#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ
#writer_sumaiya_afrin_oishi
#পার্টঃ১৭
-রাত একটা সবাই যে যার মতো জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে, আনন্দ করছে। এত মানুষের ভীড়ে দু’জোড়া চোখ চাঁতক পাখির ন্যায় এদিকে-সেদিক একটা পরিচিত মুখ খুঁজে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষটা কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
ঐশী নিজে নিজেকে ই প্রশ্ন করলো?
-মানুষ টা কোথায়?
“হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেলো নাকি?
সবাই তো এখানে আছে। উনাকে দেখছি না কেন?
সেই কখন থেকে একদম নিখোঁজ ।”
কিছুটা চিন্তিতো হলো ঐশী । চোখে মুখে চিন্তার ছাপ।
“কোন বিপদ হলো না-তো?”
এরিমধ্য মিতু এসে বললো –
“দোস্ত চল-না সামনে দিকটা একটু দেখে আসি প্লিজ! প্লিজ!আমার একা একা ভয় লাগে।”
মিতু এমন ভাবে বললো, না চাইতেও ঐশী কে যেতে হলো।
কিছুটা সামনে যেতেই মিতু বললো-
“ইশশশ ফোনটা ফেলে আসছি।
রাগ করিস না সোনা, ময়না! গো আমার!
তুই একটু এখানে দাঁড়া আমি এক্ষনি নিয়ে আসছি।
জাস্ট যাবো আর আসবো।
বলে আর এক মুহূর্ত দেরী করলো না মিতু।এক রকম দৌড়ে চলে গেলো।”
ঐশীর এবার বিরক্তি হয়ে মুখ দিয়ে “চ” শব্দ বের হলো।
সামনে কিছুটা আলো দেখা যাচ্ছে। সেই দিকে পা-বাড়ালো।
“হঠাৎ করে জায়গাটা আলোয় আলোকিত হয়ে উঠলো।
চারপাশটা খুব সুন্দর করে সাজানো। উপর দিয়ে গোলাপের পাপড়ি মাথার উপর পড়ছে।
চারপাশে ফুলের সুগন্ধিতে ভরপুর।”
আকস্মিক পা-জোড়া থেমে গেলো ঐশী। চোখ বেড়িয়ে আসার উপক্রম।
“হুট করে রাফিন সামনে এসে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো।
হাতে এক গুচ্ছ কাঠগোলাপ। তারপরে কন্ঠে মাদকতা মিশিয়ে মোহনীয় কন্ঠে বললো,
🌸”আমি তোমাকে ম্যাচিউরিটি দেখাতে চাই না মায়াবিনী! আমি চাই আমার এই ছন্নছারা জীবন পালের দড়িটা তুমি শক্ত করে ধরে রাখো। আমার এই এলোমেলো চুল, ঘেমে যাওয়া মলিন চেহারা, সব কিছু তুমি তোমার নামে করে নাও।
আমি তোমায় আমার এই ব্যক্তিত্বে ভরা বাহ্যিক চাকচিক্যময় আমিটাকে দিতে চাই না। আমি তোমার আমার হৃদয়ে থাকা হাজারো দিনের জমানো শৈশব মাখা বিকেল দিতে চাই। যেখানে প্রজাপতির পিছনে ছুটে হাসির চিলক ফোঁটে । যেখানে আছে অবুঝের মতো তোমাকে চাওয়ার আবদার!
ভার্চুয়াল এই নিখুঁতোতার প্রতিযোগীতায় আমি চাই না আমার খুঁত গুলো তোমার কাছে ঢাকা পরুক। আমি হাসি মুখে আমার সমস্ত খুঁত, মান অভিমান তোমার হাতেই তুলে দিবো!
আমার হাজারো দিনের জমানো ভালোবাসা, বিশ্বাস, আমার সমস্ত আহ্লাদ গুলো শুধু তোমায় দিতে চাই। তুমি শুধু যত্ন করে আগলে রেখো, নিজের বুক পাজরের আলমারিতে!”
