ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ #Writer_Sumaiya_Afrin_Oishi #পার্টঃ২৭

0
185

#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ

#Writer_Sumaiya_Afrin_Oishi

#পার্টঃ২৭

-বিস্মিত হয়ে বিছানার উপরে রাখা রঙিন কাগজ দিয়ে মুড়ানো গিফট বক্সের দিকে তাকিয়ে রইলো ঐশী।

এখানে আবার এটা রাখলো কে?

মনেমনে বললো, একরাশ কৌতুহল নিয়ে বক্সটা হাতে নিয়ে খুলতে লাগলো।

-বক্সটা খুলতেই চোখ গুলো গোল গোল হয়ে গেলো তার। তার সব পছন্দের জিনিস রয়েছে এখানে।

-লাল পাড়ের হলুদ জামদানী শাড়ী, এক জোড়া ঝুমকা, চার মুঠো লাল-হলুদ কাঁচের চুড়ি, তাজা শিউলি ফুলের গহনা, এক জোড়া নুপুর।

– গহনা গুলোর উপরে ছোট্ট একটা চিরকুট।

” মায়াবিনী”!
“তোমায় সাদা কাগজের মতো নিখুঁত হতে হবে না, সাদা কাগজে সবাই এসে ইচ্ছে মত স্মৃতি এঁকে দিয়ে চলে যায়।
তোমার তাজমহলের মতো জাঁকজমক হতে হবে না, সকলে এসে বিনা অনুমতিতে ছুঁয়ে দিয়ে যায়।
তোমায় গোলাপের মতো সৌন্দর্যের প্রতীক হতে হবে না, অতি সুন্দর ফুল মানুষ উপড়ে ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
তোমায় ম্যাগাজিনের মতো চোখ ধাঁধানো হতে হবে না, সকলের নজর পড়ে যাবে।
তোমায় কবিতার মতো সুখকর লাইন হতে হবে না, কেউ এসে পড়ে ফেলতে পারে অনায়াসে।
তুমি বরং অবহেলায় বেড়ে ওঠা শিউলি ফুল হয়ে আসো আমার উঠোনে,
আমি বুকে ধারণ করে যাবো তোমায় আমরণ”!
– ফুলের স্নিগ্ধ গহনা তার পছন্দ তাই নিজ হাতে যত্ন করে বানিয়েছি”। শিউলি ফুল হয়ে সে কি ধরা দিবে এই অগোছালো আমাকে?

-ঐশীর বুঝতে বাকি রইলো না কে দিয়েছে এগুলো, মূহুর্তেই অধঁর কোণে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠলো। মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলো।

“রাফিন ভাই”!

বক্সের নিচে আরো একটা নীল রঙের চিরকুট দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি করে চিঠিটা খুললো ঐশী।

