#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ
#Writer_Sumaiya_Afrin_Oishi
#পার্টঃ২৮
“কেটে গেছে কয়েকটা দিন। রাফিনের মেডিকেলের ৩য় বর্ষের রেজাল্ট দিয়েছে। বরাবরের মতোই খুব ভালো রেজাল্ট করেছে। ভার্সিটি থেকে জরুরি তলব করার কারণে রাফিন ঢাকায় চলে গিয়েছে। তার ও ব্যস্ততা বেড়েছে, ক্লাস,কোচিং, আবার নিজের জন্য টিউশনি করিয়ে হাঁপিয়ে পড়ছে যেন। তবুও নিয়ম করে প্রিয় মানুষটাকে একটু হলেও সময় দেয়। রোজ নিয়ম করে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন পড়ার বিষয় গাইড দেয় ঐশী কে। আর মাএ দু’দিন বাকি ঐশীর HSC এক্সামের।
– সকাল আটটা রাফিন টিউশনি করে তাড়াহুড়া করে বেরিয়েছে। আগের থেকেও বেশি পরিশ্রম করতে হয় তাকে । নিজের পড়াশোনা সহ যাবতীয় খরচ নিজেই বহন করে। কোনো এক কারণে বাবার এক পয়সা ও নিচ্ছে না রাফিন।
– আজ ৯ টায় তার ক্লাস রয়েছে। নিজের বাইক নিয়ে আসেনি,রোডে কোনো খালি গাড়ি বা রিক্সা ও নেই। হুট করে একটা রিক্সা পেয়ে হাতের ইশারায় থামতে বললো।
-মামা বিশ্ববিদ্যলয় রোডে যাবেন?
-না যামু না, চিনি না।
-রাফিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, -কি বলেন মামা? আপনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি চিনেন না?
রিকশাওয়ালা বললো,- আরে কি যে কও? চিনুম না ক্যান? পরথমেই বাংলায় কইবা না।
রাফিন হাসবে না কাঁদবে বুঝিতেছে না। আহা! আমারা খুব সভ্য জাতি। বাংলা ভুলেই গেছি ইংরেজি বলতে বলতে। কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ বসে পড়লো রাফিন।
-চলুন মামা।
‘ভাড়া মিটিয়ে নামতেই হুট করে মলি এসে রাফিন কে জড়িয়ে ধরলো। মিষ্টি কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
-‘কেমন আছিস রাফিন?
এতো লেট করলি যে? আমি সেই কখন থেকে তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম জানিস?
– মলির এমন কাজে রাফিন বাকরুদ্ধ। ভরা ক্যামপাসে মানুষ’জন আড় চোখে দেখছে। কেউ কেউ তো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।
-রাফিন মলি কে ছাড়িয়ে দিবার চেষ্টা করছে, কিন্তু মলি যেন আরো জাপ্টে ধরে।
-রাফিন কর্কশ কন্ঠে বললো,- এসব কি মলি? আমার একদম এগুলো পছন্দ না। ছাড় বলছি এসব কোন ধরনের অসভ্যতা? দূরত্ব বজায় রেখে চলবি আমার থেকে কত বার বলবো? তোকে কে বলছে আমার জন্য অপেক্ষা করতে?
– রাফিনের এমন কন্ঠ শুনে ভয় পেয়ে ছেড়ে দিলো মলি।
– রাফিনের ইচ্ছে করছে এই অস’ভ্য গায়ে পড়া মেয়েটাকে দু’চারটা থাপ্প’ড় থেরাপি দিতে। বড়া মাঠে মেয়েদের গায়ে হাত তুললে, বা সিনক্রিয়েট করলে নিজেরই ক্ষতি হবে ভেবে নিজের ইচ্ছেটা দমিয়ে রেখে দাঁতে- দাঁত চেপে বললো,
তোকে আমার সামনে আসতে না করছি না মলি? কেন আসছিস? তোর সাহস দেখে আমি অবাক। তোর সাহস কি করে হয় আমাকে টাচ করার?
