#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ
#Sumaiya_Afrin_oishi
#পার্টঃ২২ (সারপ্রাইজ😁)
চৈতী টেবিলের সাথে মাথা ঠেকিয়ে ভাবতে থাকে সাইফের বলা শেষ কথা গুলো।
এখন যেন কানে বাজে প্রত্যেকটা শব্দ।
শত বারন করার পরে-ও যে মানুষ টা রোজ নিয়ম করে পিছনে ঘুরে বেড়াতো।
সেই মানুষটা ও নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নিয়েছে।
– বোনের এমন আকস্মিক পরিবর্তন নজর এড়ালো না ঐশীর। ইদানীং খুব মন ম’রা হয়ে থাকে মেয়েটা । ঐশী রুমে ঢুকে কতক্ষন বোন কে পর্যবেক্ষণ করলো। মনে হচ্ছে গভীর কিছু নিয়ে ভাবতে বসছে।
এদিকে কেউ যে তার রুমে এসেছে টেরই পায়নি চৈতী।
আপু?
এই আপু? টেবিলে ঘুমাচ্ছো কেন?
তোমার কি হয়েছে আপু? কেমন যেন মন ম’রা মন ম’রা হয়ে চুপচাপ থাকো।
কি কারণে মন খারাপ? আমাকে বলো দেখবে মন হালকা হয়ে যাবে। মনের কথা জমাতে নেই, কারো সাথে শেয়ার করলে কিছুটা হলেও ভালো লাগবে।
– আগে কত আমাকে বকাঝকা দিতে, সারাদিন মারা’মারি, ঝগড়া করতে, তারপর দুজন মিলে আম্মুর বকা খেতাম।
আর এখন, বাসার কারো সাথে তেমন কথা ও বলো না।
এখন এভাবে চুপচাপ থাকো কেন?
আমি ভীষণ মিস করি তোমার এই বকাবকি, তোমার সাথে ঝগড়া। তুমি এইভাবে থাকলে আমার মোটেও ভালো লাগেনা আপু। প্লিজ আগের মতো হয়ে যাও!
আকস্মিক ঐশীর কথায় হকচকিয়ে গেলো চৈতী।
এদিকে যে কেউ তাকে ডেকে যাচ্ছে, এতগুলো কথা বললো, তা যেন কান অবধি গেলোই না।
মাথা তুলে তাকালো, আমতা আমতা করে বললো।
কি হয়েছে?
কিছু বলবি? আমি পড়তে ছিলাম , ঐ আর কি আসলে মানে। যা তোর রুমে যা আমাকে একা থাকতে দে তো।
ভালো লাগছে না রে।
ঐশী বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে, আদুরে সুরে জিজ্ঞেস করলো,
ভালো কেন লাগছে না?
তোমার ধ্যান কোন দিকে হুম? কি এমন গবেষণা করছো?
আমি যে এতগুলো কথা বললাম তা তো তোমার কান অবধি গেলই না।
মনে হচ্ছে তুমি কারো প্রেমে পড়ে গেছো আপু! হে হে বুঝেছি।
এখন আসল কাহিনী কি?
আমাকে বলো?
কিছু লুকাবে না কিন্তু। আমি তোমাকে চিনি তো, কিছুতো একটা হয়েছেই।
এত ড্রামা না করে বলো জলদি?
আমার মনে হচ্ছে আমি সাইফ স্যার কে ভীষণ মিস করছি। না চাইতে ও তার কথা আমাকে ভাবাচ্ছে। তার এই ইগনোর মানতে পারছি না রে।
মনের অজান্তে তাকে ভিষণ ভালোবেসে ফেলছি!
চৈতী আর কিছু লুকালো না, সোজাসাপটা বলে দিলো।
ঐশী বিস্মমিত কন্ঠে বললো –
তুমি আর ভালোবাসা!
আপু রিয়েলি? হাউ ফানি হা হা!
এভাবে বলছিস কেন?
