ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ #writer_sumaiya_afrin_oishi #পার্টঃ২৯

0
179

#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ

#writer_sumaiya_afrin_oishi

#পার্টঃ২৯
বন্ধুরা মিলে যখন কথা বলতে বলতে হাঁট-ছিলো তখন আলভি ও ওদের পিছনে ছিলো। ঐশী যে’দিকে যাচ্ছে গাড়িটা ও ঠিক সেইদিকে’ই যাচ্ছে, বিষয়টি আলভির দৃষ্টিতে পড়লো। হুট করেই গাড়িটা মাঝ রাস্তায় এসে ঐশীর নিকটে যাচ্ছে, হঠাৎ করে আলভি দৌ’ড়ে এসে ঐশী’কে ধা’ক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। গাড়িটা ও ওদের পাশ কাটিয়ে দ্রুত গতিতে চলে গেলো। হুট করে এমন ধা’ক্কার তা’ল সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে গেলো ঐশী।
-“আলভি দৌড়ে এসে ঐশীর কাছে এসে বসলো হাঁটু ভে’ঙে। হাত ধরে ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,

‘তুমি ঠিক আছো ঐশী?

-এদিকে বাকি সবাই আতঙ্কিত হয়ে “থ” হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটছে সব বুঝতে কয়েক মিনিট সময় লাগলো তাদের। ব্যথা পেয়ে মৃদু চিৎকার করলো ঐশী, ঐশীর কন্ঠ শুনে হুঁশ ফিরলো সবার। দ্রুত গিয়ে ঐশী কে তুলে উঠালো, মিতু,রিয়া,জান্নাত জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।

-আরে এই ভাবে কাঁদছিস কেনো তোরা? আমি ঠিক আছি তো, শুধু একটু পায়ে চোট লেগেছে। ঐশী নিজেকে সামলে নিয়ে বললো।

– মিতু ধরা গলায় চোখ মুছতে মুছতে বললো, জানিস এইমাত্র কত বড় একটা দূর্ঘটনা ঘটে যেতো তোর।

-আলভি না আসলে হয়তো এতক্ষণে কি হয়ে যেতো। ভাবতেই গাঁ শিউরে উঠে আমার। বললো রিয়া।

– ধন্যবাদ আলভি! তুমি খেয়াল না করলে অনেক বড় একটা দূর্ঘটনা ঘটে যেতো এখানে। বললো আলিফ।

– ধন্যবাদ দিয়ে আমাকে ছোট করো না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করো। ভাগ্যিস! আমি খেয়াল করছি।

– আল্লাহ হয়তো তোমাকে ফেরেশতা’র মতো পাঠিয়েছে আমাদের সাহায্য করার জন্য আলভি। তুমি আমাকে ঋণী করে দিলে, আজ আমার জীবন বাঁচিয়ে দিলে।

– এভাবে বলো না ঐশী। ঋণ’টা না হয় শোধ করে দিয়ো।

-হ্যাঁ অবশ্যই! বলো কি করতে পারি তোমার জন্য?

– আপাতত কিছু লাগবে না। সময় হলে চেয়ে নিবো। তুমি একটু সাবধানে থেকো। আমার মনে হচ্ছে কেউ ইচ্ছা করে তোমাকে এ’ক্সি’ডে’ন্ট করতে চাইছে বা তোমার ক্ষতি করতে চাইছে।

– দূর কি-যে বলো আমার এমন কোনো শ’ক্র নেই যে আমাকে মা’রতে চাইবে। হয়তো উনি খেয়াল করেননি। এ’ক্সি’ডে’ন্ট হতেই পারে, বিপদ কখন কোথায় আসে বলেতো আসেনা।

– শা’লা পালিয়েছে না হয় ওকে গাড়ি চালানো শিখিয়ে দিতাম।তুমি ফেস দেখেছো শা’লার? পরে চিনতে পারবে দেখলে? আলভি কে প্রশ্ন করলো রবিন।

-না দেখিনি,মুখে মাক্স পড়া ছিলো। যাইহোক তোমরা সবাই সাবধানে থেকো। ঐশী ঠিক আছো তুমি? নাকি হসপিটালে যেতে হবে?
এভরিথিং ইট’স ওকে?