-মলি মুচকি হাসি দিয়ে বললো, সাহস দিতে হয় না, অর্জন করে নিতে হয়। ভালোবাসার মানুষ কে টাচ করার অধিকার আমার আছে। এখানে সাহসের কি দেখলি হু?
-তোর মতো বেহায়া নির্লজ্জ মেয়ে আমি আর দু’টো দেখিনি। আমি অন্য একজনার আমানত বোন। ক্ষমা কর আমাকে ছোট ভাই হিসেবে। এই শহরে আরো অনেক ছেলে আছে তাদের গিয়ে তোর বেহায়াপানা দেখা। নেক্সট তোর চেহারাটা ও যেন আমার চোখের সামনে না দেখি। তাহলে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম।
মাইন্ড ইট ড্যামেট! বলেই গটগট পায়ে ভার্সিটির ভিতরে প্রবেশ করলো। সকাল সকাল মেজাজ বিগড়ে দিলো মেয়েটা। নিজে নিজে একা একা বিড়বিড় করছে রাফিন।
-মলি রাফিনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে শয়তা’নী হাসি দিয়ে বলে উঠলো,
আমার কাজ হয়ে গেছে হাহাহা। যে কোনো মূল্যে আমি তোকে চাই রাফিন। তুই আমার না হলে আমি তোকে ও ভালো থাকতে দিবো না। দেখ আমি কি করি, জাস্ট ওয়েট এন্ড সি! বলেই কাউকে ফোন দিলো।
___________________________
ঐশী পড়ার টেবিলে বসে আছে। তার দুচোখ ভর্তি ঘুম যেন উপচে পড়ছে। সানজিদা শেখ এসে মেয়ের পাশে দাঁড়ালো “মা”কে দেখে দ্রুত বইয়ের দিকে দৃষ্টি বুলালো।
সানজিদা শেখ শান্ত কন্ঠে বললো, আসরের আযান দিয়েছে মা। নামাজ পড়ে নে দ্রুত।
– আচ্ছা মা যাচ্ছি। বলে উঠে দাঁড়ালো ঐশী।
শোন নামাজ শেষ করে, হোস্টেলে গিয়ে ওদের নিয়ে আয়। পরিক্ষার ক’দিন আমাদের বাসায় থাকবে। হলে কি খায় না খায়, ওদের যত্ন নিবার কেউ নেই ওখানে, তার থেকে বরং আমাদের বাসায় থাকুক এই ক’টা দিন।
-মায়ের সিদ্ধান্তে ভীষণ খুশি হয়েছে ঐশী। মা’কে জড়িয়ে ধরে বললো – থ্যাংকস আম্মু! আমি আগেই বলতে চাইছি ভয়ে বলিনি যদি তুমি না করে দেও।
ছিঃ! এসব কি কথা ঐশী? আমাকে তোর এত খারাপ মা মনে হয়। ওদের নিয়ে আমি কখনো কিছু বলছি তোকে? আমি ওদের নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসি।
” কে বললো তুমি খারাপ আম্মু? তুমি পৃথিবীর বেস্ট আম্মু!” বলেই মায়ের কপালে টুপ করে চুমু দিলো।
-সানজিদা শেখ হেসে দিয়ে বললো হয়েছে যা এবার। ঐশী আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলো। নামাজ শেষ করে রেডি হয়ে নিলো, তার চোখে ঘুম যেন উধাও হয়ে গেলো। বন্ধুদের সাথে কিছু সময় আড্ডা দেওয়া যাবে ভেবেই মনটা আনন্দে ভরে গেলো।
-গেটের সামনে এসে মিতুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। আগেই ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে মিতুকে। কিন্তু এখনো আসছে না দেখে বিরক্ত হয়ে আশেপাশে চোখ বুলালো ঐশী ।
-এরি মধ্যে স্কুল লাইফের ক্লাস ফ্রেন্ড প্রিয়ার সাথে দেখা।
প্রিয়া ঐশী কে দেখে রিক্সা থামিয়ে দিয়ে বললো- আরে ঐশী যে, কেমন আছিস?