মনে হচ্ছে আমি কোনো এলিয়েন। আমি মনে হয় কাউকে ভালোবাসে পারি না। চৈতী মুখ বাঁকিয়ে বললো।
ওহ! আচ্ছা এই কাহিনী? ঐশী মুখ গোল করে বললো।
এনিওয়ে,
তা স্যার কে বলে দেও? তুমি তাকে ভালোবাসো। আমার তো আগে থেকেই সন্দেহ হয়েছিলো। স্যার ও তোমাকে পছন্দ করে।
না রে বলতে পারবো না। যদি আমাকে এখন ফিরিয়ে দেয়? আমি স্যার কে অনেক বার অনেক অপমান করেছি। বারবার প্রত্যাখান করেছি তাকে। কোন মুখ নিয়ে সামনে যাবো।
আমি কি করবো বল?
আমার কি দোষ!
তখন আমার এসব বিরক্ত লাগতো। তার জন্য কোনো ফিলিংস ছিলো না।
মুখ গোমড়া করে বললো- চৈতী।
কেন কি এমন হয়েছে?
আমাকে সব খুলে বলো? স্যারই বা তোমাকে কেন ইগনোর করছে?
ফ্লাসব্যাকঃ
প্রতিদিনের ন্যায় ভার্সিটির গেটের কাছে আজকে চৈতীর জন্য অপেক্ষা করছিলো সাইফ।
সাইফ কে দেখেও না দেখার বান করে চলে গেলো চৈতী।
সাইফ দ্রুত গিয়ে চৈতীর সামনে দাঁড়ালো। না চাইতেও থামতে হলো চৈতী কে।
কি ব্যাপার মেরি বাটারফ্লাই! এভাবে উড়ে উড়ে চলে আসলে যে?
কেউ যে আপনার অপেক্ষায় অধির আগ্রহ নিয়ে পথ চেয়ে বসে ছিলো সে খেয়াল কি আছে আপনার?
আমাকে ও সাথে নিয়ে যান।
চৈতী ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো –
আপনাকে কি আমি অপেক্ষা করতে বলছি আমার জন্য?
আপনার মতো র্নিলজ্জ আমি আর দুটো দেখিনি।
আর কতবার বলবো?
আপনার উপস্থিতিতে আমি প্রচুর বিরক্তি হই।
একজন টিচার হয়ে স্টুডেন্ট কে বিরক্ত করতে লজ্জা করে না?
আপনার মধ্যে তো লজ্জাই নেই মেবি।
কথাগুলো তীরের মতো বুকে এসে লাগলো সাইফের। চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসলো। বহু কষ্টে নিজের চোখের পানি কন্ট্রোল করলো। ছেলেদের তো কাঁদতে নেই। হাজারো কষ্ট তারা এক একটা দীর্ঘশ্বাঃস ফেলে বিসর্জন দেয়।
প্রিয় মানুষের দেওয়া আঘাতটা একটু বেশীই ক্ষত হয় ভিতরটা।
চৈতী কে থামিয়ে দিলো সাইফ, এই ভাবে অপমানিত কখনো হয়নি। আরও কিছু শুনলে হয়তো নিজেকে ধরে রাখতে পারবে না।
স্টপ চৈতী! প্লিজ স্টপ ইট! অনেক বলেছো এবার থামো প্লিজ!
“ভালোবাসায় নত হওয়া যায়, কিন্তু মাথা কে’টে কারো পায়ের নিচে রাখা যায় না । মানুষ ভালো থাকার জন্যই কাউকে ভালোবাসে। যেখানে নিজে ভালো থাকতে পারবে না, সেখানে ভালোবাসা?
প্রশ্নই আসে না। আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে কাউকে ভালোবাসা যায় না চৈতী”।
আমি এতদিন তোমার পিছনে পিছনে বেহায়ার মতো ঘুরেছি।
শুধু তোমাকে ভালোবাসি বলে!