“প্রিয় মায়াবিনী”🤍

“মায়াবতী কিছু গল্প লেখা হয় শুধু তোমার জন্য। কিছু ভালোবাসা জমে থাকে বুকের বাঁ পাশে, কিছু অনুভূতি খেলা করে হৃদয় জুড়ে সেও তোমার জন্য। এক বসন্ত বিকেলে কিশোর বয়সে তোমাকে দেখে মন বলছে তোমাকে চাই, তাইতো ডুবে ডুবে ভালোবেসেছি তোমার অচেনা অতিথি হয়ে। যেদিন প্রথম দেখেছিলাম তোমায়, সেখান থেকেই আমার প্রণয়ের সূচনা। তোমার কাজল কালো আঁখি, রেশমী ঘন খোলা চুল, লাল পাড়ের হলুদ শাড়ী পড়া তোমাকে ভেবে বহুবার হৃদয় জুড়ে ঝড় বয়ে যায়। তোমাকে ভেবে যেন প্রেমনেশায় ডুবে যাই, এই নেশা যে নিকোটিনের থেকেও ভয়ংকর।শুনেছি ভালোবাসা নাকি মরুর বুকে বৃষ্টি হয়ে নামে, উঁহু এটা মোটেও নয় মাঝে মাঝে কারো জীবনে ইট পাটকেল হয়েও আসে। তাইতো তুমি বিহীন অসংখ্য বসন্ত পার করলাম। তুমি বড়ই ভয়ংকর নারী! এই যে এই নিরামিষ আমিটাকে ও প্রেমা’তাল করে দিয়েছো। তোমায় নিয়ে ভাবতে ভাবতে মনের অজান্তেই তুমি হয়ে গেলে আমার ” #ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ! সব কিছুর পড়েও তুমি আমার নিকোটিনের মতো প্রেম প্রেম নেশা। কারণ তুমি যে আমার অসুখ! হ্যা এই অসুখের নাম #ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ”! আমার এই অগোছালো অনুভূতি গুলো একটা পূর্ণতা পেলো এক পূরর্নীমা রাতে, যে দিন তুমি এসেছিলে কাশফুলের মাঠে। শুরু হলো আমাদের ভালোবাসার সূচনা।
আমি জানি আমার মায়াবিনী অভিমান করেছে, সে যে ভীষণ অভিমানী! তাইতো তার নামে লিখলাম নীল চিরকুট। যদি তা করতে পারে মায়াবিনীর হৃদয় ব্যাকুল।জানো? মাঝে মাঝে খুব করে ইচ্ছে করে, এক বৃষ্টি স্নাতক দিনে, কুয়াশা ভেজা সকালে এক মগ ধোঁয়া উঠা কফি নিয়ে তোমাতেই আমি মগ্ন হয়ে বসে থাকতে চাই মায়াবিনী। অতঃপর তুমি এসে বলবে শ্যামসুন্দর পুরুষ এসো হই রঙিন প্রজাপতী আমরা দুজন। এই অধিকারটুকু কি দিবে আমায় মায়াবতী? মন বলতে থাকে একটু খানি নীরবতা চাই, তোমায় নিয়ে একটি নির্জন সন্ধ্যা চাই। আল্লাহর কাছে অনেক চাওয়ার মাঝে বিশেষ একটাই যে চাওয়া ” তোমাকে চাই”। তুমি হাতটা কি দিবে বাড়িয়ে? তোমার হাতটা ধরে সারা শহর হাঁটতে চাই। নতুন রুপে কি সে দিবে ধরা? তারজন্য অপেক্ষা করছি আমি পুরনো সেই বকুল ত’লায়”।

~ “ইতি তোমার শ্যামসুন্দর পুরুষ”

হৃদয় জুড়ে শিহরণ বয়ে যাচ্ছে কিশোরীর ছোট্ট মনে। যেন পৃথিবীরর সমস্ত ভালোলাগা ভর করেছে তার মধ্যে। সময়টা যদি এখানে থেমে যেতো তবে মন্দ হতো না। একসাথে কয়েক বার পড়লো চিঠি খানা, তবুও যেন মন ভরেছই না।

– এই লোকটি কি আমাকে পা’গল বানিয়ে দিবে? মনেমনে বিড়বিড় করছে ঐশী। একটা বিষয় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে,
বাসা থেকে বেড় হবে কি কর? এরি মধ্যে চৈতীর কন্ঠ স্বর শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি করে চিঠিটা বালিশের নিচে লুকিয়ে রাখলো। গিফট বক্সটার উপরে একটা চাদর দিয়ে ঢেকে রাখলো। চৈতী বোনকে পর্যবেক্ষণ করে মিটমিট হাসছে। ঐশী আশপাশ করছে কেমন নার্ভাস লাগছে। কথায় আছে না চোরের মনে পুলিশের ভয় থাকে।

চৈতী চেহারায় গম্ভীরর্য টেনে প্রশ্ন করলো,

কিরে আমাকে দেখে কি লুকিয়ে রাখলি? এমন নার্ভাস লাগছে কেন তোকে?

-ককই আপু কিছু নাতো।

ঘাবড়ে গিয়ে আমতা আমতা করে বললো ঐশী।

চৈতী হঠাৎ শব্দ করে হেসে উঠলো৷ হাসি থামিয়ে বললো,

-মিথ্যা বলতে পারিস না তাও বলিস কেন?

-কি মিথ্যা বললাম আপু?