-না ঠিক আছি আমি।

-আচ্ছা ঠিক আছে গাড়ি ডেকে দিবো? বাসায় গিয়ে রেস্ট নেও।

– না তোমাকে দিতে হবে না। ওরা তো সাথেই আছে।

– ওকে। তাইলে আমি এখন আসি। টেক কেয়ার। বায়।

– জবাবে মুচকি হাসলো ঐশী। আলভি আর এক মূহুর্ত সময় নষ্ট না করে চলে গেলো।

– ঐশীর এই প্রথম আলভির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলো। এতদিন এই ছেলেটা’কে দেখলে বিরক্ত হতো। প্রায় সময়ই কোচিং এ গেলে তাকিয়ে থাকতো।
-যতটা খারাপ ভাবছি ততটা খারাপ ও নয়। মনে মনে বললো ঐশী।

– আলিফ একটা খালি অটো দাঁড় করিয়েছে। সময় নষ্ট না করে সবাই মিলে গাড়িতে উঠে বসলো।
-শোন আজকে এই ঘটনা কাউকে বলার দরকার নেই। সবাই শুধু শুধু দুশ্চিন্তা করবে , আমিতো ঠিকই আছি আল্লাহর রহমতে৷ বললো ঐশী। ঐশীর কথায় সবাই হ্যাঁ সূচক জবাব দিলো। মানে কাউকে বলবেই না।

– বাসায় আসতেই সানজিদা শেখ খেয়াল করলো ঐশী খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। উনি বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-পায়ে কি হয়েছে মা? এত দেরী করলি কেন আসতে?

– আসলে আম্মু মানে,,

-কি আসলে নকলে শুরু করছিস? হয়েছে কি তাই বল।

– রিয়া ফট করে বলে উঠলো আন্টি ঐশীর এক্সি,,,,,, হুট করে রবিন এসে রিয়াকে চিঁমটি কেটে থামিয়ে দিয়ে বললো,

আন্টি আসলে মাঠে হাঁটছিলো বেখেয়ালিতে ঐশী ইটের সাথে হোঁচট খেয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছে একটু আরকি।

– বাকি সবাই ও সমস্বরে বললো, হ্যাঁ আন্টি।
– রিয়া দাঁত দিয়ে জিব্বা কামড়ে দিলো। ইসস মুখ ফসকে বলে ফেলছিলো।

– একটু দেখে শুনে চলবি না। যা রুমে গিয়ে সবাই ফ্রেশ হয়ে নে।

-আন্টি আমিও কিন্তু তোমাদের বাসায় থাকবো ওদের সাথে। আমি বাসায় যাচ্ছি না কিন্তু। বললো মিতু,

– সানজিদা শেখ মুচকি হেসে বললো, পাগ’লী মেয়ে! তোকে কি আমি বাসায় যেতে বলছি? তোদের যতদিন ইচ্ছে তোরা থাকবি। এখন তোরা ঐশীর রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।
রবিন, আলিফ বাবা তোমারা গেস্ট রুমে যাও। আমি তোদের জন্য নাস্তা বানিয়ে আনছি। বলতে বলতে চলে গেলো রান্না ঘরের দিকে। কেউ আর কথা না বাড়িয়ে যার যার রুমে চলে গেলো।

🌸”হ্যালো! রিয়াজ কাজ হয়েছে?”
স্যরি ম্যাডাম! আমি চেষ্টা করছিলাম আজ কিছু একটা হয়েও যেত। কিন্তু,

“আগন্তুক চিৎকার দিয়ে বললো, কিন্তু কি ? তোদের দিয়ে কোনো একটা কাজ হয় না ঠিক ভাবে।
তোদের দিয়ে কিছু হবেনা। যা করতে হবে আমাকেই করতে হবে। বলেই ফোন কেঁটে দিলো আগন্তুক।”