প্রচুর আত্মমর্যাদা, একরোখা জেদী আমিটা ও তোমার ভালোবাসা পাওয়া জন্য নিজেকে পরিবর্তন করেছি।
কিন্তু দিনশেষে আমি শুধু অপমানিত হয়েছি। কিন্তু আর না, আমার উপস্থিতিতে তুমি এতটাই বিরক্ত হও বুঝতে পারিনি। কিন্তু আজ কথা দিচ্ছি তোমাকে আর কখনো বিরক্ত করবো না, কখনোই না।
জোর করে আর যাই হোক কারো মন পাওয়া যায় না চৈতী। আমি অযথাই তোমাকে জোর করছি। আজ থেকে তুমি মুক্ত। তোমার লাইফ!
তোমার স্বাধীনতা সব জায়গায়ই আছে। কেউ আর তোমাকে বিরক্ত করবে না। হ্যাপি তো এবার!
‘ আরে ভালোবাসা এত সস্তা নয় যে, মন চাইলেই যে কাউকে বিলানো যায়। সঠিক মানুষ ছাড়া ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা কেউ রাখে না’।
-যখন তোমার কাছে ভালোবাসা অজানা
তখন তুমি বুঝবে না সুখ কি!
লেখা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-যখন তুমি কাউকে ভালোবাসবে তখন বুঝবে ব্যথা কি!
লেখা – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-যখন তুমি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবে
তখন তুমি বুঝবে জীবন কি!
লেখা-মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
এই মনিষীরা একদম ঠিক কথাই বলেছে। যখন তুমি কাউকে ভালোবাসবে তখন বুঝবে, তোমার আজকের কথা গুলো কেমন লাগছে।
-“তীরের আঘাতের ক্ষত শুকিয়ে যায় একদিন! কিন্তু কথার দ্বারা আঘাতের ক্ষতটা রয়ে যায় চিরদিন বুঝলে”!
-তুমি যথেষ্ট এডাল্ট। নিজের ভালো-মন্দ বুঝার ক্ষমতা ও তোমার আছে। তোমার লাইফের যে কোনো ডিসিশন নিবার রাইট একান্তই তোমার নিজের। যদি কখনো মনে হয় আমাকে তোমার প্রয়োজন, বা ভালোবাসা তৈরি হয়। তাহলে, নিজ থেকে না হয় ডাক দিয়ো। আমি ফিরিয়ে দিবো না। আমি না হয় তোমার অপেক্ষায় রইলাম!
বাট ট্রাস্ট মি! তোমাকে বিরক্তর কারণ হবো না। আমি ও মানুষ। আত্মমর্যাদা, আত্মসম্মান আমার ও আছে।
ভালো থেকো!
-বলেই দ্রুত চলে গেলো সাইফ। হয়তো নিজের চোখের পানি আড়াল করতে।
____________________________
আমি ঐ দিন স্যারের দুই চোখ লাল হতে দেখেছি। খুব বেশি আঘাত করে ফেলছি মানুষটা কে। ঐ দিনের পর থেকেই আমার ভিতরে অনুশোচনা কাজ করে।
আমি ও বুঝতে পেরেছি না চাইতে ও মানুষটাকে আমি ভীষণ ভালোবেসে ফেলছি।
-স্যার ঠিকি কথা রেখেছে ঐশী। ঐ দিনের পর থেকে আর আমাকে ইগনোর করে। স্যারের সামনে যেতেই আমার গিল্টি ফিল করি। আমার ভিতরে অপরাধ বোধ কুঁড়ে কুঁড়ে ভিতরটা শেষ করে দিচ্ছে।
বলে বোন কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো চৈতী।
-ঐশী বোনের চোখের পানি মুছে দিলো। মুচকি হেঁসে বললো –
-সাইফ স্যার তো খুব ভাগ্যবান পুরুষ। যা কে কিনা আমার আপু এত ভালোবাসে। ভাবা যায় এগুলো?