-ড্রামা বাদ দিয়ে কুইকলি রেডি হয়ে নে। আমাকে মিথ্যা বলতে হবে না বিকজ বক্সটা আমিই এখানে রেখেছি।

-কিন্তু আপু আম্মু দেখলে তো ঝামেলা হবে।

– ওসব টেনশন তোর নিতে হবে না আমি আম্মুকে ম্যানেজ করে ফেলছি। তুই রেডি হয়ে নে। ড্রয়িং রুমে মিতু বসে আছে।

-আম্মুকে কি বলছো?

-বলছি রিয়ার জন্মদিন তাই তোরা ওদের হলে যাচ্ছিস। রুম থেকে বের হতে হতে বললো চৈতী।

-ঐশী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। তার বোনের মতো বোন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সকল পরিস্থিতি সামলাতে পারে, মনে মনে আল্লাহ কে ধন্যবাদ জানালো এমন একটা বোন উপহার হিসেবে দিবার জন্য। আর কিছু না ভেবে প্রিয় মানুষটার দেওয়া গিফট দিয়ে নিজেকে রাঙালো।

___________________________
রাফিন অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো তার মায়াবিনী কে দেখার জন্য। প্রিয় মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে বোরিং লাগে না। এই অপেক্ষার মাঝেও শান্তি। কারণ বিশ্বাস সে আসবেই।

-হঠাৎ করে রাফিনের চোখ দু’টো আঁটকে গেলো। সামনে মনে হচ্ছে কোনো হলুদ পরী এসেছে। লম্বা- উজ্জ্বল ফর্সা গায়ের রঙের সাথে লাল পাড়ের হলুদ শাড়ী সাথে শিউলি ফুলের গহনা মায়াবী চেহারায় বেশ মানিয়েছে। কোমর পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া চুল হেঁটে আসার গতিতে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো দোল খাচ্ছে। মুখে মিষ্টি হাসি।

-রাফিন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তার মায়াবিনীর মুখশ্রীর পানে। তার চোখের তৃষ্ণা যেন মিটাছেই না। যত দেখছে ততই মুগ্ধ হচ্ছে সে।

-ঐশী লজ্জা পেলো রাফিন কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে। নীরবতা ভেঙে মুচকি হাসি দিয়ে প্রশ্ন করলো,
– এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

-হুস চুপ পরী দেখছি! হলুদ পরী! আমার চোখে দেখা সবচেয়ে সুন্দরী কে দেখছি, কথা বলো না দেখতে দেও।

-রাফিনের কথায় শব্দ করে হেসে দিলো ঐশী। সাথে সাথে গেজ দাঁতটা চিকচিক করে উঠলো। এই হাসি যেন তীরের মতো বিঁধলো রাফিনের বুকে। গেজদন্তিনী মেয়ের হাসি এত সুন্দর হয় আগে কখনো দেখেনি রাফিন। অপলক হয়ে দেখছে তার প্রিয়তমা কে। চোখে মুখে ও যেন মুগ্ধতা উপচে পড়ছে। মিনিট পাঁচেক পড়েই চোখ ফিরিয়ে নিলো। এই মেয়ে তাকে ভস্ম করতে চাইছে। নিজের চোখ কে নিয়ন্ত্রণ করে ঐশীর হাত ধরে বললো,

-চলো?

-কোথায় যাচ্ছি আমরা?

-কাজী অফিসে। রাফিনের সোজাসাপটা জবাব।

-কাজী অফিসে কেন? অবাক হয়ে বললো ঐশী।

-“বিয়ে করবো আমরা। দেখো মায়াবিনী আমার ভালোবাসায় কোনো ফরমালিন নেই। সাগরের জলের মতো স্বচ্ছ টলটলে। যে খানে ভালোবাসাটাই পবিত্র সেখানে আমরা কেন হারাম রিলেশনশিপ থাকবো?
আমি তোমাকে বিয়ে করে একটা পবিত্র সম্পর্কে যেতে যাই। পবিত্র ভাবে তোমার হাত স্পর্শ করে সারাজীবন এক সাথে চলতে চাই”।

“দুজনের একটি আকাশ হোক, ছোট্ট একটি ঘর হোক, ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে রাখার সুযোগ হোক”!