___________________________
‘আজ সাতদিন পড়ে বাড়ি ফিরলো সাইফ। ভার্সিটির ট্রেনিং’এর জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যেতে হয়েছে তাকে। থমথম মুড নিয়ে ফ্রেশ হয়ে, সায়েম কে ফোন দিয়ে নিজের রুমে ডাকলো। ভাবতেই পারেনি সায়েম এমন একটা কাজ করবে ঐশীর সাথে ঐ বাড়িতে গিয়ে। ঢাকায় গিয়ে রাফিনের সাথে দেখা হয়েছে। রাফিনের থেকেই শুনেছে এসব। রাফিন ঐদিন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলো মূলত সাইফের সাথে এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে। আপনজনের মধ্যে কোনো ঝামেলা চাচ্ছে না রাফিন। তাই তাদের গার্ডিয়ান’দের সতর্ক করা উচিত বলে মনে করছে রাফিন।

-“মিনিট পাঁচেক পড়েই সায়েম আসলো। ভয়ে ভয়ে সাইফের রুমে ঢু’ক’লো। সায়েম কে দেখেই চোয়াল শক্ত করে সাইফ উঠে দাঁড়াল। দ্রুত গিয়ে দরজা লক করে দিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,

‘এসব কি শুনছি সায়েম?
“ক-কই আমি কি করছি ভাই?
ফাঁকা ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বললো সায়েম”।

– সাইফ রক্তিম চক্ষু করে বললো, তুই কিছু করিসনি? ঐশীর সাথে বাজে ব্যবহার করার মতো দুঃসাহস কেন করলি? বলেই কয়েকটা কষে থা’প্পড় দিলো।

– আগে থেকেই তোর নামে আরো অনেক কথা শুনেছি।আগে বিশ্বাস করিনি কিন্তু এখন বিশ্বাস করতেই হলো। তোর থেকে এমনটা আশা করিনি সায়েম। ভাবতেই অবাক হচ্ছি তুই আমার মামা’তো ভাই হয়ে এমন একটা কাজ কি করে করলি? তোর মন- মানসিকতা এত নোংরা! ছিঃ! দাঁতে দাঁতে চেপে বললো সাইফ।

– সায়েম গালে হাত দিয়ে অপরাধী ন্যায় মাথা নিচু করে আছে। রুমে জরুরি তলব পেয়ে, যে ভয়টা পেয়েছিলো সেটাই হলো। এখন কিছু বললে সাইফ আরো রে’গে যাবে। তাই কিছু একটা ভেবে হুট করে সাইফের “পা” জড়িয়ে ধরে কাঁদো কাঁদো ফেস করে বললো, স্যরি ভাই! আমাকে ক্ষমা করে দে। প্রমিস আর কখনো এমন হবে না।

“সাইফ সায়েম কে ছাড়িয়ে দিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো, ক্ষমা আমার কাছে না। যার সাথে অন্যায় করছিস তা কাছে চাস”।

” শোন ভাই! তোর শিক্ষা, অভিজাত্য, অর্থের কোন মূল্যই নেই। যদি তোর চরিত্র আর ব্যবহার ভালো না হয়।”

” সায়েম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মনেমনে গভীর সিদ্ধান্ত কষলো।

“ফের এমন ঘটনা যেন কোথাও না ঘটে। এটাই তোর জন্য লাস্ট ওয়ার্নিং মনে রাখিস। না-হয় তোকে আমি নিজেই পুলিশের হাতে তুলে দিবো।
মাইন্ড ইট!
-এক্ষণই তুই আমার চোখের সামনে দিয়ে যা।

-সায়েম কোনো কথা না বলে চুপ করে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো। নিজের গালে হাত দিয়ে শুধালো, কাজটা তুই ঠিক করিসনি সাইফ। তোর হবু শালীর জন্য আমার গায়ে হাত তুললি। তোকে ও এর জন্য পস্তাতে হবে। বলেই শয়তানি হাসি দিয়ে নিজের বাসায় চলে গেলো।