“তোমাকে আমি ভীষণ রকমের ভালোবাসি মায়াবিনী!
তুমিই আমার সেই মায়াবী পরী!
আমার কিশোর বয়সের ভালোবাসা।”
“যে বয়সে নিত্য নতুন মেয়ের উপর ক্রাশ খাওয়া।
সুন্দরীদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ানো। ভার্চুয়াল জগৎ এ সময় দেওয়া। মেয়েদের মেসেজে দেওয়া।
সেই বয়সে আমি তোমার চোখের মায়ায় ডুবেছি।
তোমাকে আমি এতো বেশি ভালোবাসি আমি প্রতিনিয়ত ম’রার আগে ম’রে যাচ্ছি।
বারবার ম’রছি আমি।
এ-ই যে তোমাকে কাছে পাওয়ার শিহরণে ম’রছি!
ভালো লাগায় ম’রছি।
ভালোবেসে ম’রছি।
আবার দূরে থাকলে যন্তণায় ম’রছি।
কথা বলতে না পারার কষ্টে ম’রছি।
অপেক্ষা করতে করতে রাগে ম’রছি।
ট্রাস্ট মি! এতকিছুর পরেও ভালোবাসা ভয়ংকর রকমের সুন্দর! তোমার ভালোবাসায় কোটি কোটি বার ম’রতে চাই আমি।”
“তুমি কি জানো মায়াবী পরী!
আমার ভিষণ রকমের অসুখ হয়েছে। তুমিই আমার প্রিয় অসুখ। এই অসুখের নাম #ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ! এই অসুখের ঔষধ যে একটাই।
আর সেই ঔষধ টাই হলে তুমি”
“আমি নিজের সাথে ভীষণ ভাবে যুদ্ধ করেছি শুধু তোমাকে ভুলে যাবো বলে। কিন্তু আমি বারবার হেরে গিয়েছি। অদ্ভুত রকমের ব্যর্থ হয়েছি।
দিন দিন তোমাতে আসক্ত হয়েছি। রঙিন বসন্তে হলুদ শাড়ীতে পিচ্চি মেয়ে টা কে প্রথম দেখেছিলাম। প্রথম দেখাতেই চোখ আঁটকে গিয়েছে তার চোখের মায়ায়। মনে হচ্ছে এ যেন কোনো হলুদ পরী। আমি অবাক হয়ে হলুদ পরী কে দেখেছিলাম।”
“তার টানাটানা চোখ, খিলখিল হাসি, মায়াবী মুখ। আমাকে ঘুমাতে দেয়নি। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠে এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।”
তুমি কি জানো?
তুমি খুব ভয়ংকর মেয়ে!
তোমাকে দেখার পরে আমি একমাস ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারিনি, খেতে পারিনি।
যে আমি সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকতাম।
যার একমাত্র জায়গা ছিলো পড়ার টেবিলে।
সেই আমিটা ও তোমাকে ভেবে ভেবে দিনের পর দিন ম’রে যাচ্ছি। তুমি আমার কিশোর বয়সের ভালোবাসা!
তোমাকে আমার ভীষণ রকমের প্রয়োজন।
তোমাকে আমার লাগবেই!