এখন কি এ সুযোগ দিবে আমায় মায়াবতী?

– কোনো বনিতা ছাড়াই বলে দিলো রাফিন।

-কিন্তু এভাবে কেনো আমরা বিয়ে করবো? এভাবে হয় না রাফিন ভাই। আমার বাবা আপনার ফ্যামিলির লোক যখন জানবে তারা খুব কষ্ট পাবে। আমি দু’জন পুরুষের ব্যাপারে ভীষণ সেনসিটিভ এক “বাবা”, দুই আপনি, আমি বাবার মনে কষ্ট দিয়ে নতুন জীবনে যেতে চাইনা। বাবার দোয়া সাথে নিয়ে পবিত্র সম্পর্কে যেতে চাই। আমি এই মূহুর্তে আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না। সরি! মাথা নিচু করে বললো ঐশী।

-রাফিন হাসলো ঐশীর কথায়। আগে থেকেই ধারণা ছিলো ঐশী রাজি হবে না। এজন্যই আগে শফিকুল সাহেব কে রাজি করিয়েছে। সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়িছে। প্রথমে উনি এভাবে বিয়েতে রাজি না হলেও রাফিন বুঝাতে সক্ষম হয়েছে। রাফিনের মতো ছেলে তার রাজকন্যা কে রাণী করে রাখবে সারাজীবন সে বিশ্বাস উনার আছে। তাইতো নিজের সন্তানের কথা ভেবে, অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলো এখন শুধু গোপনে বিয়েটা করিয়ে একটি পবিত্র সম্পর্ক দিবে দু’জন কে। লোক জানিয়ে পরে আবার ধুমধাম করে মেয়ে তুলে দিবে।

-হঠাৎ করে ফোন ভেজে উঠলো রাফিনের। ফোন রিসিভ করে লাউডস্পিকার বাড়িয়ে দিলো।

-হ্যাঁ বাবা! আমি পৌঁছে গেছি। তোমরা সাবধানে এসো। আর একটু তাড়াতাড়ি এসো, আমার রাজকুমারী এসেছেতো?

-বাবার কথা শুনে চমকে উঠলো ঐশী৷ এবার পরিষ্কার বুঝতে পারলো এদের আগে থেকেই প্লান করা।

-রাফিন ঐশীর দিকে তাকিয়ে মুখটা গোমড়া করে বললো,

-আপনার মেয়েই তো আসতে চাইছে না আঙ্কেল।

-তাইলে এ বিয়ে হবে না। যেখানে আমার মেয়ে কে রাজি করতে পারোনি।

-না না আঙ্কেল আমরা আসছি।

– তোমাকে আর আধা-ঘণ্টা সময় দিলাম, আমার মেয়ে কে রাজি না করতে পারলে, আমিও ভিলেন শশুর হয়ে যাবো। বলে শব্দ করে হেঁসে দিলো উনি।
-আচ্ছা বাবা বেস্ট অফ লাক! বলে ফোন কেটে দিলো।

-এবার তো কোনো কনফিউশন নেই চলো যাওয়া যাক?

-আরো একটা সমস্যা আছে আমার।

-কি সমস্যা?

-আমার বন্ধুদের ছাড়া আমি বিয়ে করবো না।

-সবাই আছে আগে চলো আমার খুব তাড়া, জীবনে প্রথম বিয়ে করবো আমার আবার তড় সইছে না বলে ঐশীর হাতটা শক্ত করে ধরলো।

-ঐশী রাফিন কে থামিয়ে দিয়ে বললো,

-“এই যে হাত ধরতে চাইছেন পারবেন তো সারাজীবন ধরে রাখতে?
নাকি অন্য সবার মতো একটুতেই মাঝপথে ছেড়ে চলে যাবেন”?

-“পাশে থাকার জন্য এত যে আকুতি করছেন, পারবেন তো শেষ দিন পযর্ন্ত পাশে থাকতে?
নাকি বিকল্প কাউকে পেয়ে অযুহাত দেখিয়ে ফেলে যাবেন?