– চৈতী ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে সাইফের কথাই ভাবছে। আজ তিন দিন ধরে সাইফের সাথে কথা হয়না তার। কঠিন ঝগড়া হয়েছে। দু’জনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেউ কাউকে ফোন দিবেনা। কারণ দু’জনার ইগনোর’ই ষোলো আনা। তাদের মধ্যে এমনটা হয়, মাঝে মাঝে, কিন্তু কথা বন্ধ রাখা বিরাট ব্যপার। সাইফ যেচে কথা বলবেই, কারণ ভদ্রলোকের রাগ করে কথা না বলার ক্ষমতা একদম শূন্যের কোঠায়। তারপর কাঁচুমাচু হয়ে বলেই ফেলে, আচ্ছা চলো আমরা সন্ধি করেনি একদিনের বেশি কথা বলা বন্ধ করা যাবে না। তাহলে পাপ হবে। তুমি অল্প অল্প কথা বলে ঝগড়াটা অব্যহত রাখতে পারো। আমি কিছু মনে করবো না।

যে কোনো মূল্যে তার হবু বউয়ের রাগ ভাঙতে সব- সময়ই সে প্রস্তুত। কিন্তু লোকটার এবার হলোটা কি?

চৈতী দীর্ঘশ্বাঃস ছেড়ে ভাবলো ফোন দেই। আবার ইগো বলে না চৈতী, না। তুই কেনো ফোন দিবি? এবার কঠিন বিচ্ছেদ। অতঃপর আর ফোন দিলো না। নিচ থেকে সানজিদা শেখ ডাক দিলো।

” তোর ভার্সিটি থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ফোন দিয়েছে চৈতী। তোকে যোগাযোগ করতে বলছে।”

” চৈতী বিভ্রান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো, কেন আম্মু? তোমাকে কিছু বলছে?

-না বলছে শুধু কি জানি জরুরি মিটিং আছে। তোকে জরুরি ভিওিতে যোগাযোগ করতে বলছে। ফোন দিয়ে দেখ।

– চৈতী বিস্মিত হয়ে বললো- আমি তো দু’দিন আগেও ভার্সিটিতে গিয়েছি। কোনো নোটিশ তো দেখলাম না।

-সানজিদা শেখ বিরক্তি হয়ে বললো, ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে তো পারিস। বলে নিজের রুমে চলে গেলো।

– অতঃপর চৈতীর ডিপার্টমেন্টের কিছু লোকদের থেকে খবর নিলো। তারাও বিস্মিত প্রকাশ করে বললো তারা কিছু জানেনা।
চৈতী চিন্তিত হয়ে পড়লো। দুনিয়ার কেউ কিছু জানে না, ভার্সিটির কর্তৃপক্ষ তাকে কেন কল দিয়েছে? কিসের এত জরুরি মিটিং আমার সাথে? চৈতী এসব বিভ্রান্তির মাঝে সানজিদা শেখ আবার এসে জিজ্ঞেস করলো,

কিরে ফোন দিয়েছিস? কি বললো?

‘না আম্মু। আমার কাছে ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষের কারো নাম্বার নেই।

” এই মেয়ের কোনো কান্ডজ্ঞান আছে? এমন অলস, দায়িত্বহীন মেয়ে, এর ভবিষ্যত কতটা অন্ধকার। এর কাছে কারো প্রয়োজনীয় নাম্বার নেই। ধমক দিয়ে কথাগুলো বললো সানজিদা শেখ। লম্বা একটা বক্তৃতা দেয়ার পড়ে নাম্বার দিলো তিনি।

– নাম্বার দেখে চৈতীর চোখ চড়কগাছে। বিস্মিত হয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো কিছু সময়। সানজিদা শেখ ধমকে উঠলো,

কিরে কল দিচ্ছিস না কেন?