আলহামদুলিল্লাহ!
তুই কেমন আছিস?
এইতো ভালো। এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কই যাচ্ছিস?
-ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করতে যাবো। মহিলা হোস্টেলের কাছে।
-ওহ আমিও ঐদিকে যাচ্ছি। আয় একসাথে যাই, রিক্সায় একটা সিট খালিই আছে। চল যাই?
-না তুই যা আমার দেরী হবে, আমি মিতুর জন্য দাঁড়িয়ে আছি। ও আসলেই একসাথে যাবো।
-আরে উঠে আয় প্লিজ! কতদিন পড়ে দেখা হলো একসাথে গল্প করতে করতে যাই। বলেই ঐশীর হাত ধরে রিক্সায় উঠিয়ে দিলো। ঐশী আর দ্বিমত করতে পারলো না। অবশেষে প্রিয়ার সাথেই যেতে হলো। মিতু কে টেক্স করে জানিয়ে দিয়েছে।
-হোস্টেলের সামনে এসে প্রিয়া ও নেমে পড়লো। একটার পরে একটা কথা বলেই যাচ্ছে। ঐশী ভদ্রতার ক্ষাতিরে কিছু বলতে ও পারছে না। মিনিট দশেক পরই হুট করে মিতু এসেই ঐশী কে টা’নতে টান’তে নিয়ে আসলো এক সাইডে।
– প্রিয়া হ্যাবলা’র মতো সব দেখছে। এদের কি হলো বুঝার চেষ্টা করছে। আর বেশি ঘাঁটলো না, বাসা থেকে ফোন পেয়ে দূর থেকে ঐশী কে বলে বি’দায় নিলো।
– আরে এভাবে টা’নছিস কেন? কি হয়েছে?বললো ঐশী।
-কি হয়েছে মানে? তুই আমার বেস্টু হয়ে অন্য একটা মেয়ের জন্য আমাকে একা রেখে চলে আসলি কেন?
-আরে প্রিয়া ছিলো ও তো আমাদের বন্ধুই। তুই দেরী করছিস তাই চলে আসছি।
-রাখ তোর বন্ধু। কিসের বন্ধু হু?
-তুই আমার বেস্টু তোর উপরে শুধু আমার অধিকার আছে। আর কারো অধিকার নেই বুঝলি? তোর এত বন্ধুর দরকার নেই, আর কারো সাথে এত কথা বলবি না, কারো সাথে এত ঘনিষ্ঠ হওয়ার দরকার নেই। আমার যেমন তুই থাকলেই চলবে তোরও তেমন আমি থাকলেই চলবে, এর অন্যথা হলে তোর খবর আছে বলে দিলাম ঐশী।
-ঐশী মৃদু হাসলো কানে হাত দিয়ে বললো, স্যরি সোনা! আমার ভুল হয়ে গেছে আর হবে না। শেষ বারের মতো ক্ষমা করে দে।
-এরিমধ্য আলিফ আর রবিন হাজির। রবিন এসেই ঐশীর কানে হাত দেওয়া ছবি তুলে নিলো। তারপর আফসোস করে বললো, হ্যাঁ বুঝলি আলিফ আমরা কারো বন্ধু না। আমরা আসলে পানের জলে ভেসে আসছি, আমরা কারো কিছু না।
-মিতু রবিনের চুল টেনে দিয়ে বললো, তোরা সবাই আমার বন্ধু। তোদের কাউকে ছাড়া চলবেই না। দিন শেষে তোরাই আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিস, তোদের কাছেই মানসিক শান্তি পাই।
-“জানিস কেউ কেউ প্রেমিক-প্রেমিকা কে নিয়ে জেলাস ফিল করে। আবার কেউ কেউ বেস্ট ফ্রেন্ড নিয়েও ভীষণ জেলাস ফিল করে”!