-“ভালোবাসি বলে যে সারাক্ষণ মাথা ধরাচ্ছেন, পারবেন এই ভালোবাসা চিরকাল টিকিয়ে রাখতে?
নাকি আগ্রহ ফুরিয়ে গেলে ভালোবাসা ও বিলীন হয়ে যাবে”?

-“যদি অন্তিম পর্যন্ত হাত ধরে সাথে থাকতে পারেন, তবে জীবনে আসবেন। নয়তো অহেতুক এসে মিছে মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই। রিক্ত শূন্য করে ছেড়ে দিলে আমি ভেঙে ঘুড়িয়ে, শূন্যে মিলে যাবো”। তক্ষণ বেঁচে বেঁচে ও ম’রে যাবো।

-“রাফিন অপল হয়ে শুনছিলো তার মায়াবিনীর কথা। কত বড় হয়ে গেছে, অবিজ্ঞদের মত কত বড় মাপের কথা শুনাচ্ছে তাকে।
ঐশীর মুখে মৃ’ত্যুর কথা শুনে মুখটা চেপে ধরে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,

“খবরদার মৃ’ত্যুর কথা মুখে নিবে না কখনো। যেখানে তোমাকে ছাড়া আমি রিক্ত শূন্য, সেখানে তোমাকে ছেড়ে দিবার প্রশ্নই আসে না”।
-” অন্ধলোক যেমন সামনে আগানোর সময় নিজের লাঠি টা নিশ্চিন্তে মাটিতে রেখে পা ফেলে, তেমন করে কাউকে বিশ্বাস করে দেখো। সবাই তোমার জীবনে “হুমায়ুন আহমেদ” স্যারের মতো স্যাড উপন্যাস লিখতে আসেনা কেউ কেউ তোমার জীবন রঙিন করতেও আসছে”।

হঠাৎ ঐশী রাফিনের হাতটা শক্ত করে ধরলো। অতঃপর দু’জন হাত ধরে চলে গেলো নতুন জীবনের সূচনায়।

🌸কাজী অফিসে এসে দেখতে পেলো সবাই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আরাফ সহ বন্ধু মহলের সবাই উপস্থিত। এরা সব কিছু আগে থেকেই রেডি করে রাখছে। অবশেষে বিয়েটা হয়েই গেলো।

-সবার মধ্যে ঐশীর ভীষণ লজ্জা লাগছে। ভাবতেই লজ্জা লাগছে! এই মানুষটা একান্তই তার নিজস্ব, সারাজীবনের জন্য লিখিতো ভাবে পেয়ে গেলো। তার রাফিন ভাই এখন তার স্বামি। সবকিছুর জন্য আল্লাহর কাছে হাজার বার শুকরিয়া আদায় করলো।

– রাফিন আড় চোখে বারবার ঐশী কে দেখছে। মুখে অমায়িক হাসি। এই হাসিটাই বলে দিচ্ছে তার দীর্ঘদিনের অপেক্ষার তৃপ্তির হাসি। সম্পর্কের পূর্ণতা পাওয়ার শান্তির শিহরণ বয়ে চলেছে যুবকের মনে।

এভাবে আড় চোখে না তাকিয়ে সরাসরি তাকিয়ে দেখতেই পারিস। কুইন তো তোরই, আমরা কিছু মনে করবো না মামা,আরাফ ফিসফিস করে বললো।

-মনেকরার কি আছে হু? বিয়া করেছি একমাত্র বউ আমার।

-তা বউ পেয়ে বন্ধুদের ভুলে যাসনা ভাই।

-তোরা আছিস তোরা থাকবিই। তোদের জায়গা আলাদা মনের গহীনে লুকায়িত।

-কিরে তোমরা ফিসফিস করছো কেন? বললো শফিকুল সাহেব,

-এই একটু প্রাইভেসি আলাপ করছি আঙ্কেল। ফট করে বললো আরাফ।
হাসি আনন্দের মধ্যে কেটে গেলো সময়। রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে খেয়ে বাসায় চলে গেলো সবাই।

চলবে,,,,,,,,,,,,,

[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here