-আরে পাগ’লী কান্না করো কেন? কান্না কা’টি বাদ দিয়ে আগে আসল কাজ টা করো। সোজা প্রপোস করে দেও। তারপরে দু’জন মিলে এক সাথে কান্না করো। হিহিহিহি।
কিন্তু আমার ভয় করে!
আমার আপু যথেষ্ট স্ট্রং। এসব ভয় টয় তার মধ্যে নেই আমি জানি। বেশি সময় নিও না প্লিজ!
জানো তো আপু-
“মানুষ অবহেলা পেলে সেখান থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় একটা সময়। তারপর অভিমান জমতে জমতে অভিযোগ নিয়ে সে হারিয়ে যায়”!
-সঠিক সময় সঠিক মানুষকে আগলে রেখো। হারিয়ে গেলে হাজার কান্না করে ও ফিরে পাওয়া যাবে না। সময় থাকতে মূল্য দেও না হয় পরে পস্তাতে হবে।
– আমি ও সাইফ স্যার থুক্কু দুলা-ভাইয়ের সাথে সহমত।
লাইফ তোমার ডিসিশন নিবার রাইট ও তোমার। তোমার যা ভালো বলে মনে হয় তাই করো, সিদ্ধান্ত তোমার হাতে।
ঐশী চৈতীর হাতে তার ফোনটা ধরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো।
-চৈতী কাঁপা কাঁপা হাতে সাইফের নাম্বর ডায়াল করলো। একবার রিং বেজে কেঁ’টে গেছে।
দ্বিতীয় রিং টা হতেই ফোন হাতে নিলো সাইফ।
চৈতীর নাম্বার থেকে কল আসতে দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেললো। কপালে তিনটা বাজ পড়লো।
ফোন রিসিভ করেই গম্ভীর কণ্ঠে বললো –
হ্যালো!
এপাশ থেকে কোনো সাড়া শব্দ পেলো না। দুজনার মাঝে নিরবতা। চৈতী গলা পরিষ্কার করে, এক নিঃশ্বাসে বললো-
স্যার! আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?
” ডু ইউ মেরি মি”!
সাইফ যেন নিজের কান কে ও বিশ্বাস করতে পারছে না। বিষম খেয়ে কাশি উঠে গেলো।
চৈতী খট করে ফোন কেটে দিলো।
-কি মানুষ রে বাবা! বিয়ার কথা শুনলে মানুষের যে কাশি উঠে যায়। উনাকে না দেখলে বুঝতাম ই না।
-সাইফ ঘোড় থেকে বের হতেই
হ্যালো! হ্যালো!
যা বাবা কেটে দিলো।
-কি বিচ্চু মেয়েরে ভাই ডিরেক্ট বিয়ের প্রোপোজাল করলো!
এই মেয়ে জিলাপির মন কখন কি চায় উপর আল্লাহই ভালো জানে।
🌸 সন্ধ্যা থেকে খিটখিটে মেজাজ নিয়ে রুমে বসে আছে রাফিন। সামনে লেপটপ রাখা কোনো ভাবে মনযোগ দিতে পারছে না। এক হাতে মুঠো ফোন দিয়ে বারবার কল দিচ্ছিলো ঐশী কে।
এই মেয়ের ফোন রিসিভ করার কোনো নামই নেই।
ঘড়ির কাঁটায় এগারোটা ছুঁই ছুঁই এবার কিছুটা বিচলিত হলো রাফিন। হাঁক ছেড়ে ডাকলো মিতু কে।
মিতু? এই মিতু?
আমাকে একটা কফি দিয়ে যা তো জলদি।
-মিনিট পাঁচেক পড়েই মিতু কফি নিয়ে আসলো।
এই নেও ভাইয়া কফি তোমার।
রাখ টেবিলের পাশে।
কি হইছে ভাইয়া এমন খ্যাট খ্যাট করো কেন?
