাকে মনে রাখে। চিরস্থায়ী কেউ থাকবে না পৃথিবীতে, শুধু থেকে যাবে তার কৃতকর্ম। বললো ঐশী।

“সায়েম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সাইফ ছাড়া বাকি সবাই আশ্চর্য হয়ে ড্যাব-ড্যাব করে তাকিয়ে সবটা দেখছে। এসব কি হচ্ছে তাদের বোধগম্য হলো না। মিতু প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ঐশীর মুখপানে।সাইফ পরিস্থিতি সামলাতে বললো,

“তোমাদের উত্তর না হয় পরে শুনিয়ো, এখন চলো আমরা সবাই মিলে এনজয় করি। এ-সব আর মনে রেখো না ঐশী। আমার ভাইয়ের কাজের জন্য আমি ও আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।”

“সবাই মিলে বসে পড়লো। সবার পছন্দের খাবার সবাই অর্ডার করলো।

” একটু পড়ে ওয়েটার এসে খাবার দিয়ে গেলো। যে যার মতো খেয়ে যাচ্ছে। এদিকে রিয়া বারবার সুজনের দিকে তাকাচ্ছে আর খাচ্ছে। রিয়া কে এমন তাকিয়ে থাকতে দেখে সুজনের অস্তির হচ্ছে ভীষণ। বড় ভাই এখানে তাই কিছু বলতে ও পারছে না। মাথা নিচু করে কোনো মতে খেয়ে নিলো। ”

-ঐশী খেয়াল করলো সায়েম তারপর থেকে তার দিকে, এমন কি কোনো মেয়ের দিকে তাকায়নি। বিষয় খানা বড্ড ভালো লাগছে তার। হয়তো আল্লাহ্ তাঁকে হেদায়েত দান করেছে। খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই বাসার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলো। পিছন থেকে সুজন এসে রিয়া কে বললো,

-ও হ্যালো!

“হ্যালো!

” মানে! কি অবস্থা আপনার?

“কঠিন, তরল, বায়বীয় অবস্থা। সব মিলিয়ে টানাটানি অবস্থা।”

“আজব!পা’গ’ল নাকি? আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিলেন কেন?

” আমি তাকিয়ে ছিলাম কখন? তার মানে আপনি ও আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন?” তাকিয়ে থাকা + তাকিয়ে থাকা, সমান সমান কাটাকাটি।

“মোটেও না”।

“এ্যা আসছে মোটেও না”। তাইলে আপনি বুঝলেন কি করে?”

“এই রিয়া তাড়াতাড়ি আয়। জান্নাতের ডাকে তাড়াতাড়ি করে হাঁটা দিলো। পিছনে ফিরে সুজন কে বললো,

“বায় হিরো’টা!

“বখাটে মেয়ে নাকি?”.

“সুজন হাবার মতো দাঁড়িয়ে থেকে কিছুসময় নিজেও চলে গেলো।

-বাসায় এসে সবাই মিলে কিছু সময় আড্ডা দিচ্ছিলো।

” আচ্ছা ঐশী বল এখন সায়েম ভাই কিসের জন্য ক্ষমা চাইলো?” ভাবুক হয়ে প্রশ্ন করলো মিতু। আজ এই বাসায়ই থেকে গেছে মিতু।

“ঐশী ঐ দিনের ঘটনা’টা খুলে বললো। সব শুনে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে গেলো।

” এতবড় একটা ঘটনা ঘটে গেলো আর আমাদের কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করলি না? শা’লার এত বড় সাহস কি করে হলো? আর তুই ও ক্ষমা চাইলো আর ক্ষমা করে দিলি। বললো রিয়া,

“জানাবার মতো কি ঘটনা বল? বাদ দে না এসব। উনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। এটা বা কম কিসে। কেউ তার ভুলের জন্য অনুতপ্ত হলে তাকে নিজগুণে ক্ষমা করা উওম কাজ।

-তবুও এই ছেলে কে বিশ্বাস নেই। হতেও পারে এটা উনার সাজানো নাটক। আমার তো চিন্তা হয় তোর জন্য। না জানি বিয়ের সময় কোনো ঝামেলা করে। বললো আলিফ।

” আরে কিছু হবে না। তোরা টেনশন করিস না”।

” মানুষের স্বভাব কখনো পরিবর্তন হয় না। উনি প্রথমবার এতবড় একটা কাজ করতে পারলে, নেক্সট করবে না সিকিউরিটি কি? বললো রবিন,

“তোরা আছিস না। আমাকে দেখেশুনে রাখবি। বললো ঐশী।

” মিতু আলিফের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো, তারপরে মন খারাপ করে বললো,

” তোদের কাল যেতে হবে না আলিফ”।

“মন খারাপ করিস না পা’গলি। আবার তো দুদিন পড়েই চলে আসবো আপুর বিয়ের জন্য। অনেক দিন বাড়িতে যাওয়া হয়না। আব্বু-আম্মু কে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। মিতুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো আলিফ।

” শোন তোরা কিন্তু মোটেও দেরী করবি না। একদম বিয়ের তিনদিন আগে আসবি বলে দিলাম। আমরা সবাই মিলে অনেক এনজয় করবো বিয়েতে। বললো ঐশী।

“অবশ্যই আসবো। আমরা না আসলে কি হবে নাকি। বললো জান্নাত,

” আমার কিন্তু মাঝি কে খুব মনে ধরেছে।” উদাসীন হয়ে গালে হাত দিয়ে বললো রিয়া।

কিহ্! কোন মাঝি? এত ছেলে থাকতে শেষে কিনা মাঝির প্রেমে পড়লি। আফসোস করে বললো রবিন।

বাকি সবাই অবাক হয়ে রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। রিয়া বিরক্ত হয়ে বললো,

“আরে সুজন মাঝি। আই মিন সাইফ ভাইয়ের ভাই।”

“তা উনাকে মাঝি বললি কেন?”

“আরে একটা গান আছে না। সুজন মাঝি কে নিয়ে, তাই বললাম। উনি তো আমার মনে মাঝি।”

“আচ্ছা দোস্ত সিরিয়াসলি? এটা কয় নাম্বার হবে? ঠাট্টার স্বরে বললো রবিন।

” মজা নিবিনা একদম। এবার সিরিয়াস। বলতে পারিস ফাস্ট লাভ। “হুমায়ুন আহমেদের” একটা উক্তি আছে জানিস না, প্রথম প্রেম, দ্বিতীয় প্রেম বলতে কিছু নেই। অপর মানুষটা সঠিক, শুদ্ধ হলে এটাই তার প্রথম ও শেষ ভালোবাসা।”

“ঐশী বললো, আমি ও হুমায়ুন স্যারের একটা বাণী পড়েছিলাম।যেখানে লেখা ছিলো,

” তোমার যদি কাউকে মনে পড়ে তাহলে তাকে কল কর। তোমার যদি কাউকে দেখতে ইচ্ছা করে তাহলে তাকে জানাও। তুমি যদি কাউকে ভালোবাসো তাহলে তাকে বলে দেও, যে তুমি তাকে ভালোবাসো।
কারণ পাঁচ মিনিট বাঁচবে কিনা তা তুমি জানোনা! অপূর্ণতা নিয়ে কখনো দুনিয়া ছেড়ো না।”

“আরো কিছু সময় আড্ডা দিলো সবাই। রাত বারোটার দিকে সবাই ঘুমাতে গেলো।”

চলবে…………

[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here