রঙিন বসন্তে রঙিন করেই তুমি এসেছিলে আমার জীবনে। তোমাকে নিয়ে লিখেছি আমি হাজার ও বসন্তে কবিতা।
-তোমার মনে হয়তো হাজার প্রশ্ন জাগতে পারে, আমি কেনো আজকের দিনে তোমাকে আমি এসব বলছি।
তবে শোনো না- আল্লাহর দেওয়া প্রত্যেকটা সময়,প্রত্যেকটা দিনের জন্য আমি শুকরিয়া আদায় করি। আজকে দিনটা আমার কাছে অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি স্পেশাল।
আজকে যে আমার মায়াবিনীর জন্ম দিন। এই দিনটাতেই আমার প্রিয় মানুষটা দুনিয়াতে এসেছে। আমার জীবনে রঙিন ফুল হয়ে এসেছে। যাকে আমি আমার মনের মনি কোঠায় খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছি। দূর থেকে আগলে রেখেছি।
তাই আজকেই তোমাকে আমার মনের এতদিনে’র জন্মানোনো অনুভূতি বলে দিলাম।
তোমার মুখের হাসিটা দেখার জন্য এরক একটা সারপ্রাইজ দিলাম।
এই হাসিটা দেখলে যে আমার কোটি বছর বাঁচার স্বাদ জাগে। সকল ক্লান্তি এই হাসি মুখটা দেখে শূন্যে মিলে যায়।
এই দিনটার জন্য আমি অপেক্ষা করেছি। আজ আমার সকল অপেক্ষার অবসান।
জানোই তো অপেক্ষা জিনিস টা বড্ড খারাপ!
যে অপেক্ষা করে সেই বুঝে অপেক্ষা করাটা কত টা কষ্টের।
– আজকের এই দিনেই তোমার হৃদয়ের শহরের দেয়ালে দেয়ালে আমি লিখতে চাই হাজারও প্রেমের উপন্যাস।
এই শহরে আর্বিভাব হবে প্রিয়তমাকে নিয়ে ভালোবাসার কবিতা লেখার এক মহান কবি।
তুমি হবে আমার প্রিয় ডায়েরি!
আর আমি হবো তার প্রিয় কবি।
“আর যদি আমাকে তুমি ফিরিয়ে দেও, প্রত্যাখান করো যদি আমার ভালোবাসা কে!
তবে সেই গত কয়েক বসন্তের মতোই আমি লিখছি তুমি পড়ে নিও প্রিয়তমা!
এবারের বসন্ত এখানেই থেমে যাবে মায়াবী পরী!
বসন্তেও এক প্রলয়কারী কা’ল- বৈশাখের ঝড় আসবে।
তাতে যত ফুল ফুটেছে আমাকে প্রত্যাখান করার আগে সব ঝরে যাবে, ঝরে গিয়ে উড়ি মিলিয়ে যাবে শূন্যে।
-যদি তুমি আমাকে ফিরিয়ে দেও, সেই গত হওয়া কয়েক বসন্তের মতো এই শহরে প্রেম ভালোবাসা বলতে কিছু থাকবে না।
প্রেম ভালোবাসা নামে যা কিছু দেখা যাবে তার সবটুকু হবে মিথ্যা, শরীর ছোঁয়ার অযুহাত।
শহরের দেয়ালে শোভা পাবে মন ভা’ঙার কষ্টকথা।
প্রত্যাখান হয়ে অকালে অপমৃ’ত্যু হবে এক প্রেমিক কবির।
আর কবির মৃত্যুর দায়ভার পুরোপুরি নিতে হবে তোমাকেই।”
-হঠাৎ করে শব্দ করে কেঁদে উঠলো ঐশী।
এতক্ষণ ঐশী এক ধ্যানে তাকিয়ে ছিলো রাফিনের দিকে।
খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো রাফিনের কথা গুলো। মানুষ এত সুন্দর মিষ্টি করে কি ভাবে কথা বলে?
নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি ঐশী। আনন্দে কেঁদে দিলো। মানুষ অতি আনন্দে ও কাঁদে। একটা মানুষ এমন নিখুঁত ভাবে কি ভাবে ভালোবাসতে পারে? এমন গুছিয়ে ক’জন বা কথা বলতে পারে? রাফিনকে যত দেখছে তত মুগ্ধ হচ্ছে ঐশী। এ-ই মানুষটা প্রেমে পড়তে যেন বাধ্য করছে ঐশী কে। রাফিনের কথা গুলোর মধ্যে গভীর ভালোবাসা দেখছিলো ঐশী।
চোখে মুখে নিজের জন্য এক আকাশ সমান ভালোবাসা দেখতে পেয়েছিলো। ঐ দৃষ্টিতে ছিলো না কোন লোভ।ছিলো গভীর ভালোবাসা।”
ঐশী কে এমন ভাবে কাঁদতে দেখে ভড়কে গেলো রাফিন।
সাথে সাথে উঠে দাঁড়াল, বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো-
“কি হয়েছে ঐশী? আমার কথায় কী তু,,,,,,,,,
পুরো কথা টা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই ঐশী রাফিন কে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লো।
আকস্মিক ঐশীর এমন কাজে হতভম্ব হয়ে গেলো রাফিন।
নিজেকে একটু সামলে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আবারো জিজ্ঞেস করলো,
“কি হয়েছে ঐশী?
এনি প্রবলেম?
আমার কথা কি তোমার ভালো লাগেনি? কষ্ট পেয়েছো তুমি?
দেখো আমি তোমাকে জোর করছি না।
জোর করে কি ভালোবাসা হবে বলো?
তুমি জাস্ট তোমার মন যেটা যাইবে সেটাই আমাকে র্নিদ্বায় বলতে পারো। ট্রাস্ট মি! তোমার মনের বিরুদ্ধে গিয়ে দ্বিতীয় বার এই কথা বলবো না।”
“আ – আপনি খুব খু-খুব বেশিই খারাপ রাফিন ভাই! ভীষণ রকমের খারাপ। আপনি যখন আমাকে এতটা ভালোই বাসেন তা তাহলে কেন আমাকে বলেন নি আপনি? জানেন কতটা কষ্ট পাচ্ছি আমি।
আমার কিশোরী মনে আপনার কথা দিন রাত ভেবে চলছে। যখন আপনি ঢাকায় থাকেন, আপনার ভয়েস টা শুনবার জন্য মনটা ছট’ফট করতো। আমি যতবার আপনার সাথে কথা বলতে চাইতাম ততবারই আপনি আমাকে ইগনোর করতেন।
আপনি আমার আশপাশে থাকলে নিজেকে খুব সুখী মনে হয়।আপনাকে নিয়ে বাঁচার ইচ্ছেটা দ্বিগুন বেড়ে যায়।
মনে চায় দিন-রাত আপনাকে দু চোখ ভরে দেখি।
এই শ্যামসুন্দর পুরুষটি কে দেখার তৃষ্ণা আমার ইহকালেও মিটবে না!
যখন শুনতাম আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসেন! তখন আমার ভিতরটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেত।
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতো, দুমড়ে মুচড়ে ঘুটিয়া যেতো ভিতরটা। কান্না ভেজা কন্ঠে কথাগুলো বললো ঐশী।”
“রাফিন দু’হাত দিয়ে ঐশীর থুতনিটা কিছুটা উঁচু করে ধরলো। নেশালো কন্ঠে বললো-
” কেঁদো না পাগলী প্লিজ! তোমার কান্না যে আমার বুকে এসে আঘাত করে। আমি সহ্য করতে পারিনা।
আমি কী কখনো বলছি অন্য মেয়ের নাম? আমিতো আমার এই পাগলীকে কেই ভীষণ ভালোবাসি।
অন্য কোনো মেয়ের কি সাধ্য আছে এখানে জায়গা পাওয়ার? এইখানের সবটুকু জায়গা জুড়ে তো একজনের ই বসবাস। ( বুকে হাত দিয়ে বললো)”
হুট করে কান্না থেমে গেলো ঐশী। রাফিনের কাছ থেকে ছিঁটকে গিয়ে দূরে সরে দাঁড়ালো। একটু আগে কি করছে ভেবেই লজ্জা পেলো ঐশী। এতটা ইমোশনাল হয়ে গেছে যে এতক্ষণ যে রাফিন কে জড়িয়ে ধরে ছিলো তা টেরই পায়নি। হুঁশ ফিরতেই দূরে সরে গেলো। লজ্জায় আর কথা বলতে পারলো না।
ঐশী কে এমন লজ্জা পেতে দেখে মুচকি হাসলো রাফিন। শুকনো কাশি দিয়ে বললো –
“কেউ একজন লজ্জা পেলেও কিন্তু দারুন লাগে! লজ্জা রাঙা চেহারায় তাকে আরো মায়াবী লাগে।
বায় দ্যা ওয়ে! আমার উত্তরটা কিন্তু পাইনি আমি। তবে কি আমি এই নিরবতা কে হ্যাঁ ধরে নিবো?