রাফিন নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো –
কিছু না।
তোর বান্ধুবী কে কল দে তো তোর মোবাইল দিয়ে। ফোন রিসিভ করছে না কেন? কিছুটা চিন্তিত হয়ে বললো রাফিন।
মিতু মুচকি মুচকি হাসছে।
কিরে এভাবে হাসছিস কেন?
ক-কই? আমার ফোন রুমে। রুমে গিয়ে কল দেই। বলে তড়িঘড়ি করে চলে গেলো মিতু।
-মেসেজে শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো ঐশীর। ফোন হাতে নিতেই চোখ কপালে উঠে গেলো। ছাব্বিশ বার কল এসেছে রাফিনের নাম্বার থেকে।
কিছুটা চিন্তিত হলো ঐশী, উনিতো এত বার ফোন দেয় না কখনো। আর কিছু না ভেবে কল ব্যাক করতেই এক রিং হবার সাথে সাথেই ফোন রিসিভ করলো রাফিন। মনে হচ্ছিলো ফোনটা হাতে নিয়েই বসে ছিলো।
ঐশী হ্যালো বলতেই রাফিন দিলো এক ধমক।
এই মেয়ে! তোমার ফোন কোথায় রাখো হ্যা?
ফোন যদি সময় মতো কাজে না লাগে তা হলে ব্যবহার করো কেন?
ফেলে দিলেই পারো।
তোমার জন্য এতক্ষন আমার পড়াটাই হলো না।
কি করছিলে?
ধমকাচ্ছেন কেন?
আমি ঘুমিয়ে ছিলাম।
ঘুম মাত্র এগারোটা বাজে এত সকালে কিসের ঘুম তোমার?
আর ক’দিন পড়ে তোমার এক্সাম আর তুমি ঘুমাচ্ছো?
সিরিয়াসলি ঐশী? আমাকে রাগিয়ে দিওনা প্লিজ! একে তো এতক্ষণ কল রিসিভ করো নি।
এনিয়ে, আমার পড়াটা কমপ্লিট তো।
এখন আমাকে শুনাও জলদি,
আমার ও অনেক পড়া বাকি।
এ্যাঁ এখন পড়া?
এ্যাঁ না হ্যা।
পাগল টাগল হয়েছেন না-কি? ঘুম থেকে উঠে কেউ পড়ে নাকি?
কোথায় বয়ফ্রেন্ড কল দিয়ে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ঘুম ভাঙিয়ে প্রেমআলাপ জুড়ে দেয়।
আর আপনি আমার ঘুমটা নষ্ট করছেন পড়া নিবার জন্য?
বাজে বকা বন্ধ করো ইডিয়ট! লেখাপড়ার সময় টা বার বার আসে না ঐশী। সময় থাকতে সময়ের মূল্য দিতে শিখো।
আমার সাথে কথা বলার জন্য সারাজীবন সময় পাবে।
কিন্তু তোমার এই পরিক্ষা বার বার আসবে না। ভালো রেজাল্ট করলে তোমারই ভালো।
একটা কথা কি জানো?
সবাই তোমার সবকিছু ছিনিয়ে নিলেও, তোমার ভেতরে থাকা জ্ঞান কেউ চাইলে ও নিতে পারবে না।
-এটা তোমার একান্তই ব্যক্তিগত। তাই আমাদের উচিত সঠিক সময় মেধা কে ও কাজে লাগানো।
এমন ভাবে নিজেকে তৈরী করো, যাতে কারো উপরে নির্ভরশীল না হতে হয়।
সবাই যদি তোমাকে ছেড়ে ও যায়, তোমার নলেজটা যাতে কাজে লাগিয়ে নিজের জন্য বাঁচতে পারো।
তাই লেখাপড়া সবার ঊর্ধ্বে।
এখন জলদি চোখে মুখে পানি দিয়ে এসে পড়তে বসো।
আর একটা কথা বললে কিন্তু অনেক বড় শাস্তি হবে।
ঐশী আর কিছু না বলে চলে গেলো ওয়াশরুমে।
চলবে…….
[কার্টসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]