” নিঃসন্দেহে তোরা ভাগ্যবান অর ভাগ্যবতী। আমার মতো একটা মানুষ পেয়েছিস তোদের ফ্রেন্ড হিসেবে। তোদের উচিত আমাকে ক্ষাতির যত্ন করে আগলে রাখা। ভাব নিয়ে বললো মিতু।
-আমাদের ও উচিত তোকে যত্ন করে সুটকেসে তুলে রাখা। এত টক্সিক ক্যান রে? হেসে বললো ঐশী।
-জানিস এই মানুষ গুলো যতটা টক্সিক ভাবা হয় তারা কিন্তু মোটেও টক্সিক না। বরং বলা যায় বেস্ট ফ্রেন্ড নামক মানুষ গুলো চিনতে পারলে আ’মৃ’ত্যু শুধু ভালোবাসেই যেতে বাধ্য হবে, কারণ! এরা কখনোই চায়না এদের প্রিয়জনের জায়গা টা অন্য কেউ দখল করে নিক। কারণ! এরা ভীষণ ভালোবাসার কা’ঙা’ল! আর ভালোবাসার চেয়ে সুন্দর কিছু এই জগতে হতেই পারে না। তাই তোদের ভাগ কাউকে দিতে পারছি না। মিতু বললো।
– মন খারাপ করিস না ইয়ার। অ্যা’ম জোকিং সোনা! “হ্যাঁ আমিও নিঃসন্দেহে ভীষণ ভাগ্যবতী। তোদের মতো বন্ধু পেয়েছি। আমাদের বেস্টফ্রেন্ড নামক ভালোবাসার বন্ধন গুলো যেন এভাবে অটুট থাকে আ’ম’র’ণ! মিতু কে জড়িয়ে ধরে বললো ঐশী।
– সমস্বরে বাকি সবাই বললো, আমিন!
– রিয়া,জান্নাত কোথায়? বের হয়নি এখনো?মিতু বললো।
– আলিফ ফোন দিবে এর মধ্যেই ওদের আসতে দেখা গেলো।
– সবাই মিলে বসছে একটা ফাঁকা জায়গায় কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে যাবে। রবিন একটার পরে একটা কথা বলছে। জান্নাত চুপচাপ বসে আছে, মন খারাপ করে। তা দেখে রবিন বললো,
মুখটা এমন পেঁচার মতো বানিয়ে আছিস কেন?
-রবিন সব-সময় ইয়ার্কি ভালো লাগে না চেঁচিয়ে বললো জান্নাত।
– জান্নাত কে হঠাৎ এমন রাগ করতে দেখে বন্ধু মহলের সবাই ভড়কে গেলো।
রবিন হেসে বললো, বাবা আমি আবার কি করলাম? রেগে আছিস কেন?
-জান্নাত চুপ
-ঐশী রিয়া কে প্রশ্ন করলো,
এভাবে রেগে আছে কেন জান্নাত?
– জানি না রে। আমাকে ও কিছু বলছে না। মনে হয় আদিত্য ভাইয়া ফোন ধরছে না।
– ঝগড়া হয়েছে না-কি?
– হঠাৎ জান্নাত ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। ঐশী তাড়াতাড়ি করে জান্নাতের পাশে এসে ওকে জাপ্টে ধরলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো –
কি হয়েছে রে? কাঁদছিস কেন?
– জান্নাত কাঁদতে কাঁদতে বললো, জানিস আদিত্য আমাকে প্রাই ইগনোর করে। আমাকে আগের মতো গুরুত্ব দেয়না। আমি ফোন করলে বিভিন্ন বাহানা দেখায়, কাজের অযুহাত দিয়ে ফোন অফ করে দেয়। আমি ভীষণ ভালোবাসি ওকে। ওর এমন ইগনোর মানতে পারছি না। আমার ভীষণ কষ্ট হয় ঐশী ও কেন বুঝে না বল?