যদি হ্যাঁ হয় তাহলে মহারানী ফুলগুলো নিয়ে এই প্রেমিক পুরুষটি কে ধন্য করুক।”
ঐশী নিজেকে সামলে নিলো, স্বাভাবিক ভাবেই বললো, –
-“পুরুষ তুমি ভীষণ রকমের ব্যর্থ ! যদি তুমি নারীর চোখের ভাষাই না পড়তে পারো”!
বলে রাফিনের হাত থেকে ফুল গুলো নিয়ে নিলো। ফের আবার বললো,
“আপনি এমন অদ্ভুত কেন রাফিন ভাই? এমন হার্ট অ্যা’টাক করা সারপ্রাইজ কেউ দেয়? আর একটু হলেই তো হার্ট অ্যা’টাক হয়ে যেতো।
আমার হার্ট স্ট্রং দেখে এখনো বেঁচে আছি।
-দীর্ঘদিনের অপেক্ষার প্রত্যাশিত ফল যে কত মধুর তা রাফিনের মুখের হাসি দেখেই বুঝা যাচ্ছে। এই দিনটার জন্য কতটা অপেক্ষা করছে। আজ যেন স্বার্থক।
পকেট থেকে একটি রিং বক্স বের করলো রাফিন।
অনামিকা আঙ্গুলে খুব যত্ন করে রিংটা পরিয়ে দিয়ে বললো রাফিন –
” এইটা আমার ভালোবাসা’র একটি অংশ মায়াবী পরী! সবসময় সাথে রেখো। এইটা যতবার দেখবে ততবার আমার কথা মনে পরবে।
খবরদার ভুলেও খুলবে না কিন্তু বলে দিলাম ।
বলে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো।”
একের পর এক চমক দিচ্ছে রাফিন। এমন ভয়ংকর সারপ্রাইজ যে কেউ দিতে পারে ঐশীর জানা ছিলো না।
এক ধ্যানে তাকিয়ে রইলো দুজন দু’জনের চোখের দিকে।
চোখ যেন আজ না বলা সব কথা বলে দিচ্ছে।
এই সময়টা যদি এখানেই থেমে যেত?
-“বাহ্! বাহ্! এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে দেখতে পেয়েও নিজের চোখকে ধন্য মনে হচ্ছে। ”
হঠাৎ এমন কথা শুনে চমকে গেলো দু’জনই। হতচকিত হয়ে আশেপাশে তাকিয়ে আরাফকে দেখতে পেলো।
সাথে পুরো বন্ধু মহল।
ঐশী লজ্জায় একরকম দৌড়ে পালালো অন্য দিকে।
রাফিন মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো কি কি কিছু বললি?
রাফিনের এমন কথা শুনে আরাফ সহ সকলে অট্টো হাসিতে মেতে উঠলো।
এই বন্ধু জাতিটা ই এমন ভুল সময় ভুল জায়গায়ই তারা এন্টি করবেই।
এভাবেই কেঁটে গেলো রাতটা।
চলবে………
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]
আজকের পর্ব কেমন হয়েছে অবশ্যই মতামত জানাবেন কিন্তু। 🙂