– চৈতী দাঁতে দাঁত চেপে কল দিলো। শফিকুল শেখের ডাক শুনে সানজিদা শেখ চলে গেলো।

– আপনার সাহস তো কম’না! আপনি আমার আম্মুকে কল দিয়ে বোকা বানান! আপনি! আপনি কোনো নিয়ম ফলো করেন না! কেন? আপনি আমার হবু বর! আমার আম্মু, আপনার হবু শ্বাশুড়িকে ভয় পাবেন। তার কন্ঠ শুনে হাঁটু -কাঁপপে! গলা শুকিয়ে যাবে, শরীরের ঘাম ছুটবে। এটাই নিয়ম! সিম্পল একটা লজিক এটা। আপনি তা-না করে আমার আম্মুকে যেচে ফোন দিয়ে খোশগল্প করেন? সিরিয়াসলি! আপনার কোনো ভয়’ডর নেই? অসহ্য লোক একটা! ফাজলামো করেন?

-চৈতীর এত- এত কথা যেন সাইফের কানের পাশ দিয়ে উড়ে গেলো। সাইফ ভীষণ আমোদিত কন্ঠে বললো,

-“আরে তুমি! নিশ্চয়ই ক্ষমা চাইতে ফোন দিয়েছো? আমি জানতাম তুমি ফোন দিবেই। আমাকে ছাড়া যখন থাকতেই পারোনা তাইলে ঝগড়া করো কেন? দেখো এবার আমি খুব সিরিয়াস! কোনো কথা হবে না! তোমার এসব স্যরি, ক্যাসাব! ট্যাসাব! ভুলে গিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ক্যাচাপ দিয়ে পাউরুটি খাও। আমি তোমার টিচার! আবার হবু বর! কত বছরের বড় হিসাব আছে? তাও কোনো রেসপেক্ট করোনা আমাকে! এবার ডিরেক্ট সিদ্ধান্ত! কঠিন সিদ্ধান্ত! ফোন কাটো।”

“-চৈতী ভ্যাবলাকান্তের মতো চেয়ে রইলো। অতঃপর ফুঁসে উঠে বসলো,

‘ও হ্যালো! এক্সকিউজ মি!

‘ সাইফ আগের বিন্দাস কন্ঠ’টাকে চট করে দুঃখী দুঃখী বানিয়ে। ঈষৎ সমবেদনা টেনে বললো,

‘ইশ কান্না-কাটি করবে নাকি এখন? থাক কান্নাকাটি করতে হবে না। বাচ্চা মানুষ ক্ষমা করে দিলাম। কান্না করোনা প্লিজ! ‘আই লাভ ইউ টু!’

‘চৈতী স্তম্ভিত, হতভম্ব হয়ে হাবার মতো দাঁড়িয়ে রইলো। এই লোকটা কতকিছু বললো। নিজে নিজেই “ব্রেক- আপ” কে “পেচ-আপ” “আই লাভ ইউ টু” বলে ফোন কেটে দিলো।
‘চৈতীর মাথার মধ্যে বোলতার মতো ঝিরিঝিরি আওয়াজ শুরু করলো। নিজের জন্য না যতটা মায়া হলো, তার থেকে বেশি মায়া হলো তার মায়ের জন্য। “আহারে, আমার মা’টা! বেচারী জানতেও পারলেন না, এইমাত্র একজন মহা চাল’বাজ পুরুষ তার নাকের নিচ দিয়ে ৩৮০° ভোল্টের ভেলকি দেখিয়ে গেলো!
‘আকাশে বাতাসে গায়েবি কন্ঠ ভেসে আসলো,

‘এই লোকটাকে নিয়ে আর পারি না! পারি না। না। না।

” চৈতী দীর্ঘশ্বাস ফেললো। সারাজীবন এই নাট’ক’বা’জ লোকটাকে সহ্য করতে হবে। ভাবতেই মায়ায় মায়ায় বুকটা ভেসে গেলো তার। আহারে বেচারী চৈতী’টা!

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,

❌[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]❌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here