-বেস্ট ফ্রেন্ড মানেই একটা অলিখিত দলিলে মনের আইন সিদ্ধ অধিকার প্রাপ্ত সেই মানুষ গুলো, যাদের উপরে এক আকাশ সমান ভালোবাসা মিশে থাকে, অন্যের উপরে হওয়া রাগ র্নিদ্বিধায় নিজেকে ঝেড়ে শান্ত করা যায়, প্রচন্ড ডিপ্রে’শনে থাকা একন্ত কথা গুলো যাদের সংকোচহীন ভাবে বলে ডিপ্রে’শন কাঁটিয়ে উঠা সহজ সমাধান পাওয়া যায়। তাইতো জান্নাত নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। মনের একান্ত কথা গুলো বলে দিলো।
– মন খারাপ করিস না হয়তো বিজি আছে। চিন্তা করিস না কেউ না থাকুক আমরা তো আছি জান্নাত। এ-সব বাদ দে এবার, যে তোকে এড়িয়ে চলতে চায় তাকে তার মতো থাকতে দে। ঐশী বললো।
-এরি মধ্যে আদিত্য ফোন দিয়েছে। জান্নাতের কান্না থেমে গেছে, মুখে কি সুন্দর স্নিগ্ধ হাসি। কিছুটা দূরে গিয়ে ফোন রিসিভ করলো জান্নাত।
– আমার আদিত্য কে মোটেও পছন্দ না। কেমন যেনো ছেলেটা লু’চ্চা লু’চ্চা লাগে। কতবার না করছি জান্নাত কে। উল্টো রেগে যায় কিছু বললেই। বললো রবিন।
– ভালোবাসার মানুষ যাতো খারাপ হোক তার নামে উল্টো কথা শুনলে রাগবেই ইহাই বাঙালি নারী ভাই। বললো আলিফ।
– ভালোবাসা কখন কার জন্য সৃষ্টি হয় জানা নেই। আমাদের এখন জান্নাত কে কিছু বলা উচিত না। এতে বিপরীত আমাদের ভুল বুঝবে। একদিন নিজের ভুল নিজেই বুঝতে পারবে ও। জীবন থেকেই কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। আর আমাদের জান্নাত ঠিক মানিয়ে নিয়ে, জীবন সামনে নিয়ে যেতে পারবে দেখিস। আদিত্যই ওকে বাস্তবতা শিখিয়ে দিবে। বললো ঐশী।
-ভালোবাসার মানুষের একটু কন্ঠ স্বর শুনতে পেলেই বোধ হয় তার উপরে জমানো সকল রাগে-অভিমান শেষ হয়ে যায়। আদিত্যের সাথে একটু কথা বলাতেই মেয়েটা কেমন উৎফুল্ল হয়ে গিয়েছে।
-জান্নাত হাসিমুখে এসে বললো, কিরে কি বলছিস তোরা? আমাকে দেখে চুপ করে আছিস যে?
– ঐশী বললো তেমন কিছু না। চল এখন বাসায় যাই সন্ধ্যা হয়ে আসছে প্রায়। কেউ আর অমত করলো না, আসার সময় সবার প্রয়োজনীয় জিনিস-পএ নিয়ে বের হয়েছে। ঐশী সবাই কে ফোন দিয়ে বলে দিয়েছিলো আগেই ।
– সবাই মিলে রোডের একপাশে হাঁটছে। এরি মধ্যে কোথাথেকে একটা গাড়ি এসে ঐশী’কে ফলো করছে। হঠাৎ করে এসে ধা’ক্কা দিয়ে,,,,,,,,,,,,
চলবে………….
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]
গল্প কেমন লাগে তোমাদের? রেসপন্স করিয়ো।